স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতে ইসলামের হরতাল চলাকালে শহরব্যাপী তান্ডব ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংসকারীদের বিচার চেয়ে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন মুফতি আবদুর রহিম কাসেমি।
হেফাজতে ইসলামের তান্ডব ইস্যুতে নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে গতকাল শুক্রবার তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে তার লিখিত বক্তব্য পাঠান।
লিখিত বক্তব্যে মুফতি আবদুর রহিম কাসেমি বলেন,“ স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আগমনকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী হেফাজতে ইসলামের ডাকে যে চরম বিশৃংখলা সৃষ্টি হয়, তা নজিরবিহীন ও অমানবিক। দেশ ও জনগণের জানমালের ক্ষতি কোনোভাবেই ইসলামসম্মত হতে পারেনা। তাই আমি ব্যক্তিগতভাবে এই সমস্ত কার্যক্রম থেকে নিস্ক্রিয় থাকি এবং আমার তত্বাবধানে পরিচালিত সমস্ত মাদরাসার শিক্ষক ও ছাত্রদের এ সমস্ত দেশ ও ইসলাম বিরোধী কাজে যোগদান না করতে বাধ্য করি।

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরো বলেন, তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসায় শিক্ষকতা করতেন। কিন্তু মতাদর্শতার কারনে গত বছরের ১ ডিসেম্বর তাকে জামিয়ার শিক্ষকতা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এমনকি মাদরাসায় তার প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। শিক্ষকতার চাকুরি থেকে অব্যাহতি দেয়ার সাথে সাথে ওইদিন তাঁকে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় কমিটি ও জেলা কমিটির দায়িত্ব থেকেও অব্যাহতি দেয়া হয়।
তিনি বলেন, আজ (শুক্রবার) আমি আনুষ্ঠানিকভাবে হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় এবং জেলা কমিটির পদসমূহ থেকে পদত্যাগ করছি।

যাদের প্ররোচনায় দেশ ও জনগণের জানমালের এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে, তাদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকার ও প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করছি।

উল্লেখ্য মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালায়।
এসময় হামলাকারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, পৌরসভা কার্যালয়, সুর স¤্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, এসিল্যান্ডের কার্যালয়, সুর স¤্রাট আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, জেলা মৎস্য অফিস, সার্কিট হাউজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, মাতৃ সদন, সরকারি গণগ্রন্থাগার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকারের বাসভবন, জেলা শিল্পকলা একাডেমী, বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর দুটি ম্যুরালসহ তিনটি ম্যুরাল, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে উন্নয়ন মেলার প্যান্ডেল, একই চত্বরে থাকা শহর সমাজসেবা প্রকল্পের অফিস, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের অফিস, পৌর মেয়রের বাসভবন, সার্কিট হাউজ, হাইওয়ে থানা ভবন, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্যাম্পাস, হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ কালীবাড়ি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির বাসভবন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসভবন, আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা, সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়সহ সরকারি, বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরিতে পরিনত করে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজত নেতা আবদুর রহিম কাসেমির পদত্যাগ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঋষি সম্প্রদায়ের ৫শত পরিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টায় সদর উপজেলা প্রশাসনের স্থানীয় নিয়াজ মুহাম্মদ স্টেডিয়ামে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে তাদের মধ্যে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খাঁন।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়া, সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এবিএম মশিউজ্জামান, জেলা ত্রাণ পুনর্বাসন কর্মকর্তা মোঃ মাহবুব আলম, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ইসামা বানিন,ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামিসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঋষি সম্প্রদায়ের ৫শত পরিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর খাদ্য সহায়তা প্রদান


বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি মোঃ ইকবাল হোসেন, পিপিএম আজ ২৩/০৪/২০২১খ্রিঃ সকাল ১০.৩০ ঘটিকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ লাইন্স ড্রিল শেডে জেলা পুলিশে কর্মরত অফিসার ও ফোর্সদের বিশেষ কল্যান সভা ও মতবিনিময় সভায় অংশগ্রহণ করেন।

উক্ত কল্যান সভা ও মত বিনিময় সভায় ডিআইজি মোঃ ইকবাল হোসেন জেলা পুলিশে কর্মরত সকল অফিসার ও
ফোর্সদের মনোবল বৃদ্ধিসহ যার যার স্ব স্ব দায়িত্ব স্বতস্ফুর্তভাবে পালনের জন্য দিক নিদের্শনা প্রদান করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান সহ জেলার উদ্ধর্তন
কর্মকর্তাবৃন্দ।

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সফর করেছেন বাংলাদেশ পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোঃ ইকবাল হোসেন

গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১০ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র
ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়।

উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা
৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩৪৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেজ রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ১০ জন গ্রেফতার

 

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবকালে শহরজুড়ে ব্যাপক হামলা-ভাংচুর ও অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর বিরুদ্ধে হেফাজত নেতাদের মিথ্যাচার ও কটুক্তির প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করেছে আওয়ামী লীগ।
আজ বেলা ১১টায় সদর উপজেলার মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদের সামনে মাছিহাতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধন চলাকালে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি কামরুল হাসান লিটনের সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সোলায়মান ভূইয়ার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম দুলাল, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মাছিহাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আল আমিনুল হক পাভেল, উপ-দপ্তর সম্পাদক পরশ চৌধুরী, সদর উপজেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি কামাল ভূইয়া, ইউনিয়ন কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সভাপতি সেলিম আহমেদ চৌধুরী, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফ চৌধুরী, সমাজসেবক মনির ঠাকুর, ছাত্রলীগ নেতা মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তির অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের প্রতিবাদে হেফাজতে ইসলামের নেতা-কর্মীরা গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসাত্মক কার্যকলাপ চালায়।

এসময় হামলাকারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, পৌরসভা কার্যালয়, সুর স¤্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন, এসিল্যান্ডের কার্যালয়, সুর স¤্রাট আলাউদ্দিন খাঁ পৌর মিলনায়তন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয়, জেলা মৎস্য অফিস, সার্কিট হাউজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, মাতৃ সদন, সরকারি গণগ্রন্থাগার, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকারের বাসভবন, জেলা শিল্পকলা একাডেমী, বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর দুটি ম্যুরালসহ তিনটি ম্যুরাল, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে উন্নয়ন মেলার প্যান্ডেল, একই চত্বরে থাকা শহর সমাজসেবা প্রকল্পের অফিস, মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের অফিস, পৌর মেয়রের বাসভবন, সার্কিট হাউজ, হাইওয়ে থানা ভবন, ইউনিভার্সিটি অব ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ক্যাম্পাস, হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান দক্ষিণ কালীবাড়ি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির বাসভবন, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের বাসভবন, আশুগঞ্জ টোলপ্লাজা, সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়সহ সরকারি, বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক স্থাপনায় হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও অগ্নি সংযোগ করে।

বক্তারা এসব হামলা-ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, এসব ঘটনায় জড়িত হেফাজত নেতাদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার এবং ভাংচুর-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি জানান।

পাশাপাশি বক্তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর বিরুদ্ধে হেফাজত নেতাদের মিথ্যাচার ও কুটুক্তি প্রতিবাদ জানান।
মানববন্ধনে আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

মাছিহাতায় আওয়ামী লীগের মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে চলমান লকডাউনের কারনে কর্মহীন হয়ে পড়া একশত পরিবারের মধ্যে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। আজ দুপুরে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে স্থানীয় ফারুকী পার্কে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খাঁন এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।

খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে প্রতি পরিবারের জন্য ১০ কেজি চাল, ১ কেজি তেল, ডালসহ বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী।
খাদ্য বিতরণকালে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়া, সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) এবিএম মশিউজ্জামান, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামিসহ জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাগন উপস্থিত ছিলেন।

খাদ্য সামগ্রী বিতরণকালে জেলা প্রশাসক হায়াত উদ দৌলা খাঁন বলেন, ক্ষতিগ্রস্থদের আর্থিকভাবে সহায়তা করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮শ ২২ টি পরিবারকে পরিবার প্রতি ৪৫০ টাকা হারে দেয়ার জন্য ৬ কোটি ১১ লাখ ১৯ হাজার ৫শ টাকা বরাদ্দ এসেছে। পাশাপাশি জি আর সহায়তা এসেছে মোট ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা।
তিনি বলেন, ক্ষতিগ্রস্থদের সনাক্ত করে সরকারি সহায়তা পৌছে দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা সংকটে কর্মহীন পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা প্রদান


গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ০৮ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩৩৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরে জড়িত আরও০৮ জন গ্রেফতার

 

গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় আরও ১১ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৩২৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও ভাংচুরে জড়িত আরও ১১ জন গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রোববার থেকে শুরু হয়েছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বসন্তকালীন পূজা “বাসন্তী পূজা”। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের কেন্দ্রীয় মন্দির আনন্দময়ী কালী বাড়িতে পাচঁদিনব্যাপী বাসন্তী পূজার আয়োজন করা হয়েছে।
সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে মহাসপ্তমী পূজা। সপ্তমী পূজায় ভক্তরা মায়ের রাতুল চরণে পুষ্পাঞ্জলী প্রদান করেছেন। অঞ্জলী প্রদানকালে ভক্তরা করোনা মহামারী থেকে মুক্তির প্রার্থনা করেছেন।
রোববার সন্ধ্যায় ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে ৫দিন ব্যাপী বাসন্তী পূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। বাসন্তী দেবীর আমন্ত্রণ ও অধিবাস অনুষ্ঠিত হয়। আজ সোমবার সকালে সপ্তমী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। মহাসপ্তমীতে দেবীকে প্রাণ প্রতিষ্ঠা, চক্ষুদান, ঘট স্থাপন সহ ষোড়শ উপাচারে পূজা করাহয়। দুপুর ১টায় অঞ্জলী প্রদান করা হয়।
অঞ্জলী প্রদান কালে ভক্ত বনশ্রী দেবনাথ জানান, নিজের এবং পরিবারের সমৃদ্ধির পাশাপাশি চলমান মহামারী করোনা থেকে মুক্তির জন্য প্রার্থনা করেছি। মা-দূর্গা শরৎকালে শারদীয় দেবী, বসন্তকালে মা বাসন্তীরূপে বিরাজিতা। তিনি যেন সবাইকে সুস্থ রাখে, সকলের মাঝে শান্তি ফিরিয়ে দেয় সেই প্রার্থনা করেছি।
অপু দেব নামে অপর এক ভক্ত জানান, মা-সকল ভক্তের মাঝে বিরাজিতা। তিনি পরম মমতাময়ী। মায়ের রাতুল চরণে প্রার্থনা করেছি। তিনি সকলকে যেন ভাল রাখেন সুস্থ রাখেন মহামারী করোনা থেকে সুস্থ রাখেন সেই প্রার্থনা করছি।
অঞ্জলী প্রদান শেষে প্রসাদ বিতরণ করা হয়। রাতে দেবীর অর্ধরাত্রী বিহিতপূজা (শ্রী শ্রী কালিপূজা) অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার সকালে অষ্টমী পূজা ও দুপুর ১টায় অঞ্জলী প্রদান করা হবে। সন্ধ্যায় সন্ধিপূজা অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার সকালে নবমী পূজা ও দুপুর ১টায় অঞ্জলী প্রদান শেষে প্রসাদ বিতরণ করা হবে। আগামী বৃহস্পতিবার দশমীতে রাত ১০টায় প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে বাসন্তী পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।
শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালিবাড়ীর প্রধান পুরোহিত গোবিন্দ চক্রবর্তী জানায়, দুর্গাপূজা হচ্ছে বাঙালি হিন্দুদের প্রধান ধর্মীয় এবং সামাজিক উৎসব প্রচলিত প্রথা অনুযায়ী বাংলার প্রথম দূর্গাপূজার প্রচলন করেন রাজা সুরথ। তিনি রাজ্য ফিরে পাওয়ার জন্য বসন্তকালে দেবী দূর্গাকে বিশেষ উপাচারে পূজা করে রাজ্য ফিরে পেয়েছিলেন। এর পর থেকে ভক্তরা বাসন্তী পূজা করে আসছে।
অন্য দিকে ত্রেতাযুগে প্রভু রামচন্দ্র রাবণকে পরাজিত করার জন্যে দেবি দূর্গার আরাধনা করে পূজা করেছিলেন। এর পর থেকে শরৎকালে দেবীর অকাল বোধন শারদীয় দূর্গোৎসব হয়ে আসছে।
তিনি জানান, এবছর করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ রোধে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিটি পূজা মন্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। মহামারী করোনা থেকে মুক্তির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়।
পুরোহিত গোবিন্দ চক্রবর্তী জানান, এবার দেবী গজে আগমন ও দোলায় গমন করবেন। এর মধ্য দিয়ে সমৃদ্ধ যেন হয় পুরো পৃথিবী এই প্রার্থনা করা হয়।

 

করোনাভাইরাস থেকে মুক্তির প্রার্থনার মধ্যে দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বাসন্তি পূজার মহাসপ্তমী অনুষ্ঠিত

 

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সদর উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ১৫টি পরিবারের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ফল পাঠানো হয়েছে।
গতকাল সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা ও সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বাড়িতে থাকা ১৫জন রোগীর কাছে ফলভর্তি ঝুঁড়ি প্রদান করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে হাসপাতালের আইসোলেশনে থাকা ৫জন করোনা রোগীর জন্য বিভিন্ন ধরনের ফলে ভরা ৫টি ঝুঁড়ি হাসপাতালের করোনা ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডাঃ মোমেন এবং ডাঃ নাজমুলের হাতে তুলে দেন।
এ ছাড়া হোম আইসোলেশনে থাকা ১০ জন রোগীর বাড়িতে গিয়ে ১০ ঝুঁড়ি বিভিন্ন ধরনের ফল পাঠান।
প্রতিটি রোগীর বাড়িতে গিয়ে তাদের নিকটাত্মীয়দের মাধ্যমে তাদের বাসায় ফল পৌছে দেয়া হয়।
প্রতিটি ঝঁড়িতে ছিলো ১ লিটার গরুর দুধ, ১ টি তরমুজ, ২ টি আনারস, ১ কেজি মাল্টা, ১ ডজন কলা, ১ কেজি আপেল এবং ১ কেজি পেয়ারা।


ফল বিতরনের সময় সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এ.বি.এম মশিউজ্জামান ও সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়–য়ার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা করোনা আক্রান্তদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। সোমবার তাদের জন্য শুভেচ্ছা হিসেবে ১৫ ঝুঁড়ি বিভিন্ন ধরনের ফল তাদের কাছে পাঠিয়েছি। তিনি বলেন, তাদের যে কোন সমস্যায় আমরা তাদের পাশে আছি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা রোগীদের জন্য প্রশাসনের ফল উপহার

ফেসবুকে আমরা..