ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি নির্ধারিত মাস্ক ব্যবহার না করে চলাচল এবং সরকার নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধি ভঙ্গ করার দায়ে ৩৪ মামলায় ৬৮ হাজার ৬ শত ৯০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। বুধবার দুপুরে পর্যন্ত সদর উপজেলার পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে পৃথক এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়।

সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা পঙ্কজ বড়ুয়ার নেতৃত্বে পৃথক ভ্রাম্যমান আদালত চলাকালে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য ও কিশোর কুমার দাসসহ সদর থানার পুলিশ উপস্থিত ছিলেন।

ভ্রাম্যমানে আদালতে নেতৃত্ব দেওয়া সদর ইউএনও পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত স্বাস্হ্য বিধি মেনে চলার জন্য জনগনকে বাব বার বলা হচ্ছে। কিন্তু তারা মাস্ক না পরেই বাহিরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বুধবার দুপুরে সদর উপজেলার পৌরশহরের বিভিন্ন স্থানে মাস্ক ব্যবহার না করে চলাচল এবং সরকার নির্ধারিত স্বাস্থ্যবিধিমেনে না চলার কারণে সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর ২৫ এর ১(খ) ধারা লংঘনের দায়ে পৃথক পৃথক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ৩৪ টি মামলায় ৬৮ হাজার ৬ শত ৯০ টাকা জরিমানা করা হয়। তিনি বলেন, ভ্রাম্যমান আদালতের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

###

মাস্ক ব্যবহার না করায় ৬৯ হাজার টাকা জরিমানা আদায়

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কর্মহীন শতাধিক ব্রাহ্মণ পুরোহিতের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে শহরের কেন্দ্রীয় মন্দির শ্রীশ্রী আনন্দময়ী কালিমন্দির প্রাঙ্গণে চেয়ারে বসিয়ে পুরোহিতদের মাঝে এইসব ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করাহয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান।
প্রধান অতিথির বক্ত্যবে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বলেন, সারা বিশ্ব এখন কঠিন সময় পার করছে। এতে করে জীবন জীবিকা সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছে। মন্দিরেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে। যার কারণে পুরোহিতদেরও অসুবিধা হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সবদিকেই খোঁজ খবর রাখছেন। তিনি প্রত্যেকের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য সহ সহায়তা নিশ্চিত করেছেন। সমাজের সর্বশ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে সে খাদ্য পৌছে দেয়া হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে আজকে পুরোহিতদের মাঝে এই ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে।

এসময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, সদর উপজেলার নিবার্হী কর্মকতা পঙ্কজ বড়ুয়া, শ্রীশ্রী আনন্দময়ী কালি মন্দিরের ট্রাষ্টি কমিটির সভাপতি প্রানতোষ চৌধুরী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব দীপক চৌধুরী বাপ্পী, প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম সাধারন সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা,
ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিষ্ট এ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক উজ্জল চক্রবর্তী,
ব্রাহ্মণ পুরোহিত কল্যাণ সংঘের সভাপতি হরিশংকর চক্রবর্তী ও ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক প্রবীর আচার্য সহ ব্রাহ্মণ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

###

চেয়ারে বসিয়ে পুরোহিতদের ত্রান দিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা প্রশাসন

প্রেস‌ বিজ্ঞ‌প্তিঃ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের কুট্টাপাড়া এলাকা থেকে ৪৩ কেজি গাঁজা‘সহ মাদক ব্যবসায়ী সজল মিয়া(৩৮)’কে আটক করেছে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প।

১। “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাব যুব সমাজ তথা বাংলাদেশ’কে মাদকের ভয়াল থাবা, সন্ত্রাস, জঙ্গী, ছিনতাই, ডাকাতি, জুয়া, অপহরণ, খুন, ধর্ষণ, অসাধু ডিলার’সহ বিভিন্ন ধরণের অবৈধ কর্মকান্ড থেকে রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশব্যাপী আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

২। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, একটি মাদক ব্যবসায়ী চক্র নিয়মিত মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানা এলাকা হতে দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাইকারি/খুচরা বিক্রয় করে থাকে। উক্ত তথ্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য উক্ত মাদক ব্যবসায়ী চক্রের উপর র‌্যাবের নিরবিচ্ছিন্ন গোয়েন্দা নজরদারী চালানো হয় এবং তথ্যের সত্যতা পাওয়া যায়। জানা যায় অদ্য ১৮/০৫/২০২০ ইং তারিখ রাতে মাদকদ্রব্য গাঁজার একটি বড় চালান ঢাকার উদ্দেশ্যে নিয়ে যাবে। এরই প্রেক্ষিতে ভৈরব র‌্যাব ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পরিচালক চন্দন দেবনাথ এর নেতৃত্বে একটি আভিযানিক দল ১৮/০৫/২০২০ ইং তারিখ অনুমান ২১.৪৫ ঘটিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানাধীন ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের কুট্টাপাড়া এলাকায় লাল পাম্পের সামনে রাস্তার উপর অভিযান পরিচালনা করে ১। মোঃ সজল মিয়া (৩৮), পিতা-মৃত আব্দুল গফুর, সাং-লাখাই, থানা-কালোক, জেলা-হবিগঞ্জ, এ/পি-সাং-আশুগঞ্জ পূর্ব বাজার শরীফ মিয়ার বাসা, থানা- আশুগঞ্জ, জেলা- ব্রাহ্মণবাড়িয়া‘কে আটক করা হয়। আটককৃত আসামীর দখল হইতে (ক) ৪৩ কেজি মাদকদ্রব্য গাঁজা, (খ) মাদক বিক্রির নগদ ৭,৬০০ টাকা উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত আলামতের আনুমানিক মূল্য ১২,৯৭,৬০০/- টাকা। ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।

রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার
সিনিয়র সহকারী পরিচালক
কোম্পানী অধিনায়ক
র‌্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্প।
মোবাঃ ০১৭৭৭৭১১৪৩৩।

৪৩ কেজি গাঁজা‘সহ মাদক ব্যবসায়ী সজল মিয়া(৩৮)’কে আটক করেছে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-৩, ভৈরব ক্যাম্প।


ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ২৪ ঘন্টা কর্মরত সকল চিকিৎসকদের মাসব্যাপী ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান কর্মসূচি হাতে নিয়েছে আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস।

ইতোমধ্যে কোম্পানিটির পক্ষে আজ শনিবার থেকে এসব সামগ্রী বিতরণ শুরু করা হয়েছে।

কর্মসূচীর প্রথম দিনে কোম্পানির আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আজহার উদ্দিন ২৫০-শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. শওকত হোসেনের কাছে সামগ্রী তুলে দেন। এছাড়া জরুরি বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক ফায়েজুর রহমান ও জয়নাল আবেদীনের কাছেও সুরক্ষা সামগ্রী তুলে দেয়া হয়।

 

কোম্পানির আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আজহার উদ্দিন জানান, প্রতিদিন আট ঘন্টা করে পালাক্রমে তিনজন চিকিৎসক জরুরি বিভাগে সেবা প্রদানে নিয়োজিত থাকেন। করোনাভাইরাসের এই সংকটকালে মাসব্যাপী এসব চিকিৎসকদের প্রতিদিন ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী দিবে কোম্পানি।

চিকিৎসকদেরকে দেয়া সুরক্ষা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে- এন-৯৫ মাস্ক, সার্জিকেল মাস্ক, হাতের গ্লাভস, মপ ক্যাপ, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সু কাভার।

সুরক্ষা সামগ্রী হাতে পেয়ে ডা. ফায়েজুর রহমান বলেন, ইমার্জেন্সির ডাক্তাররা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকেন। এসব ডাক্তারদের প্রতিদিন ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী প্রদান সত্যিকার অর্থেই প্রশংসনীয় উদ্যোগ। এমন মহৎ কাজটি ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে একমাত্র আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালসই করে যাচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. শওকত হোসেন বলেন, এর আগেও আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস কর্তৃপক্ষ হাসপাতালে কর্মরত সকল চিকিৎসকদের পিপিইসহ যাবতীয় নিরাপত্তা সামগ্রী প্রদান করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এবার মাসব্যাপী কর্মসূচীর আওতায় প্রতিদিন সামগ্রী দিয়ে কোম্পানিটি বিশেষ মানবিকতার প্রমান দিয়েছে, যা অন্য কোন বেসরকারি ওষুধ উৎপাদনকারি কোম্পানি করেনি।

উল্লেখ্য, করোনা সংক্রমণ শুরুর দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত সকল সাংবাদিক ও চিকিৎসকদেরকে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী ও ওষুধ প্রদান করেছিল আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চিকিৎসকদের মাসব্যাপী সুরক্ষা সামগ্রী দিবে আল-মদিনা ফার্মাসিউটিক্যালস

 মোঃ আজহার উদ্দিনঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনার মহামারী পরিস্থিতিতে সেচ্ছাসেবী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ফেইসবুক ভিত্তিক অনলাইন গ্রুপ “সহায়ক” এর উদ্যোগে সুবিধাবঞ্চিত ও কর্মহীন মানুষদের ইফতার করানো হয়েছে। শুক্রবার (১লা মে) বিকেলে মধ্যপাড়া কাদির ডাক্তারের মোড় হতে জেলা পরিষদ পর্যন্ত শতাধিক সুবিধাবঞ্চিত ও কর্মহীদের মানুষদের মাঝে ইফতার বিতরণ করা হয়।

“সহায়ক” এর এডমিন ও প্রতিষ্ঠাতা, এশিয়ান টিভি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার স্টাফ রিপোর্টার হাবিবুর রহমান পারভেজ বলেন- “সহায়ক” ফেইসবুক ভিত্তিক একটি অনলাইন গ্রুপ। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস মহামারী রুপ ধারণ করার পর, এপ্রিলের প্রথমদিকে  ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা আক্রান্ত এবং করোনাপীড়িতদের সাহায্যর্থে সেচ্ছাসেবী ফেইসবুক ভিত্তিক গ্রুপ “সহায়ক” এর টিম গঠন হয়। তিনি আরোও বলেন- করোনা মোকাবিলায় জনগণের সচেতনতা বাড়াতে এবং মানুষের সাহায্যার্থে প্রথম থেকেই কাজ করে আসছে “সহায়ক” গ্রুপের প্রতিষ্ঠাকালীন সেচ্ছাসেবী সদস্যসহ অনেকেই।
“সহায়ক” গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মোডারেট মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন- করোনায় অসহায় মানুষের কষ্ট ও দুর্দশা দেখে তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্যই ফেইসবুক ভিত্তিক অনলাইন গ্রুপ “সহায়ক” করি। তিনি বলেন- এর আগেও “সহায়ক” এর পক্ষ হতে করোনাপীড়িতদের মাঝে ত্রান ও নিরাপত্তা সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। তার ধারাবাহিকতায় এবার রান্না করা ইফতার বিতরণ করা হয়েছে। সুবিধাবঞ্চিত ও কর্মহীন মানুষদের জন্য “সহায়ক” এর সকল কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
সুবিধাবঞ্চিত ও কর্মহীন মানুষদের মাঝে ইফতার বিতরণকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের যুগ্নসাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যায়যায়দিন এর স্টাফ রিপোর্টার বাহারুল ইসলাম মোল্লা ও দ্যা ডেইলি স্টার জেলা প্রতিনিধি মাসুক হৃদয়সহ, “সহায়ক” গ্রুপের অন্যান্য সেচ্ছাসেবী সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
#

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সুবিধাবঞ্চিত ও কর্মহীন মানুষদের ইফতার করালেন- সহায়ক

মাশুক হৃদয়ঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অভিযানে ৬৯ জনের কাছ থেকে দেড় লাখেরও অধিক টাকা জরিমানা আদায় করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সরকারি নির্দেশনা না মেনে অহেতুক ঘর থেকে বের হওয়া, অবাধ চলাচল ও গণজমায়েত করার ও অযথা দোকান খোলার জন্য অভিযানে তাদেরকে জরিমানা করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, দিনব্যাপী জেলা সদরসহ নয়টি উপজেলার ইউএনও ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) এবং জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেট একাধিক
ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এসব আদালত ৬৯ জনকে এক লাখ ৬২ হাজার একশ’ টাকা জরিমানা করেছেন।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য জানান, সরকার ঘোষিত আইন মানার জন্যে জনসাধারণকে বার বার বলা হচ্ছে। এই আদেশ অমান্য করে অনেকেই বিনা কারণে বাইরে ঘুরে বেড়ানো ও সামাজিক দূরত্ব না মেনে গণজমায়েত করা ও দোকান খোলার দায়ে অভিযান চালানো হচ্ছে।

অযথা ঘোরাঘুরি : ৬৯ জন গুণলেন জরিমানা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া: প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংকট মোকাবেলায় অস্বচ্ছল ও কর্মহীন হয়ে পড়া শিল্পীদের পাশে দাঁড়িয়েছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি। করোনা ও লকডাউনের কারণে সংকটে থাকা জেলা শহরের অর্ধশত বাউলশিল্পী, কণ্ঠশিল্পী, যন্ত্রশিল্পী, আবৃত্তিশিল্পী, নাট্যশিল্পীদের হাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর-৩ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদিরী চৌধুরীর সহায়তায় জেলা শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে একহাজার করে নগদ টাকা ভালোবাসা হিসেবে তুলে দেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (৩০এপ্রিল) সকালে জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে শিল্পী ও শিল্পের প্রতি ভালোবাসা বিনিময় শীর্ষক অনুষ্ঠানে এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার, সাধারণ সম্পাদক এসআরএম উসমান গনি সজিব, যুগ্ম-সম্পাদক মো.মনির হোসেন, আনোয়ার হোসেন সোহেল, কার্যকরী সদস্য বাছির দুলাল।

এ ব্যাপারে জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক এসআরএম উসমান গনি সজিব জানান, জেলা শিল্পকলা একাডেমি নিজস্ব উদ্যোগ নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্যের সহযোগিতায় কর্মহীন হয়ে পড়া অস্বচ্ছল শিল্পীদের পাশে ভালোবাসার হাত প্রসারিত করার প্রয়াসেই এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা চালিয়েছে। এই দুঃসময়ে শিল্পীদের প্রতি এমন ভালোবাসা দেখানোও জরুরী মনে করেছি।

করোনা সংকটে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় শিল্পিদের পাশে শিল্পকলা একাডেমী

জাবেদ রহিম বিজন/নিজস্ব প্রতিবেদক:দৈনিক মানবজমিন

ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে ‘বি,বাড়িয়া’ এবং ‘বলদ বাড়িয়া’ বলে কটাক্ষ করায়  চিকিৎসক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ডা. আব্দুন নূর তুষারের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেল বাদী হওয়া এই মামলার এজহার জমা দেয়া হয়। ডা. তুষারের ফেসবুকে দেয়া ওই পোস্ট শেয়ারকারী ৩ জনসহ অজ্ঞাত আরও ৬৩৬ জনকে আসামি করা হয়েছে মামলায়।

 

মামলার এজহারে বলা হয়, গত ২০শে এপ্রিল সন্ধ্যা ছয়টায় ডা. আব্দুন নূর তুষার তার ফেসবুক আইডি থেকে একটি স্ট্যাটাস পোস্ট দেন। ওই স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন ‘আজ ২০-০৪-২০২০ ইং শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ, বগুড়ায় করোনা ভাইরাস কোভিড- ১৯ পরীক্ষার আরটি পিসিআর ল্যাব উদ্বোধন করা হয়। সামাজিক দূরত্বের নমুনা দেখুন। পুরো দেশটাই বি-বাড়িয়া বলদ বাড়িয়া’। এজাহারে বলা হয় ডা. তুষার কোনো কারণ ব্যাতিত এবং অনুল্লেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে বি-বাড়িয়া মর্মে বিকৃত উচ্চারণে উপস্থাপন করে আইন ভঙ্গ করেছেন। ২০১১ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন প্রজ্ঞাপন দ্বারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সংক্ষিপ্ত রূপ বি-বাড়িয়াকে আইনগতভাবে নিষিদ্ধ ও শাস্তিযোগ্য ঘোষনা করেছে উল্লেখ করে এজাহারে বলা হয় তার এই নেতিবাচক উপস্থাপনা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার প্রায় ৩২ লাখ মানুষের মনে ক্ষোভ ও উত্তেজনা উস্কে দিয়েছে।

এই পোস্ট দিয়ে যে কোনো সময় যে কোনো স্থানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সন্তানদের বিবাদ ও কলহের সম্মুখীন হওয়ার পথ সুগম করে দিয়েছেন ডা. তুষার। রবিউল হোসেন রুবেল বলেন, আসামিদের এই অপকর্মে সমগ্র জেলাবাসীর মতো আমিও অপমানিত ও মর্মাহত হয়েছি। বলদ বাড়িয়া বলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৩২ লাখ মানুষকে অপমান করা হয়েছে।এর মাধ্যমে অন্য জেলার মানুষের সাথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মানুষের সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মুহাম্মদ শাহজাহান জানান, জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে মামলাটি নথিভুক্ত করা হবে।

এরআগে বিশিষ্ট সাংবাদিক জ.ই মামুন তার ফেসবুক পোষ্টে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে নিয়ে মন্তব্য করলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। পরে তিনি ক্ষমা চেয়ে আরেকটি পোষ্ট দেন। ১৮ই এপ্রিল মাওলানা যোবায়ের আহমেদ আনসারীর নামাজে জানাযায় লাখো লোকের সমাগমের পর তিনি পোষ্ট দেন- ‘এখন কাউকে গালি দিতে ইচ্ছে করলে বলা যাবে-তুই একটা ব্রাহ্মণবাড়িয়া

বি,বাড়িয়া’ এবং ‘বলদ বাড়িয়া’ বলে কটাক্ষ করায় ডা. তুষারের বিরুদ্ধে মামলা

করোনা পরিস্থিতিতে জনসমাগমের মতো অপরাধ শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়া নয় দেশের সবজায়গায়ই প্রতিনিয়ত ঘটছে জানিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের এমপি র. আ. ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সরকার ও স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে যখন সারাদেশে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে ঠিক সেই মুহূর্তে একটি ইসলামি উপদলনেতা মাওলানা যুবায়ের আহমেদ আনসারির মৃত্যুতে অনুষ্ঠিত জানায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লাখো মানুষের সমাগম ঘটানো নিঃসন্দেহে একটি গর্হিত কাজ বলে আমি মনে করি। তবে এই জানাজা প্রসঙ্গ নিয়ে একটি মহল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইচ্ছাকৃতভাবে সমগ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিরুদ্ধ একটি অঘোষিত যুদ্ধ শুরু করেছে। এই প্রসঙ্গ নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ার একজন স্থায়ী বাসিন্দা হিসেবে আমার কিছু বলার আছে।

রোববার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এই সভাপতি বলেন, প্রথমত জানাজার নামাজ আদায় করা একটি ধর্মীয় সংস্কৃতি ও অনুশাসন। এটি প্রতিপালন করা ফরজে কেফায়া। সমাজের ৫-১০ জন লোক আদায় করলেই পুরো সমাজের পক্ষ থেকে আদায় হয়ে যায়। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেলো বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করা কোভিড-১৯ আতঙ্কের মধ্যে সরকারি বিধি নিষেধের তোয়াক্কা না করে আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর নেতার জানাজায় ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জ ও হবিগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা লাখো মানুষের অংশগ্রহণ করতে দেখেছি। এই ঘটনাটি আমিসহ সারাদেশের সচেতন মানুষের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। মহামারির মধ্যে শোকসন্তপ্ত পরিবারের পক্ষ থেকে লকডাউন ভঙ্গ করে এ ধরনের গণজমায়েতের আয়োজন সীমালঙ্ঘনের শামিল এবং অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনকও বটে। ‘কিন্তু এ ঘটনার জন্য সেখানের প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি কিংবা পুরো জনপদের মানুষকে দায়ী করার প্রবণতাও একধরনের মূর্খতা। কেননা প্রশাসন কিংবা জনপ্রতিনিধিদের তেমন কিছুই করার থাকে না। মূলত এসব বিষয়ে মানুষের মধ্যে রাষ্ট্রীয় নিয়ম নীতির চেয়ে তথাকথিত ধর্মীয় আবেগ বেশি কাজ করে। যদিও অধিকাংশ বিষয়ের সাথে ধর্মের কোনো মিল খুঁজে পাওয়া যায় না। আমি মাওলানা যুবায়ের আহমেদ আনসারি সম্পর্কে কিছু বলতে চাই না। তাছাড়া এটি আমার নির্বাচনী এলাকাও না। তবে সমগ্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওপর কেউ অযৌক্তিকভাবে কিছু চাপানোর অপপ্রয়াস চালালে সেই জেলার বাসিন্দা হিসেবে আমি চুপ থাকতে পারি না। এ কথা সত্য যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জানাজায় অংশগ্রহণেচ্ছু মানুষদের যদি প্রশাসন বাধা দিত তাহলে সেখানে প্রচুর প্রাণহানির ঘটনা ঘটত। তখন ওই প্রাণহানির ঘটনার দায়-দায়িত্ব কী তথাকথিত বুদ্ধিজীবী ও মিডিয়াকর্মীরা গ্রহণ করতেন?। নিশ্চয় করতেন না। বরং তারা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের ওপরই দায় চাপাতেন। এর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ সংগীতাঙ্গন, শহীদ নীরেন্দ্রনাথ ভাষা চত্বর ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদে যখন ধর্মান্ধ গোষ্ঠী তাণ্ডব চালিয়েছিল তখন কী তারা এর প্রতিবাদ করেছিলেন? করেননি। তখন যদি ওসব অপরাধের বিরুদ্ধে মিডিয়া সোচ্চার হতো তাহলে হয়তো শনিবারের ঘটনাটি ঘটতো না।’

তিনি বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আমরা সবাই ইলেকট্রনিক, টেলিভিশন ও সোস্যাল মিডিয়ায় সবসময় প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছি। কিন্তু তা সারাদেশে কতটুকু কার্যকর করতে পেরেছি? আমরা কী সবার মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে পেরেছি? যখন সরকারি ছুটিতে পোশাক শ্রমিকরা ঢাকা ছেড়ে গ্রামের দিকে ছুটছিল কিংবা এবং পুনরায় ঢাকামুখী হয়েছিল তখন কী তাদের আটকাতে পেরেছি?, পারিনি। শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়া না সমগ্র দেশের চিত্রই এ ধরনের। তাই তো লক্ষীপুরে করোনায় সামাজিক দূরত্ব রক্ষা না করে মোনাজাতে হাজার হাজার মানুষ সমবেত হয়।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, ‘শিক্ষা, সংস্কৃতি ও একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অবদান অবিস্মরণীয় হয়ে আছে। এই জেলায় সুরসম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, বিট্রিশবিরোধী বিপ্লবী উল্লাসকর দত্ত, উপমহাদেশের প্রথম মুসলিম বাঙালি ব্যারিস্টার আব্দুর রসূল, কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি স্যার সৈয়দ শামসুল হুদা, কবি আল মাহমুদসহ অসংখ্য কৃতিসন্তান জন্মগ্রহণ করেন। প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গ্যাস দ্বারা সারাদেশের ৪০ ভাগ চাহিদা পূরণ করা হয়। অথচ একজন ধর্মীয় গোষ্ঠীর নেতার জানাজাকে কেন্দ্র করে সোস্যাল মিডিয়ায় তথাকথিত কিছু সংস্কৃতি ও মিডিয়াকর্মীকে আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালি দিতে দেখেছি।’

‘তাদের মধ্যে মার্জুক রাসেল নামে একজন তথাকথিত কবি ও নাট্যকার তার ফেসবুক পেজে ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে গালি দিয়ে লিখেছেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলাকে কার্যকরী ছয় মাসের জন্য লকডাউন করা হোক। এই ছয়মাস ব্রাক্ষণবাড়িয়ার বিদ্যুৎ বন্ধ করে পুরো দেশের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দিতে হবে। ততোদিনে তাদের.….।’ আমি মনে করি তিনি যদি জানতেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় উৎপাদিত বিদ্যুৎ ও সার দেশের মোট ৩৫-৪০% চাহিদা পূরণ করে তাহলে হয়তো এটি লিখতেন না। যদিও গত ১৩ এপ্রিল লকডাউনের মধ্যে তার জেলায় মসজিদে নামাজ পড়া নিয়ে সংঘর্ষে যুবক নিহত হওয়ার ঘটনার সংবাদ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে।’

এ ছাড়া জয়-ই-মামুনের মতো একজন দায়িত্বশীল মিডিয়াকর্মীকেও দেখলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে নিয়ে গালি দিতে। অথচ আমরা দেখেছি তার জেলার সরকারি কলেজের সামনে প্রকাশ্য দিবালোকে একটি ছেলেকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা ও লকডাউনের মধ্যে হাজার হাজার লোকের সমাগম ঘটিয়ে মৃত ব্যক্তির জানাজা অনুষ্ঠিত হতে। এ ধরনের অপরাধ শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়া নয় দেশের সবজায়গায়ই প্রতিনিয়ত ঘটছে। এসব মূলত সামাজিক অজ্ঞতারই ফসল। আমাদের এসব থেকে বের হয়ে আসার পথ খুঁজে বের করতে হবে। আর সেই পথটি হচ্ছে সকল ধর্মান্ধতা ও মানসিক বিকারগ্রস্ততা থেকে বেরিয়ে এসে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা।’

জানাজায় বাধা দিলে প্রচুর প্রাণহানি ঘটত : মোকতাদির চৌধুরী এমপি

 

সোহেল আহাদ:ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নিয়ে মন্তব্য করায় সাংবাদিক জ.ই.মামুনের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করায় এটিএন বাংলার বার্তা সম্পাদক সাংবাদিক জ.ই. মামুনের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি সুজন দত্ত।

রবিবার (১৯ এপ্রিল) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জর্জ কোর্টে এডভোকেট গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ স্বপনের মাধ্যমে জেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি সুজন দত্ত এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন।

লিগ্যাল নোটিশে উল্লেখ করা হয়, গত শনিবার (১৮এপ্রিল) বিকাল ৪টায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাংবাদিক জ.ই.মামুন নামীয় তার ফেসবুক আইডিতে স্ট্যাটাস দিয়েছেন “এখন কাউকে গালি দিতে ইচ্ছা করলে বলা যাবে-তুই একটা ব্রাহ্মণবাড়িয়া“ যা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ৩২ লক্ষ মানুষের মনে আঘাত লেগেছে। এমন স্ট্যাটাস সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তার দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং তার বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় উঠে।

এরই প্রতিবাদ সরূপ রবিবার (১৯ এপ্রিল) সাংবাদিক জ.ই. মামুনের বিরুদ্ধে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করা হয়।

লিগ্যাল নোটিশে আরো উল্লেখ করা হয়, লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার ১০দিনের মধ্যে উক্ত পোস্ট প্রত্যাহারসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ৩২ লক্ষ মানুষের কাছে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়ে এবং জেলার ৬জন সংসদ মহোদয়ের সাথে স্বাক্ষাতে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার জন্য আহবান করেন। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে প্রচলিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং এর সকল দায় তারই বহন করতে হবে বলে উল্লেখ করেন।

১৯.০৪.২০২০

ফেসবুকে আমরা..