নবীনগর থানাধীন কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও সাবেক মেম্বার আবু মিয়া এবং কাউছার মোল্লা ও সাবেক মেম্বার মোছলেম উদ্দিনগং পক্ষদ্বয়ের মধ্যে পূর্ব শত্রুতার জের ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ১২/০৪/২০২০খ্রিঃ সকাল ০৯.৩০ ঘটিকায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামায় লিপ্ত হয়। সংবাদ পেয়ে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সংগীয় অফিসার ফোর্সসহ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামায় লিপ্ত লোকজনদের নিবৃত্ত ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে। উভয় পক্ষের উচ্ছৃঙ্খল লোকজন দাঙ্গা-হাঙ্গামা হতে বিরত না হয়ে তিনটি গ্রামে ব্যাপক এলাকাজুুড়ে প্রতিপক্ষের উপর আক্রমন অব্যাহত রাখে এবং বাড়ি ঘরে আক্রমনসহ অগ্নিসংযোগ করে।
পুলিশ সরকারি জানমাল ও জনগনের জানমাল রক্ষার্থে শর্টগান ও গ্যাসগান নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। দাঙ্গা-হাঙ্গামা চলাকালে কাউছার মোল্লা গ্রুপের লোকজন জিল্লুর রহমান চেয়ারম্যান গ্রুপের জনৈক মোবারক হোসেন (৪৫) পিতা-মধু মিয়া, সাং-উত্তর লক্ষীপুর, থানা-নবীনগর, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর বাম পায়ের গোড়ালি হতে নীচের অংশটুকু কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে এবং উভয় পক্ষের ৪০ জন সাধারণ ও গুরুতর জখম প্রাপ্ত হয়। উক্ত ঘটনায় নবীনগর থানায় একটি মামলা রুজু করা হয় এবং মামলার মূল আসামী
১। আবু কাউছার মোল্লা (৪৯), পিতা-মৃত ফিরোজ মিয়া, সাং-থানাকান্দি
২। জিল্লুর চেয়ারম্যান (৫১) পিতা-মৃত গোলাম মস্তু বেপারী, সাং-থানাকান্দি, উভয় থানা-নবীনগর, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়াদ্বয়সহ ৪৫ জন আসামীকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।
অদ্য ১৫/০৪/২০২০খ্রিঃ তারিখ দুপুর ১৩.০০ ঘটিকায় জনাব মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, পুলিশ সুপার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, জনাব মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন,
পিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) (পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার), ব্রাহ্মণবাড়িয়া, জনাব মোঃ মকবুল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ
সুপার, নবীনগর সার্কেল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পুলিশ পরিদর্শক(নিরস্ত্র) জনাব মোঃ ইমতিয়াজ আহম্মেদ পিপিএম, ডিআইও-১, জেলা বিশেষ শাখা, অফিসার ইনচার্জ নবীনগর থানা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ আনিসুর রহমান মারামারির ঘটনায় ভিকটিম মৃত মোবারক হোসেন (৪৫) এর স্ত্রী সাজিয়া বেগম ও ছেলে রবিউল হোসেনের সাথে কথা বলেন এবং তিনি বলেন ইতিমধ্যে ঘটনার সহিত জড়িত ব্যক্তিদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার সহিত
জড়িত অন্যান্য অপরাধীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে। প্রত্যেক অপরাধীকে গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা
হবে মর্মে আশ্বাস প্রদান করেন।