botv নিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মহিউদ্দিনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। (৪এপ্রিল) বুধবার দুপুর ১২টা দিকে তাকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ ইকবাল হোসাইনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে করেন ।
এদিকে পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গত ৬ মার্চ কসবা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শ্যামল মজুমদার ও মনির হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল

কসবা উপজেলার টি.আলী মোড় থেকে দুটি প্রাইভেটকারে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করে। পরে তারা মাত্র ৪০ কজি গাঁজা থানায় জমা দিয়ে বাকি গাঁজা থানার পাশের একটি ঝোঁপে লুকিয়ে রাখেন।

পরে ওইদিন রাতেই জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ওই ঝোঁপ থেকে গাঁজা উদ্ধার করে। তবে কী পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছিল সেটি সাংবাদিকদের জানানো হয়নি।
এ ঘটনায় ৭ মার্চ সকালে এস.আই শ্যামল ও এসআই মনিরসহ কসবা থানার ছয় সদস্যকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়। একই সাথে মাদকের তথ্য গোপনের ঘটনা তদন্তে দায়িত্ব দেয়া হয় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইকবাল হোসাইনকে। ওই ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতার কারণে ওসি মহিউদ্দিনকে প্রত্যাহার করা হয়ে থাকতে পারে বলে সূত্রটি জানায়।

এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, পুলিশ সুপার মহোদয়ের মৌখিক নির্দেশনা পেয়েছি। তবে লিখিত এখনো পাইনি। তিনি বলেন, কি কারনে আমাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে তা আমি জানিনা। তিনি বলেন, বদলী একটি চলমান প্রক্রিয়া, আজ না হয় কালতো যেতেই হবে।
###

কসবা থানার ওসি মহিউদ্দিনকে প্রত্যাহার

botv নিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে (২এপ্রিল) সোমবার সকালে আনন্দ র‌্যালি বের হয়। প্রত্যাশী বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ও অটিস্টিক বিদ্যালয়ের উদ্যোগে বের হওয়া র‌্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র‌্যালিতে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ

শামছুজ্জামান, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আব্দুর রহমান বিল্লাল, নির্বাহী সদস্য সচিব আব্দুল মমিন বাবুল, মুক্তিযোদ্ধা মো. বাহার মিয়া, আখাউড়া প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক মো. নুরুন্নবী ভূঁইয়া, এন এস কবির পলাশ মো. মনির হোসেন, জুটন বনিক, কাজী সাফিয়া খাতুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
###

আখাউড়ায় বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে আনন্দ র‌্যালি

botv নিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলওয়ে ষ্টেশনে আন্তঃনগর চারটি ট্রেনের যাত্রা বিরতি সহ ট্রেনের টিকিট কালোবাজারী বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন পালিত হয়েছে।  সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্বরে জেলা নাগরিক কমিটির উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন চলাকালে জেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি ডাঃ বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাবিবুল্লাহ্, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতি জোটের আহবায়ক আবদুন নূর, প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী,

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শিল্পী সংসদের সভাপতি আল-আমীন শাহীন, নিরাপদ সড়ক চাই জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক সাদেকুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা আশরারুন নবী মোবারক, আইন কলেজের শিক্ষার্থী কাকন আক্তার, জেনি আক্তার প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে ষ্টেশন হচ্ছে দেশের পূর্বাঞ্চলের অন্যতম ব্যস্ত রেলওয়ে ষ্টেশন। এই ষ্টেশন থেকে প্রতিদিন কয়েক হাজার যাত্রী ঢাকা-চট্টগ্রাম-সিলেট সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আসা যাওয়া করে। এ অবস্থায় ট্রেনের সংখ্যা কম থাকার পাশপাশি আসন সংখ্যাও বরাদ্ধ কম রয়েছে।

বক্তারা বলেন, এসব সংকটের পরেও প্রতিটি ট্রেনের টিকেট সপ্তাহ খানেক আগেই চোরাকারবারীদের হাতে চলে যাওয়ার কারণে তিনগুন বেশি টাকা দিয়ে ট্রেনের টিকিট ক্রয় করতে হচ্ছে। এতে যাত্রীদের অর্বনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়।

বক্তারা ঢাকা-চট্টগ্রাম ও সিলেট রেলপথে চলাচল কারী, কালনী এক্সপ্রেস, সূবর্ণ এক্সপ্রেস, উপবন এক্সপ্রেস এবং বিজয় এক্সপ্রেস সহ চারটি ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবি জানান। নতুবা কঠোর আন্দোলনের ঘোষনা দেন।

মানববন্ধনে বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষসহ সাধারন মানুষ বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে অংশ গ্রহন করেন।
###

টিকিট কালোবাজারী বন্ধের দাবি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন

botv নিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান কমিটির দুই নেতাকে জড়িয়ে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদনের ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আপত্তি জানাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ। গত শনিবার বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক এ কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল জানান, পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর জেলার সাংবাদিকদেরকে নিয়ে ফেসবুকে করা আপত্তিকর মন্তব্যগুলো মুছে নেয়া হয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সময় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মন্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৯ মার্চ একটি জাতীয় দৈনিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে ‘মাদক ছড়িয়ে পড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদে উল্লেখ করা হয়, এসবের সঙ্গে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুম বিল্লাহ ও বর্তমান সাধারন সম্পাদক

শাহাদাৎ হোসেন শোভন জড়িত। প্রকাশিত এ সংবাদের জন্য পত্রিকাটির জেলা প্রতিনিধি শাহাদাৎ হোসেনকে দোষারোপ করে বিভিন্ন ধরণের হুমকি ধামকি দেয়া হয়। এ অবস্থায় বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা-কর্মী ফেসবুকে সাংবাদিকদেরকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন।

(৩১মার্চ )অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, জেলা ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে পাঠানো প্রতিবাদ পত্র ইতিমধ্যেই ওই পত্রিকায় ছাপা হয়েছে। (১এপ্রিল)রবিবার  স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কাছেও একটি লিখিত আবেদন করা হবে। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের জন্যও দাবি তোলা হয় ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, প্রকাশিত সংবাদটি সম্পূর্ন ভিত্তিহীন। মাদক ব্যবসার সাথে তার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে পুনঃ তদন্তের জন্য দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক ছাড়াও সিনিয়র সহ-সভাপতি সুজন দত্ত, সহ-সভাপতি শামীম হোসেন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক নাঈম বিল্লাহ, সাবেক দপ্তর সম্পাদক সাইদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
###

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আপত্তি জানালেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগ

botv নিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রশ্ন ফাঁসের কারণ, ফলাফল ও প্রভাব সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং প্রশ্ন ফাঁস রোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক), টিআইবি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

রবিবার বেলা ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন সনাক সদস্য নন্দিতা গুহ।
বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন, সিনিয়র শিক্ষক মনসুর আলী, এইচএসসি পরীক্ষার্থী মহিব সাগর প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সনাক সদস্য কবি জয়দুল হোসেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা এবং মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ করার শামিল। তারা বলেন, শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড, প্রশ্ন ফাঁসের মাধ্যমে এই মেরুদন্ডকে ভেঙ্গে দেওয়া হচ্ছে। বক্তারা বলেন, যারা প্রশ্ন ফাঁসের সাথে জড়িত তাদেরকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির নিশ্চিত করতে হবে। মানববন্ধন পরিচালনা করেন সনাক সদস্য মোহাম্মদ আরজু।
###

প্রশ্ন ফাঁস রোধে ব্যবস্থা গ্রহনের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন

botvনিউজ:

জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান বলেন, বর্তমান অনেক চ্যানেলের মাঝেও বাংলাভিশন তার স্বকিয়তা বজায় রেখে এগিয়ে যাচ্ছে। মিডিয়ার প্রচারের কারণেই আজকের বাংলাদেশের সফলতা এসেছে। বাংলাভিশন জেলার শিক্ষা সংস্কৃতিসহ ঐতিহ্যগুলো আগামী দিনে তুলে ধরবে। এক্ষেত্রে তিনি বাংলাভিশনের অগ্রযাত্রা ও সফলতা কামনা করেন।  শনিবার সকালে দর্শক নন্দিত বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল বাংলাভিশন এর ১যুগ পূর্তি ও ১৩তম বর্ষে প্রদার্পন উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মনবাড়িয়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য এ ক্থা বলেন।

প্রেসক্লাব সভাপতি খ.আ.ম রশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র নায়ার কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসাইন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান আল মামুন সরকার। অনুুষ্ঠানে শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাভিশনের জেলা প্রতিনিধি মো: আশিকুল ইসলাম। প্রেসক্লাবের পাঠাগার সম্পাদক নজরুল ইসলাম শাহজাদার সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পি, চেম্বার অব কমার্সের সিনিয়র সহ সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ শাহ্আলম, সাবেক সভাপতি সৈয়দ মিজানুর রেজা, সাবেক সাধারন সম্পাদক আ,ফ,ম কাউসার এমরান ও মো: সাদেকুর রহমানদৈনিক সমকালের স্টাফ রিপোর্টার আবদুন নূর, সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ডার আবু হোরায়রা, কমরেড নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

পরে আমন্ত্রিত অতিথিদের নিয়ে প্রধান অতিথি কেক কাটেন। অনুষ্ঠানে জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধি, স্থানীয় পত্রিকার সম্পাদক, ফটো সাংবাদিক সহ নানা শ্রেনীর পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এর আগে প্রেসক্লাব প্রাঙ্গন থেকে একটি বর্নাঢ্য র‌্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে। র‌্যালীতে জেলা প্রশাসক, পুলিশ প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সহ নানা শ্রেনীর পেশার মানুষ অংশ নেয়।

বাংলাভিশনের ১যুগ পূর্তি অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান

botv নিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে জুয়া ও মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় এক যুবলীগ নেতার ব্যবসা-প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। হামলায় অন্তত ২০জন আহত ও আনুমানিক ১৫ লাখ টাকার মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ (জিডি) করা করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা ফান্দাউক বাজারে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

থানায় দায়েরকৃত এজাহারে বলা হয়, উপজেলার ফান্দাউক ইউনিয়নের ফান্দাউক গ্রামের বিভিন্ন স্থানে প্রতিদিন জুয়া খেলা ও মাদক ব্যবসা করে এলাকার কিছু সমাজবিরোধী লোক। তাদের ভয়ে এলাকার কেউ মুখ খুলে প্রতিবাদ করার সাহস পায় না।


ফান্দাউক ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জানে আলম ভুইয়া সায়েম জুয়া ও মাদক ব্যবসার প্রতিবাদ করায় সমাজ বিরোধীরা সায়েমকে তার ফান্দাউক বাজারের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে গিয়ে গালমন্দ করে তাকে অপহরণ করে খুন করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় সায়েম গত শনিবার রাতে নাসিরনগর থানায় ৬ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা আরো কয়েকজনের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করেন ( জিডি নং-৭৮১)।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সন্ত্রাসীরা দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে ফান্দাউক বাজারে সায়েমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে (ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ও বিকাশের দোকানে) হামলা, ভাংচুর ও লুটতরাজ করে। সন্ত্রাসীরা দোকানে থাকা নগদ সাড়ে তিন লাখ টাকা নিয়ে যায়।


খবর পেয়ে সায়েমের লোকজন এগিয়ে আসলে তাদের উপর হামলা চালানো হয়। এতে ২০ জন আহত হয়। আহত মাসুক মিয়া-(৪৫) কে ঢাকায়, খাইরুল আলম-(২৩) ও মবুল মিয়া মিয়া-(২৪) কে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।
এ ঘটনায় জানে আলম ভুইয়া সায়েম বাদি হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে জেলা পরিষদ সদস্য ফারুকুজ্জামানকে প্রধান আসামী করে ৫১ জনের বিরুদ্ধে নাসিরনগর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

এ ব্যাপারে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জাফর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, হামলাকারীদের বিরুদ্ধে তদন্তপূবর্ক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

মাদকের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় যুবলীগ নেতার প্রতিষ্ঠান ভাংচুর

botv নিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে মহাসম্মেলনকে কেন্দ্র করে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। মহাসম্মেলনকে কেন্দ্র করে আহমদিয়াদের বাড়িঘর ও ভাঙচুর হতে পারে এমন শঙ্কা থেকে তাঁরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে নিরাপত্তার জন্য আবেদন করেছেন। আগামী ১ এপ্রিল নাসিরনগর সদরের হেলিপ্যাড মাঠে ওই মহাসম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নাসিরনগর কওমী ওলামা পরিষদের উদ্যোগে আগামী ১ এপ্রিল সকাল ১০টায় কাদিয়ানীদের (আহমদিয়া) সকল অপতৎপরতা নিষিদ্ধ এবং তাঁদেরকে সরকারিভাবে নিষিদ্ধ করার দাবিতে খতমে নবুয়ত মহাসম্মেলনের ডাক দেয়া হয়েছে। এতে মাওলানা নুরুল ইসলাম ওলিপুরি প্রধান

অতিথি হিসেবে থাকবেন বলে কথা রয়েছে। ওই মহাসম্মেলনকে কেন্দ্র করে নাসিরনগরের সর্বত্র ব্যানার, ফেস্টুন লাগিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
এ অবস্থায় উপজেলার নাসিরপুরে বসবাসরত আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মাঝে আতঙ্ক দেখা দেয়। ওই গ্রামে বসবাসকারি আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মোহাম্মদ ঈছা

মিয়া নামে এক ব্যক্তি নিজেদের আতঙ্কের কথা উল্লেখ করে গত মঙ্গলবার নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে নিরাপত্তার জন্য একটি লিখিত আবেদন করেছেন। এতে তিনি উল্লেখ করেছেন, ওই মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে তাঁদের মসজিদ ও বাড়িঘর ভাঙচুরের শিকার হতে পারে।

এ বিষয়ে নাসিরনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবু জাফর জানান, যেহেতু নাসিরনগর একটি স্পর্শকাতর এলাকা সেহেতু এ বিষয়ে বিস্তারিত মতামত লিখে জেলা প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে নির্দেশনা এলে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ ব্যাপারে নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) উম্মে সালমা সাংবাদিকদেরকে জানান, মহাসম্মেলনের বিষয়ে জেলা প্রশাসকের কাছ থেকে অনুমতি দেয়া না দেয়ার কোনো চিঠি এখনো আসেনি। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কোনো অনুমতি দেয়া হয় নি।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২৯ অক্টোবর নাসিরনগর উপজেলার হরিণবেড় গ্রামের রসরাজ দাস নামে জেলে পরিবারের এক যুবক ফেসবুকে পবিত্র কাবাঘর অবমাননা করেছে অভিযোগে তাকে পিটিয়ে পুলিশে দেয় একদল যুবক। পরের দিন ৩০ অক্টোবর এলাকায় মাইকিং করে নাসিরনগর উপজেলা সদরে

প্রতিবাদ সমাবেশ আহবান করা হয়। ৩০ অক্টোবর সকাল ১০টার দিকে নাসিরনগর উপজেলা সদরে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এবং হেফাজত ইসলামের ব্যানারে পৃথক দু’টি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পরে হিন্দুদের মন্দির ও বাড়িঘরে ভাঙচুর চালানো হয়। এসব ঘটনায় পুলিশ শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে ও একটি মামলায় চার্জশিট দেয়
###

মহাসম্মেলকে কেন্দ্র করে নাসিরনগরে আহমদিয়ারা আতঙ্কত

 

botv নিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুর্নীতি প্রতিরোধ সপ্তাহ উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে দুর্নীতি বিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির উদ্যোগে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে দুর্নীতি বিরোধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী মোঃ রফিকুল ইসলাম। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ জহিরুল ইসলাম ভুইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রফেসর নজির আহমদ,

জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারন সম্পাদক মোহাম্মদ আরজু, সদস্য আল- আমীন ভুইয়া। বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল। সমাবেশে সহস্রাধিক শিক্ষার্থী দুর্নীতি বিরোধী শপথ বাক্য পাঠ করে এবং দুর্নীতির প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করে।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর দুর্নীতিকে ঘৃণা প্রকাশ

botv নিউজ:

মহান স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৭ বছর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়াইল ইউনিয়নের খারঘর গ্রামের গণকবর সংরক্ষণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় “খারঘর গণকবর স্মৃতিসৌধ-৭১” প্রধান অতিথি হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোঃ মিজানুর রহমান পিপিএম, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসাইন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ জেলার মুক্তিযোদ্ধাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ১৯৭১ সালের ১০ অক্টোবর খারঘর গ্রামে নির্বিচারে গণহত্যাযজ্ঞ চালায় পাকিস্তানি বাহিনী। সেদিন ওই গ্রামের ৪৩ জনকে হত্যা করা হয়। এর মধ্যে ২৩ জনকে খারঘর গ্রামেই গণকবর দেয়া হয়।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিবিজড়িত এ গণকবরটি সংরক্ষণ করা হয়নি। গণকবরটি সংরক্ষণের জন্য দীর্ঘদিন ধরেই মুক্তিযোদ্ধাসহ স্থানীয়রা দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

অবশেষে স্থানীয় সংসদ সদস্য ফয়জুর রহমান বাদল, জেলা পরিষদ ও জেলা পুলিশের উদ্যোগে খারঘর গ্রামে নির্মিত হয় “খারঘর গণকবর স্মৃতিসৌধ-৭১”।  বৃহস্পতিবার এর আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।

এদিকে দীর্ঘদিন পর “খারঘর গণকবর স্মৃতিসৌধ-৭১” এর উদ্বোধন হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী ও মুক্তিযোদ্ধারা
এ ব্যাপারে উপজেলার বড়াইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন এবং মুক্তিযোদ্ধা মমিনুল হক সুধন বলেন, আমাদের প্রাণের দাবি ছিল গণকবরটি সংরক্ষণ করার। আজ “খারঘর গণকবর স্মৃতিসৌধ-৭১” এর উদ্বোধন হওয়ায় আমরা শান্তি পেলাম।
###

স্বাধীনতার দীর্ঘ ৪৭ বছর পর গণকবর সংরক্ষণ

ফেসবুকে আমরা..