স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌরসভার উদ্যোগে পৌর এলাকার যানযট নিরসন, জনসাধারণকে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে উদ্বুদ্ধকরন এবং ট্রাফিক শৃংখলার উন্নতিকল্পে আজ মঙ্গলবার থেকে ( ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ সেপ্টেম্বর) বিশেষ ট্রাফিক সপ্তাহ শুরু হয়েছে।

আজ সকালে “পরিচ্ছন্ন ও যানযটমুক্ত শহর গড়ে তুলি, নিরাপদ নাগরিক জীবন নিশ্চিত করি” এই শ্লোগানকে পৌর এলাকার কাউতলী মোড়ে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ ট্রাফিক সপ্তাহের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান।

পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবিরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, টিআই মীর গোলাম ফারুক, সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ শাহজাহান এবং যানবাহন পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে পৌর এলাকার যানযট নিরসনে কমিউনিটি ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মাঝে বাঁশি, ছাতা ও হলুদ রঙের অ্যাপ্রোন বিতরণ করা হয়।
####

পৌর এলাকার যানযট নিরসনে বিশেষ ট্রাফিক সপ্তাহ শুরু

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনলাইন টিভির আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসের শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার ১৫ই আগস্ট রাত সাড়ে ৭টার দিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শোক দিবসের শোকসভা অনুষ্ঠানটি হয়।

স্থানীয় শহরের কাচারিপাড় লালবিল্ডিং এ ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনলাইন টিভির আয়োজনে ওই টিভির অফিসে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন-আহ্বায়ক ও অনলাইন টিভির চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান পারভেজ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী৷

উক্ত শোক সভায় ও দোয়া মাহফিলে আরোও উপস্থিত ছিলেন, জেলা নাগরিক ফোরামের সহসভাপতি আতাউর রহমান শাহিন, সাফিন উদ্দন চৌধুরী রনি, জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দত্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব দীপক চৌধুরী বাপ্পী ও দৈনিক যায়যায়দিন এর স্টাফ রিপোর্টার মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা, দৈনিক যায়যায়কাল এর জেলা প্রতিনিধি ইঞ্জি: আজহার উদ্দিন ও দৈনিক আমার সময় সদর উপজেলা প্রতিনিধি সুমন আহমেদসহ প্রমূহ।

তাছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনলাইন টিভি প্রতিনিধিবৃন্দ ও আররনী সংগঠন এর সদস্যরা উপস্থিত ছিল।

অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাকি খুনি যারা বিদেশে পালিয়ে আছে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত ফাঁসির রায় কার্যকর কারতে হবে। জাতির পিতার এই জন্মশতবার্ষিকীর এই বছরে যেন বাকি খুনিদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা যায় তাহলে জাতির জনকসহ ১৫ আগস্ট নিহত সকল শহীদের আত্মা শান্তি পাবে।

বক্তারা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা একটি উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলবো। আর উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ গড়তে প্রকৌশলী সমাজ বঙ্গবন্ধু কন্যার পাশে সব সময় রয়েছে। উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ গড়ার মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণ হবে।

অনুষ্ঠান শেষে মিলাদ মাহফিলে মুনাজাত করেন মাওলানা এরশাদ উল্লাহ নুর। মুনাজাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়। দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতির জন্য দোয়া করা হয়।

জাতীয় শোক দিবসের শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

প্রধানমন্ত্রীর খাদ্যসহায়তার তালিকায় অনিয়ম থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া জনপ্রতিনিধিদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় (কসবা-আখাউড়া) সংসদ সদস্য, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। শনিবার বিকেলে ওই এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে আখাউড়া পৌরসভার সম্মেলন কক্ষে হওয়া টেলিকনফারেন্সে তিনি এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন। মন্ত্রী ঢাকার বাসভবন থেকে টেলিকনফারেন্সে অংশ নেন।

টেলিকনফারেন্সে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কাশেম ভূঁইয়া, পৌর মেয়র মো. তাকজিল খলিফা কাজল, জেলা পরিষদ সদস্য আতাউর রহমান নাজিম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মো. মুরাদ হোসেনসহ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় জনপ্রতিনিধিরাও মন্ত্রীর নির্দেশনা মতো কাজ করবেন বলে জানান।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেলা পৌণে চারটার দিকে মন্ত্রী টেলিফেরারেন্স এ যোগ দেন। প্রায় আধা ঘন্টার আলোচনার তিনি এলাকার মানুষের খোঁজ নেন। করোনা পরিস্থিতি ত্রান বিতরণের সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত জানতে চান। এখনো যদি কেউ ত্রান পাওয়ার বাকি থাকে তাহলে তালিকা করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন মন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর নগদ অর্থ সহায়তার বিষয়ে মন্ত্রী জানান, ১৮৯৬ জনের যে তালিকা হয়েছে সেটাতে কিছু ত্রুটি বিচ্যুতি রয়েছে। সেই সব ত্রুটি বিচ্যুতি দূর করে প্রয়োজনে আবার যাচাই বাছাই করে প্রকৃত গরীবদের তালিকা করার জন্য তিনি নির্দেশ দেন।
করোনাকালীন সময় নিজের সংসদীয় এলাকায় আসতে না পারার বিষয়েও ব্যাখা দেন তিনি। ঢাকায় থেকে রাষ্ট্রীয় অনেক কাজ করতে হয় বলে নিজের ব্যস্ততার কথা জানান তিনি। এমন পরিস্থিতি এখন থেকে সপ্তাহের প্রতি শনিবার তিনি জন প্রতিনিধিসহ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে টেলিকনফারেন্স করবেন।

প্রধানমন্ত্রীর খাদ্যসহায়তায় অনিয়মে আইনমন্ত্রীর ক্ষোভ, প্রয়োজনে আবার তালিকা করার নির্দেশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নার্সিং ইনস্টিটিউটের প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন সেন্টার থেকে পালিয়ে যাওয়ার দুইদিন পর আবার আইসোলেশনে ফিরে এসেছেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেফায়েত উল্লাহ-(৩৮)। বাড়িতে জায়গা না পেয়ে গত মঙ্গলবার বিকেলে স্বেচ্ছায় তিনি আইসোলেশন সেন্টারে ফিরে আসেন।
পালিয়ে যাওয়া কেফায়েত উল্লাহ জেলার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের টিঘর গ্রামের বাসিন্দা। ‘না বুঝে’ আইসোলেশন সেন্টার থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। কেফায়েত উল্লাহর বরাত দিয়ে আইসোলেশন সংশ্লিষ্টরা বলেন, না বুঝে আইসোলেশন সেন্টার থেকে চলে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাড়িতে যাওয়ার পর পরিবারের লোকজন তাকে জায়গা দেয়নি। পালিয়ে যাওয়ার পর দুইদিন পার্কে ঘোরাফেরা করেছেন। এ সময়টাতে তিনি সামাজিক দূরত্ব মেনে চলেছেন বলে দাবি করেছেন। বাড়িতে জায়গা না পেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে তিনি আইসোলেশন সেন্টারে ফিরে এসেছেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন সেন্টারের কর্তব্যরত চিকিৎসক ইনজামামুল হক সিয়াম বলেন, তিনি না বুঝে চলে গিয়েছিলেন। চলে যাওয়ার পর তিনি কোথায়-কোথায় ছিলেন সেই তথ্য নিয়ে তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। নিয়ম অনুযায়ী তাকে আবারো আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে গত রোববার করোনামুক্ত হওয়ায় আইসোলেশন সেন্টার থেকে ৭জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। ওই ৭জনের সাথে চলে যান কেফায়েত উল্লাহ। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন সেন্টার কর্তৃপক্ষ।

###

আইসোলেশনে ফিরেছে পালিয়ে যাওয়া সেই করোনা রোগী

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য নমুনা না দিয়েই পজেটিভ রিপোর্ট আসে মোঃ তৌহিদুল ইসলাম নামে এক যুবকের। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।গত মঙ্গলবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নতুন যে ২৯ জনের করোনাভাইরাস আক্রান্তের রিপোর্ট আসে তাদের মধ্যে তৌহিদুল ইসলাম একজন। বিষয়টি তার জন্য অস্বস্তিকর হয়ে দাড়িয়েছে।
তৌহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ না থাকা সত্ত্বেও গত ৩ জুন তার এক চাচার মাধ্যমে তিনিসহ আরো চারজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল থেকে পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে নির্ধারিত ফরম পূরণ করেন।

পরদিন দুপুরে তাদেরকে নমুনা দেয়ার জন্য হাসপাতালের নমুনা সংগ্রহ বুথে যেতে বলা হয়। কিন্তু ওইদিন দুপুরে জরুরী কাজে আটকে যাওয়ায় তিনিসহ ওই চারজনের কেউই নমুনা দিতে পারেননি।
গত মঙ্গলবার বিকেলে তার মুঠোফোনে কল করে একজন জানান, জেলায় আসা কোভিড-১৯ পজেটিভ রোগীর নামের সাথে তার নামও রয়েছে। এজন্য তাকে আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়।
তিনি বলেন, আমার সাথে ফরম পূরণ করা বাকি চারজনের কেউ ফোন পায়নি। শুধু আমাকেই ফোন করে বলা হয়েছে আমি কোভিড-১৯ পজেটিভ। খবরটি শুনে মাথায় বাজ পড়ে। আমিতো নমুনাই দেইনি, তাহলে পজেটিভ হলাম কিভাবে? এজন্য আমাকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখোমুখী হতে হচ্ছে। তবে খবরটি জানার পর থেকেই আমি ঘরে আলাদাভাবে থাকছি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ শওকত হোসেন বলেন, কী কারণে এমনটি হয়েছে সেটি আমরা খতিয়ে দেখছি। যারা নমুনা সংগ্রহের দায়িত্বে আছেন তাদেরকে ডেকে এনে এটি ভেরিফাই করার জন্য বলা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, ‘বিষয়টি আমরা যাচাই-বাছাই করছি। যাচাই-বাছাইয়ের আগে এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।

নমুনা না দিয়েই যুবকের করোনা পজেটিভ !

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি নির্ধারিত মাস্ক ব্যবহার না করে চলাচল এবং সরকার নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করার দায়ে ৩৪ মামলায় ৬৮ হাজার ৬ শত ৯০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। বুধবার দুপুরে পর্যন্ত সদর উপজেলার পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে পৃথক এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়।

সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়ার নেতৃত্বে পৃথক ভ্রাম্যমান আদালত চলাকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য ও কিশোর কুমার দাসসহ সদর থানার পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।

ভ্রাম্যমানে আদালতে নেতৃত্ব দেওয়া সদর ইউএনও পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত স্বাস্হ্য বিধি মেনে চলার জন্য জনগনকে বাব বার বলা হচ্ছে। কিন্তু তারা মাস্ক না পরেই বাহিরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার পৌরশহরের বিভিন্ন স্থানে মাস্ক ব্যবহার না করে চলাচল এবং সরকার নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধিমেনে না চলার কারণে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর ২৫ এর ১(খ) ধারা লংঘনের দায়ে পৃথক পৃথক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৩৪ টি মামলায় ৬৮ হাজার ৬ শত ৯০ টাকা জরিমানা করা হয়। তিনি বলেন, ভ্রাম্যমান আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

###

মাস্ক ব্যবহার না করায় ৬৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায়

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কর্মহীন শতাধিক ব্রাহ্মণ পুরোহিতের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে শহরের কেন্দ্রীয় মন্দির শ্রীশ্রী আনন্দময়ী কালিমন্দির প্রাঙ্গণে চেয়ারে বসিয়ে পুরোহিতদের মাঝে এইসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করাহয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান।
প্রধান অতিথির বক্ত্যবে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বলেন, সারা বিশ্ব এখন কঠিন সময় পার করছে। এতে করে জীবন জীবিকা সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে। মন্দিরেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে। যার কারণে পুরোহিতদেরও অসুবিধা হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবদিকেই খোঁজ খবর রাখছেন। তিনি প্রত্যেকের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য সহ সহায়তা নিশ্চিত করেছেন। সমাজের সর্বশ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে সে খাদ্য পৌছে দেয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে আজকে পুরোহিতদের মাঝে এই ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

এসময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, সদর উপজেলার নিবার্হী কর্মকতা পঙ্কজ বড়ুয়া, শ্রীশ্রী আনন্দময়ী কালি মন্দিরের ট্রাষ্টি কমিটির সভাপতি প্রানতোষ চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব দীপক চৌধুরী বাপ্পী, প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা,
ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিষ্ট এ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক উজ্জল চক্রবর্তী,
ব্রাহ্মণ পুরোহিত কল্যাণ সংঘের সভাপতি হরিশংকর চক্রবর্তী ও ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক প্রবীর আচার্য সহ ব্রাহ্মণ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

###

চেয়ারে বসিয়ে পুরোহিতদের ত্রান দিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রশাসন

প্রেস‌ বিজ্ঞ‌প্তিঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের কুট্টাপাড়া এলাকা থেকে ৪৩ কেজি গাঁজা‘সহ মাদক ব্যবসায়ী সজল মিয়া(৩৮)’কে আটক করেছে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প।

১। “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাব যুব সমাজ তথা বাংলাদেশ’কে মাদকের ভয়াল থাবা, সন্ত্রাস, জঙ্গী, ছিনতাই, ডাকাতি, জুয়া, অপহরণ, খুন, ধর্ষণ, অসাধু ডিলার’সহ বিভিন্ন ধরণের অবৈধ কর্মকান্ড থেকে রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশব্যাপী আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

২। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, একটি মাদক ব্যবসায়ী চক্র নিয়মিত মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানা এলাকা হতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাইকারি/খুচরা বিক্রয় করে থাকে। উক্ত তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য উক্ত মাদক ব্যবসায়ী চক্রের উপর র‌্যাবের নিরবিচ্ছিন্ন গোয়েন্দা নজরদারী চালানো হয় এবং তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়। জানা যায় অদ্য ১৮/০৫/২০২০ ইং তারিখ রাতে মাদকদ্রব্য গাঁজার একটি বড় চালান ঢাকার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাবে। এরই প্রেক্ষিতে ভৈরব র‌্যাব ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পরিচালক চন্দন দেবনাথ এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল ১৮/০৫/২০২০ ইং তারিখ অনুমান ২১.৪৫ ঘটিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানাধীন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কুট্টাপাড়া এলাকায় লাল পাম্পের সামনে রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে ১। মোঃ সজল মিয়া (৩৮), পিতা-মৃত আব্দুল গফুর, সাং-লাখাই, থানা-কালোক, জেলা-হবিগঞ্জ, এ/পি-সাং-আশুগঞ্জ পূর্ব বাজার শরীফ মিয়ার বাসা, থানা- আশুগঞ্জ, জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া‘কে আটক করা হয়। আটককৃত আসামীর দখল হইতে (ক) ৪৩ কেজি মাদকদ্রব্য গাঁজা, (খ) মাদক বিক্রির নগদ ৭,৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত আলামতের আনুমানিক মূল্য ১২,৯৭,৬০০/- টাকা। ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।

রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
সিনিয়র সহকারী পরিচালক
কোম্পানী অধিনায়ক
র‌্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্প।
মোবাঃ ০১৭৭৭৭১১৪৩৩।

৪৩ কেজি গাঁজা‘সহ মাদক ব্যবসায়ী সজল মিয়া(৩৮)’কে আটক করেছে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প।


ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ২৪ ঘন্টা কর্মরত সকল চিকিৎসকদের মাসব্যাপী ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস।

ইতোমধ্যে কোম্পানিটির পক্ষে আজ শনিবার থেকে এসব সামগ্রী বিতরণ শুরু করা হয়েছে।

কর্মসূচীর প্রথম দিনে কোম্পানির আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আজহার উদ্দিন ২৫০-শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. শওকত হোসেনের কাছে সামগ্রী তুলে দেন। এছাড়া জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ফায়েজুর রহমান ও জয়নাল আবেদীনের কাছেও সুরক্ষা সামগ্রী তুলে দেয়া হয়।

 

কোম্পানির আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আজহার উদ্দিন জানান, প্রতিদিন আট ঘন্টা করে পালাক্রমে তিনজন চিকিৎসক জরুরি বিভাগে সেবা প্রদানে নিয়োজিত থাকেন। করোনাভাইরাসের এই সংকটকালে মাসব্যাপী এসব চিকিৎসকদের প্রতিদিন ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী দিবে কোম্পানি।

চিকিৎসকদেরকে দেয়া সুরক্ষা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- এন-৯৫ মাস্ক, সার্জিকেল মাস্ক, হাতের গ্লাভস, মপ ক্যাপ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সু কাভার।

সুরক্ষা সামগ্রী হাতে পেয়ে ডা. ফায়েজুর রহমান বলেন, ইমার্জেন্সির ডাক্তাররা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। এসব ডাক্তারদের প্রতিদিন ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান সত্যিকার অর্থেই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এমন মহৎ কাজটি ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে একমাত্র আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালসই করে যাচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. শওকত হোসেন বলেন, এর আগেও আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস কর্তৃপক্ষ হাসপাতালে কর্মরত সকল চিকিৎসকদের পিপিইসহ যাবতীয় নিরাপত্তা সামগ্রী প্রদান করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এবার মাসব্যাপী কর্মসূচীর আওতায় প্রতিদিন সামগ্রী দিয়ে কোম্পানিটি বিশেষ মানবিকতার প্রমান দিয়েছে, যা অন্য কোন বেসরকারি ওষুধ উৎপাদনকারি কোম্পানি করেনি।

উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ শুরুর দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত সকল সাংবাদিক ও চিকিৎসকদেরকে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী ও ওষুধ প্রদান করেছিল আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিকিৎসকদের মাসব্যাপী সুরক্ষা সামগ্রী দিবে আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস

  • সংবাদ বিজ্ঞপ্ত‌ি ঃ

নবীনগর থানাধীন কৃষ্ণনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমান ও সাবেক মেম্বার আবু মিয়া এবং কাউছার মোল্লা ও সাবেক মেম্বার মোছলেম উদ্দিনগং পক্ষদ্বয়ের মধ্যে পূর্ব শত্রুতার জের ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গত ১২/০৪/২০২০খ্রিঃ সকাল ০৯.৩০ ঘটিকায় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামায় লিপ্ত হয়। সংবাদ পেয়ে নবীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ সংগীয় অফিসার ফোর্সসহ দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামায় লিপ্ত লোকজনদের নিবৃত্ত ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা করে। উভয় পক্ষের উচ্ছৃঙ্খল লোকজন দাঙ্গা-হাঙ্গামা হতে বিরত না হয়ে তিনটি গ্রামে ব্যাপক এলাকাজুুড়ে প্রতিপক্ষের উপর আক্রমন অব্যাহত রাখে এবং বাড়ি ঘরে আক্রমনসহ অগ্নিসংযোগ করে।

পুলিশ সরকারি জানমাল ও জনগনের জানমাল রক্ষার্থে শর্টগান ও গ্যাসগান নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। দাঙ্গা-হাঙ্গামা চলাকালে কাউছার মোল্লা গ্রুপের লোকজন জিল্লুর রহমান চেয়ারম্যান গ্রুপের জনৈক মোবারক হোসেন (৪৫) পিতা-মধু মিয়া, সাং-উত্তর লক্ষীপুর, থানা-নবীনগর, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর বাম পায়ের গোড়ালি হতে নীচের অংশটুকু কেটে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে এবং উভয় পক্ষের ৪০ জন সাধারণ ও গুরুতর জখম প্রাপ্ত হয়। উক্ত ঘটনায় নবীনগর থানায় একটি মামলা রুজু করা হয় এবং মামলার মূল আসামী

১। আবু কাউছার মোল্লা (৪৯), পিতা-মৃত ফিরোজ মিয়া, সাং-থানাকান্দি

২। জিল্লুর চেয়ারম্যান (৫১) পিতা-মৃত গোলাম মস্তু বেপারী, সাং-থানাকান্দি, উভয় থানা-নবীনগর, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়াদ্বয়সহ ৪৫ জন আসামীকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।

অদ্য ১৫/০৪/২০২০খ্রিঃ তারিখ দুপুর ১৩.০০ ঘটিকায় জনাব মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, পুলিশ সুপার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, জনাব মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন,
পিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) (পদোন্নতি প্রাপ্ত পুলিশ সুপার), ব্রাহ্মণবাড়িয়া, জনাব মোঃ মকবুল হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ
সুপার, নবীনগর সার্কেল, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, পুলিশ পরিদর্শক(নিরস্ত্র) জনাব মোঃ ইমতিয়াজ আহম্মেদ পিপিএম, ডিআইও-১, জেলা বিশেষ শাখা, অফিসার ইনচার্জ নবীনগর থানা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। পুলিশ সুপার জনাব মোহাম্মদ আনিসুর রহমান মারামারির ঘটনায় ভিকটিম মৃত মোবারক হোসেন (৪৫) এর স্ত্রী সাজিয়া বেগম ও ছেলে রবিউল হোসেনের সাথে কথা বলেন এবং তিনি বলেন ইতিমধ্যে ঘটনার সহিত জড়িত ব্যক্তিদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনার সহিত
জড়িত অন্যান্য অপরাধীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত আছে। প্রত্যেক অপরাধীকে গ্রেফতার পূর্বক আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা
হবে মর্মে আশ্বাস প্রদান করেন।

নবীনগর মারামারি ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলা পুলিশ সুপার

ফেসবুকে আমরা..