স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
হেফাজতে ইসলামের নারকীয় তান্ডবের দীর্ঘ ৮০ দিন পর অবশেষে গতকাল মঙ্গলবার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রা বিরতি দিতে শুরু করেছে ট্রেন। মঙ্গলবার সকালে তিতাস কমিউটার ট্রেনের যাত্রা বিরতির মধ্য দিয়ে ধ্বংস স্তূপে পরিণত হওয়া এই স্টেশনটিতে আবারো প্রানচাঞ্চল্য ফিরে আসে। মঙ্গলবার ভোর থেকে স্টেশনে চার জোড়া মেইল ও কমিউটার ট্রেনের যাত্রা বিরতির মধ্য দিয়ে স্টেশনে পুনরায় ট্রেনের যাত্রা বিরতি শুরু হয়েছে। আজ থেকে একটি আন্তঃনগর পারাবত ট্রেনও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় থামবে।

মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা গত ২৬ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনটিতে হামলা করে ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে। হামলাকারীরা স্টেশনের কন্ট্রোল প্যানেল বোর্ডসহ মূল্যবান জিনিসপত্র আগুনে পুড়িয়ে দিলে পরদিন ২৭ মার্চ থেকে স্টেশনটিতে সব ধরনের ট্রেনের যাত্রা বিরতি বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ ।

এদিকে স্টেশনটিতে ট্রেনের যাত্রাবিরতি বন্ধ করে দিলে দুর্ভোগে পড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী। তারা বাধ্য হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে জংশন অথবা কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব রেলওয়ে জংশন থেকে ট্রেনে চড়তে হতো। আবার অনেকেই বাসে করে যাতায়ত করতো।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের যাত্রা বিরতি বন্ধ করে দেয়ার পর স্টেশনটির সংস্কার করে পুনরায় ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সভাসহ আন্দোলনে নামে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন। গত ৫ জুন সন্ত্রাস প্রতিরোধ মঞ্চ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যানারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন স্টেশন চত্বরে মানববন্ধন করে। মানববন্ধন থেকে ২০ জুনের মধ্যে ট্রেনের যাত্রাবিরতির ব্যবস্থা না করলে রেলপথ অবরোধের আল্টিমেটাম দেয়া হয় ।

এদিকে গত ১৩ জুন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ডিজিটাল সিগন্যালিং ব্যবস্থা পুনঃস্থাপিত না হওয়া পর্যন্ত স্টেশনটিকে ‘বি’গ্রেড থেকে ‘ডি’গ্রেডে রুপান্তর করে সনাতনি পদ্ধতিতে সীমিত সংখ্যক ট্রেনের যাত্রা বিরতির সিদ্ধান্ত নেয়। এই সিদ্ধান্তের আলোকে মঙ্গলবার ভোর থেকে স্টেশন থেকে চার জোড়া ট্রেনের যাত্রাবিরতি শুরু হয়েছে। সীমিত সংখ্যক ট্রেনের যাত্রাবিরতিতে যাত্রী সাধারণের মধ্যে কিছুটা সন্তোষ ফিরে আসলেও তারা স্থগিতকৃত অবশিষ্ট আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর দ্রুত যাত্রাবিরতির ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পিযুষ কান্তি আচার্য্য বলেন, ম্যানুয়েল পদ্ধতিতে যদি পাঁচ জোড়া ট্রেন চালানো যায় তাহলে অবশিষ্ট আন্তঃনগর ট্রেনগুলোও চালানো যাবে। তাই একই পদ্ধতিতে বাকি আন্তঃনগর ট্রেনগুলো থামার ব্যবস্থা করারও দাবি জানান তিনি।

একই দাবি জানান সন্ত্রাস প্রতিরোধ মঞ্চ, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংগঠক অ্যাডভোকেট মোঃ নাসির। তিনি বলেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামের মধ্যে চলাচলকারী বিভিন্ন আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি না হলে যাত্রীরা ট্রেন থামার সুফল পুরোপুরি ভোগ করতে পারবেন না। তিনি দ্রুত সংস্কার শেষে স্টেশনটিকে পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে পূর্বে যাত্রা বিরতি দেয়া সকল ট্রেনের পুনরায় যাত্রা বিরতি দেয়ার দাবি জানান।
সরজমিনে দেখা গেছে, ৪ জোড়া ট্রেনের যাত্রা বিরতির মধ্যদিয়ে দীর্ঘ দিন পর আবারো প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেনে। যাত্রা বিরতর খবরে স্বস্তি ফিরে আসে পূর্বাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ এই স্টেশন দিয়ে চলাচলকারী যাত্রীদের মাঝে। সকালে তিতাস কমিউটার ট্রেনের যাত্রা বিরতির মধ্য দিয়ে ধ্বংস স্তূপে পরিণত হওয়া এই স্টেশনটিতে আবারো প্রানচাঞ্চল্য ফিরে আসে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত ২ মাস ২০ দিনে অন্তত আড়াই কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে। মঙ্গলবার থেকে সুরমা মেইল, ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস, তিতাস কমিউটার ও কর্ণফুলী এক্সপ্রেসট্রেন যাত্রাবিরতি করেছে। বুধবার ১৬ জুন থেকে নিয়মিত যাত্রাবিরতি করবে ঢাকা-সিলেট রেলপথে চলাচলকারী আন্তঃনগর পারাবত এক্সপ্রেস।

সিগন্যালিং ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পাশ্ববর্তী তালশহর ও পাঘাচং স্টেশনের মাধ্যমে লাইন ক্লিয়ারিং এর কাজ চলবে। ট্রেন থামবে গার্ড এবং চালকের সমন্বয়ে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে।

এ ব্যাপারে ভারপ্রাপ্ত স্টেশন মাস্টার মোহাম্মদ শোয়েব জানান, সিগন্যালিং ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় গার্ড এবং ট্রেন চালকের সমন্বয়ে ট্রেনে যাত্রী উঠানামা করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে সিগন্যালিং ব্যবস্থা মেরামত করা হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের যাত্রা বিরতি শুরু

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এমপি বলেছেন, ২০২৫ সালের মধ্যে ৩৫ লাখ মেট্টিকটন খাদ্য শস্য মজুদের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করছে সরকার। ইতোমধ্যে ৩০টি পেরি সাইলো একনেকের বৈঠকে পাশ হয়েছে। বিভিন্ন জেলায় ৫টি সাইলো নির্মাণের জন্য টেন্ডারের কাজ প্রক্রিয়াধীন।  আজ দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ১লাখ ৫হাজার মেঃ টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন আধুনিক ষ্টীল সাইলো নির্মানকাজ পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন।

চাল আমদানি বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, দেশে চালের চাহিদা না থাকলে চাল আমদানি করা হবে না। চালের চাহিদা থাকলে আমদানি করা হবে। চাহিদার সময় চাল আমদানি করা না হলে চালের দাম একশ টাকা কেজি হতো। প্রয়োজন হলে আমদানি হবে। প্রয়োজন না হলে আমদানি হবে না। তিনি আরো বলেন, খাদ্য উৎপাদন বাড়ানোর জন্য কৃষি যান্ত্রিকিকরণ সহ কৃষকদের ভর্তুকী ও প্রণোদনার ব্যবস্থা করছে সরকার।

সরকারি খাদ্য গুদামে চুক্তি অনুযায়ী মিল মালিকদের কাছ থেকে চাল সংগ্রহের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, চুক্তি অনুযায়ী মিল মালিকরা খাদ্য গুদামে চাল সরবরাহ না করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। আশুগঞ্জে আধুনিকখাদ্য সংরক্ষণাগার প্রকল্প কাজের অগ্রগতিরবিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ৫৪০ কোটি ৪৫ লাখ, ৪৯ হাজার ২৬৪ টাকা ব্যয়ে প্রকল্পটি ২০২০ সালের ৩ এপ্রিল কাজ শেষ করার কথা থাকলেও করোনা ও নানা জটিলতার কারনে কাজের দেরি হচ্ছে। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। এর মধ্যে কাজ শেষ করতে পারবে কিনা তা দেখতেই আমরা পরিদর্শনে এসেছি।

সময় বাড়ার কারনে ব্যয় বাড়বে কিনা, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, আরো ছয় মাস সময় বাড়লেও ব্যয় বাড়ার কোন সম্ভাবনা নাই।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন ১০লাখ রোহিঙ্গাকে পুষতে হচ্ছে। প্রতিবছর রোহিঙ্গাদের ২০ হাজার শিশু জন্ম নিচ্ছে। এদেরকে খাওয়ার ব্যবস্থা করেছে সরকার।

পরিদর্শনকালে মন্ত্রীর সাথে ছিলেন, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম (শিউলী আজাদ), খাদ্য ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম, জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিছুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আল মামুন সরকার, আধুনিক ষ্টীল সাইলো প্রকল্পের প্র্রকল্প পরিচালক মোঃ রেজাউল করীম শেখ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরবিন্দ বিশ্বাস, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবীর নাথ চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি প্রমুখ।

পরে মন্ত্রী আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানীর মিলনায়তনে চলতি বোরো সংগ্রহ অভিযানের বিষয়ে চাতাল ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করেন।

আশুগঞ্জে সাইলোর নির্মানকাজ পরিদর্শনকালে খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

অবশেষে আগামী ১৫ জুন (মঙ্গলবার) থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে শুরু হচ্ছে ট্রেনের যাত্রাবিরতি। মঙ্গলবার থেকে তিনটি মেইল ট্রেন, একটি কমিউটার ট্রেন ও পরদিন বুধবার থেকে একটি আন্তঃনগর ট্রেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রা বিরতি দিবে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের ট্রাফিক ট্রান্সপোর্টেশান শাখার উপ-পরিচালক (অপারেশন) মোঃ রেজাউল হক স্বাক্ষরিত একটি পত্র থেকে এই তথ্য জানা গেছে। ওই পত্রে উল্লেখ করা হয়, সাময়িকভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনকে ‘ডি ক্লাশ’ স্টেশনে রূপান্তর করে ট্রেন চালু করা হচ্ছে।

রেলওয়ের চিঠি থেকে জানা যায়, ১৫ জুন ঢাকা-সিলেট-ঢাকা পথের সুরমা মেইল, ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ পথের নাসিরাবাদ এক্সপ্রেস, আখাউড়া-ঢাকা-আখাউড়া, ঢাকা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা পথের তিতাস কমিউটার ট্রেন যাত্রাবিরতি করবে। ১৬ জুন (বুধবার) থেকে যাত্রাবিরতি করবে ঢাকা-সিলেট-ঢাকা রুটের পারাবত এক্সপ্রেস।

উল্লেখ্য, গত ২৬ মার্চ হেফাজতের তান্ডবে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন। পরদিন ২৭ মার্চ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে পূর্ব নির্ধারিরত সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতি বন্ধ করে দেয়া হয়।

এদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনকে সংস্কার করে পূর্ব নির্ধারিত সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান অব্যাহত রয়েছে। এর মধ্যে সন্ত্রাস বিরোধী মঞ্চ, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ কয়েকটি সংগঠনের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা থেকে ২০ জুনের মধ্যে ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে আল্টিমেটাম দেয়া হয়।

আগামী মঙ্গলবার থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে শুরু হচ্ছে ট্রেনের যাত্রা বিরতি


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আরো দুই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) বদলি করা হয়েছে। আজ দুপুরে পুলিশ সদর দফতর থেকে দুই ওসির বদলি সংক্রান্ত আদেশ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পৌছে। এর মধ্যে জেলার বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আতিকুর রহমানকে রংপুর এবং নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম আরিচুল হককে বরিশাল রেঞ্জে বদলি করা হয়েছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোহাম্মদ মোজাম্মেল হোসেন রেজা সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এই দুইজন ওসির বদলিকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন ও অপরাধ), জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারসহ পুলিশের ২৪জন কর্মকর্তাকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে।

হেফাজতে ইসলামের তান্ডবের পর সর্বপ্রথম গত ২৬ এপ্রিল পুলিশ সদর দফতরের আদেশে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আবদুর রহিমকে রংপুর রেঞ্জে, ২৭ এপ্রিল জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ আলাউদ্দিন চৌধুরীকে সিলেট রেঞ্জে বদলী, সরাইলের খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মোঃ সাখাওয়াত হোসেনকে গাজীপুরে বদলি করা হয়।

গত ৯ মে পুলিশ সদর দফতরের আরেকটি আদেশে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল আহমদেকে বরিশাল রেঞ্জে, ১১ মে সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ইশতিয়াক আহমেদকে নাসিরনগর থানার চাতলপাড় পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে, ১৯ মে সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ শাহজাহানকে পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে পদায়ন করা হয়।

গত ২৫ মে বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শকের (ডিআইজি) কার্যালয় এক আদেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কর্মরত ১৩জন উপ-পরিদর্শককে (এস.আই) একযোগে বদলি করা হয়। আদেশে ১০ জন এসআইকে জনস্বার্থে ও বাকি তিনজন এসআইকে প্রশাসনিক কারণে বদলি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

বদলির আদেশ হওয়া ১৩জন উপপরিদর্শকের (এসআই) মধ্যে ছয়জনকে রাঙ্গামাটি, দুইজনকে বান্দরবন, দুইজনকে খাগড়াছড়ি, একজনকে লক্ষীপুর, একজনকে চাঁদপুর ও একজনকে নোয়াখালী জেলায় বদলি করা হয়েছে।
গত ২৭ মে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোঃ রইছ উদ্দিনকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হিসেবে বদলী করা হয়।

উল্লেখ্য, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফরকে কেন্দ্র করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক সহিংসতা চালায় হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আরো দুই থানার ওসি বদলি

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পছন্দ করা মেয়ে প্রেমিকার সাথে বিয়েতে সম্মতি না দেয়ায় ফাঁসিতে ঝুলে আশরাফুল ইসলাম (১৯) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। গতকাল রাতে উপজেলার বড়তল্লা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আশরাফুল ওই গ্রামের আব্দুর রউফ মিয়ার ছেলে। পেশায় তিনি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালক ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শনিবার অটোরিকশা চালিয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরেন আশরাফুল ইসলাম। বাড়িতে এসে বাবাকে একটি পছন্দ করা মেয়ের কথা জানান। পরে সে মেয়েকে বিয়ের করবে বলে জানান। এ বিয়েতে বাবা সম্মতি না দেওয়া রাগ করে নিজের ঘরে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেন। পরে রাতে অনেক ডাকাডাকি করলেও দরজা না খোলায় জানালারছিদ্র দিয়ে আশরাফুলের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায় স্বজনরা। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রেমিকার সাথে বিয়ে না দেয়ায় যুবকের আত্মহত্যা

২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৭ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৫১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৭ জন গ্রেফতার

গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৪ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৫১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৪ জন গ্রেফতার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ব্রীজের রেলিং ভেঙ্গে লবন বোঝাই একটি ট্রাক খালে পড়ে দুলাল-(৪৪) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সোনারামপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুলাল শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার টাঙ্গরপাড়া গ্রামের শেরু মিয়ার ছেলে। তিনি আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া পর্যন্ত সড়কে চলমান চারলেন প্রকল্পের শ্রমিক ছিলেন।ৎ

আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ জানান, শুক্রবার বিকেলে সিলেট অভিমুখী লবন বোঝাই একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোনারামপুর এলাকার ব্রীজের রেলিং ভেঙ্গে নিচে পড়ে যায়। এসময় ব্রীজের পাশে কাজ করা অবস্থায় চারলেন প্রকল্পের শ্রমিক দুলাল ট্রাকটির নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

আশুগঞ্জে ব্রীজের রেলিং ভেঙ্গে ট্রাক খাদে পড়ে যুবক নিহত

২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৪ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৪৮৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৪ জন গ্রেফতার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের টোলপ্লাজা এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-১৪। আজ বেলা সাড়ে এগারোটায় এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুগঞ্জের টোলপ্লাজা এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তারা একজনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেপ্তারকৃত আসামী হলেন, মোঃ আব্দুস সাত্তার (২৭), পিতা-মোঃ নবী হোসেন, সাং-জাহাঙ্গীরনগর, থানা-রায়পুরা, জেলা-নরসিংদী। এ সময় আসামীদের কাছ থেকে ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গেছে, তারা দীর্ঘদিন যাবত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সিমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে চালানকৃত গাঁজা দেশে নিয়ে আসত। এবং সেই গাঁজার চালানটি নরসিংদীর এক ব্যক্তির কাছে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও আসামীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

 

প্রেস রিলিজ

আশুগঞ্জের টোলপ্লাজা এলাকা থেকে ০১ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব

ফেসবুকে আমরা..