স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেছেন, বর্তমানে কৃষি খাতকে আধুনিকায়নের কাজ চলছে। ১৭ কোটি মানুষের দেশে খাদ্য যোগানের জন্য কৃষির আধুনিকায়ন খুবই জরুরী। সরকার কৃষক ও কৃষির উন্নয়নের জন্য কৃষিখাতে ভর্তুকি দিচ্ছে। কৃষকদেরকে শতকরা ৫০ ভাগ ভর্তুকি মূল্যে কম্বাইন হারভেষ্টার মেশিন ও বিনামূল্যে সার ও বীজ প্রদানসহ বিভিন্ন ধরনের কৃষি উপকরণ দিচ্ছে।

তিনি সোমবার বেলা ১১টায় ২০২০-২০২১ অর্থ বছরে উন্নয়ন সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় শতকরা ৫০ ভাগ ভর্তুকি মূল্যে ৫জন কৃষকের মধ্যে ৫টি কম্বাইন হারভেষ্টার মেশিন ও উফশী আউশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রনোদণা কর্মসূচীর আওতায় সদর উপজেলার দুই হাজার কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে ধান বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়ার সভাপতিত্বে সার, বীজ ও কম্বাইন হারভেষ্টার মেশিন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরো বলেন, সরকার কৃষকদের ভাগ্যের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করছে।

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, গত ২৮ মার্চ হেফাজতের তান্ডবের সময় মাদরাসার ছাত্ররা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, পৌর সভা কার্যালয়, ভূমি অফিসসহ সরকারি, বে-সরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনা ভাংচুর ও আগুনে পুড়িয়ে দিয়েছে। সেবাদানকারী সংস্থাগুলো ভাংচুর ও পুড়িয়ে দেয়ায় জনগনের ভোগান্তি বেড়েছে। তিনি ধ্বংসাত্মক কর্মকান্ডের নিন্দা জানিয়ে বলেন, হেফাজত যে কাজগুলো করেছে তা ইসলাম সম্মত নয়। এতে তাদের লজ্জা হওয়া উচিত।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীমা আক্তার ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ. এইচ মাহবুব আলম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার মুন্সী তোফায়েল হোসেন।

আলোচনা সভা শেষে প্রধান অতিথি কৃষকদের হাতে এই সার, বীজ ও কম্বাইন হারভেষ্টার মেশিনের চাবি তুলে দেন। একই অনুষ্ঠানে র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি সদর উপজেলার ১৬২জন প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীর মধ্যে ৭লাখ ৮৩ হাজার ৯শত টাকা চেক এবং ১৭জন শিল্পীর প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অনুদানের চেক তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সদর উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীগন ও উপকারভোগী কৃষকগন উপস্থিত ছিলেন।

১৭ কোটি মানুষের দেশে খাদ্য যোগানের জন্য কৃষির আধুনিকায়ন জরুরী – মোকতাদির এমপি

১২/০৪/২০২১খ্রিঃ

বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি জনাব মোঃ আনোয়ার হোসেন, বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) আজ  ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সফর করেছেন। সকাল ১১.০০ ঘটিকায় পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে  ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নিয়ে জেলার আইন-শৃঙ্খলা ও সার্বিক বিষয়াধি নিয়ে মত বিনিময় করেন।

বিকেলে তিনি চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ত্যাগ করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সফর করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ আনোয়ার হোসেন

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতি তান্ডবের সময় মাদরাসার ছাত্রদের ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের কারনে জেলা পরিষদের প্রায় পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল আলম। গতকাল রোববার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই দাবি করেন।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল আলম বলেন, জেলা পরিষদ থেকে জেলাজুড়ে রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ-কালভার্ট, স্কুল-কলেজ, মসজিদ, মাদরাসা, মন্দির নির্মান ও সংস্কারসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক ও জনকল্যানমূলক কর্মকান্ড সম্পাদক করা হয়। গত বছরও জেলার ৩২১টি মসজিদ ও মাদরাসায় জেলা পরিষদ থেকে অনুদান দেয়া হয়েছে। শফিকুল আলম বলেন, গত ২৬ মার্চ  বিকেলে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ চলাকালে চার থেকে পাঁচশ মাদরাসার ছাত্র পৌর এলাকার কাউতলীতে অবস্থিত জেলা পরিষদের ডাক বাংলো ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় ডাকবাংলোতে অবস্থানরত তিনজন নির্বাহী মাজিষ্ট্রেট এবং দারোয়ান কাম কেয়ারটেকার কোন রকমে আত্মরক্ষা করে এবং তিনতলার উন্নয়নকাজে নিয়োজিত একজন নির্মান শ্রমিক ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে গুরুত্বর আহত হয়। বর্তমানে সে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

তিনি বলেন, হেফাজতের নেতা-কর্মীদের দেয়া আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসকে ফোন করা হলেও তাঁরা কর্ণপাত করেন নি। তিনি বলেন, ভাংচুর ও অগ্নিকান্ডে ডাকবাংলোর প্রায় ৪৯ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ওই ঘটনায় ৪ মে সদর থানার একটি মামলা দায়ের করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে শফিকুল আলম আরো বলেন, ২৮ মার্চ হেফাজতের হরতাল চলাকালে  মাদরাসার ছাত্র ও দুষ্কৃতিকারীরা জেলা পরিষদ কার্যালয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও তান্ডব চালায়। এ সময় মাদরাসার ছাত্ররা জেলা পরিষদ ভবনের নীচতলায় অগ্নিসংযোগ করে গ্যারেজে রাখা একটি গাড়ি আগুনে পুড়িয়ে দেয়। পরে হামলারকারীরা দোতলার বিভিন্ন কক্ষের দরজা ভেঙ্গে প্রবেশ করে কম্পিউটার, স্ক্যানার, ল্যাপটপ, সিসি ক্যামেরা, জেনারেটর, ১৫টি এসি, ৫টি কম্পিউটার টেবিল, ১২টি কম্পিউটার চেয়ার, ১২টি স্টীলের আলমারী, ৩টি কাঠের আলমারী, ১৫টি দরজাসহ বিভিন্ন ধরনের আসবাবপত্র, সিসি ক্যামেরা, ফটোকপি মেশিন, স্টীলের ফাইল কেবিনেটসহ বিভিন্ন মালামাল ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে। তাদের তান্ডবে সব মিলিয়ে প্রায় ৫ কোটি টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়। এসব রক্ষণাবেক্ষণ কাজে  প্রায় দুই কোটি টাকা লাগবে।

তিনি বলেন, শুধু জেলা পরিষদ কার্যালয়ই নয়, ওইদিন মাদরাসার ছাত্ররা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর দুটি ম্যুরালসহ চারটি ম্যুরাল, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে থাকা দু’দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলার প্যান্ডেল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা কার্যালয়, পৌর মেয়রের বাসভবন,  আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, জেলা মৎস্য অফিস, সার্কিট হাউজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, এসিল্যান্ডের কার্যালয়সহ ৪৬টি সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে। তিনি তান্ডবের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে অপরাধীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম, জেলা পরিষদের সচিব মেহের নিগার, সহকারি প্রকৌশলী আবদুল হামিদ, জেলা পরিষদের সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন।

জেলা পরিষদের ক্ষতি পাঁচ কোটি টাকা, দাবি চেয়ারম্যানের

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবের সময় ভাংচুর ও আগুনে পুড়িয়ে দেয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাসহ সরকারি, বে-সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) দীপক চক্রবর্তীর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

গতকাল শনিবার দুপুরে প্রতিনিধি দলটি পুড়িয়ে দেয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব ভবন, দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন,  ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন, সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর, জেলা পরিষদ কার্যালয়, জেলা শিল্পকলা একাডেমী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয় সহ  তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ  বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন।


পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোঃ তানভীর আজম সিদ্দিকী, জেলা পরিষদ শাখার উপ-সচিব মোঃ ফারুক হোসেন, পৌরশাখার উপ-সচিব শায়লা ফারজানা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পঙ্কজ বড়–য়া, জেলা ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা অঞ্জন দাস, সহকারি কমিশনার (ভূমি) এ.বি.এম মশিউজ্জামান প্রমুখ।

পরিদর্শনকালে অতিরিক্ত সচিব দীপক চক্রবর্তী উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ স্থাপনাগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করতে মাননীয় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম আমাকে পাঠিয়েছেন।  আজ (শনিবার) আমরা পরির্দশনে এসেছি। এর আগে জেলা প্রশাসক, পৌরসভা ও জেলা পরিষদ থেকে পাঠানো রিপোর্ট আমরা পর্যালোচনা করেছি। আজ সরেজমিনে দেখে যাচ্ছি। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেব। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সহযোগিতার মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব পৌরবাসীকে পূর্নমাত্রায় সেবা দেয়া যায় এই ব্যবস্থা করা হবে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দীপক চক্রবর্তী হেফাজতের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পরিদর্শন

গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ ২০২১খ্রিঃ তারিখে হেফাজতে ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারকীর ধ্বংসযজ্ঞ চালায়। গত ২৭ শে মার্চের হেফাজতে ইসলাম কর্তৃক আহুত বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নন্দনপুর এলাকায় বিক্ষোভকারীদের
সাথে পুলিশের ব্যাপক সহিংসতা হয়। এ সময় মৌলভীবাজার জেলা থেকে একজন আসামীসহ পুলিশ স্কর্ট উক্ত সংঘাতময় এলাকায় পৌছলে বিক্ষোভকারীরা উক্ত আসামী স্কর্ট পার্টিকে আক্রমণ করে। তারা পুলিশ সদস্যদের ব্যাপক মারধর পূর্বক অস্ত্র ও গুলি ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা চালায়। এ সময় মৌলভীবাজার জেলার কনস্টেবল তুহিন হাসানকে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে তার নিকট থাকা ২০ রাউন্ড চায়না রাইফেলের গুলি ছিনিয়ে নেয়।

এ ঘটনায় মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন (ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার মামলা নং-৪৬, তারিখ-৩০/০৩/২০২১খ্রিঃ,
ধারা-১৪৩/৩৪১/১৮৬/৩৫৩/৩৩২/৩৩৩/৩০৭/২২৫-খ/৩৭৯/৩৪ পেনাল কোড)। এ ঘটনায়
প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল দিবাগত রাতে ০২ হেফাজত কর্মী ১। আরব আলী (৪০), পিতা- মৃত ছমির আলী, মাতা-হুয়ারা বেগম, সাং-দক্ষিণ কেন্দুবাড়ি, ৩নং ওয়ার্ড সুহিলপুর, থানা ও জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ২। মোঃ মনির মিয়া (৪২), পিতা-মৃত রমিজ মিয়া, মাতা-মুক্তা বেগম, সাং-সুহিলপুর হিন্দুপাড়া (জয়নাল আবেদীন এর বাড়ির
ভাড়াটিয়া), থানা ও জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়াদ্বয়কে সুহিলপুর বাজার হতে গ্রেফতার করে। এসময় তাদের দেয়া তথ্যমতে সুহিলপুর বাজারের পিয়াসা মিষ্টি ভান্ডার দোকানের টিনের চালা থেকে উক্ত ছিনিয়ে নেয়া ২০ রাউন্ড চায়না রাইফেলের গুলি উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থেকে হেফাজতের তান্ডবে জড়িত আরো দুইজন ১। জাকির হোসেন (৪৫), পিতা-মৃত মনু মিয়া, সাং-কুট্টাপাড়া, থানা-সরাইল, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ২। মোঃ সুমন (৩৪), পিতা- মোঃ চান মিয়া, সাং-ভাদুঘর, থানা ও জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়াদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশকে মারধর ও গুলি ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ০২ জন হেফাজত কর্মীসহ ০৪ জন আটক, ছিনিয়ে নেয়া ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদ্যপ্রয়াত বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ ও বিশিষ্ট ব্যাংকার খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ স্মরণে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ভাসানী চর্চা কেন্দ্র, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি পাঠাগারে এই শোক সভা অনুষ্ঠিত হয় ।

ভাসানী চর্চা কেন্দ্রের সংগঠক সাংবাদিক আবদুন নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোকসভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হোসাইন আহমেদ তফছির, জেলা জাসদ সভাপতি অ্যাডভোকেট আখতার হোসেন সাঈদ, জেলা জেএসডির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈমুর রেজা মোঃ শাহজাদ, জেলা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রদ্যোৎ নাগ, তেল-গ্যাস- খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির জেলা শাখার সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মোঃ নাসির,বাংলাদেশ কৃষক ও খেতমজুর সমিতির জেলা আহবায়ক হাজী আবদুস সোবহান মাখন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, জেলা যুব জোটের আহবায়ক সিদ্দিক আহমেদ নাসির, জেলা ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক সানিউর রহমান সানি প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভাসানী চর্চা কেন্দ্রের সংগঠক আবুল খায়ের ।
শোক সভায় বক্তারা সৈয়দ আবুল মকসুদের কর্মময় জীবনের আলোচনা করতে দিয়ে বলেন, সৈয়দ আবুল মকসুদ সারা জীবন তার লেখনির মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সমতাভিত্তিক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি তার গবেষণা কর্মের মাঝেই বেঁচে থাকবেন।

ব্যাংকার ইব্রাহিম খালেদ সম্পর্কে বক্তারা বলেন, খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের বিভিন্ন অনিয়ম অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে আজীবন সোচ্চার ছিলেন। ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য উচ্চকন্ঠ এ মানুষটিকে বাংলাদেশের মানুষ কোনদিনই ভুলবেনা। সভার শুরুতেই তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয় ।
###

সৈয়দ আবুল মকসুদ ও খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ স্মরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শোকসভা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৩ নারী শোনালের তাদের উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প। শত বাঁধা-বিপত্তি অতিক্রম করে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লড়াইয়ের গল্প। তাদের কেউ কেউ শিক্ষার্থী, কেউ আবার গৃহিনী। সংসার ও পড়াশুনার সামলিয়ে তারা নিজেদেরকে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলেছেন।

আর্ন্তজাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সোমবার বিকেলে তরুন উদ্যোক্তা শাকিলা জাফর জেসির উদ্যোগে “ বিজনেস গসিপ” নামের একটি অনলাইল গ্রুপের উদ্যোগে স্থানীয় স্মৃতি চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে বসে নারী উদ্যোক্তাদের মিলন মেলা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির।

অনুষ্ঠানে সিজা, পিউ, পিয়া, লিমা, বুশরা, সাবা, নুরুন, মৌসুমি, নিশাত, অথৈ, কাজল, তাহিয়া, শান্তা, অন্তরা, হ্যাপি, অনুরাধাসহ ৩৩ নারী উদ্যোক্তা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে তারা একে অপরের সাথে পরিচিত হন ও তাদের কাজ নিয়ে কথা বলেন ও কিভাবে সকল বাঁধা বিপত্তি অতিক্রম করে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য লড়াই করেছেন সেই গল্প শোনান।
অনুষ্ঠানে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় মিসেস নায়ার কবিরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা শাকিলা জাফর জেসি বলেন, নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য আয়োজনটি ছিলো শিক্ষণীয়। এক সাথে খাওয়া-দাওয়া এবং উদ্যোক্তা হওয়ার গল্পে মুখরিত ছিল পুরো অনুষ্ঠান।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারীদের উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আর্ন্তজাতিক নারী দিবস উপলক্ষে গতকাল সোমবার সকালে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) এর উদ্যোগে শহরের ট্যাংকেরপাড় পুনাক শো-রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এর স্ত্রী মাহবুবা সুলতানা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) এর স্ত্রী ইসরাত জাহান।
বক্তব্য রাখেন উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের ইনচার্জ কামরুজ্জামান লাইলী।

সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান সমাজে নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সমাজে বিভিন্ন ভাবে অত্যাচারিত লাঞ্চিত, বঞ্চিত এমনকি অনেক জায়গায় যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বঞ্চিত হচ্ছে নারীরা।

বক্তারা বলেন, নারীরা আজ অনেক এগিয়ে। গভীর সমুদ্রে মুক্তা সংগ্রহ, হিমালয়ের চূড়ায় অভিযান, মহাকাশ পাড়ি, যুদ্ধক্ষেত্র, শিক্ষা ও বিজ্ঞান সব জায়গায় নারীরা পারদর্শী। আমরা চাই নারী অত্যাচার, ধর্ষণ, বঞ্চনা ও লাঞ্ছনা চিরকালের মতো বিলুপ্ত হোক। নারীরা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সকল ক্ষেত্রে নিজ মর্যাদা ও সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকুক।
###

অত্যাচার, ধর্ষণ, বঞ্চনা ও লাঞ্ছনা চিরকালের মতো বিলুপ্ত হোক, নারী দিবসে বক্তরা

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ৭৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে গতকাল শনিবার দুপুরে জেলা কমিউনিস্ট পার্টির উদ্যোগে স্থানীয় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি শাহরিয়ার মোঃ ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা অ্যাডভোকেট মন্টু ঘোষ ।
বক্তব্য রাখে জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোঃ জামাল, মোঃ ইসহাক, আকতার হোসেন, সাহেদ মিয়া প্রমুখ।

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক সাংবাদিক আবদুন নূর, জেলা জেএসডির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈমুর রেজা মোঃ শাহজাদ। আলোচনা সভার আগে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সিপিবির এক লাল পতাকা র‌্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এবং উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংসদ গণসঙ্গীত পরিবেশন করে।
###

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ৭৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
দলীয় প্রতীকমুক্ত স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ জাসদের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন চলাকালে জেলা জাসদের সভাপতি হুমায়ূন কবিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জিয়া কারদার নিয়নের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হোসাইন আহমেদ তফছির । সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন জেলা জেএসডির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈমুর রেজা মোঃ শাহজাদ, জেলা বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রদ্যোৎ নাগ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক সাংবাদিক আবদুন নূর, জেলা ঐক্য ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক আবু কালাম নাঈম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আবুল বাসার ভূইয়া রতন, জালাল উদ্দিন জালু, প্রভাষক জাফর আহমেদ আকছির, সিদ্দিক আহমেদ নাসির প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা ইউনিয়ন পরিষদসহ সকল স্থানীয় সরকারে দলীয় প্রতীক মুক্ত নির্বাচনের দাবি জানান। তারা বলেন, তা নাহলে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অংশগ্রহন মূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে না। বক্তারা বলেন, দলীয় প্রতীক প্রথা চালু হওয়ার কারণে মানুষ নির্বাচনে অংশগ্রহনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। দলকে ম্যানেজ করে মনোনয়ন নিতে পারলে পরবর্তীতে জনগনের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা থাকেনা।
####

দলীয় প্রতীকমুক্ত স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে জাসদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

ফেসবুকে আমরা..