সব পণ্য আমদানি হলে সীমান্তে চোরাচালান প্রতিরোধ হবে


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কে. এম. তারিকুল ইসলাম বলেছেন, স্থলবন্দরগুলো দিয়ে দেশে চাহিদা আছে- এমন সব পণ্য বৈধপথে শুল্কায়নের মাধ্যমে আমদানির ব্যবস্থা চালু করা গেলে সীমান্ত দিয়ে চোরাচালান প্রতিরোধ হবে।
তিনি গতকাল রোববার দুপুর সোয়া ১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থল বন্দর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই দেশের অন্যতম বৃহৎ ও শতভাগ রপ্তানীমুখী আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে নিষিদ্ধ পণ্য ব্যতিত সকল পণ্য আমদানির অনুমতি দেয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন ব্যবসায়ীরা।

তিনি বলেন, পণ্য আমদানির বিষয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তাঁদের প্রত্যাশার কথা জেনেছি। তাঁরা চাচ্ছেন, একেবারে ওপেন করে দিতে, যেন সব ধরণের পণ্য আমদানি করতে পারেন। বৈধপথে, শুল্কায়ন করে আমদানি যদি চালু করা যায়, তাহলে চোরাচালান অটোমেটিক বন্ধ হবে। আমিও আমদানির সুযোগ দেয়ার পক্ষে। তিনি বলেন, সবধরণের পণ্য আমদানির অনুমতি কোনো বন্দরেই নেই। সব স্থলবন্দরের নিজস্ব একটি পণ্য তালিকা আছে। যে এই পণ্যগুলো- এই বন্দর দিয়ে আমদানি হবে। স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী ব্যবসায়ীরা তালিকা দিক, একেবারে ওপেন না হলেও এনবিআর এ বিষয়টি অবশ্যই বিবেচনা করবে।
এ সময় স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খাঁন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশ্রাফ আহমেদ রাসেল, জেলা ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা অঞ্জন দাস, আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ সাইফুল ইসলাম, আখাউড়া স্থলবন্দর শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ আলী, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোবারক হোসেন ও স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
###

One response to “সব পণ্য আমদানি হলে সীমান্তে চোরাচালান প্রতিরোধ হবে”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     এই বিভাগের আরো খবর

ফেসবুকে আমরা..