স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আর্ন্তজাতিক নারী দিবস উপলক্ষে গতকাল সোমবার সকালে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) এর উদ্যোগে শহরের ট্যাংকেরপাড় পুনাক শো-রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এর স্ত্রী মাহবুবা সুলতানা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) এর স্ত্রী ইসরাত জাহান।
বক্তব্য রাখেন উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের ইনচার্জ কামরুজ্জামান লাইলী।

সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান সমাজে নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সমাজে বিভিন্ন ভাবে অত্যাচারিত লাঞ্চিত, বঞ্চিত এমনকি অনেক জায়গায় যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বঞ্চিত হচ্ছে নারীরা।

বক্তারা বলেন, নারীরা আজ অনেক এগিয়ে। গভীর সমুদ্রে মুক্তা সংগ্রহ, হিমালয়ের চূড়ায় অভিযান, মহাকাশ পাড়ি, যুদ্ধক্ষেত্র, শিক্ষা ও বিজ্ঞান সব জায়গায় নারীরা পারদর্শী। আমরা চাই নারী অত্যাচার, ধর্ষণ, বঞ্চনা ও লাঞ্ছনা চিরকালের মতো বিলুপ্ত হোক। নারীরা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সকল ক্ষেত্রে নিজ মর্যাদা ও সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকুক।
###

অত্যাচার, ধর্ষণ, বঞ্চনা ও লাঞ্ছনা চিরকালের মতো বিলুপ্ত হোক, নারী দিবসে বক্তরা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কে. এম. তারিকুল ইসলাম বলেছেন, স্থলবন্দরগুলো দিয়ে দেশে চাহিদা আছে- এমন সব পণ্য বৈধপথে শুল্কায়নের মাধ্যমে আমদানির ব্যবস্থা চালু করা গেলে সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান প্রতিরোধ হবে।
তিনি গতকাল রোববার দুপুর সোয়া ১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থল বন্দর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই দেশের অন্যতম বৃহৎ ও শতভাগ রপ্তানীমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে নিষিদ্ধ পণ্য ব্যতিত সকল পণ্য আমদানির অনুমতি দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা।

তিনি বলেন, পণ্য আমদানির বিষয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তাঁদের প্রত্যাশার কথা জেনেছি। তাঁরা চাচ্ছেন, একেবারে ওপেন করে দিতে, যেন সব ধরণের পণ্য আমদানি করতে পারেন। বৈধপথে, শুল্কায়ন করে আমদানি যদি চালু করা যায়, তাহলে চোরাচালান অটোমেটিক বন্ধ হবে। আমিও আমদানির সুযোগ দেয়ার পক্ষে। তিনি বলেন, সবধরণের পণ্য আমদানির অনুমতি কোনো বন্দরেই নেই। সব স্থলবন্দরের নিজস্ব একটি পণ্য তালিকা আছে। যে এই পণ্যগুলো- এই বন্দর দিয়ে আমদানি হবে। স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী ব্যবসায়ীরা তালিকা দিক, একেবারে ওপেন না হলেও এনবিআর এ বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনা করবে।
এ সময় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খাঁন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশ্রাফ আহমেদ রাসেল, জেলা ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা অঞ্জন দাস, আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সাইফুল ইসলাম, আখাউড়া স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোবারক হোসেন ও স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
###

সব পণ্য আমদানি হলে সীমান্তে চোরাচালান প্রতিরোধ হবে

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যথাযথ মর্যাদার মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে গতকাল রোববার সকাল ১০টায় শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্তমঞ্চে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়।
প্রথমেই বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তক অর্পন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

পর্যায়ক্রমে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন জেলা প্রশাসনের পক্ষে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন, জেলা পুলিশের পক্ষে পুলিশ সুপার সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, পৌর সভার পক্ষে পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির।
পরে জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বঙ্গবন্ধু স্কয়ার উম্মুক্ত করে দিলে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পন করা হয়।

পুষ্পস্তবক অর্পন শেষে স্থানীয় সুর স¤্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খা পৌর মিলনায়তনে ৭ই মার্চের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রনালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, সেদিন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে¡ সারাদেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ ছিলেন। কারো মধ্যে কোনো বিরোধ ছিল না। অনেকেই মনে করেন জনগণের মধ্যে ফাটল ছিল। কিন্তু কয়েকজন রাজাকার ছাড়া জনগণের মধ্যে কোনো ফাটল ছিল না। তার ফল পেয়েছি আমরা মুক্তিযুদ্ধের সময়। ৭ই মার্চের ভাষনে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন আমি যদি হুকুম দেবার নাও পারি তোমরা তোমাদের যা কিছু আছে তা নিয়ে প্রস্তুত থাকো। প্রত্যেক ঘরে ঘরে দুর্গ গড়ে তোল। এই কথা শোনার পর মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়ে যুদ্ধে নেমে পড়ে। ইউনোস্কো বঙ্গবন্ধুর সেই ভাষণকে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি দিয়েছে। কারণ এই ভাষণেই জনগণের কষ্টের কথা, মুক্তির কথা তিনি তুলে ধরেছিলেন। জনগণের দাবি আদায়ে এর চেয়ে ভালো বক্তব্য হতে পারে না। তাই আন্তর্জাতিকভাবেও সেই বক্তব্যকে স্বীকৃতি দেয়া হয়।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালিত

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের উপস্থিতিতে মিছিল করাকে কেন্দ্র করে দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদের সামনে এই ঘটনা ঘটে। প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের বেশ কয়েকটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করা হয়। এ সময় উভয়পক্ষের ১০জন আহত হয়। তবে তাদের নাম জানা যায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার বেলা ১১টায় কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে স্মার্ট কার্ড বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

এ সময় কসবা পৌরসভার মেয়র ও আগামী পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী এমরান উদ্দিন জুয়েল এবং উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী এম.এ. আজিজের সমর্থকরা মিছিল নিয়ে সভাস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টা-পাল্টি শ্লোগান ও ধাক্কা-ধাক্কি শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের ৭/৮টি মোটর সাইকেল ভাংচুর ও কয়েকটি মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়। হামলায় উভয়পক্ষের ১০জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এদিকে মন্ত্রীর বক্তব্য চলাকালে উপজেলা পরিষদের বাইরের সড়কে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হলে বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করে দুপুর ১২টার দিকে মন্ত্রী পুলিশী নিরাপত্তায় উপজেলার পানিয়ারুপ নিজ বাড়িতে চলে যান। পুলিশ সংর্ঘষে জড়িতদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে। থেমে থেমে দুপুর ১টা পর্যন্ত সংর্ঘষ চলছিল।

এ ব্যাপারে পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল বলেন, প্রায় ১ বছর পরম মন্ত্রী মহোদয় এলাকায় আসেন। মন্ত্রীকে বরণ করার জন্য বেলা ১১টার দিকে আমি আমার সমর্থকদের নিয়ে রাস্তার দু’পাশে দাড়িয়ে ছিলাম। এমন সময় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও মেয়র প্রার্থী এম.এ. আজিজের ছোট ভাই যুবদল নেতা শিশুর নেতৃত্বে তার সমর্থকরা আমার সমর্থকদের উপর মোটর সাইকেল তুলে দেয়। পরে আমার ও আজিজের সমর্থকদের মধ্যে অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে ধস্তাধস্তি হয়। পরে মন্ত্রী মহোদয় অনুষ্ঠান শেষ করে বাড়িতে চলে যান।
এ ব্যাপারে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও মেয়র প্রার্থী এম.এ আজিজ বলেন, মন্ত্রী মহোদয়কে বরণ করার জন্য টিআলীর বাড়ির মোড় থেকে উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে আমার সমর্থকরা দাঁড়িয়েছিলো। এক পর্যায়ে আমার কয়েকজন সমর্থক মোটর সাইকেল নিয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে দিয়ে আসার সময় প্রতিপক্ষের লোকেরা মোটর সাইকেলে হামলা করে। পরে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয়পক্ষের ৭/৮টি মোটর সাইকেল ভাংচুর করা হয় ও উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫জন আহত হন। পরে মন্ত্রী মহোদয় তাঁর বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করে নিজ বাড়িতে চলে যান।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) আলমগীর ভূইয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সংঘর্ষের কথা স্বীকার করে বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। কতজন হতাহত হয়েছে জানি না।
###

কসবায় দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার গণমানুষের নেতা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি, সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম স্মরণে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে সরাইলে শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোঃ ইসমত আলীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক মোঃ মাহফুজ আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শোক সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ মুন্সি, সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন, সরাইল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধ সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মোঃ আনোয়ার হোসেন, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান আনসারী, সরাইল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ বদর উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট সৈয়দ তানবির হোসেন কাউসার, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুর রাশেদ, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, শেখ মোঃ হাবিবুর রহমান, দ্বীন ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ইদ্রিস আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ কুতুব উদ্দিন ভূঁইয়া, মোঃ মনসুর আহমেদ প্রমুখ।

শোকসভায় বক্তারা বলেন, আব্দুল হালিম শুধু একটি নাম নয়, একটি ইতিহাস। তিনি ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ। নির্লোভ এই মানুষটি সাদামাটা জীবনযাপন করতেন। তিনি ছিলেন গনমানুষের আপন জন।

উপজেলার বড্ডাপাড়া থেকে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাটানিশার পর্যন্ত সড়কটির নামকরণ “আব্দুল হালিম সড়ক” করার জন্য সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।
###

বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম স্মরনে শোক সভা ও আব্দুল হালিম সড়কের দাবী

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয় ও একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবিতে গতকাল সোমবার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার নেতা-কর্মীরা।

গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি ফাহিম মুনতাসির, সাধারণ সম্পাদক সানিউর রহমান ও জেলা ছাত্রমৈত্রীর সাবেক আহবায়ক মুহয়ী শারদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে স্মারকলিপিটি প্রদান করেন। জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্বারকলিপিটি গ্রহন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদানের পর জেলা ছাত্রমৈত্রীর নেতা-কর্মীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর কাছে স্মারকলিপির একটি অনুলিপি প্রদান করেন।
###

উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে ছাত্রমৈত্রীর স্মারকলিপি

সোমবার(১৮ জানুয়ারি) বিকেলে শহীদ ধীরেন্দ্র নাথ দত্ত ভাষা মঞ্চে কেক কেটে এশিয়ান টেলিভিশনের অষ্টম বর্ষপূর্তি উদযাপন করেন জেলা আওয়ামিলীগের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার। এ সময় এশিয়ান টেলিভিশনের পথচলায় সবসময় পাশে থাকার আশাবাদ ব্যক্ত করেন সাধারণ সম্পাদক।

জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্তের সভাপতিত্বে এবং আব্দুল মতিন শিপনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রহিজ উদ্দিন।

এসময় সবাইকে স্বাগত জানিয়ে বক্তব্য রাখেন এশিয়ান টিভির স্টাফ রিপোর্টার হাবিবুর রহমান পারভেজ।

বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অম্রিত লাল সাহা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, গীতিকার ও সুরকার কবি দেওয়ান মারুফ, শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ওসমান গণি সজিব, জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি পীযুষ কান্তি আর্চায্য, জেলা নাগরিক ফোরামের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মোস্তফা মোহসিন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আল-আমীন শাহীন, প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান শাদাত, গণিজন সংবর্ধনা পরিষদের সভাপতি আব্দুল বাসেদ, খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, সময় টিভির ব্যুরো চিপ উজ্জ্বল চক্রবর্তী, দৈনিক যায়যায়দিন স্টাফ রিপোর্টার বাহারুল ইসলাম মোল্লা, কালেরকন্ঠের জেলা প্রতিনিধি বিশ্বজিৎ পাল বাবু, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক চৌধুরী,

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুম বিল্লাহ্, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য মেহেদী হাসান লেলিন, রেদোয়ান আনসারি রিমু ও ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইফতেখার রনি চৌধুরী, সুহিলপুর কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞানের বিভাগীয় প্রধান মুস্তাফিজুর রহমান শিরু, বিশিষ্ট শিল্পপতি বাবুল চৌধুরী, যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধি শফিকুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী সদস্য ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, জাগো নিউজের জেলা প্রতিনিধি আজিজুর রহমান সঞ্চয়, এটিএন নিউজের ক্যামেরা পারসন সুমন রায়, ডেইলি ট্রাইবুনালের জেলা প্রতিনিধি ইফতেখার রিফাত, লাখোকণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি বাহাদুর আলম, ডেইলী বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি চয়ন বিশ্বাস ও রাইজিং বিডির জেলা প্রতিনিধি মহিউদ্দিন রুবেল, স্বাধিকারের সম্পাদক ও প্রকাশক আসাদুজ্জামান আসাদ, দৈনিক আমার সময় উপজেলা প্রতিনিধি সুমন আহমেদ ও দৈনিক যায়যায় কালের স্টাফ রিপোর্টার মো. আজহার উদ্দিন প্রমূহ।

উক্ত কেক কাটা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে এশিয়ান টিভির দর্শক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজসহ নির্বাহী পরিষদের সকল সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

বিভিন্ন রাজতৈনিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, সাংবাদিক, আইনজীবি, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

শুভেচ্ছ বিনিময় ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এশিয়ান টিভির ৮ম বর্ষপূর্তি উদযাপন

botve news:

১৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় এশিয়ান টিভির (জুবলি রোড মধ্যপাড়া) অফিসে এশিয়ান টিভির স্টাফ রিপোর্টার হাবিবুর রহমান পারভেজের সভাপতিত্বে এক সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।

এশিয়ান টিভি ৮ম বর্ষপূর্তিকে সামনে রেখে এশিয়ান টিভি দর্শক ফোরাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার নতুন কমিটি করা হয়। এতে জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ছাত্রনেতা এড: জাহাঙ্গীর হোসেনকে সভাপতি ও সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা: ফাইজুর রহমান ফয়েজকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়।

নতুন কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, হেলাল উদ্দিন হৃদয়, বাছির দুলাল, ইমতিয়াজ পলাশ, নির্জয় হাসান সোহেল, নাগর হান্নান, আতিকুল ইসলাম, নাঈমুর রহমান, সাইমুন কায়সার, রুকন আমীন খান মিশু, আব্দুর রহিম শুভ, সুমন খান, আল আমীন খান, জাহিদ মন্জুর আমান, আফজাল হোসেন, কাজী নাজমুল ইসলাম উজ্জ্বল, রায়হান উল্লাহ রুহুল, সফিকুল হক শাকিল, নুরুল আমীন নুরু, সুমন আহমেদ, হেলাল আহমেদ, আব্দুলাহ আল মামুন, আনোয়ার হোসেন, ইসমাঈল জুম্মান, রোমান আহমেদ, রাজিব হোসেন, বিল্লাল হোসেন, সাইফুল আজিজ সোহেল, ফরহাদ হোসেন জুয়েল, হারুন মোল্লা, সাজু আহমেদ, আব্দুল্লাহ আল-মনির, আনিসুর রহমান রনি অশেষ রায়, জয়নাল আবেদীন, কাজী আল আমীন, আমিন খান, নজরুল ইসলাম, জাকারিয়া হায়দার, মনিরুল ইসলাম শ্রাবন, শেখ রাসেল, ইঞ্জি: আজহার উদ্দিন, আসাদুজ্জান আসাদ, তাজুল ইসলাম শিপন, তমাল আহদেম, ইয়াসীন চৌধুরী, ইমরান মিয়া, আশিকুর রহমান পিয়াস, জয়নাল আবেদীন বিপ্লব, সাইমুন উবায়েদ, ফাহিম মুনতাসির।

সভায় আগামী ১৮ জানুয়ারি সোমবার দেশের প্রথম HD স্যাটেলাইট টেলিভিশন এশিয়ান টিভির ৮ম বর্ষপূতি উপলক্ষে স্হানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পযর্ন্ত নাচ, গান, আবৃত্তি, কেকেকাটা ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে।

এই উপলক্ষে আগামীকাল শুক্রবার বিকাল ৪টায় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে সবর্শেষ প্রস্তুতি সভার পাশাপাশি এশিয়ান টিভি দর্শক ফোরামের পূর্নাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে। এতে সকল সদস্যসহ আগ্রহীদের যথা সময়ে উপস্থিত থাকার জন্য বিনিত অনুরোধ করেছেন এশিয়ান টিভির স্টাফ রিপোর্টার হাবিবুর রহমান পারভেজ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া এশিয়ান টিভি দর্শক ফোরাম: সভাপতি জাহাঙ্গীর ও সম্পাদক ফয়েজ।।

উৎসাহ উদ্দীপনা ও যথাযোগ্য মর্যাদায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪১ তম জন্মদিন পালিত হয়েছে । এ উপলক্ষে শনিবার সকালে ভাসানী চর্চা কেন্দ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি পাঠাগারে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ।

ভাসানী চর্চা কেন্দ্রের সংগঠক সাংবাদিক আবদুন নূর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় অংশ নেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিলাল বণিক, বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হোসাইন আহাম্মদ তফছির, জেলা জাসদ সভাপতি যুদ্ধকালীন কমান্ডার অ্যাডভোকেট আকতার হোসেন সাঈদ, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী মাসুদ আহমেদ, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খান, জেলা জেএসডির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈমুর রেজা মোঃ শাহজাদ, জেলা জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, জেলা জাতীয় কৃষক খেতমজুর সমিতির সভাপতি হাজী আবদস সোবহান মাখন, অনুশীলন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সদস্য আবুল খায়ের, জেলা যুবমৈত্রীর সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ,জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির প্রমুখ।

সভা পরিচালনা করেন ভাসানী চর্চা কেন্দ্রের সংগঠক ও তেল গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মোঃ নাসির ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন,মওলানা ভাসানী ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস অপূর্ণাঙ্গ, ইতিহাসে যার যেটুকু প্রাপ্য তা তাকে দিতেই হবে ।সকল প্রকার দেশীয় শোষণ নির্যাতন ও শোষণের বিরুদ্ধে মওলানা ভাসানী ছিলেন আজীবন আপোষহীন । বৈষম্যহীন সমতাভিত্তিক অসম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লড়াই সংগ্রামে ভাসানী সবসময়ই পথের দিশারী । বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, ’৭২ এর সংবিধানে সন্নেবেশিত চার মূলনীতি অনুযায়ী রাস্ট্র পরিচালিত হলে মৌলবাদী গোষ্ঠী এ ধরণের আস্ফালন দেখাতে সাহস পেতনা । কোন প্রকার আপসকামীতা নয় সংবিধান থেকে রাস্ট্র ধর্ম বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ পরিচালনার জন্য ৭২ এর সংবিধান পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য সরকারে প্রতি দাবি জানানো হয় ।

বক্তারা মওলানা ভাসানী থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রাণ প্রকৃতি তথা জাতীয় সম্পদ রক্ষা এবং সা¤্রাজ্যবাদী শোষণের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ লড়াই সংগ্রামের আহবান জানান। সভা থেকে বন্ধ ঘোষিত পাটকলগুলো সরকারি ব্যবস্থাপনায় পুণরায় চালু করার জন্য দাবি জানানো হয় এবং রাস্ট্রায়ত্ব চিনিকলগুলো ব্যক্তি মালিকানায় না ছাড়াও দাবি জানানো হয় ।

সরাইলের শাহবাজ পুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা দীলিপ নাগের দুটি ঘর রাতের আধাঁরে স্থানীয় স্বাধীনতা বিরোধীর ছেলে প্রভাবশালী ব্যক্তি কর্তৃক গুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে এর বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সরকারে প্রতি দাবি জানানো হয় ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪১ তম জন্মদিন পালিত

botv news:

কুষ্টিয়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ওয়ার্কার্স পার্টির উদ্যোগে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ডাক বাংলো এলাকায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন চলাকালে বিজয়নগর উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রায় মোহন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা সঞ্জয় রায় পোদ্দার, জেলা ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির, ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা বিল¬াল মিয়া, দুলাল মিয়া, আবুল কালাম, সন্তোস মোহন ঋষি, আলি আকাশ, অপূর্ব দেব প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, হেফাজতে ইসলাম মহান মুক্তিযুদ্ধের অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ভুলন্ঠিত করতে সুদূরপ্রসারী চক্রান্ত বাস্তবায়নের পুরানো খেলায় উঠেছে। প্রকৃত অর্থে তারা পাকিস্তানি শাসক চক্রের ন্যায় ধর্মকে ব্যবহার করে দেশে আবারো পাকিস্তানি ভাবাদর্শ প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্র করছে। এরা কৌশলে ভাস্কর্যের বিরোধিতা করলেও, এদের অবস্থান বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে।

বক্তারা আরো বলেন, বাঙালির চেতনায় সাম্প্রদায়িকতার কোনো স্থান নেই। আর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীক। শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় বাঙালির অন্তরে চির দীপ্যমান এক মহান ব্যক্তি। বক্তারা অবিলম্বে^ ৭২এর সংবিধান পুনঃ প্রতিষ্ঠা করে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধের দাবি জানান।

বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রতিবাদে ওয়ার্কার্স পার্টির মানববন্ধন-বিক্ষোভ মিছিল

ফেসবুকে আমরা..