সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে স্মার্ট কার্ড (জাতীয় পরিচয়পত্র) বিতরন কার্যক্রম শুরু হওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে কার্ড দেয়ার স্থান পরিবর্তন করায় স্মার্ট কার্ড না পেয়ে অনেকেই হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। এ ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয় এমপির নির্দেশে উপজেলা নির্বাচন অফিসার স্থান পরির্বতন করেছেন বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন।

এলাকাবাসী জানান, মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার বীরগাঁও ইউনিয়নের তিলোকিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্মার্ট কার্ড বিতরণ হওয়ার কথা ছিলো।

এ উপলক্ষে গত ৩ আগষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসার স্বাক্ষরিত একটি নোটিশে বলা হয়, ৬ আগষ্ট সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তিলোকিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে উপজেলার দূর্গারামপুর, তিলোকিয়া, শোভারামপুর, হরিপুর ও কিশোরপুর গ্রামের লোকদের স্মার্ট কার্ড বিতরন করা হবে। এজন্য তিলোকিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাঙ্গনে প্যান্ডেলও তৈরি করা হয়। বিদ্যালয়ের পাঠদান বন্ধ সহ সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়।

কিন্তু নির্ধারিত সময়ের কয়েক ঘন্টা আগে উপজেলার বীরগাঁও স্কুল এন্ড কলেজে স্মার্ট কার্ড দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। গতকাল সোমবার সকালে বীরগাঁও স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গনেই স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়। এদিকে হঠাৎ করে স্থান পরিবর্তন হওয়ায় অনেকেই তিলোকিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে উপস্থিত হয়ে স্মার্ট কার্ড না পেয়ে হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

তিলোকিয়া গ্রামের বৃদ্ধ আবুল কাশেম বলেন, শুনেছি এমপি সাহেবের নির্দেশে স্মার্ট কার্ড বিতরনের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। বুড়া বয়সে নদী পাড় হয়ে বীরগাঁও কলেজে কি যেতে পারব?

এ ব্যাপারে বীরগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কবির আহম্মেদ বলেন, রোববার রাতে তাকে স্থান পরিবর্তনের কথা জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার জাহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, তিলোকিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঁচটি গ্রামের প্রায় সাড়ে ৪ হাজার লোকের স্মার্ট কার্ড বিতরনের কথা ছিলো। তিনি অভিযোগ করে বলেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক কারনে স্থান পরিবর্তন করে সাধারণ মানুষকে কষ্ট দেওয়া হচ্ছে। নদী, নালা, খাল বিল পাড়ি দিয়ে ৫ গ্রামের মানুষ বীরগাঁও স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে যেতে চাচ্ছেনা। এ ঘটনায় সাধারণ মানুষ ক্ষুদ্ধ হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম জানান, স্থানীয় এমপি মহোদয়ের নির্দেশে স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। তিনি বলেন, এমপি স্যার জনপ্রতিনিধি, জনগনের সুখ-দুঃখতো তিনিই ভালো বুঝেন। এছাড়া বীরগাঁও স্কুল এন্ড কলেজ ক্যাম্পাসটি বড় হওয়ায় সেখানে স্মার্ট কার্ড বিতরনে সুবিধা হবে। তিনি বলেন, সোমবার সেখানে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হয়েছে। তিনদিন পর্যন্ত এই স্থানে স্মার্ট কার্ড বিতরন করা হবে।
###

এমপির নির্দেশে নবীনগরে স্মার্ট কার্ড বিতরনের স্থান পরিবর্তন করায় জনগনের মধ্যে ক্ষোভ

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে জেলার সরাইল ও আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে চিঠি দিয়েছেন স্কুল ছাত্রী মোমিনা বেগম। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে স্কুল ছাত্রী নিজে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে এই চিঠি পৌঁছে দেয়। এর আগে গত সোমবার একই চিঠি আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছেও পৌঁছায় সে।

মোমিনা বেগম সরাইল উপজেলার বেড়তলা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী এবং আশুগঞ্জ উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের বইগর গ্রামের মরহুম নুরুল আমীনের মেয়ে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারদ্বয়ের কাছে পাঠানো চিঠিতে মোমিনা বেগম উল্লেখ করে, সে বেড়তলা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী। তার রোল নম্বর দুই। গত চার বছর আগে তার পিতা নূরুল আমীন দুস্কৃতিকারীদের হাতে খুন হন। এর পর থেকে তার পরিবার চরম অসহায়ত্বের মধ্যে দিনাতিপাত করে আসছে।

আশুগঞ্জ উপজেলার বইগর গ্রামের শেখ সাদি ভূইয়ার ছেলে উছমান ভূইঁয়া প্রায়ই তাকে উত্যক্ত করে। এ ঘটনায় তার পরিবারের কাছে নালিশ দিলে বখাটে উছমান তাকে জোরপূর্বক বিয়ে করার ঘোষণা দেয়। কয়েকদিন আগে উছমানের পহ্মে গ্রামের ইউপি সদস্য নূরুল ইসলাম, সজিব ভূইঁয়া, আকবর ভূইঁয়াসহ কয়েকজন তার বাড়িতে গিয়ে তার মাকে চাপ সৃষ্টি করে উছমান ভূইঁয়ার সাথে তার বিয়ের কথা রফাদফা করেন।

এদিকে এই বিয়ের খবর পেয়ে মোমিনা বেগম সরাইল উপজেলার কাটানিশার গ্রামে তার ভগ্নিপতি জাবেদ মিয়ার বাড়ি আশ্রয় নেয়। গত ৩ আগস্ট উছমান ভূইঁয়া সেখানে গিয়ে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

চিঠিতে মোমিনা বেগম উল্লেখ করে, তা বিয়ের বয়স হয়নি। সে পড়ালেখা করতে চায়। এছাড়া তার এক বড় বোনের এখনো বিয়ে হয়নি। সে বোন আশুগঞ্জ উপজেলার তিন্নি আনোয়ার মহিলা কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী। মোমিনা আক্তার বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

এ ব্যাপারে বেড়তলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রতন কুমার দেব বলেন, মোমিনা আক্তার মেধাবি ছাত্রী। মোমিনার দেয়া একটি চিঠি পড়ে আমরা জানতে পেরেছি তাকে বাল্য বিয়ের দেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। কিন্তু সে এই বিয়েতে রাজি নয়। এ জন্য সে গত ৮ দিন ধরে স্কুলে আসছে না।

এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাজিমুল হায়দার বলেন, স্কুলছাত্রী মোমিনা বেগমের চিঠি আমি পেয়েছি। উছমানসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আমি ডেকে পাঠিয়েছি।

এ ব্যাপারে সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ এস এম মোসা বলেন, মোমিনাকে এ বিষয়ে সকল প্রকার সহযোগিতা করা হবে। বিষয়টি নিয়ে আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে তিনি কথা বলবেন।
###

বাল্য বিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই ইউএনওকে স্কুল ছাত্রীর চিঠি

 

সুমন আহম্মেদঃ
সম্প্রতি দেশব্যাপী ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ মাহামারি আকার ধারণ করায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নির্দেশে ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে এডিস মশা নিধনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযানের অংশ হিসেবে গত রোববার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে পৌর এলাকার পুনিয়াউট গ্রামের মসজিদ সংলগ্ন একটি পুজাপুকুর (পাকা ঘাটলা) পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়।

 

জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ রবিউল হোসেন রুবেল এবং সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভনের নেতৃত্বে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান চলাকালে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মোঃ হেলাল উদ্দিন, ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা মোঃ মুরাদ খান, বাংলাদেশ রেডক্রিসেন্ট সোসাইটি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আবদুল ওয়াহিদ খান লাভলুসহ জেলা ছাত্রলীগের আওতাধীন বিভিন্ন ইউনিটের নেতৃবৃন্দ। জেলা ছাত্রলীগ নেতারা জানান, তাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
###

ডেঙ্গু প্রতিরোধে জেলা ছাত্রলীগের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মোঃ উবায়দুল্লাহ-(৩০) নামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক দপ্তরীকে বেদম মারধোর করে তার কানের পর্দা ফাটিয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে সদর মডেল থানায় কর্মরত এসআই (উপ-পরিদর্শক) জামিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে । গত শনিবার রাতে সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের খাকচাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। আহত উবায়দুল্লাহকে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

এ ঘটনায় সোমবার সকালে পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন আহত উবায়দুল্লাহ। উবায়দুল্লাহ সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের খাকচাইল গ্রামের ক্বারী নূরুল ইসলামের ছেলে এবং খাকচাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী।

পুলিশ সুপারের কাছে দায়েরকৃত লিখিত অভিযোগ ও বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার রাত ১০টার দিকে এসআই জামিরুল ইসলামের নেতৃত্বে সদর থানার ছয় পুলিশ সদস্য খাকচাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যান। পরে তারা বিদ্যালয়ের দপ্তরী উবায়দুল্লাহ কক্ষের দরজায় টোকা দেন। দরজা খোলার পর এখানে বশির নামে কেউ আছে কি-না জিজ্ঞেস করেন জামিরুল। এ নামে কেউ নেই বলার পর জামিরুল উবায়দুল্লাহর পকেটে হাত দেন।

পকেট হাতিয়ে কিছু না পেয়ে আবার বলেন, বাচ্চু নামে কেউ আছেন কি-না। এরপর উবায়দুল্লাহকে স্কুলের সকল কক্ষের দরজা খুলতে বলেন।

পরে জামিরুলের সাথে থাকা অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা আবার উবায়দুল্লাহর পকেট চেক করার নামে কয়েকটি ইয়াবা ট্যাবলট ঢুকিয়ে দেন। এরপর জামিরুল উবায়দুল্লাহকে বলেন, তুই ইয়াবা ব্যবসা করিস। আর কোথায় ইয়াবা আছে বল। এর পরপরই জামিরুল ও অন্যান্য পুলিশ সদস্যরা উবায়দুল্লাহকে বেদম মারধোর করেন। তার মাথা ও দুই কানে এলোপাতাড়ি কিলঘুষি দেয়া হয়। এতে উবায়দুল্লাহর বাম কানের পর্দা ফেটে যায়

খবর পেয়ে রাতের বেলা উবায়দুল্লাহর বাবা ক্বারী নুরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে আসলে তাকেও আটক করে সাদা কাগজে জোর করে স্বাক্ষর নেন জামিরুল। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবু তালেব এসে দুই হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে উবায়দুল্লাহ ও তার বাবাকে ছাড়িয়ে নেন। যাওয়ার সময় এ ঘটনা কাউকে জানালে উবায়দুল্লাহকে মাদক মামলায় ফাঁসানোরও হুমকি দেন জামিরুল।

এদিকে রোববার সকালে আহত উবায়দুল্লাহকে প্রথমে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ও পরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নাক কান গলা রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক দেখানো হয়।

এদিকে রোববার রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) কার্যালয়ে আহত উবায়দুল্লাহর কাছ থেকে বিষয়টি অবহিত হন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ আলমগীর হোসেন এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ রেজাউল কবির। এ সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও স্থানীয় মেম্বারের উপস্থিতিতে ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা করেন আহত উবায়দুল্লাহ। ঘটনা শুনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারদ্বয় বিষয়টি লিখিত আকারে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দেয়ার জন্য আহত উবায়দুল্লাহকে পরামর্শ দেন।

এ ব্যাপারে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি শুনে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছি।

তবে এসব অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন অভিযুক্ত এসআই জামিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, আমি খাকচাইল গ্রামেই যাইনি। এগুলো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল কবিরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তদন্ত করে যদি অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় তাহলে জামিরুলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন) মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, দপ্তরীকে মারধোর করার বিষয়ে আমরা লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তসাপেক্ষে জামিররুলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি অবহিত হয়েছি, তদন্তে দোষী প্রমানিত হলে জামিরুলের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এদিকে এস.আই জামিরুলের বিরুদ্ধে একই ধরনের আরো অনেক অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগকারীরা জানান, সাধারণ মানুষের পকেটে ইয়াবা ট্যাবলেট ঢুকিয়ে দিয়ে তাকে গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করাই হচ্ছে জামিরুলের কৌশল।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক দপ্তরীকে কানের পর্দা ফাটিয়ে টাকা নিলেন এসআই জামিরুল

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ডেঙ্গু প্রতিরোধে জেলা পুলিশের উদ্যোগে মশক নিধন ও পরিষ্কার পরিচ্ছনতা অভিযান শুরু হয়েছে।শনিবার বেলা ১১ টায় পুলিশ সুপারের কার্য্যালয় প্রাঙ্গনে মশার ঔষধ ছিটিয়ে অভিযান কর্মসূচীর উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান।

এ সময় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কিত না হয়ে সবাইকে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব যেন বিস্তৃত না হতে পারে সেজন্য সবাইকে সম্পৃক্ত করে মশক নিধন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছি। আমাদের আশ-পাশ যেন পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকে এ বিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে হবে। তিনি বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে পুলিশের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর দফতর) আবু সাঈদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল কবির, সহকারী পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আলাউদ্দিন চৌধুরী, ডিআইও-১ (বিশেষ শাখা) ইমতিয়াজ আহম্মেদ ও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
###

ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুলিশের মশক নিধন অভিযান শুরু

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন নবাগত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান।শনিবার দুপুর ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রেসক্লাবের সভাপতি খ.আ.ম. রশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পীর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক সৈয়দ মিজানুর রেজা, মোহাম্মদ আরজু, মনজুরুল আলম, আল-আমিন শাহীন, মফিজুর রহমান লিমন, মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা, মোঃ সাদেকুর রহমান, আ.ফ.ম কাউছার এমরান, আবদুন নূর, জাবেদ রহিম বিজন, মোঃ নজরুল ইসলাম শাহজাদা, শিহাব উদ্দিন বিপু প্রমুখ।

মতবিনিময় সভায় পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বলেন, পুলিশ ও সাংবাদিকদের লক্ষ্য এবং পথ এক। এ দুই পেশার মানুষ দেশের কল্যাণে, মানুষের কল্যাণে কাজ করছে। পুলিশ এবং সাংবাদিক একে অপরের আত্মার আত্মীয়। তিনি আরো বলেন, সাংবাদিকরা হলেন সমাজের স্বচ্ছ দর্পণ। এ দর্পণে সবকিছু স্বচ্ছ দেখা যায়। গঠনমূলক কাজের জন্য আপনারা (সাংবাদিকরা) আমাদের উৎসাহ দেবেন। আমরা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করব। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় যত সমস্যা আছে সবাইকে সাথে নিয়ে আমরা সেসব সমস্যা সমাধান করব।

এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( সদর দফতর) আবু সাঈদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল কবির, সহকারী পুলিশ সুপার (বিশেষ শাখা) আলাউদ্দিন চৌধুরী, ডিআইও-১ (বিশেষ শাখা) ইমতিয়াজ আহম্মেদ ও সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাংবাদিকদের সাথে পুলিশ সুপারের মত বিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্চারামপুরে ১টি ওয়ান শুটারগান এবং ১ রাউন্ড গুলিসহ জুয়েল মিয়া-(৩৩) নামক এক ডাকাতকে আটক করেছে র‌্যাব-১৪-এর ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার দড়িকান্দি (ইমামনগর) গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক জুয়েল মিয়া দড়িকান্দি গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে।

শুক্রবার সকালে গনমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠানো র‌্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আটক জুয়েল মিয়া একজন পেশাদার ডাকাত। এছাড়া তিনি অস্ত্র ব্যবসা করেন। ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য জুয়েল অস্ত্র ভাড়া দেন।
গোপন সংবাদে জানতে পেরে র‌্যাব ছদ্মবেশে তার সাথে যোগাযোগ করে ৩ হাজার টাকার বিনিময় তার কাছ থেকে অস্ত্র ভাড়া করার পরিকল্পনা করে।

গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে র‌্যাব-১৪-এর ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের এবং সিনিয়র এডি চন্দন দেবনাথের নেতৃত্বে র‌্যাব সদস্যরা পরিকল্পনা মতো অস্ত্রটি দিতে আসলে জুয়েল মিয়াকে আটক করে।

র‌্যাব জানায়, উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মূল্য ৮০ হাজার টাকা। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
###

বাঞ্চারামপুরে অস্ত্র ব্যবসায়ী আটক ॥ শুটারগান উদ্ধার

সুমন আহম্মেদঃ
আশুগঞ্জ উপজেলা ঈমাম পরিষদের উদ্যোগে দুস্ত ও অসহায়দের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ইমাম পরিষদ কর্তৃক আয়োজিত পবিত্র ঈদুল আযাহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে আশুগঞ্জ উপজেলা ঈমাম পরিষদের সভাপতি মুফতি মোশারফ হোসেনের সভাপতিত্বত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুফতি উবায়দুল্লাহর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন আশুগঞ্জ থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আবু জামাল, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি মোজাম্মেল হক, আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক মুফতি এনামুল,

আড়াইসিধা ইউনিয়নের সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসেন, লালপুর ইউনিয়নের সভাপতি মাওলানা হামিদুল্লাহ, তারুয়া ইউনিয়নের সাধারন সম্পাদক মাওলানা ওলিউল্লাহ সুবহানী, দূর্গাপুর ইউনিয়নের সভাপতি মাওলানা আবুল বাসার, তালশহর ইউনিয়নের সভাপতি মাওলানা আব্দুর রউফ, শরীফপুর ইউনিয়নের সভাপতি মাওলানা আব্দুল সোবহান, চর চারতলা ইউনিয়নের সভাপতি মাওলানা আব্দুর রহিম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংগঠনের অর্থ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল আজিজ।
উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের শতাধিক দুস্ত ও অসহায় পরিবারের মাঝে এ ঈদ সামগ্রী বিরতন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপজেলা ঈমাম পরিষদের সকল সদস্য ও ইউিনয়ন ঈমাম পরিষদের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনটি ২০১৮ সালের ১৬ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়।
###

আশুগঞ্জে উপজেলা ঈমাম পরিষদের উদ্যোগে দুস্তদের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিতরণ॥

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে নিরাপদে ও নির্বিঘেন্ন যাতায়াতের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগের উদ্যোগে মহাসড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেন অভিযান শুরু হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের খাাঁটিহাতা বিশ্বরোড মোড় এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৩০ টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়।

উচ্ছেদ অভিযানে নেতৃত্ব দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পঙ্কজ বড়–য়া। এ সময় সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ভূইয়া রেদওয়ানোর রহমান সহ পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মহাসড়কের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে অপহরণ চক্রের হাত থেকে দুই যুবককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় অপহরনকারী চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত বুধবার বিকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা সদরের টেকানগর গ্রাম থেকে তাদেরকে উদ্ধার ও চার অপহরণকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

উদ্ধারকৃত যুবকরা হলেন ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও উপজেলার জন্মেজয় গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে মোঃ ওমর ফারুক-(৩০) এবং একই উপজেলার উসহি গ্রামের পাপন-(২৫)।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় ইউনিয়নের রতনপুর গ্রামের আবদুল আজিজের ছেলে সোহেল মিয়া-(৪০), কিশোরগঞ্জ জেলার বাঙ্গালপাড়া উপজেলার অস্টগ্রামের আবদুল খালেকের ছেলে আবদুর রাজ্জাক টিটু-(৩৫), নাসিরনগর উপজেলার ভলাকুট গ্রামের ইউসুফ আলীর ছেলে মন্তাজ মিয়া-(৪৫) এবং নাসিরনগর উপজেলার চাতলপাড় গ্রামের একরাম হোসেনের ছেলে জুলহাস মিয়া-(৪৫)। এ ঘটনায় নাসিরনগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

নাসিরনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ কবির হোসেন জানান, উদ্ধারকৃত দুই যুবকের সাথে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে অপহরণকারীদের বন্ধুত্ব হয়। এই বন্ধুত্বের সুযোগ নিয়ে অপহরণকারীরা তাদেরকে মোবাইল ফোনে নাসিরনগরে বেড়াতে আসতে বলেন। তাদের কথা মতো দুই যুবক গত ২৯ জুলাই নাসিরনগরে আসলে তাদেরকে আটক করে ফেলে অপহরণকারীরা।

গত মঙ্গলবার সকালে অপহরণকারীরা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিকটিমদের পরিবারের কাছে দুই লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার বিশ্বরোড মোড়ে আসতে বলে।

এ ঘটনায় ওমর ফারুকের পরিবার গফরগাঁও থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে গফরগাঁও থানা পুলিশ বিষয়টি নাসিরনগর থানা পুলিশকে অবহিত করেন। পরে নাসিরনগর থানার পরিদর্শক করিব হোসেন ভিকটিমের পরিবারের সাথে কথা বলে অপহরণকারীদের গ্রেপ্তারের জন্য ফাঁদ পাতেন।

বুধবার বিকেলে অপহরণকারীরা মুক্তিপনের টাকা নেয়ার জন্য টেকানগর গ্রামে গেলে পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাদের তথ্যানুযায়ি আটকে রাখা দুই যুবকে উদ্ধার করা হয়। পরিদর্শক (তদন্ত) কবির হোসেন জানান, এ ঘটনায় নাসিরনগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
###

নাসিরনগরে চার অপহরণকারী গ্রেপ্তার ॥ দুই যুবক উদ্ধার

ফেসবুকে আমরা..