ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কর্মহীন শতাধিক ব্রাহ্মণ পুরোহিতের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে শহরের কেন্দ্রীয় মন্দির শ্রীশ্রী আনন্দময়ী কালিমন্দির প্রাঙ্গণে চেয়ারে বসিয়ে পুরোহিতদের মাঝে এইসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করাহয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান।
প্রধান অতিথির বক্ত্যবে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বলেন, সারা বিশ্ব এখন কঠিন সময় পার করছে। এতে করে জীবন জীবিকা সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে। মন্দিরেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে। যার কারণে পুরোহিতদেরও অসুবিধা হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবদিকেই খোঁজ খবর রাখছেন। তিনি প্রত্যেকের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য সহ সহায়তা নিশ্চিত করেছেন। সমাজের সর্বশ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে সে খাদ্য পৌছে দেয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে আজকে পুরোহিতদের মাঝে এই ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

এসময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, সদর উপজেলার নিবার্হী কর্মকতা পঙ্কজ বড়ুয়া, শ্রীশ্রী আনন্দময়ী কালি মন্দিরের ট্রাষ্টি কমিটির সভাপতি প্রানতোষ চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব দীপক চৌধুরী বাপ্পী, প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা,
ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিষ্ট এ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক উজ্জল চক্রবর্তী,
ব্রাহ্মণ পুরোহিত কল্যাণ সংঘের সভাপতি হরিশংকর চক্রবর্তী ও ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক প্রবীর আচার্য সহ ব্রাহ্মণ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

###

চেয়ারে বসিয়ে পুরোহিতদের ত্রান দিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রশাসন

প্রেস‌ বিজ্ঞ‌প্তিঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের কুট্টাপাড়া এলাকা থেকে ৪৩ কেজি গাঁজা‘সহ মাদক ব্যবসায়ী সজল মিয়া(৩৮)’কে আটক করেছে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প।

১। “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাব যুব সমাজ তথা বাংলাদেশ’কে মাদকের ভয়াল থাবা, সন্ত্রাস, জঙ্গী, ছিনতাই, ডাকাতি, জুয়া, অপহরণ, খুন, ধর্ষণ, অসাধু ডিলার’সহ বিভিন্ন ধরণের অবৈধ কর্মকান্ড থেকে রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশব্যাপী আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

২। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, একটি মাদক ব্যবসায়ী চক্র নিয়মিত মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানা এলাকা হতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাইকারি/খুচরা বিক্রয় করে থাকে। উক্ত তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য উক্ত মাদক ব্যবসায়ী চক্রের উপর র‌্যাবের নিরবিচ্ছিন্ন গোয়েন্দা নজরদারী চালানো হয় এবং তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়। জানা যায় অদ্য ১৮/০৫/২০২০ ইং তারিখ রাতে মাদকদ্রব্য গাঁজার একটি বড় চালান ঢাকার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাবে। এরই প্রেক্ষিতে ভৈরব র‌্যাব ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পরিচালক চন্দন দেবনাথ এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল ১৮/০৫/২০২০ ইং তারিখ অনুমান ২১.৪৫ ঘটিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানাধীন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কুট্টাপাড়া এলাকায় লাল পাম্পের সামনে রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে ১। মোঃ সজল মিয়া (৩৮), পিতা-মৃত আব্দুল গফুর, সাং-লাখাই, থানা-কালোক, জেলা-হবিগঞ্জ, এ/পি-সাং-আশুগঞ্জ পূর্ব বাজার শরীফ মিয়ার বাসা, থানা- আশুগঞ্জ, জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া‘কে আটক করা হয়। আটককৃত আসামীর দখল হইতে (ক) ৪৩ কেজি মাদকদ্রব্য গাঁজা, (খ) মাদক বিক্রির নগদ ৭,৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত আলামতের আনুমানিক মূল্য ১২,৯৭,৬০০/- টাকা। ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।

রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
সিনিয়র সহকারী পরিচালক
কোম্পানী অধিনায়ক
র‌্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্প।
মোবাঃ ০১৭৭৭৭১১৪৩৩।

৪৩ কেজি গাঁজা‘সহ মাদক ব্যবসায়ী সজল মিয়া(৩৮)’কে আটক করেছে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প।


ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ২৪ ঘন্টা কর্মরত সকল চিকিৎসকদের মাসব্যাপী ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস।

ইতোমধ্যে কোম্পানিটির পক্ষে আজ শনিবার থেকে এসব সামগ্রী বিতরণ শুরু করা হয়েছে।

কর্মসূচীর প্রথম দিনে কোম্পানির আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আজহার উদ্দিন ২৫০-শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. শওকত হোসেনের কাছে সামগ্রী তুলে দেন। এছাড়া জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ফায়েজুর রহমান ও জয়নাল আবেদীনের কাছেও সুরক্ষা সামগ্রী তুলে দেয়া হয়।

 

কোম্পানির আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আজহার উদ্দিন জানান, প্রতিদিন আট ঘন্টা করে পালাক্রমে তিনজন চিকিৎসক জরুরি বিভাগে সেবা প্রদানে নিয়োজিত থাকেন। করোনাভাইরাসের এই সংকটকালে মাসব্যাপী এসব চিকিৎসকদের প্রতিদিন ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী দিবে কোম্পানি।

চিকিৎসকদেরকে দেয়া সুরক্ষা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- এন-৯৫ মাস্ক, সার্জিকেল মাস্ক, হাতের গ্লাভস, মপ ক্যাপ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সু কাভার।

সুরক্ষা সামগ্রী হাতে পেয়ে ডা. ফায়েজুর রহমান বলেন, ইমার্জেন্সির ডাক্তাররা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। এসব ডাক্তারদের প্রতিদিন ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান সত্যিকার অর্থেই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এমন মহৎ কাজটি ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে একমাত্র আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালসই করে যাচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. শওকত হোসেন বলেন, এর আগেও আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস কর্তৃপক্ষ হাসপাতালে কর্মরত সকল চিকিৎসকদের পিপিইসহ যাবতীয় নিরাপত্তা সামগ্রী প্রদান করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এবার মাসব্যাপী কর্মসূচীর আওতায় প্রতিদিন সামগ্রী দিয়ে কোম্পানিটি বিশেষ মানবিকতার প্রমান দিয়েছে, যা অন্য কোন বেসরকারি ওষুধ উৎপাদনকারি কোম্পানি করেনি।

উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ শুরুর দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত সকল সাংবাদিক ও চিকিৎসকদেরকে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী ও ওষুধ প্রদান করেছিল আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিকিৎসকদের মাসব্যাপী সুরক্ষা সামগ্রী দিবে আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস

 

বিশ্বজিৎ পাল বাবু :

দেশের সংবিধান প্রণেতাদের অন্যতম প্রয়াত অ্যাডভোকেট সিরাজুল হকের স্ত্রী এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এম.পি’র মা মুক্তিযোদ্ধা জাহানারা হক (৮৬) শনিবার রাত ৩টা ৪০ মিনিটে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা গেছেন।
মন্ত্রীর ঘনিষ্টজন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক তাকজিল খলিফা কাজল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ঢাকাতেই তাঁর
লাশ দাফনের কথা রয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
তিন বছরের ব্যবধানে মন্ত্রী তাঁর ভাই, বোনের পর মাকে হারালেন। ২০১৭ সালের ১০ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে একটি হাসপাতালে মন্ত্রীর একমাত্র ছোট ভাই
আরিফুল হক রনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।  মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র ও এক কন্যা রেখে গেছেন। মন্ত্রীর বড় বোন সায়মা ইসলাম মারাগেছেন ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই ঢাকায় মারা যান। তিনি স্বামী ও এক ছেলে রেখেগেছেন। বিয়ের কিছুদিন পর ১৯৯১ সালের ২ জানুয়ারি সড়ক দুর্ঘটনায় তার স্ত্রী নূর আমাতুল্লাহ্ রিনা হককে হারানা তিনি।  ২০০২ সালের ২৮ অক্টোবর মারা যান বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর আনিসুল হকে বাবা।

আনিসুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৮ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য। ৫ জানুয়ারি ২০১৪ সালের অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ও ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওই আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

 

তিন বছরের ব্যবধানে মন্ত্রী তাঁর ভাই, বোনের পর মাকে হারালেন

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা সীমান্তে পাগলা মহিষের আক্রমণে সাফিয়া বেগম (৬৫)নামে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন।

রোববার (০২ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের গৌরাঙ্গুলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাফিয়া ওই গ্রামের মুকতুল হোসেনের স্ত্রী।

স্থানীয়রা জানায়, সকালে ভারতের সীমানা অতিক্রম করে একটি পাগলা মহিষ বাংলাদেশে প্রবেশ করে গৌরাঙ্গলা গ্রামে ঢুকে পড়ে। এ সময় মহিষটির আক্রমণে ৮ জন আহত হয়। গুরুতর আহত সাফিয়াকে তার পরিবারের লোকজন কুমিল্লার একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেন জানান, পাগলা মহিষের আক্রমণে একজন নিহত হয়েছে শুনেছি। এ বিষয়ে খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে।

###

ভারত থেকে আসা পাগলা মহিষের আক্রমণে বৃদ্ধা নিহত

সুমন আহম্মেদঃ
কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেসের সাথে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সোমবার (১১ নভম্বের) এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঘটে।এখন পর্যন্ত ১৭জনের মৃত্যু হয়েছে।আহত হয়েছেন আরও শতাধিক।

সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে কসবা উপজেলার ঢাকা- চট্টগ্রাম রেলপথের মন্দবাগ রেলওয়ে স্টেশনের ক্রসিংয়ে ওই সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই চট্টগ্রামের সঙ্গে সিলেট ও ঢাকার রেলযোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।

ইউএনও মাসুদ উল আলম বলেন, ‘ঘটনাস্থলে ৯টি লাশ রয়েছে, এরমধ্যে পাঁচজন পুরুষ ও চার জন নারী। কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৮ জন ভর্তি হন, তারমধ্যে দুজন মারা গেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে দুজন মারা গেছেন। কুমিল্লায় ৯ জন ভতি হন, তারমধ্যে একজন মারা গেছেন, তিন জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসেছি। উদ্ধার কাজ চলছে। আমরা কন্ট্রোল রুমও খুলেছি। স্থানীয়রা আমাদের জানিয়েছেন,প্রায় ১০০ লোক আহত হতে পারেন।’

ইতিমধ্যে রেলওয়ে ও জেলা প্রসাসনের উদ্যোগে ঘটনা তদন্তে ৩টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর মধ্যে আখাউড়া থেকে রিলিফট্রেন দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছে।

সকাল সাড়ে ৭টার দিকে জেলা প্রশাসন হায়াত উদ-দৌলা খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান,প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে তূর্ণা নিশীথা ট্রেনটি সিগন্যাল অমান্য করে লাইনে ঢুকে উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে ধাক্কা দিয়েছে। তবে প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে অতিরিক্ত জেলো ম্যাজিস্ট্রেট মিতু মরিয়মকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, নিহতদের পরিচয় শনাক্ত কওে প্রত্যকে পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা করে দিয়ে মরদেহ বাড়িতে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করা হবে। পাশাপাশি আহতদেরকে চিকিৎসারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষ.নিহত ১৭

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ১৮টি চাইনিজ কুড়ালসহ মোঃ আলমগীর হোসেন-(৫০) নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার সন্ধ্যায় কসবা পুরাতন বাজারের আনন্দ গ্লাস হাউজ থেকে এই কুড়ালসহ তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আলমগীর কসবা পৌর এলাকার কৃষ্ণপুর গ্রামের মরহুম আবদুল মালেকের ছেলে ও আনন্দ গ্লাস হাউজের মালিক। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত বুধবার সন্ধ্যায় কসবা পুরাতন বাজারের আনন্দ গ্লাস হাউজে অভিযান চালিয়ে ১৮টি চাইনিজ কুড়ালসহ দোকান মালিক আলমগীরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে গ্রেপ্তারকৃত আলমগীরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তিনি বলেন, কোন নাশকতার জন্য কুড়ালগুলো এখানে আনা হয়েছিল কিনা তা তদন্ত করা হচ্ছে।
###

কসবায় ১৮ চাইনিজ কুড়ালসহ এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ট্রেনে কাটা পড়ে আনুমানিক ৪৫ বছর বয়সী অজ্ঞাতনামা এক ব্যক্তি নিহত হয়েছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার ইমামবাড়ি রেলওয়ে স্টেশনের কাছে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে আখাউড়া রেলওয়ে থানার পুলিশ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িযা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

এ ব্যাপারে আখাউড়া রেলওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শ্যামল কান্তি দাস জানান, চট্টগ্রামগামী কন্টেইনার ট্রেনের নীচে কাটা পড়ে ওই ব্যক্তি মারা যান। তার পরিচয় পাওয়া যায় নি।
###

কসবায় ট্রেনে কাটা পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু

 

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক দুটি হত্যা মামলায় ৫জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেছেন আদালত।মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিউল আজম এই দন্ডাদেশ প্রদান করেন।

মামলা দুটি হচ্ছে জেলার আশুগঞ্জ উপজেলার কলেজ ছাত্র সাইফুল ইসলাম হত্যা মামলা এবং অপরটি হচ্ছে কসবা উপজেলার নূরুল হক হত্যা মামলা।

আশুগঞ্জের কলেজ ছাত্র হত্যা মামলায় দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা গ্রামের মোঃ দিদারুল আলম, মোঃ মামুন মিয়া, মোঃ নাহিদ মিয়া, মোঃ আনিসুর রহমান। এবং কসবার নূরুল হক হত্যা মামলার দন্ডপ্রাপ্ত আসামী হলেন, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আমতলি থানার মতিনশ্বর গ্রামের খলিল মিয়া।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরনে জানা গেছে, গত ২০১৩ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি আশুগঞ্জ উপজেলার আড়াইসিধা ইউনিয়নের মাধুরপাড়া গ্রামের মোঃ সোহরাব মিয়ার ছেলে ও কলেজছাত্র সাইফুল ইসলামকে হত্যার পর তার লাশ স্থানীয় নতুন চকবাজার এলাকার একটি সেতুর পাশে ফেলে রাখে।

এ ঘটনায় পরদিন ৪ ফেব্রুয়ারি নিহতের চাচা মোঃ সেলিম মিয়া বাদী হয়ে আশুগঞ্জ থানায় ১৬ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিউল আজম মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড এবং অনাদায়ে আরো দুই মাসের কারাদন্ড দেয়া হয়।

চাঞ্চল্যকর এই হত্যা মামলায় মোঃ মোহন মিয়াকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড, মোঃ শ্যামল মিয়াকে দুই বছরের কারাদন্ড এবং সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৯ আসামিকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।

অপরদিকে, গত ২০০০ সালের ২৮ জুলাই কসবা উপজেলার সৈয়দপুরে পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে আসামীরা নূরুল হকের উপর হামলা করে। ঘটনার তিনদিন পর ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় নূরুল হক মারা যান। পরে এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ শফিউল আজম মামলায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আমতলি থানার মতিনশ্বর গ্রামের খলিল মিয়াকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং আসামী হনুফা বেগম এবং হেলেনা বেগমকে এক বছর করে সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।

মামলায় রাষ্টপক্ষের আইনজীবী জেলা জজ আদালতের এ.পি.পি মোঃ নজরুল ইসলাম ভূইয়া সাংবাদিকদের জানান, বিজ্ঞ আদালত যে রায় দিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে আমরা সন্তুষ্ট।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক হত্যা মামলায় ৫ আসামীর যাবজ্জীবন

সুমন অহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় ২৮২ বোতল ফেন্সিডিল, ৭ কেজি গাঁজা এবং মাদক বিক্রির ১ লাখ ৬১ হাজার টাকা সহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-১৪-এর ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা। গত শনিবার সকালে উপজেলার খিরনাল এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়। আটক মাদক ব্যবসায়ীরা হলেন খিরানাল গ্রামের দুলাল মিয়া- (৩৫) এবং একই গ্রামের সুমন মিয়া- (২৬)।

র‌্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-১৪-এর ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের এবং সিনিয়র এডি চন্দন দেবনাথের নেতৃত্বে র‌্যাব সদস্যরা তাদেরকে আটক করে। পরে তাদের কাছ থেকে ২৮২ বোতল ফেন্সিডিল, ৭ কেজি গাঁজা এবং মাদক বিক্রির ১ লাখ ৬১ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কসবা থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
###

বিপুল পরিমান মাদকসহ কসবায় দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক

ফেসবুকে আমরা..