স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মুজিব বর্ষ উপলক্ষে বৃক্ষরোপন কর্মসূচী শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের বিজেশ্বর গ্রামের কাঁচা সড়কের পাশে বৃক্ষরোপনের মধ্যে দিয়ে এই কর্মসূচী উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া।

রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহাদাত খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোঃ মোজাম্মেল হক রেজা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহাবুব আলম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ১০ ইউনিয়নে মোট ৩০ হাজার বৃক্ষরোপন করা হবে।
এর অংশ হিসেবে মঙ্গলবার রামরাইল ইউনিয়নের গ্রামীন সড়কের দুইপাশে বনজ, ফলজ ও ঔষধি বৃক্ষরোপন করা হয়েছে। এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

মুজিব বর্ষ উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বৃক্ষরোপন কর্মসূচী শুরু


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে দ্রুত সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট ও আইসিইউ বেড স্থাপনের দাবিতে বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী এবং বাংলাদেশ যুব মৈত্রীর অবস্থান কর্মসূচী পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রী এবং বাংলাদেশ যুব মৈত্রী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যোগে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়৷

জেলা যুব মৈত্রীর আহবায়ক অ্যাডভোকেট মোঃ নাসির মিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অবস্থান কর্মসূচী চলাকালে সংহতি প্রকাশ বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শফিউল আলম লিটন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক সাংবাদিক আবদুন নূর, জেলা ঘাতক দালাল নির্মাণ কমিটির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট অসীম কুমার বর্দ্ধন৷

বক্তব্য রাখেন জেলা যুব মৈত্রীর যুগ্ম আহবায়ক কাজী তানভীর মাহমুদ, সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ, জেলা ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির, জেলা ছাত্র মৈত্রীর নেতা মহুয়ী শারদ প্রমুখ।

এ সময় বক্তারা বলেন, করোনা চিকিৎসায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ন্যুনতম সুযোগ সুবিধার অভাবে রোগীদের জীবন বিপন্ন হচ্ছে। হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীদের বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাছ থেকে অক্সিজেন সিলিন্ডার এনে দিতে হচ্ছে। আইসিইউ বেড না থাকায় সংকটাপন্ন রোগীদের ঢাকাসহ জেলার বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে নিতে হচ্ছে । তাই ৩২ লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে দ্রুত সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্ট স্থাপনসহ পর্যাপ্ত সংখ্যক আইসিইউ বেড স্থাপনের জন্য জেলার মন্ত্রী-এমপিদের সম্মিলিতভাবে উদ্যোগ গ্রহণের জন্য দাবি জানান।

অক্সিজেন প্লান্ট ও আইসিইউ বেড স্থাপনের দাবিতে ছাত্র ও যুবমৈত্রীর অবস্থান কর্মসূচী


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা রোগীদের বিনামুল্যে অক্সিজেন সেবা ও এ্যাম্বুলেন্স সেবা চালু করেছে সামাজিক সংগঠন বিজেশ্বর স্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্যালয়। মঙ্গলবার দুপুরে সদর উপজেলার রামরাইল ইউনিয়নের বিজেশ্বর গ্রামে ফ্রি অক্সিজেন সেবা দেয়ার মধ্য দিয়ে তাদের কার্যক্রম শুরু হয়।

এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া।

রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ শাহদাত খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজাম্মেল হোসেন রেজা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামি, সাবেক সভাপতি মোঃ আরজু।

এ সময় বক্তারা বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে অক্সিজেন সংকট মোকাবেলায় এবং অক্সিজেন সেবা ও এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস দেয়ার জন্য কার্যক্রম চালু প্রশংসার দাবিদার। বক্তারা সমাজের বিত্তবানদের করোনায় আক্রান্তদের পাশে এগিয়ে আসার আহবান জানান।

করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার্থে বিনামূল্যে অক্সিজেন সেবা ও এ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস চালু


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কৃতি সন্তান, মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, সাবেক অতিরিক্ত সচিব ও সরাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফরহাদ রহমান ওরফে মাক্কি ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না-রাজিউন)। মঙ্গলবার বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭৫ বছর। তিনি ২ স্ত্রী, ৩ ছেলে ও ১ কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে যান।

পারিবারিক সূত্র জানায়, ফরহাদ রহমান প্রথমে করোনায় আক্রান্ত হয়ে সুস্থ্য হয়ে ওঠেছিলেন। পরে লিভার সমস্যা, ক্যান্সার ও যক্ষা রোগে ভুগছিলেন।

উল্লেখ্য ফরহাদ রহমান ওরফে মাক্কি প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ব্যারিষ্টার শাহ আলী ফরহাদের পিতা।

সাবেক অতিরিক্ত সচিব ফরহাদ রহমান আর নেই


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো গম আমদানী শুরু হয়েছে। রোববার দুপুরে আমদানী করা ১হাজার ৩২০ মেট্রিক টন গমের মধ্যে ৩০টি ট্রাকে করে প্রায় ৬০০ মেট্টিক টন গম আখাউড়া স্থল বন্দরে এসে পৌছে।

সোমবার পৌছবে আরো ৩৭টি ট্রাক। বুধবার থেকে দ্বিতীয় চালানে প্রবেশ করবে আরো ১ হাজার ৩২০ মেট্টিক টন গম। এতে করে আখাউড়া স্থল বন্দরে প্রাণচাঞ্চল্য বিরাজ করছে।

এই গম ভারত থেকে আমদারি করেছেন রাজশাহীর এম.এস বিসমিল্লাহ ফ্লাওয়ার মিল। রপ্তানী করেছে ভারতের এম.এ.এস ব্রিজ কিশোর প্রসাদ।

আমদানীকারক প্রতিষ্ঠানের সিএন্ডএফ এজেন্ট আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী মোঃ আক্তার হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এই প্রথমবারের মতো আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে রোববার ভারত থেকে গম আমদানি শুরু হয়। তিনি বলেন, প্রথম চালানের ১ হাজার ৩২০ মেট্টিক টন গমের মধ্যে প্রায় ৬০০ মেট্টিক টন গম রোববার দুপুরে ৩০টি ট্রাকে করে আখাউড়া স্থল বন্দরে পৌছেছে। বাকী গমগুলো সোমবার ৩৭টি ট্রাকে করে আখাউড়া স্থল বন্দরে পৌছবে। দ্বিতীয় চালানেও ১ হাজার ৩২০ মেট্টিক টন গম বুধবার থেকে ট্রাকে করে আখাউড়া স্থল বন্দরে এসে পৌছাবে। পর্যায়ক্রমে এই বন্দর দিয়ে গম আমদানী হবে।

তিনি আরো বলেন, গত ৪ আগষ্ট ভারতের উত্তর প্রদেশ থেকে মালবাহী ট্রেনের ২১টি বগিতে করে এই গম গত শনিবার দুপুরে ত্রিপুরার আগরতলায় প্রবেশ করে। পরে বাংলাদেশে রপ্তানীর জন্য ট্রেন থেকে ৬৭টি ট্রাকে এই গম আনলোড করা হয়।

রোববার দুপুরে গমভর্তি ৩০টি ট্রাক আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে।
তিনি বলেন, এতোদিন নৌ-পথে ভারতের কলকাতা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর পর্যন্ত এসব পণ্য পরিবহন করা হলেও এই প্রথমবারের মতো আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে সড়ক পথে পন্য পরিবহন করা হচ্ছে। এতে সময় এবং খরচ অনেকটাই কমে আসবে।

তিনি বলেন, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে ২০১৭ সালে অন্যান্য রাজ্যের রেলওয়ে যোগাযোগ স্থাপিত হয়। আজকের গম আমদানীর মাধ্যমে নতুন দিনের সূচনা হয়েছে।
তবে কৃষিজাত পণ্য হওয়ায় নীতিমালা অনুযায়ী পন্যের কোনো মাসুল পাবেনা বাংলাদেশ সরকার। আমদানীকৃত গমের মূল্য প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা। এদিকে একসাথে বিপুল সংখ্যক ট্রাক প্রবেশ করায় আখাউড়া স্থলবন্দরের শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্য বিরাজ করছে। এ সময় দুই দেশের কাস্টম কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, স্থলবন্দরে গম আমদানি করা ট্রাক রাখা, মালামাল উঠানো- নামানো বাবদ বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রায় ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা মাসুল পাবেন।

এই প্রথমবারের মতো আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে গম আমদানী


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিনী, মহিয়সী নারী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯১ তম জন্ম বার্ষিকী পালিত হয়েছে। রোববার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়৷

এ উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উদ্যোগে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল ও সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খাঁনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবির, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামি, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপপরিচালক ভিকারুন্নিসা প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে র.আ.ম. মোতকাদির চৌধুরী এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বঙ্গবন্ধু হয়ে উঠার পেছনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ভূমিকা অবিস্মরণীয়। তিনি ছিলেন বঙ্গবন্ধুর সহযোদ্ধা এবং দূরদর্শি নির্দেশক। বঙ্গবন্ধুর অবর্তমানে তিনিই বিভিন্ন আন্দোলনসহ স্বাধীনতা সংগ্রামের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এবং দলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ রেখে সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন। তাই এই মহিয়সী নারীকে বাঙ্গালি জাতি সর্বদা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে থাকে।

আলোচনা সভা শেষে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবসহ তাঁর পরিবারের সকল শহীদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করেন জেলা জামে মসজিদের খতিব হযরত মাওলানা সিবগাতুল্লাহ নূর।

পরে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৬২ জন প্রশিক্ষণার্থীর মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী পালিত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় করোনার রোগীদেরকে অক্সিজেন সেবা দিকে মাউশির সাবেক মহাপরিচালক ও ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ফাহিমা খাতুনের নেতৃত্বে শিক্ষকদেরকে নিয়ে গড়ে উঠা “পাশে আছি আমরা” এর পক্ষ থেকে সিভিল সার্জনের কাছে আরো ৪টি অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান করা হয়েছে।

রোববার দুপুরে সিভিল সার্জনের কার্যালয়ে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরাম উল্লাহর কাছে এই সিলিন্ডারগুলো হস্তান্তর করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর বিভূতিভূষণ দেবনাথ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মোহাম্মদ হামজা মাহমুদ, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জীবন ভট্টাচার্য, নিয়াজ মুহম্মদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম ও পাশে আছি আমরা সংগঠনের সমন্বয়কারী এস.আর.এম ওসমান গনি সজীব, জেলা কারাগার হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডাঃ ইনজামামুল হক সিয়াম ও জেল সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন।

এ ব্যাপারে সংগঠনের সমন্বয়ক এস.আর.এম ওসমান গনি সজীব বলেন, মাউশির সাবেক মহাপরিচালক ও ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ফাহিমা খাতুনের নেতৃত্বে শিক্ষকদেরকে নিয়ে গড়ে উঠা “পাশে আছি আমরা” সংগঠনটি করোনাভাইরাস শুরু হওয়ার পর থেকেই অসহায় মানুষের জন্য কাজ করছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে অক্সিজেন সংকট থাকায় গত ২ আগষ্ট আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে হাসপাতালের রোগীদের জন্য ১২টি অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান করা হয়েছে। রোববার সিভিল সার্জনের কাছে আরো ৪টি সিলিন্ডার হস্তান্তর করেছি।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, গত জুলাই মাস থেকে করোনা মহামারী সংক্রমণ অনেকাংশে বেড়েছে। এতে করে আমাদের হাসপাতালগুলোতে রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। করোনা আক্রান্ত রোগীদের জন্য অক্সিজেন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর্তমানবতার সেবায় “পাশে আছি আমরা” সংগঠন যেভাবে এগিয়ে এসেছে। এভাবে যদি সবাই এগিয়ে আসেন তাহলে আমরা করোনা মোকাবিলা সহজেই করতে পারব।

“পাশে আছি আমরা” পক্ষ থেকে আরো ৪টি অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আ ব র নি’র উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারের করোনার রোগী ও করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের মাঝে মৌসুমী ফল বিতরণ করেন।
রোববার দুপুরে সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক হাবিবুর রহমান পারভেজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. ওয়াহীদুজ্জামানের হাতে মৌসুমী ফল হস্তান্তর করা হয়।
বিতরণ করা ফলের মধ্যে ছিলো আম, কলা, পেয়ারা, মাল্টা, লটকন, লেবু ও আমড়া ইত্যাদি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামী ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান সাজু, তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক মজিবুর রহমান খান, সাবেক সহসভাপতি মফিজুর রহমান লিমন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ, ডা. হিমেল খান, ডা. সৈয়দ আরিফুল ইসলাম৷
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, এশিয়ান এজের জেলা প্রতিনিধি আশিকুর রহমান মিঠু, সামাজিক ব্যক্তিত্ব সাংবাদিক সুমন রায়, ঢাকাপোষ্ঠের জেলা প্রতিনিধি আজিজুর সঞ্চয় ও দৈনিক সকালবেলার জেলা প্রতিনিধি আজহার উদ্দিন প্রমুখ৷
এছাড়া আ ব র নি’র সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিল্লাল হোসেন, হারুন মোল্লা, সাইফুল আজীজ সোহেল, ফরহাদ হোসেন জুয়েল, বিজয় সাহা, বিপ্লব হোসেন প্রমূখ৷
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. ওয়াহীদুজ্জামান বলেন, আবরনির এই উদ্যোগের ফলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা করোনা আক্রান্ত রোগিদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং তারা উপকৃত হবেন। তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে অনেক সামাজিক সংগঠন এগিয়ে আসছে, যার ফলে রোগীরা অনেক সুবিধা পাচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা রোগীদের মাঝে আ ব র নি”র মৌসুমী ফল বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে নিরবিচ্ছিন্ন অক্সিজেন সেবার জন্য ২৫টি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর দিয়েছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল ইউনিসেফ। রোববার সকাল ১০টায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে কনসেন্ট্রেটরগুলো হস্তান্তর করা হয়।
এরপর দুপুরে অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর দিয়ে অক্সিজেন সেবা প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মোঃ ওয়াহীদুজ্জামান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাবের দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান সাজু, তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক মজিবুর রহমান খান, সাবেক সহসভাপতি মফিজুর রহমান লিমন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. হিমেল খান, মেডিক্যাল অফিসার ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ ও ইমার্জেন্সি মেডিক্যাল অফিসার ডা.  সৈয়দ আরিফুল ইসলাম প্রমুখ৷
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. ওয়াহীদুজ্জামান বলেন, প্রতিটি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর দিয়ে একসাথে দুইজন মিনিটে ১০ লিটার করে অক্সিজেন নিতে পারবে। এগুলো নিজ থেকেই অক্সিজেন উৎপন্ন করতে পারে। সেজন্য রিফিলের প্রয়োজন হবে না। এছাড়া বর্তমানে হাসপাতালে বড় সিলিন্ডার ৭৬টি এবং ছোট সিলিন্ডার আছে ১৬৮টি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা রোগীদের জন্য ২৫টি অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর দিল ইউনিসেফ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণটিকা কার্যক্রম শনিবার থেকে শুরু হয়েছে। জেলার ৩০৬টি বুথে শনিবার সকাল ৯টা থেকে গণটিকা দেয়া শুরু হয়। বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলে এই কার্যক্রম। তবে বেশীর ভাগ বুথে দুপুর ১২টার মধেই শেষ হয়ে যায় টিকাদান।

এদিকে জেলার সরাইল উপজেলার অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এক মহিলাকে দুইবার টিকা দেয়া হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নোমান মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে গণটিকাদান কর্মসূচী চলার সময় বিভিন্ন টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া প্রমুখ। প্রতিটি কেন্দ্রে নিবন্ধনকৃত ২০০জনকে টিকা দেয়া হয়।

সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৯টি উপজেলার ৯৮টি ইউনিয়ন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের ১১০টি কেন্দ্রের ৩০৬টি বুথে শনিবার সকাল ৯টায় একযোগে টিকা দেয়ার কাজ শুরু হয়। প্রতিটি বুথে টিকা দেয়ার জন্য দুইজন স্বাস্থ্যকর্মী, তিনজন স্বেচ্ছাসেবক ও ১জন সুপারভাইজার দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও প্রতিটি বুথে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন ছিলো।

সরজমিনে সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের হুমায়ূন কবির পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয়, ১ নং ওয়ার্ডের ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর ডিগ্রি কলেজ, ২ নং ওয়ার্ডের মেড্ডা (পশ্চিম) সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৮ নং ওয়ার্ডের পৌর আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৯নং ওয়ার্ডের সাহেরা গফুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১০ নং ওয়ার্ডের নিয়াজ মুহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় প্রতিটি কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা মানুষের উপচেপড়া ভীড়। আলাদা লাইনে দাড়িয়ে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে নারী-পুরষসহ ২৫ বছরের বেশি বয়সি লোকেরা টিকা নিচ্ছেন।

৪নং ওয়ার্ডের হুমায়ূন কবির পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা পূর্ব পাইকপাড়ার বাসিন্দা বেবি রাণী সাহা বলেন, সরকার জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিনামূল্যে টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করেছে এটা ভাবা যায়না। তিনি টিকা দেয়ার ব্যবস্থা করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান।

একই কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা লক্ষণ সাহা নামক এক ব্যক্তি বলেন, দেরিতে হলেও নিজের এলাকায় টিকা দিতে পেরেছি, এটাই বড় কথা। তিনি বলেন, এভাবে যদি সারা দেশে টিকা গণটিকা কার্যক্রম চালানো হয় তাহলে হয়তো আমরা সহসাই দুঃসময় কাটিয়ে উঠতে পারবো।

টিকাদান কেন্দ্রে উপস্থিত পৌরসভার ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পৌর সভার প্যানেল মেয়র মিজানুর রহমান আনসারী বলেন, প্রথম দিনেই টিকার দেয়ার ব্যাপারে মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পাওয়া গেছে। অনেকেই টিকা দিতে এসেছেন তবে যাদের নিবন্ধন আছে শুধু তাদেরকেই টিকা দেয়া হয়েছে।

এদিকে পৌর সভার ৯ নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ মৌড়াইল সাহেরা গফুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় টিকা দেয়ার জন্য মানুষের ভীড়। ৯ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোঃ ফারুক মিয়া বলেন, কেন্দ্রে আসা সবাই টিকা দিতে পারেনি। দুইশত টিকা সাড়ে ১১টার মধ্যেই শেষ হয়ে গেছে।
এদিকে সরাইল উপজেলার অন্নদা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে উপজেলার সদর ইউনিয়নের সৈয়দটুলা গ্রামের মুসলিম খাঁর স্ত্রী রোজিনা বেগম দুইবার টিকা গ্রহণ করেছেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নোমান মিয়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ওই মহিলার স্বামীর সাথে তার কথা হয়েছে। তিনি বলেন, ওই মহিলা সকালে একবার টিকা দিয়ে সাথে থাকা কার্ডটি টিকাদান কেন্দ্রের টেবিলে রেখে বাড়ি চলে যান। পরে প্রায় ১ ঘন্টার ব্যবধানে ওই মহিলা আবার কেন্দ্রে এসে তথ্য গোপন করে আবার টিকা নেন। দুইবার টিকা নেয়ায় ওই মহিলার কোন ধরনের সমস্যা হবে কিনা জানতে চাইলে ডাঃ নোমান মিয়া বলেন, আশাকরি কোন ধরণের অসুবিধা হবেনা। তিনি বলেন, ওই মহিলা তথ্য গোপন করে নিজেই দুইবার টিকা নিয়েছেন। এতে অন্য কারো দোষ নেই।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরামউল্লাহ বলেন, সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে জেলার ৩০৬টি বুথে গনটিকা দেয়া হয়েছে। কোথাও কোন ধরনের ঝামেলা হয়নি। সরাইলের এক মহিলার দুইবার টিকা নেয়ার ব্যাপারে তিনি বলেন, বিষয়টি তিনি শুনেছেন। সংশ্লিষ্টদের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলবেন। সিভিল সার্জন ডাঃ একমরাম উল্লাহ আরো বলেন, এভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় মোট ৬১ হাজার ২শ লোককে টিকা দেয়া হবে। তিনি বলেন, পরবর্তী টিকা আগামী ১৪ আগষ্ট দেয়া সম্ভাবনা রয়েছে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ দৌলা খাঁন বলেন, টিকা নিয়ে দুঃচিন্তার কোন কারণ নেই। পর্যায়ক্রমে সবাইকে টিকা দেয়া হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গণটিকা কার্যক্রম শুরু

ফেসবুকে আমরা..