গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৩৯ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৫ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৩ টি ও সরাইল থানায় ০২ টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ২৮৮ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০-৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ২০৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরে জড়িত আরও ৩৯ জন গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের নিমবাড়ি গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত দুই ভাই রহিজ মিয়া ও ফয়েজ মিয়া হত্যা মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার দাবি ও মামলা দুটো তুলে নিতে আসামী পক্ষের হুমকি-ধামকির প্রতিবাদে গত সোমবার রাতে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত ফয়েজ মিয়ার বাড়ির উঠানে সভায় গ্রামের মুরুব্বী আলী আজগর মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন বাবুল মিয়া, মস্তু মিয়া, নোয়াব মিয়া, রতন মিয়া প্রমুখ।

সভায় বক্তারা দুই ভাইয়ের হত্যা মামলার আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের কাছে অনুরোধ করেন। নিহত রহিজ মিয়া ও ফয়েজ মিয়া উপজেলার নিমবাড়ি গ্রামের মরহুম লাবু মিয়ার ছেলে। প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেন, আসামীরা হত্যা মামলা দুটো তুলে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। হত্যা মামলা থেকে নিজেদেরকে রক্ষা করতে থানায় মিথ্যা মামলা দায়ের করার পায়তারা করছে।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার নিমবাড়ি গ্রামের পান্ডুর গোষ্ঠীর লোকজনের সাথে এই গ্রামের কাবিলা গোষ্ঠীর লোকজনের দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিলো। এই বিরোধের জের ধরে ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল দুই গোষ্ঠীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে পান্ডুর গোষ্ঠীর লাবু মিয়ার ছেলে রহিজ মিয়া মারা যায়।
এ ঘটনায় নিহত রহিজ মিয়ার স্ত্রী বাদি হয়ে ২০জনের বিরুদ্ধে কসবা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এই মামলার ১ নং স্বাক্ষী ছিলেন নিহত রহিজ মিয়ার বড় ভাই ফয়েজ মিয়া।

রহিজ মিয়া হত্যা মামলার আসামীরা (কাবিলা গোষ্ঠীর) দীর্ঘদিন কারাভোগ করে মাস তিনেক আগে আদালত থেকে জামিন পেয়ে বাড়িতে আসেন। পরে আসামীরা হত্যা মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য প্রতিপক্ষের উপর চাপ প্রয়োগ করেন। পান্ডুর গোষ্ঠীর লোকজন রাজী না হওয়ায় গত ১৩ মার্চ সকালে কাবিলা গোষ্ঠীর লোকজন দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে পান্ডুর গোষ্ঠীর লোকজনের বাড়িতে হামলা করে। এ সময় টেটার আঘাতে রহিজ মিয়া হত্যা মামলার ১ নং স্বাক্ষী ও রহিজ মিয়ার বড় ভাই ফয়েজ মিয়া-(৬০) ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

এ ঘটনায় পরদিন নিহতর স্ত্রী রেখা বেগম বাদি হয়ে ৩০জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ এ পর্যন্ত মামলার দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে।

কসবায় প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন সরকারি ও বে-সরকারি স্থাপনা পরিদর্শন করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৬-(বাঞ্চারামপুর) আসনের সংসদ সদস্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ.বি তাজুল ইসলাম।

ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন শেষে মঙ্গলবার দুপুরে তিনি ক্ষতিগ্রস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব ভবন পরিদর্শন করেন।
এ সময় তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, অতীতে যারা দেশের জাতীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে সেই কমন শত্রু বিএনপি-জামাত-হেফাজতই ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এই ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। তাদেরকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনতে হবে । এ ছাড়া আমাদের কোন ব্যর্থতা ছিল কিনা তাও আত্মউপলব্ধিতে এনে আমাদের সামনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। তিনি আরো বলেন, এই কমন শত্রুদের আমাদের অবশ্যই ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে।

এ সময় তার সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা-খাঁন, পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকারসহ দলীয় নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে ক্যাপ্টেন (অবঃ) এ.বি তাজুল ইসলাম এমপি তাজ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ক্ষতিগ্রস্ত বাসভবন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা পরিদর্শন করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের দেওয়া ধ্বংসযজ্ঞ পরিদর্শন করেন ক্যাপ্টেন তাজ এমপি

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সবসময় বিভিন্ন ধরণের অপরাধীদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে অত্যন্ত অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র‌্যাবের সৃষ্টিকাল থেকে এ পর্যন্ত মাদক ব্যবসায়ী, শীর্ষ সন্ত্রাসী, অপহরণকারী, সন্ত্রাসী, এজাহারনামীয় আসামী, ছিনতাইকারী, চাঁদাবাজ, প্রতারকচক্র, ধর্ষণকারী, পর্ণোগ্রাফি বিস্তারকারী, চোরাকারবারীদের গ্রেফতার করে সাধারণ জনগণের মনে আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।

এরই ধারাবাহিকতায় ১৩ এপ্রিল ২০২১ ইং তারিখ আনুমানিক ০২.৩০ ঘটিকায় র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প,কিশোরগঞ্জ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরব থানাধীন দূর্জয়মোড় নূরানী মসজিদের সামনে ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের ঢাকা গামী লেনের উপর অভিযান পরিচালনা করে মাদক ব্যবসায়ী ১। মোঃ শিমুল খান(র২৮), পিতা- মোঃ আব্দুর রাজ্জাক খান, সাং- হরিনা ফুলিয়া, থানা ও জেলা-বরিশাল, বর্তমান সাং-ঝাউচর, মোঃ নুর উদ্দিন এর বাসার ভাড়াটিয়া, থানা-কামরাঙ্গীচর, ডিএডি-ঢাকা। ২। মোঃ রানা খান(২৯), পিতা- শুক্কুর খান, সাং-রামভদ্রপুর, থানা-ভৈদরগঞ্জ, জেলা-শরীয়তপুর, বর্তমান সাং-আজিমপুর কবরস্থান এলাকা, শফিক সাহেবের ৪তলা বাসার ২য় তলার ভাড়াটিয়া, থানা-লালবাগ, ডিএপি-ঢাকাদ্বয়কে গ্রেফতার করে। এসময় ধৃত আসামীর নিকট হতে ৮.৮ কেজি মাদকদ্রব্য গাঁজা, ০১ টি পিকআপ, মাদক বিক্রয়ের নগদ-৭০০০/- টাকা উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।

ধৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তার দীর্ঘদিন যাবত হবিগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে চোরা চালানের মাধ্যমে গাঁজা দেশের অভ্যন্তরে নিয়ে আসত। তারা বর্ণিত গাঁজার চালানটি নরসিংদী জেলার জনৈক ব্যক্তির নিকট বিক্রয়ের জন্য নিয়ে যাচ্ছে বলে ধৃত আসামীদ্বয় স্বীকার করে।

 

উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য এবং গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

ভৈরবের দূর্জয়মোড় এলাকা থেকে গাঁজা, পিকআপ সহ ০২ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-১৪

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবকালে শহরজুড়ে ব্যাপক হামলা-ভাংচুর ও অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর বিরুদ্ধে হেফাজত নেতাদের মিথ্যাচার ও কটুক্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে আওয়ামী লীগ।
গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্ত্বরে সদর উপজেলা ও পৌর আওয়ামী লীগের যৌথ উদ্যোগে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন চলাকালে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হাজী মুসলিম মিয়া সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম খোকন, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম, পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালায়।

এসময় হামলাকারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, পৌরসভা কার্যালয়, সুর স¤্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, এসিল্যান্ডের কার্যালয়, সুর স¤্রাট আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, জেলা মৎস্য অফিস, সার্কিট হাউজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, মাতৃ সদন, সরকারি গণগ্রন্থাগার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকারের বাসভবন, জেলা শিল্পকলা একাডেমী, বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর দুটি ম্যুরালসহ তিনটি ম্যুরাল, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে উন্নয়ন মেলার প্যান্ডেল, একই চত্বরে থাকা শহর সমাজসেবা প্রকল্পের অফিস, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের অফিস, পৌর মেয়রের বাসভবন, সার্কিট হাউজ, হাইওয়ে থানা ভবন, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্যাম্পাস, হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ কালীবাড়ি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির বাসভবন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসভবন, আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা, সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়সহ সরকারি, বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে।

বক্তারা এসব হামলা-ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এসব ঘটনায় হেফাজতে ইসলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার আমীর মাওলানা সাজিদুর রহমান এবং সাধারন সম্পাদক মুফতি মোবারক উল্লাহ দায়ী।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজত নেতা জুনায়েদ আল হাবিবকে অবাঞ্চিত ঘোষনা

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বৃটিশ কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রীপরিষদ বিভাগের অর্থায়নে পিফরডি প্রকল্পের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পলিসি ফোরামের (ডিপিএফ) ভার্চুয়াল সভা গতকাল সোমবার অনুষ্ঠিত হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ আরজু সভায় সভাপতিত্ব করেন। সভায় সাংবাদিক মোহাম্মদ আরজুকে সভাপতি, ইশা সমাজকল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক তাপসী রায়কে সহ-সভাপতি ও উপলব্দি সমাজকল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মোঃ শরীফ উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে সদস্য পদে রয়েছেন ১৭ জন।

সভায় প্ল্যাটফরম ফর ডায়ালগের (পিফরডি) ডিস্ট্রিক ফ্যাসিলেটর খোদেজা বেগম ও সিলেট বিভাগের আঞ্চলিক কো-অর্ডিনেটর মোঃ আলমগীর মিয়া উপস্থিত ছিলেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পলিসি ফোরাম জেলায় বাল্য বিবাহ প্রতিরোধে কাজ করবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পলিসি ফোরামের কমিটি গঠন

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দুইশত অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছে ‘বন্ধু ফাউন্ডেশন’।
সোমবার বিকেলে প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাদের হাতে ইফতার সামগ্রী তুলে দেয়া হয়। এ উপলক্ষ্যে সংগঠনের সভাপতি মৃধা মাহবুব এলাহী প্রদ্যোৎ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।

সরাইল প্রেসক্লাবের সাহিত্য সম্পাদক জহিরুল ইসলাম রিপনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন- সরাইল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আবু হানিফ, আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডঃ সৈয়দ তানবির হোসেন কাউসার, প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো. জাহাঙ্গীর আলম, সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. আইয়ুব খান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান, কমিউনিষ্ট পার্টির সরাইল উপজেলা শাখার সভাপতি দেবদাস সিংহ রায় ও আওয়ামীলীগ নেতা মো. কায়কোবাদ।

বন্ধু ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে সরাইলে দুইশত পরিবারের মধ্যে ইফতার সামগ্রী বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, বর্তমানে কৃষি খাতকে আধুনিকায়নের কাজ চলছে। ১৭ কোটি মানুষের দেশে খাদ্য যোগানের জন্য কৃষির আধুনিকায়ন খুবই জরুরী। সরকার কৃষক ও কৃষির উন্নয়নের জন্য কৃষিখাতে ভর্তুকি দিচ্ছে। কৃষকদেরকে শতকরা ৫০ ভাগ ভর্তুকি মূল্যে কম্বাইন হারভেষ্টার মেশিন ও বিনামূল্যে সার ও বীজ প্রদানসহ বিভিন্ন ধরনের কৃষি উপকরণ দিচ্ছে।

তিনি সোমবার বেলা ১১টায় ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে উন্নয়ন সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় শতকরা ৫০ ভাগ ভর্তুকি মূল্যে ৫জন কৃষকের মধ্যে ৫টি কম্বাইন হারভেষ্টার মেশিন ও উফশী আউশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রনোদণা কর্মসূচীর আওতায় সদর উপজেলার দুই হাজার কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে ধান বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়ার সভাপতিত্বে সার, বীজ ও কম্বাইন হারভেষ্টার মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরো বলেন, সরকার কৃষকদের ভাগ্যের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছে।

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, গত ২৮ মার্চ হেফাজতের তান্ডবের সময় মাদরাসার ছাত্ররা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, পৌর সভা কার্যালয়, ভূমি অফিসসহ সরকারি, বে-সরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনা ভাংচুর ও আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। সেবাদানকারী সংস্থাগুলো ভাংচুর ও পুড়িয়ে দেয়ায় জনগনের ভোগান্তি বেড়েছে। তিনি ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের নিন্দা জানিয়ে বলেন, হেফাজত যে কাজগুলো করেছে তা ইসলাম সম্মত নয়। এতে তাদের লজ্জা হওয়া উচিত।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ. এইচ মাহবুব আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার মুন্সী তোফায়েল হোসেন।

আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি কৃষকদের হাতে এই সার, বীজ ও কম্বাইন হারভেষ্টার মেশিনের চাবি তুলে দেন। একই অনুষ্ঠানে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি সদর উপজেলার ১৬২জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭লাখ ৮৩ হাজার ৯শত টাকা চেক এবং ১৭জন শিল্পীর প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অনুদানের চেক তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদর উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগন ও উপকারভোগী কৃষকগন উপস্থিত ছিলেন।

১৭ কোটি মানুষের দেশে খাদ্য যোগানের জন্য কৃষির আধুনিকায়ন জরুরী – মোকতাদির এমপি

 

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে নিরীহ অটো চালক দেলোয়ার হোসেন খুনের ঘটনায় গ্রামজুড়ে এখন থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। স্থানীয়রা জানায়, ৭ এপ্রিল দক্ষিন পাড়া গ্রামের কাসেম মিয়ার জমিতে কাজ করতে যায় শাহ আলী ও সিদ্দিক গ্রুপের দু’ দল শ্রমিক। পরে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে শ্রমিকদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। জানতে পেরে রাতেই স্থানীয় চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বিষয়টির মিমাংসা করে দেন। অভিযোগ রয়েছে, ঘটনার রাতেই শাহ আলীর লোকজন ওই গ্রামের দুর্গত গোষ্ঠীর হান্নান মিয়ার ছেলে দেলোয়ার হোসেনকে ছুরিকাঘাত হত্যা করে।

দোলোয়ারের হত্যার ঘটনায় নিহতের মা পাকশিমুল ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে প্রধান আসামী করে ৩৮ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করে। নিহত দেলোয়ারের মা জানান, আমার ছেলে একজন অটোরিক্সা চালক। এসব দ্বন্দ্ব সংঘাতের সাথে সে জড়িত ছিল না। দিনভর অটো চালিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সন্ত্রাসীরা তাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে।

এদিকে মামলা দায়েরের পর গ্রেফতার আতংকে প্রতিপক্ষের পুরুষরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজন চেয়ারম্যান সাইফুলের সমর্থকদের বাড়িঘরে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় তারা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও গৃহপালিত প্রাণিও নিয়ে যায়। সরজমিনে দেখা যায়, পরবর্তী হামলার আশঙ্কায় এখনো অনেকে গ্রাম ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিচ্ছে। গ্রামের আব্দুর রহিমের স্ত্রী মালেকা বেগম জানান, তার ঘরে রক্ষিত সোনাদাসাসহ সবকিছুই লুট হয়ে গেছে। এদিকে ঘটনার পরপরই এলাকার শাস্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

পাকশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের স্ত্রী শামসুন্নাহার ববি জানান, গ্রামে দুটি প্রতিদ্বন্ধী গ্রুপ দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়লে আমার স্বামী সেটি মীমাংসা করে দেন। খুনের ঘটনার সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা নেই। প্রতিপক্ষের লোকজন উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমার স্বামীকে মামলা দিয়ে ফাঁসানো হয়েছে।


এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাকশিমুল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম জানান, আমার গোষ্ঠীর লোক খুন হলৌ উল্টো আমাকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে মিথ্যা মামল দিয়ে হয়রাণি করছে। আমাকে নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে তারা অপপ্রচারসহ হামলা, মামলা করে হয়রাণি করছে। এর পেছনে সাবেক চেয়ারম্যান কাছম আলীর হাত রয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। যারা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে তিনি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান এবং দায়ীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবী জানান।

সরাইল থানার এ,এস,আই জানান, ঘটনার পর থেকে এলাকার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় আমরা এখানে নিয়োজিত আছি। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত সংঘাত এড়াতে আমরা নিয়োজিত থাকব।

সরাইলে দ্বন্দ্বের জেরে যুবক খুন, আতংকে গ্রাম ছাড়ছে প্রতিপক্ষের লোকজন

১২/০৪/২০২১খ্রিঃ

বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি জনাব মোঃ আনোয়ার হোসেন, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) আজ  ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সফর করেছেন। সকাল ১১.০০ ঘটিকায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে  ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে জেলার আইন-শৃঙ্খলা ও সার্বিক বিষয়াধি নিয়ে মত বিনিময় করেন।

বিকেলে তিনি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ত্যাগ করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সফর করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন

ফেসবুকে আমরা..