botv নিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে জুয়ার সম্রাটখ্যাত মতি মিয়ার (৩৫) নেতৃত্বে চলছে জুয়ার মহোৎসব। তার বিরুদ্ধে রয়েছে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগ। স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ কারো বাঁধা নিষেধই মানছে না মতি। উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের বিটঘর গ্রামের মুসা মিয়ার ছেলে মতি নিয়মিতই পরিচালনা করছেন জুয়া। আর ওরস বা মেলা পেলেতো কথাই নেই।

গ্রামের প্রভাবশালী কতিপয় ব্যক্তির সহযোগীতায় তিনি এখন বেপরোয়া। গত বৃহম্পতিবার ও শুক্রবার ইছহাক কাজীর ওরসকে কেন্দ্র করে রাতভর চলেছে চলছে জুয়ার মহোৎসব।সরজমিনে স্থানীয় লোকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিবছর ইছহাক কাজীর ভক্তবৃন্দরা ৩ দিনের ওরস পালন করে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার থেকে সেখানে শুরু হয়েছে ওরস। শেষ দিন ছিল গত শুক্রবার।

ওই গ্রামের মতি মিয়া প্রথম দিন থেকেই ওরসে রাতভর জুয়া বসিয়ে ব্যবসা করছেন। গত শুক্রবার শেষ দিন হওয়ায় মতির নেতৃত্বে মাজারের পাশের খালি মাঠে ৫-৬টি জুয়ার ঘর বসিয়ে জুয়া খেলা হয়। এলাকার ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানের পেশাদার জুয়ারীরা এখানে জুয়া খেলে। অনেকেই এখানে তিনদিন জুয়া খেলে নিঃস্ব হয়ে বাড়ি ফিরেছে। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় কিশোর-যুবকরা এখানে জুয়া খেলে দিন দিন বখে যাচ্ছে। এলাকাবাসী জানান, মতির জুয়ার আসরে সহযোগীতা করেন প্রয়াত ইছহাক কাজীর ভাতিজা রব্বান মিয়া। এছাড়া নূরুল হক, হারুন মিয়া, কবির মিয়াসহ গ্রামের প্রভাবশালী অনেকেই এই জুয়ায় সহযোগীতা করেছেন। কমিটির কয়েকজনকে ম্যানেজ করেই মতি জুয়া পরিচালনা করে থাকেন।

সংশ্লিষ্ট ইউপি সদস্য মোঃ নিয়াশাহ বলেন, শুরু থেকেই জুয়ায় বাঁধা দিয়ে আসছি। শুক্রবার রাতে জুয়ার ঘর ছিড়ে ফেলেছিলাম। জুয়ারিরা উল্টো আমাকে হুমকি দেয়। কারন স্থানীয় অনেক প্রভাবশালী লোক জুয়ারিদের পক্ষে থাকে। সরাইল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, বিটঘর গ্রামের ৩ দিনের ওরসের বিষয়টি আমাদেরকে কেউ অবহিত করেনি।
###

দেখার কেউ নেই প্রভাবশালীরা ম্যানেজ ॥ সরাইলে জুয়ার মহোৎসব

Botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর শহরের চন্ডারখিলের রহিমপুরে যুবকের হত্যা রহস্যের ঘোর কাটেনি।এলাকায় থমথমে পরিবেশ। হত্যা মামলা আসামীরা এলাকা ছাড়া । সাত বছর আগে স্বামী আর এখন উপযুক্ত ছেলে হারিয়ে ছোট ছোট ৬ ছেলে-মেয়ে নিয়ে দিশাহারা মা’র আকুল আবেদন।

১৫ জানুয়ারি রোজ সোমবার রানা-১৮ কে ডিস লাইনের কাজ করার সুযোগ করে দিবে বলে সন্ধ্যায় বাড়ী থেকে নিয়ে যায় সেলুনের কর্মচারী জাহাঙ্গীর।

দুইদিন পার হলেও রানার কোনো খোজ পাওয়া যায়নি। ১৭ জানুয়ারি বিকাল বেলায় জাহাঙ্গীর রানার চাচাত ভাই বিল্লাকে ফোন করে জানতে চাই রানা কোথায়। বিল্লাল বিষয়টা রানার মাকে জানায়। রানা মা জাহাঙ্গীরকে ফোন করে বলে রানা তো সোমবারে সন্ধ্যায় তুমি ডিসের কাজ দিবে বলে বাড়ী থেকে ডেকে নিয়ে গেলা । আমার ছেলেকে তো তুমি নিয়ে গেছ এখন দুই দিন পর আমাকে ফোন দিয়ে বল আমার ছেলে রানা কয়..? তুমি আমার ছেলেকে নিয়া গেছ তুমিই আমার ছেলে খোয়জা বাইর কইরা দেও। কথা কাটকাটির এক পর্যায়ে জাহাঙ্গীর বলে কথা বরখেলাপ করলে এমনই হয়।এই কথা বলে ফোন কেটে দেয় । তারপর আ ফোনে জাহাঙ্গীকে পাওয়া যায় না। এরপর রানার মা সহ এলাকাবসী রানাকে পাগলের মতো খোজতে থাকে।

এই ঘটনার একদিন পর ১৯জানুয়ারি রোজ শুক্রবার চন্ডারখিল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুকুরে এলাকাবাসী রানার লাশ দেখে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য প্রেরণ করে । এই ব্যাপরে রানার মা বাদী হয়ে ৫ জনকে আসামী করে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘনটার দুই সপ্তাহ হলেও কোনো আসামী ধরা পরেনি।

অন্য দিকে মামলা প্রধান আসামী মাদক ব্যবসায়ী মনির ও তার স্ত্রী চম্পার বসতবাড়ী ভেঙ্গে তাদেরকে এলাকা ছাড়া করে।

এই ব্যপারে সদর থানার অফিসার ইন্চার্জ মে: নবীর হোসেন জানান, মামলা তদন্ত চলছে।

রানা হত্যা – ছেলেহারা মায়ের করুণ আর্তনাদ – একালায় শোকের ছায়া

botvনিউজ:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা পর্যায়ে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জনে স্থানীয় বিনিয়োগ পরিকল্পনা এবং উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও দক্ষতা উন্নয়ন বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।বুধবার সকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় জেলার ৯টি উপজেলার সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ আসাদুজ্জামানে সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, জেলা প্রশাসক রেজওয়ানুর রহমান।
###

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে উন্নয়ন বিষয়ে কর্মশালা

সরাইল উপজেলার সকল প্রতিষ্ঠান

আয়তন-২১৫.২৮ বর্গ কিঃমিঃ

জনসংখ্যা-২,৭১,১০১ জন

 

খানা-৪৮,৮২২টি

ইউনিয়ন-০৯টি

মৌজা-৮০টি

সরকারী হাসপাতাল-০১টি

উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র -০৫টি

কমিউনিটি ক্লিনিক-১৫টি

পোষ্ট অফিস-০১টি,শাখা অফিস- ০৬টি

নদ-নদীঃ তিতাস নদী ও মেঘনা নদী।

হাট বাজার-১৪টি

নৌকাঘাট-০২টি

ব্যাংক-সোনালী ব্যাংক-০১টি

জনতা ব্যাংক-০৩টি

কৃষি ব্যাংক – ০২টি

মোট আবাদযোগ্য জমিঃ ১৬,৮২৬ হেক্টর।

ফসলের নিবিড়তাঃ ১৬৯%।

খাদ্য উৎপাদনঃ ৭৭,৩২৩ মেঃটন।

 

শিক্ষা :

সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়-৮১টি

বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়-৪৩টি

কিন্ডারগার্টেন-০৮টি

উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়-০১টি

এবতেদায়ী মাদ্রাসা-০৪টি

দাখিল মাদ্রাসা-০২টি

উচ্চ বিদ্যালয়-১৫টি

নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়-০৬টি

মহাবিদ্যালয়-০২টি

কমিউনিটি বিদ্যালয়-০৮টি

বয়স্ক প্রকল্পের আনন্দ স্কুল-৭৮টি

 

 

এক নজরে সরাইল উপজেলা

নির্বাচনী এলাকার নাম ও নম্বর :

২৪৩ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১         (নাসিরনগর উপজেলা এবং সদর উপজেলার বুধন্তি, চান্দুরা, হরষপুর ইউপি)

২৪৪ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২           (সরাইল ও  আশুগঞ্জ উপজেলা )

২৪৫ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩         (সদর ও বিজয়নগর উপজেলা)

২৪৬ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪         (আখাউড়া ও কসবা উপজেলা)

২৪৭ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৫          (বড়িকান্দি ও সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন ব্যতিত নবীনগর উপজেলা)

২৪৮ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬        (বাঞ্ছারামপুর উপজেলা এবং নবীনগর উপজেলার বড়িকান্দি ও সলিমগঞ্জ ইউনিয়ন)

জেলায় ৬টি নির্বাচনী এলাকা

ফেসবুকে আমরা..