সুমন অহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক তিনটি ধর্ষনের ঘটনায় তিন ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার ছয়বাড়িয়া, সদর উপজেলার ঘাটুরা এবং আশুগঞ্জ উপজেলার বগইর গ্রামে পৃথক তিনটি ধর্ষনের ঘটনা ঘটে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বন্ধুদের নিয়ে প্রেমিকাকে গনধর্ষণ, কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ এবং দুধ বিক্রি করতে গিয়ে ১১ বছরের এক শিশু ধর্ষনের শিকার হয়। পৃথক তিনটি ঘটনায় পুলিশ তিনজন ধর্ষককে গ্রেপ্তার করেছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় দায়েরকৃত মামলা সূত্রে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইডিয়াল রেন্সিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের এইচ. এস. সি প্রথম বর্ষের ছাত্রী গত ২০ আগস্ট বিকালে তার প্রেমিকের সাথে পৌর এলাকার গোকর্ণঘাট গ্রামে ঘুরাফেরা করে বাড়িতে ফেরার পথে পৈরতলা এলাকার মোখলেছ মিয়া-(৩৫) নামে এক যুবক তার সহযোগীদের নিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীকে তুলে নিয়ে যায়। পরে পৌর এলাকার ছয়বাড়িয়া গ্রামের একটি প্রজেক্ট এলাকায় নিয়ে মোখলেছ ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে। এ ঘটনায় পরদিন ওই ছাত্রীর মা বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।
অপর দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সুহিলপুর ইউনিয়নের ঘাটুরা গ্রামের চতুর্থ শ্রেণীর এক শিশু গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার সময় একই গ্রামের ঠিকাদার কাজী পাভেলের বাড়িতে দুধ বিক্রি করতে গেলে কাজী পাভেল তাকে ধর্ষণ করে। গত শুক্রবার রাতে পুলিশ ধর্ষক কাজী পাভেলকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় ওই শিশুর পিতা বাদি হয়ে কাজী পাভেলের বিরুদ্ধে সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। কাজী পাভেল ঘাটুরা গ্রামের কাজী বাড়ির মরহুম আনু মিয়ার ছেলে। গতকাল শনিবার সকালে পুলিশ কাজী পাভেলকে আদালতে সোপর্দ করে।
অপরদিকে আশুগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত মামলা থেকে জানা গেছে, আশুগঞ্জ উপজেলার মৈশার গ্রামের কালাম মিয়ার ছেলে ইমন বুধবার রাতে তার প্রেমিকাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে উপজেলার বগৈর এলাকার বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করে। পরে তার বন্ধুরাও ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। শুক্রবার সকালে তারা মুমূর্ষু অবস্থায় ওই কিশোরীকে রিকশায় তুলে দেয়। পরে তাকে আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত ইমনকে গ্রেপ্তার করে গতকাল শনিবার সকালে আদালতে প্রেরণ করে।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মাসুদ আলম জানান, এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে শুক্রবার থানায় মামলা দায়ের করেছেন। প্রধান অভিযুক্ত ইমনকে গ্রেপ্তার করে গতকাল শনিবার আদালতে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) ও মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মোঃ সেলিম জানান, কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষনের ঘটনায় অভিযুক্ত উত্তর পৈরতলা গ্রামের মুখলেছকে গত শুক্রবার গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ আতিকুর রহমান জানান, ঘাটুরা গ্রামে শিশু ধর্ষনের ঘটনায় অভিযুক্ত কাজী পাভেলকে গত শুক্রবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। সদর হাসপাতালে ওই শিশুর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়। এ ঘটনায় শিশুর বাবা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।
###