স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খেলাফত মজলিশের গতকাল শনিবারের পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশে যোগ দেননি হেফাজতে ইসলামীর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। দলীয় নেতা-কর্মীদের অভিযোগ পুলিশী বাঁধার কারনে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসতে পারেন নি। এনিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমির হাফেজ মাওলানা জুবায়ের আহমেদ আনসারী গত কয়েক মাস আগে মারা যান।
গতকাল শনিবার সকালে স্থানীয় সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তনে মাওলানা জুবায়ের আহমেদ আনসারী স্মরনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে খেলাফত মজলিশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা।
আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিলো বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের আমির শায়খুল হাদিস মাওলানা ইসলাম নূরপূরী ও বিশেষ অতিথি থাকার কথা ছিলো হেফাজতে ইসলামীর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের। আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল সফল করার জন্য গত কয়েকদিন ধরে শহরের প্রচারপত্র ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।
গতকাল শনিবার আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হলেও আলোচনা সভায় উপস্থিত হননি মাওলানা ইসমাইল নূরপূরী ও মাওলানা মামুনুল হক।
খেলাফত মজলিশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি মাওলানা আবদুল আজিজ খন্দকারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মঈনুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা রেজাউল করিম জালালী। বক্তব্য রাখেন হেফাজত নেতা মাওলানা সাজিদুর রহমান, মুফতি আবদুর রহিম কাসেমী প্রমুখ।
এদিকে হেফাজতে ইসলামীর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসতে দেয়া হয়নি এই অভিযোগ তুলে সমাবেশ শেষে খেলাফত মজলিশ ও হেফাজত নেতা-কর্মীরা বঙ্গবন্ধু স্কয়ার, মঠের গোড়া ও ঘোড়াপট্টি ব্রীজ এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে। এসময় তারা সরকার বিরোধী শে¬াগান দেয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ ব্যাপারে খেলাফত মজলিশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মঈনুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, হেফাজতে ইসলামীর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসার পথে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবে পুলিশ তাকে আটকে দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রইছ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, মাওলানা মামুনুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসেন নি। তাকে কেউ আটকে দিয়েছেন কিনা এই তথ্য আমাদের জানা নেই।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশে আসেননি হেফাজত নেতা মামুনুল হক

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এস.এস.সি-৯১ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের দিনব্যাপী মিলন মেলা গত শুক্রবার রাতে শেষ হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী মিলন মেলায় পিঠা উৎসব, র‌্যাফেল ড্র ও পুরষ্কার বিতরণ ও ৯১ ব্যাচের একটি ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা হয়। শুক্রবার সকাল ১০টায় মিলন মেলা উদ্বোধন করেন মেলা উদযাপন কমিটির আহবায়ক ক্যাপ্টেন জয়নাল আবেদীন।

কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠ শেষে ৯১ সালের বন্ধুদের মধ্যে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়। পরে দোয়া পরিচালনা করেন ৯১ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও মেড্ডা সিও অফিস জামে মসজিদের খতিব মাওলানা কামাল উদ্দিন।
কেক কাটায় অংশ নেন ৯১ ব্যাচের শিক্ষার্থী নূর মাসুদা দিনা, হামিদা বেগম, ইয়াসমিন আক্তার বিনা, সুফিয়া সম্পা ও তাসলিমা বেগম।
২৯ বছর পর সবাই একসাথে মিলিত হতে পেরে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন ও নিজ নিজ পরিচয় দেন। পরে ৯১এর ব্যাচের বন্ধুদের মধ্যে কানেক্টিভিটি রাখতে একটি ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা হয়।
মধ্যাহ্ন ভোজের পর স্কুল জীবনের স্মৃতিচারণ, বিনোদন পর্ব ও র‌্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। পরে ১০জন শিক্ষার্থীকে পুরষ্কার দেয়া হয়। রাত ৯টায় শেষ হয় মিলন মেলা।
মিলন মেলায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত ৯১ এর ব্যাচের শিক্ষার্থীরা যোগ দেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৯১ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পেশাদার সাংবাদিকদের পাশে থেকে সব ধরনের সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ জেলা পরিষদ মেম্বারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ বাবুল মিয়া।

শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত “মিট দ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব প্রেস ক্লাব মেম্বারস” শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাবুল মিয়া এই আশ্বাস দেন। তিনি বলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব ও এখানকার সাংবাদিকদের মধ্যে যে ঐক্য রয়েছে- সেটি সারাদেশের জন্য রোল মডেল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকরা কারো রক্তচক্ষুকে ভয় করেনা। তারা পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করে। এই সুনামকে ধরে রাখতে হবে। তিনি বলেন, প্রেস ক্লাবের সকল উন্নয়নমূলক কাজে আমি পাশে থাকবো।

প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামির সভাপতিত্বে ও প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ফরহাদুল ইসলাম পারভেজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন।
বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ শাহ আলম, ঢাকার হোটেল গিভেন্সীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফরহাদ আমির। অনুষ্ঠানে ক্লাবের সকল সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের ঐক্যবদ্ধতা সারাদেশের জন্য রোল মডেল

স্টাফ রিপোর্টার:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪-(কসবা-আখাউড়া) নিজ সংসদীয় এলাকার আখাউড়াতে মুসলমানদের সহযোগিতায় হিন্দুদের শ্মশান উদ্ধার হওয়ার ঘটনাকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অন্যতম উদাহরণ বলে আখ্যায়িত কয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এম.পি।
সোমবার সকালে মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এই ঘটনাকে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি দৃঢ় হচ্ছে বলে আখ্যায়িত করেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওই শ্মশাণে সৎকার করতে না পারার বিষয়টি জেনে আমরা সাথে সাথে ব্যবস্থা নিয়েছি। শুরুতেই সংশ্লিষ্টদের সাথে নিয়ে আলোচনা করেছি। পরে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সব সময়ই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাসী। আমরা সম্প্রীতি প্রিয় মানুষ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে গেছেন। কিন্তু মাঝখানে জিয়া আর বেগম জিয়া সেই সম্প্রীতি নষ্ট করেছেন। এ সময় জনমনে ভীতির সৃষ্টি হয়। এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার আছে বলেই সম্প্রীতি দৃঢ় করার কাজগুলো করা সম্ভব হচ্ছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সকলে মিলে শ্মশান উদ্ধারের ঘটনাটি নিশ্চয় সারাদেশের মানুষের কাছে একটা ম্যাসেজ হিসেবে যাবে। শুধু এটি নয় হিন্দু ধর্মালম্বীদের অন্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রক্ষায়ও আমি সজাগ আছি। এ বিষয়ে সব ধরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে উপজেলার রুপি গ্রামের শ্মশান উদ্ধারের ঘটনাকে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণ হিসেবে দেখছেন আখাউড়ার সর্বস্তরের মানুষ। শ্মশান উদ্ধারের ঘটনায় মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন আখাউড়ার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

আখাউড়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক দীপক কুমার ঘোষ বলেন, ‘শ্মশান উদ্ধারের ঘটনাটি সারাদেশে একটি নজির হয়ে থাকবে। শ্মশান উদ্ধারে মূলত সেখানকার মুসলমানরাই এগিয়ে এসেছে। ঘটনা জানার পর তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়ায় আমরা বিশেষ কৃতজ্ঞতা জানাই স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের প্রতি। এছাড়া আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও ইউএনও’র প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানাই তাঁরা যথাযথ পদক্ষেপ নিয়ে শ্মশানটি উদ্ধারে ভূমিকা নিয়েছেন।
আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক মোঃ তাকজিল খলিফা কাজল বলেন, ‘শ্মশাণটির উদ্ধার তৎপরতা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটা অনন্য উদাহরণ। আমাদের এলাকা আইনমন্ত্রীর সংসদীয় এলাকা। এখানে কেউ সম্প্রীতি বিনষ্ট করে রক্ষা পাবে না। উদ্ধারের বিষয়টি জানার পর মন্ত্রী মহোয়দয় খুবই খুশি হয়েছেন। মহৎকাজে সহযোগিতাকারিদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।’
যেভাবে উদ্ধারঃ- ৮২ শতাংশের ওই শ্মশাণ উদ্ধারে শুরু থেকে ভূমিকা মুসলমানদের সম্প্রদায়ের মানুষের। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহে রুটি গ্রামের বেশ কয়েকজন মুসলমান ব্যক্তি শ্মশাণ দখল বিষয়ে আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক তাকজিল খলিফা কাজলকে অবহিত করেন। পরবর্তীতে মুসলমান সম্প্র্রদায়ের লোকজন স্থানীয় কয়েকজন হিন্দুকে নিয়ে মেয়রের কাছে আসেন ও এ বিষয়ে অবগত করেন। এরই মধ্যে সার্বিক বিষয় অবগত করা হয় আইনমন্ত্রীকে।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হলে প্রশাসনিকভাবে উদ্ধারের উদ্যোগ নেয়া হয়। কাগজপত্র ঘেঁটে জায়গাটি শ্মশাণের নিশ্চিত হওয়ার পর গত রোববার দুপুরে অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন। সংশ্লিষ্টদেরকে সাথে নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নূর-এ-আলম সেখানে গিয়ে প্রথমে স্থানীয়দের সাথে কথা বলেন। পরে তিনি জায়গার মালিক দাবিকারিদেরকে কাগজ দেখাতে বললে ব্যর্থ হয়। এক পর্যায়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেখানে লাল নিশান টানিয়ে দেয়া হয়। পরে স্থানীয় মুসলমান সম্প্রদায়ের লোকজন শ্মশাণের নামে দু’টি সাইনবোর্ড টানিয়ে দেন।
আখাউড়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ রসুল আহমেদ নিজামীও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি দৃঢ় হচ্ছে-শ্মশান উদ্ধারে আইনমন্ত্রী


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌরসভার উদ্যোগে পৌর এলাকার যানযট নিরসন, জনসাধারণকে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে উদ্বুদ্ধকরন এবং ট্রাফিক শৃংখলার উন্নতিকল্পে আজ মঙ্গলবার থেকে ( ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ সেপ্টেম্বর) বিশেষ ট্রাফিক সপ্তাহ শুরু হয়েছে।

আজ সকালে “পরিচ্ছন্ন ও যানযটমুক্ত শহর গড়ে তুলি, নিরাপদ নাগরিক জীবন নিশ্চিত করি” এই শ্লোগানকে পৌর এলাকার কাউতলী মোড়ে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ ট্রাফিক সপ্তাহের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান।

পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবিরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, টিআই মীর গোলাম ফারুক, সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ শাহজাহান এবং যানবাহন পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে পৌর এলাকার যানযট নিরসনে কমিউনিটি ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মাঝে বাঁশি, ছাতা ও হলুদ রঙের অ্যাপ্রোন বিতরণ করা হয়।
####

পৌর এলাকার যানযট নিরসনে বিশেষ ট্রাফিক সপ্তাহ শুরু

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনলাইন টিভির আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসের শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার ১৫ই আগস্ট রাত সাড়ে ৭টার দিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শোক দিবসের শোকসভা অনুষ্ঠানটি হয়।

স্থানীয় শহরের কাচারিপাড় লালবিল্ডিং এ ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনলাইন টিভির আয়োজনে ওই টিভির অফিসে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন-আহ্বায়ক ও অনলাইন টিভির চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান পারভেজ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী৷

উক্ত শোক সভায় ও দোয়া মাহফিলে আরোও উপস্থিত ছিলেন, জেলা নাগরিক ফোরামের সহসভাপতি আতাউর রহমান শাহিন, সাফিন উদ্দন চৌধুরী রনি, জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দত্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব দীপক চৌধুরী বাপ্পী ও দৈনিক যায়যায়দিন এর স্টাফ রিপোর্টার মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা, দৈনিক যায়যায়কাল এর জেলা প্রতিনিধি ইঞ্জি: আজহার উদ্দিন ও দৈনিক আমার সময় সদর উপজেলা প্রতিনিধি সুমন আহমেদসহ প্রমূহ।

তাছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনলাইন টিভি প্রতিনিধিবৃন্দ ও আররনী সংগঠন এর সদস্যরা উপস্থিত ছিল।

অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাকি খুনি যারা বিদেশে পালিয়ে আছে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত ফাঁসির রায় কার্যকর কারতে হবে। জাতির পিতার এই জন্মশতবার্ষিকীর এই বছরে যেন বাকি খুনিদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা যায় তাহলে জাতির জনকসহ ১৫ আগস্ট নিহত সকল শহীদের আত্মা শান্তি পাবে।

বক্তারা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা একটি উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলবো। আর উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ গড়তে প্রকৌশলী সমাজ বঙ্গবন্ধু কন্যার পাশে সব সময় রয়েছে। উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ গড়ার মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণ হবে।

অনুষ্ঠান শেষে মিলাদ মাহফিলে মুনাজাত করেন মাওলানা এরশাদ উল্লাহ নুর। মুনাজাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়। দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতির জন্য দোয়া করা হয়।

জাতীয় শোক দিবসের শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রধানমন্ত্রীর খাদ্যসহায়তার তালিকায় অনিয়ম থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া জনপ্রতিনিধিদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় (কসবা-আখাউড়া) সংসদ সদস্য, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। শনিবার বিকেলে ওই এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আখাউড়া পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে হওয়া টেলিকনফারেন্সে তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মন্ত্রী ঢাকার বাসভবন থেকে টেলিকনফারেন্সে অংশ নেন।

টেলিকনফারেন্সে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম ভূঁইয়া, পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল, জেলা পরিষদ সদস্য আতাউর রহমান নাজিম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মুরাদ হোসেনসহ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় জনপ্রতিনিধিরাও মন্ত্রীর নির্দেশনা মতো কাজ করবেন বলে জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেলা পৌণে চারটার দিকে মন্ত্রী টেলিফেরারেন্স এ যোগ দেন। প্রায় আধা ঘন্টার আলোচনার তিনি এলাকার মানুষের খোঁজ নেন। করোনা পরিস্থিতি ত্রান বিতরণের সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত জানতে চান। এখনো যদি কেউ ত্রান পাওয়ার বাকি থাকে তাহলে তালিকা করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর নগদ অর্থ সহায়তার বিষয়ে মন্ত্রী জানান, ১৮৯৬ জনের যে তালিকা হয়েছে সেটাতে কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি রয়েছে। সেই সব ত্রুটি বিচ্যুতি দূর করে প্রয়োজনে আবার যাচাই বাছাই করে প্রকৃত গরীবদের তালিকা করার জন্য তিনি নির্দেশ দেন।
করোনাকালীন সময় নিজের সংসদীয় এলাকায় আসতে না পারার বিষয়েও ব্যাখা দেন তিনি। ঢাকায় থেকে রাষ্ট্রীয় অনেক কাজ করতে হয় বলে নিজের ব্যস্ততার কথা জানান তিনি। এমন পরিস্থিতি এখন থেকে সপ্তাহের প্রতি শনিবার তিনি জন প্রতিনিধিসহ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে টেলিকনফারেন্স করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর খাদ্যসহায়তায় অনিয়মে আইনমন্ত্রীর ক্ষোভ, প্রয়োজনে আবার তালিকা করার নির্দেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নার্সিং ইনস্টিটিউটের প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন সেন্টার থেকে পালিয়ে যাওয়ার দুইদিন পর আবার আইসোলেশনে ফিরে এসেছেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেফায়েত উল্লাহ-(৩৮)। বাড়িতে জায়গা না পেয়ে গত মঙ্গলবার বিকেলে স্বেচ্ছায় তিনি আইসোলেশন সেন্টারে ফিরে আসেন।
পালিয়ে যাওয়া কেফায়েত উল্লাহ জেলার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের টিঘর গ্রামের বাসিন্দা। ‘না বুঝে’ আইসোলেশন সেন্টার থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। কেফায়েত উল্লাহর বরাত দিয়ে আইসোলেশন সংশ্লিষ্টরা বলেন, না বুঝে আইসোলেশন সেন্টার থেকে চলে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাড়িতে যাওয়ার পর পরিবারের লোকজন তাকে জায়গা দেয়নি। পালিয়ে যাওয়ার পর দুইদিন পার্কে ঘোরাফেরা করেছেন। এ সময়টাতে তিনি সামাজিক দূরত্ব মেনে চলেছেন বলে দাবি করেছেন। বাড়িতে জায়গা না পেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে তিনি আইসোলেশন সেন্টারে ফিরে এসেছেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন সেন্টারের কর্তব্যরত চিকিৎসক ইনজামামুল হক সিয়াম বলেন, তিনি না বুঝে চলে গিয়েছিলেন। চলে যাওয়ার পর তিনি কোথায়-কোথায় ছিলেন সেই তথ্য নিয়ে তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। নিয়ম অনুযায়ী তাকে আবারো আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে গত রোববার করোনামুক্ত হওয়ায় আইসোলেশন সেন্টার থেকে ৭জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। ওই ৭জনের সাথে চলে যান কেফায়েত উল্লাহ। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন সেন্টার কর্তৃপক্ষ।

###

আইসোলেশনে ফিরেছে পালিয়ে যাওয়া সেই করোনা রোগী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা না দিয়েই পজেটিভ রিপোর্ট আসে মোঃ তৌহিদুল ইসলাম নামে এক যুবকের। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।গত মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নতুন যে ২৯ জনের করোনাভাইরাস আক্রান্তের রিপোর্ট আসে তাদের মধ্যে তৌহিদুল ইসলাম একজন। বিষয়টি তার জন্য অস্বস্তিকর হয়ে দাড়িয়েছে।
তৌহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ না থাকা সত্ত্বেও গত ৩ জুন তার এক চাচার মাধ্যমে তিনিসহ আরো চারজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে নির্ধারিত ফরম পূরণ করেন।

পরদিন দুপুরে তাদেরকে নমুনা দেয়ার জন্য হাসপাতালের নমুনা সংগ্রহ বুথে যেতে বলা হয়। কিন্তু ওইদিন দুপুরে জরুরী কাজে আটকে যাওয়ায় তিনিসহ ওই চারজনের কেউই নমুনা দিতে পারেননি।
গত মঙ্গলবার বিকেলে তার মুঠোফোনে কল করে একজন জানান, জেলায় আসা কোভিড-১৯ পজেটিভ রোগীর নামের সাথে তার নামও রয়েছে। এজন্য তাকে আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়।
তিনি বলেন, আমার সাথে ফরম পূরণ করা বাকি চারজনের কেউ ফোন পায়নি। শুধু আমাকেই ফোন করে বলা হয়েছে আমি কোভিড-১৯ পজেটিভ। খবরটি শুনে মাথায় বাজ পড়ে। আমিতো নমুনাই দেইনি, তাহলে পজেটিভ হলাম কিভাবে? এজন্য আমাকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখী হতে হচ্ছে। তবে খবরটি জানার পর থেকেই আমি ঘরে আলাদাভাবে থাকছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ শওকত হোসেন বলেন, কী কারণে এমনটি হয়েছে সেটি আমরা খতিয়ে দেখছি। যারা নমুনা সংগ্রহের দায়িত্বে আছেন তাদেরকে ডেকে এনে এটি ভেরিফাই করার জন্য বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, ‘বিষয়টি আমরা যাচাই-বাছাই করছি। যাচাই-বাছাইয়ের আগে এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।

নমুনা না দিয়েই যুবকের করোনা পজেটিভ !

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি নির্ধারিত মাস্ক ব্যবহার না করে চলাচল এবং সরকার নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করার দায়ে ৩৪ মামলায় ৬৮ হাজার ৬ শত ৯০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। বুধবার দুপুরে পর্যন্ত সদর উপজেলার পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে পৃথক এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়।

সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়ার নেতৃত্বে পৃথক ভ্রাম্যমান আদালত চলাকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য ও কিশোর কুমার দাসসহ সদর থানার পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।

ভ্রাম্যমানে আদালতে নেতৃত্ব দেওয়া সদর ইউএনও পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত স্বাস্হ্য বিধি মেনে চলার জন্য জনগনকে বাব বার বলা হচ্ছে। কিন্তু তারা মাস্ক না পরেই বাহিরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার পৌরশহরের বিভিন্ন স্থানে মাস্ক ব্যবহার না করে চলাচল এবং সরকার নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধিমেনে না চলার কারণে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর ২৫ এর ১(খ) ধারা লংঘনের দায়ে পৃথক পৃথক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৩৪ টি মামলায় ৬৮ হাজার ৬ শত ৯০ টাকা জরিমানা করা হয়। তিনি বলেন, ভ্রাম্যমান আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

###

মাস্ক ব্যবহার না করায় ৬৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায়

ফেসবুকে আমরা..