সুমন আহম্মেদঃ
পরিত্যক্ত ঘোষনার দীর্ঘ ৫ বছর পর সব ধরনের আইনি জটিলতা শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত একতলা বিশিষ্ট “পৌর সুপার মার্কেট” ভবনটি ভাঙ্গা শুরু হয়েছে।বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় ১জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের উপস্থিতিতে দুটি বুলডোজার দিয়ে মার্কেটের ভবন ভাঙার কাজ শুরু হয়। এর আগে মার্কেটের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পৌর সভার মালিকানাধীন এই মার্কেটটিতে ১১৩ টি দোকান রয়েছে।

পৌর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ১৯৮৪ সালে শহরের পুরাতন কোর্টরোডে ৬৭ শতাংশ জায়গার উপর একতলা বিশিষ্ট “পৌর সুপার মার্কেট” টি নির্মান করা হয়। মার্কেটটিতে রয়েছে ১১৩টি দোকান। প্রায় ৬/৭ বছর আগে মার্কেটটির ছাদ ডেমেজ হয়ে যায়। এর পর থেকে সামান্য বৃষ্টি হলেই মার্কেটের ছাদের বিভিন্ন স্থান দিয়ে পানি পড়া শুরু হয়। পৌর সভার উদ্যোগে মার্কেটের ছাদ সংস্কারও করা হয়। এক পর্যায়ে মার্কেটের ভবনটি ঝুঁকিপূর্ন হয়ে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় গত ৫ বছর আগে মার্কেটটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।

পরে পৌর কর্তৃপক্ষ পুরাতন মার্কেট ভবনটি ভেঙ্গে সেখানে ছয়তলা বিশিষ্ট একটি আধুনিক শপিং মল করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। পরে পৌরসভার পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদেরকে মার্কেট থেকে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সরিয়ে নেয়ার জন্য কয়েক দফা তাগিদ দেয়া হলেও ব্যবসায়ীরা কর্ণপাত করেননি। পরে ব্যবসায়ীরা পৌরসভার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা করেন।

মামলার কারনে পৌর সভার পক্ষ থেকে মার্কেটের ভবন ভাঙ্গা যায়নি। পরে উচ্চ আদালতে মামলার রায় পৌরসভার পক্ষে যায়। মামলায় হেরে যান ব্যবসায়ীরা।উপায়ন্তর না দেখে পরে ব্যবসায়ীরা সদর আসনের সাংসদ ও বেসাময়িক বিমান বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর কাছে যান। পরে মোকতাদির চৌধুরী এমপি ঈদুল ফিতর পর্যন্ত ব্যবসায়ীদের সময় দেন। গত বুধবার সেই সময়সীমা শেষ হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে মার্কেট ভাঙার কাজ শুরু করে পৌরসভা।

এ সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফিরোজা পারভীন, পৌরসভার সচিব আবুজর গিফারী, সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতিকুর রহমানসহ পৌর সভার প্রকৌশলী ও কাউন্সিলাররা উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে মার্কেট সংস্কার কমিটির আহবায়ক ও পৌরসভার প্যানেল মেয়র মোঃ ফেরদৌস মিয়া বলেন, আইনী জটিলতা শেষ করেই মার্কেটটি ভাঙ্গার কাজ শুরু করা হয়। তিনি বলেন উচ্চ আদালত গত ৯ মাস আগে মার্কেটটি খালি করার রায় দিয়েছিলেন। পরে ব্যবসায়ীরা এমপির সাথে কথা বলে ঈদের সাতদিন পর চলে যাবে বলে সময় নিয়েছিলেন। সময় শেষ হওয়ায় আমরা মার্কেটের ভবন ভাঙ্গার কাজ শুরু করেছি। তিনি বলেন, এই জায়গায় ছয়তলা বিশিষ্ট একটি আধুনিক শপিং মল নির্মান করা হবে।
###

পরিত্যক্ত ঘোষণার ৫ বছর পর অবশেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর সুপার মার্কেট ভবন ভাঙ্গা শুরু


সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রনালয়ের ইউএসএআইডি’র “মামনি” এমএনসিএসপি প্রকল্পের সহযোগিতায় মামনি মা ও নবজাতকের সেবা উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হয়েছে।

সোমবার দুুপুর ১২ টায় স্থানীয় সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এবং বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইন ডাইরেক্টর, এমএনসিএন্ডএএইচ ডাঃ শামসুল হক এবং মামনি এমএনসিএসপির চিফ অফ পার্টি জবি জর্জ।

বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আবু সাঈদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ শওকত হোসেন, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক মোঃ আবুল কালাম, জেলা বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মোঃ আবু সাঈদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ শাহ আলম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, বর্তমান সরকার স্বাস্থ্যসেবাকে জনগনের দোরগোড়ায় পৌছে দিতে কাজ করছে। সরকার গ্রামাঞ্চলের মানুষের স্বাস্থ্যসেবাকে নিশ্চিত করার লক্ষ্যে দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র চালু করেছে। এসব ক্লিনিক থেকে জনগনকে বিনামূল্যে ২৭ প্রকারের ঔষধ দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নের জন্য জন্মনিয়ন্ত্রন দরকার। তিনি বলেন, সরকার চায় পরিকল্পিত জনসংখ্যা।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিকল্পিত জনসংখ্যাকে বাকশাল কর্মসূচীতে অর্ন্তভুক্ত করেছিলেন। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নের কারনে মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস পেয়েছে। নবজাতকের মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। জনগনের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে দেশের ১০টি জেলায় মামনি প্রকল্প চালু হয়েছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হচ্ছে একটি তিনি বলেন, মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে মামনি প্রকল্প একটি নতুন প্রকল্প। তিনি বলেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে মা ও নবজাতকরা পর্যাপ্ত সেবা পাবে।

অনুষ্ঠানে জেলার বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী অফিসার, উপজেলা চেয়ারম্যান, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের শীর্ষ কর্মকর্তা, চিকিৎসক, জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “মামনি” মা ও নবজাতকের স্বাস্থ্যসেবা উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন

botvনিউজঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পিএসসি, জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদেরকে সংবর্ধনা দেয়া হয়েছে। গত শনিবার বিকেলে স্থানীয় সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের উদ্যোগে এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষক কবি মারুফুল ইসলাম।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের উপদেষ্টা অমিত মোদকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গবেষক মুহাম্মদ মুসা, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মফিজুর রহমান লিমন, সাংবাদিক আশিকুল ইসলাম ও শাহাদৎ হোসেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মুহাম্মদ খান বিটু।

অনুষ্ঠানে পিএসসির ১৪৫ জন, জেএসসির ৭০ জন এবং এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১৮২জন কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা ও একটি করে ক্রেস্ট এবং সনদপত্র দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে কবি মারুফুল ইসলাম বলেন, জীবনে স্বপ্ন দেখতে হবে। সেই স্বপ্নকে সত্যি করতে হলে পরিশ্রম করতে হবে। স্বপ্নের অর্থ জীবনকে বুঝতে পারা। তিনি বলেন, জীবনে মা-বাবার গুরুত্ব অনুধাবন করতে হবে। মা-বাবাকে মূল্যায়ন করতে হবে। তিনি বলেন, বাবা-মা ও শিক্ষকরা তোমাদের ১৬ বছর পর্যন্ত পড়াশুনা উপযোগী করে তুলেছে। কেননা গাড়ি চালানো লাইসেন্স পাওয়া মানে গাড়ি চালানো শেষ নয়। সবেমাত্র শুরু। মনে রাখতে হবে, শিক্ষা জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং সবচেয়ে বিপজ্জনক সময় হলো একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি। এই দুটি বছর জীবনের শেষ পর্যায় পর্যন্ত ভূমিকা রাখে। তাই দুটি বছরকে অত্যন্ত যত্মসহকারে কাজে লাগাতে হবে।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৯৭ কৃতি শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা

botvনিউজঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রাইমারী ট্রেনিং ইনষ্টিটিউট (পিটিআই) সংলগ্ন পরীক্ষন বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পুর্নমিলনী পিটিআই চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বে-সামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

পিটিআই’র সুপারিনটেনডেন্ট মু. আবদুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পূর্ণমিলনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাহেদুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি খ. আ.ম রশিদুল ইসলাম, সাবেক সুপারিনটেনডেন্ট কফিল উদ্দিন, হাবিবুর রহমান ও জেসমিন খানম, সহকারী সুপারিনটেনডেন্ট উম্মে কুলসুম, জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শোভন প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সামাজিক অনাচার, মাদক, সন্ত্রাস ও বাল্য বিয়ে রোধে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আমাদের পূর্ব পুরুষরা ঢাকা বিশবািবদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সাথে সম্পর্কযুক্ত ছিলেন। এই ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাঙ্গালী মুসলমানদের প্রথম ব্যারিষ্টার জন্ম দিয়েছে। এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বড়বড় মানুষেরা ব্রিটিশকে এই দেশ থেকে তাড়িয়ে স্বাধীন দেশ গঠনে অনেক অনেক বড় ভূমিকা রেখেছেন। এই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষেরা পাকিস্তানের স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের অবসান ঘটিয়ে জনগনের বাংলাদেশ গঠনে অনেক অবদান রেখেছেন। এখন দূর্ভাগ্যবশঃত আমরা তার চেয়ে অনেক দূরে আছি। সুতরাং জনগনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া, উন্নত ও সমৃদ্ধ ব্রাহ্মণবাড়িয়া গঠনের জন্যে ছাত্র-ছাত্রীদের এগিয়ে আসতে হবে। তাহলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে বলেছেন ২০৪১ সালের মধ্যে ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়বেন সেটি সম্ভব হবে। যদিও এরই মধ্যে এ লক্ষ্যে সরকার নানা ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পরীক্ষন বিদ্যালয়ের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠিত

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক সংঘর্ষে ১জন নিহত এবং চারপুলিশসহ উভয়পক্ষের ৩৫জন আহত হয়। সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘরও ভাংচুর করে দাঙ্গাবাজরা।শুক্রবার বিকেলে নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের আতিকুড়া গ্রামে এবং সকালে ঢাকা-সিলেট মহাড়কের সরাইল উপজেলার বিশ্বরোড মোড়ে পৃথক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

সরাইলে ওজনে মাংস দেয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে চারপুলিশ সহ উভয়পক্ষের ২০জন আহত হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিশ্বরোড মোড় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় মহাসড়কে ১ ঘন্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে ও মহাসড়কের দু’পাশে ১০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়।

শুক্রবার সকালে বিশ্বরোড মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ১০ রাউন্ড টিয়ারশেল এবং ২০ রাউন্ড শর্টগালের গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল শুক্রবার সকালে সরাইল উপজেলার কুট্টাপাড়া গ্রামের আব্দুল খালেকের ছেলে দুবাই থেকে ছুটিতে আসা ধন মিয়া-(৩৫) বিশ্বরোড মোড়ে সদর উপজেলার খাটিহাতা গ্রামের কসাই কালু মিয়ার দোকান থেকে মাংস ক্রয় করেন। পরে তিনি অন্য জায়গায় মাংস মেপে দেখেন ওজনে কম।

পরে ধন মিয়া কালু মিয়ার দোকানে এসে ঘটনার প্রতিবাদ করলে দোকানী কালু ও তার ভাইয়েরা ধন মিয়াকে এবং একই গ্রামের রফিজ উদ্দিনের ছেলে দিপু (২৬) কে ছুরিকাঘাত করে।

এ ঘটনায় বিশ্বরোড মোড়ে অবস্থানরত কুট্টাপাড়া গ্রামের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এ ঘটনার জের ধরে সকাল ১০টায় উভয় গ্রামের কয়েকশত লোক দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে বিশ্বরোড মোড়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

এতে করে বিশ্বরোড মোড় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় ঢাকা-সিলেট, কুমিল্লা-সিলেট, চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ রোডে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষে সদর থানার চার পুলিশসহ উভয়পক্ষের ২০জন আহত হয়। যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় বিভিন্ন যানবাহনে থাকা যাত্রীরা দুর্ভোগ পোহায়।

এদিকে সংঘর্ষের খবর পেয়ে সরাইল থানার পুলিশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মডেল থানার পুলিশ ও হাইওয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ব্যাপক লাঠিপেটা এবং ১০ রাউন্ড কাদানে গ্যাস এবং ২০ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে ১ ঘন্টাপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
আহতদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার এস.আই প্রেমধন, এস.আই নিয়ামত উল্লাহ, কন্সটেবল সামসুল হক ও মাহবুব রয়েছেন। অন্যান্য আহতরা সরাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা সদর হাসপাতাল এবং বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি ও চিকিৎসা নেয়।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মফিজ উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, পরিস্থিতি বর্তমানে শান্ত আছে। মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন জানান, সংঘর্ষে সদর থানার চার পুলিশসহ ২০ জন আহত হয়েছে। তিনি বলেন, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রনে আনতে সদর থানার পুলিশ ১০ রাউন্ড টিয়ারশেল এবং ২০ রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুড়ে। তিনি বলেন, মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

অপরদিকে শুক্রবার বিকেলে নাসিরনগর উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের আতিকুড়া গ্রামে দু’দল গ্রামবাসীরসংঘর্ষে ফুল মিয়া-(৬০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হন। এ সময় উভয়পক্ষের ১৫জন আহত হয়েছেন। জমিতে গরু ঘাস খাওয়াকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী জানান, গত তিনদিন আগে আতিকুড়া গ্রামের ফুল মিয়ার জমির ধান খেয়ে ফেলে একই এলাকার আক্কাস মিয়ার গরু। এ ঘটনায় উভয়ের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। শুক্রবার রাতে সালিশে এ ঘটনা নিষ্পত্তির কথা ছিলো। কিন্তু বিকেলে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে ফুল মিয়া ঘটনাস্থলেই নিহত এবং উভয়পক্ষের ১৫জন আহত হন বলে বিকেল ৪টায় ঘটনাস্থলে থাকা নাসিরনগর থানার এস.আই মো. কাউছার জানান।

###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক সংঘর্ষে নিহত-১ ॥ আহত- ৩৫ ॥ বিশ্বরোড মোড় রণক্ষেত্র

সুমন আহম্মেদঃ
আগামী ১৮ জুন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন। সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ন পরিবেশে নির্বাচন স¤পন্ন করার জন্য সোমবার নির্বাচনে চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার সাহেদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন ২৫ বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল মোঃ গোলাম কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর হোসেন, আনসার ভিডিপি’র উপ-পরিচালক সজল চাকমা।

বক্তব্য রাখেন নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী অ্যাডভোকেট তানভীর ভূইয়া, স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নাছিমা লুৎফুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী মৃনাল চৌধুরী, প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খান বলেন, বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ন পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ন করতে সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
###

বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন প্রার্থীদের সাথে প্রশাসনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

সুুুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের উদ্যোগে সংগঠনের ছবি আঁকা বিভাগের শিক্ষার্থীদের ১৫ দিনব্যাপী বিশেষ প্রশিক্ষণের সমাপনী দিনে সনদপত্র ও পুরস্কার বিতরন করা হয়েছে।
গত শনিবার স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা মঞ্চে অনুষ্ঠিত সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার।

সংগঠনের সভাপতি মাশুকুল ইসলাম মাশুকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোঃ খান বিটুর পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য ও বিজয়নগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জহিরুল ইসলাম ভূইয়া, সাংবাদিক আব্দুন নুর, রিয়াজউদ্দিন জামি, মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল¬া, মোঃ মনির হোসেন ও শাহাদাৎ হোসেন।

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক এস আর ওসমান গনি সজিব। স্বাগত ও ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন চিত্রশিল্পী আজফার আলম সামি ও সাবরিনা জেবিন সেজুতি।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আল-মামুন সরকার বলেন, শিশু নাট্যম ছবি আঁকাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষন দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শিশুদের মেধা বিকাশে কাজ করছে। তিনি বলেন, শিশু নাট্যম ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যাবে।

আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি আল-মামুন সরকার প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদপত্র ও পুরস্কার বিতরন করেন।
১৫দিন ব্যাপী বিশেষ প্রশিক্ষণ ক্লাশে প্রশিক্ষণ দেন ঢাবির চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থী আজফার উল আলম, সাবরিনা জেবিন সেজুতি ও মোবারেজ আহমেদ দীপ। তারা তিনজনই ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যমের ছবি আঁকা বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী।

###

বিশেষ প্রশিক্ষণের সনদপত্র ও পুরস্কার প্রদান করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিশু নাট্যম

সুুুমন আহম্মেদঃ
শারীরিক প্রতিবন্ধী নয় বছর বয়সী ইমরান মিয়া ও তার ভাই ইমন মিয়া (৪)। বাবা হেলাল মিয়া রিকশা চালক। দুই প্রতিবন্ধী সন্তানকে রিকশা চালিয়ে যা পান তাতে চিকিৎসা ও সংসারের খরচ চালান। সন্তানের চিকিৎসার খরচ ও দু’মুঠো ভাতের জন্যই তার নিরন্তর সংগ্রাম। সেখানে তিন ভাইবোনের জন্য ঈদে নতুন জামা কেনাটা অনেকটা আকাশের চাঁদ স্পর্শ করার মতো।

শনিবার বিকেলে স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে রঙিন নতুন জামা বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন
করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বন্ধুসভা। ঈদের আগে সুবিধাবঞ্চিত নতুন রঙিন জামা পরিয়ে দিলেন প্রথম আলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া বন্ধুসভার সদস্যরা। ১০৩ জন শিশুর মাঝে নতুন জামা বিতরণ করা হয়। দুপুর থেকে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের কেউ কেউ একা নিজে আর কেউ কেউ মায়ের সাথে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে ভিড় জমাতে থাকে।

পোশাকের মাপ অনুযায়ী বন্ধুসভার সদস্যরা প্রতিটি শিশুকে একটি করে নতুন জামা পরিয়ে দেন। ঈদের আগে এই নতুন জামা পেয়ে ওদের আনন্দ দ্বিগুন হয়ে যায়। শিশুদের মুখে ফুটে ওঠে অনাবিল হাসি।
বন্ধুসভার সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন বলেন এক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের তালিকা প্রস্তুত করেন বন্ধুসভার সদস্যরা। পরে প্রত্যেক শিশুর গায়ের মাপ নিয়ে প্রত্যেকের জন্য বাছাই করে একটি করে নতুন জমা কিনা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রঙিন জামা পেয়ে খুশি সুবিধাবঞ্চিত শতাধিক শিশু সন্তানদের গায়ে নতুন পোশাক দেখে আনন্দে আত্মহারা শিশুরা ও তাদের অভিভাবকরা। রিকশা চালক হেলাল মিয়া বলেন, প্রতিবন্ধী সন্তানদের নিয়ে খুব অসহায় হয়ে পড়েছে। তাদের চিকিৎসা এবং সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। তিনি বলেন, ‘এইবার ঈদে বাচ্চারা কইছিল, আব্বা, নতুন জামা কিনা দিবা না? আমি চুপ করে ছিলাম। ওদের আম্মার লগে কথা কইলাম। ওর আম্মায় কইল, এইবার ঈদে নতুন জামা ফিন্দা লাগব না। পরে আপনেরা ওগের জমা পরিয়ে দিলেন। আমি মেলা খুশি হইছি। কাপড়গুলা খুব সুন্দর অইছে’ রঙিন জামা বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার,

জেলা পরিষদ সদস্য জহিরুল ইসলাম ভূইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাংবাদিক আব্দূন নূর, রিয়াজ উদ্দিন জামি, নিয়াজ মুহাম্মদ খান বিটু, সায়েদাবাদ আদর্শ মহাবিদ্যালয়ের ইংরেজী প্রভাষক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পকলা একাডেমী ওসমান গণি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজের উদ্যোক্তা পরিচালক হারুণ অর রশিদ ও শাহিন মৃধা, প্রথম আলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি ও বন্ধুসভার উপদেষ্টা শাহাদৎ হোসেন, ঢাকা মহানগর বন্ধুসভার অর্থ সম্পাদক নাওমী ফারিহা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাবরিনা জেবিন সেঁজুতি,

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বন্ধুসভার সহসভাপতি ইকবাল হোসেন, আকিল মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক মাইনউদ্দিন রুবেল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাদ হোসেন, আরেফিন শোভন, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান, সদস্য শাহাদাত হোসেন ও আনিকা ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজ বন্ধুসভার করবি চৌধুরী, যুগ্ম আহবায়ক মুনমুন আক্তার, সদস্য মোকররমা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ বন্ধুসভার, আহবায়ক সোহান মাহমুদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে অতিথিরা বলেন, প্রথম আলো সব সময় ব্যতিক্রম কাজ করে। শিশুদের মুখে হাসি ফোটানোর চেয়ে ভালো কোনা কাজ হতেই পারে না। প্রত্যেকটা
কাপড় অনেক সুন্দর। বন্ধুসভার সদস্যরা সত্যি অসাধারণ কাজ করেছে।
###

প্রথম আলোর বন্ধু সভার উদ্যোগে শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত শিশুর মধ্যে নতুন জামা বিতরণ

সুুুমন আহম্মেদঃ
সারাদেশে অসংখ্য সংগঠন আছে যেগুলো সামাজিক নানা কর্মকান্ডে অংশ নিয়ে থাকে। কিন্তু প্রবীনদের নিয়ে কাজ করে এমন সংগঠন খুব কম। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ‘বাউনবাইরার কতা’ নামে ফেসবুক ভিত্তিক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা তাদের নিজস্ব অর্থায়নে মানবিক কর্মকান্ড পরিচালনার পাশাপাশি প্রবীনদের মাঝে ঈদের আনন্দ ছড়িয়ে দিতে ঈদি প্রদান করে থাকে।

রোববার জেলার বিভিন্ন এলাকার হতদরিদ্র ২৫০ জন প্রবীনকে ঈদি প্রদান করেছে সংগঠনটি। এদিন বিকেলে জেলা স্থানীয় সুর সম্রাট উস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রবীনদের হাতে ঈদি হিসেবে পাঞ্জাবি, লুঙ্গি ও শাড়ি এবং ঈদ সামগ্রী হিসেবে সেমাই, চিনি ও দুধের প্যাকেট তুলে দেয়া হয়।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে হতদরিদ্র ১৩টি পরিবারকে স্বাবলম্বী করতে রিকশা, ছাগল ও সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে। পাশাপাশি দুইটি পরিবারকে ঘর নির্মাণ এবং মুদি দোকান করে দেয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. আনোয়ার হোসেন খান।

সংগঠনের সমন্বয়ক মাহবুবুর রহমান এমিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. আবু সাঈদ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি খ আ.ম রশিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মনির হোসেন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইন্ডাস্ট্রিয়াল স্কুলের সুপারিন্টেনডেন্ট চমন সিকান্দার জুলকার নাঈন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, শুধু আপনি ভালো থাকলে হবে না, আমার পাশের মানুষটি কেমন আছে সেটিও দেখতে হবে। প্রবীনদের ঈদি প্রদান ও স্বাবলম্বী প্রজেক্টের মাধ্যমে বাউনবাইরার কতা সেই কাজটি করছে। তাদের এই মানবিক আবেদন একসময় সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়বে। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন বাউনবাইরার কতা সংগঠনের সদস্য ও আবৃত্তি শিল্পী আব্দুল বাছির দুলাল।
###

বাউনবাইরার কতার উদ্যোগে ২৫০ জন প্রবীনকে ঈদ উপহার

সুমন আহম্মেদঃ
পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জেলার বাজারগুলোতে মনিটরিং করায় ও জেলা সদরসহ জেলার প্রতিটি উপজেলায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হওয়ায় স্বস্তিতে রমজান মাস পালন করতে পেরেছেন জেলাবাসী। নিয়মিত বাজারগুলো মনিটরিং করায় ভেজাল পন্য বিক্রেতা ও অসাধু ব্যবসায়ীরা সুবিধা করতে পারেনি।

রমজান শুরু হওয়ার পর গত ৭ মে থেকে গত ৩১ মে পর্যন্ত জেলা প্রশাসন ৪৯৫ জনকে ২১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা জরিমানাসহ বিভিন্ন আইনে ১১ জনকে কারাদন্ড প্রদান করা হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে জেলাবাসী যেন স্বস্তিতে পবিত রমজান মাস উদযাপন করতে পারেন, রমজান মাসে রোজাদারদেরকে যাতে ভেজাল খাদ্য খেতে না হয় সেজন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন জেলার সকল উপজেলা নির্বাহী অফিসার জেলার শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

রমজান মাস শুরু হওয়ার পর প্রথম রমজান থেকেই জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ী নেতাদের নিয়ে পর্যায়ক্রমে জেলার বিভিন্ন বাজার, অভিজাত মার্কেট ও বিপনী বিতানগুলো পরিদর্শন করতে থাকেন।
তাঁর নির্দেশে বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগন রমজান মাস শুরু হওয়ার আগ থেকেই খাদ্যদ্রব্য ভেজাল বিরোধী অভিযান পরিচালনা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ, মানসম্মত খাদ্য ও ইফতার নিশ্চিতকরণ, যান চলাচল নির্বিঘ্ন রাখার জন্য সড়কে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই উৎপাদন, দুধে ভেজাল নিরসনে অভিযান পরিচালনাসহ মেয়াদোত্তীর্ণ পন্য ও ঔষধ বিনষ্ট করে।

ভ্রাম্যমান আদালত ও দ্রব্যমূল্য মনিটরিং এর কারনে বাজারে মাংসের দাম ও মান নিশ্চিতকরণ, রাসায়নিক দ্রব্যে ফল পাকানো বন্ধকরণ ও নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের অনুরোধে বাজার থেকে হাইকোর্ট নির্দেশিত ৫২ টি পণ্যের প্রত্যাহার ও বিক্রয় বন্ধ নিশ্চিত করে। মাসজুড়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় নকল ট্যাং ও ভেজাল গুড় তৈরির কারখানার মালামাল জব্দ করা, বিপুল পরিমান খাবার অনুপযোগী পঁচা খেজুর ধংস করা হয়।
ইফতার সামগ্রীতে পোড়া তেলে ইফতার ভাজা, খাবারে কাপড়ের রঙ ব্যবহার, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ইফতার তৈরি ও বিক্রয়কে কঠোর হাতে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।
গত ৭ মে থেকে গত ৩১ মে পর্যন্ত ভ্রাম্যমান আদালত ৪৫৩ জনকে ২১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা জরিমানাসহ বিভিন্ন আইনে ১১ জনকে কারাদন্ড প্রদান করা হয়।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার এন্ড কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি মোঃ আজিজুল হক বলেন, আমরা পুরো রমজান মাস জেলা প্রশাসনের সহায়তা নিয়ে বাজারে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনে রেখেছি।

এ ব্যাপারে জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দত্ত বলেন, জেলা প্রশাসনের কড়া নজরদারী ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার কারনে এবছর রমজান মাসে বাজারে পন্যের দাম স্থিতিশীল ছিল। জেলাবাসী স্বস্তিতে রোজা রাখাসহ ঈদের কেনা কাটা করতে পেরেছে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমরা রমজানের আগ থেকেই বাজারগুলোর উপর নজরদারী শুরু করেছিলাম। ব্যবসায়ী নেতাসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতাদের সাথে দফায় দফায় বৈঠক করে আমরা বাজারগুলো মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছি। এর সুফল জেলাবাসী পেয়েছে। তারা স্বস্তিতে রমজান মাসে রোজা রাখতে পেরেছেন। তিনি বলেন জেলা প্রশাসনের এই ধারা সব সময় অব্যাহত থাকবে।
###

জেলা প্রশাসনের কঠোর নজরদারীতে রমজানে ভোক্তাদের মধ্যে স্বস্তি

ফেসবুকে আমরা..