স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আগামী দুই নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌর সভার নির্বাচন। নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ গোলাম হাক্কানি ওরফে এমজি হাক্কানি। আজ রোববার দলীয় প্রার্থী মোঃ গোলাম হাক্কানী কসবা পৌরসভার নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও জেলা নির্বাচন অফিসার মোঃ জিল্লুর রহমানের কার্যালয়ে মেয়র পদে তার মনোনয়নপত্র দাখিল করবেন।

এদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে দল মনোনীত প্রার্থী মোঃ গোলাম হাক্কানিকে সমর্থন দিয়েছেন বর্তমান মেয়র মোঃ এমরান উদ্দিন জুয়েল। শনিবার বিকেলে কসবা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এলাকাবাসীর সাথে এক মতবিনিময় সভায় মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল এই সমর্থন ব্যক্ত করেন।

মত বিনিময় সভায় মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল বলেন, নৌকা আমাকে জুয়েল বানিয়েছে। নৌকার সাথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্পর্ক। নৌকার সাথে আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হকের সম্পর্ক। আমি নৌকার সাথে বেঈমানি করবো না। নৌকার প্রার্থী যদি বিনা প্রতিদ্ব›িদ্বতায় নির্বাচিত না হন তাহলে আপনারা দুই নভেম্বর কেন্দ্রে গিয়ে নৌকা প্রতিকে ভোট দিবেন। নৌকার পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।

মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল বলেন, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক আমাকে মেয়র বানিয়েছেন। তিনি যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা আমি মাথা পেতে মেনে নিয়েছি। কোনো পদ পদবী আমার না থাকলেও আমি আগের মতোই জনগণের পাশে থাকবো। তিনি দায়িত্ব পালনকালে কোনো ভুলভ্রান্তি করে থাকলে ক্ষমা করে দেয়ার জন্য জনগণের জনগনের প্রতি আহবান জানান।

 

মতবিনিময় সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক কাজী আজহারুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আফজাল হোসেন খান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভায় বক্তারা আওয়ামী লীগের দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানান।

ঘোষিত তফসিল অনুযায়ি রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ তারিখ ১০ অক্টোবর। মনোনয়নপত্র বাছাই ১১ অক্টোবর, আপিল ১২ অক্টোবর, প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ অক্টোবর এবং দুই নভেম্বর ভোট গ্রহন। ইলেকট্রনিকস ভোটিং মেশিন (ইভিএম) এর মাধ্যমে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য কসবা পৌর সভার মোট ভোটার ২৯ হাজার ৮শত জন।
###

কসবা পৌরসভার নির্বাচন আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থীকে বর্তমান মেয়রের সমর্থন

হেফাজতের তান্ডবে ধ্বংস হওয়ার ৭ মাসেও সভাবিক হয়নি ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন। এক জোড়া আন্তনগর ট্রেন ছাড়া বাকি সকল আন্তনগর ট্রেনের স্টপেজ বন্ধ রয়েছে দীর্ঘদিন। এতে ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম সহ সারা বাংলাদেশের সঙ্গে রেল যাতায়াত ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন থাকায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার লক্ষ লক্ষ লোক মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। রেলওয়ে স্টেশন সংস্কার ও সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ, মিছিল, মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদানসহ ধারাবাহিক ভাবে নানান কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে জেলা নাগরিক ফোরাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া। একই দাবিতে আজ দ্বিতীয় বারেরমত ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন চত্তরে “মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ” কর্মসূচি পালন করেছে সংগঠনটি। সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য প্রাদন করেন।

বক্তারা বলেন, হেফাজতের তান্ডবের দায়ভার ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জনগণের উপর চাপিয়ে দেয়া কোনভাবেই যুক্তিযুক্ত নয়। এটা নাগরিক অধিকারের সুস্পষ্ট লক্ষণ। তারা রেলওয়ে স্টেশনে হামলা, ভাঙ্গচুর ও অংগ্নি সংযোগের সাথে জড়িত হেফাজত নেতাকর্মীদের বিচারের আওয়াতায় আনার দাবী জানান। তারা আরো বলেন, দীর্ঘ ৭মাস যাবত আমরা শান্তিপূর্ণ উপায়ে আন্দোলন করছি। কিন্তু আমাদের ন্যায্য দাবী আদায় হচ্ছে না। আমাদের পিঠ দেয়ালে ঠেকে গেছে। জনগণের দৈর্য্যচ্যুতি ঘটছে। আমরা আর কোন আশ্বাস চাই না, সমাধান চাই। দেশের অনেক সম্যস্যার সামাধান হলেও ৩০ লক্ষ ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর এই গণদাবি কেন পূরণ হচ্ছে না এই ক্ষোভ প্রকাশ করে বক্তগণ সমস্যা সমাধানে মানননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বাস মালিকদের সাথে রেল কর্মকর্তদের কোন যোগসাজশ আছে কিনা সন্দেহ্ প্রকাশ করে প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তাগণ ঘোষণা করেন, আগামী ৩০ আক্টোবরের মধ্যে দ্রুত সকল আন্তনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতি নিশ্চিত করতে হবে। অন্যথায় হাজার হাজার জেলাবাসীকে সাথে নিয়ে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপর দিয়ে সকল প্রকার রেল চলাচল বিচ্ছিন্ন কর দেয়ার হুশিয়ারী উচ্চারণ করেন তারা। এসময় রেলওয়ে স্টেশন চলমান সংস্কার কাজের মান নিয়েও সমালোচনা করেন কোন কোন বক্তা।

আজ শনিবার সকাল ১১ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন চত্তরে অনুষ্ঠিত জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য এর সভাপতিত্বে সমাবশে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সংবাদিক ও যুবনেতা হাবিবুর রহমান পারভেজের পরিচালনায় উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা আব্দুল ওয়াহিদ খান লাভলু, জেলা জাসদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আক্তার হোসেন সাঈদ, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামী, সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন,সহ-সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, রামরাইল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহাদত খান, আইডিয়াল রেসিডেন্সিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ সোপানুল ইসলাম সোপান, সম্মিলত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আব্দুন নূর, জেলা নাগরিক ফোরামের সিয়িরর সহ-সভাপতি আতাউর রহমান শাহীন, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকী, রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সাবেক সাধারণ সম্পাদক, সাবেক ভিপি এড. এমদাদুল হক, কবি ও গীতিকার দেওয়ান মারুফ, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি হোসাইন আহমেদ তফছির, জেলা ওয়ার্কার্স পাটির নেতা কমরেড নজরুল ইসলাম।

উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনী সজিব, দৈনিক সংগ্রামের জেলা প্রতিনিধি সৈয়দ মোঃ আকরাম, সাপ্তাহিক তিতাস বার্তা সম্পাদক এম.এ মতিন শানু, সোনালী ব্যাংক এর প্রিন্সিপাল অফিসার এ কে এম মাকছুদুর রহমান চৌধুরী, ৩ ওয়ার্ড এর সাবেক কাউন্সিলর মোঃ খবির উদ্দিন, স্টেশন রোড দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ নুরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম দুলাল, জেলা খেলাঘর আসরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, অংকুর শিশু-কিশোর সংগঠনের সভাপতি আনিসুল হক রিপন, পিসভিশন এর সভাপতি অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, বৈশাখী শিল্পগোষ্ঠীর সভাপতি মোহাম্মদ হোসেন, নদী নিরাপত্তা বিষয়ক সামাজিক সংগঠন নোঙ্গর এর সভাপতি শামীম আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক খালেদা মুন্নি, আইকর সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উত্তম কুমার দাস, বিশিষ্ট সমাজসেবক ইঞ্জিনিয়ার মাইনুল ইসলাম টুটুল, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি ইখতিয়ার উদ্দিন স্বপন, যুবলীগ নেতা হাবিব আবদুল্লাহ সোহেল, পৌর নাগরিক ফোরামের সভাপতি রুমেল আল ফয়সাল, জেলা নাগরিক ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মতিন শিপন, জেলা ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি ফাহিম মুনতাসির, এড. অসিম কুমার বর্ধন, মোঃ খলিলুর রহমান প্রমুখ।

উক্ত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও কয়েশত সাধারণ জনগণ এতে অংশগ্রহণ করেন।

৩০ অক্টোবরের মধ্যে দাবি আদায় না হলে শান্তিপূর্ণভাবে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা-নাগরিক ফোরাম

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দেশীয় প্রজাতির মৎস্য সুরক্ষা ও মৎস্য সংরক্ষণ আইন বাস্তবায়নে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে৷  বুধবার সন্ধ্যায় শহরের মেড্ডা এলাকায় তিতাস নদীর কালভৈরব ঘাটে এসব জাল ধংস করা হয়।

অভিযান পরিচালনা করে ১০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও ৩৮ সট চায়না দুয়ারি রিং জাল জব্দ করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়৷

এর আগে বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস্য অফিসার মোঃ সামছু উদ্দিনের নেতৃত্বে মৎস্য অফিসের লোকেরা সদর উপজেলার তিতাস নদীতে অভিযান চালায়।

এ ব্যাপারে অভিযান পরিচালনাকারী সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মোঃ সামছু উদ্দিন বলেন, দেশীয় প্রজননক্ষম মাছ ও পোনা মাছ রক্ষার্থে মৎস্য সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নে বুধবার বিকলে তিতাস নদীত অভিযান চালিয়ে ১০ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও ৩৮ সট চায়না দুয়ারি রিং (ফিক্সড ইঞ্জিন) জাল জব্দ করে আগুনে ধ্বংস করা হয়। তিনি বলেন, উদ্ধারকৃত জালের মূল্য প্রায় দুই লাখ টাকা। আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে৷

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিপুল পরিমাণ কারেন্ট জাল আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস


স্টাফ রিপার্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সনাতন ধর্মালম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে ত্রিপুরায় ইলিশ মাছ রপ্তানী করা শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল একটি পিকআপ করে ১০০টি বক্স করে দুই টন (দুই হাজার কেজি) ইলিশ মাছ ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলায় প্রবেশ কর।

আগামী ১০ অক্টোবর পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে ৪০টন ইলিশ ভারতে রপ্তানী করা হবে। বাংলাদেশের রপ্তানীকারক প্রতিষ্ঠান বিডিএস কর্পোরেশন ইলিশ মাছগুলো রপ্তানী শুরু করে। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার বিদ্যা এন্টার প্রাইজ ইলিশ মাছ আমদানি করেন।

মাছের সিএন্ডএফ এজেন্ট মাল্লা এন্টার প্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোস্তফা মোল্লা বলেন, ২০১৩ সাল থেকে আখাউড়া স্থল বন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানী বন্ধ ছিল। দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৪০ টন ইলিশ রপ্তানির বিশেষ অনুমতি দেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার প্রথম চালান ২ টন মাছ রপ্তানি করা হয়েছে। ১০ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ রপ্তানী করা হবে।

আখাউড়া স্থলবন্দর সূত্র জানায়, এ বন্দর দিয়ে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ রয়েছে। তবে দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৪০ টন ইলিশ রপ্তানির বিশেষ অনুমতি দয়া হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বিডিএস কর্পোরেশনের মাধ্যমে সিএন্ডএফ এজেন্ট মোল্লা এন্টার প্রাইজ এসব মাছ ভারতে পাঠায়। প্রতি কেজি মাছের মূল্য ধরা হয়েছে ১০ ডলার। আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে ৪০ টন মাছ রপ্তানি করা হবে। ভারতের বিদ্যা এন্টার প্রাইজ মাছের আমদানিকারক।

এ ব্যাপার আখাউড়া স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক অ্যাসাসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম জানান, বন্দর দিয়ে ইলিশ রপ্তানি দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে। তবে দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে একটি প্রতিষ্ঠান ১০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি চায়। ৪০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পেয়ে সেটি বৃহস্পতিবার থেকে যাওয়া শুরু হয়। তিনি বলেন, ত্রিপুরায় ইলিশের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। দুর্গাপূজা উপলক্ষে দীর্ঘদিন পর ত্রিপুরায় ইলিশ যাওয়ায় দু’দেশের ব্যবসায়ী ও মানুষের মধ্যে সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে।

এ ব্যাপার আখাউড়া স্থল শুল্ক কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান বলেন, বিডিএস কর্পোরেশন ৪০টন ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছ। প্রতি কেজি ইলিশের দাম ধরা হয়েছে ১০ ডলার।

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানী শুরু

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আগামী ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। বৃহস্পতিবার উপজেলা আওয়ামীলীগের বিশেষ কর্মী সভা অনুষ্ঠিত হয়।

স্থানীয় ডাকবাংলা মিলনায়তন অনুষ্ঠিত বিশেষ কর্মী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম ফরহাদ হাসান সংগ্রাম।

উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ লিয়াকত আব্বাস টিপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতাবৃন্দ।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বি.এম ফরহাদ হাসান সংগ্রাম এম.পি বলেন, ১১ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সবাইক ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের জন্য কাজ করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ-নির্বাচন দল যাকে মনোনয়ন দেবে তার পক্ষেই সবাইকে কাজ করতে হবে।

উল্লেখ্য, তফসিল অনুযায়ী আগামী ১১ নভেম্বর নাসিরনগর উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নিবার্চন অনুষ্ঠিত হবে।

নাসিরনগর আওয়ামীলীগের বিশেষ কর্মী সভা 


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসনের উদ্যােগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ রুহুল আমিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক রবিউল হক মজুমদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মোজ্জামেল হক রেজা, প্রসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামি প্রমুখ।

এছাড়াও সভায় সরকারি ও বেসরকারি বিভিন অফিসের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন৷

জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন বলেন, ২০০৯ সালে জাতীয় সংসদে প্রথম যে আইনটি পাশ হয় সেটিই তথ্য অধিকার আইন। সেখানে বলা আছে, সরকার কাজ করে জনগণের স্বার্থে। জনস্বার্থে সরকার জনগণকে প্রয়োজনীয় তথ্য দিবে। কয়েকটি ক্ষেত্র ছাড়া যেমন দেশের নিরাপত্তার বিষয়, মামলা ও রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ছাড়া সকল তথ্য প্রত্যেক অফিস দিবে।

তিনি বলেন, স্বছতা হলেই জবাবদিহিতা আসবে, জবাবদিহিতা আসলেই উন্নয়ন হবে ও সোনার বাংলা বিনির্মাণ করা সহজ হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে দ্বিতীয় দফায় গণটিকাদান ক্যাম্পেইন শুরু হয়। মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে জেলার ৯টি উপজেলার ৯৮টি ইউনিয়ন ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ড এক যোগে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ মাঃ একরাম উল্লাহ বলেন, জেলার ৯টি উপজেলায় ৯৮টি ইউনিয়ন এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার ১২টি ওয়ার্ডের মোট ১১০টি কেন্দ্রে ৩০৬টি বুথ মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে একযোগে টিকার কার্যক্রম শুরু হয়। প্রতিটি বুথে ৫০০ জনকে টিকা দেওয়া হবে।এবারের ক্যাম্পেইনও বয়স্ক ব্যক্তিদের প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, জেলায় ১ লাখ ৫৩ হাজার মানুষকে টিকা দেওয়ার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল সাড় ১০টায় শহরের নিয়াজ মুহাম্মদ উচ বিদ্যালয় কেন্দ্রের বাইরে দেখা যায় নারীদের জটলা। তারা টিকা কার্ড কেন্দ্রের ভেতরে থাকা স্বেচ্ছাসেবীর হাতে দিয়ে বাইরে অপেক্ষা করছেন। ভেতর থেকে স্বেচ্ছাসেবীরা কার্ড দেখে নাম ধরে ডাকছেন। যাদের নাম বলা হয়, তারা কেন্দ্রের ভিতর গিয়ে টিকা দিয়েছন।

বেলা ১১টায় ওই কেন্দ্রে উপস্থিত থাকা পরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর কাউসার আহমেদ জানান, সকাল নয়টায় টিকা দেওয়া শুরু হয়। এখন পর্যন্ত ২০০জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। কতক্ষণ টিকাদান চলবে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বরাদ্দকৃত টিকা থাকার যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষের উপস্থিতি থাকবে ততক্ষণ পর্যন্ত দেওয়া হবে।

সিভিল সার্জন ডাঃ মাহাম্মদ একরাম উল্লাহ আরও জানান, কোনো ধরণের বিশৃংখলা ছাড়াই গণটিকাদান কর্মসূচী শেষ হয়েছে। ক্যাম্পেইন শুধুমাত্র প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে৷  তিনি বলন, কতজন টিকা দিয়েছেন তা গননা করা হয়েছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১ লাখ ৫৩ হাজার মানুষদের গণটিকা প্রদান

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ মিলতায়তনে আলহাজ্ব আজদু মিয়া স্মৃতি গণপাঠাগার এ পুরুষ্কার বিতরণ করা হয়৷

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর।

পাঠাগারের সভাপতি শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আরিফুল হক মৃদুল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফারহানা নাসরিন, সরাইল সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মৃধা আহমাদুল কামাল, সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন, সরাইল মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ বদর উদ্দিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবু হানিফ মিয়া, সরাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি আইয়ুব খান, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান, মিরসরাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শামসুল আলম প্রমুখ।

সভায় প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের ২১ জন শিক্ষার্থীর হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। রচনা প্রতিযোগিতায় কলেজ পর্যায়ে প্রথম স্থান অধিকার করে সরাইল মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী জেবুন্নেছা মঞ্জিলা।

সরাইলে রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরষ্কার বিতরণ

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

হেফাজতের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্থ ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলষ্টেশন দ্রুত পুনঃসংস্কার ও সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবীতে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে প্রেসক্লাবের সামনে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্যের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্তের সার্বিক পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা জাসদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আক্তার হোসেন সাঈদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ওয়াসেল সিদ্দিকি, জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক কমরেড সাজিদুল ইসলাম, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রদ্যুৎ নাগ, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা কমেরড নজরুল ইসলাম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক সাংবাদিক আবদুন নূর, প্রেসক্লাবে সহ সভাপতি ইব্রাহিম খান সাদাত, আয়কর সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ উত্তম কুমার দাস, আবরনির নির্বাহী পরিচালক, সাংবাদিক ও যুবনেতা হাবিবুর রহমান পারভেজ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়নের আহবায়ক মনির হোসেন, নদী নিরাপত্তা সামাজিক সংগঠন নোঙরের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সভাপতি মোঃ শামীম আহমেদ, সাহিত্য একাডেমির সাধারণ সম্পাদক নুরুল আমিন, জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য সচিব ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ প্রমুখ।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা নাগরিক ফোরামের সহ-সভাপতি মোঃ শাফির উদ্দিন চৌধুরী রনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম শ্রাবণ, সদস্য বিজয় রঞ্জন সাহা, পৌর নাগরিক ফোরামের সভাপতি রুমেল আল ফয়সাল, সদর উপজেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি কবির আহমেদ রানা, বৈশাখী শিল্পগোষ্ঠীর সভাপতি মোহাম্মদ হাসান, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক তকির আহমদ, আফরিন ফাতিহা জুই প্রমুখ৷

সভায় বক্তারা বলেন, হেফাজতের তান্ডবে ধ্বংস হওয়ার ৬ মাস অতিক্রম হলেও ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে এখন পর্যন্ত আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রা বিরতি চালু করা হয়নি৷ হয়নি স্টেশনের সংস্কারও৷ ফলে ঢাকা-সিলেট-চট্টগ্রাম সহ সারাদেশের সাথে রেলযোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে৷ এতে যাত্রীরা অনেক ভোগান্তিতে পড়েছে৷

এ সময় বক্তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্রুত সময়ের মধ্যে সকল ট্রেনের যাত্রা বিরতির দাবি জানান। সেই সাথে তারা ১৫ দিনের মধ্যে সকল আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রা বিরতি নিশ্চিত না করলে সারা বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার আল্টিমেটাম দেন৷

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রেলষ্টেশন দ্রুত পুনঃসংস্কার ও সকল ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবীতে মানববন্ধন


স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেছেন, আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্রকে ভয় করে না। ষড়যন্ত্রে জাতির পিতাকে হারিয়েছি। আর ষড়যন্ত্র করতে দেয়া হবে না। সকল ষড়যন্ত্রকে প্রতিহত করা হবে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় আখাউড়া উপজেলার ৩৮টি প্রকল্পের উদ্বোধন উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এক জনসভায় তিনি একথা বলেন।

আখাউড়া উপজেলা পরিষদ মাঠে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক অধ্যক্ষ মোঃ জয়নাল আবেদীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় প্রধান অতিথিস আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক এমপি আরও বলেন, খালেদা জিয়াকে মানবিক কারণে বাসায় দেয়া হয়েছে।

তিনি কোভিড আক্রান্ত হলে চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে যান। ডাক্তার সাহেবরা কিন্তু ওনাকে (খালেদা জিয়া) ভালো করেছেন। এখনো ওনারা বলতেছে আমরা নাকি ভয় পাই। খালেদা জিয়াকে বিদেশ যেতে দেই না। যেই লোক, যেই দল (বিএনপি) দেশে থেকে অশ্ব ডিম্ব পাড়ে, সে বিদেশে গিয়ে কি করতে পারবে বলেন।

মন্ত্রী বিএনপি সভানেত্রী খালেদা জিয়ার বারবার বিদেশ যেতে চাওয়া নিয়ে প্র্রশ্ন তুলে বলেন, ‘যখন দেশে সব পরিবহন বন্ধ তখন তিনি বিদেশ যেতে চান। দেশের চিকিৎসায় যদি তিনি ভালো হন, তাহলে কেন বিদেশ যাবেন।’

তিনি বলেন, আমরা যদি বাংলাদেশে থেকে মানুষকে সুস্থ করতে পারি, তাহলে কি বিদেশ যাওয়ার দরকার আছে। বিদেশে যাওয়ার কি দরকার আছে, আপনারাই বলেন।

জনসভায় আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক আরও বলেন, লকডাউনের জন্য যারা ঘর থেকে বের হতে পারেননি, কর্মজীবী মানুষ, যারা কর্ম করতে পারে না, পেশাজীবী মানুষ, যারা পেশা করতে পারে নাই, যারা শিক্ষক ক্লাশ করতে পারে নাই, সকলের জন্য প্রণোদনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।

সকলের জন্য এক লাখ ৩২ হাজার কোটি টাকার বেশি প্রণোদনা দিয়েছেন তিনি।
মন্ত্রী জনগণের উদ্দেশ্যে বলেন বলেন, ‘আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু হবে। ভোট দিয়ে আপনাদেরকে প্রমাণ করতে হবে যে আপনারা গণতন্ত্র চান। আপনাদেরকে প্রমাণ করতে হবে আপনার ভোট দিতে পারেন। ভোটের জন্য জনগণ যেভাবে চায় সেভাবে পরিবেশ করে দেয়া হবে। নির্বাচন ইনশাল্লাহ্ সুষ্ঠু হবে।

জনসভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র মোঃ তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রুমানা আক্তার, মুক্তিযোদ্ধা জমসেদ শাহ্, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান পিয়ারা আক্তার পিওনা, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাহাব উদ্দিন বেগ শাপলু, সাধারন সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন নয়ন প্রমুখ৷

জনসভায় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, মন্ত্রীর একান্ত সচিব মোঃ নূর কুতুবুল আলম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান, কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কায়সার ভূঁইয়া জীবন প্রমুখ।

এর আগে মন্ত্রী রেলপথে আখাউড়ায় আসেন। পরে বিকেলে কসবায় প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে বেশ কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধনের কথা রয়েছে।

আখাউড়ায় ৩৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন

ফেসবুকে আমরা..