ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কর্মহীন শতাধিক ব্রাহ্মণ পুরোহিতের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে শহরের কেন্দ্রীয় মন্দির শ্রীশ্রী আনন্দময়ী কালিমন্দির প্রাঙ্গণে চেয়ারে বসিয়ে পুরোহিতদের মাঝে এইসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করাহয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান।
প্রধান অতিথির বক্ত্যবে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বলেন, সারা বিশ্ব এখন কঠিন সময় পার করছে। এতে করে জীবন জীবিকা সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে। মন্দিরেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে। যার কারণে পুরোহিতদেরও অসুবিধা হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবদিকেই খোঁজ খবর রাখছেন। তিনি প্রত্যেকের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য সহ সহায়তা নিশ্চিত করেছেন। সমাজের সর্বশ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে সে খাদ্য পৌছে দেয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে আজকে পুরোহিতদের মাঝে এই ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

এসময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, সদর উপজেলার নিবার্হী কর্মকতা পঙ্কজ বড়ুয়া, শ্রীশ্রী আনন্দময়ী কালি মন্দিরের ট্রাষ্টি কমিটির সভাপতি প্রানতোষ চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব দীপক চৌধুরী বাপ্পী, প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা,
ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিষ্ট এ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক উজ্জল চক্রবর্তী,
ব্রাহ্মণ পুরোহিত কল্যাণ সংঘের সভাপতি হরিশংকর চক্রবর্তী ও ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক প্রবীর আচার্য সহ ব্রাহ্মণ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

###

চেয়ারে বসিয়ে পুরোহিতদের ত্রান দিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রশাসন

প্রেস‌ বিজ্ঞ‌প্তিঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের কুট্টাপাড়া এলাকা থেকে ৪৩ কেজি গাঁজা‘সহ মাদক ব্যবসায়ী সজল মিয়া(৩৮)’কে আটক করেছে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প।

১। “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাব যুব সমাজ তথা বাংলাদেশ’কে মাদকের ভয়াল থাবা, সন্ত্রাস, জঙ্গী, ছিনতাই, ডাকাতি, জুয়া, অপহরণ, খুন, ধর্ষণ, অসাধু ডিলার’সহ বিভিন্ন ধরণের অবৈধ কর্মকান্ড থেকে রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশব্যাপী আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

২। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, একটি মাদক ব্যবসায়ী চক্র নিয়মিত মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানা এলাকা হতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাইকারি/খুচরা বিক্রয় করে থাকে। উক্ত তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য উক্ত মাদক ব্যবসায়ী চক্রের উপর র‌্যাবের নিরবিচ্ছিন্ন গোয়েন্দা নজরদারী চালানো হয় এবং তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়। জানা যায় অদ্য ১৮/০৫/২০২০ ইং তারিখ রাতে মাদকদ্রব্য গাঁজার একটি বড় চালান ঢাকার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাবে। এরই প্রেক্ষিতে ভৈরব র‌্যাব ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পরিচালক চন্দন দেবনাথ এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল ১৮/০৫/২০২০ ইং তারিখ অনুমান ২১.৪৫ ঘটিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানাধীন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কুট্টাপাড়া এলাকায় লাল পাম্পের সামনে রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে ১। মোঃ সজল মিয়া (৩৮), পিতা-মৃত আব্দুল গফুর, সাং-লাখাই, থানা-কালোক, জেলা-হবিগঞ্জ, এ/পি-সাং-আশুগঞ্জ পূর্ব বাজার শরীফ মিয়ার বাসা, থানা- আশুগঞ্জ, জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া‘কে আটক করা হয়। আটককৃত আসামীর দখল হইতে (ক) ৪৩ কেজি মাদকদ্রব্য গাঁজা, (খ) মাদক বিক্রির নগদ ৭,৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত আলামতের আনুমানিক মূল্য ১২,৯৭,৬০০/- টাকা। ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।

রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
সিনিয়র সহকারী পরিচালক
কোম্পানী অধিনায়ক
র‌্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্প।
মোবাঃ ০১৭৭৭৭১১৪৩৩।

৪৩ কেজি গাঁজা‘সহ মাদক ব্যবসায়ী সজল মিয়া(৩৮)’কে আটক করেছে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প।


ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ২৪ ঘন্টা কর্মরত সকল চিকিৎসকদের মাসব্যাপী ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস।

ইতোমধ্যে কোম্পানিটির পক্ষে আজ শনিবার থেকে এসব সামগ্রী বিতরণ শুরু করা হয়েছে।

কর্মসূচীর প্রথম দিনে কোম্পানির আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আজহার উদ্দিন ২৫০-শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. শওকত হোসেনের কাছে সামগ্রী তুলে দেন। এছাড়া জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ফায়েজুর রহমান ও জয়নাল আবেদীনের কাছেও সুরক্ষা সামগ্রী তুলে দেয়া হয়।

 

কোম্পানির আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আজহার উদ্দিন জানান, প্রতিদিন আট ঘন্টা করে পালাক্রমে তিনজন চিকিৎসক জরুরি বিভাগে সেবা প্রদানে নিয়োজিত থাকেন। করোনাভাইরাসের এই সংকটকালে মাসব্যাপী এসব চিকিৎসকদের প্রতিদিন ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী দিবে কোম্পানি।

চিকিৎসকদেরকে দেয়া সুরক্ষা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- এন-৯৫ মাস্ক, সার্জিকেল মাস্ক, হাতের গ্লাভস, মপ ক্যাপ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সু কাভার।

সুরক্ষা সামগ্রী হাতে পেয়ে ডা. ফায়েজুর রহমান বলেন, ইমার্জেন্সির ডাক্তাররা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। এসব ডাক্তারদের প্রতিদিন ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান সত্যিকার অর্থেই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এমন মহৎ কাজটি ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে একমাত্র আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালসই করে যাচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. শওকত হোসেন বলেন, এর আগেও আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস কর্তৃপক্ষ হাসপাতালে কর্মরত সকল চিকিৎসকদের পিপিইসহ যাবতীয় নিরাপত্তা সামগ্রী প্রদান করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এবার মাসব্যাপী কর্মসূচীর আওতায় প্রতিদিন সামগ্রী দিয়ে কোম্পানিটি বিশেষ মানবিকতার প্রমান দিয়েছে, যা অন্য কোন বেসরকারি ওষুধ উৎপাদনকারি কোম্পানি করেনি।

উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ শুরুর দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত সকল সাংবাদিক ও চিকিৎসকদেরকে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী ও ওষুধ প্রদান করেছিল আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিকিৎসকদের মাসব্যাপী সুরক্ষা সামগ্রী দিবে আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এক নেতার ছেলের বিরুদ্ধে পিতৃহারা এক তরুণীকে (১৮) জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনায় মামলা করলে এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয়া হয়েছে তরুণীর মাকে। ফলে আতঙ্কে বাসায় তালা দিয়ে অন্যত্র অবস্থান করছেন তিনি। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনা এখন টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা শহরের পূর্ব মেড্ডাস্থা বক্ষব্যাধি হাসপাতাল এলাকার এক বাড়ি থেকে ওই তরুণীকে উঠিয়ে নিয়ে যান মাহী নামে এক যুবক। তার বাবা জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা। অস্ত্র দেখিয়ে ফিল্মি স্টাইলে তরুণীকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় মাহীর সঙ্গে আরও কয়েকজন ছিলেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। মুহূর্তেই চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার খবর পৌঁছে যায় আওয়ামী লীগ নেতাদের কানে। শনিবার তরুণীর বাড়িতে গিয়ে ঘর তালাবদ্ধ দেখা গেছে।

ওই তরুণীর এক আত্মীয় জানান, ঘটনার পরপরই তার বোন পৌরসভার সংরক্ষিত কাউন্সিলর হোসনে আরা বাবুলকে নিয়ে ওই নেতার কাছে যান। তখন বিষয়টি তিনি দেখছেন বলে তাদেরকে আশ্বস্ত করেন। কিন্তু ঘটনার তিনদিন পেরিয়ে গেলেও কোনো সুরাহা হয়নি। বরং মামলা না করতে হুমকি দেয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, আওয়ামী লীগের ওই নেতার এক চাচাতো ভাইয়ের মেয়েকে আমাদের এক আত্মীয়ের কাছে বিয়ে দেয়। সেই সুবাধে নেতার ছেলে এখানে আসা-যাওয়া করতো। তবে তার ভাগনির সঙ্গে ওই ছেলের কোনো সম্পর্ক ছিল কি-না সেটি জানেন না তিনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, একজন সাংবাদিকের কাছ থেকে ঘটনাটি শুনেছি। মেয়েটির পরিবার অথবা এলাকার কারও কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পাইনি।
###

ফিল্মি স্টাইলে তরুণীকে তুলে নিলেন আ.লীগ নেতার ছেলে

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিনজন তরুণ কবির যৌথ কাব্যগ্রন্থ “মেঘের ভেলা”র কাব্য আলোচনা ও কবি সম্মাননা অনুষ্ঠিত হয়েছে।শুক্রবার সন্ধ্যায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার “চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার” এর আয়োজনে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খ্যাতিমান প্রাবন্ধিক ও গবেষক অধ্যাপক মানবর্দ্ধন পাল। সভায় “চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার” এর সহ-সভাপতি বিশিষ্ট রম্য লেখক পরিমল ভৌমিক এর সভাপতিত্বে অন্যতম আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কবি ও কথাসাহিত্যক আমির হোসেন, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আল আমিন শাহিন, কবি ও গল্পকার শৌমিক ছাত্তার। আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কবি ও কথাসাহিত্যক আবুল কাশেম তালুকদার, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কবি আবু আহাম্মদ মৃধা, কবি ও কথাসাহিত্যক রাশিদ উল্লাহ তুষার, কবি ও গীতিকার নাগর হান্নান, কবি ও গীতিকার মোহাম্মদ হানিফ। অনুষ্ঠানে নিজ নিজ অনুভূতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন মেঘের ভেলার লেখক কবি সুমন সাহা, কবি হুমায়ুন কবির সোহেল ও কবি মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ। অনুষ্ঠানে তিন কবি-কে “চেতনায় স্বদেশ গণগ্রন্থাগার” এর পক্ষে সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক তার বক্তব্যে বলেন, যে কোন কাব্য রচনা করা একটি শিল্পকর্ম। পৃথিবীর অরাপর সকল শিল্পকর্ম শেখার জন্য কোন প্রতিষ্ঠান থাকলেও কাব্য রচনা শেখার জন্য কোন প্রতিষ্ঠান নেই। একজন কবি তার অন্তর আত্মা থেকে তাগিদ অনুভব করেন কোন একটি কবিতা লেখার জন্য। এটি সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত একটি জ্ঞান যা তিনি কবিদের দিয়ে থাকেন। তিনি বলেন, যারা সাহিত্য সাধনা করেন তারা আর যাই হোক সমাজের খারাপ মানুষ হিসেবে চিহ্নিত হন না। সভায় অনান্য বক্তাগণ তরুণ বয়সে সাহিত্য সাধনায় আতœনিয়োগ করা ও বই প্রকাশের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিন কবিকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জনান। তারা বলেন, তাদের লেখার মান ভালো-খারাপ যাই হোক না কেন, তাদের সাহিত্য চর্চায় অংশ গ্রহণ করাটাই প্রশংসার দাবিদার। চর্চার মাধ্যমেই নবিন কবিরা একসময় ভালো কবি-সাহিত্যিক হয়ে উঠবে বলে তাঁরা আশা প্রকাশ করেন। উল্লেখ্য “মেঘের ভেলার” তিন লেখক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কবি ও কবিতা বিষয়ক সংগঠন “কবির কলমের” প্রতিষ্ঠাতা। এটি তাদের প্রথম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ।
###

যৌথ কাব্যগ্রন্থ “মেঘের ভেলা”র কাব্য আলোচনা ও কবি সম্মাননা অনুষ্ঠিত

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতিসহ জেলার সাংবাদিকদের নিয়ে চরম আপত্তিকর এবং মানহানিকর বক্তব্য প্রদানের প্রেক্ষিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব বিস্ময় প্রকাশ এবং তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। অবিলম্বে এই বক্তব্য প্রত্যাহারেরও দাবী জানাচ্ছে।
মাওলানা আবদুর রহিম কাশেমী নামে ওই মাদ্রাসার একজন শিক্ষক কোন কারনে এধরনের উদ্বত্যপূর্ন বক্তব্য প্রদান করলেন তা জানানোর প্রেক্ষাপটে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব এই বিবৃতি প্রদান করছে।

সকলেই জানেন ২০শে জানুয়ারী ‘এদারায়ে তালিমিয়া’র ব্যানারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষনার দাবীতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরা। মানববন্ধনের সংবাদ কেন প্রকাশিত হলোনা তা নিয়ে জেলার সিনিয়র সাংবাদিক, দৈনিক ইনকিলাব প্রতিনিধি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি খ আ ম রশিদুল ইসলামকে চার্জ করেন জাকারিয়া নামের একজন মাওলানা। বিষয়টি জেলার শীর্ষ আলেম হিসেব পরিচিত মাওলানা সাজিদুর রহমানকে অবহিত করার পর তিনিও একইভাবে সংবাদ না আসার কৈফিয়ত চান। আমরা স্পষ্ট করে জানাতে চাই জেলায় কর্মরত সাংবাদিকগন তাদের স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে সংবাদ প্রেরন করার দায়িত্বটুকুই পালন করেন। সংবাদ প্রকাশনার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের। সেস্থলে একজন সংবাদকর্মীকে তাদের চার্জ করা কতোটুকু যুক্তিযুক্ত হয়েছে। তারা সেসময় ওই সংবাদকর্মীকে কটাক্ষ করে কথাবার্তা বলেন। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের মধ্যে প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলে পরদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে এক জরুরীসভা আহবান করা হয়। ওইসভায় বিভিন্ন গনমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা মানববন্ধনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের উদ্ধত্যপূর্ন আচরনের শিকার হয়েছেন বলে তাদের বক্তব্যে তুলে ধরেন।

শুধু ওইদিনই নয় বিভিন্ন সময় তাদের হাতে অনেক সাংবাদিক নাজেহাল ও নিগৃহিত হয়েছেন বলেও অভিযোগ তুলে ধরেন। সকলের প্রস্তাব ও সিদ্ধান্তে তাদের কোন কর্মসূচীর সংবাদ প্রকাশ না করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় সভায়। পাশাপাশি পেশাগত কাজে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা বিধানের জন্য সরকারের কাছে দাবি জানানো হয়। সভায় জেলার সিনিয়র সাংবাদিকদের সকলেই উপস্থিত ছিলেন এবং তারা এই সিদ্ধান্তে একমত পোষন করেন। প্রেসক্লাবের এই সিদ্ধান্তের পর ২/১ জন মাদ্রাসা শিক্ষক ফেসবুকে ও অনলাইনে সাংবাদিকদের নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য চালিয়ে যেতে থাকে। তারা কাদিয়ানীদের টাকা খেয়ে সাংবাদিকরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে এধরনের মানহানিকর মন্তব্য করেন। ফেসবুক ও ভুইফোড় অনলাইনে এসব বক্তব্য তুলে ধরে তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনকে বৃদ্ধাঙ্গলি প্রদর্শন করেন। প্রেসক্লাবের সদস্যদের ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে হুমকী দিয়েও নানা বার্তা পাঠান। ওই সব বার্তায় তাদের বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলের আগে বিষয়টি নিস্পত্তি না করলে পরিনতি ভালো হবেনা বলেও হুমকী দেয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলের শেষ দিনে ১লা ফেব্রুয়ারী রাতে মাদ্রাসার একজন শিক্ষক মাওলানা আবদুর রহিম কাশেমী হাদিস-কোরআনের আলোকে বয়ান করা বাদ দিয়ে সাংবাদিকদের নিয়ে বিষোদগারে লিপ্ত হন । আপত্তিকর ভাষায় তিনি সাংবাদিকদের কাফের এবং জামায়াত-শিবিরের এজেন্ট বলে বক্তব্য দেন। শুধু তাই নয় সাংবাদিকরা কাদিয়ানী হয়ে গেছে এবং কাদিয়ানীদের টাকা খেয়েছে বলে মন্তব্য করেন মাওলানা আবদুর রহিম কাসেমী।

তার এই ঘৃন্য বক্তব্যে সাংবাদিক সমাজতো বটেই গোটা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মানুষ বিস্মিত হয়েছেন। তিনি প্রেসক্লাব সভাপতির নাম নিয়ে তাকে ব্যাক্তিগত ভাবে আক্রমন করেন এবং তাকে নিয়ে খুবই আপত্তিকর মন্তব্য করেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব সভাপতি খ আ ম রশিদুল ইসলাম একজন সাংবাদিকই নন,তিনি একজন কোরানে হাফেজ এবং আলেমও। দীর্ঘ সময় তিনি জেলা সদরের কোর্ট মসজিদে খতমে তারাবীহর নামাজ পড়িয়েছেন। জামিয়া ইসলামিয়া-ইউনুছিয়া মাদ্রাসার ছাত্রকালীন তিনি জেলায় কাদিয়ানী বিরোধী আন্দোলনের গোড়ার দিকের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। আজকে যারা এসব নিয়ে মাঠ গরম করেন তাদের মতো এতো বাগাড়ম্বরতার চিন্তা এবং মিডিয়া কাভারেজের চিন্তা মাথায় নিয়ে তিনি এই আন্দোলন করেননি। আমরা খুবই বিস্মিত মাদ্রাসার একজন আলেম কোরাআন-হাদিসের কোন জায়গা থেকে অন্যকে কাফের বলার এই শিক্ষা পেলেন,তিনি এভাবে সাংবাদিকদের কাফের বলতে পারেন কিনা,সেটি তার কাছে আমাদের জিজ্ঞাসা এবং দেশের বর্ষীয়ান আলেমদের কাছে আমাদের প্রশ্ন।

সাংবাদিকরা কাদিয়ানীদের টাকা খেয়ে তাদের সংবাদ বর্জন করেছেন এমন প্রমানও চাইছি আমরা তার কাছে। অবশ্যই তাকে এই প্রমান তুলে ধরতে হবে। তার এই উস্কানিমূলক বক্তব্যের পরদিনই জেলার আশুগঞ্জে কওমী মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকরা তাদের একটি মানববন্ধন থেকে সাংবাদিকদের ওপর লাঠিসোঠা নিয়ে হামলা করে। আমরা মনে করি আবদুর রহিমের এই ধরনের বক্তব্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাগরিক সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির জন্যে হুমকীস্বরূপ।

শুধু তাই নয় তার এধরনের বক্তব্য জেলার ঐতিহ্যবাহি জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার মর্যাদা ও মাহফিলের আয়োজনকে খাটো করেছে নি:সন্দেহে এবং মাহফিলের আয়োজন সাংবাদিকদের বিষোদগারের জন্যেই করা হয়েছে সেটি বলছেন এখন জেলার মানুষ। জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসা জেলার ঐতিহ্যবাহি একটি প্রতিষ্ঠান। যা সর্বজনের শ্রদ্ধার একটি প্রতিষ্ঠান। এখানে অনেক দ্বীনি-আলেম-উলামা রয়েছেন। যারা স্বগুনে সকলের কাছে সম্মানিত। তেমনি এই নামী প্রতিষ্ঠানকে পূজি করে আবদুর রহিম কাসেমীসহ কতিপয় আলেম নিজেদের জাহির করার ও নিজের স্বার্থ সিদ্ধির কাজে লিপ্ত রয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বারবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শান্তিপূর্ন পরিবেশ বিঘ্নিত  করার পেছনে তাদের ভূমিকাকে অনেকাংশে দায়ী করা হয়। আমরা মনে করি তাদের এসব ন্যাক্কারজনক কর্মকান্ড ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে জঙ্গী জেলা হিসেবে পরিচিত করে তুলার সম্ভাবনা সৃষ্টি করছে সারা বিশ্বে। ওয়াজ মাহফিলে মাওলানা আবদুর রহিম কাশেমী প্রেসক্লাব সভাপতির কর্মকান্ড খোজ নেয়ার আহবান জানিয়েছেন প্রশাসনের প্রতি।

আমরাও প্রশাসনের প্রতি আহবান জানাই কারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এই অস্থির-অশান্তির পেছনে,সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশ না হওয়ার ছুতোয় তারা কোন উদ্দেশ্য হাসিল করতে চান,তাদের কর্মকান্ড কি, তারা আখেরাত না দুনিয়ার চিন্তায় ব্যস্ত সেগুলো খুজে দেখা দরকার। আমরা দৃঢ ভাবে বলতে চাই সাংবাদিকদের নখদর্পনে সবকিছুই। কারা কি করছেন সবই জানা আছে আমাদের। বিন্দু থেকে সিন্দু হওয়ার ইতিহাস গড়েছেন কারা সেসবও আমরা জানি। সুতরাং ভেবে চিন্তে সাংবাদিকদের সম্পর্কে কথা বলুন । আমরা অবিলম্বে মাওলানা আবদুর রহিম কাশেমীকে তার আপত্তিকর বক্তব্য প্রত্যাহার এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিঘ্ন সৃষ্টি করার অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকার আহবান জানাচ্ছি। ঐতিহ্যবাহি জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদ্রাসার নাম ভাঙ্গিয়ে প্রতিনিয়ত সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী আলেমদের চিহ্নিত করে তাদের অপসারন করে এই মাদ্রাসার সুনাম অক্ষুন্ন রাখার দাবী জানাচ্ছি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের প্রতি।
###

মাওলানা আবদুর রহিম কাসেমীর উস্কানিমূলক ও মানহানিকর বক্তব্যের জবাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী স্যার জগদীশ চন্দ্র বসুর সম্মানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রী কলেজের একটি ভবনের নাম করন করা হয়েছে।
গত শনিবার দুপুরে পৌর ডিগ্রী কলেজ পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি, স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী কলেজের চারতলা বিশিষ্ট একাডেমিক ভবনের “ আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু ভবন” নামে নামফলক উম্মোচন করেন।
একই সাথে তিনি কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবীর স্মরণে কলেজের দ্বিতল ভবনের নাম “বীর মুক্তিযোদ্ধা হুমায়ুন কবির ভবন” নামে উদ্বোধন করেন।

পরে কলেজর হুমায়ূন কবির ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় কলেজের অধ্যক্ষ হরিলাল চন্দ্র দেবনাথের সভাপতিত্বে ও প্রভাষক মোঃ মনির হোসেনের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবীর, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, শিক্ষক পরিষদ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন।
কলেজের অধ্যক্ষ হরিলাল চন্দ্র দেবনাথ জানান, নতুন প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের সামনে সেরা বাঙালি বিজ্ঞানী আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসুকে উপস্থাপন, তাদেরকে বিজ্ঞানমনস্ক করে গড়ে তোলার লক্ষেই কলেজ পরিচালনা পরিষদ সভাপতি উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি মহোদয় কলেজের প্রধান একাডেমিক ভবনটির নামকরণ করেছেন আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু ভবন নামে।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রী কলেজে বিজ্ঞানী জগদীশ চন্দ্র বসু ও অ্যাডভোকেট হুমায়ূন কবিরের নামে ভবনের নামকরণ

সুুমন আহম্মেদঃ
আর নয় ঢাকা, এখন থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হবে হৃদরোগের চিকিৎসা। হৃদরোগের সবধরনের চিকিৎসাসেবা দিতে জেলা শহরের পশ্চিম মেড্ডায় নির্মিত হয়েছে ৫০ শয্যার ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল।

শনিবার (০১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টায় বহুল কাঙ্ক্ষিত এ হাসপাতালের উদ্বোধন করেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য র.আ.ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের সভাপতি ডা. বজলুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) হায়াৎ উদ-দৌলা খান, পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ আনিসুর রহমান খান, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মো. শাহ আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা মেয়র নায়ার কবির ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার।

প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পিপিপির (পাবলিক-প্রাইভেট-পার্টনারশিপ প্রজেক্ট) মাধ্যমে নির্মিত ৫০ শয্যার এ হাসপাতালে ১০টি আইসিউ বেড, ১০টি সিসিইউ বেড ও পাঁচটি পিসিইউ বেড রয়েছে। প্রতিদিনি সকাল ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা এবং বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা রোগী দেখবেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হবে এখন থেকে হৃদরোগের চিকিৎসা

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা এবং সদর উপজেলা মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়েছে। সোমবার বেলা ১১টায় জেলা শহরের পুরাতন কাচারিতে এর ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন বোর্ড অব গভর্নর র.আ.ম.উবায়দুল মোকতাদীর চৌধুরী।

ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন শেষে ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন এর সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, গণপূর্তের নির্বাহী পকৌশলী ইমতিয়াজ আহমেদ, জেলা জামে মসজিদের খতিব মুফতি বেলায়েতুল্লাহ নূর প্রমুখ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন, গণপূর্ত বিভাগ ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে সারাদেশে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় ৫৬০টি মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মধ্যে এই মডেল মসজিদ নির্মিত হচ্ছে। ৪তলা বিশিষ্ট এই মডেল মসজিদ এবং ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে থাকবে ইমাম প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ও গণ শিক্ষা কেন্দ্র, ইসলামিক লাইব্রেরি, প্রতিবন্ধী ইবাদতখানা, অটিজম কর্ণার, রান্নাঘর ও খাবার ঘর, মৃতদেহ গোসল করার কক্ষ, কফিন লোডিং ও আন লোডিংয়ের জায়গা, লিফট, বুক সেইল সেন্টার, ইসলামিক গবেষণা কেন্দ্র, খোলা কোর্ট ইয়ার্ড, পুরুষের পাশাপাশি নারীদের নামাজ কক্ষ, ইসলামিক লাইব্রেরি, সভা কক্ষ, প্রশিক্ষণ কক্ষ, ভিআইপি স্যুট, অতিথি কক্ষ ও হিফজখানা প্রার্থনা কক্ষ, ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার সহ আরো অনেক কিছু। এর বাস্তবায়ন করছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও গণপূর্ত অধিদপ্তর।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গভ. মডেল গার্লস হাই স্কুলের ১৯৩৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের পুনর্মিলনী গতকাল শুক্রবার বিদ্যালয় চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে। র‌্যালি, আলোচনা সভা, স্মৃতিচারণ, ফানুস উড়ানো, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক প্রফেসর ফাহিমা খাতুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, পৌর মেয়র নায়ার কবির, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আল-মামুন সরকার, ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাঈমা জান্নাত, অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন প্রমুখ। পুনর্মিলনী উপলক্ষে একটি থিম সং উদ্বোধন করা হয়।

২০০৯ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী ইয়াসমিন, দিপ্তীসহ আরো কয়েকজন মিলে আয়োজনের উদ্যোগ নেন। আয়োজনে ১৯৩৬ সাল থেকে ২০১৯ সালের হাজারো শিক্ষার্থী অংশ নেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গভ. মডেল গার্লস হাই স্কুলে হাজারো শিক্ষার্থী মিললো প্রাণের মেলায়

ফেসবুকে আমরা..