নজরুল ইসলাম তোফা:
অর্থ বা সম্পদ মানব জীবনের জন্যে অপরিহার্য হলেও অর্থ কিংবা সম্পদের যথাযোগ্য ব্যবহার নাহলে তা যেন ব্যক্তি এবং সমাজ জীবনে নেমে আসে অকল্যাণ। জানা কথা হলো, সুশীল সমাজ গঠনে প্রয়াসী মানুষ ব্যক্তি ও সমাজজীবনের বৃহত্তর কল্যাণ ও সামাজিক শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার করার জন্যই গড়ে তুলা হয়েছে ‘রাষ্ট্রীয় অনুশাসন এবং অনুকরণীয় ন্যায়-নীতি’। কিন্তু সমাজ জীবনে এমন কিছু লোক থাকে যারা এসব অনুশাসন কিংবা ন্যায়নীতি মান্য করেনা। তারা অন্যকে উৎপীড়ন করে, অন্যের অধিকারেও যেন তারাই অন্যায় হস্তক্ষেপ করে, তারা উচ্ছৃঙ্খল আচরণে যেন সামাজিক শৃঙ্খলাকে নস্যাৎ করে, সামাজিক স্বার্থ বিরোধী অন্যায় কিংবা অবৈধ কর্মতৎপরতায় লিপ্ত হয়। এরাই সমাজের চোখে অন্যায়কারী ও আইনের চোখেও অপরাধী বলেই বিবেচিত হয়। এদের অপরাধ অবশ্যই দণ্ডনীয়। সুতরাং, বিবেকবান মানুষকে সচেতন হওয়া প্রয়োজন। কিন্তু এই বিবেক বান মানুষ অন্যায়ের প্রতিবাদ করার চেতনাতেই নানা বাঁধার সম্মুখীন করে থাকে, ‘নীতিকথা’ যদি তুলেই ধরি তাহলে বিবেকবান মানুষ হিসেবে অন্যায়কে দিনের পর দিন সহ্য করা ঠিক নয়। আবার বলা যায় যে, এমন অন্যায় সহ্যকারীরাও ঠিক সরাসরি অন্যায় না করলেও অন্যায়কে সহযোগিতা এবং সমর্থন করা কোনো ভাবেই ঠিক হবেনা। কিন্তু দেশের যা পরিস্থিতি কি করবে তারা, অন্যায়কারীর বিরুদ্ধেই সমাজের ভালো মানুষ প্রতিবাদ করতে যে ভয় পায়। এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে, প্রতিবাদ করলে ভালো মানুষেরা ঠিক ফেঁসে যায়। বস্তুত অন্যায় প্রবণ মানুষদের সংখ্যা কম হলেও সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষেরা অন্যায়ের প্রতিবাদে যেন বিপদ-ঝুঁকি নীরবেই সহ্য করে থাকে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এখন আতঙ্কিত বাংলাদেশসহ সারাবিশ্ব। এই চরম ক্রান্তিকালে এইদেশে হতদরিদ্র মানুষের সাহায্যের জন্য হাত পাতছে তাদেরই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাছে। থমকে গেছে তাদের  অর্থনৈতিক কাজ-কর্ম, থমকে গেছে জীবনযাত্রা। এখন  চারিদিকে শুধুমাত্র মৃত্যুর মিছিল ও নিত্যদিনেই অসহায় মানুষের খাদ্য সংগ্রহের নানা দুঃসংবাদ। এ “বাংলাদেশে অদৃশ্য করোনাভাইরাস” যে তাণ্ডব চালাচ্ছে, সেইটাকেই সামাল দিতে পৃথিবীর উন্নত ও মহাশক্তিধর দেশগুলোও হাবুডুবু খাচ্ছে। স্বভাবতই এমন প্রভাবের বাইরে থাকতে পারছে না বাংলাদেশও। ক্রমাগতই বাড়ছে যে করোনার সংক্রমণ। বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। বাড়ছে বেকারত্ব কিংবা মানুষের ক্ষুধা। মুখ থুবড়ে পড়েছে এইদেশের অর্থনীতি।
এরি মধ্যে সরকার বিরোধী একটি চক্র না কি হতদরিদ্র মানুষকে উসকে দিয়ে এই সরকারকে বিপাকে ফেলছে।
সরকার গরিব-অসহায় মানুষদের জন্যে সাহায্যে দিচ্ছে না তা নয়। কিন্তু শোনাও যাচ্ছে, এক শ্রেণীর মানুষ তারা এ সংকট মুহূর্তে অসৎ উপায়েই গরীব-অসহায়দের নাম ভাঙিয়ে লুটেপুটে খাচ্ছে। বর্তমানের এই সরকার গরীব- অসহায়দের নানা ভাবে খাদ্য সংকটের মোকাবিলা করা সত্ত্বেও সরকারের জনপ্রতিনিধিরাই যে চাল সহ অন্যান্য কিছু চুরি করছে। কি নিষ্ঠুর এই নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। শুনাও যাচ্ছে, এই গরিব অসহায় মানুষরা খাদ্যের জন্যে প্রতিবাদ করলে সে সকল প্রতিনিধিরা তাদের মারছে ও মানসিক আঘাত করছে। সরকারের উচিত হবে খুবদ্রুত তাদেরকে চরম শাস্তি দেওয়া। তারা এই দেশের সাধারণ মানুষদের ভোটে- কখনই নির্বাচিত হওয়ার যোগ্য না। এ সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও খুব দ্রুত  এগিয়ে আসা উচিত। এখনই সময় মানবতা প্রদর্শনের।
সুতরাং যারা দিন আনে দিন খায়, তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে খুব শক্ত হয়ে। হতদরিদ্র মানুষের নিত্যদিনের জন্যে সাধারণ খাবারের অধিকার রয়েছে। আমাদের ভাবনায়  শুরুর মাত্র একমাস না যেতেই ক্ষুধার নতুন রাজ্যে যেন প্রবেশ করছে মানুষ। আমাদের এই প্রিয় বাংলাদেশটার কোনো মানুষ না খেয়ে না মরে সেই লক্ষে সর্ব প্রথম এই সরকারকেই ভাবতে হবে। সম্মিলিত ভাবেই চেষ্টা করতে হবে, যাঁরা পারবে তাঁরাও গরিব অসহায় মানুষের জন্যে  সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া উচিত। অসহায় মানুষের ইচ্ছা এবং সামর্থ থাকলেও এই ভাইরাসের স্বাস্থ্য-ঝুকির কারনে সবার দরজায় গিয়ে সাহায্য চাওয়া বেশ কঠিন। তাই অনলাইনেও তো পারি মিলিত হয়ে সাহায্য করতে। আপনার অংশগ্রহণ যত সামান্যই হোক না কেন বিশ্বাস নিয়েই পাঠানো চেষ্টা করা উচিত। অন্তত একটি ঠিকানা আছে এখানে দেওয়া যেতেই পারে। যোগাযোগ ঠিকানা –simullovetv24@gmail.com আর তাঁদের, Bkash – 01794178063
বর্তমান সরকার সকল সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীদের একদিনের বেতনটা কেটে নিয়ে হতদরিদ্র মানুষদের সাহায্যের জন্যে একটি মহৎ কাজ করছে। কিন্তু সকল শ্রেণী পেশার মানুষের এ সরকার সাহায্যের জন্য কোনো আবেদন করতে পারছে না। তাই উচিত হবে, সকল পেশার সামর্থযোগ্য মানুষের এই দেশের গরিব অসহায় মানুষদের জন্য সাহায্য করা। পরিশেষে আবারও বলতেই হচ্ছে অন্যায় স্বার্থ হাসিলের জন্য অর্থকে কোনো মহল বা শ্রেণীর অসৎ মানুষ টোপ হিসেবে কাজে লাগায়। এরাই হীন চরিত্রে মানুষ, সম্পদ হোক বা খাদ্য কিংবা অর্থই হোক লোভের জঘন্য কাজে লিপ্ত হয়ে থাকে। ঠিক এই করোনাভাইরাসের সংক্রমণে তা ঘটছে। এদের ন্যায়-অন্যায় বিবেচনা, নীতি-আদর্শটা লোপ পায়। সমাজে নৈতিক অবক্ষয় ও সীমাহীন দুর্নীতি  করার প্রেক্ষাপট সৃষ্টি হলেই যেন উদগ্র অর্থলালসা এবং  অসহায় গরিবদের দেওয়া সামান্য খাদ্যদ্রব্য গুলোকেও  হাত ছাড়া করতেই চায় না। অন্যায় পথে অর্জিত কোনো কিছুই সেই মানুষকে বিবেকহীন ও দাম্ভিক করে তোলে। এক শ্রেণীর মানুষ শুধুই সুযোগ খোঁজে কখন তার সময় আসে চুরি করার বা আত্মসাৎ করার উপযুক্ত সময়। এ ভাবেই সমাজে সৃষ্টি হচ্ছে, ধনী-দারিদ্র্যের বৈষম্য। গরিব মানুষের খুব সাধারণ খাদ্য দ্রব্যটাকে যারা এমন দুর্দিনে চুরির ইচ্ছা পোষণ করে তারা এক কথায় বলতে গেলেই বলা যায় বিবেকহীন পশুরূপী শয়তান।
লেখক:
নজরুল ইসলাম তোফা, টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিষ্ট এবং প্রভাষক।

সরকারের লকডাউনে জনপ্রতিনিধিরাই দরিদ্র মানুষের খাদ্য ভোগ করছে

নিউজ ডেস্কঃ স্বাস্থ্যসেবা সপ্তাহ কার্যক্রম উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের বহিঃ বিভাগের চিকিৎসা সেবা দিয়েছেন চিকিৎসকরা ও অন্তঃ বিভাগে সিজার করেছেন গাইনী কনসালটেন্টরা।

সারা বাংলাদেশে প্রতিটি জেলা সদর হাসপাতাল গুলোর মত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালেও স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম উপলক্ষে ৫দিন ব্যাপী চিকিৎসা সেবার আজ ৪র্থ দিনে হাসপাতালের বহিঃ বিভাগে চিকিৎসাসেবা ও অন্তঃ বিভাগে সিজার করেছেন গাইনী কনসালটেন্টরা।

৪র্থ দিনেও হাসপাতালের প্রতিটি কক্ষে জুনিয়র ও সিনিয়র কনসালটেন্টগন রোগীদের চিকিৎসা দিয়েছিল এবং ওটিতে অপারেশন করেছেন গাইনী কনসালটেন্টরা ।

সদর হাসপাতালের ১০৯(ক) কক্ষে- ডাঃ শ্যামল রঞ্জন দেবনাথ, ১০৯(খ) ডাঃ মোহাম্মদ আলী, ১১০ কক্ষে- ডাঃ নিজামউদ্দিন, ডাঃ শাহজাহান, ১১১ কক্ষে- ডাঃ ইছা মোঃ বাকের, ও ডাঃ মোঃ মনির হোসেন, ১১২ কক্ষে- ডাঃ এম এ এহসান, ১১৫ কক্ষে- ডাঃ মাহফিদা আক্তার হ্যাপী ও শারমীন হক স্বর্না, ২১২ কক্ষে- ডাঃ ফখরুল আলম আশেক, ২১৫ কক্ষে- ডাঃ আজহারুর রহমান তুহীন, ২১৬ কক্ষে- ডাঃ মোঃ ফরহাদ হোসেন সাহেদ, ৩০২ কক্ষে- ডাঃ মোঃ রাজীব আহসান, ৩০৩ কক্ষে- ডাঃ মোঃ শফিকুল ইসলাম, ৩০৭ কক্ষে- ডাঃ এ কে এম নিজামউদ্দিন। সদর হাসপাতালের ওটিতে ডাঃ ফৌজিয়া আখতার, ডাঃ মারিয়া পারভীন, ডাঃ মাফিদা আক্তার হ্যাপি, ডাঃ নুরুল আমিন ভুইয়া পিয়াল, ডাঃ খোকন দেবনাথ, ডাঃ মোশফাকুর রহমান পলাশ এর নেতৃত্বে ২-৪ টি সিজার করা হয় ।

সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধারক ডাঃ শওকত হোসেন বলেন- সারা বাংলাদেশের কর্মসূচি অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে স্বাস্থ্যসেবা সপ্তাহ কার্যক্রম উপলক্ষে ১৬-২০ এপ্রিল পর্যন্ত এই সেবা অব্যাহত থাকবে ।

 

শুক্রবারেও চলছে সদর হাসপাতালে বহিঃ বিভাগে চিকিৎসাসেবা

botv নিউজ:

বাংলাদেশকে আগের চেয়ে বেশি তথ্য সরবরাহ করা হচ্ছে। ফেসবুকের সর্বশেষ ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাসের হিসাব ওই প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত ফেসবুকের সর্বশেষ ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদনে দেখা গেছে, সরকারের অনুরোধে সাড়া দিয়ে ৫৭ শতাংশ ক্ষেত্রে তথ্য সরবরাহ করেছে ফেসবুক। গত কয়েক বছরের ট্রেন্ড বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ধারাবাহিকভাবে ফেসবুকের পক্ষ থেকে বাংলাদেশ সরকারকে তথ্য দেওয়ার হার বেড়েছে। একই সঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকেও তথ্য চেয়ে ফেসবুকের কাছে অনুরোধ বেড়েছে।

ফেসবুকের ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাসে চাওয়া তথ্যের পরিমাণ এযাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ। ২০১৬ সালের এপ্রিল মাসে প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ব্যবহারকারীর তথ্য চেয়ে করা অনুরোধে সাড়া দেয় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। ২০১৫ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত তথ্য নিয়ে ওই বছরের ২৮ এপ্রিল ফেসবুক প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। এরপর থেকে প্রতি ছয় মাস পরপর ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। প্রতিবেদনে কোন দেশের সরকার ফেসবুকের কাছে কী ধরনের অনুরোধ জানায়, তা তুলে ধরা হয়। তবে কোন অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়, তা উল্লেখ করা হয় না।

ফেসবুকের এবারের প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে মোট ১৫২টি অনুরোধ করা হয়েছে ফেসবুককে। ১৩৪টি জরুরি অনুরোধ আর ১৮টি আইনি অনুরোধ। এর মধ্যে ২০৫ জন ব্যবহারকারী বা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে। ফেসবুক এর মধ্যে ৫৭ শতাংশ ক্ষেত্রে তথ্য সরবরাহ করেছে। এর মধ্যে জরুরি ক্ষেত্রে ৬১ শতাংশ ও আইনি ক্ষেত্রে ২৮ শতাংশ তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে।

এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে মোট ৬০টি অনুরোধে ৯৫টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হলে ৪৭ শতাংশ ক্ষেত্রে সাড়া দেয় ফেসবুক। এর মধ্যে আইনি প্রক্রিয়ার অনুরোধ ১৭টি। জরুরি ৪৩ অনুরোধে ৫৯টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়।

গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুন—এই ছয় মাসে ৪৪টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চেয়েছিল সরকার। বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধের ক্ষেত্রে ৪৫ শতাংশ তথ্য সরবরাহ করেছিল ফেসবুকের কর্তৃপক্ষ। ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বর মাসে ৪৯টি অনুরোধ করেছিল বাংলাদেশ সরকার। এতে ৫৭টি অ্যাকাউন্ট-সম্পর্কিত তথ্য চাওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধের ক্ষেত্রে ২৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ তথ্য দিয়েছিল ফেসবুক। ওই বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাসে নয়টি অ্যাকাউন্টের ব্যাপারে ১০টি অনুরোধ করা হয়েছিল। অর্থাৎ ২০১৬ সালে ফেসবুকের কাছে বাংলাদেশের সরকারের পক্ষ থেকে মোট ৫৯টি অনুরোধ করা হয়েছিল।

২০১৭ সালে ফেসবুকের কাছে বাংলাদেশ সরকারের মোট অনুরোধ দাঁড়িয়ে ১০৪টি। মোট অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয় ১৩৯টি। অর্থাৎ ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে অনুরোধ ও অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া বাড়িয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। কিন্তু ২০১৮ সালের প্রথম ছয় মাসেই গত বছরের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলছে, বিশ্বজুড়েই ফেসবুকের কাছ থেকে তথ্য পেতে সরকারের কাছ থেকে অনুরোধ বাড়ছে। গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধের তুলনায় ২০১৮ সালে ফেসবুকের কাছে সরকারি অনুরোধ ২৬ শতাংশ বেড়েছে। গত বছরের দ্বিতীয়ার্ধে যেখানে অনুরোধ ছিল ৮২ হাজার ৩৪১টি, তা এ বছরে বেড়ে হয়েছে ১ লাখ ৩ হাজার ৮১৫টি। ২০১৬ সালে যেখানে মোট অনুরোধ ছিল ১ লাখ ২৩ হাজার, তা ২০১৭ সালে এসে দাঁড়ায় ১ লাখ ৬১ হাজার ২৩১টিতে।

২০১৫ সালের নভেম্বর মাসে বিশদ আলোচনা করার আগ্রহ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইট ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠান ওই সময়কার ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। চিঠির বিষয়ে তিনি গণমাধ্যমকে বলেছিলেন, ভবিষ্যতে বাংলাদেশের সাইবার নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এতে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ফেসবুকের নানা ধরনের অপব্যবহারসহ নেতিবাচক বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জবাব পাওয়ার পরই তাদের সঙ্গে আলোচনার বিষয়গুলো চূড়ান্ত করা হবে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও পক্ষগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

২০১৬ সালের ১২ জানুয়ারি তারানা হালিম সিঙ্গাপুরে ফেসবুকের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের প্রধান কার্যালয়ে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ আশ্বস্ত করেন, বিভিন্ন উপায়ে তারা বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবেন। ওই বছরেই ফেসবুকের কাছে চাওয়া তিনটি আইডির তথ্য তারা বাংলাদেশ সরকারকে দেয়। তখন থেকেই ফেসবুক সহযোগিতা শুরু করে।

এবারের প্রতিবেদন সম্পর্কে ফেসবুকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আমরা বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছ থেকে পাওয়া প্রতিটি অনুরোধ যত্নসহকারে পর্যালোচনা করি। সে অনুযায়ী আইনি বাধ্যবাধকতা মেনে তথ্য দেওয়া হয়।’

ফেসবুকের কাছে বাংলাদেশের তথ্য চাওয়া বেড়েছে

botvনিউজ:

আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬টি আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন আওয়ামীলীগের ৮০ জন মনোনয়ন প্রত্যাশী। গত শুক্রবার থেকে গত রবিবার পর্যন্ত প্রার্থীরা ধানমন্ডির দলীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৬ টি আসনের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫-(নবীনগর) আসনে সর্বোচ্চ ২৪জন প্রার্থী এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬-(বাঞ্চারামপুর) আসনে সর্বনিম্ন ৭ জন প্রার্থী দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন। প্রার্থীদের মধ্যে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন নেসা বাপ্পী ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১-(নাসিরনগর) ঃ-
এই আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ১৩জন প্রার্থী। এরা হলেন এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য বি এম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন নেসা বাপ্পী, প্রয়াত মন্ত্রী অ্যাডভোকেট ছায়েদুল হকের স্ত্রী দিলশাদ আরা মিনু, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার, সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট ছায়েদুল হকের সহধর্মিনী দিলশাদ আরা বেগম চিনু, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ নাজির মিয়া, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতা এম.এ করিম, যুক্তরাজ্য আওয়ামীলীগ সহ-সভাপতি সৈয়দ মোহাম্মদ এহসান, নিউইয়র্ক সিটি আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এ কে এম আলমগীর, বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খৃষ্টান ঐক্য পরিষেদের নাসিরনগর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক আদেশ চন্দ্র দেব, কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার সম্পাদক এমবি কানিজ, ঢাকাস্থ নাসিরনগর উপজেলা সমিতির সাধারন সম্পাদক মোঃ আলী আশরাফ, বাংলাদেশ আওয়ামী প্রজন্মলীগের সহ-সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ ইখতেশামুল কামাল ও বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোটের আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রাখেশ চন্দ্র সরকার।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-( সরাইল-আশুগঞ্জ) ঃ-
এই আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ১৮জন প্রার্থী। মনোনয়ন ফরম সংগ্রহকারীরা হলেন সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পী, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জোবেদা খাতুন পারুল, ধানমন্ডি থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি কামাল আহমেদ দুলাল, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব মঈন উদ্দিন মঈন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল হান্নান রতন, সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন, সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম শিউলী আজাদ, সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান আনসারী, সরাইল উপজেলা যুবলীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আশরাফ উদ্দিন মন্তু, সরাইল উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা অ্যাডভোকেট সৈয়দ তানবীর হোসেন কাউছার, আশুগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক হাজী মোঃ ছফিউল্ল¬াহ মিয়া, যুগ্ম আহবায়ক হানিফ মুন্সী, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ আনিছুর রহমান, সাবেক যুগ্ম-সচিব ফরহাদ রহমান মাক্কী, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য মুজিবুর রহমান ও আওয়ামীলীগ নেত্রী সাদেকা বেগম।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩-(সদর-বিজয়নগর)ঃ-
এই আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ১০জন প্রার্থী। এরা হলেন এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র. আ. ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শফিকুল আলম, সাবেক সচিব মিজানুর রহমান, সাবেক পৌর মেয়র মোঃ হেলাল উদ্দিন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মিনারা আলম, আওয়ামীলীগ নেতা মোঃ আলমগীর, সাবেক ছাত্রনেতা আশরাফ উদ্দিন লিমন, মোঃ শামসুদ্দোহা, জহিরুল ইসলাম রতন, ও মোছাঃ আসমা বেগম।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪- (কসবা-আখাউড়া)ঃ
এই আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ৮জন প্রার্থী। এরা হলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এম.পি, সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ শাহ আলম, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য নারায়ণ সাহা মণি, যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা শ্যামল কুমার রায়, কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শামসুল হক, অ্যাডভোকেট আবু আমজাদ, অ্যাডভোকেট আলমগীর, জি এইচ এম কাজল।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫- ( নবীনগর)ঃ-
এই আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ২৪জন প্রার্থী। এরা হলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য ও নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফয়জুর রহমান বাদল, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের উপদেষ্টা এবাদুল করিম বুলবুল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মোর্শেদ হোসেন কামাল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও যুবলীগ নেতা এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সমবায় ও স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম, নবীনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নিয়াজ মোহাম্মদ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম, সদস্য জাকির হোসেন, মোঃ সাঈফুর রহমান, কবির আহমেদ ভূঁইয়া, মোঃ হেলাল উদ্দিন, অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আরিফুল ইসলাম টিপু, নবীনগর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক নুরুন্নাহার বেগম, যুগ্ম আহবায়ক মাহমুদা আক্তার শিউলি, ইতালি ও সুইডেন প্রবাসী বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি সিরাজরুল হক রানা, আওয়ামী লীগ সমর্থক খন্দকার এনামুল নাছির, কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা আলামিনুল হক ও মাঈন উদ্দিন আহমেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য গোলাম জাকারিয়া, রসুল¬াবাদ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য শেখ আবুল হোসেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সহ-সম্পাদক জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটু, আওয়ামী সাংস্কৃতিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদা মুত্তাকিমা এবং কেন্দ্রীয় যুব মহিলালীগের পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক তাহরিমা হক সুক্তি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬- (বাঞ্ছারামপুর)ঃ
এই আসনে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ৭জন প্রার্থী। প্রার্থীরা হলেন, বর্তমান সংসদ সদস্য ক্যাপ্টেন (অব.) এ বি তাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন আহমেদ মহি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবুল খায়ের দুলাল, বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ সিরাজুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা সম্পাদক সাঈদ আহমেদ বাবু ও বাঞ্ছারামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ গোলাম মোস্তফা কামাল।
এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার বলেন, একটি বড় দলে অনেকেই প্রার্থী হতে পারেন। যাচাই-বাছাই শেষে দলীয় সভানেত্রী যাকে মনোনয়ন দেবেন তার পক্ষেই দলীয় নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আওয়ামীলীগের ৮০ প্রার্থীর ফরম সংগ্রহ

botv news:

বাংলাদেশে অফিস চালু করতে যাচ্ছে ভিডিও শেয়ারিং পোর্টাল ইউটিউব। আগামী অক্টোবর মাসের মধ্যে এ অফিস চালু করতে পারে ইন্টারনেট ও সফটওয়্যার সেবাদানকারী বহুজাতিক কোম্পানি গুগলের এ পোর্টাল। এরই অংশ হিসেবে আগামী সপ্তাহে ইউটিউবের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশে আসছে। এ দলে প্রতিষ্ঠানটির শীর্ষ কর্মকর্তারা থাকবেন, যারা বাংলাদেশ সফরকালে সরকারের একাধিক মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট একাধিক পক্ষের সঙ্গে কথা বলবে।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বিশ্বের ৬১তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে অফিস চালু করতে যাচ্ছে ইউটিউব। ব্যবহারকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি, ডিজিটাল বিপণনের বড় ক্ষেত্র তৈরি, বাজেট বৃদ্ধি, কনটেন্ট বৃদ্ধি, চ্যানেলের সংখ্যা বৃদ্ধি ইত্যাদিতে চোখ পড়েছে পোর্টালটির কর্তাদের। সূত্রগুলো আরও জানায়, দক্ষিণ এশিয়ায় ভারতের পরেই বাংলাদেশ অবস্থান করছে বলে মনে করছেন ইউটিউবের কর্মকর্তারা। একটি সূত্র মনে করে, হালে বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে ইউটিউব চ্যানেলে নাটক প্রচার, কিছু কিছু গান ‘কোটি ভিউ’ পাওয়ায় বাংলাদেশের বাজারটিকে ‘অমিত সম্ভাবনাময়’ বলে মনে করছে ইউটিউব।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘আমরা আশা করছি, মাস দুয়েকের মধ্যে বাংলাদেশে ইউটিউবের অফিস চালু হবে। ইউটিউব মনে করছে, বাংলাদেশ তার জন্য নতুন বিজনেস হাব হবে। ইউটিউব এলে বিষয়টি (রেসপন্স পাওয়া) আমাদের জন্য সহজ হয়ে যায়।’

তিনি জানান, একটি স্যাটেলাইট চ্যানেলের কর্ণধার তাকে (মন্ত্রীকে) জানিয়েছেন, তারা সম্প্রতি ইউটিউব থেকে একটি ‘গোল্ডেন বাটন’ পেয়েছেন। এমনকি, সিএমএস–এর (কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম) দায়িত্বও পেয়েছেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাকে একটি মাধ্যম থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, বাই অক্টোবর আপনি দেশে ইউটিউবের অফিস পাচ্ছেন। ওই মাধ্যম আমাকে আরও জানিয়েছে, এটা একটা (ইউটিউব) গোল্ড মাইন (স্বর্ণ খনি), যদি ঠিকমতো পরিচর্যা করা যায়। ইউটিউবে বাংলাদেশের কনটেন্ট কম। টিভি চ্যানেলগুলো নাটকসহ অন্যান্য কনটেন্ট দিয়ে চলছে। এর বাইরে কনটেন্টের প্রচুর চাহিদা। আমাদের ওই জায়গাটা ধরতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘চ্যানেলগুলো শুরুতে যে অবস্থায় ছিল, সেখান থেকে তাদের ব্যবসা ইউটিউবে অন্তত ১০০ গুণ বেড়েছে।’

প্রসঙ্গত, কোনও চ্যানেল ১০ লাখ গ্রাহকের মাইলফলক অর্জন করলে স্বীকৃতিস্বরূপ ইউটিউবের পক্ষ থেকে (পক্ষান্তরে গুগলের পক্ষ থেকে) গোল্ডেন প্লে বাটন দেওয়া হয়। দেশের একাধিক স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেলে ইউটিউবে তাদের চ্যানেলের গ্রাহকপ্রিয়তার কারণে অ্যাপ্রিসিয়েশন হিসেবে গোল্ডেন প্লে ও সিলভার প্লে বাটন পেয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে তথ্যপ্রযুক্তি গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও ইউটিউবের ট্রাস্টেড ফ্ল্যাগার ‘প্রেনিউর ল্যাব’-এর প্রধান নির্বাহী আরিফ নিজামী বলেন, ‘এটা বাংলাদেশের জন্য সুখবর। এতে অন্তত বোঝা যায়, বাংলাদেশকে ইউটিউব কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে।’

সিএমএস বিষয়ে জানতে চাইলে আরিফ নিজামী বলেন, ‘এটা হলো কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম।’ এখনই বাংলাদেশকে এটা ইউটিউব দেবে কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করে তিনি বলেন, ‘কনটেন্ট মডারেশন প্যানেল দিলেও দিতে পারে ইউটিউব। হয়তো স্থানীয় ডোমেইন (ডট বিডি) নিয়ে ইউটিউব তার অফিস চালু করতে পারে। তবে এখনই অ্যাডমিন প্যানেল বাংলাদেশ পাবে কিনা সেটা ইউটিউবের স্বভাব অনুযায়ী আগেই বলা যায় না। সিএমএস দিলে বাংলাদেশের জন্যই ভালো হবে।’

নিজের প্রতিষ্ঠানের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা ট্রাস্টেড ফ্ল্যাগার হওয়ার পরও আমাদের এসব কিছু নেই। তবে আমরা কোনও কিছুর (খারাপ কনটেন্ট) রিভিউ তাদের পাঠালে তারা হাইয়েস্ট প্রায়োরিটি দিয়ে রিভিউ করে।’ তিনি আরও জানান, বাংলাদেশে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ফেসবুকের চেয়ে ইউটিউবের ভিউ বেশি হচ্ছে। বাংলাদেশে আসার পেছনে ইউটিউবের এটাও একটা কারণ হতে পারে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ইউটিউব দেশে অফিস চালু করলে কনটেন্ট ফিল্টারিং, কনটেন্ট প্রত্যাহার, বিজ্ঞাপন দেওয়া ইত্যাদি বিষয়গুলো সহজ হয়ে যাবে। অন্যদিকে, যারা ব্যক্তি এবং প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগে ইউটিউবে চ্যানেল তৈরি করেছেন তারাও সরাসরি পোর্টালটির সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের আয়, চ্যানেল ব্লক করে দেওয়া ইত্যাদির বিষয়ে কথা বলতে পারবেন।

তথ্যসূত্র:  বাংলা ট্রিবিউন

আগামী মাসেই বাংলাদেশে অফিস চালু করছে ইউটিউব

সময়ের প্রয়োজনে…(কালনী, বিজয় এক্সপ্রেস) ট্রেন দুটি”র ব্রাহ্মণবাড়িয়া ষ্টেশনে যাত্রা বিরতি, সকল আন্ত:নগর ট্রেনের আসন সংখ্যা বৃদ্ধি, রেলওয়ে টিকেট কালোবাজারী বন্ধ ও শহরের ফুটপাত দখল মুক্ত করার দাবীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধন ও সমাবেশের ডাক দিয়েছে জেলা নাগরিক ফোরাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ছাত্রনেতা হাবিবুর রহমার পারভেজের পরিচালনায় সভাপতিত্ব করবেন জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি  সাংবাদিক পীযুষ কান্তি আচার্য।

আগামী ২৫ জুলাই-২০১৮ইং রোজ বুধবার বেলা ১১টায় মানববন্ধন ও সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সকল সচেতন নাগরিকদের অংশগ্রহন করার বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত।

###

টিকেট কালোবাজারী বন্ধ ও ফুটপাত দখল মুক্ত করার দাবীতে মানববন্ধন ও সমাবেশ

ফেসবুকে আমরা..