গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ ২০২১খ্রিঃ তারিখে হেফাজতে ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারকীর ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। গত ২৭ শে মার্চের হেফাজতে ইসলাম কর্তৃক আহুত বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নন্দনপুর এলাকায় বিক্ষোভকারীদের
সাথে পুলিশের ব্যাপক সহিংসতা হয়। এ সময় মৌলভীবাজার জেলা থেকে একজন আসামীসহ পুলিশ স্কর্ট উক্ত সংঘাতময় এলাকায় পৌছলে বিক্ষোভকারীরা উক্ত আসামী স্কর্ট পার্টিকে আক্রমণ করে। তারা পুলিশ সদস্যদের ব্যাপক মারধর পূর্বক অস্ত্র ও গুলি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় মৌলভীবাজার জেলার কনস্টেবল তুহিন হাসানকে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে তার নিকট থাকা ২০ রাউন্ড চায়না রাইফেলের গুলি ছিনিয়ে নেয়।

এ ঘটনায় মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন (ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার মামলা নং-৪৬, তারিখ-৩০/০৩/২০২১খ্রিঃ,
ধারা-১৪৩/৩৪১/১৮৬/৩৫৩/৩৩২/৩৩৩/৩০৭/২২৫-খ/৩৭৯/৩৪ পেনাল কোড)। এ ঘটনায়
প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল দিবাগত রাতে ০২ হেফাজত কর্মী ১। আরব আলী (৪০), পিতা- মৃত ছমির আলী, মাতা-হুয়ারা বেগম, সাং-দক্ষিণ কেন্দুবাড়ি, ৩নং ওয়ার্ড সুহিলপুর, থানা ও জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ২। মোঃ মনির মিয়া (৪২), পিতা-মৃত রমিজ মিয়া, মাতা-মুক্তা বেগম, সাং-সুহিলপুর হিন্দুপাড়া (জয়নাল আবেদীন এর বাড়ির
ভাড়াটিয়া), থানা ও জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়াদ্বয়কে সুহিলপুর বাজার হতে গ্রেফতার করে। এসময় তাদের দেয়া তথ্যমতে সুহিলপুর বাজারের পিয়াসা মিষ্টি ভান্ডার দোকানের টিনের চালা থেকে উক্ত ছিনিয়ে নেয়া ২০ রাউন্ড চায়না রাইফেলের গুলি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থেকে হেফাজতের তান্ডবে জড়িত আরো দুইজন ১। জাকির হোসেন (৪৫), পিতা-মৃত মনু মিয়া, সাং-কুট্টাপাড়া, থানা-সরাইল, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ২। মোঃ সুমন (৩৪), পিতা- মোঃ চান মিয়া, সাং-ভাদুঘর, থানা ও জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়াদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশকে মারধর ও গুলি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ০২ জন হেফাজত কর্মীসহ ০৪ জন আটক, ছিনিয়ে নেয়া ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

উৎসাহ উদ্দীপনা ও যথাযোগ্য মর্যাদায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪১ তম জন্মদিন পালিত হয়েছে । এ উপলক্ষে শনিবার সকালে ভাসানী চর্চা কেন্দ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি পাঠাগারে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ।

ভাসানী চর্চা কেন্দ্রের সংগঠক সাংবাদিক আবদুন নূর এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় অংশ নেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মতিলাল বণিক, বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হোসাইন আহাম্মদ তফছির, জেলা জাসদ সভাপতি যুদ্ধকালীন কমান্ডার অ্যাডভোকেট আকতার হোসেন সাঈদ, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট কাজী মাসুদ আহমেদ, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খান, জেলা জেএসডির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈমুর রেজা মোঃ শাহজাদ, জেলা জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, জেলা জাতীয় কৃষক খেতমজুর সমিতির সভাপতি হাজী আবদস সোবহান মাখন, অনুশীলন সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সদস্য আবুল খায়ের, জেলা যুবমৈত্রীর সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ,জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির প্রমুখ।

সভা পরিচালনা করেন ভাসানী চর্চা কেন্দ্রের সংগঠক ও তেল গ্যাস রক্ষা জাতীয় কমিটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মোঃ নাসির ।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন,মওলানা ভাসানী ছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস অপূর্ণাঙ্গ, ইতিহাসে যার যেটুকু প্রাপ্য তা তাকে দিতেই হবে ।সকল প্রকার দেশীয় শোষণ নির্যাতন ও শোষণের বিরুদ্ধে মওলানা ভাসানী ছিলেন আজীবন আপোষহীন । বৈষম্যহীন সমতাভিত্তিক অসম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সমাজ প্রতিষ্ঠার লড়াই সংগ্রামে ভাসানী সবসময়ই পথের দিশারী । বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তারা বলেন, ’৭২ এর সংবিধানে সন্নেবেশিত চার মূলনীতি অনুযায়ী রাস্ট্র পরিচালিত হলে মৌলবাদী গোষ্ঠী এ ধরণের আস্ফালন দেখাতে সাহস পেতনা । কোন প্রকার আপসকামীতা নয় সংবিধান থেকে রাস্ট্র ধর্ম বাদ দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশ পরিচালনার জন্য ৭২ এর সংবিধান পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য সরকারে প্রতি দাবি জানানো হয় ।

বক্তারা মওলানা ভাসানী থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রাণ প্রকৃতি তথা জাতীয় সম্পদ রক্ষা এবং সা¤্রাজ্যবাদী শোষণের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ লড়াই সংগ্রামের আহবান জানান। সভা থেকে বন্ধ ঘোষিত পাটকলগুলো সরকারি ব্যবস্থাপনায় পুণরায় চালু করার জন্য দাবি জানানো হয় এবং রাস্ট্রায়ত্ব চিনিকলগুলো ব্যক্তি মালিকানায় না ছাড়াও দাবি জানানো হয় ।

সরাইলের শাহবাজ পুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা দীলিপ নাগের দুটি ঘর রাতের আধাঁরে স্থানীয় স্বাধীনতা বিরোধীর ছেলে প্রভাবশালী ব্যক্তি কর্তৃক গুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করে এর বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সরকারে প্রতি দাবি জানানো হয় ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ১৪১ তম জন্মদিন পালিত

প্রেস রিলিজ
ডিবি পুলিশ কর্তৃক ১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ আনিসুর রহমানের
নির্দেশনায় এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন,
পিপিএম-সেবা (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে
৩১/০৫/২০২০ ইং তারিখ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা গোয়েন্দা শাখার, অফিসার ইনচার্জ
জনাব আমিনুর রশিদ এর নেতৃত্বে জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)’র একটি টিম গোপন
সংবাদের ভিত্তিতে  ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা থানাধীন কসবা পৌরসভাস্থ
টিআলী বাড়ীর মোড়ের দক্ষিণ পার্শ্বে পাকা রাস্তার উপর হইতে রাত্র ২২.৩৫
ঘটিকার সময় ১০০ (একশত) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ আসামী ১। মোঃ হাসেন মিয়া
(৩৮) পিতা-মৃত হেকিম, ২। মোঃ শাহাব উদ্দিন (২৩) পিতা-মিলন মিয়া, উভয়
সাং-শাহপুর (পূর্বপাড়া) ওয়ার্ড নং-০২, কসবা, পৌরসভা, থানা-কসবা,
জেলা-ব্রাহ্মষণবাড়িয়াদ্বয়কে কে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের
বিরুদ্ধে কসবা থানায় প্রচলিত ধারায় মামলা রুজু করা হইয়াছে।

১০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ ২ জন মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার।

প্রেস‌ বিজ্ঞ‌প্তিঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের কুট্টাপাড়া এলাকা থেকে ৪৩ কেজি গাঁজা‘সহ মাদক ব্যবসায়ী সজল মিয়া(৩৮)’কে আটক করেছে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প।

১। “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাব যুব সমাজ তথা বাংলাদেশ’কে মাদকের ভয়াল থাবা, সন্ত্রাস, জঙ্গী, ছিনতাই, ডাকাতি, জুয়া, অপহরণ, খুন, ধর্ষণ, অসাধু ডিলার’সহ বিভিন্ন ধরণের অবৈধ কর্মকান্ড থেকে রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশব্যাপী আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

২। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, একটি মাদক ব্যবসায়ী চক্র নিয়মিত মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানা এলাকা হতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাইকারি/খুচরা বিক্রয় করে থাকে। উক্ত তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য উক্ত মাদক ব্যবসায়ী চক্রের উপর র‌্যাবের নিরবিচ্ছিন্ন গোয়েন্দা নজরদারী চালানো হয় এবং তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়। জানা যায় অদ্য ১৮/০৫/২০২০ ইং তারিখ রাতে মাদকদ্রব্য গাঁজার একটি বড় চালান ঢাকার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাবে। এরই প্রেক্ষিতে ভৈরব র‌্যাব ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পরিচালক চন্দন দেবনাথ এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল ১৮/০৫/২০২০ ইং তারিখ অনুমান ২১.৪৫ ঘটিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানাধীন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কুট্টাপাড়া এলাকায় লাল পাম্পের সামনে রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে ১। মোঃ সজল মিয়া (৩৮), পিতা-মৃত আব্দুল গফুর, সাং-লাখাই, থানা-কালোক, জেলা-হবিগঞ্জ, এ/পি-সাং-আশুগঞ্জ পূর্ব বাজার শরীফ মিয়ার বাসা, থানা- আশুগঞ্জ, জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া‘কে আটক করা হয়। আটককৃত আসামীর দখল হইতে (ক) ৪৩ কেজি মাদকদ্রব্য গাঁজা, (খ) মাদক বিক্রির নগদ ৭,৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত আলামতের আনুমানিক মূল্য ১২,৯৭,৬০০/- টাকা। ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।

রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
সিনিয়র সহকারী পরিচালক
কোম্পানী অধিনায়ক
র‌্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্প।
মোবাঃ ০১৭৭৭৭১১৪৩৩।

৪৩ কেজি গাঁজা‘সহ মাদক ব্যবসায়ী সজল মিয়া(৩৮)’কে আটক করেছে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প।

 সবশ্রেণীর মানুষদের জীবনের উৎকর্ষ-অপকর্ষের সূবিচার হয় তাদের ‘চরিত্র’-পরিচয়ে। মানুষদের ”জীবন এবং কর্মের” মহিমায় তাদের চরিত্রের আলোকেই পায় দীপ্তি। সকল মানুষ তার চরিত্র-বৈশিষ্ট্য অনুসারেই কাজ বা চিন্তা করে এবং সেই অনুযায়ী যেন সমাজজীবনে ভূমিকা রাখে। মানুষের জীবনে চরিত্র যে তার অহংকার ও সম্পদ। জনৈক দার্শনিক বলে ছিলেন, মানুষ হচ্ছে তিন প্রকার। একশ্রেণীর মানুষ হলো খাদ্যের জন্য সংগ্রাম করে যাদের দরকার হয় সবসময়েই খাদ্য। আরেক শ্রেণীর মানুষ হলো, ঠিক ওষুধের মতোই যাদের দরকার হয় মাঝে মাঝে। আরেক শ্রেণীর মানুষরা হলো, রোগের মতো যা তাদের কখনো যেন দরকার হয় না। এ মানুষরা এই তিনটি বিষয় নিজ থেকে বিশ্বাস করে কিন্তু সৃষ্টিকর্তা এখানে বৃহৎ ভুমিকা আছে তাইতো তাঁরা এমন আচরণেই কথা কপচায় এবং দাপটের সঙ্গেই চলে। যার যেটা শক্তিশালী সে সেটা নিয়ে অহংকার করে। সুতরাং, সৃষ্টিকর্তা তাদের অহংকার একনিমেষেই পরিবর্তন করে দিতেও পারেন। মানুষের বুদ্ধির সীমাবদ্ধতা আছে, কিন্তু বোকামীর কোন সীমাবদ্ধতা নেই। তাইতো এই জগতের মানুষরা দাম্ভিকতা প্রকাশ করে এবং অহংকার করে।
সৃষ্টিকর্তা তাদেকে দেয় উজ্জ্বল শোভা ও সমুন্নত মহিমা। ফুলের সম্পদ যেমন তার সৌন্দর্য কিংবা সুরভি, আবার মানুষের সম্পদ তেমনি যেন চরিত্রশক্তি। নানা সদগুণের সমন্বয়েই যেন সব মানুষ হয়ে উঠে চরিত্রবান। মানুষদের সাথে সেই রূপ আচার আচরণ করো যেমন তারা পছন্দ করে। কিন্তু নিজের ইচ্ছা বা পছন্দ মাফিক আচরণ কর না। তাতে তারা কষ্ট পায়, একজনের কোনো রোগ হয়না কিন্তু সে ব্যক্তি রোগী ব্যক্তিকে অবহেলা করে বনজঙ্গল কিংবা রাস্তায় রোগীকে ফেলে চলে যায়। কিযে নির্মমতা ও নিষ্ঠুর প্রকৃতির মানুষ এই সমাজে আছে। তাদের যদি কোনো সময়ে এমন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হয়েই যায় তখন তাদের উপায় কি, তারা একবারেও ভাবে না।
সদাচারণ, সত্যবচন, সৎসংকল্প এবং সৎ জ্ঞান হয় তার জীবনে আদর্শ। মানুষ হিতৈষী হয় তার জীবনব্রত নিয়ে।সে মানুষ কোথায়, সমাজ কি অন্ধকারে তলিয়ে যাচ্ছে।ভূল করা দোষের কথা নয় বরং ভূলের উপরে প্রতিষ্ঠিত থাকা দোষণীয়। দেখা যাচ্ছে দিন দিন যেন ভুলের উপর ইচ্ছা করেই হাবুডুবু খাচ্ছে। চারিত্রিক দৃঢ়তাও মানুষদের বিন্দুমাত্র খোঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এক সময় আমাদের জানা ছিল, চারিত্রিক গুণাবলীর স্পর্শে সমাজের অধম ব্যক্তিরাও নিজের কুলষিত জীবনকে সুধরে নেয়ার যেন সুযোগ পায়। এখন সুধরে নেওয়া তো দূরের কথা মানুষ অহংকারী হয়ে উঠছে। এখানে অহংকার শব্দটাকে যেই ভাবে আলোচনা করার চেষ্টা, তার উদ্দেশ্য অবশ্যই ভিন্ন আঙ্গিকে। অহংকার গুরুগম্ভীর শব্দটা অবশ্যই মানুষের কাছে পরিচিত হলেও তা নেতিবাচক একটি শব্দ। মানুষ তাকে নিজস্ব আত্মায় ইচ্ছাকৃতভাবে ধারন করে অনেক বড়াই করে। এ ধরনের কথাকে ভেবেই বলা যেতে পারে যে, অহংকারী মানুষরা কখনোই ভালো মানুষদের কাছে সম্মান পায় না। কিসের এতো অহংকার? অনেক সবুজ ধান গাছের পাকা ধান গুলো কাটছে একটি মহল, কিন্তু সেই ধান গাছের ছবিতে দেখা যায় পাকা ধাপগুলি যেন  চোখেই পড়ছে না। জমির মালিকও বলছেন, পাকা ধান কাটা হচ্ছে। মালিক কি ভয়েই বলছেন আমাদের জানা নেই। হয়তো বা ক্ষমতার দাপটে মালিকে বলিয়ে নিতেও পারেন। ক্ষমতার দাপট কিংবা দাম্ভিকতাটাও- সে সকল মানুষের আত্মঅহংকার পর্যায়ে পড়ে বলেই মনে করতে পারি।
ঘুম ভাঙলে সকাল, আর না ভাঙলে পরকাল। অহেতুক এতো অহংকার বা দাপট কেন? মানুষ নিজের অবস্থান নিয়ে অনেক গর্ব এবং অহংকার করে থাকে কিন্তু ভেবে দেখেও না যে, তাঁর যা অবস্থান রয়েছে তার পেছনে যে কার না কারো অবদান আছে। সুতরাং বলা যেতে পারে অহংকারী ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষেই অকৃতজ্ঞ, কৃতঘ্ন ও গর্বিত কুলাঙ্গার। খুব ‘বেশি অহংকার’- কখনোই ভালো হয় না। তিন ধরনের মানুষ অনেক বেশি ‘অহংকার’ করে থাকে। বেশি শিক্ষিত হলে, বেশি সুন্দর হলে, হঠাৎ করেই তারা বড়লোক হলে। তা ছাড়াও আরো একটি কারণ রয়েছে, তাহলো অল্প বিদ্যা অর্জনকারী ব্যক্তি নিজকে অহেতুক আড়াল করে রাখার জন্যেই যেন এক ধরনের ভাব ধরে অহংকার করে। সুতরাং জ্ঞানীরা মূর্খদেকে চিনতে পারে কেননা সে জ্ঞানী। পক্ষান্তরে মূর্খ জ্ঞানীকে চিনতে পারে না, কেননা সে মূর্খ। তাই তো সামাজিক ভাবে কে জ্ঞানী  আর কে মূর্খ বুঝা কঠিন। শুধুই এই সমাজে লক্ষ্য করা যায় দাম্ভিকতা কিংবা অহংকারের বেড়াজালে সাধারণ মানুষরা বন্ধি। অ-মানুষের জ্ঞান কবে হবে, যে অধিকার আদায়ের পেছনে চেষ্টা চালানো হয় তা কখনই বৃথা যায় না। সততা ও নিষ্ঠার সহিত অহংকার পরিহার করেই কি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার করা যায় না। কেনই বা এই দেশের হতদরিদ্র অসহায় মানুষদের ‘খাদ্যদ্রব্য’ ক্ষমতার দাপটে চোরি করে খেতে হবে।
সমগ্র পৃথিবীতে আজ অবধি যত সত্য কথাগুলো জানা হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম সত্যি কথা অহঙ্কার পতনের মূল আর মানুষের নায্য চাহিদা থেকে বঞ্চিত করা। তাই তো ‘জন রে’ বলেছিলেন, ‘লোভী ও অহংকারী মানুষকে বিধাতা সবচাইতে বেশী ঘৃণা করে।’ তাই বলতেই হয় যে, “যতক্ষণ অহংকার ততক্ষন অজ্ঞান। যতক্ষণ নিজ স্বার্থ ততক্ষণ পতন”। অহংকার কিংব অত্মসাতে মতোই স্বার্থ থাকতে কখনোই মুক্তি হবে না। নীচু হলে তবে উঁচু হওয়া যায়, চাতক পাখির বাসা নিচে কিন্তু উঠে খুব উঁচুতে। এ ধরনের ‘অহংকার নয়’ আত্মবিশ্বাস নিয়ে কাজ করলেই বড় হওয়া যায়, সকল শ্রেণীর মানুর জাতি সম্মান করে। যাদের আত্ম বিশ্বাসের অভাব এবং আত্মবিশ্বাসেই অন্ধ তারা অন্য মানুষকে ভালো কাজ থেকে কি ভাবে সরিয়ে রাখা যায় সে চেষ্টাই করে থাকে। তারা নিজেরা পারে না বলেই যেন, অন্যকে কৌশলে ফেলে বিভিন্ন চাল ঘটিয়ে চাল চোরি এবং অন্যান্য কিছু পেলেই ভোগ করে থাকে। আবার অতি আত্মবিশ্বাস ও অহঙ্কারহীন মানুষকে নিজ চেষ্টা কিংবা ”সঠিক কিছু শেখা” থেকেই বিরত রাখতেও চেষ্টা করে। দাম্ভিকতার শিক্ষায় বেশকিছু মানুষরাই এক দিন না এক দিন নিজ স্বার্থ ও অহংকার দেখিয়েই কখন পতন ঘটে যায় তা টেরও পায় না এবং পরেই আপসোস করে। অহংকার এটি অনেক ‘খারাপ গুণ’। এটা অবশ্যই শয়তানের বৈশিষ্ট্য, ঠিক শয়তান মানুষকে দিনে পর দিন অহংকারী রূপেই বিভিন্ন কাজে সাহায্য করে। তাই “সৃষ্টি কর্তা” মনেই করেছেন, অহংকারী মানুষ গুলো কখনোই ভালো হয় না। দিনে দিনেই তাদের অন্তরকে ‘আলোহীন’ করে দেয়। তাদের অন্তরটিতেই যেন একসময়- ‘পরিপূর্ণ অহংকার’ জায়গা করে নেয়। আর কোনোভাবে সরাতে পারে। ভালো চেতনা নষ্ট  হয়ে যায়। সর্ব প্রথম সৃষ্টি কর্তা এবং তাঁর সৃষ্টির ওপর যে অহংকার করেছিল সে হচ্ছে, অভিশপ্ত ইবলিস। সুতরাং অহংকার ইবলিসি চরিত্র।
অহংকারী মানুষ খুব জঘন্য স্বভাবের হয়। এটা আসলে আত্মার মারাত্মক মরন ব্যাধি। মানুষ নিজেকে অন্যদের থেকে শ্রেষ্ঠ ও উত্তম বলে মনে করলেই যেন মনের মধ্যে এক ধরনের আনন্দের হাওয়া বয়ে যায়। এমন– আনন্দ হাওয়ার কারনে মন ফুলে ফেপে উঠে। এটাই অহংকার।মনে রাখতে হবে যে অহংকার ও বড়াই মানবাত্মার জন্য খুবই ক্ষতিকর এবং মারাত্মক ব্যাধি, যা কিনা মানুষদের নৈতিক চরিত্রকে শুধু কলুষিতই করে না বরং মানুষদের সত্যের পথ থেকে খুব দূরে সরিয়ে ভ্রষ্টতা বা গোমরাহির পথে নিয়ে যায়। কোনো শ্রেণী-পেশার মানুষদের অন্তরে অহংকার ও বড়াই এর অনুপ্রবেশ ঘটে ঠিক তখনই তার জ্ঞান, বুদ্ধির ওপরেই তা বিস্তার করে। নানা প্রলোভন ও প্ররোচনার মাধ্যমেই খারাপ আত্মা খুব শক্ত হস্তেই টেনে নিয়ে যায় কু-পথে এবং বাধ্য করে সত্যকে অস্বীকার বা বাস্তবতাকেই প্রত্যাখ্যান করার মতো অনেক কিছু। ইচ্ছা জাগ্রত থাকেও না খুব ভালো কাজে। ‘অংহকারী মানুষ’ সবসময়ে চেষ্টা করে অন্যের হক কুক্ষিগত করে নিজের ফায়দা লুটা যায় কিভাবে। তাদের কাছে খুব সজ্জিত ও সৌন্দর্য মণ্ডিত ব্যপারগুলো হয়ে ওঠে যেন কিছু বাতিল, ভ্রান্ত, ভ্রষ্টতাসহ গোমরাহি মতোই নানা বিষয়। যার কিনা কোনো বাস্তবতা খোঁজে পাওয়া যায় না। এ সবের সাথে আরও যোগ হতে থাকে, যেই মানুষ যতোই বড় হোক না কেন, তাকে অহংকারী’রা নিকৃষ্ট মনে করবে এবং তুচ্ছ- তাচ্ছিল্য করে তাকে অপমান করবে। দেখা যায় অনেক মানুষরা আবার প্রতিভার কারণে প্রাথমিকভাবেই সফল হয়, কিন্তু সেই মানুষরা অহঙ্কারের কারণেই যেন নিজের সাফল্য ধরে রাখতে পারেনি। অহংকারী মানুষেরাই তার নিজের ভুল ত্রুটি কাউকে দেখতেও দেয়না। ইগো তাকে অন্ধ করে দেয়, সে যতটা না বড়, নিজেকে তার চেয়েও যেন বেশি বড় করে দেখতে শুরু করে। কারও পরামর্শ এরা নেয় না। মনে করে নিজেই সবচেয়ে ভালো বোঝে।সুতরাং এমন ধরনের মানুষ সমাজে অহরহ চোখে পড়ে নিজেকে নিয়েই অহংকার করতে করতে ধ্বংস হয়েছে। সমাজ তাদেরকে অনেকেই ঘৃণার চোখে দেখে। সুতরাং পা পিছলে পড়ে যাওয়া লজ্জার কথা নয়। বরং যথাযথ সময়ে উঠে না দাঁড়ানোই লজ্জার ব্যাপার। এ মানুষদের লজ্জা হবে কবে।
অহংকার- তো তারাই করে, যাদের কোনো ধরনের গুন নেই। অহংকার শব্দটির প্রতিশব্দটা হচ্ছে: আত্মাভিমান অহমিকা ও গর্ব। অহংকার অথবা গর্ব এমন একপ্রকার  আবরণ, যা মানুষের সকল মহত্ত্ব আবৃত করেও ফেলে। মানুষের সকল মানবীয় গুণের বহিঃপ্রকাশ হলো মহত্ত্ব। এইসব মানবীয় গুণাবলি দিয়েই মানুষেরা অন্যান্য প্রাণী থেকে নিজেকে আলাদা করেছে। হয়েছেও ‘সৃষ্টির সেরা’ জীব। মহৎ মানুষরা অহংকারী ও আত্মকেন্দ্রিক না হয়ে, দেশ ও দশের কল্যাণে আত্মোৎসর্গ করেছে। তাই, তাঁরা সকল প্রকার “হীনতা, দীনতা, সংকীর্ণতা, স্বার্থপরতা বা অহংকার” থেকে মুক্ত থাকে। তাঁরা সবসময় দেশ, জাতি ও সমাজকে নিয়ে চিন্তা করে, নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করে যায়। তারা বিশ্বাস করেন, মরিচা- যেমন লোহাকে বিনষ্ট করে, তেমনি অতিরিক্ত অহংকার মানুষকে ধ্বংস করে।সৎ মানুষেরা এও বিশ্বাস করেন যে, অহংকারী ব্যক্তিকে আল্লাহ ধ্বংস করে দেন, তার প্রভাব-প্রতাপ নস্যাৎ করে দেন এবং তার জীবনকে সংকুচিত করে দেন। যে ব্যক্তি অহংকার করতে চায় কিংবা বড়ত্ব দেখাতে চায় আল্লাহ তাকে বেইজ্জতি করেন। সুতরাং, অহংকারী হওয়া ঠিক নয়, গারিবদেকে ঘৃণা করা উচিত নয়। তাদের যা প্রাপ্য অধিকার নিশ্চিত করা প্রয়োজন। মানুষের সাথেই বন্ধুত্ব ছিন্ন করে অর্থ উপার্জন করতে যেও না। কারণটা, বন্ধুত্ব স্থাপনই যেন নিজস্ব অর্থাপর্জনের এক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম তা স্মরণ রাখতে হবে।
লেখক:
নজরুল ইসলাম তোফা, টিভি ও মঞ্চ অভিনেতা, চিত্রশিল্পী, সাংবাদিক, কলামিষ্ট এবং প্রভাষক।

ক্ষমতার অহংকার ও দাম্ভিকতা চীরজীবন থাকে না

ফাহিম মুনতাসির:

গতকাল বিকালে আল্লামা জুবায়ের আহমেদ আনসারী মারা গেছেন।এই ব্যক্তির পরিচয় আশা করি সবার জানা।সে শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়া নয়,সমস্ত বাংলাদেশের একজন নামকরা বক্তা।কাল থেকে আচ করতে পারছিলাম যে,আগামীকাল বড়সড় একটা জমায়েত হতে যাচ্ছে।তাই হলো!
এখন অনেকে হুজুরকে গালি দিচ্ছে তোহ আবার অনেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে।এখন এটা কি হুজুরের দোষ যে তার জানাজায় মানুষের জমায়েত হয়েছে নাকি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের দোষ যে এমন একজন আলেম ব্রাহ্মণবাড়িয়া তে জন্ম নিয়েছে?

 

ফেসবুকে ঢুকলে গালাগালি চলছে,গ্রুপে গালিগালাজ চলতেছে,বুঝে না বুঝে গালি দিচ্ছে। মেইন টপিক একটাই “ব্রাহ্মণবাড়িয়া”।
এখন আসি আসল কথায়,আল্লামার জানাযায় শুধুমাত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া নয়, আশেপাশের বিভিন্ন জেলার যেমনঃ নরসিংদী,হবিগঞ্জ,কিশোরগঞ্জ,সিলেট ইত্যাদি থেকে মানুষ এসেছে।তারা যে এসেছে এটা ও কি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দোষ? নাকি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ বাসা থেকে তাদের নিয়ে এসেছে?

এখন আসি ঝগড়া ঝাটির ব্যাপারে।গত দু-তিন সপ্তাহ ধরেই খবরের কাগজ,টিভির হেডলাইন,ফেসবুক সবকিছুতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নিউজ।ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ ঝগড়াটে, বর্বর,অশিক্ষিত ইত্যাদি ইত্যাদি।তোহ কথা হচ্ছে ঝগড়া কোন জায়গায় না হয়? কোন এমন ফেরেশতাদের জায়গা আছে বাংলাদেশে যেখানে ঝগড়া হয় না? ঠিকানা দিন,সেখানে চলে যাব সারাজীবনের জন্য।
হ্যা,প্রশ্ন করতে পারেন এই সময়টাতে ঝগড়া করা কি ঠিক? অবশ্যই না।কিন্তু তাই বলে এভাবে সবাই মিলে এক জায়গার পিছনে লেগে পড়লেন ঝগড়ার বিষয় কেন্দ্র করে? বাহ! বাঙালি আর কিছুতে একতা দেখাতে পারুক আর না পারুক, অন্যের সম্মানহানিতে একতার দেখা মিলবেই।
আর কিছু ফেসবুক রিনাউনেড পার্সন আছেন, যারা এখন হাসিতামাশা করে যাচ্ছেন এই জেলা নিয়ে।তারা মনে হয় বছরখানেক আগে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া তে ঘুরে গিয়েছেন।ঘুরে যাওয়ার পর তাদের বিশাল বিশাল স্ট্যাটাস দেখেছিলাম আমার জেলার ভূয়সীপ্রশংসায়।কিন্তু এখন দেখছি তারা মুখোশওয়ালা।তারাই এখন ট্রল করে বেড়াচ্ছে,মজা নিচ্ছে।বারোবাতারি হওয়ার একটা লিমিট আছে রে ভাই!
অশিক্ষিত,বর্বর,আদিমযুগ এর তকমা ঝুলিয়ে দিচ্ছে নামের পাশে।তোহ ভাই এত শিক্ষিত হয়ে লাভ কি? সেই তোহ ঘুরেফিরে ৬০০০টাকার বালিশ কিনবে আর ৫০০০ ক্যারিং খরচ নিবে সরকার থেকে।

যাজ্ঞে, আমার জেলার একটা নয়, হাজারখানেক দোষ।কিন্তু বাংলার কোন জায়গার মানুষই ধোয়া তুলসি পাতা না।যারা ট্রল না করে, খবরের কাগজ আসলেই ঘাটাঘাটি করে তাদের আসলে বোঝার কথা। আর বাকি অবুঝদের,বোঝানোর ঠ্যাকা আমি নেই নাই।

আর নিজ জেলার কিছু আল্ট্রা মডার্ণ, খ্যাতদের বলতে চাই।তোমরা যারা অপরের সাথে তাল মিলিয়ে নিজের জেলার বদনাম করে যাচ্ছো,, তাদের প্রোফাইলে আমি এখনো (ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওষুধের মূল্য হ্রাসের) গর্বিত স্ট্যাটাস খুজে পাচ্ছি। তোহ তোরা এমন বারোবাতারি কেন?

বাংলাদেশ এখন বাংলাদেশের জন্য রিস্ক।মিলাদ,ওয়াজ সবজায়গায় হয়েছিল,হচ্ছে।চাল চুরি,তেল চুরি সব জায়গায় হচ্ছে।ঝগড়া-বিবাদ সব জায়গায় হয়(কোথাও কম,কোথাও বেশি)।কোন এলাকার মানুষই লকডাউন মানছে না।অপরের দোষ না খুজে ঘরে থাকি,ভালো থাকি ❤

আর যদি ট্রল করে,পরের সম্মানহানি করে ভালো থাকা যায় তাহলে তোমরা দীর্ঘজীবী হও ❤

আমার ব্রাহ্মণবাড়িয়া।।

 

বিশ্বজিৎ পাল বাবু :

দেশের সংবিধান প্রণেতাদের অন্যতম প্রয়াত অ্যাডভোকেট সিরাজুল হকের স্ত্রী এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এম.পি’র মা মুক্তিযোদ্ধা জাহানারা হক (৮৬) শনিবার রাত ৩টা ৪০ মিনিটে ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা গেছেন।
মন্ত্রীর ঘনিষ্টজন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক তাকজিল খলিফা কাজল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ঢাকাতেই তাঁর
লাশ দাফনের কথা রয়েছে বলে তিনি নিশ্চিত করেছেন।
তিন বছরের ব্যবধানে মন্ত্রী তাঁর ভাই, বোনের পর মাকে হারালেন। ২০১৭ সালের ১০ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে একটি হাসপাতালে মন্ত্রীর একমাত্র ছোট ভাই
আরিফুল হক রনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।  মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই পুত্র ও এক কন্যা রেখে গেছেন। মন্ত্রীর বড় বোন সায়মা ইসলাম মারাগেছেন ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই ঢাকায় মারা যান। তিনি স্বামী ও এক ছেলে রেখেগেছেন। বিয়ের কিছুদিন পর ১৯৯১ সালের ২ জানুয়ারি সড়ক দুর্ঘটনায় তার স্ত্রী নূর আমাতুল্লাহ্ রিনা হককে হারানা তিনি।  ২০০২ সালের ২৮ অক্টোবর মারা যান বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ট সহচর আনিসুল হকে বাবা।

আনিসুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৮ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য। ৫ জানুয়ারি ২০১৪ সালের অনুষ্ঠিত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ও ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ওই আসন থেকে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

 

তিন বছরের ব্যবধানে মন্ত্রী তাঁর ভাই, বোনের পর মাকে হারালেন

  • সংবাদ বিজ্ঞপ্ত‌ি ঃ

নবীনগর থানাধীন কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও সাবেক মেম্বার আবু মিয়া এবং কাউছার মোল্লা ও সাবেক মেম্বার মোছলেম উদ্দিনগং পক্ষদ্বয়ের মধ্যে পূর্ব শত্রুতার জের ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ১২/০৪/২০২০খ্রিঃ সকাল ০৯.৩০ ঘটিকায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামায় লিপ্ত হয়। সংবাদ পেয়ে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সংগীয় অফিসার ফোর্সসহ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামায় লিপ্ত লোকজনদের নিবৃত্ত ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে। উভয় পক্ষের উচ্ছৃঙ্খল লোকজন দাঙ্গা-হাঙ্গামা হতে বিরত না হয়ে তিনটি গ্রামে ব্যাপক এলাকাজুুড়ে প্রতিপক্ষের উপর আক্রমন অব্যাহত রাখে এবং বাড়ি ঘরে আক্রমনসহ অগ্নিসংযোগ করে।

পুলিশ সরকারি জানমাল ও জনগনের জানমাল রক্ষার্থে শর্টগান ও গ্যাসগান নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। দাঙ্গা-হাঙ্গামা চলাকালে কাউছার মোল্লা গ্রুপের লোকজন জিল্লুর রহমান চেয়ারম্যান গ্রুপের জনৈক মোবারক হোসেন (৪৫) পিতা-মধু মিয়া, সাং-উত্তর লক্ষীপুর, থানা-নবীনগর, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর বাম পায়ের গোড়ালি হতে নীচের অংশটুকু কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে এবং উভয় পক্ষের ৪০ জন সাধারণ ও গুরুতর জখম প্রাপ্ত হয়। উক্ত ঘটনায় নবীনগর থানায় একটি মামলা রুজু করা হয় এবং মামলার মূল আসামী

১। আবু কাউছার মোল্লা (৪৯), পিতা-মৃত ফিরোজ মিয়া, সাং-থানাকান্দি

২। জিল্লুর চেয়ারম্যান (৫১) পিতা-মৃত গোলাম মস্তু বেপারী, সাং-থানাকান্দি, উভয় থানা-নবীনগর, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়াদ্বয়সহ ৪৫ জন আসামীকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।

অদ্য ১৫/০৪/২০২০খ্রিঃ তারিখ দুপুর ১৩.০০ ঘটিকায় জনাব মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, পুলিশ সুপার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, জনাব মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন,
পিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) (পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার), ব্রাহ্মণবাড়িয়া, জনাব মোঃ মকবুল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ
সুপার, নবীনগর সার্কেল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পুলিশ পরিদর্শক(নিরস্ত্র) জনাব মোঃ ইমতিয়াজ আহম্মেদ পিপিএম, ডিআইও-১, জেলা বিশেষ শাখা, অফিসার ইনচার্জ নবীনগর থানা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ আনিসুর রহমান মারামারির ঘটনায় ভিকটিম মৃত মোবারক হোসেন (৪৫) এর স্ত্রী সাজিয়া বেগম ও ছেলে রবিউল হোসেনের সাথে কথা বলেন এবং তিনি বলেন ইতিমধ্যে ঘটনার সহিত জড়িত ব্যক্তিদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার সহিত
জড়িত অন্যান্য অপরাধীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে। প্রত্যেক অপরাধীকে গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা
হবে মর্মে আশ্বাস প্রদান করেন।

নবীনগর মারামারি ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশ সুপার

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক মাহফুজুর রহমান মিথুন (মিথুন মাহফুজ) ইন্তেকাল করেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে জাতীয় সাংবাদিক ক্লাব। জাতীয় সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি কাজী জহির উদ্দিন তিতাস সাক্ষরিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার সাংবাদিক মাহফুজুর রহমান মিথুন (মিথুন মাহফুজ) এর মৃত্যুতে জাতীয় সাংবাদিক ক্লাব গভীর শোকাহত।
বিবৃতিদাতারা হলেন- জাতীয় সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি কাজী জহির উদ্দিন তিতাস, সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম জোমাদ্দার মিলন, সহ সভাপতি মোঃ হাসান আলী রেজা দোজা, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকলিমা আক্তার শিউলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আল মাহমুদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বি. এম. সাগর প্রমুখ।
বিবৃতিদাতারা মরহুমের বিদেহী  আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

সাংবাদিক মাহফুজুর রহমান মিথুন’র মৃত্যুতে জাতীয় সাংবাদিক ক্লাবের শোক

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জাফরাবাদ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আগামী নিউজের সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের উপর হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতীয় সাংবাদিক ক্লাব কেন্দ্রীয় কমিটি।
জাতীয় সাংবাদিক ক্লাব কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি কাজী জহির উদ্দিন তিতাস সাক্ষরিত এক প্রতিবাদ লিপিতে এই আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সাংবাদিক ক্লাবের সভাপতি কাজী জহির উদ্দিন তিতাস, সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ রফিকুল ইসলাম জোমাদ্দার মিলন, সহ সভাপতি মোঃ হাসান আলী রেজা দোজা, সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আকলিমা আক্তার শিউলী, সাংগঠনিক সম্পাদক আল মাহমুদ, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক বি. এম. সাগর প্রমুখ।
আগামী নিউজের সাংবাদিক মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের উপর হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির দাবী জানান।(প্রেস বিজ্ঞপ্তি)

সাংবাদিক হামলার প্রতিবাদে কঠোর ব্যবস্থানে জাতীয় সাংবাদিক ক্লাব

ফেসবুকে আমরা..