ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবকালে নাশকতা সৃষ্টিকারী দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৪ এর ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা।

গতকাল (৫ মে) বেলা ১২:৪৫ ও রাত ৮:৩০ এ পৃথক অভিযান চালিয়ে সদর থানাধীন বিশ্বরোড ও শেরপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, এরশাদ মিয়া (৩৩), পিতা-মৃত জিলু মিয়া, সাং-গোকর্ণ, থানা- নাসিরনগর জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও মোঃ সাইফ খান (২৫), পিতা-মোঃ কাওছার খান, সাং-শেরপুর, থানা ও জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

আজ র‌্যাব ভৈরব ক্যাম্প থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৬ মার্চ মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তিতে দেশব্যাপী অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় দুস্কৃতিকারীরা অরাজকতা সৃষ্টি করে ধ্বংসযজ্ঞ এবং নাশকতা চালায়। মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তিতে এই ধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনা পুরো বাঙালি জাতির হৃদয়কে গভীরভাবে মর্মাহত করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাংচুরের মাধ্যমে জাতির পিতাসহ সমগ্র বাঙালি জাতিকে অবমূল্যায়ন করে। হামলাকারীর ছবি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয় ও তাদেরকে সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের নাশকতায় র‌্যাবের হাতে দুই যুবক গ্রেপ্তার

আশুগঞ্জের টোলপ্লাজা এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-১৪। আজ (৫ মে) সকাল ১০:৩০ মিনিটে এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মনবাড়িয়ার আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা এলাকায়  অভিযান চালিয়ে তারা তিনজনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন ১। মোঃ রুহুল আমিন খাঁ (৩৬), পিতা-মোঃ ওসমান খাঁ, সাং-গাটিয়ারা, থানা ও জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ২। মোঃ উজ্জল মিয়া (২৬), পিতা-মৃত সাদেক মোল্লা, সাং-কাটাগর, থানা-বোয়ালমারি, জেলা-ফরিদপুর, বর্তমান ঠিকানা-কুট্টাপাড়া, (পারুলের বাড়ীর ভাড়াটিয়া), থানা-সরাইল, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ৩। শামসুল হক (৬০), পিতা-ফুল মিয়া, সাং-মেরাসানি, থানা-বিজয়নগর, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এ সময় আসামীদের কাছ থেকে ৯.৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গেছে, সে দীর্ঘদিন যাবত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সিমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে চালানকৃত গাঁজা জেলায় নিয়ে আসত। এবং সেই গাঁজার চালানটি রাজধানীর এক ব্যক্তির কাছে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও আসামীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

প্রেস রিলিজ

 

আশুগঞ্জের টোলপ্লাজা এলাকা থেকে ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের কর্মসূচী চলাকালে শহরজুড়ে ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিকান্ডের ঘটনার পর তান্ডব ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসকারীদের বিচার চেয়ে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটি থেকে পদত্যাগ করেও নিজেকে রক্ষা করতে পারেননি হেফাজতে ইসলামের আলোচিত নেতা মুফতি আবদুর রহিম কাসেমি। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে পুলিশ পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন।

গ্রেপ্তারকৃত মুফতি আবদুর রহিম কাসেমি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসার শিক্ষক ও হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বিভিন্ন অভিযোগের কারনে গত বছরের ১ ডিসেম্বর তাকে জামিয়ার শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এমনকি তাকে মাদরাসায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়।
হেফাজতে ইসলামের কর্মসূচী চলাকালে গত ২৬ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিকান্ডের ঘটনার পর গত ২৩ এপ্রিল তিনি সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক বিবৃতির মাধ্যমে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেন। বিবৃতিতে তিনি রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসকারীদের বিচার চান। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তান্ডবের ঘটনার পর পরই আত্মগোপনে চলে যান মুফতি আবদুর রহিম কাসেমি।
মঙ্গলবার বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে পৌর এলাকার ভাদুঘর গ্রাম থেকে কাশেমিকে গ্রেপ্তার করে জেলা পুলিশের একটি বিশেষ টিম।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোঃ রইছ উদ্দিন মুফতি আবদুর রহিম কাসেমিকে গ্রেপ্তারের কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মাওলানা আব্দুর রহিম কাসেমী বিগত ২০১৬ সালে ও গত ২৬,২৭ ও ২৮ মার্চ হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ ও হরতাল চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তান্ডবের ঘটনার মূলহোতা। তিনি তান্ডবের ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন।

তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মুফতি আবদুর রহিম কাসেমি স্বীকার করেছেন, হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে সরকার উৎখাতের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কাশেমী জামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসাসহ আশপাশের বিভিন্ন মাদরাসার ছাত্র- শিক্ষককে নিয়ে ব্যাপক তান্ডবলীলা চালায়। এ সময় জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।

তিনি বলেন, মুফতি আবদুর রহিম কাসেমিকে ২০১৬ সালের মামলাসহ একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হবে।
উল্লেখ্য মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালায়।

এসময় হামলাকারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, পৌরসভা কার্যালয়, সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, এসিল্যান্ডের কার্যালয়, সুর সম্রাট আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তনসহ সরকারি, বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরিতে পরিনত করে।

তান্ডবের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় এ পর্যন্ত ৫৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ সকল মামলায় ৪১৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোককে আসামী করা হয়। পুলিশ মঙ্গলবার পর্যন্ত এসব মামলায় ৪১৫ জনকে গ্রেপ্তার করে।

অবশেষে গ্রেপ্তার হলেন হেফাজত নেতা মুফতি আবদুর রহিম কাসেমি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সাড়ে ৩৭ কেজি গাঁজা ও মাদক বিক্রির নগদ ৪ হাজার টাকাসহ ৫ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৪-এর ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা। গতকাল মঙ্গলবার ভোর রাতে গত সোমবার রাতে পৃথক অভিযানে সদর উপজেলার নন্দনপুর, আশুগঞ্জ গোলচত্ত্বর ও আশুগঞ্জ টোলপ্লাজার সামনে থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় গাঁজাবহনকারী একটি প্রাইভেটকারও জব্দ করা হয়।

মঙ্গলবার দুপুরে গনমাধ্যমকর্মীদের কাছে র‌্যাব অফিস থেকে পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আশুগঞ্জ গোলচত্ত্বর থেকে মাদক ব্যবসায়ী কুতুব উদ্দিন-(৩২) কে ১০ কেজি গাঁজা ও মাদক বিক্রির নগদ ৪ হাজার টাকাসহ গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত কুতুব উদ্দিন কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব উপজেলার শ্রীনগর গ্রামের ধন মিয়ার ছেলে।


অপর অভিযানে সোমবার রাত সাড়ে ১০টায় র‌্যাব সদস্যরা আশুগঞ্জ টোলপ্লাজার সামনে একটি প্রাইভেট কার আটক করে। পরে প্রাইভেটকারে তল্লাশী চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী মোঃ শহিদ মিয়া-(৩০) ও মোঃ ইব্রাহীম-(৪০) কে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতদের বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলায়।

অপরদিকে মঙ্গলবার ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে র‌্যাব সদস্যরা সদর উপজেলার নন্দনপুর বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক ব্যবসায়ী মোঃ রনি খন্দকার-(২৫), মোঃ রুবেল-(২৫) মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে সাড়ে ১১ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

র‌্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব ঘটনায় সদর ও আশুগঞ্জ থানায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব

গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৫ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৪০৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৫ জন গ্রেফতার

আশুগঞ্জের টোলপ্লাজা এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে ০৮ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-১৪। আজ (০২ এপ্রিল) সকাল ৮:৩০ মিনিটে এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মনবাড়িয়ার আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা এলাকায়  অভিযান চালিয়ে তারা একজনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃত আসামী হলেন মোঃ শান্ত (৩০), পিতা-মৃত নান্নু, সাং-ভাদুঘর, থানা ও জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া।  এ সময় আসামীদের কাছ থেকে ১০ কেজি গাঁজা, ০১ টি পিকআপ ও মাদক বিক্রয়ের নগদ ১০০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গেছে, সে দীর্ঘদিন যাবত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সিমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে চালানকৃত গাঁজা জেলায় নিয়ে আসত। এবং সেই গাঁজার চালানটি রাজধানীর এক ব্যক্তির কাছে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও আসামীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

প্রেস রিলিজ

আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা এলাকা থেকে ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব

গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৫ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৪০৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৫ জন গ্রেফতার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মোঃ হাবিবুর রহমান বলেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তান্ডবের ঘটনা স্বাধীনতা বিরোধী ও ইতিহাস-ঐতিহ্য বিরোধী কাজ। তিনি আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে হেফাজতের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন।

এ সময় ডিআইজি মোঃ হাবিবুর রহমান আরো বলেন, বাংলাদেশকে যেন পিছিয় দেওয়া যায়- এটি সে ধরনের স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের কাজ বলে আমি মনে করি। তিনি বলেন, কোন সভ্য মানুষের পক্ষে এ ধরনের কাজ করা সম্ভব নয়। এটি সম্পূর্ন স্বাধীনতা বিরোধী ও ইতিহাস ঐতিহ্য বিরোধী কাজ। যারা এই ঘটনার পেছনে ইন্ধনদাতা, যারা পরিকল্পনাকারী, তারা ঘটনাস্থলে থাক বা না থাক, অবশ্যই তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

তিনি বলেন, জেলা পুলিশ, সিআইডি এবং পিবিআই সম্মিলিতভাবে মামলাগুলো তদন্দ করছে। আমরা সবাই সমন্বয়ের মাধ্যমে তদন্ত করছি। ইতিমধ্যে মামলাগুলো তদন্তকারী কর্মকর্তাদের কাছে দেওয়া হয়েছে। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কারা ঘটনার সাথে জড়িত ছিল, আমরা সেগুলো পর্যালোচনা করছি।

ভিডিও ফুজে থেকে আসামীদের শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। ইতিমধ্যেই অনেককেই শনাক্ত এবং গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কোনো মামলাই ঝুলে থাকবেনা, যত দ্রুত সম্ভব আমরা সব মামলা নিস্পত্তির দিকে যাব।
তিনি বলেন, গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত তিনদিন ব্যাপী হেফাজতে ইসলামের কর্মী-সমর্থকদের চালানো তান্ডবের ঘটনায় দায়েরকৃত ৫৬টি মামলার মধ্যে ৯টি মামলা তদন্ত করছে সিআইডি। এছাড়াও ২০১৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে মাদরাসার ছাত্রদের চালানো তান্ডবের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলা গুলোর মধ্যে ৫টি মামলার তদন্তভারও সিআইডিকে দেয়া হয়েছে।
এর আগে ডিআইজি হাবিবুর রহমান হেফাজতের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা কার্যালয়, সুর স¤্রাট আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন ও সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয় পরিদর্শন করেন।

এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোঃ আনিসুর রহমান, সিআইডির পুলিশ সুপার মোঃ শাহরিয়ার রহমান, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পঙ্কজ বড়–য়া, সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালায়। হামলাকারীরা সরকারি, বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরিতে পরিনত করে। এ সব ঘটনায় মোট ৫৬টি মামলা দায়ের করা হয়। পুলিশ শনিবার সকাল পর্যন্ত ৩৯৮ জনকে গ্রেপ্তার করে।

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তান্ডবের ঘটনা স্বাধীনতা বিরোধী ও ইতিহাস-ঐতিহ্য বিরোধী কাজ

২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৬ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। তন্মধ্যে গত ২৭/০৩/২০২১খ্রিঃ তারিখে হরতাল সমর্থনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানাধীন রাধিকা বাজারে মিছিল এবং রাস্তায় গাছের গুড়ি ও টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে রাস্তা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ঘটনায় জড়িত ইসলামী আন্দোলন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার মহিলা ও পরিবার কল্যাণ সম্পাদক, জাতীয় শিক্ষক ফোরাম এর মাদ্রাসা বিষয়ক সম্পাদক কেন্দ্রীয় কমিটির মাওলানা নিয়াজুল করিম’কে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩৯৮ জনকে গ্রেফতার করা
হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৬ জন গ্রেফতার

আশুগঞ্জের টোলপ্লাজা এলাকা থেকে পৃথকভাবে অভিযান চালিয়ে ০৮ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-১৪। আজ (৩০ এপ্রিল) সকাল ৮:৩০ ও ৯:৪৫ মিনিটে এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মনবাড়িয়ার আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা এলাকায় পৃথকভাবে অভিযান চালিয়ে তারা আটজনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন ১। আব্দুল রোজেক (২২), পিতা-মোঃ তারা মিয়া, ২। মোঃ হামিদুর (২৮), পিতা-মৃত জবেদ আলী, উভয়সাং-চর হরিপুর, থানা ও জেলা-ময়মনসিংহ, ৩। মোঃ তোতা মিয়া (২২), পিতা-মোঃ লাল মিয়া, সাং-বারুয়ামারি, থানা-গৌরিপুর, জেলা-ময়মনসিংহ,  ৪। মোঃ নুর উদ্দিন (২০) পিতা-মোঃ কালন ব্যাপারি, সাং-গোলখার, থানা-আখাউড়া, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ৫। মোঃ জাহাঙ্গীর মিয়া (৩২), পিতা-হাবিব মিয়া, সাং-শানখোলা, থানা-চুনারুঘাট, জেলা-হবিগঞ্জ, ৬। জালাল মিয়া (৩২), পিতা-মৃত ফুল মিয়া, সাং-আব্দুল্লাহপুর, থানা-চুনারুঘাট, জেলা-হবিগঞ্জ, ৭। মোঃ এনামুল মিয়া (১৯), পিতা-নিজাম মিয়া, সাং-জগন্নাথপুর, থানা-কসবা, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ৮। মোঃ সোহেল (২০), পিতা-মোঃ তোতা মিয়া শিকদার, সাং-দেওয়ানকান্দি, থানা-জাজিরা, জেলা-শরিয়তপুর। এ সময় আসামীদের কাছ থেকে ৪২.৫ কেজি গাঁজা, ০১ টি পিকআপ ও মাদক বিক্রয়ের নগদ ৮০০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গেছে, সে দীর্ঘদিন যাবত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সিমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে চালানকৃত গাঁজা জেলায় নিয়ে আসত। এবং সেই গাঁজার চালানটি রাজধানীর এক ব্যক্তির কাছে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও আসামীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

প্রেস রিলিজ

আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা এলাকা থেকে ০৮ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব

ফেসবুকে আমরা..