স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া:
কালজয়ী উপন্যাসিক “তিতাস একটি নদীর নাম” উপন্যাসের রচয়িতা অমর কথাশিল্পী অদ্বৈত মল্লবর্মনের জন্মভিটায় ২য় বারের মতো অনুষ্ঠিত হবে অদ্বৈত গ্রন্থমেলা-২০২৪। মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়ে চলবে বৃহস্পতিবার পযর্ন্ত। এবারের মেলায় অদ্বৈত পুরস্কার পাচ্ছেন অধ্যাপক শান্তুনু কায়সার (মরণোত্তর)। তিনি লেখালেখির পাশাপাশি অদ্বৈত গবেষক হিসেবে অসামান্য অবদানের জন্য তাকে মরণোত্তর এই সম্মাননা প্রদান করা হচ্ছে। তিনি ২০১৭ সালের ১২ এপ্রিল মৃত্যূবরণ করেন।

“শান্তনু কায়সার চাদঁপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলার সাজনমেঘ গ্রামের মুন্সীবাড়িতে ১৯৫০ সালের ৩০ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা সিরাজুল হক ও মা মাকসুদা খাতুন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষে অধ্যাপনাকে জীবনের ব্রত হিসেবে নেন। বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শেষে অবসরের পর তিনি কুমিল্লা নগরীতে থাকতেন এবং লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৪৫টি। তিনি ২০১৪ সালে প্রবন্ধে বাংলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন”। 

অদ্বৈত মল্লবর্মন স্মৃতি গ্রন্থাগার ও গবেষনা কেন্দ্রের আয়োজনে ২০ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় পৌর এলাকার গোকর্ণঘাটে প্রধান অতিথি হিসেবে তিনদিনব্যাপী মেলা উদ্বোধন করবেন বরন্যে কথাশিল্পী ও বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেন।

আজ ১৯ ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে গ্রন্থমেলার আহবায়ক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আ. কুদদুস সাংবাদিক সম্মেলনে একথা বলেন।

পুরষ্কার কমিটির আহবায়ক কবি জয়দুল হোসেন জানান, এবারের মেলায় (অদ্বৈত পুরষ্কার-২০২৪) পাচ্ছেন অদ্বৈত গবেষক অধ্যাপক শান্তুনু কায়সার (মরণোত্তর)। পুরষ্কার হিসেবে থাকছে উত্তরীয়, সনদ ও নগদ ২৫ হাজার টাকা।

এছাড়া তিনদিন ব্যাপি এই  বই মেলায় ভারত ও বাংলাদেশের কবি সাহিত্যিকরা অংশ নেবেন। ২০টি স্টলে বই বিক্রির পাশাপাশি মঞ্চে আলোচনা, কবিতা পাঠ, দলীয় আবৃত্তি, সংগীত পরিবেশন ও বাউল গান অনুষ্ঠিত হবে। সব মিলিয়ে এই মেলা  সাংস্কৃতিক উৎসবে রূপ নিবে বলে আয়োজকরা আশা করছেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে প্রেসক্লাব সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা সহ প্রেসক্লাবের প্রবীন নবীন সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

এবার অদ্বৈত পুরস্কার পাচ্ছেন অদ্বৈত গবেষক অধ্যাপক শান্তুনু কায়সার

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনশত বছরের প্রাচীন শ্রী শ্রী কালভৈরব মন্দিরে ৫দিনব্যাপী বার্ষিক মহাযজ্ঞ মহোৎসব শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার শহরের পূর্ব মেড্ডা এলাকায় বৈদিক পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ৫দিন ব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসব উদ্বোধন করেন মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পুরোহিত ও ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনের পর দুপুরে জীব জগতের কল্যান কামনায় সপ্তশতী চন্ডী মহাযজ্ঞ শুরু হয়। এতে দেশ- বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ভক্তরা যজ্ঞের আহুতি হিসেবে ফল, ফুল, দুর্বা, বেলপাতা সহ বিভিন্ন পূজার সামগ্রী যজ্ঞ স্থলে প্রদান করেন।
এদিকে ৫দিনব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসবকে কেন্দ্র করে কালভৈরব মন্দিরের আশপাশ এলাকা ও তিতাস নদীর তীরে বসেছে লোকজ মেলা। মেলায় নাগর দোলা সহ খেলনা সামগ্রী ছাড়াও মাটির তৈরী হরেক রকমের সামগ্রীর পন্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত চলে এই উৎসব।
যজ্ঞের প্রধান পুরোহিত শ্রী মধুসূধন চক্রবর্তী বলেন, কালভৈরব মন্দির প্রাঙ্গনে এবার ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হচ্ছে। পাঁচদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আজ প্রথম দিন। এবারে বিশেষ আকর্ষনে চন্ডী মায়ের অপর রূপ বগলামুখী মায়েরও পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যজ্ঞের অতিথি পুরোহিত ভারতের ত্রিপুরা থেকে আগত অনুপম ভট্টাচার্য্য বলেন, আপনারা দেখবেন ২০২৩ সালে সারা বিশ্বে অনেক ঘটনা ঘটছে। যা আমরা চিন্তা করতে পারিনা। ২০২৩ জাতি ও জীবের জন্য ভয়ঙ্কর সন্ধিক্ষণ । শনি মহারাজ এবার কুম্ভের ঘরে। আমরা যজ্ঞ করি কারণ এই যজ্ঞের ধ্বনি মহাকাশে গিয়ে প্রতিধ্বনির সৃষ্টি করে। মহাকালকে তুষ্ট করার জন্যই এই যজ্ঞ করা হয়।

এ ব্যাপারে কালভৈরব মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য্য জানান, জীব ও জগতের শান্তি কামনায় প্রতি বছর যজ্ঞ অনুষ্ঠান হচ্ছে। যজ্ঞকে কেন্দ্র করে এবারো দেশ বিদেশের ভক্তরা মন্দিরে সমবেত হয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কালভৈরব মন্দিরে ৫দিনব্যাপী মহাযজ্ঞ মহোৎসব শুরু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনলাইন টিভি ডেস্কঃ

কিছুদিন ধরেই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোতে বেশ প্রচার করছিল ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ম্যানচেস্টার ম্যান সিটিতে যোগ দিচ্ছেন। কিন্তু সময়ের অন্যতম সেরা এ তারকা দিন শেষে ফিরলেন সাবেক ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। শুক্রবার রেড ডেভিলরা নিজেদের ওয়েবসাইটে এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে ইংলিশ জায়ান্টরা জানিয়েছে, ‘ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এটি নিশ্চিত করতে পেরে খুশি কারণ, ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর ট্রান্সফার নিয়ে জুভেন্টাসের সাথে আলোচনা করে চূড়ান্ত করা হয়েছে৷  আর ক্লাবের সবাই ক্রিস্তিয়ানোকে ম্যানচেস্টারে স্বাগতম জানাতে অস্থির হয়ে রয়েছে।’

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর তথ্যানুযায়ী, ৩৬ বছর বয়সী এ তারকাকে ক্লাবে ফিরিয়ে আনতে ইউনাইটেডকে খরচ করতে হয়েছে ২০ মিলিয়ন ইউরো। এছাড়াও অন্যান্য কারণে আরও ৮ মিলিয়ন ইউরো সহ মোট ২৮ মিলিয়ন ইউরো খরচ হবে তাদের। সাবেক ক্লাবে দুই বছরের চুক্তিতে রোনালদোর বার্ষিক বেতন হবে ১৫ মিলিয়ন ইউরো।

সিটির নামটি সবচেয়ে বেশি আলোচিত হয় রোনালদো জুভেন্টাস ছাড়তে চাওয়ার পর থেকে। তবে শুক্রবার হঠাৎ পাল্টে যায় চিত্র৷ শেষ মুহূর্তে নাম আসে তার সাবেক ক্লাব ইউনাইটেড। ইউনাইটেড এক দিনের মধ্যে সব চূড়ান্ত করে ফিরিয়ে আনে রোনালদোকে৷

রোনালদো ২০০৩ সালে প্রথম দফার মধ্য দিয়ে স্পোর্টিং লিসবন থেকে ইউনাইটেডে যোগদিয়েছিলেন৷  তখন রোনালদো  ছিলেন একজন অখ্যাত খেলোয়াড়। কিন্তু ইউনাইটেডের জার্সি গায়েই তিনি বদলে যান৷ গড়ে তুলেন নতুন এক ইতিহাস। ২০০৯ সাল পর্যন্ত ছয়টি মৌসুম কাটিয়ে ২৯২টি ম্যাচে ইউনাইটেডের জার্সিতে গায়ে মাঠে নেমে ১১৮টি গোল করেছেন৷

এরপর যোগ দেন রিয়াল মাদ্রিদে। এ  পর্তুগিজ তারকা সেখান থেকে জুভেন্টাস ঘুরে ১২ বছর পর পুনরায় লাল দুর্গে ফিরেছেন। এবং সাবেক ক্লাব তাকে পেয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত৷

ক্রিস্তিয়ানো জিতেছেন পাঁচটি ব্যালন ডি’অর৷ নিজের ক্যারিয়ারে জিতেছেন ৩০টি শিরোপা। তার মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগই পাঁচবার জিতেছেন । চারটি ক্লাব বিশ্বকাপ, ইংল্যান্ড, স্পেন ও ইতালির লিগ মিলিয়ে মোট জিতেছেন সাতটি শিরোপা।সেই সাথে নিজের দেশ পর্তুগালের হয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপও জিতেছেন এ তারকা।

শেষ পর্যন্ত ইউনাইটেডই ফিরলেন রোনালদো 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনলাইন টিভি ডেস্কঃ

প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) শেষ পর্যন্ত কিলিয়ান এমবাপের কাছে হেরেই যাচ্ছে। এই ফরাসি তরুণ একের পর এক নতুন চুক্তির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিচ্ছেন। সেজন্য ক্লাবটিকে বাধ্য হয়েই তার জন্য বিভিন্ন ক্লাবের দেওয়া প্রস্তাব গ্রহণ করতে হচ্ছে। ফলে এগিয়ে রয়েছে স্প্যানিশ জায়ান্ট রিয়াল মাদ্রিদ। ফরাসি গণমাধ্যমে এমন সংবাদই প্রকাশ পেয়েছে।

অনেক বছর আগ থেকেই রিয়াল মাদ্রিদ এমবাপেকে নজরে রেখেছে। বিশেষ করে  সবচেয়ে বেশি ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে অসাধারণ পারফরম্যান্সের পর থেকেই তাকে পেতে মরিয়া হয়ে আছে দলটি। কিন্তু এ কারণে তার ক্লাব পিএসজি শুরু থেকেই বাঁধ সাধছে। বর্তমান সময়ের  অন্যতম সেরা তরুণকে হাতছাড়া করতে রাজী নয় ক্লাবটি। আর চলতি মৌসুম শেষেই তাদের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে এমবাপের। পিএসজি চাইলেও আগামী মৌসুমে তাকে আটকে রাখতে পারবে না৷

তাই সেই সুযোগটাই কাজে লাগাতে চাইছেন এমবাপে। এখন যদি তাকে ছেড়ে না দেওয়া হয় তাহলে আগামী মৌসুমে পিএসজিকে তাকে ছাড়তেই হবে৷ সেজন্য বিনা পয়সায় ছেড়ে দেওয়ার থেকে এমবাপ্পেকে এ মৌসুমে বিক্রি করে দেওয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই রিয়ালের দেওয়া এই প্রস্তাবকে বিবেচনা করতে হচ্ছে ফরাসি ক্লাবকে। ফরাসি সংবাদমাধ্যম আরএমসি স্পোর্টস জানিয়েছে, ট্রান্সফার উইন্ডো শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই পিএসজি তাকে বিক্রি দেওয়ার চিন্তা করছে৷

রিয়াল মাদ্রিদ এমবাপের অপেক্ষায় চলতি মৌসুমে এখন পর্যন্ত খরচ করে কোন খেলোয়াড় কিনেনি৷ ক্লাবটি একজন বড় তারকা কেনার আশায় রয়েছে। সেই সাথে ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর শূন্যতা পূরণও করতে চাইছে রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু তিন বছর পার হয়ে গেলেও রোনালদোর শূন্যতা পূরণ এখনও করতে পারেনি ক্লাবটি। এবং সে শূন্যতা পূরণ করতে একমাত্র এমবাপেই পারেন বলে তাদের বিশ্বাস৷ রিয়াল শেষ পর্যন্ত যদি তাকে না পায় তাহলে বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের আর্লিং হালান্ডের পেছনে লাগতে পারে। আরেকদিকে আরএমসির সংবাদ অনুযায়ী, এমবাপে যদি পিএসজি ছাড়েন, তাহলে দলটি এমবাপ্পের শূন্যতা পূরণ করার জন্য জুভেন্টাস থেকে রোনালদোকে কেনার চিন্তা করছে। যদি এমটি হয় তাহলে মেসি-রোনালদোর স্বপ্নের জুটিও দেখতে পারে ফুটবল বিশ্ব।

সূত্রঃ মুহূর্ত টিভি 

এমবাপ্পে কি রিয়ালের অংশ হবে?

ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনলাইন টিভি ডেস্কঃ

তিন সন্তানের নীতিটি চূড়ান্ত অনুমোদনের দ্বারা এটিকে আইনে পরিণত করেছে চীন । শুক্রবার দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা সিনহুয়া নিউজে চীনের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় পার্লামেন্ট ন্যাশনাল পিপলস কংগ্রেসের (এনপিসি) এক বৈঠকে দেশটির শীর্ষ আইন প্রণেতাদের সম্মতিতে এ আইন পাস হয়৷

পৃথিবীর সবচেয়ে জনবহুল দেশ চীন গত শতকের সত্তরের দশকে থেকেই এক সন্তান আইন নিয়মটি চালু করেছিল। আইনের প্রধান উদ্দেশ্যই ছিল জন্মহার নিয়ন্ত্রণের দ্বারা জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ। এই আইনের আওতায় যদি কোনো দম্পতি একজনের বেশি সন্তান নিতেন, তাহলে সেই দম্পতিকে আর্থিক জরিমানাসহ পড়তে হতো নানা হয়রানি৷

দীর্ঘদিন এই আইনটি চালু রাখার কারণে একসময় দেশটিতে জন্মহারের ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করে। বয়সের অনুপাতে জনবিন্যাসের ভারসাম্য নষ্ট হওয়ার উপক্রম শুরু হয় এবং সেই সাথে কর্মক্ষম যুবশক্তির পরিমাণ ও ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়।

এরপর ২০১৬ সালে চীন সেই আইনটি সংশোধন করে দুই সন্তান নীতি চালু করে; কিন্তু সেই আইন পরিবর্তন করা হলেও নিম্নমুখী জন্মহারের সেই রেখচিত্রটি কাঙ্খিতমাত্রায় আর ঊর্ধ্বমুখী করা যায়নি।

এর ফলে, আইনে পুনরায় পরিবর্তন আনতে চলতি বছরের মে মাস থেকে তিন সন্তান নীতি চালুর আলোচনা শুরু হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত শুক্রবার সেটি আইনে পরিণত হয়েছে। এনপিসির আইন প্রণেতারা শুক্রবার নতুন এই আইন প্রণয়নের পাশাপাশি বৈঠকে সন্তান জন্মদান কালীন মাতৃত্ব ও পিতৃত্ব ছুটি বাড়ানোর জন্য, চাকরিতে নারীদের অগ্রাধিকার ও শিশুর যত্ন এবং সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর যত অবকাঠামোগত (চাইল্ডকেয়ার) কাজ রয়েছে সেগুলো উন্নয়নের প্রস্তাবও অনুমোদন করেছেন৷

 

সূত্রঃ মুহূর্ত টিভি 

তিন সন্তান নীতির আইন চীনে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনলাইন টিভি ডেস্কঃ
বর্তমান যগের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক তাদের সাইটে তালেবান সমর্থিত সব ধরণের কন্টেন্ট নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। সেই সাাথে তারা গোষ্ঠীটিকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবেও বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে  এ বিষয়টি জানায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ফেসবুকের তালেবানদের প্রতি সমর্থনমূলক বিষয়বস্তু পর্যবেক্ষণ  এবং অপসারণের জন্য নিবেদিত দল রয়েছে৷ তারা কন্টেন্টগুলো সরানোর কাজ করছে।  ইনস্টাগ্রাম ও হোয়াটসঅ্যাপের ক্ষেত্রেও এ নীতি প্রযোজ্য হবে৷

বিবিসিকে ফেসবুকের এক মুখপাত্র বলেন,  তালেবানকে মার্কিন আইনে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। সেই সাথে ‘বিপজ্জনক সংস্থা’ নীতির আওতায়ও আমরা আমাদের সব পরিষেবা থেকে তাদেরকে নিষিদ্ধ করেছি।

তিনি আরও বলেন, আমরা তালেবানদের পক্ষ থেকে বা তাদের রক্ষণাবেক্ষণ করা অ্যাকাউন্টগুলোকে সরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। তাদের প্রশংসা, সমর্থন ও প্রতিনিধিত্বকারী যত লেখা ও ভিডিও কন্টেন্ট আছে সেগুলোও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

এর আগে দু’দিন যাবত ফেসবুকে আফগানিস্তান বিষয়ে পোস্ট দেওয়ার সাথে সাথে মুছে যাচ্ছে এমন অভিযোগ করা হয়েছিল। যথাযথ উত্তর না পাওয়া গেলেও এমনটি কেন হচ্ছিল তা পরিষ্কার করে দিয়েছে ফেসবুক।

সূত্রঃ মুহূর্ত টিভি 

তালেবানের সব ধরণের কন্টেন্ট ফেসবুক থেকে নিষিদ্ধ ঘোষণা 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনলাইন টিভি ডেস্কঃ
বার্সেলোনার সাথে দীর্ঘ একুুশ বছরের পথচলায় নিজের নামের সাাথে জার্সির নম্বরটাও যুক্ত হয়েছিল লিওনেল মেসির। যেটি হয়েছিল একটি ব্র্যান্ড। কিন্তু সেইসব এখন হয়ে গেছে অতীত। লিওনেল মেসি এখন পিএসজি পরিবারের সদস্য এবং  সেইখানে তার জার্সি নম্বর হচ্ছে ৩০। বন্ধু নেইমার তার নিজের থাকা ১০ নম্বর জার্সিটা ছেড়ে দিতে চাইলেও আপত্তি জানান মেসি, নেননি সেই ১০ নম্বর জার্সি। বর্তমানে ১০ নম্বর জার্সি নেইমারের কাছেই আছে। কিন্তু বার্সার সেই ১০ নম্বর জার্সিটার কী হবে এখন?

মেসির ভক্তদের দাবি, প্রিয় এই তারকার জার্সিটা বার্সেলোনা যেন একেবারে অবসরে পাঠিয়ে দেয়। যেমন ইতালির ক্লাব নাপোলি কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনার ১০ নম্বর জার্সিটা অবসরে পাঠিয়েছিল। লিগের নিয়মের কারণে আবারও সেটা ফেরত আনতে হয়েছে। বার্সেলোনাও সেই কারণে মেসির জার্সি অবসরে পাঠাতে পারছে না। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে বিখ্যাত এই ১০ নম্বরের জার্সি  কার গায়ে চাপতে যাচ্ছে?

 

এ প্রশ্নের জবাবে ব্রাজিলিয়ান তারকা ফিলিপে কুতিনহোর নাম শোনা যাচ্ছে। অবশ্য এই নম্বরটা পাওয়ার জন্য একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল তরুণ ফরোয়ার্ড রেই মানাজের। কিন্তু রবিবার নিবন্ধন শেষে বার্সেলোনা টুইট করে জানিয়েছে, মানাজকে দেওয়া হয়েছে ১৪ নম্বর জার্সিটি। এবং সেটির পর পরই গুঞ্জন শুরু হয়েছে, ১০ নম্বর কি কুতিনহো পাচ্ছেন নাকি অন্য কেউ? কারণ গত মৌসুমে কুতিনহোর জার্সির নম্বর ছিল ১৪৷

লিভারপুলের ১০ নম্বর জার্সি পরতেন বর্তমানে ইনজুরিতে মাঠের বাহির থাকা ব্রাজিলিয়ান খেলোয়াড় কুতিনহো। লিওনেল মেসি চলে যাওয়ার পর এখন বার্সেলোনায় প্লেমেকার হিসেবে তার পারফর্ম করার সুযোগ আগের থেকে আরও অনেকটাই বেড়ে গেছে। সেজন্য স্প্যানিশ ফুটবল পত্রিকা ‘মার্কা’ বলছে, ১০ নম্বর জার্সি পেতে যাচ্ছেন কুতিনহোই। অবশ্য ৩১ই আগস্ট পর্যন্ত জার্সি অদল-বদল করার সুযোগ রয়েছে। সেই ক্ষেত্রে কুতিনহো ফেরত পেতে পারেন ১৪ নম্বর জার্সি।

 

মেসির ১০ নাম্বার জার্সির মালিক এখন কুতিনহো

ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনলাইন টিভি ডেস্কঃ
দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার মতো নিউজিল্যান্ডও বাংলাদেশে সফর করবে।নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট (এনজেডসি)
বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দল ঘোষণা করেছে। সেই সাথে তারা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ স্কোয়াডের ঘোষণা করে দিয়েছে। বিশ্বকাপ দলের কেউই বাংলাদেশে আসা কিউইদের ১৪ সদস্যের স্কোয়াডে নেই। বাংলাদেশ সফরের পরই পাকিস্তান সফরে যাবে নিউজিল্যান্ড।
আঠারো বছর পর পাকিস্তানে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলবে নিউজিল্যান্ড৷ কিউইরা পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ খেলবে।এনজেডসি টানা জৈব সুরক্ষা বলয়ের ধকল এড়ানোর জন্য এবং আইপিএলে কেন উইলিয়ামসন, কাইল জেমিসন ও ট্রেন্ট বোল্টদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্যই বাংলাদেশ সফরে এই প্রথম সারির ক্রিকেটারদের পাঠাচ্ছে না।

নিউজিল্যান্ড পাকিস্তান সফরের পর ভারতের মাটিতেও টেস্ট সিরিজ খেলবে। টম ল্যাথাম বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সফরে নিউজিল্যান্ডের নেতৃত্ব দেবেন। বরাবরের মতই কেন উইলিয়ামসন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলের অধিনায়ক থাকবেন।

 

নিউজিল্যান্ডের বিশ্বকাপ দলে আছেন মিচেল স্যান্টনার, টড অ্যাস্টল, ইশ সোধি, জিমি নিশাম, ড্যারিল মিচেল, ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সৌদি, লকি ফার্গুসন, কাইল জেমিসন, টিম সাইফার্ট, মার্টিন গাপটিল ও ডেভন কনওয়েরা। তারা বাংলাদেশ সফরে আসবেন না, এবং পাকিস্তানে ওয়ানডে সিরিজেও যাবে না৷
অ্যাডাম মিলনেকে পনের সদস্যের বিশ্বকাপের দলের বাইরে বাড়তি সদস্য হিসেবেও রাখা হয়েছে। বিশ্বকাপের দলে থাকা গাপটিল, চ্যাপম্যান, অ্যাস্টল ও সোধি বাংলাদেশে না আসলেও পাকিস্তানে টি-টোয়েন্টি সিরিজে যাবেন৷
নিউজিল্যান্ডের বাংলাদেশের বিপক্ষে পাঁচ টি-টোয়েন্টির সিরিজ শুরু ১ সেপ্টেম্বর থেকে, এবং পাকিস্তানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু ১৭ই সেপ্টেম্বর ও ওয়ানডে সিরিজ ২৫শে সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হবে৷
বাংলাদেশ সফরের নিউজিল্যান্ড দল সমূহঃ
টম ল্যাথাম (অধিনায়ক), হামিশ বেনেট, ফিন অ্যালেন, টম ব্লান্ডেল, ডগ ব্রেসওয়েল, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, জ্যাকব ডাফি, কোল ম্যাককনকি, স্কট কুগালাইন, হেনরি নিকোলস, এজাজ প্যাটেল, রচিন রবীন্দ্র, বেন সিয়ার্স, উইল ইয়াং, ব্লেয়ার টিকনার।
নিউজিল্যান্ডের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল সমূহঃ
কেন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক) ,ট্রেন্ট বোল্ট, টড অ্যাস্টল, ডেভন কনওয়ে, মার্ক চ্যাপম্যান, লকি ফার্গুসন, মার্টিন গাপটিল, কাইল জেমিসন, ডেরিল মিচেল, জিমি নিশাম, মিচেল স্যান্টনার, গ্লেন ফিলিপস, টিম সাইফার্ট, ইশ সোধি, অ্যাডাম মিলনে (১৬তম সদস্য)।
সূত্রঃ মুহূর্ত টিভি

অস্ট্রেলিয়ার পর এবার নিউজিল্যান্ডও দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে বাংলাদেশে আসছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনলাইন টিভি ডেস্কঃ
কিছুদিন আগে ঘরের মাঠে মারাকানায় কোপা আমেরিকার শিরোপাটি হারিয়েছে ব্রাজিল। সেদিন কাছের বন্ধু লিওনেল মেসিকে জড়িয়ে ধরে নেইমারের কান্না অনেকের হৃদয়কে ছুঁয়ে গেছে। বর্তমানে এই সময়টা তাদের জন্য খুুুবই কষ্টকর এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু নেইমার হচ্ছে অন্য ধরণের মানুষ। নেইমার হচ্ছেন  ভীষণ আমুদে। তার মনে যত দুঃখ কষ্টই থাকুক না কেন, তিনি জীবনটাকে উপভোগ করতে পছন্দ করেন৷
আর সেই পছন্দ থেকেই এবার নেইমার কিনে ফেলেছেন মার্সিডিজ হেলিকপ্টার৷  এটা কিনতে নেইমারের গুনতে হয়েছে ১ কোটি পাউন্ড! যার বাংলাদেশি মুদ্রায় পরিমাণ হচ্ছে ১১৭ কোটি টাকা। এইচ-১৪৫ মডেলের এই মার্সিডিজ ব্র্যান্ডের এই হেলিকপ্টার একদমই নতুন। ধারণা করা হচ্ছে বিখ্যাত কমিক চরিত্র ব্যাটম্যানের ‘ব্যাটমোবাইল’- এর আদলেই এই হেলিকপ্টারটির ডিজাইন করা হয়েছে।
ডিজাইন এবং দামের কারণেই নেইমারের এই নতুন হেলিকপ্টার নিয়ে চলছে এত তোলপাড়। নেইমার ডিসি কমিকসের অনেক বড় একজন ভক্ত। সেজন্যই ধারণা করা হচ্ছে তিনি এই বিশেষ হেলিকপ্টারটি কিনেছেন৷
নেইমার মার্সিডিজ ব্র্যান্ডের এই হেলিকপ্টারটিকে তার নিজের মতো করে সাজিয়েছেন। এর পেছনে লাগানো আছে নেইমারের লোগো। এবং সেই হেলিকপ্টারটি রিও ডি জেনিরোয় নিজের বাড়ির সামনের বাগানে রেখে ছবি তুলেছেন ব্রাজিলিয়ান এই সুপারস্টার। সেই ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট হওয়ার কিছু সময়ের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়।
সূত্রঃ মুহূর্ত টিভি

নেইমারের নতুন হেলিকপ্টারের দাম ১১৭ কোটি টাকা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তাঁর শরীরে কোনো উপসর্গ নেই। তিনি বর্তমানে তাঁর সরকারি বাসভবনের হোম আইসোলেশনে রয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার সকালে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে র‌্যাপিড এন্টিজেন টেস্ট করার পর রিপোর্টে তাঁর করোনাভাইরাস পজেটিভ আসে। পরে বিকেলে পিসিআর ল্যাব থেকেও করোনা পজেটিভ রিপোর্টে আসে। এর আগে জেলা প্রশাসকের স্ত্রী ও ছেলে করোনায় আক্রান্ত ছিলেন।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার সকালে স্ত্রী ও ছেলের সাথে নিজের নমুনা দেন জেলা প্রশাসক স্যার। রিপোর্টে জেলা প্রশাসক স্যারের করোনা পজেটিভ আসে। এছাড়া বিকেলে পিসিআর ল্যাবের রিপোর্টেও করোনা পজেটিভ রিপোর্টে আসে। তিনি বর্তমানে নিজ বাসভবনে হোম আইসোলেশনে আছে।

এদিকে পবিত্র ঈদ-উল আযহার প্রধান জামাত জেলা জামে মসজিদে জেলা প্রশাসকের করোনা মুক্তির জন্য বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন করোনা পরিস্থিতি শুরু থেকে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে কাজ করছেন। জেলায় লক ডাউন কার্যকরে কাজ করা, কর্মহীন মানুষের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সহায়তা প্রদান, ভারত থেকে আসাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের হাসপাতালে আইসোলেশন, কোয়ারিন্টেনসহ যাবতীয় কার্যাবলী তদারকি করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান করোনায় আক্রান্ত

ফেসবুকে আমরা..