স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মুন্নী আক্তার (১৫) নামে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার বিকেলে উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর এলাকার একটি ধানখেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

মুন্নী আক্তার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের মেরাশানী গ্রামের মোশারফ হোসেনের মেয়ে।

পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার কাঞ্চনপুর এলাকার একটি ধানখেতে স্থানীয়রা ওই কিশোরীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাসান বলেন, ওই কিশোরীর শরীরের আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় থানায় এখনো কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিজয়নগরে কিশোরীর লাশ উদ্ধার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ২ নারীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ৫৯ বছর বয়সী এক নারী ও নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬০ বছর বয়সী অপর এক নারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন অফিসের ফেসবুক পেইজে এই তথ্য দেয়া হয়।

এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় ৩৪০টি নমুনা পরীক্ষা করে ১১১জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৬২ জন, কসবা উপজেলায় ১০জন, আখাউড়া উপজেলায় ৯জন, আশুগঞ্জ উপজেলায় ২১জন, বিজয়নগর উপজেলায় ২জন ও বাঞ্চারামপুর উপজেলায় ৭ জন। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪০জন।

ফেসবুক পেইজে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় এ পর্যন্ত ৯৯৩৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৪৫৭ জন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেইন্টানে আছেন ১৯৩ জন, হাসপাতালের আইসোলেশনে আছেন ৭৯জন, সেলফ আইসোলেশনে আছেন ৪২৫৬ জন৷ এ পর্যন্ত জেলায় মারা গেছেন ১৪১ জন।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরামউল্লাহর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন৷

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২ নারীর মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আ ব র নি’র উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারের করোনার রোগী ও করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের মাঝে মৌসুমী ফল বিতরণ করেন।
রোববার দুপুরে সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক হাবিবুর রহমান পারভেজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. ওয়াহীদুজ্জামানের হাতে মৌসুমী ফল হস্তান্তর করা হয়।
বিতরণ করা ফলের মধ্যে ছিলো আম, কলা, পেয়ারা, মাল্টা, লটকন, লেবু ও আমড়া ইত্যাদি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামী ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান সাজু, তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক মজিবুর রহমান খান, সাবেক সহসভাপতি মফিজুর রহমান লিমন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ, ডা. হিমেল খান, ডা. সৈয়দ আরিফুল ইসলাম৷
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, এশিয়ান এজের জেলা প্রতিনিধি আশিকুর রহমান মিঠু, সামাজিক ব্যক্তিত্ব সাংবাদিক সুমন রায়, ঢাকাপোষ্ঠের জেলা প্রতিনিধি আজিজুর সঞ্চয় ও দৈনিক সকালবেলার জেলা প্রতিনিধি আজহার উদ্দিন প্রমুখ৷
এছাড়া আ ব র নি’র সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিল্লাল হোসেন, হারুন মোল্লা, সাইফুল আজীজ সোহেল, ফরহাদ হোসেন জুয়েল, বিজয় সাহা, বিপ্লব হোসেন প্রমূখ৷
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. ওয়াহীদুজ্জামান বলেন, আবরনির এই উদ্যোগের ফলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা করোনা আক্রান্ত রোগিদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং তারা উপকৃত হবেন। তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে অনেক সামাজিক সংগঠন এগিয়ে আসছে, যার ফলে রোগীরা অনেক সুবিধা পাচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা রোগীদের মাঝে আ ব র নি”র মৌসুমী ফল বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকার ঘোষিত গত দুই সপ্তাহের লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মুখে মাস্ক না পড়ে অযথা বাইরে ঘুরাফেরা, দোকানপাট খোলা রাখাসহ সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ অমান্য করায় ২ হাজার ১৩২ জনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গত ২৩ জুলাই (শুক্রবার) সকাল থেকে গত ৫ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪দিনে জেলা সদরসহ জেলার ৯টি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২ হাজার ১৩২ জনকে ১০ লাখ ৬১ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করেন।

শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন মানার জন্য জনসাধারণকে বার বার বলা হচ্ছে। লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা সদরসহ জেলার ৯টি উপজেলায় ২৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করছেন। পাশাপাশি মাঠে রয়েছেন সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যগণ।

তিনি বলেন, গত ২৩ জুলাই সকাল থেকে ৫ আগষ্ট সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪ দিনে জেলায় সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ,নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর ধারা সমূহের লংঘনের অপরাধে ২১৩২ জনকে ১০ লাখ ৬১ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি বলেন, জনস্বার্থে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

দুই সপ্তাহের লকডাউনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জরিমানা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে পিকআপ ও ট্রাকের মুখোমুখী সংঘর্ষে মোঃ আবদুল হাই (২৫) নামের পিকআপের চালক নিহত এবং অপর দুইজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত চালক আবদুল হাই হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার দুবাই গ্রামের আফতাব আলীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে মাছবাহী একটি পিকআপ ( ঢাকা মেট্টো -১৭-৮৮০২) সিলেট যাওয়ার পথে বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুর আলহাজ্ব আমেনা বেগম দারুল কোরআন টাইটেল মাদরাসার সামনে পৌছলে বিপরীত দিক থেকে আসা পাথরবাহী একটি ট্রাক (ঢাকা- মেট্টো-১৮-৩০৬৬) এর সাথে মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই পিকআপ চালক মোঃ আবদুল হাই মারা যান ও পিকআপে থাকা দুই মাছ ব্যবসায়ী আহত হন।

খবর পেয়ে বিশ্বরোড খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। তবে ট্রাকের চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে বিশ্বরোড খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহজালাল আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

বিজয়নগরে সড়ক দুর্ঘটনায় চালক নিহত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ৩৩৩ নম্বরে ফোন দিয়ে সহায়তা পেয়েছে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া ৪০টি পরিবার। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কে.এম ইয়াসির আরাফাত উপজেলা কমপ্লেক্সের সামনে তাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।

প্রত্যেক পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল, ১ লিটার করে তেল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি চিনি, ১ কেজি লবন, ১কেজি ডাল, ২টি সাবান ও ২টি মাস্ক দেয়া হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাছিমা লুৎফুর রহমান (নাছিমা মুকাই আলি), উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহানুর জাহান, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আফরোজা আফরিন, উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মাহামুদুর রহমান মান্না প্রমুখ।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কে.এম ইয়াসির আরাফাত বলেন, ৩৩৩ নম্বরে ফোন দিয়ে খাদ্য সহায়তার জন্য আবেদন করলে ৪০টি পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়।

বিজয়নগরে খাদ্য সহায়তা পেল ৪০টি পরিবার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৬জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় জেলার বিভিন্ন স্থানে এরা মারা যান। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে দুইজনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায়, তিনজন নবীনগর উপজেলায় ও একজনের বাড়ি আখাউড়া উপজেলায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জনের ফেসবুক পেইজে এই তথ্য দেয়া হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ৪১৩জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৫৪জন, নাসিরনগর উপজেলায় ১২জন, সরাইল উপজেলায় ৫জন, আশুগঞ্জ উপজেলায় ৭জন, বিজয়নগর উপজেলায় ৮জন, নবীনগর উপজেলায় ১১০জন, আখাউড়া উপজেলায় ৭জন, কসবা উপজেলায় ৭৯জন ও বাঞ্চারামপুর উপজেলায় ৩১জন রয়েছেন।

ফেসবুক পেইজে আরো বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় এপর্যন্ত ৮৫১৮জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এর মধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৯২১জন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেইন্টানে আছেন ২২৭ জন, হাসপাতালের আইসোলেশনে আছেন ৬৮জন, সেলফ আইসোলেশনে আছেন ৩৪১৩ জন ও এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১১৬ জন।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরামউল্লাহর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন৷

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসে ৬ জনের মৃত্যু


স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মাস্ক পরিধান না করে রাস্তায় ঘুরাফেরাসহ বিভিন্ন অপরাধে ৮জনকে ৪৪৫০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত৷ রোববার সকাল থেকে বিকেলে পর্যন্ত উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া আসফার সায়মা বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এই জরিমানা করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কে.এম. ইয়াসির আরাফাত বলেন, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে দোকান খোলা রাখা এবং মাস্কবিহীন অযথা বাইরে ঘুরাফেরার দায়ে সংক্রামক ব্যাধি       (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মুল) আইন ২০১৮ এর ২৫(১)(খ) ধারা লঙ্ঘনের কারণে ২৫(২) ধারার বিধানবলে ৪টি মামলায় ৫ জন ব্যক্তিকে ৮৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়৷ অন্যদিকে ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় ২জন মোটর সাইকেল আরোহীকে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৬৬ ধারায় ২টি মামলায় ৩২০০ টাকা ও হেলমেট না থাকায় ১জন মোটরসাইকেল আরোহীকে ১টি মামলায় ৩০০টাকা জরিমানাসহ মোট ৭টি মামলায় ৮ জনকে ৪৪৫০ টাকা জরিমানা করা হয়।

তিনি জানান, এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বিজয়নগরে মাস্কবিহীন রাস্তায় ঘুরাফেরায় ৮ জনকে জরিমানা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রামণরোধে সরকার ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী কঠোর লকডাউন চলছে। কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃংখলা বাহিনী। কঠোর লকডাউন উপেক্ষা করে দোকানপাট খোলা রাখা, মাস্ক পরিধান না করা, অযথা বাইরে ঘুরাফেরা, সামাজিক দূরত্ব না মানা, মোটর সাইকেল নিয়ে অযথা ঘুরাফেরাসহ বিভিন্ন কারণে গত চারদিনে জেলার ৯টি উপজেলায় ৬৮৫ জনকে জরিমানা করা হয়েছে।

গত ২৩ জুলাই (শুক্রবার) সকাল থেকে গত সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার নয়টি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৬৮৫ জনকে ২ লাখ ৮২ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করেন।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কিশোর কুমার দাস জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন মানার জন্য জন সাধারণকে বার বার বলা হচ্ছে। লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা সদরসহ ৯টি উপজেলায় ২৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করছেন। পাশাপাশি মাঠে রয়েছেন পুলিশ, সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি ও ব্যাটালিয়ন আনসারসহ আইন-শৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা।

তিনি বলেন, গত ২৩ জুলাই থেকে ২৬ জুলাই সোমবার পর্যন্ত জেলায় সংক্রামন রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর ধারা সমূহ লংঘনের অপরাধে ৬৮৫ জন ব্যক্তিকে ২ লাখ ৮২ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে আমাদের এই তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

লকডাউন অমান্য করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চার দিনে ৬৮৫ জনকে জরিমানা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় লকডাউন উপেক্ষা করে পর্যটন স্পটগুলোতে বাড়ছে মানুষের ভীড়। এতে করে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ঈদ-উল আযহা শেষে গত শুক্রবার থেকে দেশব্যাপী শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন।

কঠোর লক ডাউনকে উপেক্ষা করেই শুক্রবার বিকেলে বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের এক্তারপুর মাঠে অনুষ্ঠিত হয় উপজেলার বুধন্তি ও এক্তারপুর একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলার এবং বিজয়নগর উপজেলার কয়েক হাজার মানুষ এই ফুটবল খেলা উপভোগ করে।

এছাড়া শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই কসবা উপজেলার কাঠেরপুল এলাকায় অবস্থিত “ কিং অব কসবা” রিসোর্টে ভ্রমণ পিয়াসুদেরভ ভীড় জমতে থাকে। একই অবস্থা হয় সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বরিশল গ্রামের বিলের পানির উপর নির্মিত একটি পর্যটন স্পটে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে বিজয়নগর উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের এক্তারপুর মাঠে গত শুক্রবার বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় উপজেলার বুধন্তি ও এক্তারপুর একাদশের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ। খেলা দেখতে সেখানে ভীড় জমায় হাজারো ফুটবলপ্রেমি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের বরিশল গ্রামে আখাউড়া-পঞ্চবটি সড়কের দু’পাশের জমি এখন বর্ষার পানিতে পরিপূর্ণ। বর্ষার এই পানির উপর স্থানীয় কয়েকজন যুবক গড়ে তুলেছেন “বরিশল ক্যাফে রেস্টুরেন্ট”। শুক্রবার বিকেলে ওই এলাকায় ভীড় জমে হাজারো ভ্রমন পিয়াসুর।

সেখানে বেড়াতে যাওয়া খলিলুর রহমান নামক এক ব্যক্তি জানান, প্রতি বছরই ঈদের পর পরিবার পরিজন নিয়ে একটু ঘুরতে বের হই। এবার ঈদের একদিন পরই লকডাউন দেওয়ায় পরিবারের সদস্যদের নিয়ে এখানে ঘুরতে এসেছি।

হাফিজ ভূইয়া নামে অপর এক ব্যবসায়ী বলেন, লকডাউনে দোকান বন্ধ থাকায় একটু বিনোদনের জন্য এখানে ঘুরতে এসেছি। এ ব্যাপারে বরিশল ক্যাফে রেস্টুরেন্টের কেউ কথা বলতে রাজি হননি।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমরানুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

অপরদিকে শুক্রবার দুপুরের পর থেকেই লকডাউন উপেক্ষা করে কসবা উপজেলার কাঠেরপুল এলাকায় অবস্থিত “ কিং অব কসবা” রিসোর্টে ঘুরতে যান ভ্রমণ পিয়াসুরা। বিকেল নাগাদ সেখানে মানুষের ভীড় জমে।

খবর পেয়ে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হাসিবা খান সেখানে উপস্থিত হয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২৫জনকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) হাসিবা খান বলেন, সরকার ঘোষিত “সবচেয়ে কঠোর” লকডাউন উপেক্ষা করে শুক্রবার দুপুরে উপজেলার কাঠেরপুল এলাকায় “কিং অফ কসবা রিসোর্টে” অনেকেই ঘুরাফেরা করতে আসেন। খবর পেয়ে দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২৫ জনকে ৬ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। তিনি বলেন, জনস্বার্থে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পর্যটন স্পটগুলোতে মানুষের ভীড়

ফেসবুকে আমরা..