সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে সোমবার বিকেলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) উপস্থিতিতে দাঙ্গা বিরোধী শপথ নেয়ার কয়েক ঘন্টা পরেই প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে দাঙ্গাবাজরা। হামলাকারীরা প্রতিপক্ষের পাঁচ-ছয়টি বাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক লুটপাট করে। গত সোমবার রাতে উপজেলার অরুয়াইল ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে। হত্যা মামলাকে ভিন্নখাতে নিতে আসামী পক্ষটি হামলা ভাঙচুরের ‘নাটক’ সাজাতে পারে বলেও পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৩ অক্টোবর রাজাপুর গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলায় আহত মোঃ আবদুল কাদিরের ছেলে মোঃ আবদুল্লাহ মিয়া (৬৫) নামের এক বৃদ্ধ গত ২৫ অক্টোবর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকার একটি হাসপাতালে মারা যান। গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রাজাপুর গ্রামের চকবাজারে সাফিল মিয়ার সাথে তার প্রতিবেশি মনির মিয়ার বাগবিতন্ডা হয়। এ ঘটনার জের ধরে সাফিল মিয়ার বাড়িতে হামলা হয়।

এতে আহত হন আবদুল্লাহ মিয়া। আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে কিশোরগঞ্জ জেলার কুলিয়ারচর হাসপাতালে ও পরে ঢাকার মোহাম্মদপুর সিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আব্দুল্লাহ মিয়ার মৃত্যুর খবরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। প্রতিপক্ষের কয়েকটি বাড়িতে হামলার ঘটনাও ঘটে।

এ অবস্থায় গত সোমবার বিকেলে ওই গ্রামে দাঙ্গা বিরোধী সমাবেশের ডাক দেয় সরাইল থানা পুলিশ। এতে ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। ওই সভায় সবাইকে হাত উঁচিয়ে দাঙ্গায় না জড়ানোর শপথ করানো হয়।

‘হে সৃষ্টিকর্তা আমরা আপনাকে সাক্ষী রেখে শপথ করেতেছি যে, আমরা আজ থেকে কোনো মারামারি, দাঙ্গাহাঙ্গামায় লিপ্ত হবো না। নিজেদের মধ্যে কোনো বিরোধ হলে নিজেরা মীমাংসা করে নিবো। না হলে প্রশাসনের শরনাপন্ন হবো। আজ থেকে কোনো দিন অস্ত্র হাতে তুলে নিবো না। হে সৃষ্টিকর্তা আপনি আমার শপথ কবুল করুন। আমিন’। এই বলে শপথ নেন গ্রামবাসী। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে গ্রামের লোকজন কিছু দেশীয় অস্ত্রও জমা দেন। সমাবেশ শেষ হওয়ার কয়েক ঘন্টা পরই আসামী পক্ষের পাঁচ-ছয়টি বাড়িতে হামলা, লুটপাটের ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে অরুয়াইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বলেন, ‘সোমবার সমাবেশ শেষ করার পরই কয়েকটি বাড়িতে হামলা হয়। পুলিশের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করছি।
সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহাদাৎ হোসেন টিটু বলেন, ‘ওই এলাকায় আমরা সমাবেশ করেছি। এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে। পুলিশ ওই গ্রামে যাওয়া-আসা করছে। তবে হত্যা মামলাটি ভিন্নখাতে নিতে বাড়িঘর ভাঙচুরের ঘটনা সাজানো হতে পারে।
###

সরাইলে বিকেলে পুলিশের সাথে দাঙ্গা বিরোধী শপথ রাতে প্রতিপক্ষের বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর!

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় সোমবার সকালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর, বাংলাদেশের সংবিধান প্রণেতাদের অন্যতম, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি মন্ডলীর সদস্য, সাবেক সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী অ্যাডঃ আনিসুল হকের পিতা অ্যাডঃ সিরাজুল হকের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

এ উপলক্ষে শহীদ স্মৃতি ডিগ্রী কলেজ মাঠে উপজেলা ছাত্রলীগের উদ্যোগে কোরআনখানি, দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক অধ্যক্ষ জয়নাল আবেদীন।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শাখায়্যাত হোসেন নয়নের পরিচালনায় সভায় অন্যান্যদের বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূঁইয়া, উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা সেলিম ভূইয়া, আব্দুল হালিম হেলাল, ড. আব্দুল্লাহ ভূইয়া বাদল, উপজেলা যুবলীগ নেতা আতাউর রহমান নাজিম, আব্দুল মমিন বাবুল, মনির খান প্রমুখ।

এদিকে প্রয়াত সিরাজুল হকের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রক্তদানে উৎসাহ দিতে সেচ্ছায় রক্তদানকারী সংগঠন ‘আত্মীয়’ গণস্বাক্ষর ও কমপোর্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টার বিনামূল্যে রক্তের গ্রুপ নির্ণয় ও সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন করে।
###

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহচর অ্যাডঃ সিরাজুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জেলা পরিষদের উদ্যোগে ৬শতাধিক মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে প্রায় সাড়ে ১৭ লাখ টাকার শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে।

এ উপলক্ষ্যে সোমবার দুপুরে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল আলম এমএসসি।

জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নোয়াব আসলাম হাবিবের সভাপতিত্বে ও সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল হামিদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল হোসেন আজাদ, জেলা পরিষদ সদস্য আসাদুজ্জামান চৌধুরী, সৈয়দা নাখলু আক্তার প্রমূখ। পরে অতিথিগন জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি’র ৬৬৮ জন মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে ১৭ লাখ ৪৪ হাজার টাকা বিতরণ করেন।
###

জলা পরিষদের উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৬ শতাধিক শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদান

সুমন আহম্মেদঃ
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রাক্তন উপমন্ত্রী অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর রোববার সকালে পৌনে ৯টার দিকে তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন (ইন্নাল্লিাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ৬৮ বছর বয়সে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

হুমায়ুন কবির মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন এবং দু’বার ব্রাহ্মণবাড়িয়া -৩ আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি জেলা আওয়াামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ছিলেন। তাঁর স্ত্রী নায়ার কবির ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার বর্তমান মেয়র। হুমায়ুন কবীরের দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

বরেণ্য রাজনীতিবিদ হুমায়ুন কবীর ১৯৫২সালের ২ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের পৈরতলায় জন্মগ্রহন করেন। তার পিতার নাম বজলুর রহমান ও মাতার নাম উকিলুন্নেচ্ছা। হুমায়ুন কবীর ছাত্র জীবনে ১৯৭০সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের ভিপি ছিলেন। পরে তৎকালীন মহকুমা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধে তিনি সম্মুখ যুদ্ধে অংশগ্রহন করেন। ১৯৭৭সালে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কনিষ্ঠতম পৌর চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন।

১৯৮৪সালে তিনি পূনরায় পৌর চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালে তিনি প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।১৯৮৭সালে তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ উপ-মন্ত্রীর দায়িত্ব প্রাপ্ত হন। এসময় তিনি জেলার বিভিন্ন উন্নয়মূলক কাজ বিশেষ করে শিক্ষা ক্ষেএে ব্যাপক অবদান রাখেন। অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবীর র্দীঘদিন যাবত ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্ট ও হৃদরোগ সহ নানান রোগে ভুগছিলেন। সর্বশেষ অসুস্থতা থাকায় তাকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। সেখানে সুস্থ হলে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে আসা হয়।

যুক্তরাষ্টে থাকা তার একমাএ মেয়ে এলিন কবীর দেশে আসলে সোমবার তাকে পৈরতলা পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
###

চলে গেলেন সাবেক উপমন্ত্রী হুমায়ুন কবীর

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই ও সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছোট ভাই খন্দকার বাবর পরিচয়দানকারী প্রতারক মোঃ ইয়াছিন খাঁ ওরফে খন্দকার বাবর-(৪০) নামে এক ব্যাক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় হাফেজ মুফতি আব্দুর রহিম-(৩৩) নামে তার এক সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করা হয়।

শনিবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান এই তথ্য জানান।

এর আগে গত শুক্রবার দুপুরে বরিশাল সদর উপজেলার কোতোয়ালী এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃত প্রতারক মোঃ ইয়াছিন খাঁ ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের মরহুম মোঃ সোলেমান খাঁর ছেলে এবং গ্রেপ্তারকৃত হাফেজ মুফতি আব্দুর রহিম কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলার মনোহরদিয়া গ্রামের মৃত সাহার আলীর ছেলে। মুফতি আবদুর রহিম বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার চেলিখলা গ্রামের পশ্চিমপাড়ার শাহী জামে মসজিদে ইমামতি করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর থানায় দায়েরকৃত একটি মামলার আসামী হিসেবে পুলিশ শুক্রবার দুপুরে তাদেরকে বরিশাল থেকে গ্রেপ্তার করেন।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান জানান, প্রতারক ইয়াছিন খাঁ নিজেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেয়াই ও সাবেক মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ছোট ভাই খন্দকার বাবর এবং সরকারি বড় কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে চাকরি দেয়ার নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নবীনগর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের আবু মুছার ছেলে মোঃ ইছহাককে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি দেয়ার নাম করে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন সময়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা গ্রহণ করেন। পরে ইছহাকের চাকরী না হলে ইছহাকের পরিবার তাদের বিরুদ্ধে নবীনগর থানায় মামলা দায়ের করেন।

পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর ইয়াছিন আমাকে মোবাইল ফোনে ফোন করে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। সে জানায় চাকরি দেয়ার জন্য নেয়া টাকা সে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দিয়েছে। কিন্তু তারা চাকরি প্রার্থীর কথা ডিআইজি-এসপিকে বলেননি। পরবর্তীতে আমরা তদন্তে জানতে পারি সে একজন প্রতারক। মূলত সরকারের বড় কর্মকর্তা পরিচয়ে চাকরি দেয়ার নাম করে মানুষের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করাই তার কাজ।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান আরো বলেন, প্রতারক ইয়াছিন খাঁ তাকে মোবাইল ফোনে আরো বলেন, “ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) হওয়ার পেছনে ইয়াছিনের ভূমিকা রয়েছে। সেজন্য তিনি তাকে স্যার বলে ডাকেন। কিন্তু ইয়াছিন তাকে বলেছে আপনি এখন বড় র‌্যাঙ্কের অফিসার, তাই আমাকে স্যার ডাকার দরকার নেই”।

সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আলমগীর হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মেহেদী হাসান, সহকারী পুলিশ সুপার ( পুলিশের বিশেষ শাখা) আলাউদ্দিন চৌধুরী, বিশেষ শাখার ডিআইও-১ ইমতিয়াজ আমম্মেদ ও নবীনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রাজু আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রধানমন্ত্রীর বেয়াই পরিচয়দানকারী প্রতারক ইয়াছিন গ্রেপ্তার

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে শনিবার দিনভর ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ও ডেন্টাল চেকআপ অনুষ্ঠিত হয়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উৎসর্গ ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠনের উদ্যোগে উপজেলার শাহবাজপুর বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ে এই আয়োজন করা হয়।

সকালে শাহবাজপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রাজীব আহমেদ রাজ্জি ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ও ডেন্টাল চেকআপ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

ঢাকার ৫জন চিকিসকসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কয়েকজন চিকিৎসক দিনভর রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেন।

আয়োজকদের অন্যতম উদ্যোক্তা পলি আক্তার জানান, সকাল নয়টা থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত সাড়ে তিন মানুষ ব্লাড গ্রুপিং ও দুইশ’ মানুষ দাঁতের চিকিৎসা নেন।
###

সরাইলে ফ্রি ব্লাড গ্রুপিং ও ডেন্টাল চেকআপ

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আশুগঞ্জ থানা পুলিশের আয়োজনে শনিবার দুপুরে শহরের স্থানীয় রওশনারা জলিল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে র‌্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে গোলত্বর আর জে টাওয়ারের হল রুমে এসে আলোচনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়।

আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো,মাসুদ আলম এর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন আশুগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান মো.হানিফ মুন্সি,আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিমুল হায়দার,উপজেলা পুলিশিং কমিটির আহবায়ক হাজী মো.শফিউল্লা মিয়া,উপজেলা (মহিলা) ভাইস চেয়ারম্যান লিমা সুলতানা,সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো.ইকবাল হোসেন,আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারন সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম সাচ্চু,হাজী.সাইদুর রহমান,রওশনারা জলিল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.রেজাউল আজাদ, পুলিশিং কমিটির সদস্য মো.শাহিন সিকদার,আতাউর রহমান কবির প্রমুখ।

তাছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কমিউনিটি পুলিশিং এর নেতৃবৃন্দ সহ এলাকার সকল শ্রেনী পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সভায় বক্তারা আশুগঞ্জ কে মাদক মুক্ত করার ঘোষনা দেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে কমিউনিটি পুলিশিং ডে উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ রেলস্টেশনের যাত্রীসেবার মান অবনমনের প্রতিবাদ ও বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার দাবিতে মত বিনিমিয় ও প্রতিবাদ সভা করেছে “জাগ্রত আশুগঞ্জবাসী” নামে একটি সংঠন।

বুধবার বিকালে আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের নাসির আহমেদ সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মানবিক আশুগঞ্জসহ উপজেলার বেশ কয়েকটি সংগঠন একাত্বতা পোষণ করেন।

জাগ্রত আশুগঞ্জবাসী সংগঠনের আহবায়ক হাজী মো. ছফিউল্লাহ মিয়ার সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, আহবায়ক কমিটির সদস্য হাজি ছায়েদুল রহমান, মোবারক আলি চৌধূরী, উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক শাহীন শিকদার, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক আতাউর রহমান কবির, আশুগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সাদেকুল ইসলাম সাচ্চু, নবনির্বাচিত সভাপতি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক ও সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, ছাত্রলীগের সভাপতি মারুফ আহমেদ রনিসহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন।

সভায় বক্তারা আশুগঞ্জ রেলস্টেশনের বিভিন্ন সমস্যাগুলো তুলে ধরেন। পাশাপাশি খুব অল্প সময়ের মধ্যে স্টেশনের সমস্যাগুলো সমাধান না হলে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার হুসিয়ারি দেন তারা।
###

আশুগঞ্জ রেলস্টেশন অবনমনের প্রতিবাদে সভা

সুুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত) মুহাম্মদ আলগীর হোসেন বাংলাদেশ পুলিশ চট্রগ্রাম রেঞ্জে আগষ্ট মাসে শ্রেষ্ঠ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন। রবিবার দুপুরে চট্রগ্রাম রেঞ্জ কার্যালয়ে মাসিক অপরাধ ও পর্যালোচনা সভার সভাপতি বাংলাদেশ পুলিশ চট্রগ্রাম রেঞ্জ উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) খন্দকার গোলাম ফারুক বিপিএম (বার) পিপিএম এর কাছ থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান এই পদকটি গ্রহন করেন।

এই ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান জানান বিগত আগষ্ট মাসে মামলা ব্যবস্থাপনায় সার্বিক সাফল্য এর জন্য চট্রগ্রাম রেঞ্জে শ্রেষ্ঠ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসাবে মুহাম্মদ আলমগীর হোসনে নির্বাচিত হয়েছেন।
###

চট্রগ্রাম রেঞ্জে শ্রেষ্ঠ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মুহাম্মদ আলগীর হোসেন

সুমন অহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদক সেবীর হাত থেকে নিজের শিশু কন্যাকে বাঁচাতে আকুতি জানিয়েছেন অসহায় এক মা। নিজের অপ্রাপ্ত বয়স্ক কন্যাকে ওই মাদকসেবীর সাথে বিয়ে দিতে রাজী না হওয়ায় মাদকসেবী আবদুল্লাহ তার মেয়েকে জোর করে বিয়ে করতে চায়। বিয়ে না দিলে মেয়েকে মেরে ফেলার ও মেয়ের সাথে আবদুল্লাহর ছবি যুক্ত করে ফেসবুকে ছবি ছড়িয়ে দেয়ারও হুমকি দেয়।

এ ঘটনায় তিনি (মেয়ের মা) গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগে তার মেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এর কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
অভিযোগ সূত্রে ও ওই নারীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, জেলার আখাউড়া পৌর এলাকার বাসিন্দা ওই নারী তার স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় তার দুই মেয়েকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শহরের দক্ষিণ মৌড়াইলে ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন।

ওই নারীর বড় মেয়ে ২০১৮ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়াবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বুধল ইউনিয়নের ছাতিয়ান গ্রামের আলী আকবরের ছেলে মোঃ আব্দুল্লাহ আল-মামুন তাকে কুপ্রস্তাব দিতো। এক পর্যায়ে সে তার শিশু কন্যাকে বিয়ের প্রস্তাবও দেয়। কিন্তু আব্দুল্লাহ আল-মামুন মাদকাসক্ত হওয়ায় ও তার মেয়ের বিয়ের বয়স না হওয়ায় তিনি বিয়ে দিতে রাজি হন নি।

এক পর্যায়ে আব্দুল্লাহ’র হুমকি-ধামকির মুখে মেয়েটি স্কুল যাওয়া বন্ধ করে দেয়। কিন্তু এতেও পিছু ছাড়ে নি আব্দুল্লাহ। বিভিন্ন সময়ে আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমে সে পুনরায় বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কোন অবস্থাতেই ওই মেয়ের মাকে রাজী করাতে না পেরে আবদুল্লাহ তাদেরকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করাসহ অশ্লীল ছবি ফেসবুকে ছেড়ে দেয়ার হুমকি দেয়।

এমনকি গত ১০ অক্টোবর আব্দুল্লাহ তার মোবাইল ফোন থেকে ওই স্কুল ছাত্রীর মায়ের মোবাইল ফোনে অশ্লীল ছবি পাঠায়।

এ ঘটনায় মেয়ের মা গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগে আব্দুল্লাহ, তার বাবা ও মা, সহযোগি অনিক, অয়ন এবং ওই নারীর বোন নুপুর বেগমসহ সাতজনকে আসামী করা হয়। তবে গতকাল শনিবার দুপুর নাগাদ অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত হয় নি।

এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগকারী ওই মেয়ের মা বলেন, মাদক সেবীর কাছে আমার মেয়েকে আমি বিয়ে দিবো না। এছাড়া আমার মেয়ের বিয়ের বয়সও হয় নি। কিন্তু তারা (ছেলে পক্ষ) আমার মেয়েকে জোর করে বিয়ে করিয়ে নিতে চায়। বিয়ে না দিলে মেরে ফেলবে বলেও হুমকি দিচ্ছে। তিনি বলেন, মেয়েকে নিয়ে বিপাকে আছি। মেয়ের সাথে ওই ছেলের (আবদুল্লাহ) ছবি যুক্ত করে ফেসবুকে ছবি ছড়িয়ে দেয়ারও হুমকি দেয়া হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে গিয়েও কোনো সুরাহা পাইনি।

তিনি বলেন, এর আগে তার মেয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে ওই ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছেলেপক্ষকে ডেকে এনে সতর্ক করে দেন। ছেলেপক্ষ আর বাড়াবাড়ি করবেনা বলে ইউএনওকে আশ্বস্থ করেন। এর পরেও ওই ছেলে আমার মেয়েকে আবার বিরক্ত করায় তিনি পুনরায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে গেলে নির্বাহী অফিসার তাকে এ বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেন ও থানার ওসিকে মোবাইল ফোনে বলে দেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল-মামুনের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘ওই মেয়ের সাথে আমার পারিবারিকভাবে বিয়ের আলাপ চলছিল। মেয়ের পরিবার ১০ লাখ টাকা কাবিন করানোর কথা বলায় বিয়ে হয় নি।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ সেলিম উদ্দিন শনিবার দুপুরে বলেন, ‘এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে এক এস.আই কে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মাদক সেবীর হাত থেকে শিশু কন্যাকে রক্ষায় মায়ের আকুতি

ফেসবুকে আমরা..