স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে সড়ক দুর্ঘটনায় এক দম্পতিসহ তিনজন নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের আমতলা নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, পটুয়াখালী জেলার কলাপাড়া উপজেলার চাঁন মিয়ার ছেলে সাগর মিয়া-(৩৫), তার স্ত্রী শিরিন বেগম-(২৮) এবং প্রাইভেটকার চালক কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ এলাকার মন্টু মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন-(৩২)।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে একটি পন্যবাহী ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-২২- ৮৭৭৯) মহাসড়কের আমতলা এলাকায় পার্কিং করা ছিলো। এসময় সিলেট অভিমুখী একটি প্রাইভেটকার-(ঢাকা মেট্রো-গ- ২৯-৪২৪৪) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পার্কিং করা ট্রাকের সাথে সজোরে ধাক্কা খায়। এতে প্রাইভেটকারটি সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই সাগর মিয়া ও শিরিন বেগম দম্পতি নিহত ও চারজন আহত হন।


খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন ঘটনাস্থলে পৌছে আহতদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে প্রাইভেটকারের চালক বিল্লাল হোসেন মারা যান।
এ ব্যাপারে খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহজালাল আলম দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে সিলেট অভিমুখী একটি প্রাইভেটকার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আমতলা এলাকায় মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা একটি ট্রাকের সাথে ধাক্কা খায়। এতে ঘটনাস্থলেই প্রাইভেটকারে থাকা স্বামী-স্ত্রী নিহত ও চারজন আহত হন। আহতদের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়ার পথে প্রাইভেটকার চালক মারা যান।
তিনি বলেন, নিহতদের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আহতদের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বিজয়নগরে সড়ক দুর্ঘটনায় এক দম্পতিসহ তিনজন নিহত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
দৈনিক প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে আটকে রেখে হেনস্তা, মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদ ও তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইলেকট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট এসোসিয়েশন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদপত্র পরিষদের যৌথ উদ্যোগে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় প্রেসক্লাব চত্ত্বরে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদপত্র পরিষদ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি মনজুরুল আলমের সভাপতিত্বে ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সংবাদপত্র পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম শাহাজাদার সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এসোসিয়েশনের সভাপতি পিযুষ কান্তি আচার্য।

বক্তব্য রাখেন রাখেন সাংবাদিক ইউনিয়নের আহবায়ক মোঃ মনির হোসেন, সাংবাদিক মোহাম্মদ আরজু ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া এসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক উজ্জ্বল চক্রবর্তী।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে অনুসন্ধ্যানী সাংবাকিকতার পথিকৃৎ রোজিনা ইসলাম। তিনি করোনার এই মহামারির সময়ে স্বাস্থ্য বিভাগের সকল অনিয়ম, দুর্নীতি, অবস্থাপনা নিয়ে একাধিক অনুসন্ধ্যানী প্রতিবেদন করেছেন। রোজিনা ইসলাম স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়েও প্রতিবেদন করেছেন। এতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের লোকজনের ব্যক্তিগত অনেক ক্ষতি হয়েছে। তাই সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় লোকেরা রোজিনা ইসলামকে পাঁচ ঘন্টার বেশি সময় আটকে রেখে তাকে মানসিক, শারীরিক নির্যাতন ও হেনস্থা করে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেসা বেগম রোজিনা ইসলামের মতো এক অনুসন্ধ্যানী সাংবাদিককে গলা চেপে ধরেছে। তিনি রোজিনা ইসলামের নয়, বাংলাদেশের সাংবাদিকতার কন্ঠরোধ করার চেষ্টা করছেন।
বক্তারা অবিলম্বে রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগ এখন লুটপাটের আখড়ায় পরিণত হয়েছে। বক্তারা রোজিনা ইসলামের মুক্তির দাবি জানিয়ে বলেন, তাঁর মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাবে সাংবাদিক সমাজ। মানববন্ধন শেষে প্রেসক্লাবের সামনে থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য সচিব ও অতিরিক্ত সচিব কাজী জেবুন্নেছা বেগমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দেন।

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মানববন্ধন-বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থেকে অভিযান চালিয়ে ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-১৪। গতকাল (১৮ মে) ভোরে এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর থানার সাতবর্গ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তারা একজনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেপ্তারকৃত আসামী হলেন গৌছ আলী (৩৫), পিতা-মৃত তালেব আলী, সাং-কামরাঙ্গী, থানা-ছাতক, জেলা-সুনামগঞ্জ। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ৫৪ কেজি গাঁজা ও ১টি ট্রাক উদ্ধার করা হয়।

আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গেছে, তারা দীর্ঘদিন যাবত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সিমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে চালানকৃত গাঁজা দেশে নিয়ে আসত। এবং সেই গাঁজার চালানটি সুনামগঞ্জের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও আসামীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

 

প্রেস রিলিজ

বিজয়নগরের সাতবর্গ এলাকা থেকে ০১ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব

২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৭ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৪৭৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৭ জন গ্রেফতার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির বিজয়নগর উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পীর মাতা প্রতিমা চৌধুরী পরলোকগমন করেছেন।

গত শনিবার দুপুর পৌনে তিনটায় তিনি বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের নিজবাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। তিনি দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিক, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন।

মৃত্যুকালে তিনি চার ছেলে, ২ মেয়ে, নাতি-নাতনীসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন রেখে যান। শনিবার রাত ৯টায় মির্জাপুর গ্রামের পারিবারিক শ্বশ্মানে তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে সাংবাদিক নেতা দীপক চৌধুরী বাপ্পীর মায়ের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। এক শোকবার্তায় তিনি মরহুমার আত্মার শান্তি কামনা করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদকের মাতার পরলোকগমন


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
শিশু শাহাব উদ্দিন। বয়স মাত্র ১২ বছর। যে বয়সে তার স্কুলে যাওয়ার কথা সেই বয়সেই অভাব অনটনের কারনে জীবন-জীবিকার সংগ্রামে নেমে পড়ে সে। একটি ভ্যান গাড়ি নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে পুরাতন জিনিসপত্র কুড়িয়ে সেগুলো বিক্রি করে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের ভিটিদাউদপুর গ্রামের উত্তর পাড়ার মরহুম চামবিচা মিয়ার ছেলে শাহাব উদ্দিন। তিন বোন, চার ভাইয়ের মধ্যে শাহাব উদ্দিন চতুর্থ। তার বড় তিন বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। বড় ভাই মাঈনুদ্দিন-(১৮) রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন। তিনিও বিয়ে করে নিজের সংসার নিয়ে ব্যস্ত। শাহাবউদ্দিনের ছোট এক ভাই প্রথম শ্রেনীতে পড়ে আরেক ছোট ভাইয়ের বয়স মাত্র ৬ বছর।

শাহাব উদ্দিনের বাবা মারা গেছেন বহু বছর আগে। বাবা মারা যাওয়ার পর বাধ্য হয়ে সংসারের হাল ধরেন শাহাব উদ্দিন। অভাব অনটনের কারনে দ্বিতীয় শ্রেনী পর্যন্ত লেখাপড়ার পর আর সে লেখাপড়া করেনি।

শাহাব উদ্দিন বলেন, প্রতিদিন সকাল ৮টায় ৩০ টাকা ভাড়ায় একটি ভ্যান গাড়ি নিয়ে সে রাস্তায় বেরিয়ে পড়ে। রাস্তা ও বাড়ি-ঘরের আশপাশে পড়ে থাকা পুরানো জিনিসপত্র কুড়িয়ে এগুলো ভাঙ্গারির দোকানে বিক্রি করে। প্রতিদিন সংসারের খরচ মেটানোর জন্য বড় ভাই মাঈনুদ্দিনের কাছে ১০০ টাকা দেয়। বাকী টাকা পরিচিত একজনের কাছে জমা রাখে।

শাহাব উদ্দিন জানায়, রাস্তায় রাস্তায় পুরাতন জিনিসপত্র কুড়াতে ভালো লাগেনা। তাই একটি ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক কেনার জন্য সে টাকা জমাচ্ছে। শাহাব উদ্দিন জানান একটি ব্যাটারী চালিত ইজিবাইক কিনতে ৩৫ হাজার টাকা প্রয়োজন। দুই বছরে সে ৭ হাজার টাকা জমিয়েছে। এভাবে টাকা জমিয়ে এ সময় সে একটি ইজিবাইক কিনবে এটাই তার স্বপ্ন।

একটি ইজিবাইক কেনার স্বপ্ন শিশু শাহাব উদ্দিনের

গত  ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৫ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৪৬২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৫ জন গ্রেফতার

২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৬ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৪৫৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৬ জন গ্রেফতার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া অনলাইন টিভি:

“আমাদের বন্ধুত্ব রইবে নির্ভর” সেই প্রতিপাদ্য নিয়ে আবরনি সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে হাসপাতালের রোগীদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

শুক্রবার (৭ মে) বিকেলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের রোগীদের হাতে ইফতার সামগ্রী তুলে দেন আবরনি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান পারভেজ।

এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্দি দত্ত, ডেইলি স্টারের জেলা প্রতিনিধি মাসুক হৃদয়, এটিএন নিউজের চিত্র সাংবাদিক সুমন রায়, বাংলা নিউজের জেলা প্রতিনিধি মেহেদী নুর পরশ, ডেইলী ট্রাইব্যুনালে জেলা প্রতিনিধি ইফতেহার রিফাত, সাবেক জেলা ছাত্রলীগ নেতা তানভীর আক্তার, কৃত্তি বিলাস এর সিও কাজী নাজমুল ইসলাম উজ্জ্বল ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া বাতিঘরের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আজহার উদ্দিন প্রমূখ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডের রোগীসহ গরীব ও অসহায় মানুষ করোনাভাইরাসের এই কঠিন সময়ে ইফতারসামগ্রী পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন। হাবিবুর রহমান পারভেজ বলেন, সবসময় দুর্গত মানুষের পাশে ছিল আবরনি। আগামী সময়ে আবরনির এমন প্রচেষ্ঠা অব্যহত থাকবে।

 আবরনি সংগঠনের অন্যান্য সদস্যবৃন্দদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন মো. কাজল, হেলাল আহমেদ, হারুন মোল্লা, সাইফুল আজিজ সোহেল, মো: সুহেল মিয়া, ফরহাদ হোসেন জুয়েল, বিল্লাল হোসেন, সোহরাফ মিয়া, শিশা শিপন, জয়নাল আবেদীন বিপ্লব, ইয়াসিন রোমান প্রমূখ।

এসময় হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগে ভর্তি ২০০ শতাধিক রোগী ও স্বজনদের মাঝে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

হাসপাতালের রোগীদের ইফতার করালো আবরনি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবকালে নাশকতা সৃষ্টিকারী দুই যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৪ এর ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা।

গতকাল (৫ মে) বেলা ১২:৪৫ ও রাত ৮:৩০ এ পৃথক অভিযান চালিয়ে সদর থানাধীন বিশ্বরোড ও শেরপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, এরশাদ মিয়া (৩৩), পিতা-মৃত জিলু মিয়া, সাং-গোকর্ণ, থানা- নাসিরনগর জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও মোঃ সাইফ খান (২৫), পিতা-মোঃ কাওছার খান, সাং-শেরপুর, থানা ও জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া।

আজ র‌্যাব ভৈরব ক্যাম্প থেকে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৬ মার্চ মুজিববর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তিতে দেশব্যাপী অনুষ্ঠান চলাকালীন সময়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় দুস্কৃতিকারীরা অরাজকতা সৃষ্টি করে ধ্বংসযজ্ঞ এবং নাশকতা চালায়। মহান স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তিতে এই ধরণের ন্যাক্কারজনক ঘটনা পুরো বাঙালি জাতির হৃদয়কে গভীরভাবে মর্মাহত করেছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাংচুরের মাধ্যমে জাতির পিতাসহ সমগ্র বাঙালি জাতিকে অবমূল্যায়ন করে। হামলাকারীর ছবি ও ভিডিও ফুটেজ দেখে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয় ও তাদেরকে সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের নাশকতায় র‌্যাবের হাতে দুই যুবক গ্রেপ্তার

ফেসবুকে আমরা..