লেখাটি জহিরুল ইসলাম স্বপন এর ফেইসবুক ওয়াল থেকে নেওয়া:
মতিলাল বণিক কালো রঙের হলেও লাল মিয়া ভাই। বাবা হিন্দু তিনি জাতে মানুষ।মহাজাগতিক মানবধর্মে বিশ্বাসী। কার্ল মার্ক্স,লেনিন, কবি সুকান্ত রবীন্দ্রনাথ কাজী নজরুল তাঁর প্রিয় মানুষ।জন্ম কসবা উপজেলার চণ্ডীদ্বার গ্রামে ১৯৪৪ সালে।পিতা মনোমোহন বণিক পেশায় ডাক্তার।
মতিবাবু ১৯৬৩ সালে ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন।১৯৬৪ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মহাবিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৬৫ সালে পূর্ব পাকিস্তানেরর গভর্নর মোনায়েম খানকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরে প্রতিরোধে অগ্রভাগে ছিলেন।তখন নেতৃবৃন্দ ছিলেন জনাব লুৎফুল হাই সাচ্চু, মাহবুবুল হুদা,কোববাত এ্যাড.( সৈয়দাবাদ) এম এ কাইয়ুম,( কসবা) জনাব দিলারা হারুন,বাদল, ( মৌড়াইল) শফিক খান( পুনিয়াউট) প্রমুখ।
১৯৭০ সালে কসবা ফ্রি প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষকতা যোগদান করেন। ১৯৭৮ সালে চণ্ডীদ্বার উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। তিনি মহকুমার বিভিন্ন স্থানে ১৯৬৫-১৯৭০ সাল পর্যন্ত জাতীয় ও গণতান্ত্রিক অান্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণকরেন।
১৯৭১ সালে ছোট ভাই মোহনলাল বণিককে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন।১৬ এপ্রিল ১৯৭১ দেবীপুরে হাবিলদার আব্দুল মান্নান তাদের১৩ জনকে কিছুদিন থ্রি নট থ্রি রাইফেল দিয়ে প্রশিক্ষণ নেন। গত ৮ মার্চ ১৯৭১ সালে চণ্ডীদ্বার স্কুল মাঠে, পরে চানমোড়াতে হাবিলদার আ হালিমের কাছে প্রশিক্ষণ নেন।
তাঁর সহযোদ্ধা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফ ফিরুজ ( চড়নাল) এম এ কাইয়ুম, নওয়াব মিয়া ( আকবপুর), আ. কাদির, আজহার চতুর্থ বেঙ্গল ( চন্দ্রপুর), জামাল খান, আ. রহিম। জনাব রহিম বলেন, তিনি আমাদের রাজনীতির গুরু। তিনি ছোট ভাইকে খোঁজে না পেয়ে ১৭ ডিসেম্বর বাড়িতে ফিরে আসেন।আজও শোষণহীন সমাজতান্ত্রিক সোনার বাংলার সম্পদ দেখেন। মানুষের রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা,সুন্দর পৃথিবীর স্বপ্ন দেখেন। তিনি১৯৭১ সালের মুক্তিযোদ্ধা মতি লাল বণিক।