গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ০৫ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩৯২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৫ জন গ্রেফতার

আশুগঞ্জের টোলপ্লাজা এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-১৪। গতকাল (২৮ এপ্রিল) রাত এগারোটায় এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মনবাড়িয়ার আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তারা তিনজনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন মোঃ আতাউর রহমান (৩৪), পিতা-মৃত সিরাজ মিয়া, মোঃ আল আমিন (৩৩), পিতা-মৃত আব্দুল মান্নান, উভয় সাং-চৌয়া, থানা-মাধবদী,  মোঃ নাইম মিয়া (২৬), পিতা-সিরাজ মিয়া, সাং-দক্ষিন উত্তর চন্দন, থানা-পলাশ,সর্বজেলা- নরসিংদী। এ সময় আসামীদের কাছ থেকে ২৩৬টি বোতল ফেন্সিডিল, ০১ টি পিকআপ ও মাদক বিক্রয়ের নগদ ৯৫০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গেছে, সে দীর্ঘদিন যাবত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সিমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে চালানকৃত গাঁজা জেলায় নিয়ে আসত। এবং সেই গাঁজার চালানটি রাজধানীর এক  ব্যক্তির কাছে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও আসামীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

প্রেস রিলিজ

আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা এলাকা থেকে ০৩ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব

গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ০৪ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়।

উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা
৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩৮৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেজ রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৪ জন গ্রেফতার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবকালে নাশকতা সৃষ্টিকারী তিন যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৪-এর ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা।
গত মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, পৌর শহরের ফুলবাড়িয়া বাসষ্ট্যান্ড এলাকার মোঃ বাছির মিয়ার ছেলে মোঃ সুমন মিয়া-(২৫) একই এলাকার মোঃ কাউছার মিয়ার ছেলে মোঃ বাছির মিয়া এবং সদর উপজেলার তালশহর পূর্ব ইউনিয়নের মোহনপুর গ্রামের মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে জামিল হোসেন (১৬)।


বুধবার র‌্যাব ভৈরব ক্যাম্প থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৬ মার্চ মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তিতে দেশব্যাপী অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় দুস্কৃতিকারীরা অরাজকতা সৃষ্টি করে ধ্বংসযজ্ঞ এবং নাশকতা চালায়। মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তিতে এই ধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনা পুরো বাঙালি জাতির হৃদয়কে গভীরভাবে মর্মাহত করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাংচুরের মাধ্যমে জাতির পিতাসহ সমগ্র বাঙালি জাতিকে অবমূল্যায়ন করে। হামলাকারীর ছবি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয় ও তাদেরকে সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের নাশকতায় র‌্যাবের হাতে তিন যুবক গ্রেপ্তার

গত ২৬ মার্চ ২০২১ খ্রিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় দুষ্কৃতিকারী কর্তৃক নাশকতামূলক কর্মকান্ড চলাকালে আনসার ও ভিডিপি জেলা কমান্ড্যান্ট, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কার্যালয়ে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় জড়িত ২জন আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মোঃ ফারুকমিয়া (২৪) ও মোঃ ইয়াছিন মিয়া (২০)।

জানা যায়, গত ২৬মার্চ স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদ্যাপনের দিন হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। এসময় অনুমান ৪০০/৫০০ জনের একটি  দুষ্কৃতিকারীর দল ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পুুনিয়াউটস্থ আনসার ও ভিডিপি জেলা কমান্ড্যান্ট এর কার্যালয়ে ব্যাপক ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সংক্রান্তে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার মামলা নং-৪৫, তারিখ-২৮/০৩/২০২১ খ্রিঃ, ধারা-১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/১৮৬/৩৪১/৩৩২/৩৫৩/৪২৭/৩৮০/৩৪ পেনাল কোড রুজু করাহয়।

এসময় তাদের কাছ থেকে লুণ্ঠিত ১টি কম্পিউটার মনিটর, ১টি ল্যাপটপ ও ১টি টিভি উদ্ধার করছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পিবিআই।

পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের নির্দেশ মোতাবেক মামলার তদন্তভার পিবিআইকে দেয়া হয়।  মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক জনাব মোহাম্মদ আকতারুজ্জামান সরকার সঠিক তদন্তকরে নিশ্চিত হয়ে উক্ত ঘটনায় প্রত্যক্ষভাবে জড়িত পলাতক আসামী মোঃফারুকমিয়া (২৪) কে গ্রেফতার করে। উক্ত আসামীর দেয়া তথ্য মতে তার সহযোগী আসামী মোঃইয়াছিন মিয়া (২০) কে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন।

গ্রেফতারকৃত আসামী ইয়াছিন মিয়ার দেয়া তথ্য মতে তার হেফাজতে থাকা লুণ্ঠিত ১টি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। উভয় আসামীর দেয়া তথ্য মতে উক্ত ঘটনার সহিত প্রত্যক্ষভাবে জড়িত পলাতক অন্য এক আসামীর ঘর তল্লাশী করে ১টি ৪০ইঞ্চি এলইডি টিভি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত আসামী মোঃফারুক মিয়া এবং মোঃ ইয়াছিন মিয়া গতকাল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তারা স্বীকার করেছেন ঘটনার দিন তারা এই নাশকতামূলক কর্মকান্ডে জড়িত ছিলেন।

এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামীদের গ্রেপ্তার ও আরো লুণ্ঠিত মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

প্রেস রিলিজ

হেফাজতের তান্ডবের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই নাশকতা সৃষ্টিকারীদের আটক করেছে পিবিআই

গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৮ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। তন্মধ্যে গত ২৬ শে মার্চ হেফাজতের কর্মসূচিতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত ব্যানারে অগ্নি সংযোগকারী মোঃ মাহমুদুল হাসান @ শান্ত এবং ২৮ শে মার্চ হেফাজতের ডাকা হরতাল চলাকালে ঘাটুরা হতে পুলিশ লাইন পর্যন্ত রাস্তায় ব্যারিকেড জ্বালাও পোড়াও করে তান্ডব ও পুলিশ লাইনে আক্রমনে জড়িত ঘাটুরা হরিনাদী জামে মসজিদ এর ইমাম হাফেজ আব্দুর রাকিব’কে গ্রেফতার করা হয়েছে। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩৮৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেজ রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৮ জন গ্রেফতার

সোমবার (২৬ এপ্রিল) সাড়ে এগারোটায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কিশোরগঞ্জের ভৈরবের দুর্জয় মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে র‌্যাব-১৪। এ সময় ৩.৪ কেজি গাঁজা সহ ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে র‌্যাব।

গ্রেপ্তারকৃত আসামী হলেন, মোঃ সাইকুল ইসলাম (২০), পিতা- মোঃ জয়নাল আবেদীন। সাইকুলের বাড়ি সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভর থানার গামাইরতলা গ্রামে।

আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গেছে, সে দীর্ঘদিন যাবত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সিমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে চালানকৃত গাঁজা জেলায় নিয়ে আসত। এবং সেই গাঁজার চালানটি ময়মনসিংহ জেলার এক জৈনিক ব্যক্তির কাছে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও আসামীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

প্রেস রিলিজ

ভৈরবের দূর্জয়মোড় এলাকা থেকে ১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব

২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৬ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। তন্মধ্যে গত ২৮ শে মার্চ হেফাজতের ডাকা হরতাল চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানাধীন টিএ রোড এলাকায় তান্ডবে জড়িত সাদেকপুর ইউনিয়ন ছাত্র ওলামা ঐক্য পরিষদের সেক্রেটারী, ক্বারী মোঃ মোজাম্মেল হক এবং আশুগঞ্জ থানাধীন ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ ও টায়ারে আগুন দিয়ে পিকেটিং এ জড়িত আশুগঞ্জ উপজেলার হেফাজত ইসলাম ও  ইমাম পরিষদ সেক্রেটারী, মাওলানা মুফতি ওবায়দুল্লাহ’কে গ্রেফতার করা হয়েছে। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩৭৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেস রিলিস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৬ জন গ্রেফতার

আজ ২৬ এপ্রিল ২০২১ ইং তারিখ আনুমানিক ০৯.৪৫ টা ও আনুমানিক ১১.৩০ ঘটিকায় সময় র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প, কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানাধীন দুর্জয় মোড় এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ০২জন নারীসহ ০৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে।

গ্রেফতারকৃতরা হলেনঃ ১। মোঃ জহিরুল ইসলাম(৪০), পিতা-মৃত শামসু উদ্দিন, সাং-চোয়াল, থানা ও জেলা-নরসিংদী, ২। মোঃ শরিফুল ইসলাম (২৭), পিতা-মোঃ লেবু মিয়া, সাং-ডাকাতিয়া, থানা-ভালুকা, জেলা-ময়মনসিংহ, ৩। হাওয়া বেগম (৩০), পিতা-রহিম উদ্দিন, সাং-বাহাদুর পুর, থানা-নান্দাইল, জেলা-ময়মনসিংহ, বর্তমান ঠিকানা- কড্ডা, থানা- বাসনা, জেলা- গাজীপুর, ৪। মোছাঃ আয়শা খাতুন (৩৫) পিতা- মোঃ হজরত আলী, সাং- আন্দারিয়া পারা, থানা- ফুলবাড়িয়া, জেলা- ময়মনসিংহ বর্তমান ঠিকানা-কোনা বাড়ী, থানা- বাসনা, জেলা- গাজীপুর।

এসময় ধৃত আসামীদ্বয়ের নিকট হতে ০৮ কেজি মাদকদ্রব্য গাঁজা, ফেন্সিডিল ২১ বোতল, ০১ টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

ভৈরবের দূর্জয়মোড় এলাকা থেকে ০২জন নারীসহ ০৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-১৪


ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডব চলাকালে শহরজুড়ে ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিকান্ডের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের জেলা শাখার সহকারি প্রচার সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়ার শিক্ষক মুফতি জাকারিয়া খান-(৪৩)সহ আরো ১০জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

গত রোববার রাতে জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই রাতে পুলিশ বিভিন্ন এলাকা থেকে আরো ৯জনকে গ্রেপ্তার করে। এনিয়ে জেলায় হেফাজতের তান্ডবের ঘটনায় ৩৬৯জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোঃ রইছ উদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে মুফতি জাকারিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি গত ২৬ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত চালানো তান্ডবের ঘটনায় সম্পৃক্ত ছিলেন।
এদিকে গতকাল সোমবার জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত মুফতি জাকারিয়া খান জানান, গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে সরকার উৎখাতের সূদুরপ্রসারি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসাসহ আশপাশের বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষক-ছাত্রদের নিয়ে ব্যাপক তান্ডবলীলা চালায়। মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষকদের নির্দেশে মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকগন জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ভাংচুরও অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক তান্ডব চালায়।

প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, তান্ডবের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় এ পর্যন্ত  ৫৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪টি, সরাইল থানায় ২টি এবং আখাউড়া রেলওয়ে থানায় ১টি মামলা দায়ের করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

হেফাজতের প্রচার সম্পাদকসহ গ্রেপ্তার-১০

ফেসবুকে আমরা..