২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৬ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। তন্মধ্যে গত ২৮ শে মার্চ হেফাজতের ডাকা হরতাল চলাকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানাধীন টিএ রোড এলাকায় তান্ডবে জড়িত সাদেকপুর ইউনিয়ন ছাত্র ওলামা ঐক্য পরিষদের সেক্রেটারী, ক্বারী মোঃ মোজাম্মেল হক এবং আশুগঞ্জ থানাধীন ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ ও টায়ারে আগুন দিয়ে পিকেটিং এ জড়িত আশুগঞ্জ উপজেলার হেফাজত ইসলাম ও  ইমাম পরিষদ সেক্রেটারী, মাওলানা মুফতি ওবায়দুল্লাহ’কে গ্রেফতার করা হয়েছে। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩৭৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেস রিলিস

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৬ জন গ্রেফতার


ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডব চলাকালে শহরজুড়ে ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিকান্ডের ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের জেলা শাখার সহকারি প্রচার সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়ার শিক্ষক মুফতি জাকারিয়া খান-(৪৩)সহ আরো ১০জনকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

গত রোববার রাতে জেলা শহরের বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই রাতে পুলিশ বিভিন্ন এলাকা থেকে আরো ৯জনকে গ্রেপ্তার করে। এনিয়ে জেলায় হেফাজতের তান্ডবের ঘটনায় ৩৬৯জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) মোঃ রইছ উদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার রাতে মুফতি জাকারিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি গত ২৬ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত চালানো তান্ডবের ঘটনায় সম্পৃক্ত ছিলেন।
এদিকে গতকাল সোমবার জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা থেকে পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত মুফতি জাকারিয়া খান জানান, গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত হেফাজতের কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশে সরকার উৎখাতের সূদুরপ্রসারি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসাসহ আশপাশের বিভিন্ন মাদরাসার শিক্ষক-ছাত্রদের নিয়ে ব্যাপক তান্ডবলীলা চালায়। মাদরাসার সিনিয়র শিক্ষকদের নির্দেশে মাদরাসার ছাত্র-শিক্ষকগন জেলার বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ভাংচুরও অগ্নিসংযোগসহ ব্যাপক তান্ডব চালায়।

প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, তান্ডবের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন থানায় এ পর্যন্ত  ৫৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯টি, আশুগঞ্জ থানায় ৪টি, সরাইল থানায় ২টি এবং আখাউড়া রেলওয়ে থানায় ১টি মামলা দায়ের করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

হেফাজতের প্রচার সম্পাদকসহ গ্রেপ্তার-১০

২৫/০৪/২০২১ খ্রিঃ তারিখ রাত অনুমান ০১.৩০ ঘটিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সদর মডেল থানাধীন উত্তর শেরপুর এলাকা হতে  তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, ১। মোঃ বিল্লাল মিয়া (৩৮), পিতা-মোঃ ইব্রাহীম মিয়া, সাং-উত্তর শেরপুর, থানা ও জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ২। মোঃ ফাহিম (২৫), পিতা-মৃত সঞ্জব আলী, সাং-বামই কাটিয়ারা, থানা-নাকাই, জেলা-হবিগঞ্জ, বর্তমান ঠিকানা-উত্তর শেরপুর, মাহবুব মিয়ার বাড়ীর ভাড়াটিয়া, থানা ও জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

র‌্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৬ মার্চ মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তিতে দেশব্যাপী অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় দুস্কৃতিকারীরা অরাজকতা সৃষ্টি করে ধ্বংসযজ্ঞ এবং নাশকতা চালায়। তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাংচুরের মাধ্যমে জাতির পিতাসহ সমগ্র বাঙালি জাতিকে অবমূল্যায়ন করে। হামলাকারীর ছবি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

হেফাজতের তান্ডবের ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই নাশকতা সৃষ্টিকারীদের আটক করেছে র‌্যাব-১৪

গত ২৮ শে মার্চ হেফাজতের ডাকা হরতাল চলাকালে স্থানীয় মসজিদের মাইকে গুজব ছড়িয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘাটুরা থেকে নন্দনপুর এলাকায় ব্যাপক ভাংচুরসহ তান্ডব চালানোর অভিযোগে ঘাটুরা বঙ্গবন্ধু হাই স্কুল জামে মসজিদের পেশ ইমাম হেফাজত নেতা মাওলানা দেলোয়ার হোসেন @ বেলালি ও ঘাটুরা হরিনাদি জামে মসজিদের পেশ ইমাম হেফাজত নেতা মাওলানা ইকবাল হোসেন’কে গ্রেফতার করা হয়।

এছাড়াও গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে
মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় ০৬ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের
প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩৫৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেজ রিলিজ

মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে তান্ডব চালানো দুই ইমামসহ হেফাজতের ০৬ নেতাকর্মী গ্রেফতার

গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ০৭ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩৫৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৭ জন গ্রেফতার


বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ ইকবাল হোসেন, পিপিএম আজ ২৩/০৪/২০২১খ্রিঃ সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ লাইন্স ড্রিল শেডে জেলা পুলিশে কর্মরত অফিসার ও ফোর্সদের বিশেষ কল্যান সভা ও মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।

উক্ত কল্যান সভা ও মত বিনিময় সভায় ডিআইজি মোঃ ইকবাল হোসেন জেলা পুলিশে কর্মরত সকল অফিসার ও
ফোর্সদের মনোবল বৃদ্ধিসহ যার যার স্ব স্ব দায়িত্ব স্বতস্ফুর্তভাবে পালনের জন্য দিক নিদের্শনা প্রদান করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান সহ জেলার উদ্ধর্তন
কর্মকর্তাবৃন্দ।

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সফর করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ ইকবাল হোসেন

গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১০ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র
ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়।

উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা
৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩৪৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেজ রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ১০ জন গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে চলমান লকডাউনের কারনে কর্মহীন হয়ে পড়া একশত পরিবারের মধ্যে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। আজ দুপুরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় ফারুকী পার্কে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খাঁন এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।

খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে প্রতি পরিবারের জন্য ১০ কেজি চাল, ১ কেজি তেল, ডালসহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী।
খাদ্য বিতরণকালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়া, সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এবিএম মশিউজ্জামান, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামিসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।

খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খাঁন বলেন, ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিকভাবে সহায়তা করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮শ ২২ টি পরিবারকে পরিবার প্রতি ৪৫০ টাকা হারে দেয়ার জন্য ৬ কোটি ১১ লাখ ১৯ হাজার ৫শ টাকা বরাদ্দ এসেছে। পাশাপাশি জি আর সহায়তা এসেছে মোট ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্থদের সনাক্ত করে সরকারি সহায়তা পৌছে দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা সংকটে কর্মহীন পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবকালে শহরজুড়ে ব্যাপক হামলা-ভাংচুর ও অগ্নিকান্ডের ঘটনার প্রতিবাদ ও স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর বিরুদ্ধে হেফাজত নেতাদের মিথ্যাচার ও কটুক্তির প্রতিবাদে গতকাল মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় উপজেলার আউলিয়া বাজারে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তানভীর ভূইয়া। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই মাষ্টারের সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক অলি আহমেদের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মৃধা, দপ্তর সম্পাদক রাজ্জাক ফকির, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল খাঁন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাউছার ভূইয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এস.এম.মাহাবুব হোসাইন প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বক্তারা বলেন, গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতিদের তান্ডবের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান। পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর বিরুদ্ধে হেফাজত নেতাদের মিথ্যাচার ও কুটুক্তি প্রতিবাদ জানান এবং দোষীদেরকে অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানান।

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতি তান্ডবের প্রতিবাদে বিজয়নগরে আওয়ামীলীগের প্রতিবাদ সভা

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবের সময় ভাংচুর ও আগুনে পুড়িয়ে দেয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাসহ সরকারি, বে-সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) দীপক চক্রবর্তীর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

গতকাল শনিবার দুপুরে প্রতিনিধি দলটি পুড়িয়ে দেয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব ভবন, দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন,  ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন, সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর, জেলা পরিষদ কার্যালয়, জেলা শিল্পকলা একাডেমী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয় সহ  তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ  বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন।


পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোঃ তানভীর আজম সিদ্দিকী, জেলা পরিষদ শাখার উপ-সচিব মোঃ ফারুক হোসেন, পৌরশাখার উপ-সচিব শায়লা ফারজানা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পঙ্কজ বড়–য়া, জেলা ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা অঞ্জন দাস, সহকারি কমিশনার (ভূমি) এ.বি.এম মশিউজ্জামান প্রমুখ।

পরিদর্শনকালে অতিরিক্ত সচিব দীপক চক্রবর্তী উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ স্থাপনাগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করতে মাননীয় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম আমাকে পাঠিয়েছেন।  আজ (শনিবার) আমরা পরির্দশনে এসেছি। এর আগে জেলা প্রশাসক, পৌরসভা ও জেলা পরিষদ থেকে পাঠানো রিপোর্ট আমরা পর্যালোচনা করেছি। আজ সরেজমিনে দেখে যাচ্ছি। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেব। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সহযোগিতার মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব পৌরবাসীকে পূর্নমাত্রায় সেবা দেয়া যায় এই ব্যবস্থা করা হবে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দীপক চক্রবর্তী হেফাজতের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পরিদর্শন

ফেসবুকে আমরা..