সুমন আহম্মেদঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে কৃষকদের হাতে সার ও বীজ তুলে দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়–য়া।

উপজেলা কৃষি অফিসার মুন্সি তোফায়েল আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সার ও বীজ বিতরনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান আল আমিনুল হক পাভেল, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহাবুব আলম।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে খরিপ-১-মৌসুমে আউশ ধান চাষে প্রণোদনার লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনা মূল্যে বীজ ও সার বিতরণের লক্ষ্যে সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের মধ্যে ১ হাজার ৮শত কৃষকের তালিকা করা হয়েছে।

প্রত্যেক কৃষক ১ বিঘা জমি চাষের জন্য ৫ কেজি ধান বীজ, ১৫ কেজি ডিএপি সার এবং ১০ কেজি এমপিও সার পাবেন।

শুক্রবার উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ২০০ জন কৃষকের মধ্যে এই উপকরন বিতরন করা হয়।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একমাত্র কন্যা কামরুন নাহার তুর্ণার হত্যাকারীদের বিচার ও নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছেন এক বৃদ্ধ পিতা মফিজুল হক-(৭৫)।

বুধবার দুপুর ১২টায় একমাত্র কন্যা তুর্ণার ছবি সংবলিত একটি ব্যানার গলায় ঝুলিয়ে একাই ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন অসহায় পিতা মফিজুল হক। এ সময় বৃদ্ধ মফিজুল হক মৃত্যুর আগে কন্যা হত্যার বিচার দেখে যাওয়ার আকুতি জানান। একমাত্র কন্যার ছবি বুকে জড়িয়ে প্রেসক্লাবের সামনে তার অবস্থান শহরবাসীর নজর কাড়ে। এসময় তার আহাজারীতে পথচারীদের চোখও অশ্রুসজল হয়ে পড়ে।

প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থানকালে বৃদ্ধ মফিজুল হক জানান, গত ২০১২ সালের জানুয়ারী মাসে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার চর-চারতলা গ্রামের আমিরুল হকের ছেলে আরিফুল হক রনির সাথে তাঁর একমাত্র কন্যা, ঢাকার ইডেন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ থেকে স্তনাতকোত্তর করা কামরুন নাহার তুর্ণাকে বিয়ে দেন। দাম্পত্য জীবনে তাঁদের একটি মেয়ে সন্তানও রয়েছে। ]

গত ২০১৭ সনের ২৪ এপ্রিল লম্পট স্বামী আরিফুল হক রনি তার একমাত্র কন্যা কামরুন নাহার তুর্ণাকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। হত্যার পর ঘাতক স্বামী তুর্ণার লাশ বাড়ির ছাদের ওপর পরিত্যক্ত পানির ট্যাংকের ভেতর লুকিয়ে রাখে।

এ ঘটনায় পরদিন মফিজুল হক বাদী হয়ে রনিসহ অজ্ঞাত সহযোগীদের আসামী করে আশুগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর ওই গত ২১ মে রনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে এবং আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেন। পরবর্তীতে রনি হাইকোর্ট থেকে জামিনে কারামুক্ত হন রনি।

মফিজুল হক আরো জানান, এক পর্যায়ে রনির পরিবারের সদস্যরা মামলা তুলে নেয়ার জন্য তাকে নানাভাবে চাপপ্রয়োগসহ নানাভাবে হুমকি দিতে থাকে। এ ঘটনায় তিনি আশুগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন।

তিনি আরো বলেন, এক পর্যায়ে স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ও আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেনের মাধ্যমে মামলাটি আপোস-নিষ্পত্তির প্রস্তাব দেন তারা। আপোসের প্রস্তাব তিনি প্রত্যাখান করায় তাকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, তার একমাত্র কন্যা তুর্ণার নামে চরচারতলা গ্রামে একটি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি এবং তার জায়গায় একটি মসজিদ নির্মাণ করতে চান।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ওই জায়গা ঘাতক রনির পিতা আমিনুল হক ছুট্টু মিয়া জবরদখল করে আছেন। এমতাবস্থায় তিনি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
অসহায় পিতা মফিজুল হক বলেন, তুর্ণা হত্যা মামলার সাক্ষী শেষ পর্যায়ে। তিনি আশাবাদী যে, স্বল্প সময়ের মধ্যে মামলার রায় হবে। সে জন্যই প্রতিপক্ষের লোকেরা বেপরোয়া হয়ে তাকে উপর্যুপরি নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। তিনি আশংকা করছেন তাকে যে কোন সময় হত্যা করে তার পুরো সম্পত্তি গ্রাস করতে পারে আসামী পক্ষের লোকেরা ।
এ ব্যাপারে রনির পিতা আমিনুল হক ছুট্টুর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করলে তিনি সামনাসামনি কথা বলবেন বলে ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে বিএনপি নেতা জাকির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেই বলছি, সমাজে অনেক কিছুই আপস হয়। দুটো পক্ষই আমার আত্মীয়। আমার কাছে আপোসের প্রস্তাব দিয়েছে। চাপ প্রয়োগের কিছু নাই। বাদী সন্তুষ্ট না হলে না করবেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপাপ্ত পুলিশ সুপার) মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন বলেন, মফিজুল হক তাঁকে হুমকি দেয়ার কোনো অভিযোগ থানায় করেছেন কিনা সেটি আমার জানা নেই। তবে অভিযোগ করে থাকলে বিষয়টি তদন্ত করে আদালতকে জানানো হবে।
###

একমাত্র কন্যা হত্যার বিচার চেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৃদ্ধ পিতার অবস্থান কর্মসূচী

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ বিষয়ক জনঅবহিতকরণ সভা মঙ্গলবার সকালে সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা প্রশাসন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও তথ্য কমিশন বাংলাদেশ আয়োজিত জনঅবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্য কমিশনের প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ।

জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা-খাঁনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনঅবহিতকরণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্য কমিশনের সচিব মোঃ তৌফিকুল আলম, তথ্য কমিশনের সাবেক সচিব মোঃ মুহিবুল হোসেইন।

বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর কবির। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়া।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ বলেন, জনগনই সকল ক্ষমতার উৎস। জনগন প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক। তাই জনগনের ক্ষমতায়নের জন্য তথ্য অধিকার নিশ্চিত করা অত্যাবশ্যক। প্রজাতন্ত্রের দায়িত্ব পালনকারী সকল কর্মকর্তা জনগনের সেবায় নিয়োজিত থাকতে হবে। জনগনের সেবা তাদের দৌড়গোড়ায় পৌছে দিতে হবে। তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করা হবে।

প্রত্যেকটা সরকারি সরকারি কার্যালয়ে তাদের ওয়েবসাইট চালু করতে হবে। জনগনের জন্য সকল তথ্য ওয়েবসাইটে দিতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের ১৫ কোটি মানুষ এখন মোবাইল এবং ৯ কোটি মানুষ এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে। প্রতিটি ইউনিয়নে তথ্য কেন্দ্র চালু করতে হবে।
প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ আরো বলেন, তথ্য না জানলে জনগন তাদের অধিকার ও সেবা সমূহ সম্পর্কে অবহিত হয়না। তাই জনগনের তথ্য পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এই আইন প্রয়োগ করে সমাজের উন্নয়ন ও সুশাসন নিশ্চিত করতে হবে, দুর্নীতিরোধ করতে হবে। তিনি বলেন, দুর্নীতিরোধে অবাধ তথ্য প্রবাহের কোন বিকল্প নেই।

 

সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে প্রধান তথ্য কমিশনার বলেন, অনুসন্ধ্যানমূলক প্রতিবেদন করতে গেলে যদি কোনো কর্মকর্তা তথ্য দেয়ার ক্ষেত্রে অপারগতা প্রকাশ করেন তাহলে তথ্য অধিকার আইনে কমিশনে অভিযোগ করা যাবে। অভিযুক্ত সেই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে জরিমানা সহ বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে তথ্য কমিশন। অনুসন্ধ্যানী সাংবাদিকতার জন্যে সাংবাদিকদের প্রয়োজনে সরাসরি তথ্য কমিশনে আবেদন করার কথা বলেন তিনি।

জনঅবহিতকরণ সভায় সদর উপজেলার বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাগন, বিভিন্ন মাধ্যমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সাংবাদিক ও জনপ্রতিনিধিসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তথ্য অধিকার আইন-২০০৯ বিষয়ক জনঅবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত

সুমন আহম্মেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া

নবীনগর থানার এক হত্যা মামলার আসামী ধরতে এসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পৈরতলা গ্রামের এক বাড়িতে তান্ডব চালায় নবীনগর থানার পুলিশ। এ সময় পুলিশের হামলার ১০জন আহত হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে ও জড়িত পুলিশ সদস্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষুদ্ধ গ্রামবাসী পুলিশের বিরুদ্ধে ঝাঁড়– মিছিলসহ টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে। খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। গতকাল রোববার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। ২ ঘন্টা সড়ক অবরোধকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-নবীনগর আঞ্চলিক সড়কে ( গোকর্ণরোড) যানজটের সৃষ্টি হয়।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, নবীনগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনী বিরোধকে কেন্দ্র করে গত ১ এপ্রিল নবীনগর উপজেলার কুড়িঘর গ্রামে নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের হাতে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থক সাঈদুল মিয়া-(৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়।
এই মামলার আসামী কিরণ মিয়াসহ কয়েকজন আসামী ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার দক্ষিণ পৈরতলা গ্রামের গোলাপ মিয়ার বাড়িতে আত্মগোপন করে আছে এ ধরনের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রোববার দুপুরে নবীনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) রুবেল ফরাজীর নেতৃত্বে নবীনগর থানার ৫জন পুলিশ গোলাপ মিয়ার বাড়িতে হানা দেয়।

এদিকে শনিবার রাতে গোলাপ মিয়ার দাদি রাবেয়া খাতুন মারা গেলে গতকাল বাদ জোহর জানাযা শেষে গোলাপ মিয়ার দাদিকে কবর দেওয়ার জন্য গোলাপ মিয়াসহ পাড়া-প্রতিবেশীরা কবরস্থানে ছিলেন। এ সময় নবীনগর থানার পুলিশ পুরুষবিহীন গোলাপ মিয়ার ঘরে ঢুকে আসামীদের খোঁজে ঘরে তল্লাশী চালায়। এক পর্যায়ে আসামী না পেয়ে পুলিশ গোলাপসহ আশপাশের কয়েকটি ঘরে ব্যাপক তান্ডব চালায় ও বাড়িতে থাকা মহিলাদের বেধরক পিটিয়ে আহত করে। পুলিশের হামলায় ১০জন মহিলা আহত হয়। শোকাবহ বাড়িতে পুলিশী তান্ডবে মহিলাদের চিৎকারে কবরস্থান থেকে লোকজন বাড়িতে এসে নবীনগর থানার ৫ পুলিশকে ঘেরাও করে।

খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে অবরুদ্ধ থাকা পুলিশ সদস্যদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।
এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে বিকেল তিনটায় উত্তেজিত গ্রামবাসী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-নবীনগর আঞ্চলিক সড়কে (গোকর্ণ রোড) বিক্ষোভ মিছিল বরে করে। এক পর্যায়ে মিছিলকারীরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে গ্রামবাসীকে শান্ত করে বিকেল ৫টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।

পৈরতলা গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর মিনারা বেগম জানান, আসামী গ্রেপ্তারের নামে পুলিশ আমাদের গ্রামের বেশ কিছু বাড়ি-ঘরে তান্ডব চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। পুলিশের মারধোরে ১০জন নারী আহত হয়।
আহত রোকসানা বেগম বলেন, কোন কিছু বুঝার আগেই সাদা পোষাকে থাকা পুলিশ আমাকে পেটাতে থাকে। তিনি বলেন, ৫জন পুলিশের মধ্যে ২জন পোষাক পড়া ও বাকীরা সাদা পোষাকে ছিলো। আমাদের চিৎকার শুনে লোকজন তাদেরকে ঘেরাও করে রাখে। তিনি দোষী পুলিশ সদস্যদের বিচার দাবি করেন।
৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ওমর ফারুক জীবন বলেন, আমার এলাকার গোলাপ মিয়ার বাড়ীতে পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় গোলাপ মিয়ার দাদি মারা যাওয়ায় কোন বাড়িতে পুরুষ লোক ছিলনা। শুনেছি পুলিশ গোলাপ মিয়ার বাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি ঘরে ব্যাপক তান্ডব চালিয়েছে।

এ ব্যাপারে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রনোজিৎ রায় বলেন, পুলিশ সাইদুল হত্যা মামলার আসামী কিরণ মিয়াকে গ্রেপ্তারের জন্য দক্ষিণ পৈরতলা গ্রামে গিয়েছিল।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন ঘটনাস্থল থেকে নবীনগর থানার পুলিশ সদস্যদেরকে উদ্ধারের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, কন্ট্রোলকে অবহিত করে নবীনগর থানার পুলিশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসেছিলো। তিনি বলেন, পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এ ঘটনায় কোন মামলা দায়ের করা হয়নি।
###

আসামী ধরতে গিয়ে পুলিশের তান্ডব ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫ পুলিশ অবরুদ্ধ ॥ রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ

সুসন আহম্মেদ ঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিশুদের আঁকা হাজার-হাজার ছবি নিয়ে চারদিনব্যাপী আরএকে সিরামিকস্ ২৮তম বার্ষিক শিশু চিত্রকলা প্রদশর্নী ও সাংস্কৃতিক উৎসব বৃহস্পতিবার বিকেলে শুরু হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের উদ্যোগে স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে অনুষ্ঠিত চারদিনব্যাপী চিত্রকলা প্রদর্শণী ও সাংস্কৃতিক উৎসব প্রধান অতিথি হিসেবে উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ তৌফিকুর রহমান তপু।

সংগঠনের উপদেষ্টা মোঃ আসাদুর রহমান আলমগীরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদ সদস্য মোঃ জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, পিটিআই সুপারিনটেনডেন্ট মুঃ আব্দুল মান্নান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি খ.আ.ম রশিদুল ইসলাম।

আলোচনা সভা শেষে জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন স্মৃতি চিত্রাংকন প্রতিযোগীতার পুরষ্কার বিতরণ করেন অতিথিরা। পরে আবৃত্তি ও সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক নিয়াজ মোহাম্মদ খান বিটু।
###

আরএকে সিরামিকস্ ২৮তম বার্ষিক শিশু চিত্রকলা প্রদশর্নী ও সাংস্কৃতিক উৎসব শুরু

সুমন আহম্মেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শব্দ দূষণকেই শহরের প্রধান সমস্যা হিসাবে চিহ্নিত করেছেন বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সমন্বয়ে গড়ে উঠা এ্যাডভোকেসী টীম।

বৃহস্পতিবার সকালে শহরের একটি রেষ্টুরেন্টে ডেমোক্রেসী ইন্টারন্যাশনালের সহায়তায় এ্যাডভোকেসী টীম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আয়োজনে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তারা এই অভিমত ব্যক্ত করেন।

এ্যাডভোকেসী টীমের সমন্বয়ক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পীর সভাপতিত্বে ও প্রভাষক মোঃ মনির হোসেনের পরিচালণায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবিএম মোমিনুল হক, জেলা মহিলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, জেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব আবু কাউসার খান,

জেলা বিএনপির মহিলা সম্পাদিকা শামীমা বাছির স্মৃতি, জেলা মহিলা দল সভাপতি অ্যাডভোকেট ইসমত আরা, পৌর কাউন্সিলর হালিমা মোর্শেদ, সাংবাদিক বিশ^জিৎ পাল বাবু, আখাউড়া উপজেলার সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জান্নাত পারভীন স্মৃতি, জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মুক্তি খান, তিতাস আবৃত্তি সংগঠন সহকারি পরিচালক বাছির দুলাল, এইমস কিডস স্কুলের পরিচালক এএসএম মুকিত প্রমুখ।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন ডেমোক্রেসী ইন্টারন্যাশনালের আঞ্চলিক সমন্বয় আবুল বাশার। সভায় এ্যাম্বুলেন্সের বিকট আওয়াজ, অটোরিক্সা, ব্যাটারী চালিক রিকসা, মোটর সাইকেল ও ইজিবাইকের হাইড্রোলিক হর্ণের বিকট শব্দ থেকে শহরবাসীকে রক্ষার জন্য বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়।

সভায় শব্দ দূষণ বিরোধী সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রতিরোধ কল্পে আগামী ১৬ এপ্রিল সকালে জেলা প্রশাসক,পুলিশ সুপার, পৌর মেয়র, সিভিল সার্জন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান এবং দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
###

শব্দ দূষনরোধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এ্যাডভোকেসী টীমের মতবিনিময়

সুমন আহম্মেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৭ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বিআরডিবির কর্মচারীরা।বুধবার বেলা ১১টায় জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন চলাকালে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড কর্মচারী সংসদ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি কাজী আক্তার হোসেন বলেন, বিআরডিবি কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন সকল প্রকল্প/ কর্মসূচীতে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আয় থেকে দায় প্রথা বাতিল করে শতভাগ বেতন ভাতা নিশ্চিতকরণ, মহামান্য আদালতের রায় বাস্তবায়ন করে সকল জনবলের চাকুরী রাজস্ব বাজেটে স্থানান্তর এবং “বঙ্গবন্ধু পল্লী দারিদ্র দূরীকরণ ফাউন্ডেশন” এর পরিবর্তে বিআরডিবিকে প্রস্তাবিত “বঙ্গবন্ধু পল্লী উন্নয়ন অধিদপ্তর” এ রূপান্তর সহ বিআরডিবির ৭ দফা দাবি বাস্তবায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, আমরা বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছি। চাকরি করি কিন্তু বেতন পাইনা, এ কেমন বিচার। দাবি মানা না হলে ভবিষ্যতে কঠোর কর্মসূচী দেয়ার হুশিয়ারি দেন তিনি।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিআরডিবি কর্মচারী সংসদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জাকির হোসেন, আশরাফ উল্লাহ, শায়লা আক্তার রুমি, ইসমত আরা, করুণা দেবি প্রমুখ। মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেয়া হয়।
###

৭ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিআরডিবি কর্মচারীদের মানববন্ধন

botvনিউজ:

গত ৩১ মার্চ পঞ্চম উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের চতুর্থ ধাপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন চলাকালে সদর উপজেলার বিভিন্নস্থানে জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উপর নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তাদের অশোভন আচরন ও শারিরীকভাবে নির্যাতনের ঘটনায় নির্যাতনকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে জেলা ছাত্রলীগ। গতকাল বুধবার দুপুর ১টার দিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনের নেতৃত্বে জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ জেলা প্রশাসক মোঃ হায়াত উদ দৌলা খানের কাছে এই স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপি গ্রহণ করে জেলা প্রশাসক তদন্তসাপেক্ষে এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে ছাত্রলীগ নেতাদের আশ্বাস দেন।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন স্বাক্ষরিত স্মারকলিপিতে বলা হয়, গত ৩১ মার্চ সকালে সদর উপজেলা পরিষদের ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পর পরই নির্বাচনী দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তারা বিভিন্ন স্থানে নৌকার সমর্থক ও জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সাথে অশোভন আচরণ করতে থাকে। সকালে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুজ্জামানের নির্দেশে বিজিবি ও পুলিশ সদস্যরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ভোট কেন্দ্রের সামনে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রুবিউল হোসেন রুবেলসহ ১০/১২জনকে পিটিয়ে আহত করে। অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের ভেতর থেকে এএসআই আছহাব নৌকা প্রতীকের দুইজন এজেন্টের বুক থেকে নৌকা প্রতীকের ব্যাজ খুলে ফেলে ও তাদেরকে মারধোর করে কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া হয়। এ ছাড়াও এসিল্যান্ড মোঃ কামরুজ্জামানের নির্দেশে পুলিশ সদর উপজেলার বরিশল ও উলচাপাড়া গ্রামে নৌকার মার্কার সমর্থকদের বাড়িতে তল্লাশী ও নেতা-কর্মীদের উপর লাঠিচার্জ করে। এ ছাড়াও এসিল্যান্ড মোঃ কামরুজ্জামান, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারি কমিশনার তনিমা আফরাদ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল কবিরের নির্দেশে সদর উপজেলার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রের সামনে নৌকা মার্কার সমর্থক ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের পুলিশ লাঠিচার্জ করে।

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান স্মারকলিপি গ্রহণ করে তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের আশ্বাস দেন। তিনি বলেন, দোষীদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে জেলা ছাত্রলীগ দাবি আদায়ে নিয়মতান্ত্রিক কর্মসূচী পালন করবে।
এর আগে গত মঙ্গলবার দুপুরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নানসহ জেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তার অপসারণ দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা ছাত্রলীগ। এ সময় তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে (হাসপাতাল রোডে) টায়ারে আগুন দিয়ে দুই ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে। মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অবরোধ পালিত হয়।
পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে দুপুর ১টায় অবরোধ তুলে নেয় ছাত্রলীগ নেতারা।
বিক্ষোভ চলাকালে জেলা ছাত্রলীগ নেতারা অভিযোগ করে বলেন, গত ৩১ মার্চ অনুষ্ঠেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের আগের (৩০ মার্চ) রাতে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান চট্টগ্রাম থেকে ১১জন ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসেন। রাতের বেলা তিনি সার্কিট হাউজে অবস্থানকালে নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিও, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শামীমা আক্তারের সাথে বৈঠক করেন।
নির্বাচনের দিন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। বিভাগীয় কমিশনারের নির্দেশে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুজ্জামান আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরকে ছাত্রলীগ নেতাদের পেটানোর নির্দেশ দেন। পরে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল সহ ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতাকে বেদম মারধোর করে আহত করে। বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রের সামনে গিয়ে নৌকা মার্কার ব্যাজ লাগানো দেখলেই তাকে নাজেহাল করে কেন্দ্রের সামনে থেকে তাড়িয়ে দেয়। বুক থেকে নৌকা মার্কার ব্যাজ খুলে নিয়ে যায়।
এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার এসিল্যান্ড মোঃ কামরুজ্জামান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ রেজাউল কবিরের অপসারনের জন্যে জনপ্রশাসনমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানান এবং স্থানীয় দুইজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের ঘোষনা দেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন পরিবেশে নির্বাচন করার জন্য যা প্রয়োজন ছিল আমরা তাই করেছি। আমরা কোন রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিকে বিবেচনায় নেইনি। আমাদের কি ভূমিকা ছিল তা ভোটার ও সুশীল সমাজ জানে।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আবদুল মান্নানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এটা আমার দুর্ভাগ্য । নির্বাচন কমিশন ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন পরিবেশে নির্বাচন করার জন্য যা প্রয়োজন ছিল আমরা তাই করেছি। তিনি বলেন, সার্কিট হাউজে আমার সাথে অনেক লোক দেখা করেছে। আমি কোন পক্ষপাতিত্ব করিনি। কে বা কারা নির্বাচন করেছে তাও আমি জানি না। ম্যাজিষ্ট্রেটদেরকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সেখানে পাঠিয়েছে।
###

ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের উপর নির্যাতনের ঘটনায় জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাঠকপ্রিয় পত্রিকা “দৈনিক আমাদের সময়” এর ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাহিত্য একাডেমীর সভাপতি, বিশিষ্ট কবি ও গবেষক জয়দুল হোসেন।

প্রেসক্লাব সভাপতি খ.আ.ম. রশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আবদুন নূর, জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পিযুষ কান্তি আচার্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন জামি, আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কবি মনির হোসেন, সুর সম্রাট দি ওস্তাদ আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন পরিচালনা কমিটির সদস্য মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের সদস্য জাবেদ রহিম বিজন, ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন (ইমজা) এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল চক্রবর্তী,

খেলাঘরের কেন্দ্রীয় সদস্য বিশ্বজিৎ পাল বাবু, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের পাঠাগার সম্পাদক মোশাররফ হোসেন বেলাল প্রমুখ।স্বাগত বক্তব্য রাখেন দৈনিক আমাদের সময়ের নিজস্ব প্রতিবেদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী। পরে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কেক কাটেন অতিথিরা।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আমাদের সময়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

botvনিউজ:

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নানসহ জেলা প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তার অপসারণ দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে জেলা ছাত্রলীগ। এ সময় তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনের সড়কে (হাসপাতাল রোডে) টায়ারে আগুন দিয়ে দুই ঘন্টা সড়ক অবরোধ করে। এতে করে শহরের ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অবরোধ পালিত হয়।

পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে দুপুর ১টায় অবরোধ তুলে নেয় ছাত্রলীগ নেতারা।

বিক্ষোভ চলাকালে জেলা ছাত্রলীগ নেতারা অভিযোগ করে বলেন, গত ৩১ মার্চ অনুষ্ঠেয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের আগের (৩০ মার্চ) রাতে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান চট্টগ্রাম থেকে ১১জন ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসেন। রাতের বেলা তিনি সার্কিট হাউজে অবস্থানকালে নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ওলিও, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী শামীমা আক্তারের সাথে বৈঠক করেন।

নির্বাচনের দিন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে অবস্থান নেন। বিভাগীয় কমিশনারের নির্দেশে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুজ্জামান আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরকে ছাত্রলীগ নেতাদের পেটানোর নির্দেশ দেন। পরে আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল সহ ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতাকে বেদম মারধোর করে আহত করে। বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রের সামনে গিয়ে নৌকা মার্কার ব্যাজ লাগানো দেখলেই তাকে নাজেহাল করে কেন্দ্রের সামনে থেকে তাড়িয়ে দেয়। বুক থেকে নৌকা মার্কার ব্যাজ খুলে নিয়ে যায়।

অবরোধ চলাকালে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য মেহেদী হাসান লেনিন, তাজুল ইসলাম আপন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন, সিনিয়র সহ-সভাপতি সুজন দত্ত, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাঈম বিল্লাহ, ছাত্রলীগ নেতা আফরিন ফাতেমা জুই, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হাজেরা আক্তার কলি, শহর ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক লিমন আল স্বাধীন প্রমুখ।

এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন অভিযোগ করে বলেন, গত ৩১ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনের আগের রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান। নির্বাচনের দিন মান্নানের নির্দেশে সদর উপজেলার এসিল্যান্ড মোঃ কামরুজ্জামান আইন শৃঙ্খলাবাহীনির সদস্যদের নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারী কলেজ কেন্দ্রের বাইরে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সহ অন্যান্য ছাত্রলীগ নেতাদের পেটানোর নির্দেশ দেন। পরে আইন শৃঙ্খলা বাহীনির সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে ছাত্রলীগের অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মীকে বেদম মারধোর করে আহত করে। তার এই ন্যাক্কারজনক ভূমিকার কারনে সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থীর পরাজয় ঘটে।

রুবেল ও শোভন আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার এসিল্যান্ড মোঃ কামরুজ্জামান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ রেজাউল কবিরের অপসারনের জন্যে জনপ্রশাসনমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে দাবি জানান এবং স্থানীয় দুইজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের প্রতি আহবান জানান। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের ঘোষনা দেন।

পরে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিলে দুপুর ১টার দিকে তারা সড়ক থেকে অবরোধ তুলে নেয়।

এদিকে দীর্ঘ দুই ঘন্টা অবরোধ চলাকালে শহরের প্রধান সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। ফলে শহরে ব্যাপক যানজটের সৃষ্টি হয়।

উল্লেখ্য সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে বিভাগীয় কমিশনারের সাথে সাক্ষাতকারী আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ফিরোজুর রহমান, পুরুষ ভাইস চেয়ারম্যান পদে অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে শামীমা আক্তার বিজয়ী হন। আবদুল মান্নান ২০১০ সাল থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক ছিলেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ কামরুজ্জামানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন পরিবেশে নির্বাচন করার জন্য যা প্রয়োজন ছিল আমরা তাই করেছি। আমরা কোন রাজনৈতিক দল বা ব্যক্তিকে বিবেচনায় নেইনি। আমাদের কি ভূমিকা ছিল তা ভোটার ও সুশীল সমাজ জানে।
###

চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আবদুল মান্নানের অপসারণ দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্রলীগের বিক্ষোভ

ফেসবুকে আমরা..