botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির বিশেষ সাধারণ সভায় গঠনতন্ত্র পরিবর্তন নিয়ে চেম্বারের সদস্য ও সাধারণ ভোটারদের মাঝে মতবিরোধ দেখা দিয়েছে।বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টার দিকে শহরের পৌর কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত চেম্বারের বার্ষিক সাধারণ সভা ও বিশেষ বর্ধিত সভায় এ হট্টগোল তৈরি হয়।

গঠনতন্ত্র পরিবর্তন নিয়ে সাধারন ভোটার ও চেম্বারের সদস্যের তুমুল প্রতিবাদে কোনো ধরণের সিদ্ধান্ত ছাড়াই চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির বিশেষ সাধারণ সভা সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
এর আগে গতকাল বেলা ১১টায় শহরের লোকনাথ উদ্যান সংলগ্ন পৌর কমিউনিটি সেন্টারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সাধারন সভা ও বেলা ১২টার দিকে বিশেষ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণ সভায় ২০১৭ সালের চেম্বারের বার্ষিক প্রতিবেদন, অডিট প্রতিবেদন এবং ২০১৮ সালের বাজেট উপস্থাপন ও অঢিটর নিয়োগ ও পারিশ্রমিক নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা করা হয়। সাধারণ সভা শেষে বেলা ১২টার দিকে চেম্বারের বিশেষ সাধারন সভা শুরু হয়।

সভায় চেম্বারের সভাপতি আজিজুল হকের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, সহকারি পুলিশ সুপার (সদর দপ্তর) আবু সাঈদ, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আল মামুন সরকার, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম। বিশেষ সাধারন সভায় বক্তব্য রাখেন চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহ-সভাপতি সুভাস চন্দ্র পাল, সহ-সভাপতি মোঃ শাহ আলম। সভায় চেম্বার অব কমার্সের বর্তমান কমিটির সদস্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির গঠনতন্ত্র সংশোধনের প্রস্তাব করেন। এসময় সভায় উপস্থিত চেম্বারের সাধারণ সদস্য ও ভোটাররা হৈ হুল্লোড় শুরু করেন। পাশাপাশি চেম্বারের গঠনতন্ত্র পরিবর্তনের প্রস্তাবে প্রতিবাদ জানিয়ে আপত্তি তোলেন তাঁরা।

গঠনতন্ত্র পরিবর্তনের প্রস্তাবের প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক তানজিল আহমেদ।

তাঁরা বলেন, জুলাই মাসে এই কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। গঠনতন্ত্র পরিবর্তন করতে হলে তখনই করতেন, এখন কেন করতে চাইছেন। চেম্বারের অধিকাংশ ভোটার ও সদস্যরা গঠনতন্ত্র পরিবর্তন চান না। সবাই যা চান সেটাই করেন। আপনাদের কয়েকজনের মনগড়া মতো করতে চাইছেন কেন। তাঁরা আরও বলেন, দেশে এমন কোনো জরুরী অবস্থার সৃষ্টি হয়নি যে চেম্বারের নির্বাচন ছয় মাস পেছাতে হবে। কিন্তু আপনারা নির্বাচন পিছিয়েছেন। চেম্বারের চেয়ারের মধ্যে কি এমন মধু আছে যে একই চেয়ারে আবার আসতে চাইছেন। ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে দেন।

চেম্বার সূত্রে জানা গেছে, আজিজুল হক ২০১২-২০১৪ মেয়াদী চেম্বারের কার্যকরী কমিটিতে পরিচালক, ২০১৪-২০১৬ এবং ২০১৬-১৬ ও ২০১৭-২০১৮ মেয়াদী চেম্বারের কার্যকরী কমিতে সভাপতি আছেন। চলতি বছরের জুলাই মাসে বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। পরে বানিজ্য মন্ত্রনালয় গত ২৯ জুলাই এক চিঠিতে চেম্বারের বর্তমান কমিটির মেয়াদ ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত বর্ধিত করেন।

চেম্বারের একাধিক নেতা জানান, জুলাই মাসেই চেম্বারের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বর্তমান কমিটির লোকজন ছলছাতুরি করে বানিজ্য মন্ত্রনালয় থেকে বর্তমান কমিটির মেয়াদ ছয় মাস বৃদ্ধি করে। ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে বর্তমান কমিটিকে নির্বাচন দিতে হবে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক তানজিল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের প্রত্যেক চেম্বার অব কমার্সের একটি নিজস্ব গঠনতন্ত্র রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বারেরও নিজস্ব গঠনতন্ত্র রয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বারের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী একজন যে কোনোপদে পরপর তিনবার নির্বাচন করতে পারবে। একসাথে পরপর তিনবার পদে থাকলে পরেরবার তাকে অন্তত একবার বিরতি দিতে হবে। তিনি বলেন, এই কমিটির মেয়াদ আরো আগেই শেষ হয়ে গেছে। গত জুলাই মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। আজিজুল হক গত সাড়ে চার বছর ধরে চেম্বারের সভাপতি পদে এবং ২০১৪ সালের আগের মেয়াদের কমিটিতে তিনি পরিচালক পদে ছিলেন। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাকে এবার বিরতি দিতে হবে। কিন্তু তিনি (আজিজুল হক) পুনরায় সভাপতি হওয়ার জন্য চেম্বারের গঠনতন্ত্রে থাকা পরপর তিনবার পদে থাকলে নির্বাচন করা যাবে আইনটি গঠনতন্ত্র থেকে বাদ দিতে চাচ্ছেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি আজিজুল হকের সাথে একাধিকবার চেষ্টা করেও মুঠোফোন বন্ধ পাওয়ায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।
###

বাহ্মণবাড়িয়ার চেম্বারের গঠনতন্ত্র পরিবর্তন নিয়ে সদস্য ও ভোটারদের আপত্তি

botvনিউজ:

বিশ্ববিশ্রুত সুরসম্রাট, উপমহাদেশের রাগ সঙ্গীতে কিংবদন্তী কলাকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিনম্র অহংকার ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ বৃহস্পতিবার।
দিবসটি উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের উদ্যোগে দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালা গতকাল বুধবার শুরু হয়েছে।

বুধবার সকাল ১০টায় সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গনের সরোদ মঞ্চে প্রধান অতিথি হিসেবে উচ্চাঙ্গ সংগীতের উদ্বোধন করেন সঙ্গীতাঙ্গন পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান।

সঙ্গীতাঙ্গন পরিচালনা পর্ষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকারের সভাপতিত্বে ও সঙ্গীতাঙ্গন পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মনজুরুল আলমের পরিচালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন সঙ্গীতাঙ্গন পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক কবি আবদুল মান্নান সরকার। বক্তব্য রাখেন সদস্য কবি জয়দুল হোসেন।

অনুষ্ঠানমালার দ্বিতীয় দিন আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টায় সমাপনী পর্বে আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন স্থানীয় সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। উল্লেখ্য ১৯৭২ সালের ৬ সেপ্টেম্বর ইন্তেকাল করেন সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ।
###

ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁর ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বে-সরকারি শিক্ষক কল্যাণ ট্রাস্টের সদস্য সচিব ও স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের (স্বাশিপ) কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজাহান আলম সাজুকে ফেসবুকে হত্যার হুমকি দাতাদের গ্রেপ্তার এবং বে-সরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের অবিলম্বে পাঁচ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট ও বৈশাখী ভাতা কার্যকরের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন পালিত হয়েছে।

বুধবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে স্বাশিপ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্বাশিপের আহবায়ক জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন স্বাশিপের কেন্দ্রীয় নেতা মোঃ আকরাম হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্বাশিপের যুগ্ম আহবায়ক কবির হোসেন ও কাউছার আলম প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে পুঁজি করে একটি বিশেষ মহলের অপতৎপরতা ও গুজব সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে অরাজক পরিস্থিতি তৈরির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে নিজের ফেসবুক পেইজে একটি স্টেটাস দেয়ায় শিক্ষক নেতা শাহজাহান আলম সাজুকে ফেইক আইডি থেকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে। এ ঘটনায় ধানম-ি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করা হয়েছে। অবিলম্বে হুমকিদাতাদের খুঁজে বের করে তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা। এছাড়া বে-সরকারি শিক্ষক কর্মচারীদের অবিলম্বে পাঁচ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট ও বৈশাখী ভাতা কার্যকর করারও দাবি জানান বক্তারা।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাশিপের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

botvনিউজ:

আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশের কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হতে যাচ্ছে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর সোমবার। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কাজের উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।

ভিডিও কনফারেন্স উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনে এক সুধী সমাবেশ আয়োজনেরও কথা রয়েছে। ওই সুধী সমাবেশে বাংলাদেশ সরকারের একাধিক মন্ত্রীও উপস্থিত থাকতে পারেন বলে আশা প্রকাশ করা হচ্ছে।

রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোফাজ্জেল হোসেন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ভিডিও কনফারেন্স উপলক্ষে সাইট পরিদর্শন করতে গত ১ সেপ্টেম্বর আখাউড়ায় এসে তিনি সাংবাদিকদেরকে এসব তথ্য জানান।

আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্পটি নির্মাণ হলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
প্রথমদিকে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল করতে পারে বলে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে ধারণা পাওয়া গেছে।

২০১৬ সালের ৩১ জুলাই একই প্রকল্পের ভারতের আগরতলা অংশে কাজের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের রেলপথ মন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক, ভারতের রেলপথ মন্ত্রী সুরেশ প্রভাকর প্রভু। ইতিমধ্যেই ভারতের অংশে রেলপথ নির্মাণের কাজ অনেক দূর এগিয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশের অংশে ৫৬.৩৬ এক জমি অধিগ্রহন প্রক্রিয়া শেষে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরও করা হয়েছে বলে গত সোমবার জানিয়েছেন আখাউড়ার সহকারি কমিশনার (ভূমি) জেসমিন সুলতানা। জুন মাসে অধিগ্রহন ও হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় বলে জানিয়েছেন তিনি।

আখাউড়া থেকে আগরতলার রেললাইনের দৈর্ঘ্য হবে মোট ১৫ কিলোমিটার। এর মধ্যে বাংলাদেশের অংশে ১০ কিলোমিটার ও ভারতের অংশে পাঁচ কিলোমিটার। আখাউড়া থেকে গঙ্গাসাগর রেলওয়ে স্টেশন হয়ে মনিয়ন্দ ইউনিয়নের শিবনগর পর্যন্ত হবে বাংলাদেশের রেললাইন। ওপারে নিশ্চিন্তপুর হয়ে রেললাইন যাবে আগরতলায়। রেললাইন নির্মাণে অধিকাংশ টাকাই ব্যয় করবে ভারত।
বিভিন্ন সূত্রে পাওয়া তথ্য মতে, এ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৮০ কোটি রুপি। এর মধ্যে ভারতের পাঁচ কিলোমিটার অংশের জন্য ৫৮০ কোটি রুপি ও বাংলাদেশ অংশের ১০ কিলোমিটারের জন্য ৪০০ কোটি রুপি (৪৭৭ কোটি ৮১ লাখ টাকা)। রেললাইন নির্মাণে ভারত থেকে অনুদান হিসেবে পাওয়া গেছে ৪২০ কোটি ৭৫ লাখ টাকা। অবশিষ্ট ৫৭ কোটি টাকা বাংলাদেশের সরকারি কোষাগার থেকে ভূমি অধিগ্রহনসহ বিভিন্ন খাতে ব্যয় হচ্ছে।

এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামছুজ্জামান গত রবিবার জানান, আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশের কাজ আগামী ১০ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন হবে বলে জানিয়েছেন রেলপথ সচিব। দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন উপলক্ষে আখাউড়ায় একটি অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
###

আখাউড়া-আগরতলা রেললাইন প্রকল্প ১০ সেপ্টেম্বর কাজের উদ্বোধন করবেন দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় নাশকতার মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রদল নেতা এজাজ আহমেদ ইকবাল ও সাদ্দাম হোসেনের স্বীকারোক্তি মোতাবেক ১৮টি কালো মুখোশ ও ১৫ টি কালো টি-শার্ট উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গত সোমবার রাতে কসবা পৌর এলাকার বগাবাড়ী গ্রামের সাবেক পৌর কাউন্সিলর জাহাঙ্গীরের বাড়ী থেকে এসব মুখোশ ও টি-শার্ট উদ্ধার করা।

এ ব্যাপারে সহকারি পুলিশ সুপার (কসবা- আখাউড়া সার্কেল) আব্দুল করীম জানান, গত ২২ আগষ্ট ভোর ৫টার দিকে নাশকতা সৃষ্টি ও সরকার বিরোধী আন্দোলন করার জন্য পৌর এলাকার কৃষ্ণপুরে একটি বাড়ীতে গোপন বৈঠকে বসে বিএনপি ও জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এজাজ আহমেদ ইকবাল ও ছাত্রদলের বর্তমান কমিটির যুগ্ম আহবায়ক সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদেরকে কে নাশকতা মামলায় আদালতে পাঠানো হয়।

পরে আদালতের মাধ্যমে আসামীদের ৪ দিনের রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসা করে পুলিশ। গত সোমবার রাতে রিমান্ডে থাকা আসামীদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক গভীর রাতে কসবা পৌর এলাকার বগাবাড়ি গ্রামের সাবেক পৌর কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলমের বসত ঘর থেকে ১৮টি কালো মুখোশ এবং ১৫টি কালো টি-শার্ট উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।
###

কসবায় নাশকতার মামলায় ছাত্রদলের দুই নেতা স্বীকারোক্তিতে মুখোশ কালো টি-শার্ট উদ্ধার

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে সোমবার সকালে উপজেলার প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ২৩৮ জন গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে এককালীন ৪ লাখ ১১ হাজার ৫০০ টাকা শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।

এ উপলক্ষে স্থানীয় সৈয়দ সিরাজুল ইসলাম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে ইসরাত, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শের আলম মিয়া, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান তাহমিনা বেগম, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সহিদ খালিদ জামিল খান, সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ বদর উদ্দিন,

সরাইল মহিলা কলেজ ব্যবস্থাপনা পরিষদের সভাপতি ও স্থানীয় পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আইয়ুব খান, অরুয়াইল বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শেখ সাদী প্রমুখ।
জানা গেছে, বৃত্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে এইচএসসির দুই জন (জনপ্রতি তিন হাজার টাকা), এসএসসির ৩১ জন (জনপ্রতি আড়াই হাজার টাকা), জেএসসির ৪১ জন (জনপ্রতি দুই হাজার টাকা) ও পিইসির ১৬৪ জনকে (জনপ্রতি এক হাজার পাঁচশত) টাকা করে প্রদান করা হয়েছে।
###

সরাইলে ২৩৮জন গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান

botvনিউজ:

জন্মাষ্টমী উপলক্ষে রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে র‌্যালি বের হয়। পৌর এলাকার আনন্দময়ী কালিবাড়ী থেকে র‌্যালিটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালি উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

জেলার আখাউড়ায় র‌্যালির উদ্বোধন করেন আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শামছুজ্জামান ও নাসিরনগরের গৌর মন্দিরে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন এ বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্মাষ্টমী উপলক্ষে র‌্যালি

 

botvনিউজ:

আনন্দ টিভির পাবনা জেলা প্রতিনিধি, সাংবাদিক সুবর্ণা নদীর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
বেলা সাড়ে ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্বরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মনজুরুল আলম।

সাংবাদিক নজরুল ইসলাম শাহাজাদার পরিচালনায় মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক মোহাম্মদ আরজু, আ.ফ.ম. কাউছার এমরান, আবদুন নূর, মফিজুর রহমান লিমন, ইসহাক সুমন, মনির হোসেন টিপু প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন জামি।

মানববন্ধনে বক্তারা অবিলম্বে সাংবাদিক সুবর্ণা নদীর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
###

সাংবাদিক সুবর্ণা নদীর হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়

ফেসবুকে আমরা..