স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রকে ভয় করে না। ষড়যন্ত্রে জাতির পিতাকে হারিয়েছি। আর ষড়যন্ত্র করতে দেয়া হবে না। সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করা হবে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় আখাউড়া উপজেলার ৩৮টি প্রকল্পের উদ্বোধন উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় তিনি একথা বলেন।

আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক অধ্যক্ষ মোঃ জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথিস আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে মানবিক কারণে বাসায় দেয়া হয়েছে।

তিনি কোভিড আক্রান্ত হলে চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে যান। ডাক্তার সাহেবরা কিন্তু ওনাকে (খালেদা জিয়া) ভালো করেছেন। এখনো ওনারা বলতেছে আমরা নাকি ভয় পাই। খালেদা জিয়াকে বিদেশ যেতে দেই না। যেই লোক, যেই দল (বিএনপি) দেশে থেকে অশ্ব ডিম্ব পাড়ে, সে বিদেশে গিয়ে কি করতে পারবে বলেন।

মন্ত্রী বিএনপি সভানেত্রী খালেদা জিয়ার বারবার বিদেশ যেতে চাওয়া নিয়ে প্র্রশ্ন তুলে বলেন, ‘যখন দেশে সব পরিবহন বন্ধ তখন তিনি বিদেশ যেতে চান। দেশের চিকিৎসায় যদি তিনি ভালো হন, তাহলে কেন বিদেশ যাবেন।’

তিনি বলেন, আমরা যদি বাংলাদেশে থেকে মানুষকে সুস্থ করতে পারি, তাহলে কি বিদেশ যাওয়ার দরকার আছে। বিদেশে যাওয়ার কি দরকার আছে, আপনারাই বলেন।

জনসভায় আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক আরও বলেন, লকডাউনের জন্য যারা ঘর থেকে বের হতে পারেননি, কর্মজীবী মানুষ, যারা কর্ম করতে পারে না, পেশাজীবী মানুষ, যারা পেশা করতে পারে নাই, যারা শিক্ষক ক্লাশ করতে পারে নাই, সকলের জন্য প্রণোদনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

সকলের জন্য এক লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকার বেশি প্রণোদনা দিয়েছেন তিনি।
মন্ত্রী জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন বলেন, ‘আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। ভোট দিয়ে আপনাদেরকে প্রমাণ করতে হবে যে আপনারা গণতন্ত্র চান। আপনাদেরকে প্রমাণ করতে হবে আপনার ভোট দিতে পারেন। ভোটের জন্য জনগণ যেভাবে চায় সেভাবে পরিবেশ করে দেয়া হবে। নির্বাচন ইনশাল্লাহ্ সুষ্ঠু হবে।

জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র মোঃ তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুমানা আক্তার, মুক্তিযোদ্ধা জমসেদ শাহ্, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান পিয়ারা আক্তার পিওনা, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারন সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ৷

জনসভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, মন্ত্রীর একান্ত সচিব মোঃ নূর কুতুবুল আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান, কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কায়সার ভূঁইয়া জীবন প্রমুখ।

এর আগে মন্ত্রী রেলপথে আখাউড়ায় আসেন। পরে বিকেলে কসবায় প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনের কথা রয়েছে।

আখাউড়ায় ৩৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় এ বছর ২২টি মন্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হবে। বুুুুুুধবার আখাউড়া থানা হলরুমে পুলিশের সাথে উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের মতবিনিময় সভায় এই তথ্য জানানো হয়।

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আখাউড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী আবদুল খালেক, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারন সম্পাদক চন্দন কুমার ঘোষ, পূজা উদযাপন পরিষদের আহবায়ক দীপক কুমার ঘোষ, ধরখার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিমল কর্মকার, শ্রী শ্রী রাধামাধব আখড়া কমিটির সাধারন সম্পাদক অলক কুমার চক্রবর্তী, পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব বিশ্বজিৎ পাল বাবু, দশভুজা মন্দির সভাপতি রতন পাল, দেবগ্রাম শিব মন্দির সভাপতি কালিপদ দাস, দাসপাড়া পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি রতি রঞ্জন দাস, পূজা উদযাপন কমিটির সদস্য সুমন সেন গুপ্ত, সুভাষ দাস, কানু লাল পাল প্রমুখ।

পূজা উদযাপন পরিষদের সদস্য সাংবাদিক জুটন বনিকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বলা হয়, গত বছর উপজেলায় ১৯টি পূজা অনুষ্ঠিত হয়। এ বছরও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পূজা উদযাপন করা হবে।

মত বিনিময়কালে প্রতিটি পূজা মন্ডপের সভাপতি, সম্পাদকসহ হিন্দু ধর্মালম্বীদের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন৷

আখাউড়ার ২২টি মন্ডপে অনুষ্ঠিত হবে দুর্গাপূজা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী ৪০টি পরিবারের মধ্যে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেছে “ স্বপ্নতরী” নামে একটি সামাজিক সংগঠন।  শুক্রবার সকালে উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের রামধননগর গ্রামের ওই অন্ধপল্লীতে এই খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের হাতে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুমানা আক্তার। প্রতিটি পরিবারের মধ্যে ৫ কেজি চাল, ২ কেজি পেঁয়াজ, ২ কেজি আলু, ১ কেজি আটা, ১ কেজি লবণ ও ৫০০ গ্রাম মসুর ডাল দেয়া হয়।

সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বলেন, সংগঠনের সদস্যরা স্বেচ্ছায় চাঁদা দিয়ে বিভিন্ন সময় গরীব অসহায় মানুষকে খাদ্য, বস্ত্র ও শিক্ষা সামগ্রী দিয়ে সহযোগিতা করে থাকে। এরই অংশ হিসেবে শুক্রবার অন্ধপল্লীতে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ সাইফুল ইসলাম, সংগঠনের সহ-সভাপতি সফিকুল ইসলাম জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রমুখ।

আখাউড়ায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ইটবাহি নৌকার ধাক্কায় ভেঙ্গে গেছে একটি সেতু। প্রায় ২২ বছর আগে অর্ধকোটি টাকা ব্যয়ে
শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ইঞ্জিনচালিত একটি নৌকার ধাক্কায় সেতুটির প্রায় অর্ধেক ভেঙ্গে যায়। এতে নৌকায় থাকা খালেক নামে এক ব্যক্তি আহত হন। তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের বনগজ ও কৃষ্ণনগর গ্রামের বিলের মাঝামাঝি সেতুটি নির্মাণ করা হয়। তবে সংযোগ সড়ক না থাকায় সেতুটি মানুষের কোন কাজে আসেনি। স্থানীয় একাধিক সূত্র নৌকার ধাক্কায় সেতুটি ভেঙ্গে যাওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে। তবে সেতু বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষের কেউ শুক্রবার বিকেল সাড়ে চারটা নাগাদ ঘটনাস্থলে যাননি। যে কারণে তাদের কাছ থেকে সঠিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার আখাউড়া উপজেলার ধরখার ইউনিয়নের বনগজ ও কৃষ্ণনগর গ্রামের বিলের মাঝামাঝি সেতুটির অবস্থান। বনগজ ও কৃষ্ণনগর গ্রামসহ উপজেলার মোগড়া ইউনিয়নের ভবানীপুর এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার ঘাটিয়ারা ও বরিশল গ্রামের মানুষের চলাচলের কথা চিন্তা করে ১৯৯৯ সালে এলজিইডি সেতুটি নির্মাণ করে। কিন্তু সেতুটি সমতল থেকে ১৫ ফুট উঁচুতে নির্মাণ করা ও এর সাথে সড়ক সংযোগ না থাকায় মানুষের কোনো কাজে আসছিলো না।
স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বাস্তবায়ন করা সেতুটির দৈর্ঘ্য ১২০ ফুট ও প্রস্থ আট ফুট।

আখাউড়া উপজেলার বনগজ গ্রামের বাসিন্দা মোঃ কামরুজ্জামাল লালু জানান, শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে ইটবাহী একটি নৌকা সেতুর মাঝখানের পিলারের সাথে ধাক্কা খায়। এতে সেতুটির একাংশ পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়ে। ভেঙ্গে পড়া অংশ পড়ে নৌকাটিও ডুবে যায়।


একই এলাকার মোঃ আরমান ও আবদুল্লাহ নামে দুই যুবক জানান, সেতুটি এলাকার মানুষের কোনো কাজে আসছিলো না। সেতু যেখানে করা হয় সেখানে অন্য কোনো যানবাহন তো দূরের কথা বাই সাইকেলও চলে না। শুক্রবার সকালে নৌকার ধাক্কায় সেতুটি ভেঙ্গে যায়। বিষয়টি দেখতে পেয়ে তারা সেখানে ছুটে আসেন।

ইটবাহি নৌকার মাঝি মোঃ রফিক মিয়া বলেন, জেলার সরাইল থেকে ৭ হাজার ইট নিয়ে তিনি আখাউড়া উপজেলার গোলখার এলাকায় যাচ্ছিলেন। ওই সেতুর নিচে যাওয়া মাত্র পানির তোড়ে নৌকার একটি অংশ সেতুর সাথে সামান্য ধাক্কা খায়। এতে সেতুর অংশ ভেঙ্গে নৌকা পড়ে। এতে নৌকাটি ডুবে যায়।

এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা এলজিইডি’র উপ-সহকারি প্রকৌশলী মোঃ জহিরুল ইসলাম বলেন, সেতু ভেঙ্গে পড়ার খবর তারা পেয়েছেন। তবে কতটুকু কি হয়েছে সে সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছেন না। ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে তিনি রওয়ানা হয়েছেন।

আখাউড়ায় নৌকার ধাক্কায় ভেঙ্গে গেছে সেতু

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আইন মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি বলেছেন, খুনি জিয়াউর রহমান শুধু বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথেই জড়িত ছিল তা নয়, তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও আইনের শাসনেও বিশ্বাস করতেন না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসাবে বিভিন্ন দেশের কুটনৈতিক মিশনে চাকরি দিয়ে জিয়াউর রহমান সেটা বুঝিয়ে দিয়েছেন।
রোববার সকালে আখাউড়া উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬ তম শাহাদৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির ভার্চুয়ালি বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুমানা আক্তারের সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি আরও বলেন, আমরা বড় হয়েছি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে। কিন্তু যারা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারকে হত্যা করেছিল তারা চেয়েছিল বঙ্গবন্ধুর রক্ত মুছে দিলেই বাংলাদেশের মানুষকে পাকিস্তানের পথে ফিরিয়ে নিতে পারবে।  শেখ হাসিনা সরকারের অঙ্গীকার বঙ্গবন্ধুসহ সকল হত্যাকান্ডের বিচার করা হবে।  আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, যতক্ষণ পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার সাজাপ্রাপ্ত বাকি খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদেরকে ধরে আনার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূঁইয়া, পৌর সভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোঃ সাইফুল ইসলাম, আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাছরীন সফিক আলেয়া, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার সৈয়দ জমশিদ শাহ প্রমুখ।

আখাউড়ায় জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় আইনমন্ত্রী 


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ২ নারীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ৫৯ বছর বয়সী এক নারী ও নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬০ বছর বয়সী অপর এক নারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন অফিসের ফেসবুক পেইজে এই তথ্য দেয়া হয়।

এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় ৩৪০টি নমুনা পরীক্ষা করে ১১১জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৬২ জন, কসবা উপজেলায় ১০জন, আখাউড়া উপজেলায় ৯জন, আশুগঞ্জ উপজেলায় ২১জন, বিজয়নগর উপজেলায় ২জন ও বাঞ্চারামপুর উপজেলায় ৭ জন। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪০জন।

ফেসবুক পেইজে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় এ পর্যন্ত ৯৯৩৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৪৫৭ জন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেইন্টানে আছেন ১৯৩ জন, হাসপাতালের আইসোলেশনে আছেন ৭৯জন, সেলফ আইসোলেশনে আছেন ৪২৫৬ জন৷ এ পর্যন্ত জেলায় মারা গেছেন ১৪১ জন।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরামউল্লাহর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন৷

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২ নারীর মৃত্যু


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে প্রথমবারের মতো গম আমদানী শুরু হয়েছে। রোববার দুপুরে আমদানী করা ১হাজার ৩২০ মেট্রিক টন গমের মধ্যে ৩০টি ট্রাকে করে প্রায় ৬০০ মেট্টিক টন গম আখাউড়া স্থল বন্দরে এসে পৌছে।

সোমবার পৌছবে আরো ৩৭টি ট্রাক। বুধবার থেকে দ্বিতীয় চালানে প্রবেশ করবে আরো ১ হাজার ৩২০ মেট্টিক টন গম। এতে করে আখাউড়া স্থল বন্দরে প্রাণচাঞ্চল্য বিরাজ করছে।

এই গম ভারত থেকে আমদারি করেছেন রাজশাহীর এম.এস বিসমিল্লাহ ফ্লাওয়ার মিল। রপ্তানী করেছে ভারতের এম.এ.এস ব্রিজ কিশোর প্রসাদ।

আমদানীকারক প্রতিষ্ঠানের সিএন্ডএফ এজেন্ট আদনান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের সত্ত্বাধিকারী মোঃ আক্তার হোসেন এই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এই প্রথমবারের মতো আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে রোববার ভারত থেকে গম আমদানি শুরু হয়। তিনি বলেন, প্রথম চালানের ১ হাজার ৩২০ মেট্টিক টন গমের মধ্যে প্রায় ৬০০ মেট্টিক টন গম রোববার দুপুরে ৩০টি ট্রাকে করে আখাউড়া স্থল বন্দরে পৌছেছে। বাকী গমগুলো সোমবার ৩৭টি ট্রাকে করে আখাউড়া স্থল বন্দরে পৌছবে। দ্বিতীয় চালানেও ১ হাজার ৩২০ মেট্টিক টন গম বুধবার থেকে ট্রাকে করে আখাউড়া স্থল বন্দরে এসে পৌছাবে। পর্যায়ক্রমে এই বন্দর দিয়ে গম আমদানী হবে।

তিনি আরো বলেন, গত ৪ আগষ্ট ভারতের উত্তর প্রদেশ থেকে মালবাহী ট্রেনের ২১টি বগিতে করে এই গম গত শনিবার দুপুরে ত্রিপুরার আগরতলায় প্রবেশ করে। পরে বাংলাদেশে রপ্তানীর জন্য ট্রেন থেকে ৬৭টি ট্রাকে এই গম আনলোড করা হয়।

রোববার দুপুরে গমভর্তি ৩০টি ট্রাক আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে।
তিনি বলেন, এতোদিন নৌ-পথে ভারতের কলকাতা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর পর্যন্ত এসব পণ্য পরিবহন করা হলেও এই প্রথমবারের মতো আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে সড়ক পথে পন্য পরিবহন করা হচ্ছে। এতে সময় এবং খরচ অনেকটাই কমে আসবে।

তিনি বলেন, ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের সাথে ২০১৭ সালে অন্যান্য রাজ্যের রেলওয়ে যোগাযোগ স্থাপিত হয়। আজকের গম আমদানীর মাধ্যমে নতুন দিনের সূচনা হয়েছে।
তবে কৃষিজাত পণ্য হওয়ায় নীতিমালা অনুযায়ী পন্যের কোনো মাসুল পাবেনা বাংলাদেশ সরকার। আমদানীকৃত গমের মূল্য প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকা। এদিকে একসাথে বিপুল সংখ্যক ট্রাক প্রবেশ করায় আখাউড়া স্থলবন্দরের শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রাণচাঞ্চল্য বিরাজ করছে। এ সময় দুই দেশের কাস্টম কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ব্যাপারে আখাউড়া স্থলবন্দরের সহকারী কমিশনার (ট্রাফিক) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, স্থলবন্দরে গম আমদানি করা ট্রাক রাখা, মালামাল উঠানো- নামানো বাবদ বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রায় ৮০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা মাসুল পাবেন।

এই প্রথমবারের মতো আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে গম আমদানী

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আ ব র নি’র উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারের করোনার রোগী ও করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের মাঝে মৌসুমী ফল বিতরণ করেন।
রোববার দুপুরে সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক হাবিবুর রহমান পারভেজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. ওয়াহীদুজ্জামানের হাতে মৌসুমী ফল হস্তান্তর করা হয়।
বিতরণ করা ফলের মধ্যে ছিলো আম, কলা, পেয়ারা, মাল্টা, লটকন, লেবু ও আমড়া ইত্যাদি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামী ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান সাজু, তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক মজিবুর রহমান খান, সাবেক সহসভাপতি মফিজুর রহমান লিমন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ, ডা. হিমেল খান, ডা. সৈয়দ আরিফুল ইসলাম৷
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, এশিয়ান এজের জেলা প্রতিনিধি আশিকুর রহমান মিঠু, সামাজিক ব্যক্তিত্ব সাংবাদিক সুমন রায়, ঢাকাপোষ্ঠের জেলা প্রতিনিধি আজিজুর সঞ্চয় ও দৈনিক সকালবেলার জেলা প্রতিনিধি আজহার উদ্দিন প্রমুখ৷
এছাড়া আ ব র নি’র সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিল্লাল হোসেন, হারুন মোল্লা, সাইফুল আজীজ সোহেল, ফরহাদ হোসেন জুয়েল, বিজয় সাহা, বিপ্লব হোসেন প্রমূখ৷
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. ওয়াহীদুজ্জামান বলেন, আবরনির এই উদ্যোগের ফলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা করোনা আক্রান্ত রোগিদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং তারা উপকৃত হবেন। তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে অনেক সামাজিক সংগঠন এগিয়ে আসছে, যার ফলে রোগীরা অনেক সুবিধা পাচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা রোগীদের মাঝে আ ব র নি”র মৌসুমী ফল বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকার ঘোষিত গত দুই সপ্তাহের লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মুখে মাস্ক না পড়ে অযথা বাইরে ঘুরাফেরা, দোকানপাট খোলা রাখাসহ সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ অমান্য করায় ২ হাজার ১৩২ জনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গত ২৩ জুলাই (শুক্রবার) সকাল থেকে গত ৫ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪দিনে জেলা সদরসহ জেলার ৯টি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২ হাজার ১৩২ জনকে ১০ লাখ ৬১ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করেন।

শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন মানার জন্য জনসাধারণকে বার বার বলা হচ্ছে। লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা সদরসহ জেলার ৯টি উপজেলায় ২৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করছেন। পাশাপাশি মাঠে রয়েছেন সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যগণ।

তিনি বলেন, গত ২৩ জুলাই সকাল থেকে ৫ আগষ্ট সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪ দিনে জেলায় সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ,নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর ধারা সমূহের লংঘনের অপরাধে ২১৩২ জনকে ১০ লাখ ৬১ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি বলেন, জনস্বার্থে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

দুই সপ্তাহের লকডাউনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জরিমানা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এম.পি বলেছেন, “১৫ আগস্টকে সামনে রেখে আমাদেরকে শুধুমাত্র শোক পালন করলে চলবে না। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আদর্শ পৌঁছে দিতে হবে। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।

মন্ত্রী ঢাকা থেকে ভার্চুয়ালি আলোচনায় যোগ দেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক মোঃ জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও পৌর মেয়র মোঃ তাকজিল খলিফা কাজলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আবুল কাসেম ভূইয়া, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুমানা আক্তার, আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম সামদানী ফেরদৌস, আতাউর রহমান নাজিম, আবদুল মমিন বাবুল, মোঃ জালাল উদ্দিন, আবুল হাসেম নোয়াব মিয়া, খোকন খান, শাহবুদ্দিন বেগ শাপলু, শাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ।

আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আমরা পরিস্কার করে বলতে চাই, যতই সময় লাগুক না কেন বঙ্গবন্ধুর খুনিদের রায় কার্যকর করা হবে। তাদেরকে ধরে আনতে আমাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এসময় তিনি দলীয় নেতা-কর্মীদের পরনে কালো ব্যাজ না থাকায় দুঃখ প্রকাশ করেন ও দলীয় নেতা-কর্মীদেরকে সার্বক্ষণিকভাবে কালো ব্যাজ ধারণের নির্দেশ দেন।

এ সময় মন্ত্রী ১৫ আগস্ট উপলক্ষে প্রচলিত নিয়ম অনুসারে কাঙ্গালিভোজ না করার পরামর্শ দিয়ে করোনা ভাইরাসের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া সেলুন কর্মী ও চায়ের দোকানের কর্মীদেরকে খাদ্য সহায়তা দেয়ার কথা বলেন।

সভায় মন্ত্রীর ঘোষণা দেয়া পাঁচ লাখ টাকাসহ মোট ১০ লাখ টাকায় এক হাজার প্যাকেটে খাদ্য সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

আখাউড়ায় জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় আইনমন্ত্রী

ফেসবুকে আমরা..