গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ ২০২১খ্রিঃ তারিখে হেফাজতে ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারকীর ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। গত ২৭ শে মার্চের হেফাজতে ইসলাম কর্তৃক আহুত বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নন্দনপুর এলাকায় বিক্ষোভকারীদের
সাথে পুলিশের ব্যাপক সহিংসতা হয়। এ সময় মৌলভীবাজার জেলা থেকে একজন আসামীসহ পুলিশ স্কর্ট উক্ত সংঘাতময় এলাকায় পৌছলে বিক্ষোভকারীরা উক্ত আসামী স্কর্ট পার্টিকে আক্রমণ করে। তারা পুলিশ সদস্যদের ব্যাপক মারধর পূর্বক অস্ত্র ও গুলি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় মৌলভীবাজার জেলার কনস্টেবল তুহিন হাসানকে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে তার নিকট থাকা ২০ রাউন্ড চায়না রাইফেলের গুলি ছিনিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন (ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার মামলা নং-৪৬, তারিখ-৩০/০৩/২০২১খ্রিঃ,
ধারা-১৪৩/৩৪১/১৮৬/৩৫৩/৩৩২/৩৩৩/৩
প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল দিবাগত রাতে ০২ হেফাজত কর্মী ১। আরব আলী (৪০), পিতা- মৃত ছমির আলী, মাতা-হুয়ারা বেগম, সাং-দক্ষিণ কেন্দুবাড়ি, ৩নং ওয়ার্ড সুহিলপুর, থানা ও জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ২। মোঃ মনির মিয়া (৪২), পিতা-মৃত রমিজ মিয়া, মাতা-মুক্তা বেগম, সাং-সুহিলপুর হিন্দুপাড়া (জয়নাল আবেদীন এর বাড়ির
ভাড়াটিয়া), থানা ও জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়াদ্বয়কে সুহিলপুর বাজার হতে গ্রেফতার করে। এসময় তাদের দেয়া তথ্যমতে সুহিলপুর বাজারের পিয়াসা মিষ্টি ভান্ডার দোকানের টিনের চালা থেকে উক্ত ছিনিয়ে নেয়া ২০ রাউন্ড চায়না রাইফেলের গুলি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থেকে হেফাজতের তান্ডবে জড়িত আরো দুইজন ১। জাকির হোসেন (৪৫), পিতা-মৃত মনু মিয়া, সাং-কুট্টাপাড়া, থানা-সরাইল, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ২। মোঃ সুমন (৩৪), পিতা- মোঃ চান মিয়া, সাং-ভাদুঘর, থানা ও জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়াদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
Leave a Reply