স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়া হেফাজতে ইসলামের তান্ডব ও সহিংসতার দুইমাসের মধ্যেই ১৩ জন এসআইকে জনস্বার্থে ও প্রশাসনিক কারনে বদলি করা হয়েছে। জনস্বার্থে ১০ জন এসআইকে ও বাকি ৩ জন এসআইকে প্রশাসনিক কারণে বদলি করা হয়েছে।

আগামী ২৯ মে এর মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদানের জন্য ছাড়পত্র নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় ৩০ মে থেকে তাৎক্ষণিক অবমুক্ত হিসেবে গণ্য হবেন বলে ওই আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।

এই প্রথম একযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশে কর্মরত ১৩ জন উপ-পরিদর্শককে (এসআই) একযোগে বদলি করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ মে) দুপুরে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জ উপ-মহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কার্যালয় থেকে করা বদলির আদেশটি পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এসে পৌঁছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মো. রইছ উদ্দিন ১৩ এসআইয়ের বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বদলিকৃত এসআইদের মধ্যে বিউটি রানী দাস, বজলুর রহমান খাঁন, মো. হুমায়ূন কবির, মো. আমির হামজা ও এস. এম. আতিকুজ্জামান এবং মো. তোফাজ্জল হোসেনকে রাঙামাটি পার্বত্য জেলায়, তপু সাহা ও মোহাম্মদ জয়নাল আবেদীনকে বান্দরবান পার্বত্য জেলায় এবং মো. মতিউর রহমান ও মো. শাহ সাব খাঁনকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় বদলি করা হয়েছে। এছাড়াও এসআই মো. শফিকুল ইসলামকে লক্ষ্মীপুর, মো. মিজানুর রহমানকে চাঁদপুর এবং মো. নুরুল আমিনকে নোয়াখালী জেলায় বদলি করা হয়েছে। এদের মধ্যে শফিকুল, মিজানুর ও নুরুল আমিনের বদলির ধরন প্রশাসনিক কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। আর বাকিদের বদলি জনস্বার্থে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রইছ উদ্দিন বলেন, বদলির ধরনে জনস্বার্থে হলো- নিয়মিত বদলির অংশ। এক জায়গায় দীর্ঘদিন হয়ে গেলে নিয়মিত বদলি হিসেবে জনস্বার্থে বদলি করা হয়। আর প্রশাসনিক কারণে বদলি হলো- নিয়মিত বদলির সময় হয়নি। কিন্তু প্রশাসনিক স্বার্থে মনে হচ্ছে- তার এখানে থাকার যোগ্যতা নেই, তাকে অন্য জায়গায় বদলি করাটাই শ্রেয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের সহিংসতার ২মাসের মধ্যেই ১৩ এসআই বদলি


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অস্ত্রপচার ছাড়াই এক প্রসূতি মা মস্তিকবিহীন (মাথার খুলি ও মগজ ছাড়া) একটি কন্যা শিশুর জন্ম দিয়েছেন। গত সোমবার বিকেল ৫টায় ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে এই শিশুটি জন্ম নেয়। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত শিশুটি জীবিত ও তার মা সুস্থ্য আছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের গাইনী বিভাগের চিকিৎসক মাহফিদা আক্তার বলেন, এই ধরনের শিশু জন্মগতভাবে ত্রুটি নিয়েই জন্ম গ্রহণ করেন। এই ধরণের শিশুর মাথার খুলি ও মগজ থাকে না। এই ধরনের শিশুকে এনেনসেফালি বা মস্তিষ্কবিহীন শিশু বলে। এই ধরনের শিশুকে বাঁচানো ইতিহাস নেই। শিশুটিকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে তবে মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত শিশুটির অভিভাবক তাকে ঢাকায় নিয়ে যায়নি।
হাসপাতাল ও নবজাতকের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগরের শহীদ মিয়ার মেয়ে তানজিনা বেগমের সাথে গত দুই বছর আগে একই উপজেলার ভলাকূট ইউনিয়নের ভলাকুট গ্রামের সফিল উদ্দিনের ছেলে জসিম উদ্দিনের বিয়ে হয়। প্রায় ১ বছর আগে তানজিনা অন্তঃসত্ত্বা হন। এরপর থেকে তিনি বিভিন্ন গাইনি চিকিৎসকের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তানজিনা যখন সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা তখন গাইনি চিকিৎসক তার আল্ট্রাসনোগ্রাফি করেন। তখন তাকে জানানো হয় যে, গর্ভে থাকা শিশুটি জন্মের পর শারীরিকভাবে অসুস্থ হবে এবং তার মাথার খুলি হবেনা। কিন্তু চিকিৎসকের সেই কথা তানজিনার শ্বশুর বাড়ির লোকজন বিশ্বাস করেননি। গত সোমবার দুপুরে তানজিনার প্রসবজনিত ব্যাথা উঠে। পরিবারের লোকজন তাকে দুপুর আড়াইটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করান। বিকেল পাঁচটার দিকে গাইনি বিভাগের মাহফিদা আক্তারের তত্ত্বাবধানে স্বাভাবিকভাবে তানজিনা মস্তিষ্ক বিহীন কন্যা শিশুটি জন্ম দেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের গাইনী বিভাগের চিকিৎসক মাহফিদা আক্তার বলেন, তানজিনা আট মাসের অন্তঃসত্ত্ব ছিলেন। তিনি বলেন, এ ধরনের শিশুগুলো সচরাচর ২৪ ঘণ্টা থেকে ৪৮ ঘণ্টা বেঁচে থাকে। শিশুটিকে ঢাকা শিশু হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। তবে শিশুটিকে এতোদিন গর্ভে রেখে এতদূর আনার কোনো দরকার ছিল না। আমাদের কাছে আসলে ১৪ সপ্তাহ গর্ভবতী থাকাকালীন সময়ে তানজিনার একটা আল্ট্রাসনোগ্রাফি করিয়ে শিশুটির অবস্থা জানতে পারতাম। তখনই কোনো পদক্ষেপ নেয়া যেত। তিনি বলেন, ‘শিশুটির এই জন্মগত ত্রুটি বা বিকলাঙ্গের অন্যতম কারণ হলো ফলিক অ্যাসিডের অভাব। অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার আগে থেকেই মায়েদের ফলিক অ্যাসিডের বড়ি খাওয়া শুরু করা প্রয়োজন।
এ ব্যাপারে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ শওকত হোসেনের সাথে মঙ্গলবার বিকেলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, শিশুটিকে ঢাকায় রেফার করা হয়েছে তবে শিশুটিকে তার অভিভাবকরা ঢাকায় নিয়ে যায়নি। মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত শিশুটি জীবিত আছে। তিনি বলেন, এ ধরনের শিশু ১/২ দিনের বেশী বাঁচেনা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাথার খুলিবিহীন কন্যা শিশুর জন্ম লাভ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে শেফা আক্তার-(৮) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আজ বিকেল ৪টায় পৌর এলাকার গোকর্ণঘাট গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত শেফা আক্তার পৌর শহরের পুনিয়াউট গ্রামের কাসেম মিয়ার মেয়ে। সে তৃতীয় শ্রেনীর শিক্ষার্থী ছিলো।
পারিবারিক সূত্র জানায়, অসুস্থ্য নানীকে দেখতে মঙ্গলবার সকালে শেফা তার মায়ের সাথে গোকর্ণঘাট নানার বাড়িতে যায়। দুপুরে নানা বাড়ি এলাকার অন্যান্য শিশুদের সাথে পুকুরে গোসল করার সময় হঠাৎ পানিতে তলিয়ে যায় সে।
খবর পেয়ে স্থানীয়রা পুকুরে নেমে অনেক খোঁজাখুঁজির পর পানির নীচ থেকে তাকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরতদ চিকিৎসক ফাইজুর রহমান ফয়েজ বলেন,শেফাকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৪ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৪৮৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৪ জন গ্রেফতার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে মোঃ সোহেল হোসেন-(৩০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চাঁনপুর এলাকার রেললাইনের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত সোহেল হোসেন কুমিল্লা জেলার চৌদ্দগ্রামের চাঁন মিয়ার ছেলে।

আখাউড়া রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানান, বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় লোকজন রেললাইনের পাশে লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। তিনি বলেন, ধারনা করা হচ্ছে সোহেল হোসেন কোন মালবাহী ট্রেনের নীচে কাটা পড়ে মারা গেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
দৈনিক প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে আটকে রেখে হেনস্থা, মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে ও তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের উদ্যোগে আজ বেলা ১১টায় প্রেসক্লাব চত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন চলাকালে প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামির সভাপতিত্বে ও সাংবাদিক ইউনিয়নের আহবায়ক মোঃ মনির হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম, সিনিয়র সহ-সভাপতি পিযুষ কান্তি আচার্য, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, জেলা টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম, সাংবাদিক আবদুন নূর ও আল-আমিন শাহীন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে অনুসন্ধ্যানী সাংবাকিকতার পথিকৃৎ রোজিনা ইসলাম। তিনি করোনার এই মহামারির সময়ে স্বাস্থ্য বিভাগের সকল অনিয়ম, দুর্নীতি, অবস্থাপনা নিয়ে একাধিক অনুসন্ধ্যানী প্রতিবেদন করেছেন। রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও প্রতিবেদন করেছেন। এতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের লোকজনের ব্যক্তিগত অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাই সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় লোকেরা রোজিনা ইসলামকে পাঁচ ঘন্টার বেশি সময় আটকে রেখে তাকে মানসিক, শারীরিক নির্যাতন ও হেনস্থা করে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেসা বেগম রোজিনা ইসলামের মতো এক অনুসন্ধ্যানী সাংবাদিককে গলা চেপে ধরেছে। তিনি রোজিনা ইসলামের নয়, বাংলাদেশের সাংবাদিকতার কন্ঠরোধ করার চেষ্টা করছেন।

বক্তারা অবিলম্বে রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ এখন লুটপাটের আখড়ায় পরিণত হয়েছে।
বক্তারা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে সীমাহীন দুর্নীতি লুটপাটের অভিযোগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক স্বপন, স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন মিয়া ও অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগমকে দ্রুত অপসারণের দাবি জানান। বক্তারা রোজিনা ইসলামের মুক্তির দাবি জানিয়ে বলেন, তাঁর মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে সাংবাদিক সমাজ। প্রয়োজনে সচিবালয় ঘেরাও করা হবে।

মানববন্ধন শেষে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে জড়ো হন। মানববন্ধন, প্রতিবাদ-বিক্ষোভ সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দ, জেলার বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মী, সরাইল প্রেসক্লাবের সদস্যবৃন্দ ও প্রথম আলোর ব্রাহ্মণবাড়িয়া বন্ধুসভার সদস্যরা অংশ নেন।

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন-বিক্ষোভ মিছিল

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বাংলা টিভির ৫ বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মসূচী পালিত হয়েছে। কর্মসূচীতে স্বাস্থ্য বিধি মেনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল হয়। আজ বেলা সাড়ে এগারোটায় প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি। বিশেষ অতিথি ছিলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলম, প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু , খ. আ. রশিদুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম কাউসার এমরান, সিনিয়র সহ সভাপতি পিযুষ কান্তি আচার্য প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন বাংলা টিভি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি আল আমীন শাহীন এবং সঞ্চালনা করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম শাহজাদা। মোনাজাত পরিচালনা করেন সাবেক সভাপতি হাফেজ খ আ ম রশিদুল ইসলাম।

সভায় বক্তারা বলেন, বাংল টিভি নান্দনিক অনুষ্ঠান মালা সহ সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে অগ্রযাত্রা অব্যাহত রেখে মানুষের মন জয় করেছে। সারা বিশ্ব জুড়ে দেশকে উপস্থাপনে এ টিভির ভুমিকা প্রসংশনীয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলা টিভির ৫বর্ষ উদযাপন


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঈদের ছুটিতে শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে পাঁচতলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে মোঃ সাইফুল ইসলাম বিপুল-(৩২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গত সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় পৌর শহরের শিমরাইলকান্দি এলাকার পাওয়ার হাউজ রোডে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত সাইফুল ইসলাম নারায়নগঞ্জ জেলার গলাচিপা এলাকার হেলাল আলমের ছেলে। সাইফুল নারায়ণগঞ্জের একটি গার্মেন্টসে চাকুরী করতেন। নিহতের স্ত্রী হাবিবা আক্তার শায়লা জানান, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে সাইফুল ইসলাম বিপুলের সাথে তার বিয়ে হয়। ঈদ-উল ফিতর উদযাপন করতে গত ২৮ রমজান তিনি তার স্বামীকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাবার বাড়িতে আসেন।

সোমবার রাতে বিপুল পাঁচতলা ভবনের ছাদে আত্মীয় স্বজনদের সাথে আড্ডা দিচ্ছিলেন। আড্ডার সময় বিপুল ছাদের রেলিংয়ের দু’পাশে পা রেখে মোবাইল ফোনে ইউটিউবে ভিডিও দেখার সময় অসাবধানতাবশত ৫তলার ছাদ থেকে নিচে পড়ে যান।
আহতবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তিনি মারা যান। তার মাথার পেছনে আঘাত লাগার কারণে মস্তিস্কে রক্তক্ষরন হয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ শাহজাহান বলেন, এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে কোন অভিযোগ দায়ের না করায় ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার দুপুরে বিপুলের লাশ তার আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে এসে ছাদ থেকে পড়ে যুবকের মৃত্যু


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গাছ থেকে আম পাড়ার সময় গাছ থেকে পড়ে গিয়ে মোঃ নাসির উদ্দিন-(৫০) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। আজ দুপুরে সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের দামচাইল গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নাসির উদ্দিন দামচাইল গ্রামের মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে। নিহত নাসির উদ্দিন একটি বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকুরি করতেন ও দামচাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সাবেক সভাপতি ছিলেন।
নিহতের ভাতিজা কামরুজ্জামান জানান, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তার চাচা নাসির উদ্দিন বাড়িতে থাকা ধান কাটার শ্রমিকদের খাওয়ানোর জন্য আম পাড়তে গাছে উঠেন। আম পাড়া অবস্থায় তিনি হঠাৎ গাছ থেকে ছিটকে বাড়ির দেয়ালে পড়েন। এতে মাথায় প্রচন্ড আঘাত পান। আহতবস্থায় তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শফিউল্লাহ আরাফাত তাকে সার্জারী বিভাগে ভর্তি দেন। দুপুর ১টায় তিনি মারা যান।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরামুল ইসলাম বলেন, আমি বিষয়টি শুনেছি। হাসপাতালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আম গাছ থেকে পড়ে ১ ব্যক্তি নিহত

২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৭ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৪৭৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৭ জন গ্রেফতার

ফেসবুকে আমরা..