স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লকডাউন উপেক্ষা করে পর্যটন স্পটগুলোতে বাড়ছে মানুষের ভীড়। এতে করে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঈদ-উল আযহা শেষে গত শুক্রবার থেকে দেশব্যাপী শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন।

কঠোর লক ডাউনকে উপেক্ষা করেই শুক্রবার বিকেলে বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের এক্তারপুর মাঠে অনুষ্ঠিত হয় উপজেলার বুধন্তি ও এক্তারপুর একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার এবং বিজয়নগর উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ এই ফুটবল খেলা উপভোগ করে।

এছাড়া শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই কসবা উপজেলার কাঠেরপুল এলাকায় অবস্থিত “ কিং অব কসবা” রিসোর্টে ভ্রমণ পিয়াসুদেরভ ভীড় জমতে থাকে। একই অবস্থা হয় সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বরিশল গ্রামের বিলের পানির উপর নির্মিত একটি পর্যটন স্পটে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের এক্তারপুর মাঠে গত শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় উপজেলার বুধন্তি ও এক্তারপুর একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। খেলা দেখতে সেখানে ভীড় জমায় হাজারো ফুটবলপ্রেমি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বরিশল গ্রামে আখাউড়া-পঞ্চবটি সড়কের দু’পাশের জমি এখন বর্ষার পানিতে পরিপূর্ণ। বর্ষার এই পানির উপর স্থানীয় কয়েকজন যুবক গড়ে তুলেছেন “বরিশল ক্যাফে রেস্টুরেন্ট”। শুক্রবার বিকেলে ওই এলাকায় ভীড় জমে হাজারো ভ্রমন পিয়াসুর।

সেখানে বেড়াতে যাওয়া খলিলুর রহমান নামক এক ব্যক্তি জানান, প্রতি বছরই ঈদের পর পরিবার পরিজন নিয়ে একটু ঘুরতে বের হই। এবার ঈদের একদিন পরই লকডাউন দেওয়ায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছি।

হাফিজ ভূইয়া নামে অপর এক ব্যবসায়ী বলেন, লকডাউনে দোকান বন্ধ থাকায় একটু বিনোদনের জন্য এখানে ঘুরতে এসেছি। এ ব্যাপারে বরিশল ক্যাফে রেস্টুরেন্টের কেউ কথা বলতে রাজি হননি।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অপরদিকে শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই লকডাউন উপেক্ষা করে কসবা উপজেলার কাঠেরপুল এলাকায় অবস্থিত “ কিং অব কসবা” রিসোর্টে ঘুরতে যান ভ্রমণ পিয়াসুরা। বিকেল নাগাদ সেখানে মানুষের ভীড় জমে।

খবর পেয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাসিবা খান সেখানে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২৫জনকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) হাসিবা খান বলেন, সরকার ঘোষিত “সবচেয়ে কঠোর” লকডাউন উপেক্ষা করে শুক্রবার দুপুরে উপজেলার কাঠেরপুল এলাকায় “কিং অফ কসবা রিসোর্টে” অনেকেই ঘুরাফেরা করতে আসেন। খবর পেয়ে দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২৫ জনকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তিনি বলেন, জনস্বার্থে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পর্যটন স্পটগুলোতে মানুষের ভীড়


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সীমা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূর লাশ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে গেছে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকেরা।  শুক্রবার রাতে শ্বশুর বাড়ির লোকজন ওই গৃহবধূর লাশ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে রেখে কৌশলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান।

গৃহবধূ সীমা আক্তার জেলার আখাউড়া উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের কন্যা ও বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের নলগড়িয়া গ্রামের আবুল হাসানের স্ত্রী।

সীমা আক্তারের স্বজনরা অভিযোগ করে বলেন, প্রায় ৩ বছর আগে আবুল হাসানের সাথে বিয়ে হয় সীমার। বিয়ের পর থেকে পারিবারিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ চলে আসছিল। শুক্রবার দুপুরে স্বামী আবুল হাসানের সাথে সীমার ঝগড়া হলে আবুল হাসান সীমাকে কয়েকটি চড়-থাপ্পর মেরে ঘর থেকে বের হয়ে যায়। এতে সীমা অভিমান করে সন্ধ্যায় ঘরে থাকা বিষপান করে।

স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ আরিফুজ্জামান হিমেল তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপরই আবুল হাসান ও পারিবারের লোকজন সীমার লাশ হাসপাতালে রেখে কৌশলে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক আরিফুজ্জামান হিমেল বলেন, গৃহবধূকে মৃত অবস্থাতেই হাসপাতালে আনা হয়েছিলো। আমরা তাকে মৃত ঘোষণার পর তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন পালিয়ে যায়। তিনি বলেন, গৃহবধূর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর্জা মোহাম্মদ হাসান বলেন, সীমা আক্তারকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে তার মা রীনা বেগম বাদি হয়ে শনিবার সকালে স্বামীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ সীমার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছেন। ঘটনার পর থেকেই স্বামীসহ অপর আসামীরা পলাতক রয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাসপাতালে স্ত্রীর লাশ রেখে স্বামীর পলায়ন


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং নতুন করে ১৮২ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। বুধবার বিকেলে সিভিল সার্জন ডাঃ একরামউল্লাহ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার এক পুরুষ-(৭৫) করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এনিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৭৬ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।

সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৪৩০ টি নমুনা পরীক্ষায় করে ১৮২ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। নতুন সনাক্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৪৫ জন, কসবা উপজেলায় ৩৭ জন, সরাইল উপজেলায় ১ জন, আশুগঞ্জ উপজেলায় ৭জন, নাসিরনগর উপজেলায় ৩ জন, বিজয়নগর উপজেলায় ৪জন, নবীনগর উপজেলায় ৬০ ও বাঞ্চারামপুর উপজেলায় ২৫ জন রয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, এ নিয়ে বুধবার পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় মোট ৫১১২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৩৯৩১ জন করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ্য হয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসে ১ জনের মৃত্যু ॥ নতুন সনাক্ত ১৮২ জন


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আজ রোববার (১১ জুলাই) অনুষ্ঠিতব্য কোপা আমেরিকা ফাইনাল খেলাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে মাঠে ঘাটে, এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে বাকযুদ্ধ। ইতিমধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের দামচাইল গ্রামে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় ৪ জন আহত হয়েছেন।

দু’দলের সমর্থকদের উত্তেজনা প্রশমন করার লক্ষ্যে ফাইনাল খেলার দিন ভোর থেকেই জেলা জুড়ে হাজারো পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে শনিবার জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকে বড় পর্দায় ফাইনাল খেলা দেখা নিষিদ্ধের পাশাপাশি সব ধরণের বিজয় মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোপা আমেরিকার ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে এর উত্তেজনা ছড়িয়ে পরেছে সারা বিশ্বে ফুটবল প্রেমীদের মাঝে। ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও বিশ্বের অন্যতম ফুটবল টীম চীর প্রতিদ্বন্দ্বি ব্রাজিল ও সমর্থকদের মধ্যে চলছে বাকযুদ্ধ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে এইসব বাকযুদ্ধ।

ইতিমধ্যে ৬ জুলাই (মঙ্গলবার) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের দামচাইল গ্রামে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলায় চার জন আহত হয়। তাই এই দুই দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলাকে কেন্দ্র করে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সর্তকতামূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। ফাইনাল খেলার দিন আজ রোববার ভোর ৬টা থেকে মাঠে থাকবে হাজারো পুলিশ।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বলেন, রোববার ভোর ৬টা থেকে কোপা আমেরিকার ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাই পুলিশের পক্ষ থেকে বাড়তি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, খোলা জায়গায় বড় পর্দায়, কোন ক্লাবে বা চায়ের দোকানে কোথাও খেলা দেখার আয়োজন করতে দেয়া হবেনা।
এ বিষয়ে শনিবার দুপুরে জেলা সদরসহ সকল উপজেলায় মাইকিং করা হয়েছে। ফাইনাল খেলার দিন ভোর ৫টা থেকে মাঠে থাকবে পুলিশের বিশেষ টিম। এছাড়াও জেলার ১১৬টি বিটে ৪জনে দল করে ১ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য মাঠে থাকবে। খেলা শেষ হওয়ার পর কোন অবস্থাতেই বিজয় মিছিল করা যাবে না। আমরা সেটি করতে দেবো না। এ ব্যাপারে আমরা জনপ্রতিনিধিদের সহায়তা চাইবো। কেউ যদি পুলিশের নির্দেশনা অমান্য করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

উল্লেখ্য ৬ জুলাই (মঙ্গলবার) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের দামচাইল গ্রামে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে চার জন আহত হয়। আহতদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।

আহতরা হলেন, সেলিম মিয়া-(৪৫), ছয়দাবুর রহমান-(২৫), জাকির মিয়া- (৩৫) ও নওয়াব মিয়া-(৬০)। আহতদের মধ্যে ৩জন আর্জেন্টিনার সমর্থক ও ১জন ব্রাজিল সমর্থকের চাচা। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ॥ মাঠে থাকবে হাজারো পুলিশ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘন্টায় ২জনের মৃত্যু হয়েছে। এরা দু’জনই ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এদের মধ্যে একজন মহিলা ও একজন পুরুষ। শুক্রবার বিকেলে এই তথ্য নিশ্চিত করে সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫১৩টি নমুনা পরীক্ষায় করে করোনা আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছেন ৮৪ জন।

মৃত ব্যক্তিরা হলেন আশুগঞ্জ উপজেলার পুরুষ-(৪৫) ও আশুগঞ্জ উপজেলার মহিলা-(৫৫)। এই দু’জন নিয়ে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৭১ জন মারা যান।

নতুন সনাক্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় রয়েছেন ৮ জন, কসবায় ৩৮, সরাইলে ৪, আখাউড়ায় ৩, আশুগঞ্জে ৮, নাসিরনগরে ২, বিজয়নগরে ২, বাঞ্চারামপুরে ১৯ জন করে রয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, এ নিয়ে শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় মোট ৪ হাজার ৬৬৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৩ হাজার ৮৪০ জন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসে ২জনের মৃত্যু, নতুন সনাক্ত ৮৪ জন


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন উপেক্ষা ও সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মাস্ক না পরা, লকডাউনে দোকান খোলা রাখা, অযথা বাইরে ঘুরাফেরা, সামাজিক দূরত্ব না মানা, মোটর সাইকেল নিয়ে অযথা ঘুরাফেরাসহ বিভিন্ন কারণে গত ৭দিনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২ হাজার ১৭৩ জনকে ১১ লাখ ২৫ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

গত ১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে গত বুধবার (৭ জুলাই) রাত পর্যন্ত জেলার ৯টি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদেরকে এই জরিমানা করেন।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কিশোর কুমার দাস বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন মানার জন্য জন-সাধারণকে বার বার বলা হচ্ছে। লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা শহর সহ ৯টি উপজেলায় ৩২জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করছেন। পাশাপাশি রয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।

তিনি বলেন, লকডাউন চলাকালে গত ৭ দিনে (১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই) রাত পর্যন্ত জেলায় সংক্রামক রোগ ( প্রতিরোধ,নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর ধারাসমূহ লঙ্ঘনের অপরাধে ২ হাজার ১৭৩ জনকে ১১ লাখ ২৫ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত বুধবার পর্যন্ত ৪ হাজার ৫৫১জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩ হাজার ৮২৭ জন সুস্থ্য হয়েছেন। জেলায় করোনা ভাইরাসে মারা গেছেন মোট ৬৯জন করোনায় মারা গেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কঠোর লকডাউনে ৭দিনে ২ হাজার ১৭৩ জনকে জরিমানা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে লকডাউন দেখতে ঘুরতে গিয়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা গুনলেন তিন যুবক। সোমবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কে. এম ইয়াসির আরাফাত ভ্রাম্যমান আদালতে তাদেরকে এই জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কে.এম ইয়াসির আরাফাত জানান, সোমবার বিকেলে উপজেলার সিঙ্গারবিল বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে তিন যুবক প্রাইভেটকার দিয়ে যাওয়ার সময় তাদেরকে আটক করা হয়। পরে তাদেরকে লকডাউনে প্রাইভেটকার নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর কথা জিজ্ঞেস করলে তারা জানায়, তারা সদর উপজেলার সুলতানপুর থেকে একটি সুন্নতে খৎনার দাওয়াতে যোগ দিতে বিজয়নগরের চম্পকনগর যাচ্ছেন।

পরে তিনি তাদের কথামতো চম্পকনগরে খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন সেখানে কোন সুন্নতে খৎনার অনুষ্ঠান নেই। পরে তারা জানান, তারা লকডাউন দেখতে বেরিয়েছেন।

পরে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে তিনি তিন যুবককে ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও লকডাউনে অহেতুক ঘুরাঘুরি করবে না এই মর্মে মুচলেকা আদায় করেন।

বিজয়নগরে জরিমানা গুনলেন তিন যুবক


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন উপেক্ষা ও সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মাস্ক না পরা, লকডাউনে দোকান খোলা রাখা, অযথা বাইরে ঘুরাফেরা, সামাজিক দূরত্ব না মানা, মোটর সাইকেল নিয়ে অযথা ঘুরাফেরাসহ বিভিন্ন কারনে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে ১৯ জনকে ৪৯হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

রোববার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে.এম. ইয়াসির আরাফাত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এই জরিমানা করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি অফিসার কে.এম. ইয়াসির আরাফাত বলেন, সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রন ও নির্মূল আইন, ২০১৮ অনুযায়ী ১৩টি মামলায় ১৯ জনকে ৪৯ হাজার ৭০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ভ্রাম্যমান আদালতে ১৯ জনকে জরিমানা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মাস্ক না পরা, লকডাউনে দোকান খোলা রাখা ও মোটর সাইকেল নিয়ে বের হওয়ায় ১৫ জনকে ৫৭৫০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত।

বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কে. এম. ইয়াসির আরাফাত ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রাবেয়া আসফার সায়মা পৃথক স্থানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এই জরিমানা করেন।

এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমান আদালতে নেতৃত্ব দেয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কে.এম. ইয়াসির আরাফাত জানান, সংক্রামক রোগ ( প্রতিরোধ,নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর বিভিন্ন ধারা ভঙ্গের অপরাধে ১৫ জনকে ১৫টি মামলায় ৫৭৫০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া কঠোর লকডাউন কার্যকর করার জন্য উপজেলার সকল গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর নিয়মিত টহল দেয়া হচ্ছে। জনস্বার্থে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।

বিজয়নগরে মাস্ক পরিধান না করাসহ বিভিন্ন অপরাধে ১৫ জনকে জরিমানা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে নিখোঁজের একদিন পর বিল থেকে হোসাইন মিয়া (৭) ও মোরসালিন (৬) নামে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সকাল ৬টায় উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের ডালপা গ্রামের কোইলার বিল থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।

মৃত হোসাইন মিয়া ডালপা গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে ও মোরসালিন একই গ্রামের তৌহিদ মিয়ার ছেলে।
শিশুদের পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত সোমবার সকালে হোসাইন ও মোরসালিন গ্রামের অন্যান্য শিশুদের সাথে বাড়ির কাছে বিলের পাশে খেলতে যায়। এরপর তারা বাড়ি ফিরেনি। সম্ভাব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজির পর সন্ধ্যায় বিষয়টি পুলিশকে অবহিত করা হয়।

মঙ্গলবার সকাল ৬টার দিকে কোইলfর বিলে ওই দুই শিশুর লাশ ভাসতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ বিল থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার চলতি দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফয়সাল আহমেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তাদের শরীরে আঘাতের কোন চিহ্ন নেই। ময়নাতদন্তের জন্য তাদের লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

বিজয়নগরে বিল থেকে দুই শিশুর লাশ উদ্ধার

ফেসবুকে আমরা..