সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একজন চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এক রোগীকে তার প্রাইভেট চেম্বারে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে খালেদা বেগম-(৩২) নামে এক রোগী নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত ডেন্টাল সার্জন ডাঃ আবদুল্লাহ আল বারীর কাছে চিকিৎসা নিতে গেলে তিনি রোগীকে এই পরামর্শ দেন।

অসুস্থ খালেদা বেগম অভিযোগ করে বলেন, গত দু’দিন ধরে দাঁতের ব্যাথায় অস্থির হয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে স্বামী দেলোয়ার হোসেনকে সাথে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডেন্টাল সার্জন ডাঃ আবদুল্লাহ আল বারীর (বিডিএস) কক্ষে যান।

চিকিৎসক তার কথা শুনে মোবাইলের টর্চ লাইট দিয়ে তার দাঁত দেখেন। পরে তিনি তাকে ( খালেদা বেগম) বিকেলে হাসপাতাল রোডে অবস্থিত গ্রামীণ জেনারেল হাসপাতালে তাঁর ( চিকিৎসকের) প্রাইভেট চেম্বারে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
এ সময় ডাঃ আবদুল্লাহ আল বারী রোগী খালেদা বেগমকে বলেন, এটি সরকারি হাসপাতাল। এখানে চিকিৎসা করার মতো তেমন যন্ত্রপাতি নাই। বিকেলে আমার প্রাইভেট চেম্বারে আসেন। ভালো করে দেখে দেবো।

রোগীর স্বামী দেলোয়ার হোসেন বলেন, সরকারি হাসপাতাল হলো গরীব ও সাধারণ রোগীদের জন্য। আর সেই সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকেরা যদি গরীব রোগীদের প্রাইভেট চেম্বারে যাওয়ার পরামর্শ দেন, তাহলে গরীব রোগীরা যাবে কোথায় ?

এ ব্যাপারে ডেন্টাল সার্জন আবদুল্লাহ আল বারী (বিডিএস) সাংবাদিকদের বলেন, ওই রোগীর দাঁতের ভেতরে ছোট্ট একটি কাঠি দেখতে পাই। ওই কাঠি বের করার কোন যন্ত্র সরকারি হাসপাতালে নেই। তাই বিকেলে তাকে আমার প্রাইভেট চেম্বারে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (টিএইচএ) ডাঃ সাইমুল হুদা বলেন, সরকারি হাসপাতালে কর্তব্য চলাকালীন কোন সরকারি ডাক্তার কখনো কোন রোগীকে প্রাইভেট চেম্বারে যাওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন না। ভুক্তভোগী রোগী আমাকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানালে, ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ শাহ আলম বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
###

নবীনগরে রোগীকে চিকিৎসকের পরামর্শ! বিকেলে আমার চেম্বারে আসেন, ভালো করে দেখে দেবো

সুমন আহম্মেদঃ

ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার বিচার দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে মানববন্ধন করেছে স্কুল শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার বাঙ্গরা-গাজীরহাট এলাকায় এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন চলাকালে স্থানীয় জাঙ্গাল বাদশা মিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক নাছির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলার যৌন নিপীড়নের প্রতিবাদ করায় পরীক্ষা কেন্দ্রে নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়া হয়েছে। শেষ পর্যন্ত মৃত্যুর কাছে হার মেনে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছে নুসরাত। এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ জড়িত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে এসব ঘটনার বারবার পুনরাবৃত্তি হবে।

মানববন্ধনে উপজেলার কয়েকটি স্কুলের শিক্ষার্থীরা “ বোন নুসরাত হত্যার বিচার চাই’ ‘অধ্যক্ষসহ জড়িতদের ফাঁসি চাই” সহ নানা শ্লোগান সংবলিত প্লেকার্ড নিয়ে অংশ নেয়।
উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ নুসরাত জাহান রাফিকে নিজ কক্ষে নিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে পুলিশ। এর পর থেকে তিনি কারাগারে।

এ ঘটনায় রাফির মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন। গত ৬ এপ্রিল (শনিবার) সকালে নুসরাত আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসায় যায়। এ সময় মাদরাসার এক ছাত্রী তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের উপর কেউ মারধর করছে- এমন সংবাদ দিলে নুসরাত ওই বিল্ডিংয়ের চার তলায় যান। সেখানে মুখোশ পরা চার-পাঁচজন তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। নুসরাত অস্বীকৃতি জানালে তারা তার গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।
###

নুসরাত হত্যার বিচার দাবিতে নবীনগরে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

 

সুমন আহম্মেদ ব্রাহ্মণবাড়িয়াঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৫টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে তিনটিতে বিদ্রোহী এবং দুইটিতে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা, সরাইল উপজেলা ও নবীনগর উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যানপদে বিদ্রোহী প্রার্থীরা এবং নাসিরনগর উপজেলা ও আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদে আওয়ামীলীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। এর আগে একাধিক প্রার্থী না থাকায় জেলার কসবা ও আখাউড়া উপজেলা পরিষদে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীরা চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদঃ-
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ফিরোজুর রহমান ( আনারস প্রতীক) ৬৮ হাজার ২৩৩ ভোট পেয়ে বে-সরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ জাহাঙ্গীর আলম ( নৌকা প্রতীক) পেয়েছেন ২৬ হাজার ৯০৭ ভোট।

 

নাসিরনগর উপজেলা পরিষদঃ-
নাসিরনগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ রাফি উদ্দিন আহম্মদ (নৌকা প্রতীক) ৫৯ হাজার ৪৬১ ভোট পেয়ে বে-সরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ.টি.এম, মনিরুজ্জামান সরকার ( আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ১৪ হাজার ৫৭৪ ভোট।

সরাইল উপজেলা পরিষদঃ-
সরাইল উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ রফিক উদ্দিন ঠাকুর (ঘোড়া প্রতীক) ৩১ হাজার ৪৮৪ ভোট পেয়ে বে-সরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগের অপর বিদ্রোহী প্রার্থী মোঃ শের আলম মিয়া ( মোটর সাইকেল প্রতীক) পেয়েছেন ২২ হাজার ৭৫৮ ভোট।

আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদঃ-
আশুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোঃ হানিফ মুন্সী (নৌকা প্রতীক) ৪৩ হাজার ৪১ ভোট পেয়ে বে-সরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আনিছুর রহমান (আনারস প্রতীক) পেয়েছেন ২৫ হাজার ৫৫৫ ভোট।

 

নবীনগর উপজেলা পরিষদঃ-
নবীনগর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান (দোয়াত- কলম প্রতীক) ৪৯ ভোট পেয়ে বে-সরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী কাজী জহির উদ্দিন সিদ্দিক টিটু পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৬৯০ ভোট।

উল্লেখ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া ও কসবা উপজেলায় আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হয়েছেন। এর মধ্যে কসবা উপজেলায় উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও আইনমন্ত্রীর সাবেক সহকারি একান্ত সচিব অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাউসার ভূইয়া জীবন এবং আখাউড়া উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাশেম ভূইয়া বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

###

উপজেলা পরিষদের নির্বাচন তিনটিতে বিদ্রোহী এবং দুইটিতে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থীরা জয়ী

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বিয়ের মাত্র ৪ মাসের মাথায় স্বামীর হাতে রিতা বেগম-(১৮) নামে এক নববধূ খুন হয়েছেন। পারিবারিক বিরোধের জের ধরে গত শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে স্বামী হাশেম মিয়া-(২১) তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

খবর পেয়ে পুলিশ শনিবার সকালে রিতার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে ও নিহতের স্বামী হাশেম মিয়াকে গ্রেপ্তার করে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, গত চার মাস আগে উপজেলার ধোপাকান্দা গ্রামের নূরুল ইসলামের মেয়ে রিতার সাথে পার্শ্ববর্তী বগডহর গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে হাশেম মিয়ার বিয়ে হয়।

বিয়ের পর থেকে রিতার সাথে হাশেমের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। গত শুক্রবার রাতে উভয়ের মধ্যে পুনরায় কলহের সৃষ্টি হলে হাশেম মিয়া শ্বাসরোধ করে রিতাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে নবীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজু আহমেদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা হাশেমকে গ্রেপ্তার করেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্ত্রীকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য রিতার লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
###

পারিবারিক বিরোধের জের ধরে নবীনগরে শ্বাসরোধ করে স্ত্রী খুন ॥ স্বামী গ্রেপ্তার

botvনিউজ:

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সংবলিত পোস্টার ও ব্যানার ছিড়ে অগ্নিসংযোগের অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ছয় নেতাকে শোকজ করেছে জেলা ছাত্রলীগ।

গত শুক্রবার রাতে তাদেরকে শোকজ করা হয়েছে। শোকজপ্রাপ্তরা হলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আবু ছায়েদ ও সাবেক সদস্য পারভেজ আহমেদ, নবীনগর সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক আহবায়ক আরিফুল ইসলাম রাজীব, সাবেক যুগ্ম আহবায়ক নাছির উল্লাহ্ ও সাবেক সদস্য মোবারক এবং পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য সাইফুল ইসলাম রকি। তাদেরকে আগামী দুই দিনের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন শোভন বলেন, গত ১০ ফেব্রুয়ারি ছাত্রলীগের সাবেক ওই নেতারা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি সংবলিত পোস্টার-ব্যানার ছিড়ে অগ্নিসংযোগ করেছে বলে আমাদের কাছে লিখিত এসেছে।

যেহেতু তাঁরা নতুন কমিটিতে বিভিন্ন পদের প্রার্থী তাই তাঁদেরকে শোকজ্ করা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে তদন্তের জন্য জেলা ছাত্রলীগ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

একই অভিযোগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি নবীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী হাবিবুর রহমান স্টিফেনসহ নয়জনের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করেছেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য আবু রাসেল ভূইয়া।

উল্লেখ্যঃ- আগামী ৩১ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাবিবুর রহমান স্টিফেনের নাম ঘোষণার পরই তাঁকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।

তাঁকে দলীয় মনোনয়ন না দেয়ার দাবি জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন, উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন বঞ্চিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল ইসলাম ফেরদৌস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এইচ.এম আল-আমিন আহমেদ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপ-কমিটির সহসম্পাদক জহির সিদ্দিক টিটু। তবে স্টিফেন তার বিরুদ্ধে আনিত সকল অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন।
###

বঙ্গবন্ধু-প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত পোষ্টারে আগুন সাবেক ৬ ছাত্রলীগ নেতাকে শোকজ

botvনিউজ:

জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেছেন, ক্ষমতা ছাড়ার পর আমি একটা দিনও শান্তিতে থাকতে পারিনি। যদি আবার ক্ষমতায় আসতে পারি তাহলে শান্তি ফিরে আসবে, সমস্ত ব্যাথা-বেদনা দূর হবে। আমি জাতীয় পার্টিকে ক্ষমতায় দেখে মরতে চাই।

তিনি রবিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার নবীনগর পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা জাতীয় পার্টি আয়োজিত এক জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উপদেষ্টা ও নবীনগর উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক কাজী মামুনুর রশীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক রাষ্ট্রপতি এইচ.এম, এরশাদ আরো বলেন, মানুষ পরিবর্তন চায়, শান্তি চায় এবং জীবনের নিরাপত্তা চায়। তারা আশা করে জাতীয় পার্টি ক্ষমতায় গেলে সেটা পেতে পারে। শান্তির জন্য পরিবর্তন শুধু জাতীয় পার্টি দিতে পারে। আর কেউ পারবে না। জাতীয় পার্টিকে নির্বাচনমুখী দল উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, কে নির্বাচনে আসলো, কে আসলো না আমরা পরোয়া করি না। আমরা নির্বাচনে বিশ্বাসী। নির্বাচন না করলে সরকারের পরিবর্তন হবে না। নিজের শাসনামলের শান্তির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাস্তার পাশে মরদেহ পড়ে থাকে, মানুষ বিচার পায় না। আমরা ক্ষমতায় গেলে দেশে খুন-হত্যা বন্ধ হবে। ব্যাংক লুট হবে না, গায়েবি মামলা হবে না। আমরা মানুষকে সুখ-শান্তি দেব। যদি কারচুপির নির্বাচন না হয় তাহলে জাতীয় পার্টি আবারো ক্ষমতায় আসবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, নবীনগর আমাদের আসন ছিল। আমরা এ আসনটি ফেরত চাই। এ আসনের প্রার্থী কাজী মামুন। যে আসন আমাদের হাত ছাড়া হয়েছিল । কাজী মামুন নির্বাচিত হবে এ আসন থেকেই। আমরা নির্বাচনমুখী দল। আসন্ন নির্বাচনে আমরা অংশ গ্রহন করবো। পরে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে কাজী মামুনুর রশীদকে সকলের সামনে পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি তার জন্য ভোট চান।

উপজেলা জাতীয় পার্টির সদস্য সচিব মুসলেম উদ্দিন মৃধার পরিচালনায় জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির কো চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী জি. এম. কাদের।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আগে নির্বাচনে যে উৎফুল্লতা দেখেছিলাম, এখন সেটা নেই। সরকার বলছে যথাসময়ে নির্বাচন হবে আর তাদের প্রতিপক্ষ বলছে ৭ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন হবে না। তবে জাতীয় পার্টি যে কোনো সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আছে। যদি সব দল নির্বাচনে অংশ নেয় তাহলে আমরা মহাজোটে থেকেই নির্বাচন করব।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার এমপি বলেন, জাতীয় পার্টি ধ্বংসে নয়, উন্নয়ন ও কল্যাণে বিশ্বাস করে। হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ক্ষমতায় থাকার সময় দেশে গুম-খুন ছিল না। জাতীয় পার্টি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। জনগণের ভোটে জাতীয় পার্টি আবারো ক্ষমতায় আসবে।

জনসভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২-(সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা জাতীয় পার্টির আহবায়ক অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম ভূইয়া।

উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়, ঢাকা মহানগর (উত্তর) জাতীয় পার্টির সভাপতি ফয়সাল হোসেন চিশতি, কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টি নেতা মেজর (অবঃ) খালেদ আকতার, নুরুল ইসলাম নুরু, ইকবাল হোসেন রাজু প্রমুখ।
###

নবীনগরে জাতীয় পার্টির জনসভায় হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ

botvনিউজ:

ইসলামী যুব খেলাফত নবীনগর উপজেলা শাখা কমিটি গঠন উপলক্ষে গতকাল রবিবার সকাল ১০টায় স্থানীয় ইসলামী ঐক্যজোট কার্যালয়ে এক যুব প্রতিনিধি সম্মেলন মাওলানা সাদেকুল ইসলাম মহল্লীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন ইসলামী ঐক্যজোট জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী ঐক্যজোট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মাওলানা মেহদী হাসান, জেলা ইসলামী ঐক্যজোট নেতা হাজী মোবারক হোসেন, মাওলানা শাহীন মোল্লা, ইসলামী ঐক্যজোট নবীনগর উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাসউদুর রহমান প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান বলেন, যুব সমাজ হচ্ছে দেশ, জাতি ও ইসলামের আশা আকাঙ্খার প্রতিক। বর্তমান যুব সমাজের অবস্থা অত্যন্ত হতাশাজনক। ইসলামের দুশমনদের ষড়যন্ত্রের পাতা ফাদে পা দিয়ে যুব সমাজ তাদের গৌরবময় অতীত ইতিহাস ভুলতে বসেছে। যুবকদের নৈতিক চরিত্রের অবক্ষয় আজ গোটা জাতিকে পুঙ্গ করে দিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, যুবসমাজকে আল্লাহ প্রদত্ত যৌবনের মহা মূল্যবান সময়কে আল্লাহর হুকুম মতো পরিচালনা করার জন্য যুব সমাজকে ইসলামের ছায়া তলে আসার পাশাপাশি ইসলাম প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যেতে হবে।

যুব প্রতিনিধি সম্মেলনে মাওলানা সাদেকুল ইসলাম মহল্লীকে সভাপতি ও মাওলানা গাজী মাজহারুল হক যুক্তিশাহীকে সাধারণ সম্পাদক করে ৫১ সদস্য বিশিষ্ট ইসলামী যুব খেলাফত নবীনগর উপজেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়।
###

নবীনগরে ইসলামী যুব খেলাফতের সম্মেলন অনুষ্ঠিত

botvনিউজ:

২১/০৭/১৮ ইং তারিখে শিবপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই/ইহসানুল হাসান এর নেতৃত্বে এএসআই/মোঃ মশিউর রহমান তার সংগীয় ফোর্সসহ ১৯:৫০ ঘটিকার সময় শিবপুর ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামে মাদক উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযান কালে কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী মোঃ শামীম (৩৩) পিতা-শুক্কু মিয়া, সাং-মিরপুর পশ্চিম পাড়া, থানা-নবীনগর, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মিরপুরস্থ মিন্টু মিয়ার বাড়ীর সামনে রাস্তার উপর হতে ৫৩ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার করেন। আসামীর বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য আইনে মামলা রুজু করে তাকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করা হয়েছে।

                                                                         ###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে ইয়াবাসহ গ্রেফতার-০১

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থেকে অপহরনের শিকার দুই ছাত্রীকে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার ভোরে ও গত শুক্রবার বিকেলে নবীনগর থানা পুলিশের পৃথক অভিযানে তারা উদ্ধার হয়। এ সময় দুই অপহরকারিকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, নবীনগর উপজেলার কাইতলা গ্রামের বাছির মিয়ার ছেলে রবিউল মিয়াকে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া থেকে এবং উপজেলার আলীয়বাদ গ্রামের ফুরকান মিয়ার ছেলে এমদাদুল হক নাদিমকে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরা দু’জন দুই শিক্ষার্থীকে অপরহন করেছিল।শনিবার গ্রেপ্তারকৃতদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আসলাম সিকদার জানান, গত ১০ দিন আগে উপজেলার রসুল্লাবাদ গ্রামের নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণ করে নিয়ে যায় রবিউল। অন্যদিকে মাসখানেক আগে উপজেলার বিটঘর গ্রামের এইচএসসি পড়–য়া এক ছাত্রীকে অপহরণ করে নাদিম। এসব ঘটনায় থানায় পৃথক মামলা হয়।
###

নবীনগরের দুই ছাত্রী চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় উদ্ধার ॥ দুই অপহরণকারি গ্রেপ্তার

 

সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে দুইজন- আল-আমীন শাহীন ও কাউছার এমরান।

সাধারণ সম্পাদক পদে দুইজন  জাবেদ রহিম বিজন  ও দীপক চৌধুরী বাপ্পি ।

botv নিউজ:

বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় সভাপতি সহ ৯ পদপ্রার্থী নির্বাচিত ॥ সিনিয়র সহ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আজ ভোট গ্রহণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এই নির্বাচনে ইতোমধ্যে বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় সভাপতি পদ সহ ৯ পদপ্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন । নির্বাচনে সিনিয়র সহ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুটি পদে ভোটগ্রহণ হবে । এর মধ্যে সিনিয়র সহ সভাপতি পদে আল আমীন শাহীন এবং আ ফ ম কাউসার এমরান , সাধারণ সম্পাদক পদে দীপক চৌধুরী বাপ্পী এবং জাবেদ রহিম বিজন প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব নির্বাচনের নির্বাচন কমিশনার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহের নিগার সাক্ষরিত পত্রে জানা গেছে, বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিতরা হচ্ছেন সভাপতি পদে খ আ ম রশিদুল ইসলাম,

সহ সভাপতি পদে মফিজুর রহমান লিমন ,

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা,

কোষাধ্যক্ষ পদে নজরুল ইসলাম শাহজাদা,

দপ্তর সম্পাদক পদে ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ,

পাঠাগার ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে মোশাররফ হোসেন বেলাল,

সাংস্কৃতিক ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক পদে শিহাবউদ্দিন বিপু ,

কার্যকরী সদস্য পদে শাহজাহান সাজু ও মজিবুর রহমান খান।

৭মে-২০১৮ইং প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে দুপুর ২ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত এই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

###

৭মে নিবার্চন, কে হবে প্রেসক্লাব সম্পাদক/সহ-সভাপতি।

ফেসবুকে আমরা..