সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্চারামপুরে চিকিৎসকের “ভুল চিকিৎসায়” রত্মা বেগম-(২৭) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় উপজেলা সদরের “ তিতাস ইউনিটি হাসপাতাল” নামে একটি বে-সরকারি ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়া হয়েছে এবং ঘটনার তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ শাহআলমের নির্দেশে গত শনিবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ওই হাসপাতালের সকল কার্যক্রম বন্ধ ঘোষনা করে হাসপাতালে প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। নিহত রত্মা বেগম বাঞ্চারামপুর উপজেলার পাড়াতলি গ্রামের জামির মিয়ার স্ত্রী।

এদিকে এই ঘটনার তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি বিভাগের কনসালটেন্ট ডাঃ মোঃ সাঈদ দেলোয়ারকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট এই কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে বিষয়টি তদন্ত করে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এদিকে গত শনিবার দুপুরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে রত্না বেগমের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ময়নাতদন্তের সময় উপস্থিত থাকা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক রানা নুরুস শামস্ জানান, প্রসূতির পেটে মৃত অবস্থায় একটি ছেলে শিশুর লাশ পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, অ্যানেস্থেসিয়া দেয়ার পরপরই ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, চিকিৎসক ও অ্যানেস্থেশিয়া চিকিৎসকের ভুল চিকিৎসার কারনেই রত্না বেগম মারা গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।

উল্লেখ্য গত শুক্রবার সকালে উপজেলার পাড়াতলি গ্রামের জাকির হোসেনের স্ত্রী রত্না বেগমের প্রসব বেদনা উঠলে স্বামী জাকির হোসেন তাকে স্থানীয় তিতাস ইউনিটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে নেয়ার পর রত্নাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দেন হাসপাতালের মালিক মোঃ এমরানুল হক ওরফে আশেক এমরান। পরে রত্নার শারীরিক কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আশিক এমরান জাকিরকে জানান রত্নার গর্ভে দুই সন্তান রয়েছে। ডাঃ জাহিদ এসে রত্মার সিজারিয়ান অপারেশন করবেন। বিকেল ৪টার দিকে আশিক এমরান ও হাসপাতালের নার্স নাছরিন আক্তার রত্মাকে অপারেশন কক্ষে নিয়ে যান।

বিকেল পৌনে ৫টার দিকে ডাঃ জাহিদ অপারেশন কক্ষ থেকে বের হয়ে স্বজনদের জানান রত্মা স্স্থ্যু আছেন। পরে আশিক এমরান অপারেশন কক্ষ থেকে বের হয়ে জাকিরকে জানান, রত্মাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় নিয়ে যেতে হবে। কিছুক্ষণ পর চিকিৎসক জাহিদ ও নার্স নাসরিন রত্নাকে মৃত অবস্থায় অপারেশন কক্ষ থেকে বের করেন।
এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ আল মামুন বলেন, সিভিল সার্জনের নির্দেশে শনিবার রাতে প্রসূতি ও নবজাতকের মৃত্যুর ঘটনায় তিতাস ইউনিট হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করে ক্লিনিকে তালা লাগানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ শাহ আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, এ ঘটনার তদন্ত করতে ‘‘নবীনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের গাইনি কনসালটেন্ট ডাঃ মোঃ সাঈদ দেলোয়ারকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কমিটিকে ৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, শনিবার রাতে তিতাস ইউনিটি হাসপাতালের কার্যক্রম বন্ধ করে হাসপাতালে তালা দেয়া হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত হাসপাতাল না খুলতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
###

ফলোআপঃ-বাঞ্ছারামপুরে ভুল চিকিৎসায় প্রসূতির মৃত্যু তদন্ত কমিটি গঠন ॥ তিতাস ইউনিটি হাসপাতালে তালা

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্চারামপুরে ১টি ওয়ান শুটারগান এবং ১ রাউন্ড গুলিসহ জুয়েল মিয়া-(৩৩) নামক এক ডাকাতকে আটক করেছে র‌্যাব-১৪-এর ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যরা। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উপজেলার দড়িকান্দি (ইমামনগর) গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক জুয়েল মিয়া দড়িকান্দি গ্রামের ফরিদ মিয়ার ছেলে।

শুক্রবার সকালে গনমাধ্যম কর্মীদের কাছে পাঠানো র‌্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আটক জুয়েল মিয়া একজন পেশাদার ডাকাত। এছাড়া তিনি অস্ত্র ব্যবসা করেন। ডাকাতি ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের জন্য জুয়েল অস্ত্র ভাড়া দেন।
গোপন সংবাদে জানতে পেরে র‌্যাব ছদ্মবেশে তার সাথে যোগাযোগ করে ৩ হাজার টাকার বিনিময় তার কাছ থেকে অস্ত্র ভাড়া করার পরিকল্পনা করে।

গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে র‌্যাব-১৪-এর ভৈরব ক্যাম্পের কোম্পানী অধিনায়ক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের এবং সিনিয়র এডি চন্দন দেবনাথের নেতৃত্বে র‌্যাব সদস্যরা পরিকল্পনা মতো অস্ত্রটি দিতে আসলে জুয়েল মিয়াকে আটক করে।

র‌্যাব জানায়, উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মূল্য ৮০ হাজার টাকা। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
###

বাঞ্চারামপুরে অস্ত্র ব্যবসায়ী আটক ॥ শুটারগান উদ্ধার

সুমন আহম্মেদঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক দুটি হত্যা মামলায় একজনের ফাঁসি এবং অপর তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ।

গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সফিউল আজম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের বহুল আলোচিত গৃহবধূ কামরুন্নাহার তূর্না হত্যা মামলায় স্বামী আরিফুল হক রনিকে-(৩০) মৃত্যুদন্ড এবং বেলা সাড়ে ১১টায় একই আদালত বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী গ্রামের রিপন মিয়া হত্যা মামলায় তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদ- এবং রিপন মিয়ার স্ত্রী আমেনা বেগমকে-(৩৫) বেকসুর খালাস প্রদান করেন।

এই মামলার যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হলেন, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ভেলানগর গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার ছেলে শিপন মিয়া-(৪৫), বাতেন মিয়ার ছেলে মোঃ কবির-(৩৪) এবং কাজী মোস্তফার ছেলে মোঃ হাবিব-(২৩)।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বুধবার বেলা ১১টায় জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ সফিউল আজম আশুগঞ্জের বহুল আলোচিত গৃহবধূ কামরুন নাহার তূর্না হত্যা মামলার রায়ে তূর্নার স্বামী এবং মামলার একমাত্র আসামী আরিফুল হক রনিকে মৃত্যুদন্ডের আদেশ দেন। মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত রনি আশুগঞ্জ উপজেলার চর-চারতলা গ্রামের আমিরুল হকের ছেলে। রায় ঘোষনার সময় রনি আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসে আশুগঞ্জ উপজেলার চর-চারতলা গ্রামের আমিরুল হকের ছেলে আরিফুল হক রনির সাথে তার চাচা মফিজুল হকের একমাত্র কন্যা কামরুন নাহার তূর্নার পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। তাদের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে।

বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে নানা বিষয় নিয়ে পারিবারিক কলহ চলছিলো। পারিবারিক কলহের জের ধরে গত ২০১৭ সালের ২৪ এপ্রিল রাতে তূর্নাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে রনি। পরে তার লাশ বাড়ির একটি পরিত্যক্ত পানির ট্যাংকে লুকিয়ে রাখা হয়। হত্যার সময় তূর্না তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

এ ঘটনায় ২৫ এপ্রিল তূর্ণার বাবা মফিজুল হক স্বামী রনিকে একমাত্র আসামি করে আশুগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

২০১৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে রনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। বিজ্ঞ বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। কয়েক মাস কারাভোগের পর রনি জামিনে মুক্ত হয়ে গা ঢাকা দেন।
এদিকে মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তূর্ণার বৃদ্ধ পিতা মফিজুল হক। তিনি বলেন, পলাতক রনিকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে রায় কার্যকরের জন্য সরকার প্রধান ও আইন-শৃংখলা বাহিনীর কাছে অনুরোধ জানাই।

এদিকে মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও ভারপ্রাপ্ত পিপি এস.এম ইউসুফ। তিনি বলেন, আদালতের রায়ে আমরা খুশী।
অপরদিকে বেলা সাড়ে ১১টায় একই আদালত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী গ্রামের রিপন মিয়া হত্যা মামলার রায়ে উপজেলার ভেলানগর গ্রামের শিপন মিয়া (৪৫), মোঃ কবির (৩৪) ও মোঃ হাবিব (২৩) কে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রত্যেককে আরো ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদন্ড এবং নিহতের স্ত্রী আমেনা বেগমকে (৩৫) বেকসুর খালাস প্রদান করেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বাঞ্ছারামপুর উপজেলার রূপসদী গ্রামের রিপন মিয়ার সাথে উপজেলার ভেলানগর গ্রামের শিপন মিয়ার মাদক ব্যবসা নিয়ে বিরোধ চলছিল। পাশাপাশি রিপনের স্ত্রী আমেনা বেগমের সাথে শিপনের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিলো।
এসবের জেরে গত ২০১৬ সালের ২ জানুয়ারি থেকে ১০ জানুয়ারির কোনো এক সময় আসামিরা রিপনকে হত্যা করে তার শ্বশুর বাড়ি ভেলানগর গ্রামের একটি জমিতে পুতে রাখে। পরে ১০ জানুয়ারি দুপুরে মাটি খুঁড়ে রিপনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওইদিন নিহত রিপনের ভাই বারু মিয়া বাদী হয়ে বাঞ্ছারামপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।

পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে উপরোক্ত চার আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযুক্তদের মধ্যে আমেনা বেগম জামিনে কারামুক্ত ছিলেন। বাকিরা সবাই কারাগারে রয়েছেন।

এদিকে মামলার রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও ভারপ্রাপ্ত (পি.পি) এস.এম ইউসুফ সন্তোষ প্রকাশ করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী মোফাক খায়রুল ইসলাম বলেন, মামলার এক নম্বর আসামি আমেনা বেগমকে খালাস দেয়ায় আমি সন্তুষ্ট। তবে দ-প্রাপ্ত বাকি আসামিদের ব্যাপারে উচ্চ আদালতে আপিল করব।
###

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পৃথক হত্যা মামলার রায়ে একজনের মৃত্যুদন্ড ॥ তিনজনের যাবজ্জীবন

সুমন আহম্মেদঃ
আগামী ১৮ জুন পঞ্চম ধাপে অনুষ্ঠিতব্য উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলা ও বাঞ্চারামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৫জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে গত মঙ্গলবার প্রার্থীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার এবং স্ব-স্ব উপজেলার সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।

এর মধ্যে বিজয়নগর উপজেলায় ১২ জন এবং বাঞ্চারামপুর উপজেলায় ৪জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন।
বিজয়নগর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৬জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। মনোনয়নপত্র দাখিলকারীরা হলেন চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট তানভীর ভূইয়া, আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী অ্যাডভোকেট ফজলুল হক, স্বতন্ত্র সৈয়দ মাঈনুদ্দিন, মোজাম্মেল হোসেন, নাছিমা লুৎফুর রহমান ও এনামুল কবির। ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থীরা হলেন, মৃনাল চৌধুরী লিটন, মাহমুদুর রহমান মান্না, আদেল মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর ও শাহনেওয়াজ তারেক।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফয়জুননাহার এবং সাবিত্রী রানী।
বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ১জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাইদুল ইসলাম বকুল এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জলি আক্তার এবং খাদিজা আক্তার।

বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেহের নিগার এবং বাঞ্ছারামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
###

পঞ্চম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দুই উপজেলায় ১৬ প্রার্থী

botvনিউজ:
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে পূর্ব বিরোধের জের ধরে কালা মিয়া (৪৫) নামে এক ব্যক্তির অর্ধেক পা কেটে নিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন। এ সময় কালা মিয়ার ছেলে বিপ্লব মিয়ার দুই পায়ের রগও কেটে নেয়া হয়।

গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলার রূপসদী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহতবস্থায় পিতা-পুত্রকে উদ্ধার করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তবে গতকাল শনিবার পর্যন্ত পুলিশ কেটে নেয়া পা উদ্ধার করতে পারেনি। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

আহত কালা মিয়া ও তার স্বজনরা জানান, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি আবুল বাশারের বিরুদ্ধে কালা মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে।

এই বিরোধের জেরে গত শুক্রবার বিকেলে আবুল বাশার ও তার সহযোগীরা কালা মিয়া এবং তার ছেলে বিল্পব মিয়াকে (১৯) বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে টেঁটাবিদ্ধ করে। পরে ধারালো দা দিয়ে কালা মিয়ার ডান পায়ের হাঁটু থেকে নিচ পর্যন্ত কেটে নিয়ে যায় তারা। এ সময় কালা মিয়ার ছেলে বিপ্লবের দুই পায়ের রগও কেটে দেয় আবুল বাশার ও তার সহযোগীরা।

খবর পেয়ে পুলিশ ও এলাকাবাসী তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে বাঞ্ছারামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করেন।

এ ব্যাপারে বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাহ্ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, এটি জঘন্য ও বর্বোরচিত কাজ। আহতদের উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন, কেটে ফেলা পায়ের অংশ এখনো উদ্ধার করা যায়নি। পুলিশ আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে।
###

পূর্ব বিরোধের জের বাঞ্ছারামপুরে এক ব্যক্তির পা কেটে নিয়েছে প্রতিপক্ষের লোকজন

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্চারামপুরে ডাকাতি শেষে পালিয়ে যাওয়ার সময় গ্রামবাসী মসজিদে মাইকে ঘোষনা দিয়ে ডাকাতদের ধাওয়া করে ২ ডাকাতকে গণপিটুনি দিলে ডাকাত নিহত হয়। গত বুধবার গভীর রাত আড়াইটায় উপজেলার চর-শিবপুর গ্রামে এঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

নিহত ডাকাতদের মধ্যে একজনের পরিচয় পাওয়া গেলেও অপরজনের পরিচয় জানা যায়নি। একজনের নাম আল-আমিন-(৩২)। তিনি নরসিংদী জেলার সদর উপজেলার বিবিরকান্দি গ্রামের মরহুম রিয়াজ উদ্দিনের ছেলে। অজ্ঞাতনামা ডাকাতের বয়ন আনুমানিক (৩০)।

এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, গত বুধবার রাত দেড়টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত সংঘবদ্ধ একদল ডাকাত উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের চরশিবপুর গ্রামের চার বাড়িতে ডাকাতি করে। রাত দেড়টার দিকে ডাকাতরা চরশিবপুর উত্তর পাড়ার বাবুল মিয়ার বাড়িতে চড়াও হয়ে গেইটের তালা কেটে বিল্ডিংয়ে প্রবেশ করে। পরে ঘরের লোকজনকে হাত-পা বেঁধে নগদ ৪ লাখ ৩০হাজার টাকা, ৫ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। পরে পাশের বাড়ির স্বপন মিয়ার ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে ঘরের লোকদের জিম্মি করে ঘরে রক্ষিত নগদ ১লাখ টাকা, ৩ভরি স্বর্ণাংকার নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে ডাকাতদল একই গ্রামের প্রবাসী ওমর আলীর বাড়িতে প্রবেশ করে দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে নগদ ১০হাজার টাকা ও ২ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। সর্বশেষ তারা ইয়ামিন মিয়ার বাড়িতে দরজা ধাক্কা দিলে ইয়ামিন মিয়া দরজা খুলে দেয়। ডাকাতরা ঘরে ঢুকেই ইয়ামিন মিয়াকে কুপিয়ে আহত করে। পরে তার ঘর থেকে ২ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়।

চার বাড়িতে ডাকাতি শেষে ডাকাতদল চলে যাওয়ার সময় গ্রামবাসী মসজিদের মাইকে ঘোষনা দিয়ে ডাকাতদের ধাওয়া করে। মাইকের ঘোষনা শুনে দুই গ্রামের লোকজনসহ চারদিক থেকে ডাকাতদলকে ঘিরে ফেলে এবং ২জনকে আটক করে গণপিটুনি দিলে ঘটনাস্থলেই অজ্ঞাতনামা -(৩০) ডাকাত নিহত হয়।

পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আহতবস্থায় অপর ডাকাত আলামিন-কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিছুক্ষণ পর সে মারা যায়।
ডাকাতির শিকার হওয়া স্বপন মিয়া জানান, ‘রাত দুইটার দিকে ৮/১০জনের মুখোশধারী একদল ডাকাত তার ঘরে ঢুকে তাদের সকলকে হাত-পা বেঁধে ঘর থেকে ১লাখ টাকা, ৩ভরি স্বর্ণালংকার ও ৫টি মোবাইল ফোন সেট নিয়ে যায়।
ডাকাতির শিকার হওয়া প্রবাসী ওমর আলীর স্ত্রী জয়নবের নেছা জানান, ৭/৮জনের একদল মুখোশধারী ডাকাত তাঁর ঘরের দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে নগদ ১০হাজার টাকা ও ২ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে।

ডাকাতের হামলায় আহত ইয়ামিন মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া জানান,‘‘রাত আড়াইটার দিকে তাদের দরজায় কে বা কারা ধাক্কা দেয়। তার বাবা দরজা খুলে দিলে ডাকাতরা তার বাবাকে মাথায় ও শরীরে বিভিন্ন জায়গায় কুপিয়ে আহত করেন। এসময় ঘরের মহিলাদের কাছ থেকে ২ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে গেছে।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) চিত্ত রঞ্জন পাল জানান, ডাকাতির ঘটনায় গ্রামবাসীর পিটুনিতে দুই ডাকাত নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের পরিচয় আমরা নিশ্চিত করতে পরেছি, অপরজনের পরিচয় জানার চেস্টা করছি।

তিনি বলেন, ডাকাত নিহতের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা ৪০০/৪৫০ লোককে আসামী করে পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা ও বাবুল মিয়া বাদী হয়ে একটি ডাকাতি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
###

মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে ধাওয়া বাঞ্চারামপুরে গণপিটুনিতে ২ ডাকাত নিহত

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ০৬ আসন বাঞ্ছারামপুরে জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা মহিউদ্দিন মহি শনিবার বিশাল জনসভায় বলেন,  নৌকা জনগণের মার্কা, নৌকা আপনাদের মার্কা। এই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে মানুষ বাংলায় কথা বলার অধিকার পেয়েছে। নৌকা স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। আমার চাওয়া পাওয়ার কিছু নেই, আমি মানুষের কল্যাণ করতে এসেছি।বাঞ্ছারামপুরবাসীর পাশে ছিলাম,ভবিষ্যতেও থাকতে এসেছি।

দুপুরে উপজেলার চরমরিকান্দি ও বিকেলে সোনারামপুর বাজারে আয়োজিত বিশাল সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সমবায় ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার- আমরা সেই স্বপ্ন পূরণে কাজ করে যাচ্ছি।

আমাদের দেশের মানুষ যেন ভালো থাকতে পারে, শান্তিতে থাকতে পারে আমরা সেই চেষ্টা করে যাচ্ছি। নূহ নবীর আমলে বিপদে উদ্ধার করেছিল নৌকা। আমরাদের নৌকা দেশের স্বাধীনতা এনে দিয়েছে। নৌকায় আপনাদের ভোট চাই।

তিনি আরও বলেন, আমার রাজনীতি বাঞ্ছারামপুরের প্রতিটি মানুষের জন্য।প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে উন্নয়নের বার্তা পৌছে দেয়ার রাজনীতিই আমার রাজনীতি।আমার কোন ভাগিনা-ভাতিজা নেই,যারা দরিদ্রের ধন লুটে খাবে।বাঞ্ছারামপুরের প্রতিটি পরিবারে ১ জনকেও হলেও চাকুরী দিয়ে স্বাবলম্বী করে তোলার স্বপ্ন দেখি,আপনারা আমাকে সেখানে নৌকায় ভোট দিয়ে সহযোগিতা করুন।

উন্নয়নের কথা তুলে ধরে মহি বলেন, বর্তমান সরকার ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছে। আর খাম্বা দিয়েছিলো বিএনপি।

দুটি বিশাল সমাবেশে উপস্থিত থেকেআরো বক্তৃতা করেন সাবেক চেয়ারম্যান মুশফিকুর রহমান বায়ূ,জালু চেয়ারম্যান,পিন্টু তালুকদার,বাদল তালুকদার,মাখন মিয়া,দরিয়াদৌলত ইউপি ছাত্রলীগের সভাপতি বাবু,সোনারামপুর ইউপি ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিনসহ মোস্তফা,জিয়াউদ্দিন প্রমূখ।

মহিউদ্দিন মহি বলেন : নৌকা জনগণের মার্কা,নৌকা আপনাদের মার্কা, বাঞ্ছারামপুর

botvনিউজ:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় আজ বুধবার দিনভর বাঞ্ছারামপুর মডেল থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মাদক বিরোধী প্রচার-প্রচারনা,স্কুলের শিক্ষার্থীদের নিয়ে মাদক বিরোধী শপথ,দুর্নীতি-ইভটিজিং, জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ ও বৃক্ষরোপন সপ্তাহ উদ্ভোধন করা হয়েছে।

সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলার বালিকা পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় ও ধারিয়ারচর হাজী ওমর আলী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে শিক্ষার্থীদের মাঝে মাদক বিরোধী শপথ বাক্যপাঠ করানো হয়।এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম।বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো,শরিফুল ইসলাম।

শপথ বাক্যপাঠ করান উপজেলা মডেল থানার ওসি মো. নিজাম উদ্দিন।অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকগন অংশগ্রহন করে। অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের মাঝে দুর্নীতি প্রতিরোধ,বাল্যবিয়ে ও মাদকের কুফল নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়।

###

 

বাঞ্ছারামপুরে পুলশিরে উদ্যোগে মাদক বরিোধী শপথ,সাথে বৃক্ষ রোপন

 

সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে দুইজন- আল-আমীন শাহীন ও কাউছার এমরান।

সাধারণ সম্পাদক পদে দুইজন  জাবেদ রহিম বিজন  ও দীপক চৌধুরী বাপ্পি ।

botv নিউজ:

বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় সভাপতি সহ ৯ পদপ্রার্থী নির্বাচিত ॥ সিনিয়র সহ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে আজ ভোট গ্রহণ ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

এই নির্বাচনে ইতোমধ্যে বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় সভাপতি পদ সহ ৯ পদপ্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন । নির্বাচনে সিনিয়র সহ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুটি পদে ভোটগ্রহণ হবে । এর মধ্যে সিনিয়র সহ সভাপতি পদে আল আমীন শাহীন এবং আ ফ ম কাউসার এমরান , সাধারণ সম্পাদক পদে দীপক চৌধুরী বাপ্পী এবং জাবেদ রহিম বিজন প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেস ক্লাব নির্বাচনের নির্বাচন কমিশনার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মেহের নিগার সাক্ষরিত পত্রে জানা গেছে, বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিতরা হচ্ছেন সভাপতি পদে খ আ ম রশিদুল ইসলাম,

সহ সভাপতি পদে মফিজুর রহমান লিমন ,

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ বাহারুল ইসলাম মোল্লা,

কোষাধ্যক্ষ পদে নজরুল ইসলাম শাহজাদা,

দপ্তর সম্পাদক পদে ফরহাদুল ইসলাম পারভেজ,

পাঠাগার ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে মোশাররফ হোসেন বেলাল,

সাংস্কৃতিক ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক পদে শিহাবউদ্দিন বিপু ,

কার্যকরী সদস্য পদে শাহজাহান সাজু ও মজিবুর রহমান খান।

৭মে-২০১৮ইং প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে দুপুর ২ টা থেকে ৫ টা পর্যন্ত এই নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।

###

৭মে নিবার্চন, কে হবে প্রেসক্লাব সম্পাদক/সহ-সভাপতি।

ফেসবুকে আমরা..