স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিনগরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিকিৎসা তহবিল থেকে ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, হৃদরোগে প্যারালাইজড ৫ জনসহ বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত ১০০ জন রোগীর মধ্যে চিকিৎসা সহায়তা হিসেবে অনুদানের চেক বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নাসিরনগর অডিটরিয়ামে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাদের মধ্যে চেক বিতরণ করা হয়।

প্রধান অতিথি হিসেবে অসুস্থ মানুষের হাতে অনুদানের আর্থিক চেক তুলে দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আব্বাস টিপুর সঞ্চালনায় চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিকিৎসা তহবিল থেকে ক্যান্সার, কিডনি, লিভার সিরোসিস, হৃদরোগে প্যারালাইজডসহ জটিল রোগে আক্রান্ত ৫ জনকে ১২ লাখ টাকা ও সংসদ সদস্যের ঐচ্ছিক তহবিল হতে একশ জনের মধ্যে পাঁচ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।

নাসিরনগরে অসুস্থ মানুষের মধ্যে আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য এবং আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, সকলে মিলে করোনা ভাইরাসকে মোকাবিলা করতে হবে। একমাত্র আল্লাহই পারেন এই অবস্থা থেকে আমাদেরকে পরিত্রাণ দিতে।
তিনি সোমবার দুপুরে কসবা জেলা পরিষদ মিলনায়তনে কসবা উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে করোনা পরিস্থিতি ও আসন্ন ঈদ-উল আযহা উদযাপন নিয়ে ভার্চুয়ালি মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার সাহসিকতায় আমরা করোনাকালে বড় ধরণের প্রভাব থেকে রক্ষা পাচ্ছি। এমন পরিস্থিতে আমরা বিরোধী দলকে করোনাকালে মানুষের পাশে এসে দাঁড়াতে দেখিনি।

এ সময় স্থানীয় সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, আপনারা সাংবাদিকতায় সমস্যার তুলে ধরবেন। পাশাপাশি সমস্যা সমাধানের সংবাদও প্রকাশ করবেন বলে আশা করি। এ জন্যে তিনি স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রতি অনুরোধ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ-উল-আলম, কসবা পৌরসভার মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক এম জি হাক্কানী, কসবা প্রেসক্লাব সভাপতি আব্দুল হান্নান, কসবা উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি খ.ম.হারুনুর রশীদ ঢালী, কুটি ইউপি চেয়ারম্যান ছায়েদুর রহমান স্বপন।

মত বিনিময়কালে কসবা উপজেলা প্রেসক্লাবের জায়গা সহ অফিস ভবনের জন্যে আইনমন্ত্রীর কাছে দাবি জানানো হয়।

কসবায় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে আইনমন্ত্রী


স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
পবিত্র ঈদ-উল আযহা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জমে উঠেছে অস্থায়ী পশুর হাটগুলো। এর পাশাপাশি খামারগুলোতে চলছে অনলাইনে পশু বেচা-কেনা।

সদর উপজেলার ৫টি ও পৌর এলাকার ১টি পশুর হাট বসেছে গত শনিবার (১৭ জুলাই) থেকে, চলবে ২০ জুলাই পর্যন্ত। তবে কিছু কিছু বাজারে ঈদের দিন সকালেও পশু বেচা কেনা হবে। এসব অস্থায়ী বাজারে মানা হচ্ছেনা স্বাস্থ্যবিধি। মুখে মাস্ক পরিধান না করেই বাজারগুলোতে যাচ্ছেন অধিকাংশ ক্রেতা-বিক্রেতা।

ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতা-বিক্রেতারা যাতে অনলাইনে কোরবানীর পশু কেনা-বেচা করতে পারেন সেজন্য জেলা প্রানিসম্পদ কার্যালয়ের উদ্যোগে জেলার প্রতিটি উপজেলায় ফেসবুক পেইজ খোলা হয়েছে। এছাড়াও অনলাইনে গরু বিক্রির জন্য ফেসবুকে পেইজ খুলেছেন বিভিন্ন খামারের পক্ষ থেকে।

জেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোরবানীর পশুর কোন সংকট নেই। প্রাণী সম্পদ কার্যালয়ের তথ্য মতে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় কোরবানীর জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬৬২টি। জেলার তালিকাভুক্ত ১২ হাজার ৩৭০টি খামারে কোরবানির জন্য লালন-পালন করা হয়েছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৪৭৭টি পশু। জেলায় চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত পশু রয়েছে ৩ হাজার ৭১৫টি। এছাড়াও বিভিন্ন এলাকায় কৃষকেরা কোরবানীর হাটে বিক্রির জন্য পশু লালন-পালন করেছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে সদর উপজেলায় ৫টি ও পৌরসভার উদ্যোগে ১টি অস্থায়ী পশু হাট করা হয়েছে। এ সব হাটে ১৭ জুলাই থেকে বিক্রেতারা তাদের পশু নিয়ে আসছেন। এসব অস্থায়ী বাজার গুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সুবিধার্থে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গরু ব্যবসায়ীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

গত ১৭ তারিখ থেকে বাজারগুলোতে পশু আসতে শুরু করলেও বেচা-বিক্রি তুলনামূলকভাবে একটু কম। ক্রেতারা ঘুরে ঘুরে তাদের তাদের পছন্দসই পশু দেখছেন। পৌর এলাকার ভাদুঘর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের পশ্চিমে পৌরসভার উদ্যোগে করা হয়েছে অস্থায়ী পশুর হাট। রোববার দুপুরে সরজমিনে বাজারটিতে গিয়ে দেখা যায় বিভিন্ন এলাকা থেকে বাজারে গরু, ছাগল, মহিষ নিয়ে আসছেন বিক্রেতারা। তবে তারা স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।

কিশোরগঞ্জ জেলার কুরিয়ারচর উপজেলা থেকে আসা বিক্রেতা সাঈদ মিয়া বলেন, তিনি ৬টি গরু নিয়ে শনিবার বাজারে এসেছেন। রোববার দুপুর পর্যন্ত ১টা গরুও বিক্রি করতে পারেন নি। তিনি বলেন, বাজারে ক্রেতা কম। ক্রেতারা এসে শুরু দেখছেন। আশাকরি সোমবার থেকে বাজারে ক্রেতার পরিমাণ বাড়বে।

সদর উপজেলার মজলিশপুর থেকে একটি বড় গরু নিয়ে বাজারে এসেছেন আবু বক্কর নামে একজন বিক্রেতা। তিনি বলেন, তিনি তার গরুর দাম চাচ্ছেন ৬ লাখ টাকা। গরুটিতে কমপক্ষে ১৪ থেকে ১৫ মন মাংস হবে। আবু বক্কর দাবি করেন রোববার পর্যন্ত তার গরুটিই ভাদুঘর বাজারের সবচেয়ে বড় গরু।

বাজারে আসা শফিকুল আলম নামে একজন জানান, তিনি এসেছেন দেখতে। তিনি বলেন, গত ১ সপ্তাহ আগেই তিনি অনলাইনে দেখে কোরবানীর জন্য গরু কিনেছেন। করোনা পরিস্থিতিতে বাজার হবে কিনা এই শঙ্কায় অনেকেই অনলাইনে খামারগুলো থেকে গরু কিনে ফেলেছেন।

ভাদুঘর গরুর বাজারের ইজারাদারের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি মোঃ পলাশ মিয়া বলেন, বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে কোরবানীর পশু আসলেও বেচা-বিক্রি কম। তিনি বলেন, আশা করি সোমবার থেকে বাজারে ক্রেতা বাড়বে। বেচা-কেনা বাড়বে।

এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, গরুর বাজারগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজারগুলোতে ৬টি মোবাইল টীম কাজ করছে। তিনি বলেন, ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তার জন্য বাজারগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশসহ আইন-শৃংখলার বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে। গরু বিক্রেতাদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ এ.বি.এম সাইফুজামান বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোরবানীর পশুর কোন সংকট নেই। জেলায় কোরবানীর জন্য পশুর চাহিদা রয়েছে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬৬২টি। পশু আছে ১ লাখ ৭৭ হাজার ৪৭৭। চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত পশু রয়েছে ৩ হাজার ৭১৫টি।

তিনি বলেন, বাজারগুলোর পাশাপাশি অনলাইনেও কোরবানীর পশু বিক্রি করা হচ্ছে। অনলাইনে পশু কেনা-বেচার জন্য জেলার প্রতিটি উপজেলায় ফেসবুক পেইজ খোলা হয়েছে। এতে খামারীদের যাবতীয় পশুর তথ্য আপলোড করা হচ্ছে। ইতিমধেই বেশ কিছু খামারে অনলাইনে গরু বিক্রি শুরু হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোরবানীর পশুর কোন সংকট নেই


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রজনম মৌসুমে দেশীয় প্রজাতির মাছ রক্ষার্থে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।  রোববার সকালে শহরের তিতাস নদীতে সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মোঃ সামছুদ্দিনের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।

অভিযানকালে ৫০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও ৩০ সেট চায়না রিং জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রোববার ভোর ৬টা থেকে সকাল সাড়ে নয়টা পর্যন্ত তিতাস নদীর জেলা সদরের এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়। এসময় নদী থেকে ৫০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও ৩০ সেট চায়না রিং (ফিক্সড ইঞ্জিন) জাল জব্দ করে পৌর শহরের মেড্ডা এলাকায় জনসম্মুখে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়। এসব জালের বাজার মূল্য প্রায় দুই লাখ টাকা। অভিযান চলাকালে মুক্ত জলাশয়ে অবৈধভাবে স্থাপিত “পাটিবাঁধ” অপসারণ করা হয়।

এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনাকারী সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ সামছুদ্দিন বলেন, দেশীয় মাছের পোনা ও প্রজননক্ষম মাছ রক্ষার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুড়ানো হলো ৫০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
টিকা নিয়ে আলোচনা করতে দিল্লী গেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। রোববার সকালে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে ভারতে যান। সকাল পৌনে ৯টার দিকে তিনি ভারতে প্রবেশ করেন।

ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী আখাউড়া স্থল বন্দরে পৌছলে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুমানা আক্তার তাঁকে অভ্যর্থনা জানান।

স্থল বন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবারে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, টিকা বিষয়ে আলোচনা করতে তিনি দিল্লী যাচ্ছেন।

বাংলাদেশকে কবে নাগাদ করোনার টিকা দেয়া হবে এ বিষয়ে নিশ্চিত করে সময়ক্ষণ বলতে পারেননি তিনি। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে যেন সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত টিকা সরবরাহ করা হয় সে বিষয়ে আলোচনা করতে দিল্লী যাচ্ছেন বলে তিনি জানান।

এ সময় দোরাইস্বামী আরো বলেন, দুই দেশের মধ্যে সড়ক ও রেলপথ সংযোগ দ্রুত শেষ করার লক্ষ্যে দুই দেশই কাজ করছে। এতে উভয়েই লাভবান হবে।

দিল্লী গেলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাই কমিশনার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা ও সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ও ড্রিম ফর ডিসএবিলিটি ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কর্মহীন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ১২০ জন ব্যক্তির মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। রোববার সকালে স্থানীয় ফারকী পার্কে প্রধান অতিথি হিসেবে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান তাদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।

খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিলো ১০ কেজি করে চাল, ১ লিটার তেল, ১ কেজি আলু, ১ কেজি পেয়াজ, চিনি, গুড়া দুধ, সাবান ও সুজিসহ নানা উপকরণ।

সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে খাদ্য বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লোকমান হোসেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামি, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাসলিমা সুলতানা খানম নিশাত, ড্রিম ফর ডিসএবিলিটি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হেদায়েতুল আজিজ মুন্না প্রমুখ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীমা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকেরা।  শুক্রবার রাতে শ্বশুর বাড়ির লোকজন ওই গৃহবধূর লাশ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে কৌশলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।

গৃহবধূ সীমা আক্তার জেলার আখাউড়া উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের কন্যা ও বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের নলগড়িয়া গ্রামের আবুল হাসানের স্ত্রী।

সীমা আক্তারের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ৩ বছর আগে আবুল হাসানের সাথে বিয়ে হয় সীমার। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ চলে আসছিল। শুক্রবার দুপুরে স্বামী আবুল হাসানের সাথে সীমার ঝগড়া হলে আবুল হাসান সীমাকে কয়েকটি চড়-থাপ্পর মেরে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। এতে সীমা অভিমান করে সন্ধ্যায় ঘরে থাকা বিষপান করে।

স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আরিফুজ্জামান হিমেল তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরই আবুল হাসান ও পারিবারের লোকজন সীমার লাশ হাসপাতালে রেখে কৌশলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক আরিফুজ্জামান হিমেল বলেন, গৃহবধূকে মৃত অবস্থাতেই হাসপাতালে আনা হয়েছিলো। আমরা তাকে মৃত ঘোষণার পর তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর্জা মোহাম্মদ হাসান বলেন, সীমা আক্তারকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে তার মা রীনা বেগম বাদি হয়ে শনিবার সকালে স্বামীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ সীমার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছেন। ঘটনার পর থেকেই স্বামীসহ অপর আসামীরা পলাতক রয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ রেখে স্বামীর পলায়ন

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৪(কসবা-আখাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। একমাত্র আল্লাহই পারেন এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণ দিতে। শনিবার সকালে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলার বিভিন্ন মসজিদের ইমামদের সাথে মত বিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

মন্ত্রী ঢাকা থেকে ভার্চ্যুয়ালি মত বিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন।

এ সময় আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, জীবন জীবিকার মধ্যে ব্যালেন্স আনা সরকারের কাজ। আমরা সেটা করতে গিয়েই লকডাউন বিষয়ে প্রয়োজন মাফিক ব্যবস্থা নেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতায় আমরা করোনার বড় ধরণের প্রভাব থেকে রক্ষা পেয়েছি। বড় বড় রাষ্ট্র যখন করোনার টিকার ব্যবস্থা করেছে ঠিক তখনই শেখ হাসিনা আমাদের জন্য টিকা কিনে এনেছেন।

তিনি বলেন, আমরা ইমামদের মাধ্যমে আল্লাহর কাছে পানাহ্ চাইবো তিনি যেন আমাদেরকে পরিত্রাণ দেন।
মত বিনিময় সভায় ইমামদের পক্ষ থেকে মন্ত্রীর কাছে বিভিন্ন দাবি তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে ইমামদের বেতন ভাতার দাবি প্রধানমন্ত্রীকে জানানো হবে বলে জানান মন্ত্রী। বাকি দাবিগুলো মন্ত্রী পরবর্তীতে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বাস দেন।

মত বিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আখাউড়া পৌরসভার মেয়র মোঃ তাকজিল খলিফা কাজল, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুমানা আক্তার, মহিউস সুন্নাহ মাদরাসার অধ্যক্ষ আসাদ আল হাবিব, খড়মপুর শাহ্পীর কল্লা শহীদ দাখিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মুফতি কেফায়েত উল্লাহ, ইমাম সমিতির সভাপতি কাজি মাঈনুদ্দিন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাশেম ভূইয়া, সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ সাইফুল ইসলাম, আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মুরাদ হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাসরিন শফিক আলেয়া, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মোঃ শাহবুদ্দিন বেগ শাপলু।

আখাউড়ায় ইমামদের সাথে মতবিনিময় করছেন আইনমন্ত্রী


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া ১২৬জন প্রতিবন্ধীর (দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, বাক ও শ্রবণ প্রতিবন্ধী) মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার খাদ্য সহায়তা বিতরণ করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে স্থানীয় ফারুকী পার্কে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।

খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিলো ১০ কেজি চাল, ১ লিটার তেল, ১কেজি আলু, ১কেজি পেয়াজ, ১ কেজি ডাল, সেমাই এক প্যাকেট, সুজি এক প্যাকেট, চিনি, গুড়ো দুধ ও ২টি সাবান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজ কুমার বিশ্বাস, কিশোর কুমার দাশ, ফাতেমা তুজ জোহরা সানিয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান প্রমুখ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রতিবন্ধীদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কোপা আমেরিকার ফাইনাল ম্যাচে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার খেলা নিয়ে তর্কাতর্কির জের ধরে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে ৫জন আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮টায় সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়নের খেওয়াই গ্রামে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, একই গ্রামের মিনার মিয়া, মোঃ আলম, রবিউল, জালাল মুন্সী ও ফোরকান মুন্সী। আহতদের মধ্যে মিনার মিয়াকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মাছিহাতা ইউপি চেয়ারম্যান আল আমিনুল হক পাভেল বলেন, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কোপা আমেরিকার ফাইনালে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার ম্যাচ নিয়ে খেওয়াই গ্রামের শিপন (১৯) ও হৃদয় (১৮) এর মধ্যে বাকবিতন্ডা ও হাতহাতির ঘটনা ঘটে। এদের মধ্যে হৃদয় আর্জেন্টিনার ও শিপন ব্রাজিলের সমর্থক। এ ঘটনার জেরে রাত ৮টার দিকে উভয়পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে ৫জন আহত হয়।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে শুক্রবার সকালে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কোনো লিখিত অভিযোগ এখনও পাওয়া যায়নি।

এর আগে গত ১১ জুলাই কোপা আমেরিকার ফাইনালে এই ম্যাচকে ঘিরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে জেলা পুলিশ। তবে ফাইনালে জেলার কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৫

ফেসবুকে আমরা..