স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আ ব র নি’র উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারের করোনার রোগী ও করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের মাঝে মৌসুমী ফল বিতরণ করেন।
রোববার দুপুরে সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক হাবিবুর রহমান পারভেজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. ওয়াহীদুজ্জামানের হাতে মৌসুমী ফল হস্তান্তর করা হয়।
বিতরণ করা ফলের মধ্যে ছিলো আম, কলা, পেয়ারা, মাল্টা, লটকন, লেবু ও আমড়া ইত্যাদি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামী ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান সাজু, তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক মজিবুর রহমান খান, সাবেক সহসভাপতি মফিজুর রহমান লিমন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ, ডা. হিমেল খান, ডা. সৈয়দ আরিফুল ইসলাম৷
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, এশিয়ান এজের জেলা প্রতিনিধি আশিকুর রহমান মিঠু, সামাজিক ব্যক্তিত্ব সাংবাদিক সুমন রায়, ঢাকাপোষ্ঠের জেলা প্রতিনিধি আজিজুর সঞ্চয় ও দৈনিক সকালবেলার জেলা প্রতিনিধি আজহার উদ্দিন প্রমুখ৷
এছাড়া আ ব র নি’র সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিল্লাল হোসেন, হারুন মোল্লা, সাইফুল আজীজ সোহেল, ফরহাদ হোসেন জুয়েল, বিজয় সাহা, বিপ্লব হোসেন প্রমূখ৷
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. ওয়াহীদুজ্জামান বলেন, আবরনির এই উদ্যোগের ফলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা করোনা আক্রান্ত রোগিদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং তারা উপকৃত হবেন। তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে অনেক সামাজিক সংগঠন এগিয়ে আসছে, যার ফলে রোগীরা অনেক সুবিধা পাচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা রোগীদের মাঝে আ ব র নি”র মৌসুমী ফল বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকার ঘোষিত গত দুই সপ্তাহের লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মুখে মাস্ক না পড়ে অযথা বাইরে ঘুরাফেরা, দোকানপাট খোলা রাখাসহ সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ অমান্য করায় ২ হাজার ১৩২ জনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গত ২৩ জুলাই (শুক্রবার) সকাল থেকে গত ৫ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪দিনে জেলা সদরসহ জেলার ৯টি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২ হাজার ১৩২ জনকে ১০ লাখ ৬১ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করেন।

শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন মানার জন্য জনসাধারণকে বার বার বলা হচ্ছে। লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা সদরসহ জেলার ৯টি উপজেলায় ২৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করছেন। পাশাপাশি মাঠে রয়েছেন সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যগণ।

তিনি বলেন, গত ২৩ জুলাই সকাল থেকে ৫ আগষ্ট সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪ দিনে জেলায় সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ,নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর ধারা সমূহের লংঘনের অপরাধে ২১৩২ জনকে ১০ লাখ ৬১ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি বলেন, জনস্বার্থে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

দুই সপ্তাহের লকডাউনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জরিমানা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৬জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় জেলার বিভিন্ন স্থানে এরা মারা যান। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে দুইজনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায়, তিনজন নবীনগর উপজেলায় ও একজনের বাড়ি আখাউড়া উপজেলায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জনের ফেসবুক পেইজে এই তথ্য দেয়া হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ৪১৩জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৫৪জন, নাসিরনগর উপজেলায় ১২জন, সরাইল উপজেলায় ৫জন, আশুগঞ্জ উপজেলায় ৭জন, বিজয়নগর উপজেলায় ৮জন, নবীনগর উপজেলায় ১১০জন, আখাউড়া উপজেলায় ৭জন, কসবা উপজেলায় ৭৯জন ও বাঞ্চারামপুর উপজেলায় ৩১জন রয়েছেন।

ফেসবুক পেইজে আরো বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় এপর্যন্ত ৮৫১৮জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এর মধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৯২১জন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেইন্টানে আছেন ২২৭ জন, হাসপাতালের আইসোলেশনে আছেন ৬৮জন, সেলফ আইসোলেশনে আছেন ৩৪১৩ জন ও এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১১৬ জন।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরামউল্লাহর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন৷

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসে ৬ জনের মৃত্যু


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসের সংক্রামণরোধে সরকার ঘোষিত নির্দেশনা অনুযায়ী কঠোর লকডাউন চলছে। কঠোর লকডাউন বাস্তবায়নে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনীসহ আইনশৃংখলা বাহিনী। কঠোর লকডাউন উপেক্ষা করে দোকানপাট খোলা রাখা, মাস্ক পরিধান না করা, অযথা বাইরে ঘুরাফেরা, সামাজিক দূরত্ব না মানা, মোটর সাইকেল নিয়ে অযথা ঘুরাফেরাসহ বিভিন্ন কারণে গত চারদিনে জেলার ৯টি উপজেলায় ৬৮৫ জনকে জরিমানা করা হয়েছে।

গত ২৩ জুলাই (শুক্রবার) সকাল থেকে গত সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার নয়টি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ৬৮৫ জনকে ২ লাখ ৮২ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করেন।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কিশোর কুমার দাস জানান, করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন মানার জন্য জন সাধারণকে বার বার বলা হচ্ছে। লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা সদরসহ ৯টি উপজেলায় ২৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করছেন। পাশাপাশি মাঠে রয়েছেন পুলিশ, সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি ও ব্যাটালিয়ন আনসারসহ আইন-শৃংখলাবাহিনীর সদস্যরা।

তিনি বলেন, গত ২৩ জুলাই থেকে ২৬ জুলাই সোমবার পর্যন্ত জেলায় সংক্রামন রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর ধারা সমূহ লংঘনের অপরাধে ৬৮৫ জন ব্যক্তিকে ২ লাখ ৮২ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জনস্বার্থে আমাদের এই তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

লকডাউন অমান্য করায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চার দিনে ৬৮৫ জনকে জরিমানা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত ২৪ ঘন্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং নতুন করে ১৮২ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। বুধবার বিকেলে সিভিল সার্জন ডাঃ একরামউল্লাহ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার বিকেলে সদর উপজেলার এক পুরুষ-(৭৫) করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এনিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৭৬ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।

সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৪৩০ টি নমুনা পরীক্ষায় করে ১৮২ জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। নতুন সনাক্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৪৫ জন, কসবা উপজেলায় ৩৭ জন, সরাইল উপজেলায় ১ জন, আশুগঞ্জ উপজেলায় ৭জন, নাসিরনগর উপজেলায় ৩ জন, বিজয়নগর উপজেলায় ৪জন, নবীনগর উপজেলায় ৬০ ও বাঞ্চারামপুর উপজেলায় ২৫ জন রয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, এ নিয়ে বুধবার পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় মোট ৫১১২ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন এবং ৩৯৩১ জন করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ্য হয়েছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসে ১ জনের মৃত্যু ॥ নতুন সনাক্ত ১৮২ জন


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
আজ রোববার (১১ জুলাই) অনুষ্ঠিতব্য কোপা আমেরিকা ফাইনাল খেলাকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে মাঠে ঘাটে, এমনকি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে বাকযুদ্ধ। ইতিমধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের দামচাইল গ্রামে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনায় ৪ জন আহত হয়েছেন।

দু’দলের সমর্থকদের উত্তেজনা প্রশমন করার লক্ষ্যে ফাইনাল খেলার দিন ভোর থেকেই জেলা জুড়ে হাজারো পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে শনিবার জেলা শহরসহ বিভিন্ন উপজেলায় পুলিশের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়েছে। পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকে বড় পর্দায় ফাইনাল খেলা দেখা নিষিদ্ধের পাশাপাশি সব ধরণের বিজয় মিছিল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোপা আমেরিকার ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে এর উত্তেজনা ছড়িয়ে পরেছে সারা বিশ্বে ফুটবল প্রেমীদের মাঝে। ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও বিশ্বের অন্যতম ফুটবল টীম চীর প্রতিদ্বন্দ্বি ব্রাজিল ও সমর্থকদের মধ্যে চলছে বাকযুদ্ধ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে চলছে এইসব বাকযুদ্ধ।

ইতিমধ্যে ৬ জুলাই (মঙ্গলবার) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের দামচাইল গ্রামে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলায় চার জন আহত হয়। তাই এই দুই দলের মধ্যে অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলাকে কেন্দ্র করে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে সর্তকতামূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। ফাইনাল খেলার দিন আজ রোববার ভোর ৬টা থেকে মাঠে থাকবে হাজারো পুলিশ।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন বলেন, রোববার ভোর ৬টা থেকে কোপা আমেরিকার ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। তাই পুলিশের পক্ষ থেকে বাড়তি সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে।

তিনি বলেন, খোলা জায়গায় বড় পর্দায়, কোন ক্লাবে বা চায়ের দোকানে কোথাও খেলা দেখার আয়োজন করতে দেয়া হবেনা।
এ বিষয়ে শনিবার দুপুরে জেলা সদরসহ সকল উপজেলায় মাইকিং করা হয়েছে। ফাইনাল খেলার দিন ভোর ৫টা থেকে মাঠে থাকবে পুলিশের বিশেষ টিম। এছাড়াও জেলার ১১৬টি বিটে ৪জনে দল করে ১ হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য মাঠে থাকবে। খেলা শেষ হওয়ার পর কোন অবস্থাতেই বিজয় মিছিল করা যাবে না। আমরা সেটি করতে দেবো না। এ ব্যাপারে আমরা জনপ্রতিনিধিদের সহায়তা চাইবো। কেউ যদি পুলিশের নির্দেশনা অমান্য করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

উল্লেখ্য ৬ জুলাই (মঙ্গলবার) রাতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার সাদেকপুর ইউনিয়নের দামচাইল গ্রামে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনার সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে চার জন আহত হয়। আহতদেরকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।

আহতরা হলেন, সেলিম মিয়া-(৪৫), ছয়দাবুর রহমান-(২৫), জাকির মিয়া- (৩৫) ও নওয়াব মিয়া-(৬০)। আহতদের মধ্যে ৩জন আর্জেন্টিনার সমর্থক ও ১জন ব্রাজিল সমর্থকের চাচা। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় অতিরিক্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা ॥ মাঠে থাকবে হাজারো পুলিশ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘন্টায় ২জনের মৃত্যু হয়েছে। এরা দু’জনই ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এদের মধ্যে একজন মহিলা ও একজন পুরুষ। শুক্রবার বিকেলে এই তথ্য নিশ্চিত করে সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৫১৩টি নমুনা পরীক্ষায় করে করোনা আক্রান্ত সনাক্ত হয়েছেন ৮৪ জন।

মৃত ব্যক্তিরা হলেন আশুগঞ্জ উপজেলার পুরুষ-(৪৫) ও আশুগঞ্জ উপজেলার মহিলা-(৫৫)। এই দু’জন নিয়ে জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৭১ জন মারা যান।

নতুন সনাক্তদের মধ্যে সদর উপজেলায় রয়েছেন ৮ জন, কসবায় ৩৮, সরাইলে ৪, আখাউড়ায় ৩, আশুগঞ্জে ৮, নাসিরনগরে ২, বিজয়নগরে ২, বাঞ্চারামপুরে ১৯ জন করে রয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, এ নিয়ে শুক্রবার পর্যন্ত জেলায় মোট ৪ হাজার ৬৬৪ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ৩ হাজার ৮৪০ জন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসে ২জনের মৃত্যু, নতুন সনাক্ত ৮৪ জন


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকার ঘোষিত কঠোর লকডাউন উপেক্ষা ও সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মাস্ক না পরা, লকডাউনে দোকান খোলা রাখা, অযথা বাইরে ঘুরাফেরা, সামাজিক দূরত্ব না মানা, মোটর সাইকেল নিয়ে অযথা ঘুরাফেরাসহ বিভিন্ন কারণে গত ৭দিনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২ হাজার ১৭৩ জনকে ১১ লাখ ২৫ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

গত ১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) সকাল থেকে গত বুধবার (৭ জুলাই) রাত পর্যন্ত জেলার ৯টি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে তাদেরকে এই জরিমানা করেন।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কিশোর কুমার দাস বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন মানার জন্য জন-সাধারণকে বার বার বলা হচ্ছে। লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা শহর সহ ৯টি উপজেলায় ৩২জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করছেন। পাশাপাশি রয়েছে সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‌্যাব, আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা।

তিনি বলেন, লকডাউন চলাকালে গত ৭ দিনে (১ জুলাই থেকে ৭ জুলাই) রাত পর্যন্ত জেলায় সংক্রামক রোগ ( প্রতিরোধ,নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর ধারাসমূহ লঙ্ঘনের অপরাধে ২ হাজার ১৭৩ জনকে ১১ লাখ ২৫ হাজার ৪০০ টাকা জরিমানা করা হয়। জনস্বার্থে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

উল্লেখ্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গত বুধবার পর্যন্ত ৪ হাজার ৫৫১জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে ৩ হাজার ৮২৭ জন সুস্থ্য হয়েছেন। জেলায় করোনা ভাইরাসে মারা গেছেন মোট ৬৯জন করোনায় মারা গেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কঠোর লকডাউনে ৭দিনে ২ হাজার ১৭৩ জনকে জরিমানা


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে যাত্রী আসা অব্যাহত রয়েছে। ভারতে অবস্থানরত বাংলাদেশি যাত্রীরা এবং বাংলাদেশে কর্মরত ও পড়াশুনা করতে থাকা ভারতীয় নাগরিকরা বিশেষ অনুমতি নিয়ে প্রতিদিন এই বন্দর দিয়ে ফিরছেন।

আখাউড়া উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ মার্চ থেকে বিশেষ অনুমতি নিয়ে যাত্রীরা ভারত থেকে ফিরতে পারছেন। গত বৃহস্পতিবার নাগাদ এক হাজার ৯৩৮ জন আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে আসেন। তাদের প্রত্যেককে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ১৪৭২ জনকে অবমুক্ত করা হয়েছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার ১৯ জনকে অবমুক্ত করা হয়। ভারত ফেরত যাত্রীদের মধ্যে ৫৪ জনের করোনা পজেটিভ আসে। এর মধ্যে অনেকেই নেগেটিভ সনদ নিয়ে নিজ নিজ অবস্থানে চলে গেছেন।

এ ব্যাপারে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোহাম্মদ নূর-এ আলম জানান, ভারত ফেরতদেরকে কোয়ারেন্টিন মানতে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে।

ভারত ফেরত বাংলাদেশি নাগরিকদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল, বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, ঢাকার ব্র্যাক লানিং সেন্টারসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা ও আখাউড়ার বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে তাদেরকে কোয়ারেন্টিন করানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার নাগাদ জেলায় কোয়ারেন্টিনে আছেন ২৫৪ জন।

আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে দেশে ফিরেছেন ভারতে আটকে পড়া ১৯৩৮ জন বাংলাদেশি যাত্রী

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয়ধাপে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সরকারি ঘর পেয়েছেন ৬৮১ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। গতকাল (সোমবার) বেলা সোয়া ১১টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গনভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশে একযোগে আশ্রয়ন প্রকল্প-২-এর আওতায় এসব ঘর উদ্বোধন করেন।

প্রধানমন্ত্রীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পর পরই জেলার ৯টি উপজেলায় ৬৮১জন উপকারভোগীদের মধ্যে সংশ্লিষ্টরা এসব বাড়ির দলিল হস্তান্তর করেন।

৯টি উপজেলার মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায় ১২৫টি পরিবার, বিজয়নগর উপজেলায় ১৪৯টি পরিবার, সরাইল উপজেলায় ৩১টি পরিবার, নবীনগর উপজেলায় ১৫টি পরিবার, নাসিরনগর উপজেলায় ৩১টি পরিবার, বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় ৬০টি পরিবার, আশুগঞ্জ উপজেলায় ২০ টি পরিবার, কসবা উপজেলায় ২০০টি পরিবার ও আখাউড়া উপজেলায় ৫০ টি পরিবার পেয়েছেন সরকারি এই ঘর।

এদিকে দ্বিতীয়ধাপে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সরকারি ঘরের দলিল হস্তান্তর উপলক্ষে নাসিরনগর উপজেলা পরিষদ চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার হালিমা খাতুনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা চন্দন কুমার পোদ্দারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান ডাঃ রাফিউদ্দিন আহমেদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ ফজলে ইয়াজ আল হোসাইন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রুবিনা আক্তার, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুল্লাহ সরকার প্রমুখ।

আলোচনা সভা শেষে উপকারভোগীদের মধ্যে ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর করেন বি.এম. ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম এমপি।
সরাইলে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে সরকারি ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর উপলক্ষে উপজেলার সিরাজুল ইসলাম অডিটরিয়ামে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের-(৩১২) সংসদ সদস্য উম্মে ফাতেমা নাজমা বেগম।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুল হক মৃদুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন-সহকারি পুলিশ সুপার (সরাইল সার্কেল) মোঃ আনিসুর রহমান, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রোকেয়া বেগম, ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ আবু হানিফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক অ্যাডভোকেট মোঃ নাজমুল হোসেন প্রমুখ।

আখাউড়ায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মধ্যে সরকারি ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূঁইয়া, পৌরসভার মেয়র তাকজিল খলিফা কাজল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নূর-এ-আলম, উপজেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক জয়নাল আবেদীন প্রমুখ।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দ্বিতীয়ধাপে ৬৮১টি ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে সরকারি ঘরের দলিল হস্তান্তর

ফেসবুকে আমরা..