সুমন আহম্মেদঃ
ঘুষ, অনিয়ম ও দুর্নীতি অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা বজলুল হককে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে ভূমি সহকারি কর্মকর্তা বজলুল হকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর পরই অভিযুক্ত বজলুল হককে প্রত্যাহার করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়।
এর আগে বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিক্ষোভকারীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে স্মারকলিপি প্রদান করে।
মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন মনোরঞ্জন গোপ, সুমন গোপ, মিহির দেব, অলি মিয়া, আলাল মিয়া প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, উপজেলা পরিষদ কার্যালয়ের ভবনে ডিজিটাল সাইবোর্ড রয়েছে- ‘দুর্নীতিমুক্ত উপজেলা প্রশাসন’। অথচ ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ে ঘুষ, অনিয়ন ও দুর্নীতি ছাড়া কোনো কাজ হয় না। বক্তারা ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা বজলুল হকের বিচার ও শাস্তি দাবির করেন।
মানববন্ধন শেষে ভুক্তভোগীরা বিক্ষোভ মিছিল করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে যান। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাইফুল কবীর কার্যালয়ে না থাকায় তারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সিএ বিল্লাল মিয়ার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়, সদর ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা নূন্যতম ২০ হাজার টাকা ছাড়া কোনো জায়গার খারিজ দলিল করেন না। আর কাগজপত্রে ত্রুটি থাকলে তিনি (ভূমি সহকারি কর্মকর্তা) পাঁচ গুন টাকা আদায় করেন। অথচ বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক ভূমির খারিজের ফি এক হাজার ১৫০ টাকা। তাঁরা বলেন, চুড়ান্ত বিএস খতিয়ান আসার পরও দাগে সামান্য ভুল থাকলে জমির মালিকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন তিনি। টাকা না দিলে তিনি কোনো কাজ করেন না এবং কাগজপত্র আলমারিতে তালাবদ্ধ করে রেখে দেন। বক্তারা বলেন, দুইশত টাকার খাজনার চেকের জন্য তিনি ৫ হাজার টাকা নিয়ে থাকেন। ভিপি জমির নামজারীর জন্য তাকে দেড় লাখ টাকা দিতে হয়।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, তাৎক্ষনিকভাবে অভিযুক্ত বজলুল হককে প্রত্যাহার করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
###