স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনশত বছরের প্রাচীন শ্রী শ্রী কালভৈরব মন্দিরে ৫দিনব্যাপী বার্ষিক মহাযজ্ঞ মহোৎসব শুরু হয়েছে। গতকাল রোববার শহরের পূর্ব মেড্ডা এলাকায় বৈদিক পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে ৫দিন ব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসব উদ্বোধন করেন মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারত, নেপাল ও বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা পুরোহিত ও ভক্তরা উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধনের পর দুপুরে জীব জগতের কল্যান কামনায় সপ্তশতী চন্ডী মহাযজ্ঞ শুরু হয়। এতে দেশ- বিদেশের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা ভক্তরা যজ্ঞের আহুতি হিসেবে ফল, ফুল, দুর্বা, বেলপাতা সহ বিভিন্ন পূজার সামগ্রী যজ্ঞ স্থলে প্রদান করেন।
এদিকে ৫দিনব্যাপী মহাযজ্ঞ উৎসবকে কেন্দ্র করে কালভৈরব মন্দিরের আশপাশ এলাকা ও তিতাস নদীর তীরে বসেছে লোকজ মেলা। মেলায় নাগর দোলা সহ খেলনা সামগ্রী ছাড়াও মাটির তৈরী হরেক রকমের সামগ্রীর পন্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন দোকানিরা। আগামী ৩ মার্চ পর্যন্ত চলে এই উৎসব।
যজ্ঞের প্রধান পুরোহিত শ্রী মধুসূধন চক্রবর্তী বলেন, কালভৈরব মন্দির প্রাঙ্গনে এবার ৪৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হচ্ছে। পাঁচদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানের আজ প্রথম দিন। এবারে বিশেষ আকর্ষনে চন্ডী মায়ের অপর রূপ বগলামুখী মায়েরও পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
যজ্ঞের অতিথি পুরোহিত ভারতের ত্রিপুরা থেকে আগত অনুপম ভট্টাচার্য্য বলেন, আপনারা দেখবেন ২০২৩ সালে সারা বিশ্বে অনেক ঘটনা ঘটছে। যা আমরা চিন্তা করতে পারিনা। ২০২৩ জাতি ও জীবের জন্য ভয়ঙ্কর সন্ধিক্ষণ । শনি মহারাজ এবার কুম্ভের ঘরে। আমরা যজ্ঞ করি কারণ এই যজ্ঞের ধ্বনি মহাকাশে গিয়ে প্রতিধ্বনির সৃষ্টি করে। মহাকালকে তুষ্ট করার জন্যই এই যজ্ঞ করা হয়।

এ ব্যাপারে কালভৈরব মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি পলাশ ভট্টাচার্য্য জানান, জীব ও জগতের শান্তি কামনায় প্রতি বছর যজ্ঞ অনুষ্ঠান হচ্ছে। যজ্ঞকে কেন্দ্র করে এবারো দেশ বিদেশের ভক্তরা মন্দিরে সমবেত হয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কালভৈরব মন্দিরে ৫দিনব্যাপী মহাযজ্ঞ মহোৎসব শুরু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্দি দত্তের ৭০তম জন্মদিন পালন করেছে আবরনি আবৃত্তি চর্চা কেন্দ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া।
আজ সন্ধ্যায় আবরনির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত  আবরনির নির্বাহী পরিচালক সাংবাদিক হাবিবুর রহমান পারভেজ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ফাইভস্টার ক্লাবের সভাপতি বিশিষ্ট সমাজসেবক আতাউর রহমান শাহীন। ঝিলমিল একাডেমির পরিচালক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ এর উপস্থাপনায় এতে বক্তব্য রাখেন কীর্তি বিলাস এর সিইও কাজী নাজমুল ইসলাম উজ্জ্বল, সাবেক ছাত্রনেতা প্রকৌশলী হারুণ অর রশিদ মোল্লাহ, বাতিঘরের উদ্যোক্তা প্রকৌশলী আজহার উদ্দিন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোঃ খবির উদ্দিন, জেলা যুবলীগ নেতা এমরান হোসেন মাসুদ, সদর উপজেলা নাগরিক কমিটির সভাপতি খবির রানা, আবরনির সদস্য বিজয় সাহা, মাসুদ, হেলাল আহমেদ, সাইফুল আজিজ সোহেল, মেহদি হাসান প্রসুখ।
এসময় বক্তারা সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত একজন পরোপকারী ও সমাজ হিতৌশী মানুষ। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া কে ভালবেসে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মানুষের জন্য নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা তাঁর দীর্ঘায়ু ও উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।

বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্তেরর ৭০ তম জন্মদিন পালন। 

হেফাজতের তান্ডবে ধ্বংস হওয়ার ৭ মাসেও সভাবিক হয়নি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন। এক জোড়া আন্তনগর ট্রেন ছাড়া বাকি সকল আন্তনগর ট্রেনের স্টপেজ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন। এতে ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম সহ সারা বাংলাদেশের সঙ্গে রেল যাতায়াত ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লক্ষ লক্ষ লোক মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। রেলওয়ে স্টেশন সংস্কার ও সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানসহ ধারাবাহিক ভাবে নানান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে জেলা নাগরিক ফোরাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া। একই দাবিতে আজ দ্বিতীয় বারেরমত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন চত্তরে “মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ” কর্মসূচি পালন করেছে সংগঠনটি। সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রাদন করেন।

বক্তারা বলেন, হেফাজতের তান্ডবের দায়ভার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়া কোনভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়। এটা নাগরিক অধিকারের সুস্পষ্ট লক্ষণ। তারা রেলওয়ে স্টেশনে হামলা, ভাঙ্গচুর ও অংগ্নি সংযোগের সাথে জড়িত হেফাজত নেতাকর্মীদের বিচারের আওয়াতায় আনার দাবী জানান। তারা আরো বলেন, দীর্ঘ ৭মাস যাবত আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্দোলন করছি। কিন্তু আমাদের ন্যায্য দাবী আদায় হচ্ছে না। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। জনগণের দৈর্য্যচ্যুতি ঘটছে। আমরা আর কোন আশ্বাস চাই না, সমাধান চাই। দেশের অনেক সম্যস্যার সামাধান হলেও ৩০ লক্ষ ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর এই গণদাবি কেন পূরণ হচ্ছে না এই ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তগণ সমস্যা সমাধানে মানননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বাস মালিকদের সাথে রেল কর্মকর্তদের কোন যোগসাজশ আছে কিনা সন্দেহ্ প্রকাশ করে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তাগণ ঘোষণা করেন, আগামী ৩০ আক্টোবরের মধ্যে দ্রুত সকল আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় হাজার হাজার জেলাবাসীকে সাথে নিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপর দিয়ে সকল প্রকার রেল চলাচল বিচ্ছিন্ন কর দেয়ার হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন তারা। এসময় রেলওয়ে স্টেশন চলমান সংস্কার কাজের মান নিয়েও সমালোচনা করেন কোন কোন বক্তা।

আজ শনিবার সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন চত্তরে অনুষ্ঠিত জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য এর সভাপতিত্বে সমাবশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সংবাদিক ও যুবনেতা হাবিবুর রহমান পারভেজের পরিচালনায় উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু, জেলা জাসদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন সাঈদ, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামী, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন,সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদত খান, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম সোপান, সম্মিলত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আব্দুন নূর, জেলা নাগরিক ফোরামের সিয়িরর সহ-সভাপতি আতাউর রহমান শাহীন, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ভিপি এড. এমদাদুল হক, কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হোসাইন আহমেদ তফছির, জেলা ওয়ার্কার্স পাটির নেতা কমরেড নজরুল ইসলাম।

উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনী সজিব, দৈনিক সংগ্রামের জেলা প্রতিনিধি সৈয়দ মোঃ আকরাম, সাপ্তাহিক তিতাস বার্তা সম্পাদক এম.এ মতিন শানু, সোনালী ব্যাংক এর প্রিন্সিপাল অফিসার এ কে এম মাকছুদুর রহমান চৌধুরী, ৩ ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর মোঃ খবির উদ্দিন, স্টেশন রোড দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম দুলাল, জেলা খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, অংকুর শিশু-কিশোর সংগঠনের সভাপতি আনিসুল হক রিপন, পিসভিশন এর সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, বৈশাখী শিল্পগোষ্ঠীর সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন, নদী নিরাপত্তা বিষয়ক সামাজিক সংগঠন নোঙ্গর এর সভাপতি শামীম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক খালেদা মুন্নি, আইকর সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উত্তম কুমার দাস, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মাইনুল ইসলাম টুটুল, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন স্বপন, যুবলীগ নেতা হাবিব আবদুল্লাহ সোহেল, পৌর নাগরিক ফোরামের সভাপতি রুমেল আল ফয়সাল, জেলা নাগরিক ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মতিন শিপন, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির, এড. অসিম কুমার বর্ধন, মোঃ খলিলুর রহমান প্রমুখ।

উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও কয়েশত সাধারণ জনগণ এতে অংশগ্রহণ করেন।

৩০ অক্টোবরের মধ্যে দাবি আদায় না হলে শান্তিপূর্ণভাবে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা-নাগরিক ফোরাম

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দেশীয় প্রজাতির মৎস্য সুরক্ষা ও মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে৷  বুধবার সন্ধ্যায় শহরের মেড্ডা এলাকায় তিতাস নদীর কালভৈরব ঘাটে এসব জাল ধংস করা হয়।

অভিযান পরিচালনা করে ১০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও ৩৮ সট চায়না দুয়ারি রিং জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়৷

এর আগে বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য অফিসার মোঃ সামছু উদ্দিনের নেতৃত্বে মৎস্য অফিসের লোকেরা সদর উপজেলার তিতাস নদীতে অভিযান চালায়।

এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনাকারী সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মোঃ সামছু উদ্দিন বলেন, দেশীয় প্রজননক্ষম মাছ ও পোনা মাছ রক্ষার্থে মৎস্য সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নে বুধবার বিকলে তিতাস নদীত অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও ৩৮ সট চায়না দুয়ারি রিং (ফিক্সড ইঞ্জিন) জাল জব্দ করে আগুনে ধ্বংস করা হয়। তিনি বলেন, উদ্ধারকৃত জালের মূল্য প্রায় দুই লাখ টাকা। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে৷

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিপুল পরিমাণ কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের উদ্যােগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক রবিউল হক মজুমদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজ্জামেল হক রেজা, প্রসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি প্রমুখ।

এছাড়াও সভায় সরকারি ও বেসরকারি বিভিন অফিসের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন৷

জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন বলেন, ২০০৯ সালে জাতীয় সংসদে প্রথম যে আইনটি পাশ হয় সেটিই তথ্য অধিকার আইন। সেখানে বলা আছে, সরকার কাজ করে জনগণের স্বার্থে। জনস্বার্থে সরকার জনগণকে প্রয়োজনীয় তথ্য দিবে। কয়েকটি ক্ষেত্র ছাড়া যেমন দেশের নিরাপত্তার বিষয়, মামলা ও রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ছাড়া সকল তথ্য প্রত্যেক অফিস দিবে।

তিনি বলেন, স্বছতা হলেই জবাবদিহিতা আসবে, জবাবদিহিতা আসলেই উন্নয়ন হবে ও সোনার বাংলা বিনির্মাণ করা সহজ হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে দ্বিতীয় দফায় গণটিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হয়। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে জেলার ৯টি উপজেলার ৯৮টি ইউনিয়ন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ড এক যোগে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ মাঃ একরাম উল্লাহ বলেন, জেলার ৯টি উপজেলায় ৯৮টি ইউনিয়ন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের মোট ১১০টি কেন্দ্রে ৩০৬টি বুথ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে একযোগে টিকার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিটি বুথে ৫০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে।এবারের ক্যাম্পেইনও বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, জেলায় ১ লাখ ৫৩ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়ার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল সাড় ১০টায় শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ উচ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দেখা যায় নারীদের জটলা। তারা টিকা কার্ড কেন্দ্রের ভেতরে থাকা স্বেচ্ছাসেবীর হাতে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছেন। ভেতর থেকে স্বেচ্ছাসেবীরা কার্ড দেখে নাম ধরে ডাকছেন। যাদের নাম বলা হয়, তারা কেন্দ্রের ভিতর গিয়ে টিকা দিয়েছন।

বেলা ১১টায় ওই কেন্দ্রে উপস্থিত থাকা পরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাউসার আহমেদ জানান, সকাল নয়টায় টিকা দেওয়া শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ২০০জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। কতক্ষণ টিকাদান চলবে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বরাদ্দকৃত টিকা থাকার যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষের উপস্থিতি থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত দেওয়া হবে।

সিভিল সার্জন ডাঃ মাহাম্মদ একরাম উল্লাহ আরও জানান, কোনো ধরণের বিশৃংখলা ছাড়াই গণটিকাদান কর্মসূচী শেষ হয়েছে। ক্যাম্পেইন শুধুমাত্র প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে৷  তিনি বলন, কতজন টিকা দিয়েছেন তা গননা করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ লাখ ৫৩ হাজার মানুষদের গণটিকা প্রদান

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

হেফাজতের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলষ্টেশন দ্রুত পুনঃসংস্কার ও সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্যের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্তের সার্বিক পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্তার হোসেন সাঈদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকি, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাজিদুল ইসলাম, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদ্যুৎ নাগ, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা কমেরড নজরুল ইসলাম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক সাংবাদিক আবদুন নূর, প্রেসক্লাবে সহ সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, আয়কর সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ উত্তম কুমার দাস, আবরনির নির্বাহী পরিচালক, সাংবাদিক ও যুবনেতা হাবিবুর রহমান পারভেজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের আহবায়ক মনির হোসেন, নদী নিরাপত্তা সামাজিক সংগঠন নোঙরের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি মোঃ শামীম আহমেদ, সাহিত্য একাডেমির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন, জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ প্রমুখ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা নাগরিক ফোরামের সহ-সভাপতি মোঃ শাফির উদ্দিন চৌধুরী রনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ, সদস্য বিজয় রঞ্জন সাহা, পৌর নাগরিক ফোরামের সভাপতি রুমেল আল ফয়সাল, সদর উপজেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি কবির আহমেদ রানা, বৈশাখী শিল্পগোষ্ঠীর সভাপতি মোহাম্মদ হাসান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক তকির আহমদ, আফরিন ফাতিহা জুই প্রমুখ৷

সভায় বক্তারা বলেন, হেফাজতের তান্ডবে ধ্বংস হওয়ার ৬ মাস অতিক্রম হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে এখন পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রা বিরতি চালু করা হয়নি৷ হয়নি স্টেশনের সংস্কারও৷ ফলে ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম সহ সারাদেশের সাথে রেলযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে৷ এতে যাত্রীরা অনেক ভোগান্তিতে পড়েছে৷

এ সময় বক্তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবি জানান। সেই সাথে তারা ১৫ দিনের মধ্যে সকল আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রা বিরতি নিশ্চিত না করলে সারা বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার আল্টিমেটাম দেন৷

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলষ্টেশন দ্রুত পুনঃসংস্কার ও সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবীতে মানববন্ধন

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

হেফাজতের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলষ্টেশন দ্রুত পুনঃসংস্কার ও সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দিয়েছে জেলা নাগরিক ফোরাম৷

জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্বা রতন কান্তি দত্ত এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আগামী শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্বরের সামনে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করবেন জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য।

সেই সাথে ফোরামের পক্ষ থেকে যথাসময়ে অনুষ্ঠানে সবাইকে উপস্থিত থাকার জন্যে বিনীত অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলষ্টেশন দ্রুত পুনঃসংস্কার ও সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবীতে সমাবেশের ডাক


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রাণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে এর উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরামউল্লাহ, পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (চলতি দায়িত্ব) ডাঃ ওয়াহীদুজ্জামান, জেলা বিএমএর সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ডাঃ আবু সাঈদ, আবাসিক চিকিৎসক ডাঃ রানা নুরুস শামস, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন প্রমুখ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টটি চালু হওয়ায় করোনায় আক্রান্ত রোগীরা অক্সিজেন সেবা পাবেন। তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের পাশাপাশি সাধারণ রোগীরাও যাতে অক্সিজেন সেবা পায় সেদিকে নজর দেয়ার জন্য চিকিৎসদের প্রতি আহবান জানান।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক (চলতি দায়িত্ব) ডাঃ ওয়াহীদুজ্জামান বলেন, ইউনিসেফের সহায়তায় স্পেক্ট্রা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামে একটি কোম্পানি হাসপাতালে ১০ হাজার লিটার অক্সিজেনের এই প্লানটি নির্মাণ করে। এর মাধ্যমে একসাথে ২৩০জন রোগীকে অক্সিজেন সেবা দেয়া যাবে। অক্সিজেন নিয়ে রোগীদের আর কোন সমস্যা হবে না।
তিনি বলেন, অক্সিজেন প্লানটি চালু হওয়ায় হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) ও সিসিইউ বেড চালু করতে সুবিধা হবে।

উল্লেখ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট চালু না থাকায় করোনাকালে হাসপাতালে কাঙ্খিত সেবা পায়নি করোনায় আক্রান্ত রোগীরা। করোনায় আক্রান্ত কোন রোগীর শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা বেশী কমে গেলে ওই রোগীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কিংবা কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হতো।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট উদ্বোধন


স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫ দফা বাস্তবায়নের দাবি নিয়ে জেলা ছাত্রমৈত্রীর উদ্যোগে মহান শিক্ষা দিবস পালিত হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টায় স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্ত্বর থেকে একটি মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে শেষ হয়।

জেলা ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসিরের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক জুবায়ের আহমেদের পরিচালানায় আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির জেলার সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ খাঁন, বিজয়নগর উপজেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন, একাত্তরের ঘাতক দালাল র্নিমুল কমিটির ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার বর্দ্ধন, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, জেলা যুবমৈত্রীর সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সদস্য মুহুয়ী শারদ প্রমুখ।

পরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসের শহীদ মিনারে আলোচনাসভা ও প্রতিবাদী আবৃত্তি পরিবেশিত হয়৷ এসময় ছাত্র মৈত্রীর নেতা-কর্মীদের তৈরী করা দেয়ালিকার মোড়ক উন্মোচন করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিক্ষা দিবস পালিত

ফেসবুকে আমরা..