স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে চলন্ত ট্রেনের সাথে যাত্রীবাহী সিএনজিচালিত অটোরিকসার সংঘর্ষে পিতা-পুত্রসহ একই পরিবারের তিনজন নিহত হয়েছেন। রোববার ভোরে আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর রেলওয়ে লেভেল ক্রসিংয়ে এই দূর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের রাজঘর গ্রামের মোঃ সাদেক মিয়া (৬৮), তার পুত্র রুবেল মিয়া (৩৩) ও পাবেল মিয়া (২৩)। রোববার বাদ জোহর রাজঘর ঈদগাহ মাঠে নামাজে জানাজা শেষে রাজঘর কবরস্থানে তাদের লাশ দাফন করা হয়।

এদিকে দূর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে রেলওয়ের সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা আমিনুল হককে প্রধান করে ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

এদিকে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় নিহতদের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। ঘটনার জন্যে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি করেছেন পরিবারের সদস্যরা।

নিহতের পারিবারিক সূত্র জানায়, পিতা সাদেক মিয়াকে চোখের চিকিৎসা করাতে তার দুইপুত্র রুবেল মিয়া ও পাভেল মিয়া রোববার ভোরে রাজঘর থেকে একটি সিএনজিচালিত অটোরিকসায় করে আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনের দিকে রওয়ানা হন। আশুগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন থেকে তিতাস কমিউটার ট্রেনে করে তাদের ঢাকা যাওয়ার কথা ছিলো।

তাদেরকে বহনকারী অটোরিকসাটি আশুগঞ্জ উপজেলার তালশহর লেভেল ক্রসিং অতিক্রম করার সময় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী একটি মেইল ট্রেনের সাথে ধাক্কা লেগে অটোরিকসাটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই ভাই রুবেল ও পাভেল মারা যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের পিতা সাদেক মিয়াকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করালে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ছাদেক মিয়াও মারা যায়।

নিহত সাদেক মিয়ার স্ত্রী মোমেনা বেগম ও কন্যা ইয়াসমিন বেগম ঘটনার জন্য দায়ীদের গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন ফাঁড়ির ইনচার্জ এস.আই সালাউদ্দিন খান নোমান বলেন, যাত্রীবাহি অটোরিকসাটি তালশহর লেভেলক্রসিং অতিক্রম করার সময় চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী চট্টগ্রাম মেইল ট্রেনটি অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই দুই ভাই রুবেল মিয়া ও পাভেল মিয়া মারা যান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করার সময় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তাদের বাবা সাদেক মিয়া মারা যায়।

এদিকে নিহতের স্বজনরা দূর্ঘটনার জন্য লেভেল ক্রসিংয়ের গেইট কিপারের গাফলতিকে দায়ী করেছেন। নিহত সাদেক মিয়ার চাচাতো ভাই আলমগীর, স্বজন নোমান মিয়া ও প্রতিবেশী আকতার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, দূর্ঘটনার সময় লেভেল ক্রসিংয়ে গেইট কিপার ছিলো না। গেইট খোলা পেয়ে অটোরিকসাটি লেভেল ক্রসিং অতিক্রম সময় দূর্ঘটনার শিকার হয়।

এ ব্যাপারে লেভেল ক্রসিংয়ের গেইট কিপার মোঃ আনিসুর রহমান তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি গেইট ফেলেছিলাম। অটোরিকসাটি গেইটের নিচ দিয়ে জোর করে যাওয়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে।

এ ব্যাপারে আখাউড়া রেলওয়ের থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল করিম দূর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় দায়ীদের চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে রেলওয়ের পক্ষ থেকে চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। রেলওয়ের সহকারি পরিবহন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলামকে তদন্ত কমিটির প্রদান করা হয়েছে। সদস্যরা হলেন, সহকারি প্রকৌশলী (যান্ত্রিক ও অপারেশন) মোঃ আলাউদ্দিন, সহকারি প্রকৌশলী (সংকেত ও টেলিযোগাযোগ) আহাদ আলী খলিফা ও আখাউড়া রেলওয়ে জংশন স্টেশনের নির্বাহী প্রকৌশলী এস.এম মাহমুদুর রহমান।

এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটির প্রধান ও ঘটনাস্থলে উপস্থিত সহকারী পরিবহন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরা দূর্ঘটনার বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। কারা ঘটনার জন্য দায়ী এ ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে আমরা রেলওয়ে ঢাকা বিভাগীয় কর্মকর্তার কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবো।

আশুগঞ্জে ট্রেনের সাথে অটোরিকসার সংঘর্ষে পিতা-পুত্রসহ তিনজন নিহত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ৪৯ বোতল ফেন্সিডিল, মাদক বিক্রির নগদ ২ হাজার টাকাসহ মাদক ব্যবসায়ী মোঃ বেলাল মিয়া (৩৬) কে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১৪। শনিবার সকাল পৌনে ৮টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের আশুগঞ্জের গোলচত্ত্বর যাত্রী ছাউনীর সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃত মোঃ বেলাল মিয়া হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার গনকিরপাড় গ্রামের আকছির মিয়ার ছেলে।

শনিবার দুপুরে র‌্যাব ভৈরব ক্যাম্প থেকে ক্যাম্পের অধিনায়ক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দীন মোহাম্মদ যোবায়ের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার সকাল পৌনে ৮টায় আশুগঞ্জ গোলচত্ত্বরের যাত্রী ছাউনীর সামনে থেকে মাদক ব্যবসায়ী বেলাল মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার কাছ থেকে ৪৯ বোতল ফেন্সিডিল ও মাদক বিক্রির নগদ ২ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃত বেলাল একজন পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, সে দীর্ঘদিন ধরে হবিগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকা হতে চোরা চালানের মাধ্যমে মাদকদ্রব্য কিনে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করতেন।

আশুগঞ্জে মাদক ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসন বিষয়ে উপজেলা পর্যায়ে অবহিতকরণ সভা ও টিউবওয়েল টেস্টারদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত কর্মশলায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ মুন্সি।

ঢাকার গবেষণা ও উন্নয়ন ফাউন্ডেশন সমাহার এর উদ্যোগে ও উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত অবহিতকরণ কর্মশালায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরবিন্দ বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও উপ-সহকারী জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী মোঃ বায়েজিদ আহম্মেদের সঞ্চলানায় বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম পারভেজ ও ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল খায়ের।

কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন উপজেলা সহকারী প্রকৌশলী আবদুল রহিম, সমাহারের টিম লিডার আব্দুল মান্নান ও প্রশিক্ষক মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ।

অবহিতকরণ কর্মশালা শেষে টিউবওয়েলের পানির আর্সেনিক পরীক্ষা বিষয়ে টেস্টারদের দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের ৪৮জন নব নিয়োগকৃত টিউবওয়েল টেস্টার অংশ গ্রহণ করেন।

আশুগঞ্জে আর্সেনিক বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের উদ্যোগে উম্মুক্ত জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে উপজেলার আড়াইসিধা ইউনিয়নের বাজার চারতলা গ্রামের মেঘনা নদীতে উম্মুক্ত জলাশয়ে প্রায় ৪০০ কেজি বিভিন্ন প্রজাতির মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।

মাছের পোনা অবমুক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হানিফ মুন্সি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার অরবিন্দ বিশ্বাস বাপ্পীর সভাপতিত্বে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম ইউনিয়ন প্রজেক্টের উপ-প্রকল্প পরিচালক আনোয়ার হোসেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সাংবাদিক সেলিম পারভেজ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা তাজমহল বেগম, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ সাইফুল ইসলাম, উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রওনক জাহান ও সহকারী মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ সাইদুর রহমান প্রমুখ।

আশুগঞ্জে উম্মুক্ত জলাশয়ে মাছের পোনা অবমুক্ত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে বালিবাহী ট্রাক্টরের চাপায় মাহমুদা আক্তার (৪) নামে এক শিশু নিহত হয়েছে। শনিবার দুপুরে উপজেলার লালপুর ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত মাহমুদা আক্তার নোয়াগাঁও গ্রামের নাছির মিয়ার মেয়ে। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা ট্রাক্টরটি আটক করতে পারলেও এর চালক পালিয়ে গেছে।

স্থানীয়রা জানান, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে বালুবাহী একটি ট্রাক্টর লালপুর-নোয়াগাঁও গ্রামের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় শিশু মাহমুদা বাড়ির সামনে রাস্তা পারাপারের সময় ট্রাক্টরটি তাকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই সে নিহত হয়।

এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আজাদ রহমান বলেন, দূর্ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আশুগঞ্জে ট্রাক্টর চাপায় শিশু নিহত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘন্টায় ২ নারীর মৃত্যু হয়েছে। বুধবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে ৫৯ বছর বয়সী এক নারী ও নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬০ বছর বয়সী অপর এক নারী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন অফিসের ফেসবুক পেইজে এই তথ্য দেয়া হয়।

এছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় ৩৪০টি নমুনা পরীক্ষা করে ১১১জনের করোনা সনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় ৬২ জন, কসবা উপজেলায় ১০জন, আখাউড়া উপজেলায় ৯জন, আশুগঞ্জ উপজেলায় ২১জন, বিজয়নগর উপজেলায় ২জন ও বাঞ্চারামপুর উপজেলায় ৭ জন। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪০জন।

ফেসবুক পেইজে বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় এ পর্যন্ত ৯৯৩৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এর মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৪৫৭ জন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেইন্টানে আছেন ১৯৩ জন, হাসপাতালের আইসোলেশনে আছেন ৭৯জন, সেলফ আইসোলেশনে আছেন ৪২৫৬ জন৷ এ পর্যন্ত জেলায় মারা গেছেন ১৪১ জন।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরামউল্লাহর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন৷

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২ নারীর মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া
সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন আ ব র নি’র উদ্যোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন সেন্টারের করোনার রোগী ও করোনার উপসর্গ নিয়ে ভর্তি হওয়া রোগীদের মাঝে মৌসুমী ফল বিতরণ করেন।
রোববার দুপুরে সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক হাবিবুর রহমান পারভেজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. ওয়াহীদুজ্জামানের হাতে মৌসুমী ফল হস্তান্তর করা হয়।
বিতরণ করা ফলের মধ্যে ছিলো আম, কলা, পেয়ারা, মাল্টা, লটকন, লেবু ও আমড়া ইত্যাদি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামী ও সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন, দপ্তর সম্পাদক শাহজাহান সাজু, তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক মজিবুর রহমান খান, সাবেক সহসভাপতি মফিজুর রহমান লিমন, সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, ডা. ফাইজুর রহমান ফয়েজ, ডা. হিমেল খান, ডা. সৈয়দ আরিফুল ইসলাম৷
এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা নাগরিক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্ত, ব্রাহ্মণবাড়িয়া খেলাঘরের সাধারণ সম্পাদক নিহার রঞ্জন সরকার, এশিয়ান এজের জেলা প্রতিনিধি আশিকুর রহমান মিঠু, সামাজিক ব্যক্তিত্ব সাংবাদিক সুমন রায়, ঢাকাপোষ্ঠের জেলা প্রতিনিধি আজিজুর সঞ্চয় ও দৈনিক সকালবেলার জেলা প্রতিনিধি আজহার উদ্দিন প্রমুখ৷
এছাড়া আ ব র নি’র সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিল্লাল হোসেন, হারুন মোল্লা, সাইফুল আজীজ সোহেল, ফরহাদ হোসেন জুয়েল, বিজয় সাহা, বিপ্লব হোসেন প্রমূখ৷
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. ওয়াহীদুজ্জামান বলেন, আবরনির এই উদ্যোগের ফলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা করোনা আক্রান্ত রোগিদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং তারা উপকৃত হবেন। তিনি আরো বলেন, ইতিমধ্যে অনেক সামাজিক সংগঠন এগিয়ে আসছে, যার ফলে রোগীরা অনেক সুবিধা পাচ্ছে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনা রোগীদের মাঝে আ ব র নি”র মৌসুমী ফল বিতরণ


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকার ঘোষিত গত দুই সপ্তাহের লকডাউনে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে মুখে মাস্ক না পড়ে অযথা বাইরে ঘুরাফেরা, দোকানপাট খোলা রাখাসহ সরকার ঘোষিত বিধিনিষেধ অমান্য করায় ২ হাজার ১৩২ জনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

গত ২৩ জুলাই (শুক্রবার) সকাল থেকে গত ৫ আগষ্ট (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪দিনে জেলা সদরসহ জেলার ৯টি উপজেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ২ হাজার ১৩২ জনকে ১০ লাখ ৬১ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করেন।

শুক্রবার সকালে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রশান্ত বৈদ্য বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণরোধে সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক কঠোর লকডাউন মানার জন্য জনসাধারণকে বার বার বলা হচ্ছে। লকডাউন বাস্তবায়নে জেলা সদরসহ জেলার ৯টি উপজেলায় ২৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করছেন। পাশাপাশি মাঠে রয়েছেন সেনাবাহিনীসহ আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যগণ।

তিনি বলেন, গত ২৩ জুলাই সকাল থেকে ৫ আগষ্ট সন্ধ্যা পর্যন্ত ১৪ দিনে জেলায় সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ,নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮ এর ধারা সমূহের লংঘনের অপরাধে ২১৩২ জনকে ১০ লাখ ৬১ হাজার ১০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। তিনি বলেন, জনস্বার্থে আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

দুই সপ্তাহের লকডাউনে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জরিমানা

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১৫টি অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান করেছে বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউট (আইইবি)।
বুধবার দুপুরে আইইবি আশুগঞ্জ শাখার সভাপতি ও আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানীর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মোঃ সাজ্জাদুর রহমান ও কোম্পানীর নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী ক্ষিতিশ চন্দ্র বিশ্বাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ নুপুর সাহার কাছে এই অক্সিজেন সিলিন্ডারগুলো হস্তান্তর করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী অফিসার অরবিন্দ বিশ্বাস, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম পারভেজ, আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানীর প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল মজিদ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশীল মোঃ সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

এর মধ্যে দিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থাপিত সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টটি পুরোপুরি ভাবে চালু করা সম্ভব হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ২০ শয্যা বিশিষ্ট সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লানটি চালু করতে প্রয়োজন ছিলো ২৪টি সিলিন্ডার। স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তিদের দেয়া ৯টি সিলিন্ডার দিয়ে সেন্ট্রাল অক্সিজেন প্লান্টটি চালু করা হয়েছিলো। বুধবার আইইবি ১৫টি সিলিন্ডার দেয়ায় প্লান্টটি পূর্নাঙ্গভাবে চালু করা সম্ভব হয়েছে।

আশুগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে আইইবির ১৫টি অক্সিজেন সিলিন্ডার প্রদান


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ৬জনের মৃত্যু হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় জেলার বিভিন্ন স্থানে এরা মারা যান। মৃত ব্যক্তিদের মধ্যে দুইজনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলায়, তিনজন নবীনগর উপজেলায় ও একজনের বাড়ি আখাউড়া উপজেলায়। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জনের ফেসবুক পেইজে এই তথ্য দেয়া হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘন্টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ৪১৩জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৫৪জন, নাসিরনগর উপজেলায় ১২জন, সরাইল উপজেলায় ৫জন, আশুগঞ্জ উপজেলায় ৭জন, বিজয়নগর উপজেলায় ৮জন, নবীনগর উপজেলায় ১১০জন, আখাউড়া উপজেলায় ৭জন, কসবা উপজেলায় ৭৯জন ও বাঞ্চারামপুর উপজেলায় ৩১জন রয়েছেন।

ফেসবুক পেইজে আরো বলা হয়, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় এপর্যন্ত ৮৫১৮জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন এর মধ্যে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৪৯২১জন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেইন্টানে আছেন ২২৭ জন, হাসপাতালের আইসোলেশনে আছেন ৬৮জন, সেলফ আইসোলেশনে আছেন ৩৪১৩ জন ও এ পর্যন্ত মারা গেছেন ১১৬ জন।

এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ একরামউল্লাহর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেন৷

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় করোনাভাইরাসে ৬ জনের মৃত্যু

ফেসবুকে আমরা..