স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে দ্বিতীয় দফায় গণটিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হয়। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে জেলার ৯টি উপজেলার ৯৮টি ইউনিয়ন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ড এক যোগে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ মাঃ একরাম উল্লাহ বলেন, জেলার ৯টি উপজেলায় ৯৮টি ইউনিয়ন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের মোট ১১০টি কেন্দ্রে ৩০৬টি বুথ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে একযোগে টিকার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিটি বুথে ৫০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে।এবারের ক্যাম্পেইনও বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, জেলায় ১ লাখ ৫৩ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়ার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল সাড় ১০টায় শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ উচ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দেখা যায় নারীদের জটলা। তারা টিকা কার্ড কেন্দ্রের ভেতরে থাকা স্বেচ্ছাসেবীর হাতে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছেন। ভেতর থেকে স্বেচ্ছাসেবীরা কার্ড দেখে নাম ধরে ডাকছেন। যাদের নাম বলা হয়, তারা কেন্দ্রের ভিতর গিয়ে টিকা দিয়েছন।

বেলা ১১টায় ওই কেন্দ্রে উপস্থিত থাকা পরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাউসার আহমেদ জানান, সকাল নয়টায় টিকা দেওয়া শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ২০০জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। কতক্ষণ টিকাদান চলবে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বরাদ্দকৃত টিকা থাকার যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষের উপস্থিতি থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত দেওয়া হবে।

সিভিল সার্জন ডাঃ মাহাম্মদ একরাম উল্লাহ আরও জানান, কোনো ধরণের বিশৃংখলা ছাড়াই গণটিকাদান কর্মসূচী শেষ হয়েছে। ক্যাম্পেইন শুধুমাত্র প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে৷  তিনি বলন, কতজন টিকা দিয়েছেন তা গননা করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ লাখ ৫৩ হাজার মানুষদের গণটিকা প্রদান

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

হেফাজতের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলষ্টেশন দ্রুত পুনঃসংস্কার ও সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্যের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্তের সার্বিক পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্তার হোসেন সাঈদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকি, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাজিদুল ইসলাম, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদ্যুৎ নাগ, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা কমেরড নজরুল ইসলাম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক সাংবাদিক আবদুন নূর, প্রেসক্লাবে সহ সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, আয়কর সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ উত্তম কুমার দাস, আবরনির নির্বাহী পরিচালক, সাংবাদিক ও যুবনেতা হাবিবুর রহমান পারভেজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের আহবায়ক মনির হোসেন, নদী নিরাপত্তা সামাজিক সংগঠন নোঙরের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি মোঃ শামীম আহমেদ, সাহিত্য একাডেমির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন, জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ প্রমুখ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা নাগরিক ফোরামের সহ-সভাপতি মোঃ শাফির উদ্দিন চৌধুরী রনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ, সদস্য বিজয় রঞ্জন সাহা, পৌর নাগরিক ফোরামের সভাপতি রুমেল আল ফয়সাল, সদর উপজেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি কবির আহমেদ রানা, বৈশাখী শিল্পগোষ্ঠীর সভাপতি মোহাম্মদ হাসান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক তকির আহমদ, আফরিন ফাতিহা জুই প্রমুখ৷

সভায় বক্তারা বলেন, হেফাজতের তান্ডবে ধ্বংস হওয়ার ৬ মাস অতিক্রম হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে এখন পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রা বিরতি চালু করা হয়নি৷ হয়নি স্টেশনের সংস্কারও৷ ফলে ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম সহ সারাদেশের সাথে রেলযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে৷ এতে যাত্রীরা অনেক ভোগান্তিতে পড়েছে৷

এ সময় বক্তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবি জানান। সেই সাথে তারা ১৫ দিনের মধ্যে সকল আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রা বিরতি নিশ্চিত না করলে সারা বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার আল্টিমেটাম দেন৷

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলষ্টেশন দ্রুত পুনঃসংস্কার ও সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবীতে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

হেফাজতের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলষ্টেশন দ্রুত পুনঃসংস্কার ও সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে জেলা নাগরিক ফোরাম৷

জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্বা রতন কান্তি দত্ত এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আগামী শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্বরের সামনে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করবেন জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য।

সেই সাথে ফোরামের পক্ষ থেকে যথাসময়ে অনুষ্ঠানে সবাইকে উপস্থিত থাকার জন্যে বিনীত অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলষ্টেশন দ্রুত পুনঃসংস্কার ও সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবীতে সমাবেশের ডাক


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রাণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে এর উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরামউল্লাহ, পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (চলতি দায়িত্ব) ডাঃ ওয়াহীদুজ্জামান, জেলা বিএমএর সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ আবু সাঈদ, আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ রানা নুরুস শামস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন প্রমুখ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টটি চালু হওয়ায় করোনায় আক্রান্ত রোগীরা অক্সিজেন সেবা পাবেন। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের পাশাপাশি সাধারণ রোগীরাও যাতে অক্সিজেন সেবা পায় সেদিকে নজর দেয়ার জন্য চিকিৎসদের প্রতি আহবান জানান।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (চলতি দায়িত্ব) ডাঃ ওয়াহীদুজ্জামান বলেন, ইউনিসেফের সহায়তায় স্পেক্ট্রা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি হাসপাতালে ১০ হাজার লিটার অক্সিজেনের এই প্লানটি নির্মাণ করে। এর মাধ্যমে একসাথে ২৩০জন রোগীকে অক্সিজেন সেবা দেয়া যাবে। অক্সিজেন নিয়ে রোগীদের আর কোন সমস্যা হবে না।
তিনি বলেন, অক্সিজেন প্লানটি চালু হওয়ায় হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ও সিসিইউ বেড চালু করতে সুবিধা হবে।

উল্লেখ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট চালু না থাকায় করোনাকালে হাসপাতালে কাঙ্খিত সেবা পায়নি করোনায় আক্রান্ত রোগীরা। করোনায় আক্রান্ত কোন রোগীর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বেশী কমে গেলে ওই রোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কিংবা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হতো।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট উদ্বোধন


স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫ দফা বাস্তবায়নের দাবি নিয়ে জেলা ছাত্রমৈত্রীর উদ্যোগে মহান শিক্ষা দিবস পালিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্ত্বর থেকে একটি মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে শেষ হয়।

জেলা ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসিরের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের আহমেদের পরিচালানায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির জেলার সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খাঁন, বিজয়নগর উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন, একাত্তরের ঘাতক দালাল র্নিমুল কমিটির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার বর্দ্ধন, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, জেলা যুবমৈত্রীর সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সদস্য মুহুয়ী শারদ প্রমুখ।

পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে আলোচনাসভা ও প্রতিবাদী আবৃত্তি পরিবেশিত হয়৷ এসময় ছাত্র মৈত্রীর নেতা-কর্মীদের তৈরী করা দেয়ালিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিক্ষা দিবস পালিত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আনন্দঘন পরিবেশের মধ্যদিয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব শ্রীশ্রী বিশ্বকর্মা পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কেন্দ্রীয় মন্দির শ্রীশ্রী আনন্দময়ী কালীবাড়িতে সার্বজনিনভাবে সৃষ্টিশীল দেবতা ও স্বর্গের নির্মাতা বিশ্বকর্মা পূজা অনুষ্ঠিত হয়।

পবিত্র মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে সকালে বিশ্বকর্মা দেবের রাতুল চরণে পুষ্পাঞ্জলী অর্পন করা হয়। পরে নিজের ও পরিবারের পাশাপাশি জীব জগতের কল্যাণ কামনায় প্রার্থনা করা হয়।

পূজার পুরোহিত জীবন চক্রবর্তী জানান, ভাদ্র মাসের সংক্রান্তিতে দেবশিল্প বিশ্বকর্মার আর্শীবাদ কামনায় এই পূজা অনুষ্ঠিত হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শ্রীশ্রী বিশ্বকর্মা পূজা অনুষ্ঠিত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাসপাতালের দুই দালালকে আটক করে কারাদন্ড প্রদান করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবদুল্লাহ আল বাকীর নেতৃত্বে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানকালে হাসপাতাল চত্ত্বর থেকে দুই দালালকে আটক করা হয়। এরা হলেন পৌর এলাকার শিমরাইলকান্দি গ্রামের মৃত হেবজু মিয়ার ছেলে রাসেল বকসী (২৭) ও হালদারপাড়ার মস্তু মিয়ার ছেলে মামুন (৪৫)।

পরে আটক দু’জন নিজেদের দোষ স্বীকার করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের প্রত্যেককে ১ মাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে।

এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আবদুল্লাহ আল বাকী বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে আসা সাধারণ রোগীদেরকে হয়রানি ও দালালী করার অপরাধে তাদেরকে আটক করা হয়। তাদের কাছে বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের অসংখ্য ভিজিটিং কার্ড পাওয়া যায়। পরে তাদের উভয়কেই একমাস করে বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাসপাতালের দুই দালালকে কারাদন্ড


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক সাথে তিন পুত্র সন্তানের জন্ম দিয়েছেন বেদেনা আক্তার (৩২) নামে এক প্রসূতি। রোববার রাত সাড়ে ১১ টায় পৌর এলাকার পাইকপাড়ায় অবস্থিত দি বসুন্ধরা জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে সিজারিয়ান অপারেশনের মাধ্যমে তিনি তিনটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন।

প্রসূতি বেদেনা আক্তার জেলার নাসিরনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্বপাড়ার নূর ইসলামের স্ত্রী। ওই দম্পতির আরো চারটি সন্তান রয়েছে।

২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের গাইনী চিকিৎসক ও কনসালটেন্ট আইরিন হক ওই প্রসূতির সিজারিয়ান অপারেশন করান। জন্ম নেয়া তিনটি শিশুর মধ্যে দুটি শিশু ও তাদের মা সুস্থ্য আছেন৷  তবে একটি শিশুর অবস্থা তেমন ভালো নয়।

হাসপাতালের কনসালটেন্ট (এনেস্থেসিয়া) ডাঃ খোকন দেবনাথ বলেন, রোববার রাত ১০টার দিকে প্রসূতি বেদেনা আক্তারের শারীরিক অবস্থা খারাপ হলে স্বজনরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। আল্ট্রাসনোগ্রাফির মাধ্যমে তারা আগেই জানতো তার গর্ভে দুটি সন্তান রয়েছে। হাসপাতালে আনার সময় মায়ের গর্ভে শিশুগুলোর নড়াচড়া কম ছিল। প্রসূতির শরীরেও রক্তের পরিমাণ ও কম ছিলো। তাই রাত সাড়ে ১১ টার দিকে দ্রুত তাকে অস্ত্রপাচার করা হয়। অস্ত্রপাচারের মাধ্যমে তিনটি ছেলে সন্তান জন্ম গ্রহণ করেন।

তিনি আরও বলেন, জন্ম নেয়া শিশু তিনটি যথাক্রমে ১ কেজি ৬০০ গ্রাম, ১ কেজি ৫০০ গ্রাম ও ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম ওজনের। দুটি শিশু শারিরীক অবস্থা মোটামোটি ভালো আছে। তবে একটি শিশুটির শারীরিক অবস্থা তেমন ভালো না। শিশুদের মা ভালো আছেন। তিনি বলেন, জন্ম নেয়া তিনটি শিশুর ওজন কম হওয়ায় তাদেরকে ইনকিউবেটর (নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে) রাখা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একসাথে তিন পুত্র সন্তান জন্ম দিলেন এক প্রসূতি


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পরিবেশ রক্ষা ও বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী স্থানের সৌন্দর্য্যবর্ধনে কাজ করা সামাজিক সংগঠন “ভোরের সাথী” এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নাজমুল হক ও সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন চন্দনের আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার সকালে স্থানীয় লোকনাথ উদ্যানের (টেংকের পাড়) উত্তর পাড়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুুুষ্ঠিত হয়৷ এতে সভাপতিত্ব করেন বিশিষ্ট সমাজসেবক জাহাঙ্গীর কবির খাঁন দুলাল।

সদর উপজেলা বিআরডিবির চেয়ারম্যান মোঃ আবু কাউসারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ভূইয়া, জেলা নাগরিক সমাজ এর সভাপতি তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন, সংগঠনের অর্থ সম্পাদক সুভাষ চন্দ্র দাস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির পরিচালক বাবুল মিয়া, সাবেক পৌর কাউন্সিলর শাহ আলম খন্দকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি অ্যাডভোকেট এমদাদুল হক চৌধুরী, সমাজসেবক মাঈন উদ্দিন খাজা, এম.এ. নাসের বাহার, সাবেক পৌর কাউন্সিলর খবির উদ্দিন প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে নাজমুল হক ও ইকবাল হোসেন চন্দনের আত্মার মাগফেরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন লোকনাথ উদ্যান জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবুল কাশেম।

মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে শহরের বিশিষ্টজন সহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মোঃ নাজমুল হক (৬৫) ও মোঃ ইকবাল হোসেন চন্দন (৫৭) গত কয়েক মাস আগে মারা যান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় “ভোরের সাথীর” দুই নেতার স্মরণে দোয়া মাহফিল


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদীতে অভিযান চালিয়ে ২২টি নৌযানকে পাঁচ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত তিতাস নদীর ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের আনন্দবাজার থেকে বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ঘাটের নৌপথে অভিযান চালান নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীর নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, তিতাস নদীতে চলাচলকারী কোনো নৌযানের নিবন্ধন, সার্ভে সনদ, চালকের নিবন্ধন, নৌকায় জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জাম বয়া ও লাইফ জ্যাকেট রাখা হয় না। ওই নৌপথটিও অনুমোদিতও নয়।

বুধবার সকাল ১০টা থেকে নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের উপ-সচিব ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বদরুল হাসানের নেতৃত্বে শহরের আনন্দবাজার ঘাট থেকে বিজয়নগর উপজেলার চম্পকনগর ঘাট পর্যন্ত যৌথভাবে অভিযান চালায় নৌ-পরিবহন অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।

এসময় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করাসহ নৌযানের নিবন্ধন, সার্ভে সনদ, চালকের নিবন্ধন এবং নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহনের দায়ে দুটি ড্রেজার (খননযন্ত্র), ১০টি ট্রলার (বাল্কহেড) সহ ২২টি নৌযানকে ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা হয়।

অভিযান চলাকালে আশুগঞ্জ-ভৈরব বাজার নদীবন্দরের উপপরিচালক শহীদ উল্লাহ, নৌপরিবহন অধিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক শফিকুর রহমান ও সার্ভেয়ার বাস্তুব ফকির এবং র‌্যাব-১৪ এর ভৈরব ক্যাম্প ও ভৈরব নৌপুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ-ভৈরব বাজার নদীবন্দরের উপপরিচালক শহীদ উল্লাহ বলেন, অভিযান চালিয়ে ড্রেজারসহ ২২টি নৌযানকে জরিমানা করা হয়েছে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য, গত ২৭ আগস্ট সন্ধ্যা ছয়টার দিকে আনন্দবাজার-চম্পকনগর নৌপথের তিতাস নদীর লইস্কা বিলে যাত্রীবাহী নৌকাডুবে ২৩জনের মৃত্যু হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিতাস নদীতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান

ফেসবুকে আমরা..