স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে বালু বোঝাই ট্রলারের সাথে ধাক্কা খেয়ে শতাধিক যাত্রী নিয়ে নৌকা ডুবে গেছে। শুক্রবার সন্ধ্যা পৌনে ৬টার দিকে বিজয়নগর উপজেলার পত্তন ইউনিয়নের লইস্কা বিলে এ ঘটনা ঘটে।

এতে নারী ও শিশুসহ এখন পর্যন্ত ২১ জন যাত্রী মারা গেছেন। নিখোঁজ রয়েছেন অর্ধশতাধিক যাত্রী।তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম জানা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌছে উদ্ধার কাজ শুরু করেছেন। আহতদের মধ্যে প্রথমে ৮ জনকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়।

আহতরা হলেন, আইয়ূব মিয়া (৪০), ইব্রাহিম (১২), আহমদউল্লাহ (১৩), মুরাদ মিয়া (৩৫), তানজির (১০) ও ফারুক মিয়া (৪৫)। বাকিদের পরিচয় যাচাই চলছে৷

খবর পেয়ে জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খাঁন ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে দেখতে আসেন।

নৌকার যাত্রী সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের আঁখি আক্তার বলেন, তিনি তার স্বামী মুরাদ মিয়া, দুই ছেলে, শ্বাশুড়ি, ভাসুরের তিন ছেলে সহ বিজয়নগরের চম্পকনগর ঘাট থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আনন্দ বাজার ঘাটে আসতে নৌকায় উঠেন। নৌকায় প্রায় শতাধিক যাত্রী ছিলেন। নৌকাটি পথিমধ্যে লইস্কা বিলে এসে বালু বোঝাই একটি ট্রলারের সাথে ধাক্কা খেয়ে পানিতে তলিয়ে যান। তিনি তার স্বামী ও একটি শিশু পুত্রকে নিয়ে সাতরে বিলের কিনারে আসতে পারলেও তার আরেক ছেলে, শ্বাশুড়ি ও ভাসুরের তিন ছেলে নিখোঁজ রয়েছেন।

হাসপাতালে আহত মুরাদ মিয়া বলেন, হঠাৎ ট্রলারের সাথে ধাক্কা খেয়ে নৌকাটি ডুবে যায়। তারপর অনেক কষ্টে এক ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে সাতরে উপরে উঠেছি। আমার ১ ছেলে, মা ও তিন ভাতিজা এখনো নিখোঁজ রয়েছে।

নৌকায় থাকা যাত্রী মোহাম্মদ রাফি বলেন, আমি নৌকার ছাদে বসে ছিলাম। বিজয়নগরের চম্পকনগর নৌকাঘাট থেকে বিকাল সাড়ে ৪টায় নৌকাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার আনন্দ বাজার ঘাটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসে। নৌকাটি লইস্কার বিলে আসলে বালু বোঝাই একটি ট্রলারের সাথে ধাক্কা খেয়ে ডুবে যায়। আমি ঝাঁপ দিয়ে পানিতে পড়ে সাতরে উপরে উঠি। রাফি আরো বলেন, নৌকার নিচে ও উপরের শতাধিকের মতো যাত্রী ছিলো।

এ ব্যাপারে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আনিসুর রহমান বলেন, আমি ঘটনাস্থলে আছি। এ পর্যন্ত ২১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ উদ্ধার তৎপরতা চালাচ্ছে। এখনো নৌকাটি উদ্ধার করা যায়নি। তিনি বলেন, হতাহতের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

বিজয়নগরে শতাধিক যাত্রী নিয়ে নৌকা ডুবি, ২১ জনের লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ অর্ধশতাধিক 


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও বিজয়নগরে করোনায় ক্ষতিগ্রস্থ ২০জন পল্লী উদ্যোক্তাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা ঋনের চেক বিতরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার পৃথক সময়ে বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তন ও সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে এই চেক বিতরণ করা হয়।

এর মধ্যে বিজয়নগরে ১৫জন ও সদর উপজেলায় ৫জনকে চেক দেয়া হয়।

চেক বিতরণ উপলক্ষে মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটায় সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পঙ্কজ বড়ুয়া।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিআরডিবির উপ-পরিচালক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবীরের সভাপতিত্বে ও সদর উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার মোঃ আবদুল কাদিরের সঞ্চালনায় চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম.এ.এইচ মাহবুব আলম, সদর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোঃ আবু কাউছার, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জীবন ভট্টাচার্য্য, উপজেলা সহকারি পল্লী উন্নয়ন অফিসার মোঃ ফারুক-ই-আজম ও মাজহারুল হক। অনুষ্ঠানে ৫জন পল্লী উদ্যোক্তার মধ্যে ৫ লাখ টাকার চেক বিতরণ করা হয়।

অপর দিকে মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের হল রুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম.এ.এইচ মাহবুব আলম।

উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) রাবেয়া আফসার সায়মার সভাপতিত্বে ও বিজয়নগর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির লিমিটেডের চেয়ারম্যান সাংবাদিক দীপক চৌধুরী বাপ্পীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিজয়নগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মাহমুদুর রহমান মান্না, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতির লিমিটেডের চেয়ারম্যান আবু কাউছার, উপজেলা শ্রমিকলীগের আহবায়ক নূর আফজাল, উপজেলা সমবায় অফিসার গোলাম মহি উদ্দিন ও উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিমিটেডের ভাইস চেয়ারম্যান সঞ্জয় রায় পোদ্দার।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ বদরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে ১৫জন পল্লী উদ্যোক্তার মধ্যে ১৫ লাখ টাকার প্রণোদনার ঋনের চেক বিতরণ করা হয়। প্রত্যেক উদ্যোক্তাকে ১ লাখ টাকার চেক দেয়া হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পল্লী উদ্যোক্তাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর প্রণোদনার চেক বিতরণ

 

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মুন্নী আক্তার (১৫) নামে এক কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার বিকেলে উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর এলাকার একটি ধানখেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।

মুন্নী আক্তার সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের মেরাশানী গ্রামের মোশারফ হোসেনের মেয়ে।

পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার কাঞ্চনপুর এলাকার একটি ধানখেতে স্থানীয়রা ওই কিশোরীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মির্জা মোহাম্মদ হাসান বলেন, ওই কিশোরীর শরীরের আঘাতের কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এ ঘটনায় থানায় এখনো কোন মামলা দায়ের করা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বিজয়নগরে কিশোরীর লাশ উদ্ধার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ২ নারীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ৫৯ বছর বয়সী এক নারী ও নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬০ বছর বয়সী অপর এক নারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন অফিসের ফেসবুক পেইজে এই তথ্য দেয়া হয়।

এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় ৩৪০টি নমুনা পরীক্ষা করে ১১১জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৬২ জন, কসবা উপজেলায় ১০জন, আখাউড়া উপজেলায় ৯জন, আশুগঞ্জ উপজেলায় ২১জন, বিজয়নগর উপজেলায় ২জন ও বাঞ্চারামপুর উপজেলায় ৭ জন। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪০জন।

ফেসবুক পেইজে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় এ পর্যন্ত ৯৯৩৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৪৫৭ জন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেইন্টানে আছেন ১৯৩ জন, হাসপাতালের আইসোলেশনে আছেন ৭৯জন, সেলফ আইসোলেশনে আছেন ৪২৫৬ জন৷ এ পর্যন্ত জেলায় মারা গেছেন ১৪১ জন।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরামউল্লাহর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন৷

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২ নারীর মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আ ব র নি’র উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারের করোনার রোগী ও করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের মাঝে মৌসুমী ফল বিতরণ করেন।
রোববার দুপুরে সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক হাবিবুর রহমান পারভেজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. ওয়াহীদুজ্জামানের হাতে মৌসুমী ফল হস্তান্তর করা হয়।
বিতরণ করা ফলের মধ্যে ছিলো আম, কলা, পেয়ারা, মাল্টা, লটকন, লেবু ও আমড়া ইত্যাদি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামী ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান সাজু, তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক মজিবুর রহমান খান, সাবেক সহসভাপতি মফিজুর রহমান লিমন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ, ডা. হিমেল খান, ডা. সৈয়দ আরিফুল ইসলাম৷
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, এশিয়ান এজের জেলা প্রতিনিধি আশিকুর রহমান মিঠু, সামাজিক ব্যক্তিত্ব সাংবাদিক সুমন রায়, ঢাকাপোষ্ঠের জেলা প্রতিনিধি আজিজুর সঞ্চয় ও দৈনিক সকালবেলার জেলা প্রতিনিধি আজহার উদ্দিন প্রমুখ৷
এছাড়া আ ব র নি’র সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিল্লাল হোসেন, হারুন মোল্লা, সাইফুল আজীজ সোহেল, ফরহাদ হোসেন জুয়েল, বিজয় সাহা, বিপ্লব হোসেন প্রমূখ৷
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. ওয়াহীদুজ্জামান বলেন, আবরনির এই উদ্যোগের ফলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা করোনা আক্রান্ত রোগিদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং তারা উপকৃত হবেন। তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে অনেক সামাজিক সংগঠন এগিয়ে আসছে, যার ফলে রোগীরা অনেক সুবিধা পাচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা রোগীদের মাঝে আ ব র নি”র মৌসুমী ফল বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকার ঘোষিত গত দুই সপ্তাহের লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মুখে মাস্ক না পড়ে অযথা বাইরে ঘুরাফেরা, দোকানপাট খোলা রাখাসহ সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ অমান্য করায় ২ হাজার ১৩২ জনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গত ২৩ জুলাই (শুক্রবার) সকাল থেকে গত ৫ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪দিনে জেলা সদরসহ জেলার ৯টি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২ হাজার ১৩২ জনকে ১০ লাখ ৬১ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করেন।

শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন মানার জন্য জনসাধারণকে বার বার বলা হচ্ছে। লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা সদরসহ জেলার ৯টি উপজেলায় ২৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করছেন। পাশাপাশি মাঠে রয়েছেন সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যগণ।

তিনি বলেন, গত ২৩ জুলাই সকাল থেকে ৫ আগষ্ট সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪ দিনে জেলায় সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ,নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর ধারা সমূহের লংঘনের অপরাধে ২১৩২ জনকে ১০ লাখ ৬১ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি বলেন, জনস্বার্থে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

দুই সপ্তাহের লকডাউনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জরিমানা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে পিকআপ ও ট্রাকের মুখোমুখী সংঘর্ষে মোঃ আবদুল হাই (২৫) নামের পিকআপের চালক নিহত এবং অপর দুইজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার ভোরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত চালক আবদুল হাই হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার দুবাই গ্রামের আফতাব আলীর ছেলে।

স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, শুক্রবার ভোর ৫টার দিকে মাছবাহী একটি পিকআপ ( ঢাকা মেট্টো -১৭-৮৮০২) সিলেট যাওয়ার পথে বিজয়নগর উপজেলার ইসলামপুর আলহাজ্ব আমেনা বেগম দারুল কোরআন টাইটেল মাদরাসার সামনে পৌছলে বিপরীত দিক থেকে আসা পাথরবাহী একটি ট্রাক (ঢাকা- মেট্টো-১৮-৩০৬৬) এর সাথে মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই পিকআপ চালক মোঃ আবদুল হাই মারা যান ও পিকআপে থাকা দুই মাছ ব্যবসায়ী আহত হন।

খবর পেয়ে বিশ্বরোড খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। তবে ট্রাকের চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে বিশ্বরোড খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহজালাল আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

বিজয়নগরে সড়ক দুর্ঘটনায় চালক নিহত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ৩৩৩ নম্বরে ফোন দিয়ে সহায়তা পেয়েছে করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে কর্মহীন হয়ে পড়া ৪০টি পরিবার। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কে.এম ইয়াসির আরাফাত উপজেলা কমপ্লেক্সের সামনে তাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।

প্রত্যেক পরিবারকে ১০ কেজি করে চাল, ১ লিটার করে তেল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি চিনি, ১ কেজি লবন, ১কেজি ডাল, ২টি সাবান ও ২টি মাস্ক দেয়া হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাছিমা লুৎফুর রহমান (নাছিমা মুকাই আলি), উপজেলা বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহানুর জাহান, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আফরোজা আফরিন, উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান মাহামুদুর রহমান মান্না প্রমুখ।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কে.এম ইয়াসির আরাফাত বলেন, ৩৩৩ নম্বরে ফোন দিয়ে খাদ্য সহায়তার জন্য আবেদন করলে ৪০টি পরিবারকে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করা হয়।

বিজয়নগরে খাদ্য সহায়তা পেল ৪০টি পরিবার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৬জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় জেলার বিভিন্ন স্থানে এরা মারা যান। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে দুইজনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায়, তিনজন নবীনগর উপজেলায় ও একজনের বাড়ি আখাউড়া উপজেলায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জনের ফেসবুক পেইজে এই তথ্য দেয়া হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ৪১৩জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৫৪জন, নাসিরনগর উপজেলায় ১২জন, সরাইল উপজেলায় ৫জন, আশুগঞ্জ উপজেলায় ৭জন, বিজয়নগর উপজেলায় ৮জন, নবীনগর উপজেলায় ১১০জন, আখাউড়া উপজেলায় ৭জন, কসবা উপজেলায় ৭৯জন ও বাঞ্চারামপুর উপজেলায় ৩১জন রয়েছেন।

ফেসবুক পেইজে আরো বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় এপর্যন্ত ৮৫১৮জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এর মধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৯২১জন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেইন্টানে আছেন ২২৭ জন, হাসপাতালের আইসোলেশনে আছেন ৬৮জন, সেলফ আইসোলেশনে আছেন ৩৪১৩ জন ও এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১১৬ জন।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরামউল্লাহর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন৷

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসে ৬ জনের মৃত্যু


স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে মাস্ক পরিধান না করে রাস্তায় ঘুরাফেরাসহ বিভিন্ন অপরাধে ৮জনকে ৪৪৫০ টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত৷ রোববার সকাল থেকে বিকেলে পর্যন্ত উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া আসফার সায়মা বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এই জরিমানা করেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) কে.এম. ইয়াসির আরাফাত বলেন, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে দোকান খোলা রাখা এবং মাস্কবিহীন অযথা বাইরে ঘুরাফেরার দায়ে সংক্রামক ব্যাধি       (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মুল) আইন ২০১৮ এর ২৫(১)(খ) ধারা লঙ্ঘনের কারণে ২৫(২) ধারার বিধানবলে ৪টি মামলায় ৫ জন ব্যক্তিকে ৮৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়৷ অন্যদিকে ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় ২জন মোটর সাইকেল আরোহীকে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৬৬ ধারায় ২টি মামলায় ৩২০০ টাকা ও হেলমেট না থাকায় ১জন মোটরসাইকেল আরোহীকে ১টি মামলায় ৩০০টাকা জরিমানাসহ মোট ৭টি মামলায় ৮ জনকে ৪৪৫০ টাকা জরিমানা করা হয়।

তিনি জানান, এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

বিজয়নগরে মাস্কবিহীন রাস্তায় ঘুরাফেরায় ৮ জনকে জরিমানা

ফেসবুকে আমরা..