botv news:

চার বছরেও পূরণ হয়নি বিজয়নগর উপজেলার সর্বস্তরের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের দাবি। ২০১৬ সাল থেকে  কুখ্যাত  রাজাকার দেলোয়ার হোসেনের নাম পরিবর্তন করে একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে খাদুরাইল সড়কটির নামকরন করার জন্য উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হয়।

বাধ্য হয়ে এই বিজয়ের মাসে মাঠে নেমে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে উপজেলার সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধারা। বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার চম্পকনগর বাজারে মুক্তিযোদ্ধা কমপে¬ক্স ভবনের   সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন চলাকালে বক্তব্য রাখেন বিজয়নগর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার সার্জেন্ট (অবঃ) তারা মিয়া, সাবেক কমান্ডার ফরিদ আহমেদ ভূইয়া, মুক্তিযোদ্ধা মীর আব্দুল মান্নান, মুক্তিযোদ্ধা জিল্লুর রহমান ভূইয়া, বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হৃদয় আহমেদ, চম্পকনগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নোবেল চৌধুরী প্রমুখ।

বক্তারা অবিলম্বে “রাজাকার দেলোয়ার হোসেন”এর নাম বাদ দিয়ে খাদুরাইল সড়কটি একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নামে নামকরণ করার দাবি জানান।

মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে দেলোয়ার হোসেন উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের শান্তি কমিটির সভাপতি ছিলেন। তার নেতৃত্বে তৎকালীন সময়ে উপজেলার অসংখ্য সংখ্যালঘু পরিবারের বাড়ি-ঘরে অগ্নি সংযোগ লুটপাট করা হয়েছিল।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে কুখ্যাত রাজাকার দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে  ব্রাহ্মণবাড়িয়া থানায় দালাল আইনে মামলা করা হয়।  ওই মামলায় রাজাকার দেলোয়ার হোসেন ৩ মাস ১০ দিন কারাবাস করেন। বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে আবার মাথাচারা দেয় কুখ্যাত রাজাকার দেলোয়ার হোসেনের পেতাত্বরা।  উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের  খাদুরাইল গ্রামের সড়কটি “রাজাকার দেলোয়ার হোসেনের নামে নামকরণ করা হয়।

২০১৬ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসকের বরাবর এই নাম পরিবর্তনের আবেদন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার। বাস্তবায়ন না করায় এই বিজয়ের মাসে মাঠে নেমেছে উপজেলার সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধারা।

এ ব্যাপারে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের প্রশাসক মোঃ ইয়াছিন আরাফাত বলেন, আমি এই উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি। এ ব্যাপারে দ্রুত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন করা হবে।

মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল উপজেলার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

 

চার বছরেও বাস্তবায়ন না হওয়ায় সর্বস্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন।

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য ও বে সামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, ১৯৭১ সালে যারা তথাকথিত নিরপেক্ষতার নামে আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিলো এবং পরোক্ষভাবে পাকিস্তানীদের সহযোগীতা ও সমর্থন করেছিলো তাদের সন্তানেরা, দালালদের সন্তানেরা আজ বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের বিরোধিতা করছে।
তিনি গতকাল রোববার বিকেলে স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রতিবাদে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের বিক্ষোভ মিছিল মিছিল পূর্ব সমাবেশে একথা বলেন।
এ সময় তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য মানে বাংলাদেশের ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য মানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে তোমাদের কোনো সহযোগিতা পাইনি। তারপর আল¬াহর রহমতে যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করতে পেরেছি। আগামীদিনেও তোমাদের সহযোগীতা ছাড়াই আমরা এগিয়ে যাবো। তোমাদের সাহায্যের কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদের আল্লাহর  সাহায্য প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে তোমরা তথাকথিত নিরপেক্ষতার নামে হানাদার বাহিনীকে নারী নির্যাতন থেকে শুরু করে সকল অপকর্মে সহযোগিতা করেছিলে। সেই কথা আমরা এখনো ভুলিনি। সুতরাং আস্ফালন করবা না। আস্ফালন করলে দাঁত ভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে।
তিনি হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে কোন আপোষ করা হবেনা।
এর আগে স্থানীয় শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বর থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোকতাদির চৌধুরী এমপি ও সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকারের নেতৃত্বে জেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গ-সহযোগীদের নেতা-কর্মীদের এক বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে স্থানীয় লোকনাথ উদ্যান (টেংকের পাড়) গিয়ে শেষ হয়।

বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য মানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, আস্ফালন করলে দাঁতভাঙ্গা জবাব দেয়া হবে

botv news:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা নির্বাচনে কে হবে দলীয় প্রার্থী তা নিয়ে (৫ডিসেম্বর শনিবার) ছিল  তৃনমুল নেতাকর্মীদের মত প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম ভোট।

বাংলাদেশ আওয়মীলীগের কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জেলা আওয়ামীলীগের পূর্বঘোষিত তারিখ ছিল। এজন্য জেলা শিল্পকলা একাডেমিকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে সন্ধ্যা পযর্ন্ত দিনটি ছিল সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের পদভরে উত্তাল।

কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ি (জেলা আওয়ামীলীগ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও পৌর আওয়ামীলীগ) এই তিন ইউনিটের ৩০ জন নেতাকর্মী ভোট দেওয়ার কথা থাকলেও মেয়র পদে জেলার বড় নেতা থেকে শুরু করে পাতিনেতাদের ২৫ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করায় উপরের তিনটি ইউনিট থেকে ১০০ জন নেতাকর্মীর ব্যালটের মাধ্যমে মতামত নেওয়া হয়।

তবে শুরুতে মুড়ির মোওয়ার মতো ২৫ জন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করলেও তাদের মধ্যে ২০ জন মনোনয়ন ফরম জমা দেন। শেষ পর্যন্ত তৃনমুলের রায়ের মুখোমুখি হয় মাত্র ১৬ জন। আর আলোচনায় আসেন মাত্র ৫ জন।

সন্ধ্যায় ঘোষণা করা হয়, বর্তমান মেয়র নায়ার কবিরের অবস্থান প্রথম। দ্বিতীয় হয়েছেন যৌথ ভাবে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুল আলম খোকন ও পৌর আওয়ামীলীগ সাধারণ সম্পাদক মো: রফিকুল ইসলাম। তারপরের অবস্থান জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক মেয়র মো: হেলাল উদ্দিন ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদুল হক ভূইয়া।

এই ৫ জন থেকে ৩ জনের নাম যাবে কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের দপ্তরে সেখান থেকে ১ জনের হাতে দিবে নৌকার বৈঠা, যিনি হবেন আসন্ন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার মাঝি।

৫ জন থেকে ৩ জন করার কাজটি করবেন (জেলা আওয়ামীলীগ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ ও পৌরসভা আওয়ামীলীগ) এই তিনটি ইউনিটের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়ে ৬ সদস্যের একটি বাছাই কমিটি।

রোববার রাতে এই কমিটির বৈঠক বসবে বলে তিনি জানান জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আল মামুন সরকার। তিনি আরো বলেন- প্রার্থী বাছাই-এ তৃনমুলের মতামতের বাইরেও ব্যাক্তিগত জনপ্রিয়তা, সততা এবং যোগ্যতার বিষয় মুল্যায়ন করা হবে।

 

কে হচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর নির্বাচনে নৌকার মাঝি ?

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় খেলাফত মজলিশের গতকাল শনিবারের পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশে যোগ দেননি হেফাজতে ইসলামীর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক। দলীয় নেতা-কর্মীদের অভিযোগ পুলিশী বাঁধার কারনে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসতে পারেন নি। এনিয়ে নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের নায়েবে আমির হাফেজ মাওলানা জুবায়ের আহমেদ আনসারী গত কয়েক মাস আগে মারা যান।
গতকাল শনিবার সকালে স্থানীয় সুর সম্রাট ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তনে মাওলানা জুবায়ের আহমেদ আনসারী স্মরনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে খেলাফত মজলিশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখা।
আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিলো বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের আমির শায়খুল হাদিস মাওলানা ইসলাম নূরপূরী ও বিশেষ অতিথি থাকার কথা ছিলো হেফাজতে ইসলামীর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হকের। আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল সফল করার জন্য গত কয়েকদিন ধরে শহরের প্রচারপত্র ও লিফলেট বিতরণ করা হয়।
গতকাল শনিবার আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হলেও আলোচনা সভায় উপস্থিত হননি মাওলানা ইসমাইল নূরপূরী ও মাওলানা মামুনুল হক।
খেলাফত মজলিশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সভাপতি মাওলানা আবদুল আজিজ খন্দকারের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মঈনুল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন খেলাফত মজলিশের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির মাওলানা রেজাউল করিম জালালী। বক্তব্য রাখেন হেফাজত নেতা মাওলানা সাজিদুর রহমান, মুফতি আবদুর রহিম কাসেমী প্রমুখ।
এদিকে হেফাজতে ইসলামীর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হককে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসতে দেয়া হয়নি এই অভিযোগ তুলে সমাবেশ শেষে খেলাফত মজলিশ ও হেফাজত নেতা-কর্মীরা বঙ্গবন্ধু স্কয়ার, মঠের গোড়া ও ঘোড়াপট্টি ব্রীজ এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে। এসময় তারা সরকার বিরোধী শে¬াগান দেয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ ব্যাপারে খেলাফত মজলিশ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মঈনুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, হেফাজতে ইসলামীর যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসার পথে কিশোরগঞ্জ জেলার ভৈরবে পুলিশ তাকে আটকে দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রইছ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, মাওলানা মামুনুল হক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আসেন নি। তাকে কেউ আটকে দিয়েছেন কিনা এই তথ্য আমাদের জানা নেই।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পূর্ব নির্ধারিত সমাবেশে আসেননি হেফাজত নেতা মামুনুল হক

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এস.এস.সি-৯১ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের দিনব্যাপী মিলন মেলা গত শুক্রবার রাতে শেষ হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত দিনব্যাপী মিলন মেলায় পিঠা উৎসব, র‌্যাফেল ড্র ও পুরষ্কার বিতরণ ও ৯১ ব্যাচের একটি ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা হয়। শুক্রবার সকাল ১০টায় মিলন মেলা উদ্বোধন করেন মেলা উদযাপন কমিটির আহবায়ক ক্যাপ্টেন জয়নাল আবেদীন।

কোরআন তেলাওয়াত ও গীতা পাঠ শেষে ৯১ সালের বন্ধুদের মধ্যে যারা মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নিরবতা পালন করা হয়। পরে দোয়া পরিচালনা করেন ৯১ ব্যাচের শিক্ষার্থী ও মেড্ডা সিও অফিস জামে মসজিদের খতিব মাওলানা কামাল উদ্দিন।
কেক কাটায় অংশ নেন ৯১ ব্যাচের শিক্ষার্থী নূর মাসুদা দিনা, হামিদা বেগম, ইয়াসমিন আক্তার বিনা, সুফিয়া সম্পা ও তাসলিমা বেগম।
২৯ বছর পর সবাই একসাথে মিলিত হতে পেরে আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়েন ও নিজ নিজ পরিচয় দেন। পরে ৯১এর ব্যাচের বন্ধুদের মধ্যে কানেক্টিভিটি রাখতে একটি ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা হয়।
মধ্যাহ্ন ভোজের পর স্কুল জীবনের স্মৃতিচারণ, বিনোদন পর্ব ও র‌্যাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। পরে ১০জন শিক্ষার্থীকে পুরষ্কার দেয়া হয়। রাত ৯টায় শেষ হয় মিলন মেলা।
মিলন মেলায় ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে কর্মরত ৯১ এর ব্যাচের শিক্ষার্থীরা যোগ দেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৯১ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মিলন মেলা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পেশাদার সাংবাদিকদের পাশে থেকে সব ধরনের সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন বাংলাদেশ জেলা পরিষদ মেম্বারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ বাবুল মিয়া।

শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত “মিট দ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব প্রেস ক্লাব মেম্বারস” শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাবুল মিয়া এই আশ্বাস দেন। তিনি বলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব ও এখানকার সাংবাদিকদের মধ্যে যে ঐক্য রয়েছে- সেটি সারাদেশের জন্য রোল মডেল। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকরা কারো রক্তচক্ষুকে ভয় করেনা। তারা পেশাদারিত্বের সাথে কাজ করে। এই সুনামকে ধরে রাখতে হবে। তিনি বলেন, প্রেস ক্লাবের সকল উন্নয়নমূলক কাজে আমি পাশে থাকবো।

প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামির সভাপতিত্বে ও প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ফরহাদুল ইসলাম পারভেজের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন।
বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি পীযূষ কান্তি আচার্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মোঃ শাহ আলম, ঢাকার হোটেল গিভেন্সীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফরহাদ আমির। অনুষ্ঠানে ক্লাবের সকল সদস্যবৃন্দ ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের ঐক্যবদ্ধতা সারাদেশের জন্য রোল মডেল


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রাস্তার পাশ থেকে এক নবজাতককে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে  ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২ নং ওয়ার্ড ভাদুঘর গ্রামের হিন্দুপাড়ার রাস্তার পাশ থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় লোকজন ও পুলিশ জানায়, সোমবার রাতে স্থানীয় যুবক আল-আমীনের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ওই নবজাতককে উদ্ধার করে। কে বা কারা ওই নবজাতককে রাস্তার পাশে ফেলে যায়। পরে ওই নবজাতককে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আল-আমীন জানান, রাতে রাস্তা দিয়ে বাড়ি যাওয়ার সময় রাস্তার পাশে কিছু একটা নড়াছড়া করতে দেখে কাছে গিয়ে দেখি কাপড়ে মোড়ানো অবস্থায় একটি কন্যা শিশু কান্না করছে। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে স্থানীয় কাউন্সিলর ও পুলিশকে জানাই।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডাঃ আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, শিশুটিকে হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভর্তি করা হয়েছে। বৈধ অভিভাবক না পাওয়া গেলে প্রশাসন পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করবে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ মোঃ শওকত হোসেন বলেন, বর্তমানে শিশুটিকে হাসপাতালের শিশু বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শিশুটির ঠান্ডা-কাশি ও শ্বাসকষ্ট দেখা দিয়েছে। যার কারনে শিশুটিকে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে।

এ ব্যাপারে ২নং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এস.আই নূরুল আলম জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। শিশুটির অভিভাবককে এখনো সনাক্ত করা যায়নি। শিশুর পরিবারের খোঁজ পাওয়া গেলে তাকে হস্তান্তর করা হবে। বর্তমানে শিশুটিকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
####

শহরের ভাদুঘরের হিন্দুপাড়ার রাস্তার পাশ থেকে নবজাতক উদ্ধার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৌরসভার উদ্যোগে পৌর এলাকার যানযট নিরসন, জনসাধারণকে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে উদ্বুদ্ধকরন এবং ট্রাফিক শৃংখলার উন্নতিকল্পে আজ মঙ্গলবার থেকে ( ১ সেপ্টেম্বর থেকে ৭ সেপ্টেম্বর) বিশেষ ট্রাফিক সপ্তাহ শুরু হয়েছে।

আজ সকালে “পরিচ্ছন্ন ও যানযটমুক্ত শহর গড়ে তুলি, নিরাপদ নাগরিক জীবন নিশ্চিত করি” এই শ্লোগানকে পৌর এলাকার কাউতলী মোড়ে সপ্তাহব্যাপী বিশেষ ট্রাফিক সপ্তাহের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান।

পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবিরের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, টিআই মীর গোলাম ফারুক, সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ শাহজাহান এবং যানবাহন পরিচালনা কমিটির সদস্যবৃন্দ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে পৌর এলাকার যানযট নিরসনে কমিউনিটি ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদের মাঝে বাঁশি, ছাতা ও হলুদ রঙের অ্যাপ্রোন বিতরণ করা হয়।
####

পৌর এলাকার যানযট নিরসনে বিশেষ ট্রাফিক সপ্তাহ শুরু

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অনলাইন টিভির আয়োজনে জাতীয় শোক দিবসের শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার ১৫ই আগস্ট রাত সাড়ে ৭টার দিকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শোক দিবসের শোকসভা অনুষ্ঠানটি হয়।

স্থানীয় শহরের কাচারিপাড় লালবিল্ডিং এ ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনলাইন টিভির আয়োজনে ওই টিভির অফিসে শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বঙ্গবন্ধু মৃত্যুবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন-আহ্বায়ক ও অনলাইন টিভির চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান পারভেজ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী৷

উক্ত শোক সভায় ও দোয়া মাহফিলে আরোও উপস্থিত ছিলেন, জেলা নাগরিক ফোরামের সহসভাপতি আতাউর রহমান শাহিন, সাফিন উদ্দন চৌধুরী রনি, জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক রতন কান্তি দত্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব দীপক চৌধুরী বাপ্পী ও দৈনিক যায়যায়দিন এর স্টাফ রিপোর্টার মো. বাহারুল ইসলাম মোল্লা, দৈনিক যায়যায়কাল এর জেলা প্রতিনিধি ইঞ্জি: আজহার উদ্দিন ও দৈনিক আমার সময় সদর উপজেলা প্রতিনিধি সুমন আহমেদসহ প্রমূহ।

তাছাড়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনলাইন টিভি প্রতিনিধিবৃন্দ ও আররনী সংগঠন এর সদস্যরা উপস্থিত ছিল।

অনুষ্ঠানে বক্তরা বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাকি খুনি যারা বিদেশে পালিয়ে আছে তাদের দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত ফাঁসির রায় কার্যকর কারতে হবে। জাতির পিতার এই জন্মশতবার্ষিকীর এই বছরে যেন বাকি খুনিদের ফাঁসির রায় কার্যকর করা যায় তাহলে জাতির জনকসহ ১৫ আগস্ট নিহত সকল শহীদের আত্মা শান্তি পাবে।

বক্তারা আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা একটি উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলবো। আর উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ গড়তে প্রকৌশলী সমাজ বঙ্গবন্ধু কন্যার পাশে সব সময় রয়েছে। উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ গড়ার মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন পূরণ হবে।

অনুষ্ঠান শেষে মিলাদ মাহফিলে মুনাজাত করেন মাওলানা এরশাদ উল্লাহ নুর। মুনাজাতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মহান আল্লাহর নিকট প্রার্থনা করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়। দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নতির জন্য দোয়া করা হয়।

জাতীয় শোক দিবসের শোকসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নার্সিং ইনস্টিটিউটের প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন সেন্টার থেকে পালিয়ে যাওয়ার দুইদিন পর আবার আইসোলেশনে ফিরে এসেছেন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কেফায়েত উল্লাহ-(৩৮)। বাড়িতে জায়গা না পেয়ে গত মঙ্গলবার বিকেলে স্বেচ্ছায় তিনি আইসোলেশন সেন্টারে ফিরে আসেন।
পালিয়ে যাওয়া কেফায়েত উল্লাহ জেলার সরাইল উপজেলার পানিশ্বর ইউনিয়নের টিঘর গ্রামের বাসিন্দা। ‘না বুঝে’ আইসোলেশন সেন্টার থেকে পালিয়ে গিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। কেফায়েত উল্লাহর বরাত দিয়ে আইসোলেশন সংশ্লিষ্টরা বলেন, না বুঝে আইসোলেশন সেন্টার থেকে চলে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বাড়িতে যাওয়ার পর পরিবারের লোকজন তাকে জায়গা দেয়নি। পালিয়ে যাওয়ার পর দুইদিন পার্কে ঘোরাফেরা করেছেন। এ সময়টাতে তিনি সামাজিক দূরত্ব মেনে চলেছেন বলে দাবি করেছেন। বাড়িতে জায়গা না পেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে তিনি আইসোলেশন সেন্টারে ফিরে এসেছেন।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নার্সিং ইনস্টিটিউটের প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশন সেন্টারের কর্তব্যরত চিকিৎসক ইনজামামুল হক সিয়াম বলেন, তিনি না বুঝে চলে গিয়েছিলেন। চলে যাওয়ার পর তিনি কোথায়-কোথায় ছিলেন সেই তথ্য নিয়ে তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের নমুনা সংগ্রহ করা হবে। নিয়ম অনুযায়ী তাকে আবারো আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
এর আগে গত রোববার করোনামুক্ত হওয়ায় আইসোলেশন সেন্টার থেকে ৭জনকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। ওই ৭জনের সাথে চলে যান কেফায়েত উল্লাহ। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন সেন্টার কর্তৃপক্ষ।

###

আইসোলেশনে ফিরেছে পালিয়ে যাওয়া সেই করোনা রোগী

ফেসবুকে আমরা..