স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে চলমান লকডাউনের কারনে কর্মহীন হয়ে পড়া একশত পরিবারের মধ্যে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। আজ দুপুরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় ফারুকী পার্কে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খাঁন এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।

খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে প্রতি পরিবারের জন্য ১০ কেজি চাল, ১ কেজি তেল, ডালসহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী।
খাদ্য বিতরণকালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়া, সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এবিএম মশিউজ্জামান, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামিসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।

খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খাঁন বলেন, ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিকভাবে সহায়তা করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮শ ২২ টি পরিবারকে পরিবার প্রতি ৪৫০ টাকা হারে দেয়ার জন্য ৬ কোটি ১১ লাখ ১৯ হাজার ৫শ টাকা বরাদ্দ এসেছে। পাশাপাশি জি আর সহায়তা এসেছে মোট ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্থদের সনাক্ত করে সরকারি সহায়তা পৌছে দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা সংকটে কর্মহীন পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবের সময় ভাংচুর ও আগুনে পুড়িয়ে দেয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাসহ সরকারি, বে-সরকারি বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) দীপক চক্রবর্তীর নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।

গতকাল শনিবার দুপুরে প্রতিনিধি দলটি পুড়িয়ে দেয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা কার্যালয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব ভবন, দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন,  ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন, সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এর কার্যালয়, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর, জেলা পরিষদ কার্যালয়, জেলা শিল্পকলা একাডেমী, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয় সহ  তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ  বিভিন্ন স্থাপনা পরিদর্শন করেন।


পরিদর্শনকালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব মোঃ তানভীর আজম সিদ্দিকী, জেলা পরিষদ শাখার উপ-সচিব মোঃ ফারুক হোসেন, পৌরশাখার উপ-সচিব শায়লা ফারজানা, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আমিনুল ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর সভার মেয়র মিসেস নায়ার কবির, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) পঙ্কজ বড়–য়া, জেলা ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা অঞ্জন দাস, সহকারি কমিশনার (ভূমি) এ.বি.এম মশিউজ্জামান প্রমুখ।

পরিদর্শনকালে অতিরিক্ত সচিব দীপক চক্রবর্তী উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনার পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ স্থাপনাগুলো সরেজমিন পরিদর্শন করতে মাননীয় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম আমাকে পাঠিয়েছেন।  আজ (শনিবার) আমরা পরির্দশনে এসেছি। এর আগে জেলা প্রশাসক, পৌরসভা ও জেলা পরিষদ থেকে পাঠানো রিপোর্ট আমরা পর্যালোচনা করেছি। আজ সরেজমিনে দেখে যাচ্ছি। আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে সরকারের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেব। মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সহযোগিতার মাধ্যমে যত দ্রুত সম্ভব পৌরবাসীকে পূর্নমাত্রায় সেবা দেয়া যায় এই ব্যবস্থা করা হবে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দীপক চক্রবর্তী হেফাজতের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পরিদর্শন

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদ্যপ্রয়াত বিশিষ্ট লেখক, গবেষক ও সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ ও বিশিষ্ট ব্যাংকার খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ স্মরণে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ভাসানী চর্চা কেন্দ্র, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্যোগে গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্মৃতি পাঠাগারে এই শোক সভা অনুষ্ঠিত হয় ।

ভাসানী চর্চা কেন্দ্রের সংগঠক সাংবাদিক আবদুন নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত শোকসভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হোসাইন আহমেদ তফছির, জেলা জাসদ সভাপতি অ্যাডভোকেট আখতার হোসেন সাঈদ, জেলা জেএসডির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈমুর রেজা মোঃ শাহজাদ, জেলা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রদ্যোৎ নাগ, তেল-গ্যাস- খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির জেলা শাখার সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মোঃ নাসির,বাংলাদেশ কৃষক ও খেতমজুর সমিতির জেলা আহবায়ক হাজী আবদুস সোবহান মাখন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, জেলা যুব জোটের আহবায়ক সিদ্দিক আহমেদ নাসির, জেলা ছাত্র মৈত্রীর সাধারণ সম্পাদক সানিউর রহমান সানি প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ভাসানী চর্চা কেন্দ্রের সংগঠক আবুল খায়ের ।
শোক সভায় বক্তারা সৈয়দ আবুল মকসুদের কর্মময় জীবনের আলোচনা করতে দিয়ে বলেন, সৈয়দ আবুল মকসুদ সারা জীবন তার লেখনির মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক সমতাভিত্তিক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে গেছেন। তিনি তার গবেষণা কর্মের মাঝেই বেঁচে থাকবেন।

ব্যাংকার ইব্রাহিম খালেদ সম্পর্কে বক্তারা বলেন, খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের বিভিন্ন অনিয়ম অব্যবস্থাপনার বিরুদ্ধে আজীবন সোচ্চার ছিলেন। ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য উচ্চকন্ঠ এ মানুষটিকে বাংলাদেশের মানুষ কোনদিনই ভুলবেনা। সভার শুরুতেই তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয় ।
###

সৈয়দ আবুল মকসুদ ও খন্দকার ইব্রাহিম খালেদ স্মরণে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শোকসভা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩৩ নারী শোনালের তাদের উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প। শত বাঁধা-বিপত্তি অতিক্রম করে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লড়াইয়ের গল্প। তাদের কেউ কেউ শিক্ষার্থী, কেউ আবার গৃহিনী। সংসার ও পড়াশুনার সামলিয়ে তারা নিজেদেরকে নারী উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলেছেন।

আর্ন্তজাতিক নারী দিবস উপলক্ষে সোমবার বিকেলে তরুন উদ্যোক্তা শাকিলা জাফর জেসির উদ্যোগে “ বিজনেস গসিপ” নামের একটি অনলাইল গ্রুপের উদ্যোগে স্থানীয় স্মৃতি চাইনিজ রেষ্টুরেন্টে বসে নারী উদ্যোক্তাদের মিলন মেলা।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির।

অনুষ্ঠানে সিজা, পিউ, পিয়া, লিমা, বুশরা, সাবা, নুরুন, মৌসুমি, নিশাত, অথৈ, কাজল, তাহিয়া, শান্তা, অন্তরা, হ্যাপি, অনুরাধাসহ ৩৩ নারী উদ্যোক্তা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে তারা একে অপরের সাথে পরিচিত হন ও তাদের কাজ নিয়ে কথা বলেন ও কিভাবে সকল বাঁধা বিপত্তি অতিক্রম করে নিজেকে উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য লড়াই করেছেন সেই গল্প শোনান।
অনুষ্ঠানে দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র নির্বাচিত হওয়ায় মিসেস নায়ার কবিরকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়।
অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা শাকিলা জাফর জেসি বলেন, নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য আয়োজনটি ছিলো শিক্ষণীয়। এক সাথে খাওয়া-দাওয়া এবং উদ্যোক্তা হওয়ার গল্পে মুখরিত ছিল পুরো অনুষ্ঠান।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নারীদের উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আর্ন্তজাতিক নারী দিবস উপলক্ষে গতকাল সোমবার সকালে পুলিশ নারী কল্যাণ সমিতি (পুনাক) এর উদ্যোগে শহরের ট্যাংকেরপাড় পুনাক শো-রুমে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) এর স্ত্রী মাহবুবা সুলতানা।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) এর স্ত্রী ইসরাত জাহান।
বক্তব্য রাখেন উইমেন সাপোর্ট সেন্টারের ইনচার্জ কামরুজ্জামান লাইলী।

সভায় বক্তারা বলেন, বর্তমান সমাজে নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সমাজে বিভিন্ন ভাবে অত্যাচারিত লাঞ্চিত, বঞ্চিত এমনকি অনেক জায়গায় যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বঞ্চিত হচ্ছে নারীরা।

বক্তারা বলেন, নারীরা আজ অনেক এগিয়ে। গভীর সমুদ্রে মুক্তা সংগ্রহ, হিমালয়ের চূড়ায় অভিযান, মহাকাশ পাড়ি, যুদ্ধক্ষেত্র, শিক্ষা ও বিজ্ঞান সব জায়গায় নারীরা পারদর্শী। আমরা চাই নারী অত্যাচার, ধর্ষণ, বঞ্চনা ও লাঞ্ছনা চিরকালের মতো বিলুপ্ত হোক। নারীরা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সকল ক্ষেত্রে নিজ মর্যাদা ও সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকুক।
###

অত্যাচার, ধর্ষণ, বঞ্চনা ও লাঞ্ছনা চিরকালের মতো বিলুপ্ত হোক, নারী দিবসে বক্তরা

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ৭৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে গতকাল শনিবার দুপুরে জেলা কমিউনিস্ট পার্টির উদ্যোগে স্থানীয় বঙ্গবন্ধু স্কয়ারের জাতীয় বীর আবদুল কুদ্দুস মাখন পৌর মুক্ত মঞ্চে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার সভাপতি শাহরিয়ার মোঃ ফিরোজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রখ্যাত শ্রমিক নেতা অ্যাডভোকেট মন্টু ঘোষ ।
বক্তব্য রাখে জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক সাজেদুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোঃ জামাল, মোঃ ইসহাক, আকতার হোসেন, সাহেদ মিয়া প্রমুখ।

শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক সাংবাদিক আবদুন নূর, জেলা জেএসডির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈমুর রেজা মোঃ শাহজাদ। আলোচনা সভার আগে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সিপিবির এক লাল পতাকা র‌্যালি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে এবং উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সংসদ গণসঙ্গীত পরিবেশন করে।
###

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির ৭৩ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
দলীয় প্রতীকমুক্ত স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাংলাদেশ জাসদের উদ্যোগে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন চলাকালে জেলা জাসদের সভাপতি হুমায়ূন কবিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জিয়া কারদার নিয়নের পরিচালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাসদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হোসাইন আহমেদ তফছির । সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন জেলা জেএসডির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট তৈমুর রেজা মোঃ শাহজাদ, জেলা বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রদ্যোৎ নাগ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক সাংবাদিক আবদুন নূর, জেলা ঐক্য ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক আবু কালাম নাঈম। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আবুল বাসার ভূইয়া রতন, জালাল উদ্দিন জালু, প্রভাষক জাফর আহমেদ আকছির, সিদ্দিক আহমেদ নাসির প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা ইউনিয়ন পরিষদসহ সকল স্থানীয় সরকারে দলীয় প্রতীক মুক্ত নির্বাচনের দাবি জানান। তারা বলেন, তা নাহলে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অংশগ্রহন মূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে না। বক্তারা বলেন, দলীয় প্রতীক প্রথা চালু হওয়ার কারণে মানুষ নির্বাচনে অংশগ্রহনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছে। দলকে ম্যানেজ করে মনোনয়ন নিতে পারলে পরবর্তীতে জনগনের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা থাকেনা।
####

দলীয় প্রতীকমুক্ত স্থানীয় সরকার নির্বাচনের দাবিতে জাসদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের উপস্থিতিতে মিছিল করাকে কেন্দ্র করে দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

শুক্রবার বেলা ১১টায় উপজেলা পরিষদের সামনে এই ঘটনা ঘটে। প্রায় দুই ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষের বেশ কয়েকটি মোটর সাইকেল ভাংচুর করা হয়। এ সময় উভয়পক্ষের ১০জন আহত হয়। তবে তাদের নাম জানা যায়নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার বেলা ১১টায় কসবা উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে স্মার্ট কার্ড বিতরণ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।

এ সময় কসবা পৌরসভার মেয়র ও আগামী পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী এমরান উদ্দিন জুয়েল এবং উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও পৌর নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী এম.এ. আজিজের সমর্থকরা মিছিল নিয়ে সভাস্থলে যাচ্ছিলেন। এ সময় দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে পাল্টা-পাল্টি শ্লোগান ও ধাক্কা-ধাক্কি শুরু হয়। এক পর্যায়ে দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের ৭/৮টি মোটর সাইকেল ভাংচুর ও কয়েকটি মোটর সাইকেল পুড়িয়ে দেয়া হয়। হামলায় উভয়পক্ষের ১০জন আহত হয়। খবর পেয়ে পুুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এদিকে মন্ত্রীর বক্তব্য চলাকালে উপজেলা পরিষদের বাইরের সড়কে তুমুল সংঘর্ষ শুরু হলে বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করে দুপুর ১২টার দিকে মন্ত্রী পুলিশী নিরাপত্তায় উপজেলার পানিয়ারুপ নিজ বাড়িতে চলে যান। পুলিশ সংর্ঘষে জড়িতদের লাঠিপেটা করে ছত্রভঙ্গ করে। থেমে থেমে দুপুর ১টা পর্যন্ত সংর্ঘষ চলছিল।

এ ব্যাপারে পৌর মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল বলেন, প্রায় ১ বছর পরম মন্ত্রী মহোদয় এলাকায় আসেন। মন্ত্রীকে বরণ করার জন্য বেলা ১১টার দিকে আমি আমার সমর্থকদের নিয়ে রাস্তার দু’পাশে দাড়িয়ে ছিলাম। এমন সময় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও মেয়র প্রার্থী এম.এ. আজিজের ছোট ভাই যুবদল নেতা শিশুর নেতৃত্বে তার সমর্থকরা আমার সমর্থকদের উপর মোটর সাইকেল তুলে দেয়। পরে আমার ও আজিজের সমর্থকদের মধ্যে অনুষ্ঠানস্থলের বাইরে ধস্তাধস্তি হয়। পরে মন্ত্রী মহোদয় অনুষ্ঠান শেষ করে বাড়িতে চলে যান।
এ ব্যাপারে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও মেয়র প্রার্থী এম.এ আজিজ বলেন, মন্ত্রী মহোদয়কে বরণ করার জন্য টিআলীর বাড়ির মোড় থেকে উপজেলা পরিষদ পর্যন্ত রাস্তার দুপাশে আমার সমর্থকরা দাঁড়িয়েছিলো। এক পর্যায়ে আমার কয়েকজন সমর্থক মোটর সাইকেল নিয়ে উপজেলা পরিষদের সামনে দিয়ে আসার সময় প্রতিপক্ষের লোকেরা মোটর সাইকেলে হামলা করে। পরে দুই দলের সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয়পক্ষের ৭/৮টি মোটর সাইকেল ভাংচুর করা হয় ও উভয়পক্ষের কমপক্ষে ১৫জন আহত হন। পরে মন্ত্রী মহোদয় তাঁর বক্তব্য সংক্ষিপ্ত করে নিজ বাড়িতে চলে যান।
এ ব্যাপারে কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) আলমগীর ভূইয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি সংঘর্ষের কথা স্বীকার করে বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। কতজন হতাহত হয়েছে জানি না।
###

কসবায় দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলার গণমানুষের নেতা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি, সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম স্মরণে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে সরাইলে শোক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোঃ ইসমত আলীর সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক মোঃ মাহফুজ আলীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত শোক সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ মুন্সি, সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক অ্যাডভোকেট নাজমুল হোসেন, সরাইল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধ সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মোঃ আনোয়ার হোসেন, সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান আনসারী, সরাইল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ বদর উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট সৈয়দ তানবির হোসেন কাউসার, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুর রাশেদ, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জব্বার, শেখ মোঃ হাবিবুর রহমান, দ্বীন ইসলাম, সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ ইদ্রিস আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ কুতুব উদ্দিন ভূঁইয়া, মোঃ মনসুর আহমেদ প্রমুখ।

শোকসভায় বক্তারা বলেন, আব্দুল হালিম শুধু একটি নাম নয়, একটি ইতিহাস। তিনি ছিলেন একজন দেশপ্রেমিক রাজনীতিবিদ। নির্লোভ এই মানুষটি সাদামাটা জীবনযাপন করতেন। তিনি ছিলেন গনমানুষের আপন জন।

উপজেলার বড্ডাপাড়া থেকে নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাটানিশার পর্যন্ত সড়কটির নামকরণ “আব্দুল হালিম সড়ক” করার জন্য সংশি¬ষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানান।
###

বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম স্মরনে শোক সভা ও আব্দুল হালিম সড়কের দাবী

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় একটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয় ও একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবিতে গতকাল সোমবার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে বাংলাদেশ ছাত্রমৈত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার নেতা-কর্মীরা।

গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি ফাহিম মুনতাসির, সাধারণ সম্পাদক সানিউর রহমান ও জেলা ছাত্রমৈত্রীর সাবেক আহবায়ক মুহয়ী শারদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে স্মারকলিপিটি প্রদান করেন। জেলা প্রশাসকের পক্ষে স্বারকলিপিটি গ্রহন করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ রুহুল আমিন।
জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদানের পর জেলা ছাত্রমৈত্রীর নেতা-কর্মীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর কাছে স্মারকলিপির একটি অনুলিপি প্রদান করেন।
###

উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপনের দাবিতে জেলা প্রশাসকের কাছে ছাত্রমৈত্রীর স্মারকলিপি

ফেসবুকে আমরা..