স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তির জন্য মসজিদে মসজিদে দোয়া করার জন্য ইমামদেরকে অনুরোধ করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) এর সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
তিনি শনিবার বিকালে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও খতিবদের সাথে ভার্চুয়ালি মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

এ সময় তিনি আরো বলেন, এখন সময় এসেছে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবার। একমাত্র আল্লাহই আমাদেরকে এই বিপদ থেকে পরিত্রাণ দিতে পারেন। আল্লাহই আমাদের ভরসা। আল্লাহ আমাদেরকে ক্ষমা করতে পারেন, মাফ করতে পারেন।
আমরা নিশ্চয় কারণে অকারনে অন্যায় করেছি। সময় এসেছে আল্লাহর কাছে দু’হাত তুলে প্রার্থনা করে বলি আল্লাহ তুমি আমাদেরকে এই মহামারি থেকে পরিত্রাণ দাও। আল্লাহ আমরা সঠিক ভাবে তোমার পথে চলব। তুমি আমাদেরকে সুযোগ দাও।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, গত বছর ২৫ মার্চ থেকে জননেত্রী শেখ হাসিনা যে ছুটি ঘোষণা করেছিলেন। সে ছুটির কারণে আমরা করোনা মহামারির যে আঘাত সেটা বুঝতে পারি নাই। আমাদের করোনা সংক্রমণের হার ছিল কম। মৃত্যুর হার ছিল কম। জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত দুরদর্শিতার সাথে করোনা ভ্যাকসিনের ব্যবস্থা করেছেন। ভ্যাকসিন নেওয়া শুরু হলে আমাদের ধারনা হয়েছিলো এ মহমামারি হয়তো পিছনে ফেলে এসেছি। কিন্তু দুঃখের হলেও সত্য আজকে বাংলাদেশে রেকর্ড পরিমাণ সংক্রমণ রোগী পাওয়া যাচ্ছে এবং আরও দুঃখের বিষয় গত শুক্রবার এক বছর এক মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশী মৃত্যু হার আমরা দেখেছি।

এ সময় আইনমন্ত্রী আলেম-ওলামাদেরকে প্রতিটি ওয়াক্তের নামাজে মসজিদে মসজিদে করোনা মহামারি থেকে মুক্তির জন্য দোয়া করতে বলেন।


এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাসেম ভূইয়া, পৌর মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর-এ-আলম, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক মোঃ জয়নাল আবেদীন, যুগ্ম আহবায়ক মনির হোসেন বাবুল, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল মমিন বাবুল, ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দীন শাপলু, জালাল উদ্দীন চেয়ারম্যান, মাওলা আসয়াদ আল হাবিব, মুফতি আসয়াদুজ্জামান, মুফতি কাজী কেফায়েত উল্লাহ মাহমুদী প্রমুখ।

আখাউড়ায় ইমাম ও খতিবদের সাথে ভার্চুয়ালি মত বিনিময়কালে আইনমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বন্ধুদের নিয়ে বাসার ছাদের উপর ঘুড়ি উড়াতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মাঈনুদ্দিন-(০৭) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বেলা ১১টায় শহরের ফুলবাড়িয়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মাঈনুদ্দিন ফুলবাড়িয়ার আল-আমীন মিয়ার ছেলে।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে বন্ধুদের নিয়ে বাসার ছাদে উঠে ঘুড়ি উড়ানোর সময় ঘুড়িটি একটি গাছে ডালে সাথে আটকে যায়। পরে মাঈনুদ্দিন গাছ থেকে ঘুড়ি নামাতে গিয়ে বিদ্যুতের লাইনের সাথে জড়িয়ে আহত হয়।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় পরিবারের সদস্যরা মাঈনুদ্দিনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক নাজমুল হক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে ডাঃ নাজমুল হক বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই ছেলেটি মারা যায়, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিশুটির হাত-পা পুড়ে যায়।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রহিম বলেন, বিষয়টি শুনে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে পরিবার থেকে এখনো কোন অভিযোগ পাইনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঘুড়ি উড়াতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে শিশুর মৃত্যু


বিস্তারিত ঃ গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ- ২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ০৭ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়।
উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৩ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৪টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা
৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ২৬৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরে জড়িত আরও ০৭ জন গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের অগ্নিপুরুষ বিপ্লবী উল্লাসকর দত্তের ১৩৭তম জন্মদিন ছিলো গতকাল শুক্রবার। তার জন্মদিনে সরাইল প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে তাঁর স্মৃতিকে ধরে রাখতে তিনটি প্রস্তাব করা হযেছে।
প্রস্তাবগুলো হচ্ছে উল্লাসকর দত্তের স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য সরাইলের কালিকচ্ছে তাঁর পৈত্রিক ভিটায় একটি স্মৃতিসৌধ নির্মান, নতুন প্রজন্ম যাতে জানতে পারে সেজন্য তার তাঁর কর্মকান্ডকে লিপিবদ্ধ করে সংরক্ষনের ব্যবস্থা করা ও প্রতিবছর সরকারি ভাবে তাঁর জন্মদিনে আলোচনা সভার আয়োজন করা।

বিপ্লবী উল্লাস কর দত্তের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায়। ১৮৮৫ সালের ১৬ এপ্রিল তিনি সরাইল উপজেলার কালিকচ্ছ গ্রামে জন্ম গ্রহন করেছিলেন। তাঁর পিতা দ্বিজদাস দত্ত ছিলেন সর্বধর্ম সমন্বয় আদর্শের সাধক।  উল্লাসকর দত্ত কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজের ছাত্র ছিলেন, এবং পরে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কৃষি বিদ্যায় ডিগ্রী অর্জন করেন। তবে কলেজে পড়ার সময় ইংরেজ অধ্যাপক রাসেল বাঙালিদের সম্পর্কে কটূক্তি করার দরুন উল্লাসকর তাকে আঘাত করেন, এজন্য উল্লাসকরকে কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল । এই সময় থেকে তার জীবনে পরিবর্তন আসে। বঙ্গভঙ্গকে কেন্দ্র করে ১৯০৬ সালের ৭ আগস্ট স্বদেশী আন্দোলন কালে তিনি অনুশীলন দলের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। এ সূত্রে ক্ষুদিরাম বসু ও বারীন্দ্রকুমার ঘোষ এর সাথে তাঁর প্রত্যক্ষ যোগাযোগ ছিল।

উল্লাসকর দত্ত তখন ‘অভিরাম’ ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন। তাঁর তৈরি বোমা ছুড়েই ক্ষুদিরাম ১৯০৮ সালের ৩০ এপ্রিল ইংরেজ ম্যাজিস্ট্রেট কিংসফোর্ডকে বহনকারী গাডিড় ভেবে ভুল করে দুজন ইংরেজ মহিলাকে হত্যা করেছিলেন। এ অপরাধে ২ মে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ উল্লাসকরকে মুরারিপুকুর বাগান থেকে গ্রেপ্তার করেন। পরের দিনই মোজাফফরপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে ইংরেজ ব্যারিস্টার কেনেডি সস্ত্রীক নিহত হন। এ সকল ঘটনা ইংরেজ মহলে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করে। ফলে কয়েক দিনের মধ্যে গোয়েন্দা পুলিশ কলকাতার মানিকতলায় বোমা তৈরির গোপন কারখানাটি খুঁজে বের করতে সক্ষম হয়। গোয়েন্দা রিপোর্টে প্রমাণিত হয় যে, ৩০ এপ্রিল ক্ষুদিরাম কর্তৃক নিক্ষিপ্ত বোমাটি ছিল উল্লাস করের তৈরী।

বিচারে ক্ষুদিরাম ও বারীন্দ্রকুমার ঘোষের সঙ্গে মানিকতলা (আলীপুর) বোমা মামলায় অভিযুক্ত হিসেবে উল্লাসকরকেও মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। তবে ১১ আগস্ট ক্ষুদিরামের মৃত্যুদন্ডাদেশ কার্যকর হলে উল্লাসকর তাঁর আইনজীবী চিত্তরঞ্জন দাশ-এর বিজ্ঞতায় অব্যাহতি পান ও ১৯০৯ সালে বারীন ঘোষের সঙ্গে তিনি আন্দামানে দ্বীপান্তরিত হন। ১৯২০ সালে তিনি মুক্তিলাভ করেন।
১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট ব্রিটিশ শাসনের অবসান ঘটলে জন্মভূমি কালীকচ্ছের বাঘবাড়িতে উল্লাসকর ফিরে আসেন। দীর্ঘ দশবছর নিঃসঙ্গ জীবন অতিবাহিত করার পর জীবনের শেষ দিনগুলি নিজেদের আখড়ায় কাটানোর বাসনায় তিনি কলকাতার উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। ১৯৬৫ সালের ১৭ মে কলকাতায় তাঁর জীবনাবসান ঘটে।

এ দিকে উল্লাসকর দত্তের জন্মদিনে সরাইল প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে সরকারের ৩টি প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রস্তাবগুলো হচ্ছে উল্লাসকর দত্তের স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য সরাইলের কালিকচ্ছে তাঁর পৈত্রিক ভিটিতে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মান, তাঁর কর্মকান্ডকে লিপিবদ্ধ করে একটি কক্ষে সুন্দর ভাবে সাজিয়ে রাখা এবং প্রতিবছর তাঁর জন্ম দিনে আলোচনা সভার আয়োজন করা।
এ ব্যাপারে সরাইল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান বাবুল বলেন, আজকের প্রজন্ম বিপ্লবী উল্লাস কর দত্তকে খুব একটা জানে না। নতুন প্রজন্ম যাতে উল্লাস কর দত্তকে জানতে পারে সেজন্য সরাইল প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে তিনটি প্রস্তাব করা হয়েছে।

বিপ্লবী উল্লাসকর দত্তের ১৩৭তম জন্মদিন পালিত, সরাইল প্রেসক্লাবের তিন প্রস্তাব

বিস্তারিত ঃ গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযােগের মাধ্যমে পুরাে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে
মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযােগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযােগে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ২৪ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালােচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়।

উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৩ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমােট ৫৪টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লােকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমােট ২৬১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরে জড়িত আরও ২৪ জন গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ন্যায্য মূল্যেন্যায্য মূল্যে দুধ, ডিম ও মাংস ভ্রাম্যমান বিক্রয় কেন্দ্র উদ্বোধন করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ চত্ত্বরে প্রধান অতিথি হিসেবে ভ্রাম্যমান বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওছার ভূইয়া জীবন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ জাকির হোসাইনের সভাপতিত্বে বিক্রয় কেন্দ্র উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ-উল আলম, কসবা উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী, ডাঃ আব্দুল মজিদ উজ্জ্বল, প্রভাষক জয়নাল আবেদিন প্রমুখ।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা প্রাণিসম্পদ ও ভেটেনারি হাসপাতালের ব্যবস্থাপনায় করোনা পরিস্থিতিতে আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ চত্বরে ভ্রাম্যমান বিক্রয় কেন্দ্র চালু থাকবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ন্যায্য মূল্যে ভ্রাম্যমান বিক্রয় কেন্দ্র উদ্বোধন

বিস্তারিত ঃ গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ- ২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৩০ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়।

উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৩ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৪টি মামলা রুজু হয়েছে। এ সকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা
৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এ সকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ২৩৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরে জড়িত আরও ৩০ জন গ্রেফতার

 

গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৩৯ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৫ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৩ টি ও সরাইল থানায় ০২ টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ২৮৮ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০-৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ২০৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরে জড়িত আরও ৩৯ জন গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের নিমবাড়ি গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত দুই ভাই রহিজ মিয়া ও ফয়েজ মিয়া হত্যা মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবি ও মামলা দুটো তুলে নিতে আসামী পক্ষের হুমকি-ধামকির প্রতিবাদে গত সোমবার রাতে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ফয়েজ মিয়ার বাড়ির উঠানে সভায় গ্রামের মুরুব্বী আলী আজগর মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন বাবুল মিয়া, মস্তু মিয়া, নোয়াব মিয়া, রতন মিয়া প্রমুখ।

সভায় বক্তারা দুই ভাইয়ের হত্যা মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের কাছে অনুরোধ করেন। নিহত রহিজ মিয়া ও ফয়েজ মিয়া উপজেলার নিমবাড়ি গ্রামের মরহুম লাবু মিয়ার ছেলে। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, আসামীরা হত্যা মামলা দুটো তুলে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। হত্যা মামলা থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করার পায়তারা করছে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নিমবাড়ি গ্রামের পান্ডুর গোষ্ঠীর লোকজনের সাথে এই গ্রামের কাবিলা গোষ্ঠীর লোকজনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এই বিরোধের জের ধরে ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল দুই গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে পান্ডুর গোষ্ঠীর লাবু মিয়ার ছেলে রহিজ মিয়া মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহত রহিজ মিয়ার স্ত্রী বাদি হয়ে ২০জনের বিরুদ্ধে কসবা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এই মামলার ১ নং স্বাক্ষী ছিলেন নিহত রহিজ মিয়ার বড় ভাই ফয়েজ মিয়া।

রহিজ মিয়া হত্যা মামলার আসামীরা (কাবিলা গোষ্ঠীর) দীর্ঘদিন কারাভোগ করে মাস তিনেক আগে আদালত থেকে জামিন পেয়ে বাড়িতে আসেন। পরে আসামীরা হত্যা মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য প্রতিপক্ষের উপর চাপ প্রয়োগ করেন। পান্ডুর গোষ্ঠীর লোকজন রাজী না হওয়ায় গত ১৩ মার্চ সকালে কাবিলা গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে পান্ডুর গোষ্ঠীর লোকজনের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় টেটার আঘাতে রহিজ মিয়া হত্যা মামলার ১ নং স্বাক্ষী ও রহিজ মিয়ার বড় ভাই ফয়েজ মিয়া-(৬০) ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

এ ঘটনায় পরদিন নিহতর স্ত্রী রেখা বেগম বাদি হয়ে ৩০জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ পর্যন্ত মামলার দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে।

কসবায় প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন সরকারি ও বে-সরকারি স্থাপনা পরিদর্শন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৬-(বাঞ্চারামপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ.বি তাজুল ইসলাম।

ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন শেষে মঙ্গলবার দুপুরে তিনি ক্ষতিগ্রস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব ভবন পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, অতীতে যারা দেশের জাতীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে সেই কমন শত্রু বিএনপি-জামাত-হেফাজতই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে । এ ছাড়া আমাদের কোন ব্যর্থতা ছিল কিনা তাও আত্মউপলব্ধিতে এনে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি আরো বলেন, এই কমন শত্রুদের আমাদের অবশ্যই ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে।

এ সময় তার সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা-খাঁন, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারসহ দলীয় নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ.বি তাজুল ইসলাম এমপি তাজ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ক্ষতিগ্রস্ত বাসভবন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা পরিদর্শন করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের দেওয়া ধ্বংসযজ্ঞ পরিদর্শন করেন ক্যাপ্টেন তাজ এমপি

ফেসবুকে আমরা..