স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে ৯০ লিটার চোলাই মদসহ তিন মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুরে উপজেলার কালিকচ্ছের ঋষি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমান চোলাই মদ, চোলাই মদ তৈরীর সরঞ্জামসহ তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, কস্তরি রবি দাস-(৫০), তার স্ত্রী অঞ্জনা রবি দাস-(৩৫) ও মেয়ে চম্পা রবি দাসক-(১৮)। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পরে অন্যান্য মাদক কারবারিরা পালিয়ে যায়।

এলাকাবাসী জানান, দীর্ঘ প্রায় ৫০ বছর ধরে কালীকচ্ছের ঋষি বাড়িতে চোলাই মদ তৈরী ও বিক্রি করা হচ্ছে। মাঝে মধ্যে পুলিশ অভিযানও পরিচালনা করে। কিন্তু বন্ধ নেই চোলাই মদের কারবার। এখান থেকে সরাইলসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকার লোকেরা পাইকারীভাবে চোলাই মদ কিনে গন্তব্যে নিয়ে যান।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ

দুপুর ১টায় সরাইল থানার এস.আই বিল্লাল হোসেনের নেতৃত্বে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। দুইঘন্টাব্যাপী অভিযানকালে ঋষি বাড়ির মাটির নীচ থেকে মদ তৈরীর সরঞ্জাম, কন্টিনসহ ৯০ শত লিটার মদ উদ্ধার করা হয়।

এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার (ওসি) মোঃ আসলাম হোসেন বলেন, মাদকের বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স। তিনি ৯০ লিটার চোলাই মদসহ তিনজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, কোন মাদক ব্যবসায়ীকে ছাড় দেয়া হবে না। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে।

সরাইলে তিন মাদক কারবারি গ্রেপ্তার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের মেরাশানী এলাকা থেকে ০১ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব। গতকাল (২২ মে) সন্ধ্যায় এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজয়নগরের মেরাশানী এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তারা একজনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেপ্তারকৃত আসামী হলেন, রোমান বিন সাইদ রাব্বি (৩১), পিতা-মোঃ রওশন আলী, সাং-উত্তর গোরান, বাসা নং-৩৬৫, ওয়ার্ড নং-০২, থানা-খিলগাঁও, ডিএমপি-ঢাকা। এ সময় আসামীর কাছ থেকে ১৩ বতল স্কাফ ও ৪ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গেছে, তারা দীর্ঘদিন যাবত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সিমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে চালানকৃত গাঁজা দেশে নিয়ে আসত। এবং সেই গাঁজার চালানটি রাজধানীর এক ব্যক্তির কাছে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও আসামীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

প্রেস রিলিজ

বিজয়নগরের মেরাশানী এলাকা থেকে ০১ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় পাঁচ বছরের সাজাপ্রাপ্ত এক আসামীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ দুপুরে উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারকৃতের নাম বশির উদ্দিন-(৪৪)। তিনি রাজাপুর গ্রামের মোঃ শাহজাহান ওরফে জামাই শাহজাহানের ছেলে।

আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মিজানুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজ দুপুরে বশিরকে তার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে আখাউড়া থানায় তিনটি মাদকের মামলা রয়েছে। এর মধ্যে একটি মামলায় তার বিরুদ্ধে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদন্ড ও ৫০০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও পাঁচ মাসের সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ রয়েছে এবং গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আখাউড়ায় সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেপ্তার


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় আধুনিকতার ছোঁয়ায় বর্তমানে বিলুপ্তির পথে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর। মানুষের রুচিবোধের পরিবর্তন, পারিবারিক নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার কারনে মানুষ এখন আর মাটির ঘরে বসবাস করতে চায়না। অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল মানুষ এখন পাকা দালানের দিকেই ঝুঁকে পড়েছেন। এতে করে দ্রুতই বিলুপ্ত হচ্ছে গরীবের রাজপ্রসাদ খ্যাত মাটির ঘর।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার ভারতীয় সীমান্তঘেষা বিজয়নগর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের মধ্যে ৫ টি ইউনিয়নেই শতকরা ৯০ ভাগ মানুষই বসবাস করতো মাটির ঘরে। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় ওইসব এলাকায় মাটির ঘরের জায়গায় শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন ডিজাইনের পাকা দালান।

বিজয়নগর উপজেলার প্রবীণ ব্যক্তিরা জানান, আগে উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের খাটিঙ্গা, মকুন্দপুর, দাড়িয়াপুর, কামালমোড়া, সেজামোড়া, ভিটি দাউদপুর, দুরানাল, কচুয়ামোড়া, বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর, কালাছড়া, বক্তারমোড়া, ছতরপুর, দুলালপুর, পত্তন ইউনিয়নের আদমপুর, শ্রীপুর, হরষপুর ইউনিয়নের পাইকপাড়া, পাঁচগাও, বাগদিয়া, হরষপুর, সোনামোড়া, বড়চাল, মেঘশিমুল, সিঙ্গারবিল ইউনিয়নের মেরাশানী, রানুর বাজার, আলীনগর, কাঞ্চনপুনসহ বিভিন্ন গ্রামে শোভা পেতো মাটির ঘর। বর্তমানে ওইসব গ্রামের হাতেগোনা কিছু বাড়িতে মাটির ঘর থাকলেও অধিকাংশ বাড়িতে দেখা গেছে দালান ঘর ও সেমি-পাকা টিনের ঘর।

এলাকাবাসী জানান, উপজেলার যেসব জায়গায় লাল মাটি ও এটেল মাটি পাওয়া যেতো সেইসব এলাকার লোকজনই বাড়িতে মাটির ঘর তৈরী করতেন। লাল মাটি ও এঁটেল মাটি পানি দিয়ে ভিজিয়ে প্যাক করা হতো। পরে সেই মাটি দিয়ে তৈরী করা হতো ২০/৩০ ইঞ্চি চওড়া দেয়াল। প্রতিবার ১/২ ফুট উচু করে দেয়াল তৈরি করে সেই দেয়ালকে ৫/৬ দিন রোদে শুকানো হতো। তারপর এই দেয়াল আবারো ১/২ ফুট উঁচু করে শুকানো হতো। এভাবে পর্যায়ক্রমে ১০/১২ ফুট উচু দেয়াল নির্মান করা হতো। তারপর এই দেয়ালের ওপর টিনের চালা বা ছন দিয়ে চালা (ছাউনি) নির্মান করা হতো। প্রতিটি ঘর নির্মান করতো সময় লাগতো প্রায় ২/৩ মাস। পরে বিশেষ প্রক্রিয়ায় ঘরের ভেতরের দিকে ধানের তুষ (কুড়া) দিয়ে দেয়ালের উপর প্রলেপ দেয়া হতো। বাইরের দিকে দেয়া হতো চুনের প্রলেপ বা আলকাতরা। চুনের প্রলেপ দিলে ঘরের সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি পেত তেমনি ঝড়-বৃষ্টির হাত থেকেও মাটির দেয়াল রক্ষা পেত। বন্যা বা ভূমিকম্প না হলে এসব ঘর শতাধিক বছর পর্যন্ত টিকে থাকতো। মাটির ঘর নির্মানের কারিগরদের বলা হতো দেয়ালী।


উপজেলার হরষপুর ইউনিয়নের নিদারাবাদ গ্রামের দেয়ালী নোয়াজ আলী জানান, মাটির ঘর তৈরি করার উপযুক্ত সময় হচ্ছে কার্তিক মাস। কারন এ সময় বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা থাকেনা। তিনি বলেন, আমরা প্রতি হাত ঘর নির্মানে ১০টাকা করে নিতাম। আবার অনেক সময় ৫/৬ হাজার টাকা চুক্তিতেও ঘর নির্মান করে দিতাম। তিনি বলেন, মানুষ এখন আর মাটির ঘর তৈরী করে না যার জন্য আমরা এই পেশা ছেড়ে দিয়েছি।

উপজেলার নিদারাবাদ গ্রামের বাসিন্দা ও তরুণ সাংবাদিক এস.এম টিপু চৌধুরী বলেন, আমি ছোট বেলায় মাটির ঘরেই বসবাস করেছি। মাটির ঘরে বসবাস খুবই আরামদায়ক। গরমের দিনে ঠান্ডা আর শীতের দিনে শীত লাগতো না। তিনি বলেন, আমাদের বাড়িতে ৭টি বড় বড় মাটির ঘর ছিল। বর্তমানে একটি ঘর ছাড়া বাকি ঘরগুলো ভেঙ্গে সেখানে পাকা দালান নির্মান করা হয়েছে। বাড়ির ঐতিহ্য হিসেবে এখনো প্রায় শতবর্ষ পুরনো একটি মাটির ঘর রাখা রয়েছে। তিনি বলেন, গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্য হিসেবে এই মাটির ঘরটিকে আমরা রেখে দেব।

উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়নের বাসিন্দা ও উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোঃ রাসেল খান বলেন, আমি এখনো মাটির ঘরেই বসবাস করি। তিনি বলেন, মাটির ঘরে বসবাস খুবই আরামদায়ক। গরমের দিনে ঠান্ডা আর শীতের দিনে ঘরে গরম অনুভুত হয়। তিনি বলেন, আমাদের বাড়িতে ৫টি মাটির ঘর ছিলো। এখন আমার বাড়িতে দুটি মাটির ঘর আছে। বাকি গুলো ভেঙ্গে পাকা দালান নির্মান করা হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের লোকজন বিদেশ গিয়ে বর্তমানে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল হয়েছে। ওইসব প্রবাসীরা দেশে এসে মাটির ঘর ভেঙ্গে পাকা দালান নির্মান করছেন। তিনি বলেন, রুচিবোধের পরিবর্তন, পারিবারিক নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতার কারনে মানুষ এখন আর মাটির ঘরে থাকতে চায়না।
উপজেলার বিষ্ণুপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকতার হোসেন খাঁন বলেন, আগে আমাদের গ্রামের প্রতি বাড়িতেই মাটির ঘর ছিলো। বর্তমানে মাটির ঘরের সংখ্যা খুবই কম। তিনি বলেন, লাল মাটি ও এঁটেল মাটির অভাব, মাটির ঘর তৈরী করার কারিগর সংকটের কারনে মানুষ এখন আর মাটির ঘর তৈরী করতে চায়না। তিনি বলেন, এছাড়া গ্রামের লোকজন বিদেশে গিয়ে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল হয়েছেন। প্রবাসে থেকে তাদের রুচিবোধেরও পরিবর্তন হচ্ছে। প্রবাসীরা দেশে এসে তাদের পরিবারের নিরাপত্তা ও বাড়ির সৌন্দর্যের কথা ভেবে মাটির ঘর ভেঙ্গে বিভিন্ন ডিজাইনের পাকা দালান, বহুতল বিশিষ্ট ভবন নির্মান করছেন। তিনি বলেন, বাড়িতে একটি পাকা দালান থাকাটা অনেকেই স্ট্যাটাসের অংশ হিসেবে মনে করেন।

এ ব্যাপারে বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুল বলেন, মানুষের আয়-রোজগার বেড়েছে। বিদেশে গিয়ে মানুষের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা বেড়েছে। তাছাড়া মানুষের মধ্যে সামাজিক মর্যাদাবোধ ও রুচিবোধ বেড়েছে তাই মানুষ এখন আর মাটির ঘরে বসবাস করতে চায়না। বাড়ির সৌন্দর্যের কারনে ও সামাজিক মর্যাদার কারনে মানুষ মাটির ঘর ভেঙ্গে পাকা দালান নির্মান করছে।

এ ব্যাপারে বিজয়নগর উপজেলার পাহাড়পুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার আবুল কালাম আজাদ বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে মানুষের আয়-রোজগার বেড়েছে। তাছাড়া এলাকার অনেক মানুষ বিদেশে যাওয়ায় তাদের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা বেড়েছে। আয়-রোজগার বাড়ার সাথে সাথে মানুষের মধ্যে সামাজিক মর্যাদাবোধ ও নিজের পরিবারের নিরাপত্তার বিষয়টি বেড়েছে। তাই মানুষ এখন আর মাটির ঘরে বসবাস করতে চায়না। সামাজিক মর্যাদার কারনে মানুষ মাটির ঘর ভেঙ্গে পাকা দালান নির্মান করছে।

এ ব্যাপারে বিজয়নগর উপজেলার সিঙ্গারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মনিরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, মানুষ এখন কর্মমুখী। মানুষের আয়-রোজগার বাড়ার কারনে মানুষ দিন দিন সৌখিন হয়ে উঠছে। এছাড়া এলাকার প্রচুর মানুষ বিদেশ গিয়ে অর্থনৈতিকভাবে স্বচ্ছল হয়েছেন। এলাকার প্রবাসীরা ও স্বচ্ছল ব্যক্তিরা তাদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পাওয়ায় ও পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে মাটির ঘরে থাকতে চায়না। এজন্য মাটির ঘর ভেঙ্গে সুরম্য অট্টালিকা বা পাকা দালান, সেমি-পাকাঘর নির্মান করছেন।

ঐতিহ্যবাহী মাটির ঘর এখন বিলুপ্তির পথে

স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে পিকআপ ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে পিকআপের চালক ও হেলপার নিহত এবং ৪জন আহত হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে ৯টায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তি ইউনিয়নের আলীনগর এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন পিকআপ চালক হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার রিপন খন্দকারের ছেলে রনি খন্দকার-(১৮) ও হেলপার একই এলাকার হোসেন আলীর ছেলে দ্বীন ইসলাম-(৩৮)।

খাটিহাতা হাইওয়ে থানার পুলিশ জানায়, শুক্রবার সকালে ঢাকাগামী একটি পিকআপ ভ্যান ঘটনাস্থলে পৌছলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই পিকআপের চালক ও হেলপার মারা যান ও মাইক্রোবাসের চার আরোহী আহত হন।
খবর পেয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশ মাইক্রোবাসের চার আরোহীকে হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করে।

এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিশ্বরোড খাটিহাতা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শাহ জালাল আলমের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত দুইজনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরন করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আতিকুর রহমান বলেন, পিকআপ ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে পিকআপের চালক ও হেলপার ঘটনাস্থলেই মারা গেছেন। মাইক্রোবাসের চার আরোহীকে আহতবস্থায় হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

বিজয়নগরে পিকআপ ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ব্রীজের রেলিং ভেঙ্গে লবন বোঝাই একটি ট্রাক খালে পড়ে দুলাল-(৪৪) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। আজ বিকেলে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের সোনারামপুর এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত দুলাল শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার টাঙ্গরপাড়া গ্রামের শেরু মিয়ার ছেলে। তিনি আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া পর্যন্ত সড়কে চলমান চারলেন প্রকল্পের শ্রমিক ছিলেন।ৎ

আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ জানান, শুক্রবার বিকেলে সিলেট অভিমুখী লবন বোঝাই একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোনারামপুর এলাকার ব্রীজের রেলিং ভেঙ্গে নিচে পড়ে যায়। এসময় ব্রীজের পাশে কাজ করা অবস্থায় চারলেন প্রকল্পের শ্রমিক দুলাল ট্রাকটির নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।

আশুগঞ্জে ব্রীজের রেলিং ভেঙ্গে ট্রাক খাদে পড়ে যুবক নিহত

২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত ইসলাম কর্তৃক ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও তান্ডবলীলা চালায়। সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের মাধ্যমে পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে মৃত্যুপুরীতে পরিনত করে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশের বিশেষ আভিযানিক টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে গত ২৬, ২৭ ও ২৮ শে মার্চ-২০২১খ্রিঃ হেফাজত
ইসলাম কর্তৃক বিক্ষোভ কর্মসূচি ও হরতাল চলাকালে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের তান্ডবে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৪ ঘন্টায় সর্বমোট ০৪ জন হেফাজত কর্মী ও সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে।

উক্ত সহিংস ঘটনাসমূহের প্রাপ্ত স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে অভিযুক্তদের সনাক্ত করা হয়। উল্লেখ্য হেফাজতের তান্ডবে সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় ৪৯ টি, আশুগঞ্জ থানায় ০৪ টি ও সরাইল থানায় ০২ টিসহ সর্বমোট ৫৫টি মামলা রুজু হয়েছে। এসকল মামলায় ৪১৪ জন এজাহারনামীয় আসামীসহ অজ্ঞাতনামা ৩০/৩৫ হাজার লোকের নামে মামলা হয়েছে। এসকল মামলায় সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী সর্বমোট ৪৮৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

প্রেস রিলিজ

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হেফাজতের তান্ডবে অগ্নিসংযোগ ও তান্ডবে জড়িত আরও ০৪ জন গ্রেফতার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের টোলপ্লাজা এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে ০১ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-১৪। আজ বেলা সাড়ে এগারোটায় এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুগঞ্জের টোলপ্লাজা এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে তারা একজনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেপ্তারকৃত আসামী হলেন, মোঃ আব্দুস সাত্তার (২৭), পিতা-মোঃ নবী হোসেন, সাং-জাহাঙ্গীরনগর, থানা-রায়পুরা, জেলা-নরসিংদী। এ সময় আসামীদের কাছ থেকে ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়।

আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গেছে, তারা দীর্ঘদিন যাবত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সিমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে চালানকৃত গাঁজা দেশে নিয়ে আসত। এবং সেই গাঁজার চালানটি নরসিংদীর এক ব্যক্তির কাছে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও আসামীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

 

প্রেস রিলিজ

আশুগঞ্জের টোলপ্লাজা এলাকা থেকে ০১ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জের টোলপ্লাজা এলাকা থেকে পৃথক অভিযান চালিয়ে ০৪ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-১৪। আজ সকালে এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আশুগঞ্জের টোলপ্লাজা এলাকা থেকে পৃথক অভিযান চালিয়ে তারা চারজনকে গ্রেফতার করে।

গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা হলেন, ১। মোঃ নাঈম হোসেন রুবেল (২৯), পিতা-মোঃ বাচ্চু মিয়া, সাং-দামপাটুলী, থানা ও জেলা- কিশোরগঞ্জ, ২। মোঃ ইমন (১৭), পিতা-মোঃ কাশেম, সাং-মকন্দপুর, থানা-বিজয়নগর, জেলা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ৩। মোঃ আফজাল (২৫), পিতা-নেহার উদ্দিন, সাং-ভৈয়ম বেলাবো, থানা-মাধবদী, জেলা-নরসিংদী, ৪। নূর মোহাম্মদ (৩০), পিতা-মৃত অহেদ আলী, সাং-শেখের চর, থানা-বকসিগঞ্জ, জেলা-জামালপুর। এ সময় আসামীদের কাছ থেকে ২২ কেজি গাঁজা, ১টি ট্রাক ও নগদ ২০০০ টাকা উদ্ধার করা হয়।

আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদের পর জানা গেছে, তারা দীর্ঘদিন যাবত ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সিমান্তবর্তী এলাকা দিয়ে চালানকৃত গাঁজা দেশে নিয়ে আসত। এবং সেই গাঁজার চালানটি রাজধানীর এক ব্যক্তির কাছে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।

উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও আসামীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন-২০১৮ অনুযায়ী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

 

প্রেস রিলিজ

আশুগঞ্জের টোলপ্লাজা এলাকা থেকে ০৪ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব


স্টাফ রিপোর্টার,ব্রাহ্মণবাড়িয়া
দৈনিক প্রথম আলোর সিনিয়র সাংবাদিক রোজিনা ইসলামকে আটকে রেখে হেনস্তা, মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদ ও তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সরাইল প্রেসক্লাবের উদ্যোগে স্থানীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধন চলাকালে প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ আইয়ুব খানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মাহবুব খান বাবুলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক এমপি অ্যাডভোকেট জিয়াউল হক মৃধা।
বক্তব্য রাখেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার মোঃ আনোয়ার হোসেন, সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব অধ্যক্ষ সঞ্জীব কুমার দেবনাথ, উপজেলা কমিউনিষ্ট পার্টির সভাপতি দেবদাস সিংহ রায়, ব্যবসায়ী ফয়সাল আহমেদ মৃধা দুলাল, সাংবাদিক জুলকার নাঈন, সৈয়দ কামরুজ্জামান ইউসুফ, শেখ মোঃ ইব্রাহিম, মোঃ জহিরুল ইসলাম রিপন, মোহাম্মদ মাসুদ, মোহাম্মদ বদর উদ্দিন, মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মোঃ শাহাগীর মৃধা, মো. জাকির হোসাইন, ফকির হাকিম ও আব্দুল মোমিন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, শুধুমাত্র স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে ধারাবাহিক প্রতিবেদন করায় ক্ষুদ্ধ হয়ে সাংবাদিক রোজিনাকে দীর্ঘ সময় আটকে রেখে শারিরীক নির্যাতন করেছেন যুগ্ম সচিব জেবুন্নেছার নেতৃত্বে সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারিরা। তারা হত্যার উদ্দেশ্যে রোজিনার গলায় চেপে ধরে। পরে রোজিনার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করে।
বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক, সচিব মোঃ লোকমান হোসেন মিয়া ও যুগ্ম সচিব কাজী জেবুন্নেছা রোজিনাকে হত্যা চেষ্টার মাধ্যমে সাংবাদিকদের সরকারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছেন।
বক্তারা অবিলম্বে রোজিনার নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করে ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান।

সাংবাদিক রোজিনা ইসলামের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে সরাইলে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

ফেসবুকে আমরা..