সুমন আহম্মেদঃ
পরিত্যক্ত ঘোষনার দীর্ঘ ৫ বছর পর সব ধরনের আইনি জটিলতা শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একতলা বিশিষ্ট “পৌর সুপার মার্কেট” ভবনটি ভাঙ্গা শুরু হয়েছে।বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় ১জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে দুটি বুলডোজার দিয়ে মার্কেটের ভবন ভাঙার কাজ শুরু হয়। এর আগে মার্কেটের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পৌর সভার মালিকানাধীন এই মার্কেটটিতে ১১৩ টি দোকান রয়েছে।
পৌর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৪ সালে শহরের পুরাতন কোর্টরোডে ৬৭ শতাংশ জায়গার উপর একতলা বিশিষ্ট “পৌর সুপার মার্কেট” টি নির্মান করা হয়। মার্কেটটিতে রয়েছে ১১৩টি দোকান। প্রায় ৬/৭ বছর আগে মার্কেটটির ছাদ ডেমেজ হয়ে যায়। এর পর থেকে সামান্য বৃষ্টি হলেই মার্কেটের ছাদের বিভিন্ন স্থান দিয়ে পানি পড়া শুরু হয়। পৌর সভার উদ্যোগে মার্কেটের ছাদ সংস্কারও করা হয়। এক পর্যায়ে মার্কেটের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ন হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় গত ৫ বছর আগে মার্কেটটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।
পরে পৌর কর্তৃপক্ষ পুরাতন মার্কেট ভবনটি ভেঙ্গে সেখানে ছয়তলা বিশিষ্ট একটি আধুনিক শপিং মল করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। পরে পৌরসভার পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদেরকে মার্কেট থেকে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নেয়ার জন্য কয়েক দফা তাগিদ দেয়া হলেও ব্যবসায়ীরা কর্ণপাত করেননি। পরে ব্যবসায়ীরা পৌরসভার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা করেন।
মামলার কারনে পৌর সভার পক্ষ থেকে মার্কেটের ভবন ভাঙ্গা যায়নি। পরে উচ্চ আদালতে মামলার রায় পৌরসভার পক্ষে যায়। মামলায় হেরে যান ব্যবসায়ীরা।উপায়ন্তর না দেখে পরে ব্যবসায়ীরা সদর আসনের সাংসদ ও বেসাময়িক বিমান বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর কাছে যান। পরে মোকতাদির চৌধুরী এমপি ঈদুল ফিতর পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের সময় দেন। গত বুধবার সেই সময়সীমা শেষ হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে মার্কেট ভাঙার কাজ শুরু করে পৌরসভা।
এ সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজা পারভীন, পৌরসভার সচিব আবুজর গিফারী, সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমানসহ পৌর সভার প্রকৌশলী ও কাউন্সিলাররা উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে মার্কেট সংস্কার কমিটির আহবায়ক ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোঃ ফেরদৌস মিয়া বলেন, আইনী জটিলতা শেষ করেই মার্কেটটি ভাঙ্গার কাজ শুরু করা হয়। তিনি বলেন উচ্চ আদালত গত ৯ মাস আগে মার্কেটটি খালি করার রায় দিয়েছিলেন। পরে ব্যবসায়ীরা এমপির সাথে কথা বলে ঈদের সাতদিন পর চলে যাবে বলে সময় নিয়েছিলেন। সময় শেষ হওয়ায় আমরা মার্কেটের ভবন ভাঙ্গার কাজ শুরু করেছি। তিনি বলেন, এই জায়গায় ছয়তলা বিশিষ্ট একটি আধুনিক শপিং মল নির্মান করা হবে।
###
Leave a Reply