সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ট্রাক ও মোটর সাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে জেলা ছাত্রলীগ নেতা শরীফ মুহাম্মদ সাঈম-(২৫) নিহত হয়েছেন। এ সময় নয়ন -(২২) নামে অপর মোটর সাইকেল আরোহী আহত হয়।

বুধবার দুপুর পৌনে দুইটার দিকে কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের সদর উপজেলার সুহিলপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শরীফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার খৈয়াসার গ্রামের মোঃ শাহজাহানের ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাহিত্য সম্পাদক ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, বুধবার দুপুরে শরীফ ও তার বন্ধু নয়ন মোটর সাইকেলযোগে জেলা সদর থেকে সরাইল-বিশ্বরোড যাওয়ার পথে মোটর সাইকেলটি সুহিলপুর এলাকায় পৌছে বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগতির একটি ট্রাকের সাথে মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়।

এতে শরীফ ও নয়ন আহত হয়। আশংকাজনক অবস্থায় তাদেরকে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক শরীফকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ব্যাপারে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ হোসেন সরকারের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘাতক ট্রাকটিকে জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করা যায়নি।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা নিহত

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে বোরো ধান সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করা হয়েছে।রোববার সকালে সদর উপজেলার রামরাইলে জেলা প্রশাসন, খাদ্য অধিদপ্তর ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ব্যবস্থাপনায় সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক হায়াত উদ-দৌলা খান।

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সুবির নাথ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মোঃ আবু নাসের। পরে ১১ জন কৃষকের কাছ প্রতিকেজি ২৬ টাকা দরে ( প্রতিমন ১০৪০ টাকা) ১১ মেঃ টন ধান কেনা হয়। ধান সংগ্রহ অভিযান চলবে ৩১ আগষ্ট পর্যন্ত। চলতি বছর কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি ৩হাজার ১৬৫ মেঃ টন ধান কেনা হবে।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কৃষকদের কাছ থেকে ধান সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন

 

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দীর্ঘ সাত বছর পর শিকলমুক্ত হয়েছে প্রতিবন্ধী শিশু বাদল। খবর পেয়ে গত শনিবার দুপুরে পুলিশ পৌর এলাকার মৌলভীপাড়ার বাসায় গিয়ে শিশু বাদলকে শিকল মুক্ত করেন। তবে তার ভবিষ্যত কি হবে সে বিষয়ে কোনো সুরাহা হয় নি।

শিশু বাদলের বয়স ৯ বছর। বাদলের জন্মের তিন মাস পরই চলে যায় তার বাবা মোঃ রিপন মিয়া। বাবা চলে যাওয়ার দুই বছর পর চলে যায় তার মা মোমেনা বেগম। বর্তমানে দাদীর কাছেই থাকে বাদল।

বাদলের দাদী জানান, মানসিক প্রতিবন্ধী বলে বাদলকে দিনের বেলা শেকলে বেঁধে এবং রাতের বেলা মুক্ত করা হয়।

সরেজমিনে গিয়ে পরিবারের লোকজন ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, প্রায় ১০ বছর আগে সরাইল উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের মোঃ রিপন মিয়ার সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিসীমা গ্রামের মোমেনা বেগমের বিয়ে হয়। বিয়ের বছর খানেক পর জন্ম হয় বাদলের। মাত্র তিন মাস বয়সে বাদলকে ফেলে চয়ে যান তার বাবা রিপন মিয়া। দাদী শাহানা ও মা মোমেনা কষ্টে শিষ্টে বাদলকে বড় করে তুলতে থাকেন। বয়স বাড়তে থাকলে বাদলের প্রতিবন্ধকতার বিষয়টিও ধরা পড়ে। বাদল কথা বলতে পারতো না। এছাড়া সে বেশ চঞ্চল।

এ অবস্থায় দুই বছর বয়সি বাদলকে দাদীর কাছে তুলে দিয়ে চলে যায় মা মোমেনা। এর পর থেকে অনেকটা দিশাহীন হয়ে পড়েন দাদী শাহানা বেগম। স্বামী না থাকায় শাহানা বেগমের উপরই বর্তায় নাতি বাদলকে দেখাশোনায়। তিনি অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। এ থেকে যে আয় হয় তা থেকেই বাদলকে নিয়ে চলতেন। তবে বাদলের চিকিৎসা করানোর মতো অর্থ তাঁর কাছে ছিলো না। প্রতিবেশী কেউ কেউ আর্থিকভাবে সাহায্য করে বাদলের চিকিৎসা করিয়েছেন। তবে এতেও বাদলের কোনো উন্নতি হয় নি।

দাদী শাহানা জানান, প্রায় নয় বছর আগে তার ছেলে রিপন কিছু না বলেই নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। এরপর বছর সাতেক আগে তার ছেলে বৌ চলে যায়। শাহানা অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবন-যাপন করতেন। তবে কারো বাড়িতে তার মানসিক প্রতিবন্ধী নাতিকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হতো না। আবার বাড়িতে রেখে গেলেও বাদল এদিক-ওদিক ছুটে যেতো। যে কারণে গত সাত বছর ধরেই বাদলকে তিনি আটক করে বাইরে রাখেন।
প্রথমে তিনি রশি দিয়ে বেধে রাখতেন। বয়স বাড়ার পর আর রশিতে কাজ হয় না। রশি ছিড়ে ফেলতো বাদল। এ অবস্থায় কয়েক বছর ধরে তাকে শিকল দিয়ে তিনি বেধে রাখেন। আর্থিক সামর্থ না থাকায় নাতিকে উন্নত চিকিৎসা করাতে পারছেন না।

প্রতিবেশি সরুফা বেগম বলেন, ‘ছোট বেলাতেই ছেলেটির বাবা আরেকটি বিয়ে করে অন্যত্র চলে যায়। পরে তার মাও চলে যায়। এ অবস্থায় দাদী তাকে দেখাশুনা করে। তিনি গরীব মানুষ। কাজ করে খায়। যে কারণে বাদলকে শিকলে বেধে রেখে যান তিনি।
প্রতিবেশী আল-আমিন চৌধুরী জানান, বাদলের দাদী অনেকটা অসহায়। তাকে অন্যের বাড়ি কাজ করতে হয়। যে কারণে নাতিকে নিয়ে তিনি বেশ বিপাকে আছেন। সরকারি কোনো সাহায্য সহযোগিতা পেলে হয়তো বাদলের কোনো একটা গতি হতো।

পৌর এলাকার উত্তর পৈরতলা গ্রামের মোঃ নিজাম উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি বলেন, ‘শিশুটির দাদীকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। তিনিও অসহায় হয়ে পড়েছেন। শিশুটি মানসিক প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাকে নিয়ে তিনি কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। চিকিৎসার জন্য আমি মাঝে মাঝে কিছু টাকা শিশুর দাদীকে দিয়েছি। একবার আমি নিজে গিয়েও ঢাকা থেকে চিকিৎসা করিয়ে আনি।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ রেজাউল করিম জানান, খবর পেয়ে তিনি ওই বাড়িতে ছুটে যান। প্রথমে তিনি শিশুটিকে শিকলমুক্ত করেন। কেননা, এ বিষয়টি খুবই অমানবিক। এখন সবার সাথে আলোচনা করে ওই শিশুটির চিকিৎসা করানো ও তার দাদীকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা যায় কি-না ভেবে দেখা হচ্ছে।
###

দীর্ঘ ৭ বছর পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিকলমুক্ত হলো প্রতিবন্ধী শিশু বাদল

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন ফার্মেসীতে অভিযান চালানো হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে ঔষধ প্রশাসন এবং বাংলাদেশ কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।

ঔষধ প্রশাসন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার তত্ত্বাবধায়ক বাদল শিকদারের নেতৃত্বে গতকাল শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শহরের কুমারশীল মোড়, হাসপাতাল রোড, জেল রোড ও ছাতিপট্টি এলাকার বিভিন্ন ফার্মেসীতে অভিযান চালানো হয়।

অভিযানকালে হাসপাতাল রোডের মুশকিল আসান ফার্মেসী, খেয়াম ফার্মেসী সহ ২০টি ফার্মেসী থেকে আনুমানিক ২৫ হাজার টাকা মূল্যের মেয়াদোর্ত্তীণ ঔষধ অপসারণ করা হয়। অভিযানকালে বাংলাদেশ কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া শাখার সভাপতি সভাপতি জহিরুল হক এবং সাধারন সম্পাদক আবু কাউছার উপস্থিত ছিলেন।

অভিযানে নেতৃত্ব দেয়া ঔষধ প্রশাসন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তত্ত্বাবধায়ক বাদল শিকদার জানান, প্রথমদিনের অভিযানে ফার্মেসীর মালিকদেরকে সতর্ক করা হয়েছে। অচিরেই বড়ধরনের অভিযান পরিচলনা করা হবে। তাতে জেল জরিমানার বিধান থাকবে।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিভিন্ন ফার্মেসীতে অভিযান ॥ মেয়াদোর্ত্তীন ঔষধ অপসারণ

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তিন শতাধিক অসহায় ও গরীব মানুষের মাঝে ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই ইফতার ও ঈদ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পৌরসভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির।

প্রেসক্লাবের সভাপতি খ. আ. ম রশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ এ.এস.এম শফিকুল্লাহ্, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি এইচ.এম জাকারিয়া ও কোষাধ্যক্ষ এনায়েত হোসেন মিঠু।

অনুষ্ঠানে তিন শতাধিক অসহায় মানুষের হাতে চাল, ডাল, চিনি, তেল, ছোলা, দুধ, ট্যাং ও সেমাই তুলে দেয়া হয়।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিন শতাধিক দরিদ্রের পাশে মজিদ-নাহার ফাউন্ডেশন

সুমন আহম্মেদঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) এর নব-নির্মিত বিপনী বিতানের শো-রুম উদ্বোধন করা হয়েছে। গত শনিবার সকাল ১০টায় শহরের জেল রোডে শো-রুমের উদ্বোধন করেন পুনাক চট্টগ্রাম রেঞ্জের সভানেত্রী শারমিন আক্তার খান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, বিপিএম (বার), পিপিএম, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মোঃ আনোয়ার হোসেন খান, বিপিএম (বার), পিপিএম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার মেয়র নায়ার কবির, পুনাক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভানেত্রী উম্মে সালমা মুন্নি, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ আলমগীর কবিরসহ জেলা পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাগন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পুনাক চট্টগ্রাম রেঞ্জের সভানেত্রী শারমিন আক্তার খান বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) একটি জনকল্যাণমূলক পুলিশের প্রতিষ্ঠান। পুনাক বিপণি বিতানে পুলিশের তৈরী পণ্য সামগ্রী বিক্রয় করা হবে। বিক্রিত পণ্যের লভ্যাংশ গরীবদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও পিছিয়ে পড়া নারীদের উন্নয়ন কাজে ব্যয় করা হবে।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পুনাক বিপনি বিতানের যাত্রা শুরু

সুমন আহম্মেদঃ

চলতি বছর অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় গোল্ডেন জিপিএ-৫ পেয়েছে মোঃ শাহজালাল ওরফে আব্দুল্লাহ। সে ব্রাহ্মণবাড়িয়া অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। শাহজালাল কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় যুগ্ম ভাবে প্রথম স্থান অধিকার করে।

শাহজালাল এই ফলাফলের জন্য তার মা, বাবা ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে। কৃতি শিক্ষার্থী শাহজালাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সুপার ক্রিসেন্ট হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ শাহেদ মিয়া (বাবুল) ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নার্সিং ইন্সটিটিউটের ইন্সট্রাক্টর মোহছেনা বেগমের ছেলে। শাহজালাল সকলের কাছে দোয়া প্রার্থী।

###

এসএসসি পরীক্ষায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে শাহজালাল

সুমন আহম্মেদঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শব্দ দূষনরোধে বিভিন্ন যানবাহন থেকে হাইড্রোলিক হর্ণ অপসারন শুরু হয়েছে। জেলা ট্রাফিকের উদ্যোগে বুধবার সকাল থেকেই শহরের ৪টি পয়েন্টে এই অভিযান শুরু হয়। প্রথম দিনে প্রায় দুই হাজার অটোরিকসা থেকে হাইড্রোলিক হর্ন অপসারণ করা হয়েছে বলে জানান সদর ট্রাফিক পুলিশের পরিদর্শক (টিআই) মোঃ সরওয়ার হোসেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল বুধবার সকাল থেকেই জেলা শহরের কুমারশীল মোড়, কাউতলি বাস স্ট্যান্ড, থানা ব্রিজ ও কোর্ট রোড এলাকায় হাইড্রোলিক হর্ন অপসারণে পৃথক পৃথক অভিযানে নামে ট্রাফিক। অভিযান চলাকালে অটোরিকশার হাইড্রোলিক হর্নের সংযোগ কেটে দেয়া হয়।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে টি.আই সরওয়ার হোসেন বলেন, হাইড্রোলিক হর্ন অপসারণে আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। প্রথমে অটোরিকশার হাইড্রোলিক হর্ন অপসারণ করা হচ্ছে। এরপর ধাপে ধাপে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক ও মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য যানবাহনের হাইড্রোলিক হর্ন অপসারণ করা হবে।
###

শব্দ দূষন রোধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যানবাহনের হাইড্রোলিক হর্ণ অপসারণ শুরু

সুমন আহম্মেদঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এসএসসি পরীক্ষার ফলাফলে শীর্ষে রয়েছে জেলা সদরের অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়। এই বিদ্যালয় থেকে ৩১২জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ৩১১জন পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৪২জন। পাশের হার শতকরা ৯৯ দশমিক ৬৮ ভাগ।

এছাড়া জেলা সদরের গভঃ মডেল গালর্স হাই স্কুল থেকে ২১২জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ২১০ জন পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৮৯জন। পাশের হার শতকরা ৯৯ দশমিক ০৬ ভাগ।

জেলা সদরের সাবেরা সোবহান সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ৩২২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ৩১৮ জন পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৬জন। পাশের হার শতকরা ৯৮ দশমিক ৭৬ ভাগ।

বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ২২৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ২১৭ জন পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৪জন। পাশের হার শতকরা ৯৭ দশমিক ৩১ ভাগ।

আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজ থেকে ১৮৩ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ১৮১ জন পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১৩জন। পাশের হার শতকরা ৯৮ দশমিক ৯১ ভাগ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২২৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ২১৩ জন পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ২০ জন। পাশের হার শতকরা ৯৪ দশমিক ৬৭ ভাগ।

রামকানাই হাই একাডেমী থেকে ৫৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ৫০ জন পাশ করেছে। এই স্কুল থেকে কোন শিক্ষার্থী জিপিএ-৫ পায়নি। পাশের হার শতকরা ৮৯ দশমিক ২৯ ভাগ।

নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২৪০ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ২২০ জন পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ০৯জন। পাশের হার শতকরা ৯১ দশমিক ৬৭ ভাগ।

আনন্দময়ী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে ১৯৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ১৬৯ জন পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ০২ জন। পাশের হার শতকরা ৮৫ দশমিক ৩৫ ভাগ।

সদর উপজেলার চিনাইর আঞ্জুমান আরা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৪৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ গ্রহণ করে ১৩২ জন পাশ করেছে। এর মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ০৪ জন। পাশের হার শতকরা ৯০ দশমিক ৪৩ ভাগ।

বিদ্যালয়ের ফলাফলে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন বলেন, ফলাফলে আমরা সন্তুষ্ট। তিনি বলেন, পরীক্ষা চলাকালে আমাদের একজন ছাত্র অসুস্থ্য হয়ে পরীক্ষা দিতে না পারায় আমরা শতভাগ অর্জন করতে পারিনি। আগামী দিনে ফলাফল যাতে আরো ভালো হয় সেদিকে আমরা খেয়াল রাখব।
###

এস.এস.সি পরীক্ষার ফলাফল ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় শীর্ষে

সুমন আহম্মেদঃ

পবিত্র মাহে রমজানকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শহরের কয়েকটি মার্কেট ও ফুটপাতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়েছে।

সোমবার বিকেলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট পঙ্কজ বড়–য়ার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত শহরের মসজিদ রোডে অভিযান পরিচালনা করেন।

ভ্রাম্যমান আদালতকে দেখেই ফুটপাতের দোকানী তার পঁচা খেজুর ফেলে পালিয়ে যায়। পরে ভ্রাম্যমান আদালত আনুমানিক ৬৫ কেজি খাবার অনুপযোগী পঁচা খেজুর জব্দ করে শহর খালে সেই খেজুর ধ্বংস করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালত আনন্দ বাজার অভিযান চালিয়ে অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খেজুর বিক্রির দায়ে ভাসমান বিক্রেতা শহরতলীর বিবাসারের আবুল হোসেন-(২৫) কে এক হাজার টাকা জরিমানা করেন ও ভবিষ্যতের জন্য তাকে সর্তক করেন। পরে ভ্রাম্যমান আদালত আনন্দ বাজারের জালাল এন্টারপ্রাইজ নামক চালের দোকানে প্লাষ্টিকের বস্তায় চাল পাওয়ার দায়ে দোকানীকে জালাল উদ্দিনকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেন এবং ভবিষ্যতে তাকে পাটের বস্তায় চাল রাখায় নির্দেশ দেন।

ভ্রাম্যমান আদালত চলাকালে সদর উপজেলা স্যানেটারী ইন্সপেক্টর মোঃ শফিকুর রহমান সহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

 

এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়া বলেন, ভোক্তা অধিকার আইনে অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে খেজুর বিক্রির দায়ে এবং পাটের ব্যাগ ব্যবহার না করে প্লাষ্টিকের বস্তায় রেখে চাল বিক্রির দায়ে দুই দোকানীকে তিনহাজার টাকা জরিমানা ও দুটি মামলা দায়ের করা হয়। আনুমানিক ৬৫ কেজি খাবার অনুপযোগী ও পঁচা খেজুর জব্দ করে ধ্বংস করা হয়। তিনি বলেন, রমজান মাসে প্রতিদিনই ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান চলবে।
###

ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ দোকানীকে জরিমানা ॥ ৬৫ কেজি পচা খেজুর জব্দ

ফেসবুকে আমরা..