স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রামণরোধে সরকার ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী কঠোর লকডাউন চলছে। কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃংখলা বাহিনী।

লকডাউনের চতুর্থদিনে গত রোববার দিনব্যাপী সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মাস্ক না পরা, লকডাউনে দোকান খোলা রাখা, অযথা বাইরে ঘুরাফেরা, সামাজিক দূরত্ব না মানা, মোটর সাইকেল নিয়ে অযথা ঘুরাফেরাসহ বিভিন্ন কারনে জেলার ৯টি উপজেলায় ৩৪৫ জনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

রোববার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ৯টি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৩৪৫ জনকে ১ লাখ ৯৬ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করেন।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কিশোর কুমার দাস জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন মানার জন্য জনগনকে বার বার বলা হচ্ছে। কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা শহর সহ ৯টি উপজেলায় ৩২ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাঠে কাজ করছেন। পাশাপাশি জেলা সদরসহ প্রতিটি উপজেলায় সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ, আনসারসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে রয়েছেন।

তিনি বলেন, রোববার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জেলাতে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ,নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর ধারাসমূহ লংঘনের অপরাধে ৩৪৫ জনকে ১ লাখ ৯৬ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার কর্তৃক ঘোষিত বিধি-নিষেধ সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির প্রয়াস অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত রোববার পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৪ হাজার ৩ শত ৮০ জন করোনায় আক্রান্ত হন। এদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৩ হাজার ৮ শত ২৫ জন। জেলায় এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৬৬ জন।

কঠোর লকডাউনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৪৫ জনকে জরিমানা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “৩৩৩”- এ কল পেয়ে খাদ্য নিয়ে কর্মহীনদের বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া।  সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত পৌর এলাকার মধ্যপাড়া, কাজীপাড়া ও পুনিয়াউট গ্রামের ৫২টি পরিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেন।

প্রতিটি পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ১০ কেজি করে চাল, দুই লিটার সয়াবিন তেল, এক কেজি চিনি, সেমাই, শিশু খাদ্য হিসেবে এক প্যাকেট গুড়ো দুধ, নুডলস ও পেঁয়াজ দেয়া হয়।

খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত কঠোর বিধি-নিষেধের ফলে সাময়িক কর্মহীন মানুষজন খাদ্য সহায়তার জন্য “৩৩৩”- এ আবেদন করলে আমরা যাচাই-বাছাই করে তাদের কাছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছি।

তিনি বলেন, সোমবার ৫২টি পরিবার ও রোববার ২৭টি পরিবারের বাড়িতে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেয়া হয়েছে।

খাদ্য বিতরণকালে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান ও জেলা শিল্পকলা একাডেমীর সাধারণ সম্পাদক এস.আর ওসমান গনি সজীব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাড়ি বাড়ি খাদ্য নিয়ে যাচ্ছেন ইউএনও পঙ্কজ বড়ুয়া


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে “রণাঙ্গণ” নামে একটি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক পত্রিকা বের করেছে উপজেলা শিল্পকলা একাডেমী।

এ উপলক্ষে রোববার সকালে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সংক্ষিপ্ত পরিসরে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে প্রকাশনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। একই অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর-এ-আলমকে বিদায়ী সংবর্ধনা দেয়া হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর-এ-আলমের সভাপতিত্বে ও পত্রিকার সম্পাদক বিশ্বজিৎ পাল বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে পত্রিকাটি উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জমসেদ শাহ্।

অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আখাউড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ মানিক মিয়া, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ আবদুল মমিন বাবুল, আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ফারহানা নূর স্বর্ণা, উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারন সম্পাদক মোঃ খোরশেদ আলম।

অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, নাছরীন নবী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবব্রত বনিক, পৌর যুবলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ আবু কাউছার ভূইয়া, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক চন্দন কুমার ঘোষ, প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি জুটন বনিক, টেলিভিশন জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম, সঙ্গীত শিক্ষক দিলীপ কুমার দেবনাথ, রক্তদানের সংগঠন আত্মীয় এর প্রতিষ্ঠাতা সমীর চক্রবর্তী প্রমুখ। অনুষ্ঠানে লেখকসহ সার্বিক সহযোগিতাকারিদের সম্মাননা দেয়া হয়।

করোনা পরিস্থিতির কারনে অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র লেখক ও বিজ্ঞাপন দাতাসহ ২২ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। অনুষ্ঠানে শুদ্ধাচার পুরষ্কার পাওয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর-এ-আলমকে শিল্পকলা একাডেমির সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

আখাউড়ায় “ রণাঙ্গন” এর প্রকাশনা উৎসব


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া।

“৩৩৩” এ খাদ্য সহায়তা চেয়ে আবেদনের প্রেক্ষিতে গতকাল রোববার দুপুরে তিনি শহরের মেড্ডা, পাইকপাড়া ও মধ্যপাড়া এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ২৭টি পরিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার খাদ্য সামগ্রী পৌছে দেন।

প্রত্যেক পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল, এক লিটার সয়াবিন তেল, এক কেজি চিনি, সেমাই, শিশু খাদ্য এক প্যাকেট, গুড়ো দুধ, নুডলস ও পেয়াজ দেয়া হয়।

খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা মোঃ মাহবুব আলম, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান প্রমুখ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অসহায় মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে খাদ্য সামগ্রী পৌছে দিলেন ইউএনও পঙ্কজ বড়ুয়া


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন উপেক্ষা ও সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মাস্ক না পরা, লকডাউনে দোকান খোলা রাখা, অযথা বাইরে ঘুরাফেরা, সামাজিক দূরত্ব না মানা, মোটর সাইকেল নিয়ে অযথা ঘুরাফেরাসহ বিভিন্ন কারনে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১৯ জনকে ৪৯হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে.এম. ইয়াসির আরাফাত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এই জরিমানা করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি অফিসার কে.এম. ইয়াসির আরাফাত বলেন, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রন ও নির্মূল আইন, ২০১৮ অনুযায়ী ১৩টি মামলায় ১৯ জনকে ৪৯ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ভ্রাম্যমান আদালতে ১৯ জনকে জরিমানা

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

শনিবার কঠোর লকডাউনের তৃতীয় দিনে সকালের সরাইল ছিল অনেকটা স্বাভাবিক। সকাল ১০টার পর সেনাবাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসনের উপস্থিতিতে গাড়ি ও লোকজনের নড়াচড়া কমে আসে। তবে হাসপাতাল মোড়ে সড়কের পাশের মাছ বাজারে মানুষের গিজাগিজি ছিল উল্লেখযোগ্য।

বেলা ২টার পর বিশ্বরোড মোড় থেকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে বেশ কিছু যাত্রীবাহী সিএনজি চালিত অটোরিকশা চলছে আশুগঞ্জ ও ভৈরবের দিকে। নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক মৃদুল বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।

এর মধ্যে উপজেলার কুট্রাপাড়া মোড়, সৈয়দটুলা, রসুলপুর ও সরাইল বাজার এলাকায় সংক্রামক রোগ আইন-২০১৮ অনুসারে ৯টি মামলায় ৯ ব্যাক্তিকে ৬ হাজার ৫ শত টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া আইন অমান্য করায় ২ ব্যাক্তিকে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আটক করে রাখেন।

ওদিকে সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফারজানা প্রিয়াংকা একই আইনে ৪ জনের বিরূদ্ধে মামলা করে ৩ হাজার ৫শত টাকা জরিমানা করেন। নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফুল হক মৃদুল বলেন, লকডাউন চলাকালে আইন অমান্যকারীদের বিরূদ্ধে মামলা ও জরিমানা করার পক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।

সরাইলে কঠোর লকডাউনে ১৩ মামলায় জরিমানা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন উপেক্ষা ও সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মাস্ক না পরা, লকডাউনে দোকান খোলা রাখা, অযথা বাইরে ঘুরাফেরা, সামাজিক দূরত্ব না মানা, মোটর সাইকেল নিয়ে অযথা ঘুরাফেরাসহ বিভিন্ন কারনে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ২৭জনকে জরিমানা করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হালিমা খাতুন গত শুক্রবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ১২টি মামলায় ২৭ জনকে ১৭ হাজার তিনশত টাকা জরিমানা করেন।

এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুন বলেন, সংক্রামক রোগ ( প্রতিরোধ,নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর বিভিন্ন ধারা ভঙ্গের অপরাধে ২৭জনকে ১২টি মামলায় ১৭৩০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি বলেন জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নাসিরনগরে কঠোর লকডাউনে ২৭জনকে জরিমানা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কঠোর লাকডাউন চলাকালে মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বের হওয়ার কারনে জালাল মিয়া- (২০) নামে এক যুবককে জরিমানাস্বরুপ এক বক্স মাস্ক বিতরনের নির্দেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত।

শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য এই নির্দেশ দেন। জালাল মিয়ার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের চান্দপুর গ্রামে। সে শহরের কাজীপাড়ায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন ও শহরের কুমারশীল মোড়ের একটি রেস্টুরেন্টে বয়ের কাজ করেন।

জালাল মিয়া বলেন, শনিবার দুপুরে তিনি বাসা থেকে বের হয়ে কুমারশীল মোড়ে কাজে যাওয়ার পথে মুখে মাস্ক না থাকার কারনে প্রেসক্লাবের সামনে তাকে আটক করে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। পরে তাকে প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়ে একবক্স মাস্ক বিতরণ করার নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। পরে তিনি সেখানে দাঁড়িয়ে হতদরিদ্রদের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য বলেন, ছেলেটি মাস্ক ছাড়া রাস্তায় চলাচল করছিলো। এসময় তাকে আর্থিক জরিমানা না করে একবক্স মাস্ক কিনে বিতরণ করতে বলা হয়। পাশাপাশি মাস্ক ছাড়া রাস্তায় চলাচল না করার জন্যে সর্তক করা হয়। তিনি বলেন, যারা মাস্ক ছাড়া রাস্তায় বের হবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

যুবককে মাস্ক বিতরণের নির্দেশ নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের ৯টি গ্রাম পাহাড়ি ঢলে প্লাবিত হওয়ায় ওইসব গ্রামের ১০০ পরিবারের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

শনিবার বিকেলে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে এই খাদ্য সহায়তা বিতরণ করেন। প্রতিটি পরিবারের মধ্যে ১০ কেজি চালসহ শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়।

খাদ্য সমাগ্রী বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওছার ভুইয়া জীবন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলম, সহকারী কমিশনার (ভূমি) হাছিবা খান, কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর ভূইয়া, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ হাবিবুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান আল মামুন ভূইয়া প্রমুখ।

কসবায় ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে জেলা প্রশাসকের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
করেনাভাইরাসের উর্ধ্বগতিরোধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয় দিনও কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে সরকার ঘোষিত সর্বাত্বক লকডাউন। লকডাউন কার্যকর করতে গতকাল শুক্রবারও সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও র‌্যাবসহ আইন-শৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা শহরে টহল দিচ্ছেন।

জেলা সদরসহ জেলার ৯টি উপজেলাতেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটগন মাঠে রয়েছেন। শহরের গুরুত্বপূর্ন পয়েন্টগুলোতে আইন-শৃংখলাবাহিনীর সদস্যগন মানুষকে দাঁড় করিয়ে শহরে ঢোকার কারন জানতে চাইছেন। প্রথমদিনের তুলনায় শুক্রবার শহরে মানুষের উপস্থিতি ছিলো খুবই কম।
মহাসড়কগুলোতে বাস চলাচল বন্ধ ছিলো। তবে শহরে সীমিত সংখ্যক রিকসা চলাচল করতে দেখা গেছে। পন্যবাহি কয়েকটি ট্রাককে শহরে প্রবেশ করতে দেখা গেছে। শহরের সকল শপিং কমপ্লেক্স, মার্কেট ও বিপনী বিতানগুলো বন্ধ রয়েছে। তবে জরুরি সেবায় নিয়োজিত প্রতিষ্ঠানসমূহ খোলা রয়েছে।

লকডাউনের প্রথমদিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মাস্ক না পরা, লকডাউনে দোকান খোলা রাখা, অযথা বাইরে ঘুরাফেরা, সামাজিক দূরত্ব না মানা, মোটর সাইকেল নিয়ে অযথা ঘুরাফেরাসহ বিভিন্ন কারনে জেলার ৯টি উপজেলায় ১৫৪ জনকে ৮৮ হাজার ১৫০ টাকা টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

লক ডাউনের দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার দুপুর ১২টায় বিজয়নগর উপজেলার আমতলী বাজারে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে দোকান খোলার দায়ে ২টি দোকানে অভিযান চালিয়ে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা এবং অহেতুক মোটর সাইকেল নিয়ে ঘুরাফেরা ও অকারনে রাস্তায় ঘুরাফেরার জন্য ৩ জনকে ১ হাজার ২শ টাকা জরিমানা করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কে.এম. ইয়াসির আরাফাত।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয় দিনও কঠোরভাবে পালিত হচ্ছে লকডাউন

ফেসবুকে আমরা..